চ্যালকোজেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Chalcogen" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
(কোনও পার্থক্য নেই)

১১:৫৭, ৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শ্রেনী ১৭
পর্যায়  অক্সিজেন

O
সালফার একটি নমুনা
১৬
S
২ সেলেনিয়ামের বহুরূপ: কালো এবং লাল। ৩ অন্যদের দেখানো হয় না।
৩৪
Se
টেলুরিয়ামের ধাতব গঠন
৫২
Te

৮৪
Te
লিভারমোনিয়ামের ব্যবহার দ
১১৬
Lv

পর্যায় সারণির সপ্তদশ শ্রেণীর মৌলগুলোকে চ্যালকোজেন বলা হয়। মোট ৬টি মৌল এই শ্রেনীর অর্ন্তভুক্ত। এগুলো হল: অক্সিজেন, সালফার, সেলেনিয়াম, টেলুরিয়াম, পোলোনিয়ামের, লিভারমোনিয়াম

H   He
Li Be B C N O   F Ne
Na Mg   Al Si P S Cl Ar
K Ca Sc Ti V Cr Mn Fe Co Ni Cu Zn Ga Ge As Se Br Kr
Rb Sr Y Zr Nb Mo Tc Ru Rh Pd Ag Cd In Sn Sb Te I Xe
Cs Ba * Hf Ta W Re Os Ir Pt Au Hg Tl Pb Bi Po At Rn
Fr Ra ** Rf Db Sg Bh Hs Mt Ds Rg Cn Uut Uuq Uup Uuh Uus Uuo
 
  * La Ce Pr Nd Pm Sm Eu Gd Tb Dy Ho Er Tm Yb Lu
  ** Ac Th Pa U Np Pu Am Cm Bk Cf Es Fm Md No Lr
সপ্তদশ শ্রেণীর মৌল চ্যালকোজেন
শ্রেণি   ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
হাইড্রো­জেন ও
ক্ষার ধাতু
মৃৎক্ষার
ধাতু
বোরন
শ্রেণি
বোরন
শ্রেণি
নিক্টো­জেন চ্যাল­কোজেন হ্যালো­জেন নিষ্ক্রিয়
গ্যাস
পর্যায়

হাইড্রো­জেনH১.০০৮০ হি­লিয়ামHe৪.০০২৬
লি­থিয়ামLi৬.৯৪ বেরি­লিয়ামBe৯.০১২২ বোরনB১০.৮১ কার্বনC১২.০১১ নাইট্রো­জেনN১৪.০০৭ অক্সি­জেনO১৫.৯৯৯ ফ্লোরিনF১৮.৯৯৮ নিয়ন১০Ne২০.১৮০
সো­ডিয়াম১১Na২২.৯৯০ ম্যাগনে­সিয়াম১২Mg২৪.৩০৫ অ্যালুমি­নিয়াম১৩Al২৬.৯৮২ সিলি­কন১৪Si২৮.০৮৫ ফস­ফরাস১৫P৩০.৯৭৪ গন্ধক১৬S৩২.০৬ ক্লোরিন১৭Cl৩৫.৪৫ আর্গন১৮Ar৩৯.৯৫
পটা­শিয়াম১৯K৩৯.০৯৮ ক্যাল­সিয়াম২০Ca৪০.০৭৮ স্ক্যান­ডিয়াম২১Sc৪৪.৯৫৬ টাইটা­নিয়াম২২Ti৪৭.৮৬৭ ভ্যানা­ডিয়াম২৩V৫০.৯৪২ ক্রো­মিয়াম২৪Cr৫১.৯৯৬ ম্যাঙ্গা­নিজ২৫Mn৫৪.৯৩৮ লোহা২৬Fe৫৫.৮৪৫ কোবাল্ট২৭Co৫৮.৯৩৩ নিকেল২৮Ni৫৮.৬৯৩ তামা২৯Cu৬৩.৫৪৬ জিংক৩০Zn৬৫.৩৮ গ্যা­লিয়াম৩১Ga৬৯.৭২৩ জার্মে­নিয়াম৩২Ge৭২.৬৩০ আর্সে­নিক৩৩As৭৪.৯২২ সেলে­নিয়াম৩৪Se৭৮.৯৭১ ব্রোমিন৩৫Br৭৯.৯০৪ ক্রিপ্টন৩৬Kr৮৩.৭৯৮
রুবি­ডিয়াম৩৭Rb৮৫.৪৬৮ স্ট্রন­শিয়াম৩৮Sr৮৭.৬২ ই­ট্রিয়াম৩৯Y৮৮.৯০৬ জিরকো­নিয়াম৪০Zr৯১.২২৪ নাইও­বিয়াম৪১Nb৯২.৯০৬ মলিব­ডেনাম৪২Mo৯৫.৯৫ টেকনে­শিয়াম৪৩Tc​[৯৭] রুথি­নিয়াম৪৪Ru১০১.০৭ রো­ডিয়াম৪৫Rh১০২.৯১ প্যালে­ডিয়াম৪৬Pd১০৬.৪২ রূপা৪৭Ag১০৭.৮৭ ক্যাড­মিয়াম৪৮Cd১১২.৪১ ইন্ডিয়াম৪৯In১১৪.৮২ টিন৫০Sn১১৮.৭১ অ্যান্টিমনি৫১Sb১২১.৭৬ টেলু­রিয়াম৫২Te১২৭.৬০ আয়োডিন৫৩I১২৬.৯০ জেনন৫৪Xe১৩১.২৯
সি­জিয়াম৫৫Cs১৩২.৯১ বেরিয়াম৫৬Ba১৩৭.৩৩ 1 asterisk লুটি­শিয়াম৭১Lu১৭৪.৯৭ হ্যাফ­নিয়াম৭২Hf১৭৮.৪৯ ট্যান­টালাম৭৩Ta১৮০.৯৫ টাংস্টেন৭৪W১৮৩.৮৪ রিনিয়াম৭৫Re১৮৬.২১ অস­মিয়াম৭৬Os১৯০.২৩ ইরি­ডিয়াম৭৭Ir১৯২.২২ প্লাটিনাম৭৮Pt১৯৫.০৮ সোনা৭৯Au১৯৬.৯৭ পারদ৮০Hg২০০.৫৯ থ্যালিয়াম৮১Tl২০৪.৩৮ সীসা৮২Pb২০৭.২ বিসমাথ৮৩Bi২০৮.৯৮ পোলো­নিয়াম৮৪Po​[২০৯] এস্টাটিন৮৫At​[২১০] রেডন৮৬Rn​[২২২]
ফ্র্যান্সি­য়াম৮৭Fr​[২২৩] রেডিয়াম৮৮Ra​[২২৬] 1 asterisk লরেন­সিয়াম১০৩Lr​[২৬৬] রাদার­ফোর্ডিয়াম১০৪Rf​[২৬৭] ডুব­নিয়াম১০৫Db​[২৬৮] সিব­র্গিয়াম১০৬Sg​[২৬৯] বোহ­রিয়াম১০৭Bh​[২৭০] হ্যাসিয়াম১০৮Hs​[২৬৯] মাইট­নেরিয়াম১০৯Mt​[২৭৮] ডার্মস্টা­টিয়াম১১০Ds​[২৮১] রন্টজে­নিয়াম১১১Rg​[২৮২] কোপার্নি­সিয়াম১১২Cn​[২৮৫] নিহো­নিয়াম১১৩Nh​[২৮৬] ফ্লেরো­ভিয়াম১১৪Fl​[২৮৯] মস্কো­ভিয়াম১১৫Mc​[২৯০] লিভার­মোরিয়াম১১৬Lv​[২৯৩] টেনে­সাইন১১৭Ts​[২৯৪] ওগা­নেসন১১৮Og​[২৯৪]
1 asterisk ল্যান্থানাম৫৭La১৩৮.৯১ সিরিয়াম৫৮Ce১৪০.১২ প্রাসিও­ডিমিয়াম৫৯Pr১৪০.৯১ নিও­ডিমিয়াম৬০Nd১৪৪.২৪ প্রমি­থিয়াম৬১Pm​[১৪৫] সামে­রিয়াম৬২Sm১৫০.৩৬ ইউরো­পিয়াম৬৩Eu১৫১.৯৬ গ্যাডালি­নিয়াম৬৪Gd১৫৭.২৫ টারবিয়াম৬৫Tb১৫৮.৯৩ ডিসপ্রো­সিয়াম৬৬Dy১৬২.৫০ হোল­মিয়াম৬৭Ho১৬৪.৯৩ আর­বিয়াম৬৮Er১৬৭.২৬ থুলিয়াম৬৯Tm১৬৮.৯৩ ইটার­বিয়াম৭০Yb১৭৩.০৫  
1 asterisk অ্যাক্টি­নিয়াম৮৯Ac​[২২৭] থোরিয়াম৯০Th২৩২.০৪ প্রোটেক্টি­নিয়াম৯১Pa২৩১.০৪ ইউরে­নিয়াম৯২U২৩৮.০৩ নেপচু­নিয়াম৯৩Np​[২৩৭] প্লুটো­নিয়াম৯৪Pu​[২৪৪] আমেরি­সিয়াম৯৫Am​[২৪৩] কুরিয়াম৯৬Cm​[২৪৭] বার্কি­লিয়াম৯৭Bk​[২৪৭] ক্যালি­ফোর্নিয়াম৯৮Cf​[২৫১] আইনস্টা­ইনিয়াম৯৯Es​[২৫২] ফার্মিয়াম১০০Fm​[২৫৭] মেন্ডেলে­ভিয়াম১০১Md​[২৫৮] নোবে­লিয়াম১০২No​[২৫৯]

আদিম ক্ষয় থেকে সিন্থেটিকসীমানা মৌলটির প্রাকৃতিক উপস্থিতি দেখায়

মানক পারমাণবিক ভর Ar, std(E)[১]
  • Ca: ৪০.০৭৮ — সংক্ষিপ্ত মান (অনিশ্চয়তা এখানে বাদ দেওয়া হয়েছে)[২]
  • Po: [২০৯] — সবচেয়ে স্থিতিশীল আইসোটোপের ভর সংখ্যা
এস-ব্লক এফ-ব্লক ডি-ব্লক পি-ব্লক

চ্যালকোজেন ( আকরিক গঠন) ( /ˈkælkəənz/ KAL-kə-jənz ) হল পর্যায় সারণির গ্রুপ-১৬ এর রাসায়নিক উপাদান । এই দলটিকে অক্সিজেন পরিবারও বলা হয়। এটি অক্সিজেন (O), সালফার (S), সেলেনিয়াম (Se), টেলুরিয়াম (Te), এবং তেজস্ক্রিয় মৌল পোলোনিয়াম (Po) নিয়ে গঠিত। রাসায়নিকভাবে অকার্যকর সিন্থেটিক উপাদান লিভারমোরিয়াম (Lv) একটি চ্যালকোজেন হিসেবে গণ্য করা হয়। [৩] প্রায়ই, সালফার, সেলেনিয়াম, টেলুরিয়াম এবং পোলোনিয়াম থেকে খুব ভিন্ন রাসায়নিক আচরণের কারণে, অক্সিজেনকে অন্যান্য চ্যালকোজেন থেকে আলাদাভাবে দেখা হয়। কখনও কখনও অক্সিজেনকে "চ্যালকোজেন" ধরা হয় না। "chalcogen" শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ khalkόs এর সংমিশ্রণ থেকে। ( χαλκός ) প্রধানত অর্থ তামা (শব্দটি ব্রোঞ্জ / ব্রাস, কাব্যিক অর্থে যেকোন ধাতু, আকরিক বা মুদ্রার জন্যও ব্যবহৃত হত), [৪] এবং ল্যাটিনাইজড গ্রীক শব্দ genēs , যার অর্থ জন্ম বা উৎপন্ন[৫]

সালফার প্রাচীনকাল থেকে পরিচিত, এবং অক্সিজেন ১৮ শতকে একটি উপাদান হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল। সেলেনিয়াম, টেলুরিয়াম এবং পোলোনিয়াম ১৯ শতকে এবং লিভারমোরিয়াম ২০০০ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। সমস্ত চ্যালকোজেনের ছয়টি যোজ্যতা ইলেকট্রন রয়েছে, যা তাদের একটি সম্পূর্ণ বাইরের শেলের চেয়ে দুটি ইলেকট্রন কম রেখে দেয়। তাদের সবচেয়ে সাধারণ জারণ অবস্থা হল −2, +2, +4 এবং +6। হালকা চ্যালকোজেনের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কম । [৬]

হালকা চ্যালকোজেনগুলি সাধারণত খুব বেশি বিষাক্ত হয় না। যখন ভারী চ্যালকোজেনগুলি সাধারণত বিষাক্ত হয়। [৩] প্রাকৃতিকভাবে সমস্ত চ্যালকোজেনের জৈবিক ক্রিয়াকলাপে একটি পুষ্টি বা বিষ উপাদান হিসাবে কিছু ভূমিকা রয়েছে। সেলেনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান (অন্যদের মধ্যে সেলেনোসিস্টাইনের বিল্ডিং ব্লক হিসাবে) তবে এটি সাধারণত বিষাক্ত। [৭] টেলুরিয়ামের প্রায়শই অপ্রীতিকর প্রভাব থাকে (যদিও কিছু জীব এটি ব্যবহার করতে পারে)। এবং পোলোনিয়ামের আইসোটোপ (পোলোনিয়াম-210 ) এর তেজস্ক্রিয়তার ফলে সর্বদা ক্ষতিকারক।

সালফারের .২০টিরও বেশি অ্যালোট্রোপ রয়েছে, অক্সিজেনের নয়টি, সেলেনিয়ামে কমপক্ষে আটটি, পোলোনিয়ামে দুটি রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত টেলুরিয়ামের একটি স্ফটিক কাঠামো আবিষ্কৃত হয়েছে। অসংখ্য জৈব চ্যালকোজেন যৌগ রয়েছে। অক্সিজেনের জৈব চ্যালকোজেন নেই। সালফার, সেলেনিয়াম, টেলুরিয়াম জৈব চ্যালকোজেন গঠন করে৷

অক্সিজেন সাধারণত বায়ুকে নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেনে পৃথকীকরণের মাধ্যমে পাওয়া যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সালফার তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে নিষ্কাশিত করা হয়। সেলেনিয়াম এবং টেলুরিয়াম তামা পরিশোধনের উপজাত হিসাবে উত্পাদিত হয়। পোলোনিয়াম প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে থাকা অ্যাক্টিনাইডযুক্ত উপকরণগুলিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। লিভারমোরিয়াম কণা এক্সিলারেটরে সংশ্লেষিত হয়েছে। সালফার বেশিরভাগই সালফিউরিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়, যা রাসায়নিক শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। [৭] গ্লাস তৈরিতে সেলেনিয়াম ব্যবহার হয়। টেলুরিয়াম যৌগগুলি বেশিরভাগই অপটিক্যাল ডিস্ক, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সৌর কোষগুলিতে ব্যবহৃত হয়। পোলোনিয়ামে তেজস্ক্রিয়তার জন্য ব্যবহার হয়। [৩]

বৈশিষ্ট্য

পারমাণবিক এবং শারীরিক

চ্যালকোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস বাইরের শক্তিস্তরে একই সংখ্যক যোজ্যতা ইলেকট্রন থাকে, যার ফলে রাসায়নিক আচরণে একই প্রবণতা দেখা যায়:

উপাদান গলনাঙ্ক

(°সে) [৬]

স্ফুটনাঙ্ক

(°সে) [৬]

STP এ ঘনত্ব

(g/cm 3 ) [৬]

অক্সিজেন −219 −183 0.00143
সালফার 120 445 2.07
সেলেনিয়াম 221 685 4.3
টেলুরিয়াম 450 988 ৬.২৪
পোলোনিয়াম 254 962 9.2
লিভারমোরিয়াম 220 (ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে) 800 (আনুমানিক) 14 (ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে) [৮]

সমস্ত চ্যালকোজেনের ছয়টি যোজ্যতা ইলেকট্রন থাকে। এদের ভৌত অবস্থা কঠিন। স্থিতিশীল চ্যালকোজেন নরম [৯] এবং তাপ পরিবাহিতা ভালো নয়। [৬] উচ্চতর পারমাণবিক সংখ্যার সাথে চ্যালকোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা হ্রাস পায়। ঘনত্ব, গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক এবং পারমাণবিক এবং আয়নিক ব্যাসার্ধ [১০] পারমাণবিক সংখ্যা বাড়ার সাথে বৃদ্ধি পায়। [৬]

রাসায়নিক

অক্সিজেন, সালফার এবং সেলেনিয়াম হল অধাতু, এবং টেলুরিয়াম হল একটি অপধাতু, যার অর্থ হল এর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি একটি ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে রয়েছে। [৭] পোলোনিয়াম একটি ধাতু নাকি অপধাতু তা নিশ্চিত নয়। [৩] [১১] সেলেনিয়ামকে সাধারণত অধাতু হলেও অপধাতুর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। [১২] চ। যদিও অক্সিজেন একটি চ্যালকোজেন, তবে এর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য অন্যান্য চ্যালকোজেনের থেকে আলাদা। এর একটি কারণ হল যে ভারী চ্যালকোজেনের ডি-অরবিটাল খালি থাকে। অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতাও অন্যান্য চ্যালকোজেনের তুলনায় অনেক বেশি। এটি অন্যান্য চ্যালকোজেনের তুলনায় অক্সিজেনের বৈদ্যুতিক মেরুকরণযোগ্যতাকে কয়েকগুণ কম করে তোলে। [১৩]

সমযোজী বন্ধনের জন্য একটি চ্যালকোজেন অক্টেট নিয়ম অনুসারে দুটি একা জোড়া রেখে দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে। যখন একটি পরমাণু দুটি একক বন্ধন গঠন করে, তখন তারা 90° এবং 120° এর মধ্যে একটি কোণ তৈরি করে H3O+, একটি চ্যালকোজেন তিনটি আণবিক অরবিটাল গঠন করে যা একটি ত্রিকোণীয় পিরামিডাল পদ্ধতিতে সাজানো এবং একটি একা জোড়া। চ্যালকোজেন যৌগগুলিতে মূলত দ্বিবন্ধন দেখা যায়।

ধনাত্মক ধাতু সহ সর্বাধিক সাধারণ চ্যালকোজেন যৌগের জারণ সংখ্যা হল −2। তবে −2 অবস্থায় চ্যালকোজেনের যৌগ গঠনের প্রবণতা ভারী চ্যালকোজেনের দিকে হ্রাস পায়। [১৪] অন্যান্য জারণ সংখ্যা, যেমন পাইরাইট এবং পারক্সাইডে −1 থাকে। সর্বোচ্চ জারণ সংখ্যা +6। [৬] এই জারণ সংখ্যা সালফেট, সেলেনেট, টেলুরেটস , পোলোনেট এবং তাদের সংশ্লিষ্ট অ্যাসিড যেমন সালফিউরিক অ্যাসিডে পাওয়া যায়।

অক্সিজেন হল ফ্লোরিন ব্যতীত সবচেয়ে ইলেক্ট্রোনেগেটিভ উপাদান, এবং কিছু নিষ্ক্রিয় গ্যাস সহ প্রায় সমস্ত রাসায়নিক উপাদানের সাথে যৌগ গঠন করে। এটি সাধারণত আয়রন অক্সাইড, টাইটানিয়াম অক্সাইড এবং সিলিকন অক্সাইড সহ অক্সাইড গঠনের জন্য অনেক ধাতু এবং অপধাতুর সাথে বন্ধন করে। অক্সিজেনের সবচেয়ে সাধারণ জারণ অবস্থা হল −2, এবং জারণ অবস্থা −1ও তুলনামূলকভাবে সাধারণ। [৬] হাইড্রোজেন দিয়ে এটি পানি এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইড গঠন করে।

সালফারের জারণ অবস্থা হল −2, +2, +4 এবং +6। অক্সিজেন যৌগগুলির সালফারযুক্ত প্রায়শই থিও- উপসর্গ থাকে। সালফারের রসায়ন অনেক উপায়ে অক্সিজেনের অনুরূপ। একটি পার্থক্য হল সালফার-সালফার দ্বিবন্ধন অক্সিজেন-অক্সিজেন দ্বিবন্ধনের তুলনায় অনেক দুর্বল, কিন্তু সালফার-সালফার একক বন্ধন অক্সিজেন-অক্সিজেন একক বন্ধনের চেয়ে শক্তিশালী। [১৫] থিওলসের মতো জৈব সালফার যৌগগুলির একটি শক্তিশালী নির্দিষ্ট গন্ধ রয়েছে এবং কিছু জীব দ্বারা ব্যবহার করা হয়। [৩]

সেলেনিয়ামের জারণ অবস্থা হল −2, +4 এবং +6। সেলেনিয়াম, বেশিরভাগ চ্যালকোজেনের মতো, অক্সিজেনের সাথে বন্ধন করে। [৩] কিছু জৈব সেলেনিয়াম যৌগ আছে, যেমন সেলেনোপ্রোটিন । টেলুরিয়ামের জারণ অবস্থা হল −2, +2, +4 এবং +6। [৬] টেলুরিয়াম টেলুরিয়াম মনোক্সাইড, টেলুরিয়াম ডাই অক্সাইড এবং টেলুরিয়াম ট্রাইঅক্সাইড অক্সাইড গঠন করে। [৩] পোলোনিয়ামের জারণ অবস্থা হল +2 এবং +4। [৬]

Water dripping into a glass, showing drops and bubbles.
জল ( H
2
O
</br> H
2
O
) হল সবচেয়ে পরিচিত চ্যালকোজেনযুক্ত যৌগ।

পোলোনিয়াম বাদে, চ্যালকোজেনের রাসায়নিক ধর্ম একই। ইলেক্ট্রোপজিটিভ ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করার সময় এরা সবাই X 2− আয়ন গঠন করে। [১৪]

জৈবিক ভূমিকা

এটিপি তৈরির উদ্দেশ্যে প্রায় সব জীবেরই অক্সিজেন প্রয়োজন। এটি পানি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ডিএনএর মতো অন্যান্য জৈবিক যৌগেরও একটি মূল উপাদান। মানুষের রক্তে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন থাকে। মানুষের হাড় ২৮% অক্সিজেন থাকে। মানুষের টিস্যুতে ১৬% অক্সিজেন থাকে। একজন সাধারণ ৭০কেজি ভরের মানুষের মধ্যে ৪৩ কেজি পানির আকারে অক্সিজেন থাকে। [৩]

সমস্ত প্রাণীর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সালফার প্রয়োজন। কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড, যেমন সিস্টাইন এবং মেথিওনিনে সালফার থাকে। উদ্ভিদের শিকড় মাটি থেকে সালফেট আয়ন গ্রহণ করে এবং এটি সালফাইড আয়নে পরিণত করে। মেটালোপ্রোটিনগুলি শরীরের দরকারী ধাতু পরমাণুর সাথে সংযুক্ত করতে সালফার ব্যবহার করে। সালফার একইভাবে ক্যাডমিয়ামের মতো বিষাক্ত ধাতব পরমাণুর সাথে যকৃতের সুরক্ষার জন্য সংযুক্ত করে । গড়ে, মানুষ প্রতিদিন ৯০০ মিলিগ্রাম সালফার গ্রহণ করে। সালফার যৌগগুলি, যেমন স্কঙ্ক স্প্রেতে পাওয়া যায়। প্রায়ই তীব্র গন্ধ থাকে।[৩]

সমস্ত প্রাণী এবং কিছু গাছপালা সেলেনিয়ামের ট্রেস পরিমাণ প্রয়োজন, কিন্তু শুধুমাত্র কিছু বিশেষ এনজাইমের জন্য। [৭] [১৬] মানুষ প্রতিদিন গড়ে 6 থেকে 200 মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম গ্রহণ করে। মাশরুম এবং ব্রাজিল বাদাম তাদের উচ্চ সেলেনিয়াম সামগ্রীর জন্য বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। খাবারে সেলেনিয়াম সাধারণত অ্যামিনো অ্যাসিড যেমন সেলেনোসিস্টাইন এবং সেলেনোমিথিওনিনের আকারে পাওয়া যায়। [৩] সেলেনিয়াম ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। [১৬]

টেলুরিয়াম প্রাণীর জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বলে জানা যায় না, যদিও কয়েকটি ছত্রাক সেলেনিয়ামের জায়গায় যৌগগুলিতে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। অণুজীবগুলিও টেলুরিয়াম শোষণ করে এবং ডাইমিথাইল টেলুরাইড নির্গত করে। রক্তের প্রবাহের বেশিরভাগ টেলুরিয়াম ধীরে ধীরে প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়, তবে কিছু ডাইমিথাইল টেলউরাইডে রূপান্তরিত হয় এবং ফুসফুসের মাধ্যমে নির্গত হয়। গড়ে, মানুষ প্রতিদিন প্রায় .৬০০ মাইক্রোগ্রাম টেলুরিয়াম গ্রহণ করে। গাছপালা মাটি থেকে কিছু টেলুরিয়াম গ্রহণ করতে পারে। পেঁয়াজ এবং রসুনে শুকনো ওজনে ৩০০ পিপিএম এর মতো পাওয়া গেছে। [৩]

পোলোনিয়ামের কোন জৈবিক ভূমিকা নেই এবং তেজস্ক্রিয় হওয়ার কারণে এটি অত্যন্ত বিষাক্ত।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. মেইজা, জুরিস; ও অন্যান্য (২০১৬)। "Atomic weights of the elements 2013 (IUPAC Technical Report)" [মৌলের পারমাণবিক ওজন ২০১৩ (আইইউপিএসি প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন)]। পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। ৮৮ (৩): ২৬৫–৯১। ডিওআই:10.1515/pac-2015-0305অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  2. Prohaska, Thomas; Irrgeher, Johanna; Benefield, Jacqueline; Böhlke, John K.; Chesson, Lesley A.; Coplen, Tyler B.; Ding, Tiping; Dunn, Philip J. H.; Gröning, Manfred; Holden, Norman E.; Meijer, Harro A. J. (২০২২-০৫-০৪)। "Standard atomic weights of the elements 2021 (IUPAC Technical Report)"Pure and Applied Chemistry (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 1365-3075ডিওআই:10.1515/pac-2019-0603 
  3. Emsley, John (২০১১)। Nature's Building Blocks: An A-Z Guide to the Elements (New সংস্করণ)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 375–383, 412–415, 475–481, 511–520, 529–533, 582। আইএসবিএন 978-0-19-960563-7  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "ReferenceB" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  4. The New Shorter Oxford Dictionary। Oxford University Press। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা 368আইএসবিএন 978-0-19-861134-9 
  5. Bouroushian, M. (২০১০)। Electrochemistry of Metal Chalcogenides। Monographs in Electrochemistry। আইএসবিএন 978-3-642-03967-6ডিওআই:10.1007/978-3-642-03967-6 
  6. Jackson, Mark (২০০২)। Periodic Table Advanced। Bar Charts Inc.। আইএসবিএন 978-1-57222-542-8  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Jackson2002" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  7. Gray, Theodore (২০১১)। The Elements। Black Bay and Leventhal publishers।  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "The Elements" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  8. Morss, Lester R.; Edelstein, Norman M. (২০১১)। The Chemistry of the Actinide and Transactinide ElementsThe Chemistry of the Actinide and Transactinide ElementsSpringer Science+Business Mediaআইএসবিএন 978-94-007-0210-3ডিওআই:10.1007/978-94-007-0211-0 
  9. "Mechanical Properties of the Elements"Handbook of the physicochemical properties of the elements। IFI-Plenum। ১৯৬৮। পৃষ্ঠা 387–446। আইএসবিএন 978-1-4684-6066-7ডিওআই:10.1007/978-1-4684-6066-7_7। এপ্রিল ২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  10. "Visual Elements: Group 16"। Rsc.org। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৩ 
  11. Kotz, John C.; Treichel, Paul M. (২০০৯)। Chemistry & Chemical Reactivity। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 978-0-495-38703-9 
  12. "Periodic Table of the Elements – Metalloids"। Gordonengland.co.uk। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৩ 
  13. Zakai, Uzma I. (২০০৭)। Design, Synthesis, and Evaluation of Chalcogen Interactionsআইএসবিএন 978-0-549-34696-8। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৩ 
  14. "Group VIA: Chalcogens"। Chemed.chem.wisc.edu। নভেম্বর ৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৩  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "wisc" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  15. "The Chemistry of Oxygen and Sulfur"। Bodner Research Web। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৩ 
  16. Winter, Mark (১৯৯৩)। "Selenium:Biological information"। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৩ 

বাহ্যিক লিঙ্ক

  • উইকিমিডিয়া কমন্সে চ্যালকোজেন সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।

টেমপ্লেট:Chalcogens