ম্যালেরিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Golam (আলোচনা | অবদান)
minor correction
Nidhi729 (আলোচনা | অবদান)
Translated from http://en.wikipedia.org/wiki/Malaria (revision: 308757792) using http://translate.google.com/toolkit.
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{pp-semi-indef|small=yes}}
[[Image:Plasmodium.jpg|thumb|right|260px| মানব রক্তে [[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম|প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরামের]] এর রিং-দশা এবং [[গ্যামেটোসাইট]].]]
{{Infobox disease
| Name = Malaria
| ICD10 = {{ICD10|B|50||b|50}}
| ICD9 = {{ICD9|084}}
| Image = Plasmodium.jpg
| Caption = ''Plasmodium falciparum'' ring-forms and [[gametocyte]]s in human blood.
| DiseasesDB = 7728
| MedlinePlus = 000621
| OMIM = 248310
| eMedicineSubj = med
| eMedicineTopic = 1385
| eMedicine_mult = {{eMedicine2|emerg|305}} {{eMedicine2|ped|1357}}
| MeshName = Malaria
| MeshNumber = C03.752.250.552 |
}}
'''ম্যালেরিয়া''' একটা [[সংক্রামক-ব্যাধি বাহক (মহামারী বিষয়ক বিদ্যা)|মশা]]-বাহিত [[সংক্রামক ব্যাধি|সংক্রামক রোগ]] যার মূলে রয়েছে [[প্রটোজোয়ান|প্রটোজোয়ান]](এক কোষী প্রাণী)[[পরজিবি প্রাণী| প্যারাসাইট]]স (পরজিবি প্রাণী).
[[আমেরিকাস|আমেরিকাস]],[[এশিয়া|এশিয়া ]]এবং[[আফ্রিকা| আফ্রিকা]]-র কিছু অংশ সহ[[ক্রান্তীয় অঞ্চল | ট্রপিকাল]] ও সাব-ট্রপিকাল অঞ্চলগুলোতে এই রোগের সংক্রমণ ব্যাপক.প্রত্যেক বছর প্রায় 350–500 মিলিয়ন ম্যালেরিয়ার নমুনা পাওয়া যায়<ref>[http://www.cdc.gov/malaria/facts.htm ম্যালেরিয়া তথ্য ]. ''রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক কেন্দ্রগুলি.'' </ref>, মারা যায় এক থেকে তিন মিলিয়ন মানুষ যাদের বেশিরভাগই [[আফ্রিকা-র উপ-সাহারা অঞ্চল |আফ্রিকা-র উপ-সাহারান]] অঞ্চলের শিশু.<ref>{{cite journal | author = Snow RW, Guerra CA, Noor AM, Myint HY, Hay SI| title = The global distribution of clinical episodes of Plasmodium falciparum malaria | journal = Nature | volume = 434 | issue = 7030 | pages = 214–7 | year = 2005 | pmid = 15759000 | doi = 10.1038/nature03342}}</ref> ম্যালেরিয়া ঘটিত নব্বই শতাংশ মৃত্যু এই উপ-সাহারান আফিকাতেই হয়.সাধারনত ম্যালেরিয়া কে দারিদ্রের সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হয় কিন্তু ম্যালেরিয়া দারিদ্রেরও একটা বড় কারণ<ref>{{Cite web|url=http://ftp.iza.org/dp2997.pdf|format=PDF|title=Malaria: Disease Impacts and Long-Run Income Differences|publisher=[[Institute for the Study of Labor]]|accessdate=2008-12-10}}</ref> এবং [[অর্থনৈতিক উন্নয়ন|অর্থনৈতিক উন্নয়নের]] দিকে এক প্রবল প্রতিবন্ধকতা.


'''ম্যালেরিয়া''' এককোষীয় পরজীবী দ্বারা ঘটিত এবং [[অ্যানোফিলিস]] [[মশা]] দ্বারা বাহিত এক ধরনের সংক্রামক রোগ। এটি [[আমেরিকা]], [[এশিয়া]], এবং [[আফ্রিকা|আফ্রিকার]] গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং ‌উপ‌-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বহুবিস্তৃত। প্রত্যেক বছর, প্রায় ৫১.৫ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় দশ থেকে ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের শিশু।


ম্যালেরিয়া সংক্রমক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং [[জনস্বাস্থ্য|জনস্বাস্থ্য]] -এর এক ভীষণ সমস্যা.''[[প্লাজমোডিয়াম|প্লাজমোডিয়াম]]'' [[গোত্র|গোত্র]]-এর [[প্রটোজোয়ান|প্রটোজোয়ান]] [[প্যারাসাইট (পরজিবি প্রাণী)|প্যারাসাইট ]]হল এই রোগের প্রধান কারণ.মানুষের দেহে পাঁচ রকমের প্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট সংক্রমণ ঘটতে পারে, রোগটির গুরুতর আকার ধারণ করার মূলে থাকে ''[[প্লাজমোডিয়াম ফাল্সিপ্যারাম |প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম]]'' .''[[প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স |প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ]]'' , ''[[প্লাজমোডিয়াম ওভাল |প্লাজমোডিয়াম ওভালে ]]'' ও ''[[প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরিয়াe|প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরে ]]'' যে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঘটায় তা মারাত্মক না. ''[[প্লাজমোডিয়াম নলেসী |প্লাজমোডিয়াম নলেসী]]'' নামক একটা পঞ্চম প্রজাতি বাঁদর-দের মধ্যে সংক্রমণ ঘটালেও মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে. এই শ্রেনীর হিউম্যান-প্যাথোজেনিক ''প্লাজমোডিয়াম'' প্রজাতি কে সাধারনত ''ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট'' রূপে চিন্হিত করা হয়.
''ম্যালেরিয়া'' খুবই পরিচিত একটি [[সংক্রামক রোগ]] এবং এটি একটি বৃহৎ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। রোগটি প্লাজমোডিয়াম বর্গের এককোষীয় পরজীবীর দ্বারা ঘটিত হয়। কেবল চার ধরনের প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের মধ্যে সংক্রমন ঘটায়; এদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাবিত করে [[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম]] এবং [[প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স]], কিন্তু বাকি দুটি প্রজাতি ([[প্লাজমোডিয়াম ওভেল]], [[প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি]]) ও মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।


''ম্যালেরিয়া'' স্ত্রী-[[অ্যানোফিলিস]] [[মশা|মশার]] কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। ম্যালেরিয়ার পরজীবী [[লোহিত রক্তকণিকা|লোহিত রক্তকণিকার]] মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে, ফলে রোগীর শরীরে
রক্তাল্পতার লক্ষণ দেখা যায়। অন্যান্য সাধারণ লক্ষণসমূহ হল কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, শীতশীত ভাব এবং বমি-বমি ভাব। এই রোগের মারাত্মক দশায় রোগীর কোমা এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।


সাধারনত মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয় সংক্রমণকারী [[স্ত্রী (অনফেলিস)|স্ত্রী (আনোফেলিস) মশা ]]কামড়ালে.আনোফেলিস মশাই একমাত্র ম্যালেরিয়া সংক্রমিত করতে পারে এবং তাদেরও আগে কোন এক আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত খাওয়ার সময় সংক্রমিত হয়ে থাকতে হবে.যখন একটা মশা একজন সংক্রমিত মানুষ কে কামড়ায় তখন অল্প একটু রক্ত নিয়ে নেয় যাতে থাকে ক্ষুদ্র ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট.প্রায় এক সপ্তাহ পরে যখন মশাটি আবার রক্ত খায় তখন এই প্যারাসাইটগুলো মশার লালার সঙ্গে মিশে যায় এবং যাকে সেই মশাটি কামড়াচ্ছে সেই ব্যক্তির শরীরে ঢুকে যায়. প্যারাসাইটগুলো [[রক্তের লাল কনিকা|রক্তের লাল কনিকা]]-য় বংশবৃদ্ধি করে যার ফলে [[এনিমিয়া (অক্তাল্পতা) |এনিমিয়া]](মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, নিশ্বাসের কষ্ট, [[ট্যাকিকারডিয়া|ট্যাকিকারডিয়া]] ইত্যাদি ) ও[[জ্বর| জ্বর]],[[কাঁপুনি (শৈত্যের প্রভাবে) | কাঁপুনি]], [[বমি ভাব|বমি ভাব]], [[ইন্ফ্লুএন্জা |ফ্লু-এর মত অসুস্থতা]] এবং গুরুতর ক্ষেত্রে [[কোমা (আচ্ছন্ন ভাব) |কোমা ]]ও মৃত্যুর মত রোগের বিভিন্ন লক্ষণসমূহ দেখা দেয়. ম্যালেরিয়া সংক্রমণ কমানো যায় [[মশারি |মশারি]] বা [[পোকা দূর করার ওষুধ বিশেষ|ইনসেক্ট রেপেলেন্ট]] (পোকা দূর করার ওষুধ বিশেষ) ব্যবহার করে মশার কামড় প্রতিরোধ করে বা বাড়ির ভেতর[[কীটনাশক| কীটনাশক]] ছড়ানো এবং জমা জল, যেখানে মশা ডিম পাড়ে, সেই জল বার করার মত মশা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করে. ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা হয়েছে যদিও তা খুব একটা সফলতা অর্জন করতে পারেনি কিন্তু নতুন সাব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি উঠে এসেছে যেমন মশার জেনেটিক ম্যানিপুলেশন যার দ্বারা মশাটিকে সংক্রমণ প্রতিরোধক করে তোলা যাবে. <ref>{{cite journal |author=Yoshida S, Shimada Y, Kondoh D, ''et al.'' |title=Hemolytic C-type lectin CEL-III from sea cucumber expressed in transgenic mosquitoes impairs malaria parasite development |journal=PLoS Pathog. |volume=3 |issue=12 |pages=e192 |year=2007 |pmid=18159942 |doi=10.1371/journal.ppat.0030192 |url=http://www.plospathogens.org/article/info:doi/10.1371/journal.ppat.0030192}}</ref>
[[মশারি]] কিংবা অন্যান্য মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করে, মশার কামড় প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ''ম্যালেরিয়া'' সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য উপায় হল [[কীটনাষক]] প্রয়োগ এবং
জমা জল বের করা দেওয়া যেখানে সাধারণত মশা ডিম পাড়ে।


[[কুইনাইন]] অথবা আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।


যদিও কিছু গবেষণার অধীন, তাও এমন কোন[[ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক টিকা) | ভ্যাকসিন ]]এখন পাওয়া যায়না যেটা ম্যালেরিয়া থেকে উন্নত মানের সুরক্ষা প্রদান করে<ref>[http://content.nejm.org/cgi/content/full/NEJMoa0807381 RTS,-এই প্রতিষেধকের সুরক্ষা হার]</ref>;প্রতিষেধক ওষুধ ধারাবাহিক ভাবে খেয়ে যেতে হবে সংক্রমণ রুখতে. কিন্তু এই ধরনের [[প্রফিল্যাক্সিস|প্রোফিল্যাকটিক ]]বা প্রতিষেধক চিকিত্সা[[রোগ কবলিত (মহামারী বিষয়ক বিদ্যা)| রোগ কবলিত ]]এলাকার মানুষগুলোর পক্ষে যথেষ্ট ব্যয়বহুল.রোগ কবলিত এলাকার বেশিরভাগ মানুষেরই দীর্ঘকালীন সংক্রমণের একটা মাত্রা থাকে, যেটা পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা থাকে এবং তাদের একটা আংশিক প্রতিরোধ[[রোগ প্রতিরোধ (চিকিত্সা)| অনাক্রম্যতা]] থাকে(প্রতিরোধ ক্ষমতা);প্রতিরোধ ক্ষমতাটি সময়ের সঙ্গে কমে আসে এবং সেরম প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যালেরিয়া প্রবন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে যদি তারা রোগ-মুক্ত কোন স্থানে বেশ কিছু সময় কাটায়. যদি তারা রোগ কবলিত এলাকায় ফিরে আসে তাহলে সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য তাদের কড়া সুপারিশ জারি করা হয়.[[কুইনাইন|কুইনাইন]] বা[[আর্টেমাইসাইনিন| আর্টেমাইসাইনিন]] মত [[ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধকারী ওসুধ|ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধকারী ওসুধ]] দ্বারা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সা করা হয়. যদিও প্যারাসাইটগুলো এই ওসুধ প্রতিরোধে সক্ষম [[ক্রম-বিকাশ |হয়ে উঠেছে]].সুতরাং দেখা যায় যে , বিশ্বের বহু প্রান্তে, ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার জন্য কয়েকটা মাত্র ওসুধই কার্যকরী.




==পিলের জ্বর==
মশা উপদ্রুত বাংলায় ম্যালেরিয়া সারাবছর হতে পারে (hyper endemic) এবং কারো কারো একসঙ্গে একাধিক সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে [[স্পীহা]] বা পিলে খুব বড় হয়ে যেতে পারে (hypersplenism) তাই এর ডাকনাম ছিল পিলের জ্বর।


==রোগের চিহ্ন ==
[[category:সংক্রামক রোগ]]
[[File:Symptoms of Malaria.png|thumb|ম্যালেরিয়া রোগের প্রধান উপসর্গ. [10]]]


ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো হল [[জ্বর|জ্বর]],[[কাঁপুনি|কাঁপুনি]],[[আথরালজিয়া|আথরালজিয়া]](হাঁটুর ব্যথা),[[বমি|বমি]], [[এনিমিয়া (রক্তাল্পতা) |এনিমিয়া]]([[হিমলাইসিস|হিমলাইসিস]] দ্বারা ঘটিত),[[হিমোগ্লোবিনিউরিয়া|হিমোগ্লোবিনিউরিয়া]], [[রেটিনা ক্ষয়|রেটিনা ক্ষয়]]<ref>{{cite journal |author=Beare NA, Taylor TE, Harding SP, Lewallen S, Molyneux ME |title=Malarial retinopathy: a newly established diagnostic sign in severe malaria |journal=Am. J. Trop. Med. Hyg. |volume=75 |issue=5 |pages=790–7 |pmid=17123967 |pmc=2367432 |url=http://www.ajtmh.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=17123967 |date= November 1, 2006 |month=Nov |day=01 }}</ref> এবং [[খিঁচুনি|খিঁচুনি]].ম্যালেরিয়ার ধ্রুপদী লক্ষণটি হল হঠাত ঠান্ডা লাগা যার পর আসে[[ কাঠিন্য (ওষুধ)| কাঠিন্য]] এবং তারপর জ্বর এবং ঘাম যা প্রায় চার থেকে ছয় ঘন্টা অবধি থাকে.''পি.ভাইব্যাক্স'' ও ''পি.ওভালে'' -এর ক্ষেত্রে দুদিন অন্তর এবং ''পি.ম্যালেরে'' -এর ক্ষেত্রে তিনদিন অন্তর.<ref name="RBMarmenia">[http://www.malaria.am/eng/pathogenesis.php ম্যালেরিয়া জীবন-চক্র ও রোগ গবেষণা বিদ্যা ]. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যালেরিয়া. Accessed October 31, 2006.</ref> ''পি. ফ্যালসিপেরাম '' -এ 36-48 ঘন্টা অন্তর বারবার এবং প্রায় ধারাবাহিকভাবে জ্বর আসতে পারে. ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুরা [[অস্বভাভিক অঙ্গবিন্যাস|অস্বভাভিক অঙ্গবিন্যাস]] প্রদর্শন করে যেটা একটা গুরুতর মস্তিস্ক ক্ষয়ের লক্ষণ. যদিও এটার কারনটা বোঝা যায়না কিন্তু সম্ভবত [[ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেসার|ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেসার]]-এর সঙ্গে এই ঘটনা যুক্ত.<ref name="Idro ">{{cite journal | last =Idro | first =R | authorlink = | coauthors =Otieno G, White S, Kahindi A, Fegan G, Ogutu B, Mithwani S, Maitland K, Neville BG, Newton CR | title = Decorticate, decerebrate and opisthotonic posturing and seizures in Kenyan children with cerebral malaria| journal =Malaria Journal | volume =4 | issue =57 | pages = 57| publisher = | date = | url = | pmc = 1326205 | doi = 10.1186/1475-2875-4-57| pmid =16336645 | accessdate =2007-01-21}} </ref>দেখা গেছে শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া জ্ঞানসহায়ক ইন্দ্রিয়গুলোর ক্ষতি করে.দ্রুত মস্তিস্ক বিকাশের সময় এটা ব্যাপক [[এনিমিয়া (রক্তাল্পতা) |এনিমিয়া (রক্তাল্পতা) ]]ঘটায় যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে.সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার ফলে এই স্নায়ু ক্ষয় দেখা দেয় যার প্রতি শিশুরা বেশি প্রবন.<ref>{{cite journal |author=Boivin MJ |title=Effects of early cerebral malaria on cognitive ability in Senegalese children |journal=J Dev Behav Pediatr |volume=23 |issue=5 |pages=353–64 |year=2002 |month=October |pmid=12394524 |doi= |url=http://meta.wkhealth.com/pt/pt-core/template-journal/lwwgateway/media/landingpage.htm?issn=0196-206X&volume=23&issue=5&spage=353}}</ref><ref>{{cite journal |author=Holding PA, Snow RW |title=Impact of Plasmodium falciparum malaria on performance and learning: review of the evidence |journal=Am. J. Trop. Med. Hyg. |volume=64 |issue=1-2 Suppl |pages=68–75 |year=2001 |pmid=11425179 |doi= |url=http://www.ajtmh.org/cgi/content/abstract/64/1_suppl/68 |format= }}- <sup>[http://scholar.google.co.uk/scholar?hl=en&amp;lr=&amp;q=intitle%3AImpact+of+Plasmodium+falciparum+malaria+on+performance+and+learning%3A+review+of+the+evidence&amp;as_publication=Am.+J.+Trop.+Med.+Hyg.&amp;as_ylo=2001&amp;as_yhi=2001&amp;btnG=Search Scholar search]</sup></ref> সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার সঙ্গে রেটিনার সাদা হয়ে যাওয়া যুক্ত,<ref>{{cite journal|author=Maude RJ, Hassan MU, Beare NAV|title=Severe retinal whitening in an adult with cerebral malaria|journal=Am J Trop Med Hyg|volume=80|issue=6|year=2009|page=881|url=http://www.ajtmh.org/cgi/content/full/80/6/881|pmid=19478242|pages=881|month=Jun|day=01}}</ref> যা চিকিত্সা ক্ষেত্রে অনান্য জ্বর থেকে এটাকে আলাদা করে চিন্হিত করার এক উল্লেখযোগ্য সুত্র. <ref>{{cite journal|author=Beare NAV, Taylor TE, Harding SP, Lewallen S, Molyneux ME|year=2006|title=Malarial retinopathy: a newly established diagnostic sign in severe malaria|journal=Am J Trop Med Hyg|volume=75|pages=790&ndash;797|pmid=17123967}}</ref>



{| class="wikitable"
|-
!প্রজাতি
!আকার
!পর্যাবৃত্তি
! যকৃতে স্থায়ী ?
|-
| ''[[প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স |প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ]]''
| [[File:Plasmodium vivax 01.png|center|200px]]
| দুই দিন অন্তর
| হ্যা
|-
| ''[[প্লাজমোডিয়াম ওভালে|প্লাজমোডিয়াম ওভালে ]]''
| [[File:Plasmodium ovale 01.png|center|200px]]
| দুই দিন অন্তর
| হ্যা
|-
| ''[[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম |প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম ]]''
| [[File:Plasmodium falciparum 01.png|center|200px]]
| দুই দিন অন্তর
| না
|-
| ''[[প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরিয়াe|প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরে ]]''
| [[File:Mature Plasmodium malariae schizont PHIL 2715 lores.jpg|center|200px]]
| তিন দিন অন্তর
| না
|}


গুরুতর ম্যালেরিয়া স্বতন্ত্রভাবে ঘটায় ''পি . ফ্যালসিপেরাম '' এবং সংক্রমণের 6-14 দিন পরে দেখা দেয়. <ref name="Trampuz">{{cite journal | author = Trampuz A, Jereb M, Muzlovic I, Prabhu R | title = Clinical review: Severe malaria | url= | pmc=270697 | journal = Crit Care | volume = 7 | issue = 4 | pages = 315–23 | year = 2003 | pmid = 12930555 | doi = 10.1186/cc2183}}</ref> যদি চিকিত্সা না করা হয় তাহলে গুরুতর ম্যালেরিয়ার ফল হল [[কোমা (আচ্ছন্ন ভাব)|কোমা]] বা মৃত্যু - কিশোর এবং অন্তঃসত্তা মহিলারা বেশি প্রবন. [[স্প্লেনোমেগালি|স্প্লেনোমেগালি]](প্লীহা বৃদ্ধি), প্রচন্ড[[মাথাব্যথা| মাথাব্যথা]], সেরিব্রাল[[ইস্কিমিয়া| ইস্কিমিয়া]], [[হেপাটোমেগালি|হেপাটোমেগালি]](যকৃত বৃদ্ধি), [[হাইপোগ্লাইসিমিয়া|হাইপোগ্লাইসিমিয়া ]]এবং [[রিনাল ফেলীয়র (মুত্রাশয় ক্ষয়)|রিনাল ফেলীয়র]](মুত্রাশয় ক্ষয়) সহ হেমোগ্লোবিনিউরিয়া হতে পারে.রিনাল ফেলীয়র ফলে হতে পারে [[ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার|ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার]], যেখানে লাইসড লাল রক্ত কনিকা থেকে হিমোগ্লোবিন প্রস্রাবের মধ্যে ঢুকে পড়ে.গুরুতর ম্যালেরিয়া দ্রুত বেড়ে যায় এবং কয়েক ঘন্টা বা দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটাতে পারে.<ref name="Trampuz"></ref>যথেষ্ট তদারকি ও চিকিত্সা সত্তেও রোগটির সবথেকে গুরুতর অবস্থায় মৃত্যুর হার 20% বা তার ওপরে উঠতে পারে.<ref>{{cite journal | author = Kain K, Harrington M, Tennyson S, Keystone J | title = Imported malaria: prospective analysis of problems in diagnosis and management | journal = Clin Infect Dis | volume = 27 | issue = 1 | pages = 142–9 | year = 1998 | pmid = 9675468 | doi = 10.1086/514616}}</ref> রোগ কবলিত এলাকাগুলোতে চিকিত্সা প্রায় হয়না বললেই চলে এবং সব রকমের ম্যালেরিয়ার সর্বসমেত মৃত্যুর হার হতে পারে প্রত্যেক দশ জনের মধ্যে এক জনের .<ref>{{cite journal | author = Mockenhaupt F, Ehrhardt S, Burkhardt J, Bosomtwe S, Laryea S, Anemana S, Otchwemah R, Cramer J, Dietz E, Gellert S, Bienzle U | title = Manifestation and outcome of severe malaria in children in northern Ghana | journal = Am J Trop Med Hyg | volume = 71 | issue = 2 | pages = 167–72 | year = 2004 | pmid = 15306705}}</ref> বিভিন্ন সময় গুরুতর ম্যালেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে রোগটি তাদের বিকাশের হানি করেছে . <ref name="carter2005">{{cite journal | author=Carter JA, Ross AJ, Neville BG, Obiero E, Katana K, Mung'ala-Odera V, Lees JA, Newton CR | title=Developmental impairments following severe falciparum malaria in children | journal=Trop Med Int Health | year=2005 | volume=10 | pages=3–10 | pmid=15655008 | doi = 10.1111/j.1365-3156.2004.01345.x}}</ref>


ক্রনিক ম্যালেরিয়া দেখা যায় ''পি . ভাইভ্যাক্স '' ও ''পি . ওভালে '' -এর ক্ষেত্রে , কিন্তু ''পি . ফ্যালসিপেরাম '' -এর ক্ষেত্রে এটা দেখা যায়না . এখানে, প্রথম দেখা দেওয়ার কয়েক মাস বা বছর পড়ে রোগটি আবার দেখা দিতে পারে যকৃতে স্থায়ী প্যারাসাইট থাকার জন্য.রক্ত থেকে প্যারাসাইট চলে গেলেই যে ম্যালেরিয়া সেরে গেছে সেটা বলা তাই ঠিক হবেনা. ''পি . ভাইভ্যাক্স '' -এর সর্বোচ্চ সুপ্তাবস্থা 30 বছর পর্যন্ত.<ref name="Trampuz"></ref> [[নাতিশীতোষ্ণ |নাতিশিতোষ্ণ]] এলাকায় প্রায় প্রত্যেক পাঁচটা ''পি.ভাইভ্যাক্স'' নমুনার মধ্যে একটা হিপ্নোজৈটস দ্বারা [[অতিশৈত্য |ওভারউইনটারিং ]]হওয়া(মানে মশা কামড়ানোর এক বছরের মধ্যেই রোগটি আবার দেখা দেয়)<ref>{{cite journal | author = Adak T, Sharma V, Orlov V | title = Studies on the Plasmodium vivax relapse pattern in Delhi, India | journal = Am J Trop Med Hyg | volume = 59 | issue = 1 | pages = 175–9 | year = 1998 | pmid = 9684649}}</ref>



==কারণ ==
[[File:Malaria.jpg|thumb|এই অসত্য-রঙের বৈদ্যুতিন মাইক্রগ্রাফ একটি মশার মিডগাট এপিথেলিয়াল কোষের মধ্যে ভাম্যমান একটি টিতেপ্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট (পরজিবি প্রাণী) দেখা যাচ্ছে. ]]



=== ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট ===


''[[প্লাজমোডিয়াম |প্লাজমোডিয়াম]]'' (ফাইলাম[[এপিকমপ্লেক্সা| এপিকমপ্লেক্সা]]) গোত্রের [[প্রটোজোয়া|প্রটোজোয়া]]ন [[প্যারাসাইট (পরজিবি প্রাণী)|প্যারাসাইট ]] থেকে ম্যালেরিয়া হয়.মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ঘটায় ''[[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম|পি.ফ্যালসিপেরাম]]'' ,''[[প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরিয়াe| পি.ম্যালেরে]]'' , ''[[প্লাজমোডিয়াম ওভালে|পি.ওভালে]]'' , ''[[প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স|পি.ভাইভ্যাক্স]]'' এবং ''[[প্লাজমোডিয়াম নলেসী |পি.নলেসী]]'' .<ref>{{cite journal |author=Mueller I, Zimmerman PA, Reeder JC |title=Plasmodium malariae and Plasmodium ovale--the "bashful" malaria parasites |journal=Trends Parasitol. |volume=23 |issue=6 |pages=278–83 |year=2007 |month=June |pmid=17459775 |doi=10.1016/j.pt.2007.04.009}}</ref> <ref>{{cite journal |author=Singh B, Kim Sung L, Matusop A, ''et al.'' |title=A large focus of naturally acquired Plasmodium knowlesi infections in human beings |journal=Lancet |volume=363 |issue=9414 |pages=1017–24 |year=2004 |month=March |pmid=15051281 |doi=10.1016/S0140-6736(04)15836-4}}</ref> '' পি . ফ্যালসিপেরাম '' ই সাধারনত সংক্রমণের কারণ এবং 80% ম্যালেরিয়ার নমুনা ও 90% ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর ঘটনার জন্য দায়ী . <ref>{{cite journal | author = Mendis K, Sina B, Marchesini P, Carter R | title = The neglected burden of Plasmodium vivax malaria | url=http://www.ajtmh.org/cgi/reprint/64/1_suppl/97.pdf | journal = Am J Trop Med Hyg | volume = 64 | issue = 1-2 Suppl | pages = 97–106 | year = 2001 | pmid = 11425182|format=PDF}}</ref> প্যারাসিটিক ''প্লাজমোডিয়াম '' প্রজাতি পাখি,সরীসৃপ,বাঁদর,শিম্পাঞ্জি এবং ইঁদুর-দের মধ্যও সংক্রমণ ঘটায়. <ref>{{cite journal | author = Escalante A, Ayala F | title = Phylogeny of the malarial genus Plasmodium, derived from rRNA gene sequences | doi= 10.1073/pnas.91.24.11373 | journal = Proc Natl Acad Sci USA | volume = 91 | issue = 24 | pages = 11373–7 | year = 1994 | pmid = 7972067}}</ref>বহু [[:উইক্ষনারী : সিমিয়ান |সিমিয়ান ]] প্রজাতির ম্যালেরিয়ার দ্বারা মানুষের দেহে সংক্রমণের নমুনা রয়েছে , যেমন ''পি.নলেসী '' , ''[[প্লাজমোডিয়াম ইনুই |পি . ইনুই ]]'' , ''[[প্লাজমোডিয়াম সাইনোমল্জি|পি . সাইনোমল্জি ]]'' , <ref>{{cite book | last=Garnham | first=PCC | year=1966 | title=Malaria parasites and other haemosporidia | publisher=Blackwell Scientific Publications|location=Oxford }}</ref> ''[[প্লাজমোডিয়াম সিমীয়ভালে|পি . সিমীয়ভালে ]]'' , ''[[পি . ব্রাজিলিয়ানাম |পি . ব্রাজিলিয়ানাম ]]'' , ''[[পি. শোয়েটজি |P. শোয়েটজি ]]'' এবং ''[[পি. সিমিয়াম|পি. সিমিয়াম ]]'' ;যদিও ''পি . নলেসী '' , ছাড়া এগুলোর বেশিরভাগই জন স্বাস্থ্যের দিক থেকে স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ.<ref>{{cite journal|author=Collins WE &amp; Barnwell JW|title=''Plasmodium knowlesi:'' Finally being recognized|journal=J Infect Dis|year=2009|volume=199|pages=1107&ndash;1108|doi=10.1086/597415}}</ref>[[এভিয়ান ম্যালেরিয়া|এভিয়ান ম্যালেরিয়া]] মুরগি ও টার্কির মৃত্যু ঘটালেও পোল্ট্রি চাষীদের গুরুতর কোন অর্থনৈতিক ক্ষতি করেনা . <ref>দারিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষে পশু-স্বাস্থ্য গবেষণায় পুঁজিনিবেশ. ইন্টারন্যাশনাল লাইভস্টক রিসার্চ ইন্সট‍িট্যুট. পার্মিন এ. এবং ম্যাদ্সেন এম. (2001)[http://www.ilri.cgiar.org/InfoServ/Webpub/fulldocs/investinginanimal/Book1/media/PDF_Appendix/Appendix8.pdfLiterature এপেন্ডিক্স 2 : রোগের প্রাদুর্ভাব ও ফলাফলের পুনরনিরীক্ষণ (স্মলহোল্ডার পোল্ট্রি) ]Accessed 29 Oct 2006</ref> যাইহোক, ঘটনাচক্রে মানুষ দ্বারা সূচিত হয়ে [[হাওয়াই-এর স্থানীয় পাখি|হাওয়াই-এর স্থানীয় পাখি]]-রা এটা ধ্বংশ করে দিয়েছে, যারা এটার অবর্তমানে প্রতিরোধহীন ভাবে বেড়ে উঠেছে. <ref>{{cite journal |author=Atkinson CT, Woods KL, Dusek RJ, Sileo LS, Iko WM |title=Wildlife disease and conservation in Hawaii: pathogenicity of avian malaria (''Plasmodium relictum'') in experimentally infected iiwi (''Vestiaria coccinea'') |journal=Parasitology |volume=111 Suppl |issue= |pages=S59–69 |year=1995 |pmid=8632925 |doi=10.1017/S003118200007582X}}</ref>



==গঠন ==

=== মশা জীবানুবাহক এবং ''প্লাজমোডিয়াম '' জীবন চক্র ===


প্যারাসাইট-এর প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণকারী ও সংক্রমণকারী [[সংক্রামক-ব্যাধি বাহক (মহামারী বিষয়ক বিদ্যা)|জীবানুবাহক]] হল''[[আনোফেলিস| আনোফেলিস ]]'' প্রজাতির স্ত্রী [[মশা|মশা]].একজন সংক্রমিত মানুষের দেহ থেকে জোয়ান মশারা প্রথমে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট তার পাকস্থলিতে গ্রহণ করে এবং এই সংক্রমিত ''আনোফেলিস'' মশাগুলো তাদের [[লালা-গ্রন্থি|লালা-গ্রন্থি]]-তে '' প্লাজমোডিয়াম '' [[স্পোরোজৈট্স|স্পোরোজৈট্স ]]বহন করে.একজন সংক্রমিত মানুষের থেকে রক্ত খাওয়ার পর একটা মশা সংক্রমিত হয়ে যায়.পাকস্থলিতে গ্রহণ করার পরে, রক্তে গৃহীত প্যারাসাইট [[গ্যামেটোসাইট|গ্যামেটোসাইট]]-গুলো আরো বিভক্ত হয়ে পরে পুরুষ ও স্ত্রী [[জননকোষ|জননকোষ]]-এ এবং শেষে মশার অন্ত্রে একীভূত হয়ে যায়.এটার ফলে একটা [[উকিনেট|উকিনেট]] সৃষ্টি হয় যা অন্ত্রের ধার ভেদ করে অন্ত্রের দেয়ালে একটা [[উসিস্ট|উসিস্ট]] তৈরী করে.উসিস্ট যখন ফেটে যায় তখন তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে স্পোরোজৈটস যা মশার দেহ থেকে লালা-গ্রন্থি অবধি যায় এবং তারা তখন মানুষের দেহে সংক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকে .এই ধরনের সংক্রমণ কে সাধারনত বলা হয় অ্যান্টেরিয়ার স্টেশন ট্রান্সফার.<ref>{{cite journal | author = Talman A, Domarle O, McKenzie F, Ariey F, Robert V | title = Gametocytogenesis: the puberty of Plasmodium falciparum | journal = Malar J | volume = 3 | issue = | pages = 24 | year = 2004| pmid = 15253774 | doi = 10.1186/1475-2875-3-24}}</ref>যখন মশাটি রক্ত খায় তখন লালার সঙ্গে স্পোরোজুয়াইট্স চামড়ার মধ্যে ঢুকে যায় .


পুরুষ মশা রোগ সংক্রমণ করেনা কারণ রক্ত খায় একমাত্র স্ত্রী মশাই.''আনোফেলিস'' প্রজাতির স্ত্রী মশা রাতে খেতে বেশি পছন্দ করে.বিকেল থেকেই তারা অনুসন্ধান আরম্ভ করে এবং সারা রাত সেটা চালিয়ে যায় যতক্ষণ না তারা খাদ্য গ্রহণ করছে.[[রক্ত দান|রক্ত দান]]-এর সময়েও ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট পরিবাহিত হতে পারে যদিও এই ধরনের ঘটনা বিরল. <ref>{{cite journal | author = Marcucci C, Madjdpour C, Spahn D | title = Allogeneic blood transfusions: benefit, risks and clinical indications in countries with a low or high human development index | journal = Br Med Bull | volume = 70 | issue = | pages = 15–28 | year = 2004| pmid = 15339855 | doi = 10.1093/bmb/ldh023}}</ref>



=== প্যাথোজেনেসিস বা রোগনিরুপন ===
[[File:MalariacycleBig.jpg|thumb|right|মানব দেহে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট-এর জীবন-চক্র. একটি মশা একবার রক্ত পান করেই একজন মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে. প্রথমে স্পোরোজৈটসগুলি রক্তনালী তে প্রবেশ করে এবং পরে সেগুলি যকৃতে স্থানান্তরিত হয়. প্রথমে যকৃতের কোষগুলিকে (হেপাটোসাইটস) কে সংক্রমিত করে এবং সেগুল্লি গুনিতকে বৃদ্ধি পেয়ে মেরোজৈটস-এ রুপান্তরিত হয়ে যকৃতের কোষগুলিকে ছেঁদা করে দিয়ে আবার রক্তনালী-তে প্রত্যাবর্তন করে. এরপর, মেরোজৈটসগুলি লাল রক্ত কনিকা কে সংক্রমিত করে বৃত্যাকৃতি ধারণ করে, এরপর ট্রফসাইটস (ভক্ষণ পর্যায়), তারপর স্কাইজোন্ট্স (সংখ্যাবৃদ্ধি পর্যায়), তারপর মেরোজৈটস প্রত্যাবর্তন.সংখ্যাবৃদ্ধি কারক অবস্থায়, যাকে জ্যামেটোসাইট বলা হয়, যদি একটি মশা এটিকে খেয়ে ফেলে তাহলে মশাতীয় সংক্রমিত হবে এবং এটি জীবন চক্র চালিয়ে যাবে. ]]


মানুষের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া দুটো পর্বে বিকশিত হয়:একটা এক্সোএরিথ্রসাইটিক এবং একটা এরিথ্রসাইটিক পর্ব.এক্সোএরিথ্রসাইটিক পর্বটির অন্তর্গত হেপাটিক সিস্টেম বা যকৃতের সংক্রমণ আর এরিথ্রসাইটিক পর্বটির অন্তর্গত এরিথ্রসাইট বা লাল রক্ত কনিকার সংক্রমণ.যখন একটা সংক্রমিত মশা একজন মানুষের চামড়া ভেদ করে রক্ত খায় তখন মশার লালা থেকে [[স্পোরোজৈটস|স্পোরোজুয়াইট্স ]] রক্তে প্রবেশ করে [[যকৃত |যকৃত]]-এ পৌছয়.মনুষ্য দেহে প্রবেশের 30 মিনিটের মধ্যে,স্পোরোজৈটস[[হেপাটোসাইটস| হেপাটোসাইটস]]-দের সংক্রমিত করে.এরপর তারা 6-15 দিনের মধ্যে অযৌন ও অঔপসর্গিকভাবে বংশবৃদ্ধি করে.একবার যকৃতে পৌঁছনোর পর জীবানুগুলো বিভক্ত হয়ে পরে হাজার হাজার[[মেরোজৈটস| মেরোজৈটস]] সৃষ্টি করতে যারা তাদের নিয়ন্ত্রক কোষগুলো ফেটে যাওয়ার পর রক্তে প্রবেশ করে[[লাল রক্ত কনিকা (লোহিত কনিকা) |লাল রক্ত কনিকা]]-কে সংক্রমিত করে এবং এই ভাবে জীবন চক্রের এরিথ্রসাইটিক পর্বের সূচনা করে.<ref>[http://www.sma.org/pdfs/objecttypes/smj/91C48D32-BCD4-FF25-565C69314AF7EB48/1196.pdf ব্লেডসয়. জি. এইচ. (][http://www.sma.org/pdfs/objecttypes/smj/91C48D32-BCD4-FF25-565C69314AF7EB48/1196.pdf ডিসেম্বর 2005)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানকারীদের জন্য "ম্যালেরিয়া-এর প্রারম্ভ" ''সাউথার্ন মেডিকাল জার্নাল'' 98(12): পিপি . ][http://www.sma.org/pdfs/objecttypes/smj/91C48D32-BCD4-FF25-565C69314AF7EB48/1196.pdf 1197–204, (PMID: 16440920)];</ref> যকৃত থেকে প্যারাসাইটটি সংক্রমিত নিয়ন্ত্রক যকৃত কোষের কোষ পর্দার মোড়কে বেরিয়ে যায়.<ref name="sturm2006">{{cite journal | author=Sturm A,
Amino R, van de Sand C, Regen T, Retzlaff S, Rennenberg A, Krueger A, Pollok JM, Menard R, Heussler VT | title=Manipulation of host hepatocytes by the malaria parasite for delivery into liver sinusoids | journal=Science | year=2006 | volume=313 | pages=1287–1490 | pmid=16888102 | doi = 10.1126/science.1129720
}}</ref>
লাল রক্ত কণিকায় প্যারাসাইটগুলো আবার অযৌন পন্থায় উত্তরোত্তর বংশবৃদ্ধি করে এবং সময়বিশেষে নিয়ন্ত্রক কোষ থেকে বেরিয়ে পরে তাজা লাল রক্ত কনিকা-য় প্রবেশ করার জন্য . এই ধরনের বেশ কিছু সম্প্রসারণ চক্র ঘটতে থাকে.সুতরাং বারবার জ্বরের ধ্রুপদী বর্ণনাটি এসেছে বারবার মেরোজৈটস-দের বেরোনো এবং লাল রক্ত কনিকা সংক্রমণ করা যা একই সঙ্গে ঘটে.


কিছু ''পি . ভাইভ্যাক্স '' ও ''পি . ওভালে '' স্পোরোজৈটস সঙ্গে সঙ্গেই এক্সোএরিথ্রসাইটিক-পর্বের মেরোজোয়াইট্স-এ পরিণত হয়না বরং হিপ্নোজৈটস তৈরী করে যা বেশ কিছু মাস (সাধারনত 6–12 মাস ) থেকে তিন বছর অবধি সুপ্ত থাকে.সুপ্তবস্থার পর তারা সক্ষণ হয়ে ওঠে এবং মেরোজোয়াইট্স তৈরী করে.এই দুই রকম ম্যালেরিয়ার দীর্ঘ সুপ্তাবস্থা এবং পরে আবার দেখা দেওয়ার জন্য হিপ্নোজৈটস দায়ী . <ref>{{cite journal |author=Cogswell FB |title=The hypnozoite and relapse in primate malaria |journal=Clin. Microbiol. Rev. |volume=5 |issue=1 |pages=26–35 |year=1992 |month=January |pmid=1735093 |pmc=358221 |doi= |url=http://cmr.asm.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=1735093}}</ref>


তুলনামূলকভাবে এই প্যারাসাইট দেহের অনাক্রম্যতা বলয় বা [[রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা |ইমিউন সিস্টেম]]-এর আক্রমন থেকে সুরক্ষিত কারণ মনুষ্য দেহে তার জীবন চক্রের বেশিরভাগ সময়েই সেটি যকৃতে থাকে এবং তুলনামূলক ভাবে অনাক্রম্যতা তত্ত্বাবধান থেকে মুক্ত. যাইহোক, [[প্লীহা |প্লীহা ]]-য় সংক্রমিত সঞ্চালিত রক্ত কোষ ধ্বংস করে দেওয়া হয়. এই ঘটনা এড়াতে'' পি.ফ্যালসিপেরাম'' সংক্রমিত রক্ত কোষের ওপরে আঠালো বা এধেসিভ [[প্রোটিন |প্রোটিন]] প্রদর্শন করে যার ফলে রক্ত কোষগুলো ছোট শিরাগুলোর দেয়ালে আটকে যায় এবং সাধারণ সঞ্চালন ও প্লীহার মধ্য দিয়ে গমন থেকে প্যারাসাইটটিকে বিরত করে স্বতন্ত্র রাখা হয়. <ref name="Chen">{{cite journal |author=Chen Q, Schlichtherle M, Wahlgren M |title=Molecular aspects of severe malaria |journal=Clin. Microbiol. Rev. |volume=13 |issue=3 |pages=439–50 |year=2000 |month=July |pmid=10885986 |pmc=88942 |doi=10.1128/CMR.13.3.439-450.2000 |url=http://cmr.asm.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=10885986}}</ref> ম্যলেরিয়ার [[রক্তক্ষরণ |হেমর্হেজিক ]]জটিলতা দেখা দেওয়ার জন্য এই "আঠালো" ভাবটাই প্রধান কারণ . [[হাই এন্ডোথেলিয়াল ভেনিউল্স(সংবহনতন্ত্রের সব থেকে ক্ষুদ্র বিভাগ ) |হাই এন্ডোথেলিয়াল ভেনিউল্স ]] (সংবহনতন্ত্রের সব থেকে ক্ষুদ্র বিভাগ ) কে প্রতিরোধ করা যায় এই সংক্রমিত লাল রক্ত কনিকার অনুসঙ্গ দ্বারা.এই শিরাগুলোর ব্লকেজ-এর ফলে প্ল্যাসেন্টাল ও সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার মত উপসর্গ দেখা দেয়. সেরিব্রাল ম্যালেরিয়াতে স্বতন্ত্র করে রাখা লাল রক্ত কনিকাগুলো [[রক্ত মস্তিষ্ক বেষ্টনী|রক্ত মস্তিষ্ক বেষ্টনী]] ভেঙ্গে দিতে পারে যার ফল হল কোমা.<ref>{{cite journal | author = Adams S, Brown H, Turner G | title = Breaking down the blood-brain barrier: signaling a path to cerebral malaria? | journal = Trends Parasitol | volume = 18 | issue = 8 | pages = 360–6 | year = 2002 | pmid = 12377286 | doi = 10.1016/S1471-4922(02)02353-X}}</ref>


লাল রক্ত কনিকা সারফেস এধেসিভ প্রোটিন (যার নাম PfEMP1, ''প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম '' -এর জন্য erythrocyte membrane protein 1) ইমিউন সিস্টেম-এ অনাবৃত করা হলেও,তাদের বৈচিত্রের জন্য তারা অনাক্রম্যতা লক্ষ্য হিসেবে ভালো নয় ; একটি প্যারাসাইট-এর মধ্যে প্রোটিনের অন্তত 60 টি ধরন থাকে এবং প্যারাসাইট পপুলেশন(সর্বসমেত সংখ্যা)-এ হয়ত অসংখ্য থাকে. <ref name="Chen"></ref> PfEMP1 সারফেস প্রোটিনের বিস্তারিত পটভূমিকায় ছদ্মবেশধারণকারী চোর বা বহু পাসপোর্ট থেকে চর-এর মত প্যারাসাইট ভূমিকা অদলবদল করে এবং অন্বেষণকারী ইমিউন সিস্টেমের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকে .


কিছু মেরোজোয়াইট্স পুরুষ এবং স্ত্রী [[জ্যামেটোসাইট|গ্যামেটোসাইটস]]-এ পরিণত হয়.একটা মশা যখন কোন সংক্রমিত ব্যক্তির চামড়া ভেদ করে রক্ত খায় তখন গ্যামেটোসাইটসগুলোও চলে আসে রক্তের সঙ্গে. মশার অন্ত্রে প্যারাসাইটগুলোর উর্বরতা প্রাপ্তি ও যৌন পুনর্গঠন ঘটে, এবং তার ফলে মশাটি রোগটির [[নির্দিষ্ট ধারক|নির্দিষ্ট ধারক]] হিসেবে চিন্হিত হয়.নতুন স্পোরোজৈটস-এর উদ্বব হয় এবং তারা মশার লালা-গ্রন্থি তে পৌছয় যার চক্রটিকে সম্পূর্ণ করে.বিশেষত অন্তঃসত্তা মহিলারা মশাদের আকৃষ্ট করে<ref>{{cite journal | author = Lindsay S, Ansell J, Selman C, Cox V, Hamilton K, Walraven G | title = Effect of pregnancy on exposure to malaria mosquitoes | journal = Lancet | volume = 355 | issue = 9219 | pages = 1972 | year = 2000 | pmid = 10859048 | doi = 10.1016/S0140-6736(00)02334-5}}</ref> এবং অন্তঃসত্তা মহিলাদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া [[স্টিলবার্থ (মৃত জাত শিশু) |স্টিলবার্থ]], শিশু মৃত্যু এবং নিম্ন জন্ম ওজনের জন্য দায়ী,<ref>{{cite journal | author = van Geertruyden J, Thomas F, Erhart A, D'Alessandro U | title = The contribution of malaria in pregnancy to perinatal mortality | url=http://www.ajtmh.org/cgi/content/full/71/2_suppl/35 | journal = Am J Trop Med Hyg | volume = 71 | issue = 2 Suppl | pages = 35–40 | date = August 1, 2004 | pmid = 15331817 | month = Aug | day = 01 }}</ref> বিশেষ করে'' পি.ফ্যালসিপেরাম'' সংক্রমনে, ও ''পি.ভাইভ্যাক্স'' সহ অন্য প্রজাতির সংক্রমনেও.<ref name="rodriguezmorales2006">{{cite journal | author=Rodriguez-Morales AJ, Sanchez E, Vargas M, Piccolo C, Colina R, Arria M, Franco-Paredes C | title=Pregnancy outcomes associated with Plasmodium vivax malaria in northeastern Venezuela | journal=Am J Trop Med Hyg | year=2006 | volume=74 | pages=755–757 | pmid = 16687675}}</ref>



==নির্ণয় ==
{{further|[[Blood film]]}}
[[File:Plasmodium falciparum 02.jpg|thumb|প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম কোষ (K1 স্ট্রেন)থেকে রক্ত নিসরণ . বহু লাল রক্ত কণিকায় বৃত্যাকার প্রজায় অন্তরভুক্ত থাকে. কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী একটি স্কায়জোন্ট এবং বামদিকে একটি ট্রফজাইট .]]


1880 সালে শার্ল লাভেরা রক্তে প্রথম ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট দর্শানোর পর থেকে <ref name="Sutherland2009">{{cite journal|author=Sutherland CJ, Hallett R|title=Detecting malaria parasites outside the blood|journal=J Infect Dis|year=2009|volume=199|issue=11|pages=1561&ndash;1563|doi=10.1086/598857}}</ref>ম্যালেরিয়া নির্ণয়ের একমাত্র উপায়ই ছিল রক্তের দূরবীক্ষণ পরীক্ষা.


ত্রুটিপূর্ণ নির্ণয়ের ফলে [[আফ্রিকা|আফ্রিকা]]-তে গুরুতর ম্যালেরিয়া কে অনেক সময় জ্বর বা সেপটিক শক হিসেবে ধরা হয় যা অনান্য জীবন-নাশক রোগের চিকিত্সার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে. ম্যালেরিয়া কবলিত এলাকায় [[প্যারাসীটেমিয়া|প্যারাসিটিমিয়া]] গুরুতর ম্যালেরিয়া নির্ণয়ে সাহায্য করে না কারণ প্যারাসিটিমিয়া আকস্মিক বা অন্য রোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে.সাম্প্রতিক গবেষণা বলে যে ম্যালেরিয়াল থেকে নন-ম্যালেরিয়াল [[কোমা (আচ্ছন্ন ভাব) |কোমা]] আলাদা করার জন্য ক্লিনিকাল বা পরীক্ষাগার বৈশিষ্টের থেকে ম্যালেরিয়াল [[রেটিনা ক্ষয়|রেটিনোপ্যাথি]] ভালো (95% সর্বসমেত সাড়া ও 90% নির্দিষ্টতা ). <ref>{{cite journal |author=Beare NA, Taylor TE, Harding SP, Lewallen S, Molyneux ME |title=Malarial retinopathy: a newly established diagnostic sign in severe malaria |journal=Am. J. Trop. Med. Hyg. |volume=75 |issue=5 |pages=790–7 |year=2006 |month=November |pmid=17123967 |pmc=2367432 |doi= |url=http://www.ajtmh.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=17123967}}</ref>


সাধারনত নির্ণয়ের জন্য রক্ত ব্যবহৃত হলেও,গবেষণা করে দেখা গেছে যে লালা ও প্রস্রাব বিকল্প এবং কম আক্রমনাত্মক নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে. <ref name="Sutherland2009"></ref>



===ঔপসর্গিক নির্ণয় ===
যেসব এলাকার সাধারণ পরীক্ষাগারে নির্ণায়ক পরীক্ষার সামর্থও থাকেনা তারা ব্যক্তিবিশেষ হিসেবে জ্বরের ইতিহাস অনুসরণ করে ম্যালেরিয়া চিকিসার সহায়তার জন্য. মালাউই-তে শিশুদের থেকে গিয়েম্সা-স্টেনড রক্ত ব্যবহার করে একটা গবেষণা দেখায় যে ক্লিনিকাল ভবিষ্যতবক্তা (রেকটাল তাপমাত্রা,ম্লান নখগোরা ও স্প্লেনোমেগালি )চিকিত্সার প্রদর্শক হিসেবে ব্যবহার করলে ম্যালেরিয়ার অপ্রয়োজনীয় চিকিত্সা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ব্যক্তিবিশেষের জ্বরের ইতিহাস ব্যবহারের মত বর্তমান জাতীয়{{Which?|date=July 2009}} নীতির থেকে (রোগীর সাড়া বারে 21% থেকে 41%). <ref name="Redd S, Kazembe P, Luby S, Nwanyanwu O, Hightower A, Ziba C, Wirima J, Chitsulo L, Franco C, Olivar M 2006 80">{{cite journal |author=Redd S, Kazembe P, Luby S, Nwanyanwu O, Hightower A, Ziba C, Wirima J, Chitsulo L, Franco C, Olivar M |title=Clinical algorithm for treatment of Plasmodium falciparum malaria in children |journal=Lancet |volume=347 |issue=8996 | pages = 80 | year = 2006 |pmid=8551881 | doi = 10.1016/S0140-6736(96)90404-3}}.</ref>



===ব্লাড ফিল্ম বা রক্তচ্ছদ-এর দূরবীক্ষণ পরীক্ষা ===
{{Details3|[[Plasmodium falciparum|P. falciparum]], [[Plasmodium vivax|P. vivax]], [[Plasmodium ovale|P. ovale]], [[Plasmodium malariae|P. malariae]]|individual parasites}}
সব থেকে কম ব্যয়ে, উত্কৃষ্ট ও নির্ভরযোগ্য ম্যালেরিয়া নির্ণয় হল [[রক্ত পর্দা |ব্লাড ফিল্ম]]-এর দূরবীক্ষণ পরীক্ষা কারণ চারটি প্যারাসাইট প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট থাকে.প্রথানুযায়ী দু রকম ব্লাড ফিল্ম ব্যবহার করা হয়.সুক্ষ ফিল্ম সাধারণ ব্লাড ফিল্মের মতই এবং প্রজাতি চিন্হিত করতে সাহায্য করে কারণ এই আয়োজনটির মধেই প্যারাসাইটটির আকার সব থেকে ভালো ভাবে সংরক্ষিত করা হয়. স্থুল ফিল্ম দূরবীক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী কে আরো বড় পরিমানের রক্ত স্ক্রিন করতে সাহায্য করে এবং ফিল্মটি সুক্ষ ফিল্মের থেকে এগারো গুন বেশি অনুভূতিশীল তাই নিম্ন মাত্রার সংক্রমণ তুলে ধরা স্থুল ফিল্মে অনেক সহজ. কিন্তু প্যারাসাইটটির আকারটি বিকৃত হয়ে যায় এবং সেই জন্য বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে প্রভেদ করা অনেক কঠিন হয়ে পরে.দুরকম ফিল্মের দশ গুন পর্যবেক্ষণ করে যেটা একান্ত প্রয়োজনীয় সেটা হল এই দুটো ফিল্ম কে নির্দিষ্ট এক নির্ণয়ে কাজে লাগানো.<ref name="warhurst1996">{{cite journal | author=Warhurst DC, Williams JE | title=Laboratory diagnosis of malaria | journal=J Clin Pathol | year=1996 | volume=49 | pages=533–38 |pmid=8813948 | doi = 10.1136/jcp.49.7.533}}</ref>


স্থুল ফিল্মটি থেকে একজন অভিজ্ঞ দূরবীক্ষণ নিয়ন্ত্রক প্যারাসাইট মাত্রা নির্ধারণ করতে পারবেন (বা [[প্যারাসীটেমিয়া|প্যারাসিটিমিয়া]] ) যা হবে লাল রক্ত কনিকার 0.0000001% মত নিম্নে .প্রজাতি নির্ণয় করা সমস্যার কারণ চারটি প্রজাতির প্রাথমিক ট্রফোজৈটস ("রিং ফর্ম ") একই রকম দেখতে এবং একটি একক রিং ফর্ম কে ভিত্তি করে প্রজাতি নির্ণয় কখনই সম্ভব না;প্রজাতি চিন্হিত করতে অনেক ট্রফোজৈট লাগে.



===ফিল্ড টেস্ট ===
যেসব জায়গায় মাইক্রস্কপি উপলব্ধ নয় বা যেখানে পরীক্ষাগারের কর্মীরা ম্যালেরিয়া নির্ণয়ে অভিজ্ঞ নয় সেখানে [[ম্যালেরিয়া এন্টিজেন এন্টিজেন নির্ণায়ক পরীক্ষা |এন্টিজেন নির্ণায়ক পরীক্ষা ]]হয় যেটিতে মাত্র এক বিন্দু রক্ত লাগে.<ref>{{cite journal | author=Pattanasin S, Proux S, Chompasuk D, Luwiradaj K, Jacquier P, Looareesuwan S, Nosten F | title=Evaluation of a new Plasmodium lactate dehydrogenase assay (OptiMAL-IT) for the detection of malaria | journal=Transact Royal Soc Trop Med | year=2003 | volume=97 | pages=672–4 | pmid=16117960 | doi=10.1016/S0035-9203(03)80100-1}}</ref> ইমিউনোক্রমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা (ম্যালেরিয়া রাপিড ডায়াগনসটিক পরীক্ষা , এন্টিজেন -ক্যাপচার পরীক্ষা বা "ডিপস্টিক্স " নামেও পরিচিত )উদ্ভাবন করে পরিবেশনা ও ফিল্ডটেস্ট করা হয়েছে . এই পরীক্ষাগুলো ফিঙ্গার-স্টিক বা ভিনাস ব্লাড ব্যবহার করে. সম্পূর্ণ পরীক্ষার সময় 15–20 মিনিটের মত এবং পরীক্ষাগার লাগে না. এই রাপিড ডায়াগনসটিক পরীক্ষাগুলোর নির্ণায়ক সুত্রপাতের শ্রেণী 100 প্যারাসাইট /µl রক্ত মাইক্রস্কপির স্থুল ফিল্মে 5 -এর সঙ্গে তুলনা করলে. প্রথম রাপিড ডায়াগনসটিক টেস্ট পি.ফ্যালসিপেরাম [[গ্লুটামেট ডিহাইড্রোজেনেজ|গ্লুটামেট ডিহাইড্রোজেনেজ]] কে এন্টিজেন হিসেবে ব্যবহার করে.<ref>{{cite journal | author=Ling IT., Cooksley S., Bates PA., Hempelmann E., Wilson RJM.
| title=Antibodies to the glutamate dehydrogenase of Plasmodium falciparum
| journal=Parasitology | year=1986 | volume=92, | pages=313–24 | pmid=3086819 | doi=10.1017/S0031182000064088 }}</ref>
PGluDH শীঘ্রই বদল করে পি.ফ্যালসিপেরাম [[ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজেনেজ|ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজেনেজ]] ব্যবহার করা হয় যা একটি 33 kDa oxidoreductase [EC 1.1.1.27]. এটা গ্লাইকটিক পথের শেষ এনজাইম যা ATP উত্পাদনে প্রয়োজনীয় এবং পি.ফ্যালসিপেরাম দ্বারা প্রকাশিত এনজাইমগুলোর মধ্যে সব থেকে প্রতুল.PLDH রক্তে থাকেনা,সফল একটা চিকিত্সার পর প্যারাসাইট-এর সঙ্গে সঙ্গেই সরে যায়.চিকিসার পর এন্টিজেন-এর অনুপস্থিতি pLDH টেস্ট কে সহায়ক করে তোলে ভবিষ্যতের চিকিত্সা ঘটিত ব্যর্থতার কথা পূর্বেই জানতে. এই দিক দিয়ে pLDH pGluDH -এর মতই. The OptiMAL-IT পরীক্ষা পি.ফ্যালসিপেরাম ও পি.ভাইভ্যাক্স-এর মধ্যে প্রভেদ করতে পারে কারণ তাদের pLDH আইসোএনজাইম-এর মধ্যে এন্টিজেনিক পার্থক্যের জন্য.
OptiMAL-IT নির্ভরযোগ্য ভাবেই ''ফ্যালসিপেরাম '' নির্ণয় করতে পারে 0.01% [[প্যারাসীটেমিয়া|প্যারাসিটিমিয়া]] অবধি এবং নন -''ফ্যালসিপেরাম '' 0.1% অবধি. ''প্যারা '' চেক -Pf 0.002% অবধি প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করতে পারবে কিন্তু'' ফ্যালসিপেরাম '' ও নন-''ফ্যালসিপেরাম'' -এর মধ্যে প্রভেদ করতে পারবেনা.প্যারাসাইট নিউক্লিক আসিড নির্ণয় করা হয় [[পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান|পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান]] ব্যবহার করে.মাইক্রস্কপির থেকে এই পদ্ধতিটি বেশি সঠিক.কিন্তু এটি ব্যয়বহুল এবং নির্দিষ্ট একটা পরীক্ষাগার লাগে এটির জন্য . প্যারাসিটিমিয়ার মাত্রা যে সব সময় রোগটির ক্রম বিকাশের সঙ্গে আপেক্ষিক তা নয়, বিশেষত যখন প্যারাসাইটটি শিরার দেয়ালে সংযুক্ত হতে পারে.সুতরাং আরো অনুভূতিশীল, কম প্রযুক্তির নির্ণায়ক যন্ত্রের উদ্ভাবন করতে হবে ফিল্ডে নিম্ন মাত্রার প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করার জন্য.যেসব এলাকার সাধারণ পরীক্ষাগারে নির্ণায়ক পরীক্ষার সামর্থও থাকেনা তারা ব্যক্তিবিশেষ হিসেবে জ্বরের ইতিহাস অনুসরণ করে ম্যালেরিয়া চিকিসার সহায়তার জন্য. মালাউই-তে শিশুদের থেকে গিয়েম্সা-স্টেনড রক্ত ব্যবহার করে একটা গবেষণা দেখায় যে ক্লিনিকাল ভবিষ্যতবক্তা (রেকটাল তাপমাত্রা,ম্লান নখগোরা ও স্প্লেনোমেগালি )চিকিত্সার প্রদর্শক হিসেবে ব্যবহার করলে ম্যালেরিয়ার অপ্রয়োজনীয় চিকিত্সা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ব্যক্তিবিশেষের জ্বরের ইতিহাস ব্যবহারের মত বর্তমান জাতীয়{0/} নীতির থেকে (রোগীর সাড়া বারে 21% থেকে 41%). <ref name="Redd S, Kazembe P, Luby S, Nwanyanwu O, Hightower A, Ziba C, Wirima J, Chitsulo L, Franco C, Olivar M 2006 80"></ref>



===আনবিক পদ্ধতি ===
কিছু ক্লিনিকাল পরীক্ষাগারে আনবিক পদ্ধতি উপলব্ধ এবং রোগ কবলিত এলাকায় প্রয়োগের আশা নিয়ে রাপিড রিয়েল-টাইম পরীক্ষার (উদাহরণ , পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান-এর ওপর নির্ভরশীল [[রিয়েল টাইম পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান|QT-NASBA ]])[88]উন্নয়ন করা হচ্ছে.



===রাপিড এন্টিজেন টেস্ট ===
OptiMAL-IT 0.01% [[প্যারাসীটেমিয়া|প্যারাসিটিমিয়া]]তে নির্ভরযোগ্যভাবেই ''ফ্যালসিপেরাম'' ও 0.1%তে নন-''ফ্যালসিপেরাম'' নির্ণয় করতে পারবে. ''প্যারা '' চেক-Pf 0.002%তে প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করতে পারবে কিন্তু ''ফ্যালসিপেরাম'' ও নন-''ফ্যালসিপেরাম'' -এর মধ্যে প্রভেদ ধরতে পারবেনা.প্যারাসাইট নিউক্লিক আসিড নির্ণয় করা হয় [[পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান|পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান]] ব্যবহার করে . মাইক্রস্কপির থেকে এই পদ্ধতিটি বেশি সঠিক . কিন্তু এটি ব্যয়বহুল এবং নির্দিষ্ট একটা পরীক্ষাগার লাগে এটির জন্য . প্যারাসিটিমিয়ার মাত্রা যে সব সময় রোগটির ক্রম বিকাশের সঙ্গে আপেক্ষিক তা নয়, বিশেষত যখন প্যারাসাইটটি শিরার দেয়ালে সংযুক্ত হতে পারে.সুতরাং আরো অনুভূতিশীল, কম প্রযুক্তির নির্ণায়ক যন্ত্রের উদ্ভাবন করতে হবে ফিল্ডে নিম্ন মাত্রার প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করার জন্য.
<ref>{{cite journal |author=Redd S, Kazembe P, Luby S, Nwanyanwu O, Hightower A, Ziba C, Wirima J, Chitsulo L, Franco C, Olivar M |title=Clinical algorithm for treatment of Plasmodium falciparum malaria in children |journal=Lancet |volume=347 |issue=8996 |pages=80 |year=2006 |pmid=8551881 |doi=10.1016/S0140-6736(96)90404-3}}.</ref>



==প্রতিরোধ ==

[[File:Anopheles albimanus mosquito.jpg|thumb|আনোফেলিস এল্বাইম্যানাস মশা মানুষের বাহু থেকে রক্তপান করছে এই মশা টি ম্যালিরিয়া রোগ বাহক এবং মশার দমনই ম্যালেরিয়া প্রতরোধের সরবতকৃষ্ট উপায় .]]


ম্যালেরিয়া নিবারণের জন্য ও ম্যালেরিয়া কবলিত এলালাকায় মানুষের সুরক্ষার জন্য যেসব পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় সেগুল হল প্রতিষেধক ওষুধ, মশা নির্মূল এবং মশার কামড় প্রতিরোধ.
একটা অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ক্রমাগত প্রভাব থাকার জন্য দরকার উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব,উচ্চ মশার সংখ্যার ঘনত্ব এবং মানুষ থেকে মশা ও মশা থেকে মানুষের মধ্যে উচ্চ সংক্রমণের একটা সংযোগ.এগুলোর কোন একটা যদি যথেষ্ট পরিমানে নিম্নমুখী হয় তাহলে প্যারাসাইটটি সে অঞ্চল থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে যেমন হয়েছে [[উত্তর আমেরিকা|উত্তর আমেরিকা]], [[ইউরোপ |ইউরোপ]] ও [[মধ্য প্রাচ্চ্য |মধ্য প্রাচ্য]]-এর কিছু জায়গায়. সমগ্র পৃথিবী থেকে প্যারাসাইটটি নির্মূল না করা হলে যদি তারা প্রজননের উপযোগী সংযোগ পায় তাহলে তারা নিজেদের পুনরায় প্রতিস্থাপন করবে. অনেক দেশগুলোতেই পর্যটন ও দেশান্তরে গমনের ফলে বিদেশ থেকে আসা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে.([[আনোফেলিস|আনোফেলিস]]দেখুন .)


বর্তমানে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক কোন [[টিকাকরণ |ভ্যাকসিন]] নেই কিন্তু বিষয়টি সক্রিয় গবেষনার অধীন.


অনেক গবেষকদের মতে পরে চিকিত্সা করার থেকে আগে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করা সাশ্রয়ের কিন্তু এর ব্যয়ভার বহন করা পৃথিবীর দরিদ্রতম মানুষগুলোর সামর্থের বাইরে.অর্থনৈতিক উপদেশটা [[জেফ্রায় সচ্স|জেফ্রি শাখস]] বলেন যে প্রতি বছর US$3 বিলিয়ন অনুদানের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় . বলা হয় যে [[সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষমাত্রা|মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল]] মাফিক কাজ করতে গেলে , [[HIV|HIV]]/[[AIDS|AIDS]]-এর চিকিত্সা থেকে টাকা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের খাতে পাঠানো উচিত যা আফ্রিকান অর্থনীতিকে একই টাকার বিনিময়ে সহায়তা প্রদান করবে.<ref name="hull2006">[http://www.wgbh.org:81/cgi-bin/nph-algs.cgi/000000A/http://www.wgbh.org/schedules/program-info?program_id=2682027&amp;episode_id=2682029 Hull, Kevin. (2006) "ম্যালেরিয়া: জ্বরের যুদ্ধ". PBS প্রামান্য চিত্র]</ref>


তহবিলের পরিবেশন এক এক দেশে এক এক রকম . বিশাল জনসংখ্যার দেশগুলো একই পরিমাণ সাহায্য পায়না . 34 টি দেশের মধ্যে যেসব দেশ $1 -এর কম পার ক্যাপিটা বার্ষিক সাহায্য পায় তাদের মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার কিছু দরিদ্রতম দেশ.


অনান্য উন্নতশীল না পারলেও ব্রাজিল, এরিট্রিয়া, ভারত ও ভিয়েতনাম তাদের ম্যালেরিয়া ভারটিকে সফল ভাবেই কমিয়ে এনেছে.সফলতার মূল চাবিকাঠিগুলো হল দেশের সহায়ক আবহাওয়া, কার্যকরী যন্ত্রসমূহ সম্বলিত একটি লক্ষ্য-কেন্দ্রিক প্রযুক্তিগত কর্মসম্পাদন, ডাটা পরিচালিত নীতি নির্ধারণ, সরকারের সব পর্যায় সক্রিয় নেতৃত্ব, সম্প্রদায়গুলোর অংশগ্রহণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় ও উপ - জাতীয় স্তরে প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা, সহযোগী এজেন্সিগুলোর প্রযুক্তিগত ও প্রগ্রামাটিক সহায়তা এবং যথেষ্ট ও সম্প্রসারণযোগ্য টাকার যোগান . <ref>{{cite journal | author = Barat L | title = Four malaria success stories: how malaria burden was successfully reduced in Brazil, Eritrea, India, and Vietnam | journal = Am J Trop Med Hyg | volume = 74 | issue = 1 | pages = 12–6 | year = 2006 | pmid = 16407339}}</ref>



===জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রণ ===
{{further|[[Mosquito control]]}}


মশা নির্মূল করে ম্যালেরিয়া [[সংক্রামক রোগের নির্মুলিকরণ |নির্মূল]] করার প্রচেষ্টা কিছু লিচু জায়গায় সফল হয়েছে.[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] ও দক্ষিন [[ইউরোপ |ইউরোপ]]-এ খুব ম্যালেরিয়া হত কিন্তু সংক্রমিত রোগীর তত্ত্বাবধান ও চিকিত্সার সঙ্গে জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রণ সূচী রোগকবলিত জায়গাগুলো থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সাহায্য করেছে.কিছু কিছু জায়গায় জলাজমি সংস্কার ও উত্কৃষ্ট স্বাস্থ্যব্যবস্থা মজুত ছিল.এইরকম পদ্ধতি অবলম্বন করে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে উত্তর USA থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা হয়েছিল এবং 1951 সালের মধ্যে [[DDT|DDT]] [[কীটনাশক |কীটনাশ]]ক ব্যবহার করে দক্ষিন থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ করা হয়. <ref name="CDChistory">http://www.cdc.gov/malaria/history/eradication_us.htm Centers for Disease Control. ''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যালিরিয়ার নির্মুলিকরণ(1947-1951)'' 2004.</ref>US - এ 2002 তে 1,059 খানা ম্যালেরিয়ার ঘটনার রিপোর্ট আছে.এর মধ্যে আট জনের মৃত্যু ঘটে কিন্তু এগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত.


DDT -র আগে ট্রপিকাল অঞ্চলগুলোতেও ম্যালেরিয়া সফলভাবে নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা হত মশাদের বংশবৃদ্ধির জায়গা বা শুককিট পর্বের জলজ আবাস সরিয়ে ফেলে বা বিষাক্ত করে দিয়ে যেমন জমা জলবিশিষ্ট জায়গায় তেল দিয়ে ভরানো বা তেল প্রয়োগ করা.আফ্রিকাতে এই ধরনের পদ্ধতির প্রয়োগ অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় থেকে করা হয়নি.<ref>{{cite journal | author = Killeen G, Fillinger U, Kiche I, Gouagna L, Knols B | title = Eradication of Anopheles gambiae from Brazil: lessons for malaria control in Africa? | journal = Lancet Infect Dis | volume = 2 | issue = 10 | pages = e192 | year = 2002 | pmid = 12383612 | doi = 10.1016/S1473-3099(02)00397-3}}</ref>1950 ও 1960 -এর দশকে ম্যালেরিয়া কবলিত অঞ্চলে নির্দিষ্ট ভাবে মশাদের লক্ষ্য করে ম্যালেরিয়া নির্মূল করার বিশ্বব্যাপী একটা প্রধান জনস্বাস্থ্য প্রচেষ্টার সূচনা করা হয়েছিল. <ref>{{cite news | author=Gladwell, Malcolm.|date=2001-07-02 | title=The Mosquito Killer | url=http://www.gladwell.com/2001/2001_07_02_a_ddt.htm | publisher=The New Yorker}}</ref>কিন্তু উন্নতিশীল দেশের বহু প্রান্ত থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে - আফ্রিকা-তে সব থেকে প্রবল এই রোগের প্রকোপ.


[[স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক|স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক]] হল একটা নতুন সম্ভাবনাময় মশা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি. ট্রান্সজেনিক বা [[জেনেটিকালি মডিফাই করা পোকা|জেনেটিকালি মডিফাই]] করা পোকার দিকে অগ্রগতির থেকে একটা সুত্র উঠে আসছে যে বন্য মশাদের ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে.[[লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে|লন্ডন-এর ইম্পিরিয়াল কলেজ]]-এর গবেষকরা পৃথিবীর প্রথম ট্রান্সজেনিক মশা সৃষ্টি করে [100]এবং একই সঙ্গে 2002 সালে [[ওহায়ও|ওহায়ও]]-তে [[কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ বিশ্ববিদ্যালয়|কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ বিশ্ববিদ্যালয়]]-এর একটি দোল পেশ করেন প্রথম প্লাজমোডিয়াম-প্রতিরোধক প্রজাতি.[102]জেনেটিকালি মডিফাই করা জনসংখ্যা দ্বারা বর্তমান জনসংখ্যার সফল প্রতিস্থাপন নির্ভর করে একটা ড্রাইভ মেকানিজিম(গঠন প্রণালী)-এর ওপর যেমন স্থান [[স্থান বিনিময়কারী পদার্থগুলোর|বিনিময়কারী পদার্থগুলোর]] জরুরি জিনের অ-মেন্ডেলীয় আহরণে সাহায্য করা.[103]আগামী দিনে জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রণ করার একটা আরো আধুনিক পদ্ধতি হল [[লেজার|লেজার]] -দ্বারা উড়ন্ত মশা মারা.<ref>{{cite web |url=http://online.wsj.com/article/SB123680870885500701.html |title=Rocket Scientists Shoot Down Mosquitoes With Lasers |publisher=WSJ.com |author=Robert Guth |accessdate=8 July 2009}}</ref>



===প্রফিল্যাকটিক বা প্রতিষেধক ওষুধ===
{{Main|Malaria prophylaxis}}


বহু ওষুধ, যার বেশিরভাগ ম্যালেরিয়ার চিকিত্সায় কাজে লাগে, সেগুলোকে প্রতিষেধক হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে.সাধারনত এই ওষুধগুলো দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভাবে নেওয়া হয় এবং একজন যথার্থ সংক্রমিত রোগীর চিকিত্সায় যেরমভাবে ব্যবহার করা হয় তার থেকে ডোজ কম থাকে. ম্যালেরিয়া কবলিত অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে প্রফিল্যাকটিক ওষুধগুলোর ব্যবহার একেবারেই যুক্তিযুক্ত না.এগুলোর ব্যবহার বিশেষত ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় স্বল্প-সময়ের ভ্রমনকারী বা পর্যটকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়. এর কারণ হল ওষুধগুলোর দাম, দীর্ঘ-সময় ব্যবহারের ফলে নেতিবাচক [[বিপরীত প্রতিক্রিয়া (ওষুধ)|পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া]] এবং ধনী রাষ্ট্রগুলোর বাইরে কার্যকরী কিছু ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ পাওয়া সমস্যার.


সপ্তদশ শতাব্দী থেকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রফিল্যাকটিক হিসেবে [[কুইনাইন|কুইনাইন]] -এর ব্যবহার শুরু হয় . বিংশ শতাব্দিতে [[কুইনাক্রাইন|কুইনাক্রাইন]], [[ক্লোরোকয়াইন|ক্লোরোকয়াইন]] ও [[প্রাইমাকয়াইন|প্রাইমাকয়াইন]]-এরম মত আরো বিকপ্লের আবিষ্কার কুইনাইন-এর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনে. প্রফিল্যাক্সিস হিসেবে ব্যবহৃত না হলেও আজও ক্লোরোকয়াইন-প্রতিরোধী ''[[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম|প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম]]'' -এর চিকিত্সা করার জন্য কুইনাইন ব্যবহার করা হয়. অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে [[স্যামুয়েল হ্যানিম্যান|স্যামুয়েল হ্যানিম্যান]] পর্যবেক্ষণ করেন যে কুইনাইন-এর ওভারডোজ(মাত্রাতিরিক্ত সেবন) হলে ম্যালেরিয়ার মতই একটা উপসর্গ দখা দেয়.এটি তাকে [[ল অফ সিমিলার্স|ল অফ সিমিলার্স]] ও [[হোমিওপ্যাথি|হোমিওপ্যাথি]] উদ্ভাবনে সাহায্য করে .


যেসব আধুনিক ওষুধ প্রতিষেধক রূপে ব্যবহৃত হয় সেগুলো হল [[মেফ্লোকয়াইন|মেফ্লোকয়াইন]]('''ল্যারিয়াম''' ), [[দক্সিসাইক্লিন|দক্সিসাইক্লিন]]( জেনেরিক ভাবে উপলব্ধ)এবং [[আটোভাকুওন|আটোভাকুওন]] ও [[প্রগুয়ানিল |প্রগুয়ানিল]] হাইড্রোক্লোরাইড('''মালারন''' ).কোন ওষুধ খাওয়া উচিত নির্ভর করে কোন ওষুধগুলোর [[ওষুধ বিরোধিতা |প্রতিরোধ]] প্যারাসাইট করবে ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও অনান্য কারণের ওপর.প্রফিল্যাকটিক-এর প্রতিক্রিয়া ওষুধ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয় না তাই কেউ কিছু দিনের জন্য ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় গেলে পৌছানোর এক দু সপ্তাহ বাদে ওষুধ নেয় এবং চলে যাওয়ার পর চার সপ্তাহ ধরে সেগুলো টানা খেতে হবে(ব্যতিক্রম শুধু আটোভাকুওন যা আসার 2দিন আগে নিতে হবে এবং যাওয়ার পর 7 সাত দিন অবধি খেতে হবে).



===গৃহের ভেতর স্প্রে করা ===
ইন্ডোর রেসিডুয়াল স্প্রেয়িং (IRS) বা গৃহের ভেতর স্প্রে করা হল ম্যালেরিয়া কবলিত অঞ্চলে বাড়িগুলোর দেয়ালে কীটনাশক স্প্রে করা রীতি . রক্ত খাওয়ার পর অনেক মশার প্রজাতি কাছের যেকোন জায়গায় বিশ্রাম নেয় খাদ্য পরিপাকের জন্য,তাই দেয়ালগুলো যদি আগে থেকেই কীটনাশক সিক্ত করা থাকে তাহলে বিশ্রামরত মশাগুলো পরের কাউকে কামড়ে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট সংক্রমণ করার আগেই মরে যাবে.


IRS -এর জন্য ব্যবহৃত প্রথম ও ঐতিহাসিক কীটনাশক হল [[DDT|DDT]].[107]প্রাথমিক ভাবে সেটিকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হলেও দ্রুত তা [[কৃষি|কৃষি]]তেও ব্যবহার করা হয়.সময়ের সঙ্গে সঙ্গে DDT-র ব্যবহার রোগ-নিয়ন্ত্রনের থেকে কীট-নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যবহার হতে লাগলো এবং বৃহত পরিমান কৃষি ব্যবহারের ফলে বহু জায়গায় প্রতিরোধী মশার [[ক্রম-বিকাশ|বিবর্তন]] ঘটে.আনফেলিস মশার DDT প্রতিরোধটি তুলনা করা যায় ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের সঙ্গে.এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবানের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও এন্টিবায়োটিকস-এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে ঠিক যেমন শস্যের ওপর মাত্রাতিরিক্ত DDT স্প্রে-এর ফলে আনফেলিস মশা DDT প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে ওঠে.1960 দশকে এটির যথেচ্ছ ব্যবহারের পরিনামের প্রতি সচেতনতা জাগে এবং শেষ পর্যন্ত 1970 দশকে বহু দেশে কৃষিতে DDT-র প্রয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়.যেহেতু DDT বেশ কিছু কাল ধরে কৃষি ব্যবহারে সীমাবদ্ধ বা নিষিদ্ধ ছিল সেই কারণে রোগ-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে DDT এখন বেশি কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে.


ম্যালেরিয়া-নিয়ন্ত্রণে DDT প্রয়োগ কখনো নিষিদ্ধ না হলেও এবং IRS উপযোগী অনান্য অনেক কীটনাশক থাকলেও কিছু সমর্থক বলেছেন যে নিষিদ্ধ করার ফলে ট্রপিকাল দেশগুলো, যেখানে DDT একসময় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ছিল , সেখানে কয়েক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে . [[জন-স্বাস্থ্য |জনস্বাস্থ্য]]-এ ব্যবহারের থেকে নয় বরং DDT ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ সমস্যার উত্সই কৃষিতে সেটার শিল্প-পর্যায়ের প্রয়োগ. <ref name="pmid17111979">{{cite journal |author=Tia E, Akogbeto M, Koffi A, ''et al.'' |title=[Pyrethroid and DDT resistance of Anopheles gambiae s.s. (Diptera: Culicidae) in five agricultural ecosystems from Côte-d'Ivoire] |language=French |journal=Bulletin de la Société de pathologie exotique (1990) |volume=99 |issue=4 |pages=278–82 |year=2006 |pmid=17111979 |doi=}}</ref>


[[ওয়ার্ল্ড হেলথ ওর্গ্যনাইসেশোন |ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান]] (WHO) -এর বর্তমান নির্দেশানুযায়ী IRS অপারেশনে 12 রকম কীটনাসক ব্যবহার করা উচিত . এগুলোর মধ্যে রয়েছে DDT ও বিকল্প কীটনাশকের একটা সিরিজ(যেমন [[পারমেথ্রিন|পারমেথ্রিন]] এবং [[ডেল্টামেথ্রিন|ডেল্টামেথ্রিন]] -এর মত পাইরেথয়েডস)সেই সমস্ত জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধ করতে যেখানে মশা DDT-প্রতিরোধী . [110]জনস্বাস্থ্য খাতে এই ক্ষুদ্র মাত্রায় DDT -এর ব্যবহার [[পারসিস্টেন্ট অর্গ্যানিক পলিউট্যানটস|পারসিস্টেন্ট অর্গ্যানিক পলিউট্যানটস]] (POPs)-এর ওপর [[স্টকহোম সম্মেলন|স্টকহোম সম্মেলন]] দ্বারা অনুমোদিত যা DDT-র কৃষি ব্যবহার নিষিদ্ধ করে.[111]যাইহোক সেটির পূর্ব ইতিহাসের জন্য বহু উন্নতিশীল দেশ ছোট মাত্রায় হলেও DDT প্রয়োগ করে না. <ref>[http://www.pops.int/ ক্রমাগত ঘটমান জৈবিক দূষণের বিষয় স্টকহোম-এর আলোচনা সভা ]</ref> <ref>{{cite news | last= Rosenberg | first= Tina |title= "What the world needs now is DDT" | publisher= New York Times |date= [[2007-04-11]] | url= http://query.nytimes.com/gst/fullpage.html?sec=health&res=9F0DEEDA1738F932A25757C0A9629C8B63 | accessdate= 2008-11-03}}</ref>


ইন্ডোর রেসিডুয়াল স্প্রেয়িং-এর সবকটা ধরনেরই একটা সমস্যা হল মশাদের ক্রম বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা কীটনাশক [[কীটনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা|প্রতিরোধ]] ক্ষমতা.মশাদের আচরণ ও জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রনের ওপর একটা গবেষনার মতে যেসব মশার বংশ IRS দ্বারা প্রভাবিত সেগুলো এন্ডফিলিক প্রজাতির (যে প্রজাতি ভেতরেই বিশ্রাম করার ও থাকার দিকে প্রবন )এবং স্প্রেয়িং বশত উত্তেজনার ফলে তাদের বিবর্তিত বংশধররা এক্জোফিলিক (যে প্রজাতি বাইরে বিশ্রাম করার ও থাকার দিকে প্রবন ) হওয়ার দিকে প্রবন হয়ে পরছে.এর মানে হল তারা একদমই প্রভাবিত না - একটুও না - IRS দ্বারা এবং পদ্ধতিটি ডিফেন্স-মেক্যানিজিম(প্রতিরক্ষা যন্ত্রানুসঙ্গ) হিসেবে নিরর্থক.<ref>প্যাট্স, এইচ. এবং কার্টিস, সি.:"মশা চরিত্র ও রোগ বহন নিয়ন্ত্রণ", পৃষ্ঠা 53-70. পতঙ্গ-বিজ্ঞানের বিষয় বাত্সরিক পুনর্নিরীক্ষণ, 50, 2005.</ref>



===মশারি এবং বিছানাপত্র ===
মশারি মানুষের কাছ থেকে মশাকে দুরে রাখতে সাহায্য করে এবং দারুনভাবে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ও পরিবহন কমিয়ে আনে.নেট বা মশারিগুলো সম্পূর্ণ বেষ্টনী নয় এবং অনেক সময় সেগুলোকে কীটনাশক দিয়ে তৈরী করা হয় যাতে মশা নেটটা ভেদ করে প্রবেশের আগেই মরে যায়.দেখা গেছে ইন্সেকটিসাইড-ট্রিটেড নেট (ITN) বা কীটনাশক মশারি এমনি মশারির থেকে দুগুণবেশি কার্যকরী<ref name="hull2006"></ref> এবং প্রতিরক্ষাহীন অবস্থার সঙ্গে তুলনায় 70% বেশি সুরক্ষা প্রদান করে. <ref>{{cite journal |author=Bachou H, Tylleskär T, Kaddu-Mulindwa DH, Tumwine JK |title=Bacteraemia among severely malnourished children infected and uninfected with the human immunodeficiency virus-1 in Kampala, Uganda |journal=BMC Infect. Dis. |volume=6 |issue= |pages=160 |year=2006 |pmid=17090299 |pmc=1660577 |doi=10.1186/1471-2334-6-160 |url=}}</ref>. ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ITN -এর কার্যকারিতা প্রমানিত হলেও আফ্রিকার উপ-সাহারান এলাকার শহুরে অঞ্চলে 2% -এরও কম সংখ্যক শিশু ITNs দ্বারা সুরক্ষিত.''[[অনফেলেস (স্ত্রী মশা) |আনোফেলিস ]]'' মশা যেহেতু রাতে খায় সেই জন্য সব থেকে ভালো উপায় হল একটা বড় মশারি বা "বেড নেট" বিছানার মাঝখানে টাঙানো যেটা সম্পূর্ণ বিছানাটাকেই ঘিরে রাখবে.


দেখা গেছে যে [[পারমেথ্রিন|পারমেথ্রিন]] বা ডেল্টামেথ্রিন-এর মত কীটনাশক মন্ডিত মশারির পরিবেশন ম্যালেরিয়া নিরোধের এক উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি এবং সব থেকে ব্যয়বহুলও বটে.[[জাতিসংঘ|রাষ্ট্রসংঘ]], ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান (WHO) ও অনান্য সুত্র থেকে এই নেটগুলো পাওয়া যায় [[US ডলার |US$]]2.50 - $3.50 (2-3 [[ইউরো |euro]])-র বিনিময়ে.দেখা গেছে ITNs ম্যালেরিয়া নিরোধের সব থেকে সাশ্রয়দানকারী পদ্ধতি এবং এগুলো WHO’-এর মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (MDGs)-এর অংশ.


সর্বোচ্চ কার্যকারিতার জন্য নেটগুলো কে প্রয়েক ছয় মাস অন্তর কীটনাশক দ্বারা পুনরায় মন্ডিত করতে হয়.এই প্রক্রিয়াটি গ্রামাঞ্চলে গুরুতর কিছু যৌক্তিক সমস্যার সৃষ্টি করে . Olyset বা DawaPlus -এর মতো নতুন প্রযুক্তিগুলো লং লাস্টিং ইন্সেকসাইডাল মসকুইটো নেটস(LLINs)-এর উত্পাদনে সাহায্য করে যা আনুমানিক 5 বছরের জন্য কীটনাশক তৈরী করে<ref>[http://www.voanews.com/english/archive/2004-11/2004-11-23-voa30.cfm?CFID=15461499&amp;CFTOKEN=28007413 নতুন মশারি আফ্রিকা-তে ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সাহায্য করবে]</ref> এবং তার দাম পরে US$5.50. নেটের নিচে ঘুমন্ত মানুষদের সুরক্ষিত রাখে ITNs এবং একই সঙ্গে যেসব মশা নেটের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে তাদের মেরে ফেলে.এই পদ্ধতি দ্বারা কিছু সুরক্ষা অন্যদেরও প্রদান করা হয় যেমন একই ঘরে কিন্তু নেটের নিচে যারা শুয়ে নেই.


ম্যালেরিয়া নিরোধের অন্যতম উপাদান মশারি পরিবেশন হলেও,কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া ও ম্যালেরিয়ার বিপদসমূহের ওপর সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশন শিবিরগুলোর সঙ্গেই যুক্ত যাতে যাদের কে মশারি দেওয়া হচ্ছে তারা সেটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারে. [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রেসেন্ট আন্দোলন|আন্তর্জাতিক রেড ক্রস-এর স্বেচ্ছাসেবকরা ও রেড ক্রেসেন্ট আন্দোলন]] যে ধরনের শিবির পরিচালনা করে সেই ধরনের "হ্যাং আপ" শিবিরে থাকে একেকটা পরিবার যারা শিবিরটির শেষে বা বর্ষার অল্প পূর্বে একটা নেট পায় এই শর্তে যে সেটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হবে এবং শিশু ও বড়রা যারা সব থেকে বেশি ম্যালেরিয়া প্রবন তারা সেটির নিচে শোয়.[[সিয়েরা লিয়ন|সিয়েরা লিয়ন]]-এ [[রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক কেন্দ্রগুলি|CDC]] দ্বারা একটি গবেষণায় দেখা যাছে যে একই সম্প্রদায়ভুক্ত ও নেট ব্যবহার তুলে ধরার প্রচেষ্টারত কোন স্বেচ্ছাসেবক ব্যক্তিগত তদারকি করতে গেলে নেটের ব্যবহার 22 শতাংশ বাড়ে.[[টোগো|টোগো]]-তে একটা গবেষণা একই অগ্রগতি দেখায়.<ref>[http://www.ifrc.org/what/health/diseases/malaria/156800-Malaria-Report-EN-LR.pdf রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি -দ্বয়ের আন্তর্জাতিক সংযুক্তি (200) "দ্য উইনিং ফর্মুলা - ওয়ার্ল্ড ম্যালেরিয়া দে রিপোর্ট 2009"]</ref>


আয়ের সঙ্গে ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার খরচ আপেক্ষিক এবং অসুস্থতার কারণে মাইনে কাটা যায়.উন্নতিশীল দেশগুলোতে মশারি প্রায়ই মানুষের সামর্থের বাইরে থাকে বিশেষত যাদের ঝুঁকি সবথেকে বেশি.আফ্রিকা-তে 20 জনের মধ্যে 1 জনের বেড নেট আছে.<ref name="hull2006"></ref>আফ্রিকাতে ইউরোপ থেকে উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যের সাহায্য হিসেবে পাঠালেও,দ্রুত নেটগুলো বহুমূল্য বানিজ্যিক পণ্য হয়ে দাড়ায় . সেগুলোকে মূলত মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা হয় এবং শয়ে শয়ে দান করা মশারি মেলালে পুরো নদীই ঘেরা হয়ে যায় যার ফলে একদম ক্ষুদ্র মাছও ধরা পড়ে.<ref name="Economist">{{cite news | author=The Economist | title=Traditional Economy of the Kavango | url=http://www.economist.com.na/2002/15mar/03-15-22.htm | year=2007 | publisher=Economist Documentary}}</ref>শিশুদের জন্য হাম-এর শিবিরের মত ভ্যাকসিন শিবিরগুলোর মাধ্যমে ভাউচার সাবসিডি ব্যবহার করে প্রায়ই নেট বিতরণ করা হয়.


পাকিস্তান-এ [[আফঘান উদ্বাস্তুদের|আফঘান উদ্বাস্তুদের]] মধ্যে একটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে গায়ের চাদর ও চাদার(মাথা ঢাকার কাপড় বিশেষ)কে পারমেথ্রিন দিয়ে মন্ডিত করলে ট্রিটেড নেটের মতই হয় এবং খরচও কম.[125]আরেকটি বিকল্প পদ্ধতিতে ''[[বভেরিয়া বাসিয়ানা|বভেরিয়া বাসিয়ানা]]'' নামক [[ছত্রাক|ছত্রাক]]-এর বীজগুটি দেয়ালে ও বেড নেটের ছড়িয়ে দেওয়া হয় মশা মারার জন্য.কিছু মশা রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারলেও ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে সেটা পারেনি.<ref name="bbcfungus">"[http://news.bbc.co.uk/1/hi/health/4074212.stm ছত্রাক ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সহায়তা করে পারে']",''BBC নিউস'' ,[[2005-06-09|2005-06-09]]</ref>



===ভ্যাকসিনেশন===
{{further|[[Malaria vaccine]]}}


ম্যালেরিয়া [[ভ্যাকসিনেশন (প্রতিষেধক টিকাকরণ) |ভ্যাকসিন]] গবেষনার অধীন এবং সম্পূর্ণ কার্যকরী ভ্যাকসিন এখনও পাওয়া যায় না.1967 সালে প্রথম সম্ভাব্য ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন প্রকাশ করা হয় ইঁদুরকে জীবন্ত [[বিকিরণ-শিথিলকারক (জীন বিষয়ক)|বিকিরণ-শিথিল]] [[স্পোরোজৈটস|স্পোরোজৈটস]] দ্বারা ইমিউন করে এবং নর্মাল টেকসই স্পোরোজৈটস ইনজেকশন ইঁদুরকে 60% সুরক্ষা প্রদান করে. <ref name="Nussenzweig1967">{{cite journal |author=Nussenzweig R, Vanderberg J, Most H, Orton C |title=Protective immunity produced by the injection of x-irradiated sporozoites of plasmodium berghei |journal=Nature |volume=216 |issue=5111 |pages=160–2 |year=1967 | pmid = 6057225 | doi = 10.1038/216160a0}}</ref>1970 -এর দশক থেকে মানুষের মধ্যে অনুরূপ ভ্যাকসিন কৌশল উদ্ভাবন করার প্রচেষ্টা করা হয় . এটা বলা হয় যে ''পি.ফ্যালসিপেরাম'' সংক্রমণ থেকে একজন সুরক্ষিত থাকতে পারে যদি সংক্রমিত, ইরেডিয়েটেড মশার 1000 কামর খায়.<ref name="Hoffman2002">{{cite journal |author=Hoffman SL, Goh LM, Luke TC, ''et al.'' |title=Protection of humans against malaria by immunization with radiation-attenuated Plasmodium falciparum sporozoites |journal=J. Infect. Dis. |volume=185 |issue=8 |pages=1155–64 |year=2002 |pmid=11930326| doi = 10.1086/339409}}</ref>


এই বিষয়ে সবাই একমত যে আশঙ্কাজনক রোগীকে এই ভ্যাকসিনেশন কৌশল দ্বারা চিকিত্সা করা অযৌক্তিক.কিন্তু সম্প্রতি এই ধারনাটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন [http://www.sanaria.com সানারিয়া]-র ডাঃ.স্টিফেন হফম্যান যিনি সেইসব গবেষকদের অন্যতম যিনি প্রথম ''[[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম|প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম]]'' জিনোম সিকোয়েন্স করেন . তাঁর কাজটি মাস স্টোরেজ ও মানুষের টিকাকরনের জন্য 1000 ইরেডিয়েটেড মশার সমতুল্য প্যারাসাইট আলাদা ও তৈরী করার যৌক্তিক সমস্যার সমাধান ঘিরে.কোম্পানিটি সম্প্রতি[[বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউনডেসান| বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউনডেসান]] ও U.S সরকার থেকে বহু-মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে 2007 ও 2008 -এ ক্লিনিকাল গবেষণা শুরু করার জন্য.<ref name="Sanaria studies">[http://www.sanaria.com/presspublications.html সানারিয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স]</ref>ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ দ্বারা অনুদানপ্রাপ্ত সিয়েটেল বায়োমেডিকেল রিসার্চ ইন্সটিটিউট (SBRI) সম্ভাব্য স্বেচ্ছাসেবকদের আশ্বাস দেয় যে "[2009]-এ ক্লিনিকাল ট্রায়াল জীবন-ত্রাসসৃষ্টিকারী অভিজ্ঞতা হবেনা.অনেক স্বেচ্ছাসেবক [সিয়েটেল-এ ] বাস্তবিকই ম্যালেরিয়া সংক্রমিত হয়ে পড়ে, পরীক্ষায় ব্যবহৃত ক্লোনড স্ট্রেন দ্রুত নিরাময় করা যায় এবং রোগটিকে পুনরায় হতে দেয় না ." "কিছু অংশগ্রহণকারী কে দেওয়া হবে পরীক্ষাধীন ওষুধ বা ভ্যাকসিন ও অন্যরা পাবে প্ল্যাসেবো ." <ref>[http://seattletimes.nwsource.com/html/health/2004261357_malaria05m.html?referrer=newsvine স্বাস্থ্য | ম্যালেরিয়া-এ সংক্রামিত হলে আপনি পয়সা পেতে পারেন | সিত্ত্লে টাইমস নিউসপেপার ]</ref>


বরং ইরেডিয়েটেড স্পোরোজৈটস দ্বারা ইমিউনাইজেসানের পর যে [[ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা) |ইমিউনোলজিকাল]] প্রক্রিয়াগুলো সুরক্ষা প্রদান করে সেগুলোকে বোঝার জন্য বহু গবেষণা করা হয়েছে . 1967 সালে ইঁদুর ভ্যাকসিনেশন গবেষনার পর[134] এটা ভাবা হত যে প্রয়োগ করা স্পোরোজৈটগুলো নিজেরাই ইমিউন সিস্টেম দ্বারা চিন্হিত হয় যে প্রক্রিয়া আবার প্যারাসাইট বিরোধী [[এন্টিবডি (প্রাণীর রক্তে বর্তমান একটি রোগ প্ররোধক উপাদান)|এন্টিবডি]] সৃষ্টি করছে. এটা নির্দিষ্ট করা হয় যে ইমিউন সিস্টেম স্পোরোজৈট মন্ডিত [[সারকামস্পোরোজৈট|সারকামস্পোরোজৈ]]ট প্রোটিন (CSP)বিরোধী এন্টিবডি সৃষ্টি করছে . <ref>{{cite journal |author=Zavala F, Cochrane A, Nardin E, Nussenzweig R, Nussenzweig V |title=Circumsporozoite proteins of malaria parasites contain a single immunodominant region with two or more identical epitopes |journal=J Exp Med |volume=157 |issue=6 |pages=1947–57 |year=1983 | doi = 10.1084/jem.157.6.1947 |pmid=6189951 |unused_data=|i pmid = 6189951}}</ref> CSP বিরোধী এন্টিবডি স্পোরোজৈট কে হেপাটোসাইট-গুলোয় প্রবেশে বাধা দেয়. <ref>{{cite journal |author=Hollingdale M, Nardin E, Tharavanij S, Schwartz A, Nussenzweig R |title=Inhibition of entry of Plasmodium falciparum and P. vivax sporozoites into cultured cells; an in vitro assay of protective antibodies |journal=J Immunol |volume=132 |issue=2 |pages=909–13 |year=1984 | pmid = 6317752}}</ref>সুতরাং CSP কে সব থেকে সম্ভাবনাময় প্রোটিন হিসেবে বাচ্ছা হয় যেটার ওপর ম্যালেরিয়া স্পোরোজৈট বিরোধী ভ্যাকসিন গড়ে তোলা যাবে . এই ঐতিহাসিক কারণ গুলোর জন্য CSP ভিত্তিক ভ্যাকসিনগুলোই সব ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ.


বর্তমানে অনেক রকম ভ্যাকসিন আছে.প্রি-এরিথ্রসাইটিক ভ্যাকসিন (যে ভ্যাকসিন প্যারাসাইট কে রক্তে পৌছানোর আগেই মেরে ফেলে ),ও বিশেষত CSP ভিত্তিক ভ্যাকসিনগুলো ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন গবেষণায় সব থেকে অধিক প্রচলিত.অনন্য ভ্যাকসিন হল : যেগুলো সংক্রমণের রক্ত পর্বে ইমিউনিটি প্রবর্তন করতে চায়; যেগুলো ম্যলেরিয়ার গুরুতর জটিলতা এড়াতে চায় প্যারাসাইট-এর [[রক্ত শিরা|রক্ত শিরা]] ও [[প্ল্যাসেন্টা|প্ল্যাসেন্টা]]-য় সংযুক্তি নিরোধ করে;এবং [[পরিবহন (অধুধ)|পরিবহন]]-নিরোধক ভ্যাকসিন যা সংক্রমিত মানুষের রক্ত খাওয়ার পরেই মশার শরীরে প্যারাসাইট-এর বিকাশ বন্ধ করে দেয়.[140] এটা প্রত্যাশা করা হয় যে ''পি.ফ্যালসিপেরাম'' [[জিনোম|জিনোম]] সিকয়েসিং নতুন ওষুধ ও ভ্যাকসিনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দেবে.<ref>{{cite journal | author = Gardner M, Hall N, Fung E, ''et al.'' | title = Genome sequence of the human malaria parasite Plasmodium falciparum | journal = Nature | volume = 370 | issue = 6906 | pages = 1543 | year = 2002 | pmid = 12368864 | doi = 10.1038/nature01097}}</ref>


SPf66 হল প্রথম উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন যেটা ফিল্ড ট্রায়াল-এর মধ্য দিয়ে গেছে এবং এটি উদ্ভাবন করেছে [[মানুয়েল এলকিন পাতারোযো|মানুয়েল এলকিন পাতারোযো]] 1987 সালে.এটি স্পোরোজৈট(CS পুনরাবৃত্তি ব্যবহার করে ) ও মেরোজৈট প্যারাসাইট থেকে এন্টিজেন-এর সমাহার. ফেজ I ট্রায়াল চলাকালীন 75% কার্যকারিতা হার প্রদর্শিত হয়েছে এবং ভ্যাকসিনটিকে সাবজেক্ট দ্বারা সহনীয় ও ইমিউনোজেনিক হিসেবেই দেখা গেছে.ফেজ IIb ও III ট্রায়ালগুলো ততোধিক সফল হয়নি ,সেখানে কার্যকারিতা হারের নিম্নগামিতা লক্ষ্য করা গেছে 38.8% ও 60.2%. 1993 সালে তানজানিয়া-য় একটা ট্রায়াল হয় যেখানে এক বছর কর্মস লেগে থাকার পর 31% কার্যকারিতা হার দেখা যায় কিন্তু গাম্বিয়া -তে সব থেকে সাম্প্রতিক(যদিও বিতর্কিত) পরীক্ষাটি কোন ফল দেয়নি. বিস্তারিত ট্রায়াল ও বহু গবেষনার পরেও জানা যায়না কি করে SPf66 ভ্যাকসিন ইমিউনিটি প্রদান করে;তাই এটা ম্যালেরিয়ার সমাধান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য না.
CSP হল পরর্বর্তী ভ্যাকসিন যেটা প্রাথমিক ভাবে যথেষ্ট সম্ভাবনাময় ছিল ট্রায়াল দেওয়ার জন্য. এটিও সারকামস্পোরোজৈট প্রোটিন ভিত্তিক কিন্তু সংযোজিত আছে একটা রিকম্বিট্যান্ট (Asn-Ala-Pro15Asn-Val-Asp-Pro)2-Leu-Arg(R32LR) প্রোটিন যা কভালেন্ট ভাবে শুদ্ধ ''[[সিউডোমনাস এরুগিনসা |সিউডোমোনাস এরুগিনোসা টক্সিন ]]'' (A9)-এর সঙ্গে যুক্ত . যাইহোক প্রাথমিক পর্যায়ে যাদের টিকাকরণ হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ইমিউনিটি সুরক্ষার অভাব দেখা যায়.কেনিয়া-তে ব্যবহৃত স্টাডি-গ্রুপটিতে 82% প্যারাসিটিমিয়া দেখা গেছে যেখানে কন্ট্রোল গ্রুপটিতে দেখা গেছে 89% . যে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগের ফলে অনাবৃতদের মধ্যে T-লিম্ফোসাইট-এর বর্ধিত সাড়া পাওয়া যায় সেখানে এটা দেখা যায়না.


পাতারোযো-র ভ্যাকসিন নিয়ে US বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দেয় এবং [[দ্য ল্যানসেট|দ্য ল্যানসেট]] (1997)-এ তারা এই বলে শেষ করেন যে "ভ্যাকসিনটি কার্যকরী নয় এবং সেটিকে বর্জন করা উচিত".যদিও কলম্বিয়ান বৈজ্ঞানিকটি তাদের "ক্রোধ"-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাদের বিবৃতি নস্যাত করে দেন কারণ তিনি এক উন্নতিশীল দেশের বাসিন্দা.


RTS,S/AS02A ভ্যাকসিনটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সব থেকে দূরবর্তী প্রার্থী.PATH ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ([[বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউনডেসান|গেটস ফাউনডেসান]]-এর অনুদানপ্রাপ্ত ), [[ ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি|ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি]] [[GlaxoSmithKline|GlaxoSmithKline]] ও ওয়াল্টার রিড আর্মি ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ যৌথভাবে এটার উন্নতিসাধনে রত[144].ভ্যাকসিনটিতে CSP-র একটা অংশ [[হেপাটাইটিস B|হেপাটাইটিস B ]]ভাইরাস-এর [[ইমিউনোজেনেসিটি |ইমিউনোজেনিক]] "S [[এন্টিজেন|এন্টিজে]]ন"-এর সঙ্গে মিশ্রিত করা হয়েছে;এই [[রিকম্বিট্যান্ট|রিকম্বিট্যান্ট]] প্রোটিনটি সক্ষম AS02A [[সাহায্যকারী|সাহায্যকারীর]] সঙ্গেই প্রয়োগ করা হয়.[145]অক্টোবর 2004 -এ RTS,S/AS02A গবেষকরা ঘোষণা করেন [[ক্লিনিকাল ট্রায়াল (চিকিত্স্লয়ের উপযোগিতা বিচার) |ফেজ IIb ট্রায়াল]] -এর ফল এবং যাজন যে ভ্যাকসিনটি সংক্রমণের ঝুঁকি আনুমানিক 30% ও সংক্রমণের প্রখরতা 50%-এর বেশি কমিয়ে দিয়েছে . গবেষণাটি 2,000 -এর বেশি [[মোজাম্বিক|মোজাম্বিকান]] শিশুদের নিয়ে করা হয় . [147]RTS,S/AS02A -এর আরো সাম্প্রতিক পরীক্ষার মূল লক্ষ্য হল প্রাথমিক পর্যায়ে এটির নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রনের কার্যকারিতা:অক্টোবর 2007 -এ গবেষকরা [[ক্লিনিকাল ট্রায়াল (চিকিত্স্লয়ের উপযোগিতা বিচার) |ফেজ I/IIb ট্রায়াল]] -এর ফল ঘোষণা করেন যেটা 10 থেকে 18 মাস বয়সী 214 জন মোজাম্বিকান শিশুদের ওপর করা হয়েছিল. দেখা যায় যে ভ্যাকসিনটির সম্পূর্ণ তিন-ডোজ-এর কোর্স সংক্রমণ 62% কমিয়ে আনে এবং শুধু এটি প্রয়োগের সময় একটু ব্যথা হয় তাছারা এটির আর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই . <ref>{{cite journal |author=Aponte JJ, Aide P, Renom M, ''et al.'' |title=Safety of the RTS,S/AS02D candidate malaria vaccine in infants living in a highly endemic area of Mozambique: a double blind randomised controlled phase I/IIb trial |journal=Lancet |volume=370 |issue=9598 |pages=1543–51 |year=2007 |month=November |pmid=17949807 |doi=10.1016/S0140-6736(07)61542-6 |url=}}</ref>অধিকতর গবেষনার জন্য 2011 অবধি এই ভ্যাকসিনটির বানিজ্যিক মুক্তি বিলম্বিত হবে.<ref>[http://allafrica.com/stories/200701090730.html আফ্রিকা: ম্যালেরিয়া - 2011 -এ প্রতিষেধক আশা করা যেতে পারে.] ''[http://www.accra-mail.com আক্রা মেল.]'' 9 জানুয়ারী 2007. Accessed 15 January 2007.</ref>



===অনান্য পদ্ধতি ===
ম্যালেরিয়ার উপসর্গ চিনতে পারার জ্ঞান উন্নতিশীল বিশ্বের কিছু জায়গায় রোগের ঘটনা প্রায় 20% কমিয়ে দিয়েছে . প্রাথমিক স্তর থেকেই রোগটি নির্ণয় করতে পারলে সেটির ঘাতকরূপ ধারণ আটকানো যেতে পারে . এই ধরনের জ্ঞানের ফলে মানুষ জানতে পেরেছে যে জলের ট্যাংকের মত জমা জলবিশিষ্ট জায়গা ঢেকে রাখলে রোগটির পরিবহন রোখা যায় কারণ ঐসব জায়গায়ই হল প্যারাসাইট ও মশাদের বংশবৃদ্ধির স্থল.শহুরে এলাকাতেই এইসব পদ্ধতি বেশি প্রয়োগ করা হয় যেখানে একটি সীমাবদ্ধ জায়গায় বৃহত জনসংখ্যার বাস এবং সংক্রমণ এখান থেকেই বেশি ছড়াতে পারে.


[[ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প |ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প]] বর্তমানে ডাউনটাইম কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করছে যা পৃথিবীজুরে একেকজন স্বেচ্ছাসেবকরা (দেখুন [[ভলান্টিয়ার কম্পিউটিং|ভলান্টিয়ার কম্পিউটিং]] [[BOINC|BOINC]])দান করেছে স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া ও ট্রান্সমিশন ডাইনামিক্স-এর আদর্শ অনুকরণ করার জন্য যাতে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে শ্রেষ্ট পদ্ধতি বা পদ্ধতির সংযোগ বের করা যায়. এই মডেলটি অন্ত্যন্ত কম্পিউটার ইনটেনসিভ কারণ বৃহত জনসংখ্যার সিমুলেশন(অনুকরণ)-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যাপক স্থিতিমাপের সঙ্গে সম্পর্কিত জৈবিক ও সামাজিক কারণ যা রোগটির ছড়ানোতে সাহায্য করে .যেসব বৈজ্ঞানিকরা প্রোগ্রামটির বিকাশ ঘটাচ্ছে তাদের কাছে বর্তমানে উপলব্ধ সংস্থান দ্বারা যেটা করতে 40 বছর লাগতো ভলান্টিয়ারড কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করে সেটা করতে কয়েক মাস লাগবে. <ref>{{cite web | title=What is Malariacontrol.net |publisher=AFRICA@home | url=http://africa-at-home.web.cern.ch/africa%2Dat%2Dhome/malariacontrol.html |accessdate=2007-03-11}}</ref>


আগুযাস ও অনান্যদের গবেষণাপত্রে দেখা যায় ম্যালেরিয়া [[সংক্রামক রোগের নির্মুলিকরণ |দূরীকরণ]] সুচির কম্পিউটার মডেলিং-এর গুরুত্বের উদাহরণ দেখা যায়.তারা দেখিয়েছেন যে ম্যালেরিয়া কঠোরভাবে নির্ভরশীল রোগ-কবলিত এলাকায় অ-উপসর্গিক ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মানুষদের যারা সংক্রমণের ভাঁড়ার হিসেবে কাজ করে তাদের খুঁজে বের করে চিকিত্সা করার ওপর .<ref>{{cite journal |author=Águas R, White LJ, Snow RW, Gomes MG |title=Prospects for malaria eradication in sub-Saharan Africa |journal=PLoS ONE |volume=3 |issue=3 |pages=e1767 |year=2008 |pmid=18335042 |pmc=2262141 |doi=10.1371/journal.pone.0001767 |url=}}</ref> ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট জন্তুজানোয়ারদের আক্রান্ত করেনা তাই প্রত্যাশা করা হয় যে মানুষের মাঝ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যকরী হবে .


ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রনের অনন্য পদ্ধতিগুলো হল [[মাস ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেসন (গণ প্রতিষেধক বন্টন)|মাস ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেসন]] ও [[ইন্টারমিটেন্ট প্রিভেন্টিভ থেরাপি (অন্তর্বর্তী প্রতিরোধক চিকিত্সা) |ইন্টারমিটেন্ট প্রিভেন্টিভ থেরাপি]].



==চিকিত্সা ==
''পি.ফ্যালসিপেরাম '' সহ সক্রিয় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ একটি [[মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা|মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা]] যা [[হাসপাতাল |হাসপাতাল]]-এ স্থানান্তরিত করতে হয়.''পি . ভাইভ্যাক্স '' , ''পি . ওভালে '' বা ''পি . ম্যালেরে '' সংক্রমণের চিকিত্সা প্রায়ই আউটপেশেন্ট হিসেবে করা যেতে পারে.ম্যালেরিয়ার চিকিত্সা নির্ভর করে সহায়ক কিছু বিধি ও নির্দিষ্ট কিছু ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধের ওপর. সঠিকভাবে চিকিত্সার পর একজন সম্পূর্ণ সেরে ওঠার প্রত্যাশা রাখতে পারেন.<ref>[http://www.cdc.gov/malaria/faq.htm#treatment আমার যদি ম্যালেরিয়া হয়, তাহলে কি আমায় বাকি জীবনটা এটাতে ভুগতে হবে?] CDC পাবলিকেশন, Accessed 14 Nov 2006</ref>



===ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধকারী ওষুধ ===


{{further|[[Antimalarial drug]]s}}
ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার জন্য বিভিন্ন গোত্রের ওষুধ আছে.[[ক্লোরোকুইন|ক্লোরোকুইন ]]খুবিই সস্তা এবং কিছু দিন আগে পর্যন্ত যথেষ্ট কার্যকরী ছিল যার ফলে এটি সব থেকে জনপ্রিয় ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ হিসেবে পৃথিবীর বহু জায়গায় পরিচিত ছিল.কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ''প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম '' ক্লোরোকুইন প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে উঠেছে বলে দেখা গেছে এশিয়া থেকে আফ্রিকা-র নানান জায়গায় .এর ফলে ওষুধটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সব থেকে ভয়ানক প্লাজমোডিয়াম-এর বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে গেছে.<ref>{{cite journal |author=White NJ |title=Antimalarial drug resistance |journal=J Clin Invest. |volume=113 |issue=8 |pages=1084–92 |year=2004 |month=April |pmid=15085184 |pmc=385418 |doi=10.1172/JCI21682 }}</ref> তবে যেসব অঞ্চলে ক্লোরোকুইন এখনো কার্যকরী সেখানে সেটাই প্রথম মনোনীত ওষুধ.দুর্ভাগ্যবশত ক্লোরোকুইন-প্রতিরোধ [[কুইনাইন|কুইনাইন]] ও [[আমোডিয়াকয়াইন|আমোডিয়াকয়াইন]]-এর মত ওষুধের প্রতি হ্রাসপ্রাপ্ত অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত.<ref>{{cite journal | author=Tinto H, Rwagacondo C, Karema C, ''et al.'' | title=In-vitro susceptibility of ''Plasmodium falciparum'' to monodesethylamodiaquine, dihydroartemsinin and quinine in an area of high chloroquine resistance in Rwanda | journal=Trans R Soc Trop Med Hyg | volume=100 | issue=6 | pages=509–14 | doi=10.1016/j.trstmh.2005.09.018 | year=2006 }}</ref>


চিকিত্সা ও আংশিক প্রতিরোধের ([[প্রফিল্যাক্সিস|প্রফিল্যাক্সিস]] ) জন্য অনান্য অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়.অনেক ওষুধ দুটো ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় ; বড় ডোজগুলো ম্যালেরিয়া চিকিত্সার জন্য. তাদের বিস্তার নির্ভর করে ওষুধ প্রয়োগের জায়গায় প্রতিরোধকারী প্যারাসাইটের উপস্থিতির হারের ওপর.একটা ওষুধ {{As of|2007|alt=currently}}যেটাকে নিয়ে গবেষণা করা হছে তার ম্যালেরিয়া-বিরোধী ক্ষমতা ও বিশেষত ওষুধ-প্রতিরোধী রোগের চিকিসার জন্য সেটা হল [[বিটা ব্লকার |বেটা ব্লকার]] [[প্রপ্রানোলোল|প্রপ্রানোলোল]]. দেখা গেছে প্রপ্রানোলোল দুটো ''প্লাজমোডিয়াম-এরই '''লাল রক্ত কণিকায় প্রবেশ ও একটা সংক্রমণ স্থাপন করার এবং প্যারাসাইট রেপ্লিকেশন-এর ক্ষমতাকে রুখতে পারে. ''' '' '''''[[নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়]]-এর 2006 ডিসেম্বরের একটা গবেষণায় গবেষকরা জানাচ্ছেন যে প্রপ্রানোলোল হয়তো বিদ্যমান ওষুধের ডোজ কমিয়ে আনতে পারে যাতে সেগুলো ''5- থেকে 10-গুন কার্যকরী হয়ে ওঠে '''পি.ফ্যালসিপেরাম-এর বিরুদ্ধে, যেটি কম্বিনেশন থেরাপির ইঙ্গিতবহ.''' '' ''' '' '''''<ref>{{cite journal |author=Murphy S, Harrison T, Hamm H, Lomasney J, Mohandas N, Haldar K |title=Erythrocyte G protein as a novel target for malarial chemotherapy |journal=PLoS Med |volume=3 |issue=12 |pages=e528 |year=2006 | month=December | pmid=17194200 | doi= 10.1371/journal.pmed.0030528}}</ref>'' '''
বর্তমানে উপলব্ধ ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধগুলো হল : <ref>[http://www.cdc.gov/travel/malariadrugs.htm ম্যালেরিয়া-এর জন্য নির্দেশিত ওষুধ] Retrieved February 27, 2007.</ref>

*[[আর্টেমেথার|আর্টেমেথার ]]-[[লুমেফ্যানট্রাইন|লুমেফ্যানট্রাইন]] (শুধু থেরাপি, বানিজ্যিক নাম ''[[কোয়ার্তেম|কোয়ার্তেম]]'' ও ''রিয়ামেট'' )
*[[আর্টেসুনেট|আর্টেসুনেট ]]-[[আর্টেসুনেট|আমোডিয়াকয়াইন]] (শুধু থেরাপি)
*[[আর্টেসুনেট|আর্টেসুনেট]] -[[মেফ্লোকয়াইন|মেফ্লোকয়াইন]] (শুধু থেরাপি)
*[[আর্টেসুনেট|আর্টেসুনেট]] -[[সালফোমাইন্ড (ওষুধ)|সালফাদক্সাইন ]]/[[পাইরীমেথামাইন|পাইরীমেথামাইন]] (শুধু থেরাপি)
*[[আটোভাকুওন|আটোভাকুওন]] -[[প্রগুয়ানিল|প্রগুয়ানিল]] , বানিজ্য নাম [[মালারন |মালারন]] (থেরাপি ও প্রফিল্যাক্সিস )
*[[কুইনাইন |কুইনাইন]] (শুধু থেরাপি)
*[[ক্লোরোকয়াইন|ক্লোরোকয়াইন]] (থেরাপি ও প্রফিল্যাক্সিস ; প্রতিরোধিত হতে হতে উপকারিতা কমে গেছে )
*[[কটরিজিড|কটরিজিড]] (থেরাপি ও প্রফিল্যাক্সিস )
*[[দক্সিসাইক্লিন|দক্সিসাইক্লিন]] (থেরাপি ও প্রফিল্যাক্সিস )
*[[মেফ্লোকয়াইন|মেফ্লোকয়াইন]] , বানিজ্য নাম ল্যারিয়াম (থেরাপি ও প্রফিল্যাক্সিস )
*[[প্রাইমাকয়াইন|প্রাইমাকয়াইন]] (''পি . ভাইভ্যাক্স '' ও ''পি.ওভালে '' -তে শুধু থেরাপি ; প্রফিল্যাক্সিসের জন্য নয় )
*[[প্রগুয়ানিল|প্রগুয়ানিল]] (শুধু প্রফিল্যাক্সিস )
*[[সালফোমাইন্ড (ওষুধ)|সালফাদক্সাইন]] -[[পাইরীমেথামাইন|পাইরীমেথামাইন]] (থেরাপি;রোগ কবলিত সেমি-ইমিউন অন্তঃসত্তা নারীদের জন্য প্রফিল্যাক্সিস "ইন্টারমিটেন্ট প্রিভেন্টিভ ট্রিটমেন্ট " - IPT হিসেবে )
*[[হাইড্রোক্লোরোকয়াইন|হাইড্রোক্লোরোকয়াইন]] , বানিজ্য নাম প্লাকয়েনিল (থেরাপি ও প্রফিল্যাক্সিস)


ওষুধগুলোর উন্নয়ন সহজতর হয় ''প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম '' [[ম্যালেরিয়া কালচার |কালচার করার পর]]. <ref name="Trager1976">{{cite journal | author= Trager W, Jensen JB | title=Human malaria parasites in continuous culture | journal=Science| year=1976| volume=193 |issue=4254| pages=673–5 | pmid=781840| doi=10.1126/science.781840}}</ref> এটির ফলে নতুন ওষুধগুলোর ভিট্রো টেস্টিং(পরীক্ষা)ন সম্ভব হয়.


''[[আর্টেমিশিয়া আনুয়া|আর্টেমিশিয়া আনুয়া]]'' নামক গাছের একটি নির্যাস যার মধ্যে রয়েছে [[আর্টেমিসাইনিন|আর্টেমিসাইনিন]] যৌগটি ও সেমি-সিন্থেটিক আহরণগুলো (কুইনাইন-এর সঙ্গে অসম্পর্কিত একটি পদার্থ )90% কার্যকরী ক্ষমতা প্রদর্শন করে কিন্তু তাদের যোগান চাহিদার থেকে কম . [168] রোন্ডা-র একটা গবেষণায় দেখা যায় যে সাধারণ পি.ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা তাদের উত্তর-চিকিত্সার 28তম দিনে কম ক্লিনিকাল ও প্যারাসিটোলজিকাল ব্যর্থতা প্রদর্শন করে যখন আমোডিয়াকয়াইন কে [[আর্টেসুনেট|আর্টেসুনেট]]-এর সঙ্গে দেওয়া হয় একক প্রয়োগের থেকে (OR = 0.34). যাইহোক এই গবেষনার সময় আমোডিয়াকয়াইন বিরুদ্ধে ক্রমশ বৃদ্ধিমান প্রতিরোধটিও ছিল লক্ষনীয়.<ref>{{cite journal |author=Rwagacondo C, Karema C, Mugisha V, Erhart A, Dujardin J, Van Overmeir C, Ringwald P, D'Alessandro U |title=Is amodiaquine failing in Rwanda? Efficacy of amodiaquine alone and combined with artesunate in children with uncomplicated malaria |journal=Trop Med Int Health |volume=9 |issue=10 |pages=1091–8 |year=2004 |pmid=15482401 | doi = 10.1111/j.1365-3156.2004.01316.x}}.</ref>
2001 সাল থেকে [[ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান|ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান]] নির্দেশ জারি করেছে যে যেসব এলাকায় পুরানো চিকিত্সায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা সেসব জায়গায় সাধারণ ম্যালেরিয়ার প্রাথমিক চিকিত্সা করতে হবে [[আর্টেমিসাইনিন|আর্টেমিসাইনিন]] নির্ভর কম্বিনেশন থেরাপি(ACT) ব্যবহার করে. [[WHO|WHO-]]এর একদম সাম্প্রতিক [http://www.who.int/malaria/docs/TreatmentGuidelines2006.pdf ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার জন্য নির্দেশাবলী ]চার রকমের ACTs -এর নির্দেশ দেয়.আফ্রিকা সহ নানান দেশ তাদের সরকারী ম্যালেরিয়া চিকিত্সা নীতিতে পরিবর্তনটি অন্তর্ভুক্ত করলেও ব্যয়ভার ACT প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক প্রবল সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে.যেহেতু ACTs -এর ব্যয় আগের চিকিত্সা পদ্ধতির থেকে কুঁড়িগুন বেশি তাই বহু ম্যালেরিয়া-কবলিত দেশগুলোর কাছে সেটি সামর্থের বাইরে.আর্টেমিসাইনিন-এর আনবিক লক্ষ্যটি বিতর্কিত যদিও সাম্প্রতিক গবেষণা বলে যে [[এন্ডপ্লাজমিক রেটিকুলাম|এন্ডপ্লাজমিক রেটিকুলাম]]-এ একটা ক্যালসিয়াম পাম্প যা [[SERCA|SERCA]] নামে পরিচিত সেটি আর্টেমিসাইনিন প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত.<ref>{{cite journal | author = Eckstein-Ludwig U, Webb R, Van Goethem I, East J, Lee A, Kimura M, O'Neill P, Bray P, Ward S, Krishna S | title = Artemisinins target the SERCA of Plasmodium falciparum | journal = Nature | volume = 424 | issue = 6951 | pages = 957–61 | year = 2003 | pmid = 12931192 | doi = 10.1038/nature01813}}</ref> ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটগুলো আর্টেনিসাইনিন-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গরে তুলতে পারে এবং প্রতিরোধ গরে উঠতে পারে SERCA -র পরিবর্তনের ফলেও.<ref>{{cite journal | author = Uhlemann A, Cameron A, Eckstein-Ludwig U, Fischbarg J, Iserovich P, Zuniga F, East M, Lee A, Brady L, Haynes R, Krishna S | title = A single amino acid residue may determine the sensitivity of SER`CAs to artemisinins | journal = Nat Struct Mol Biol | volume = 12 | issue = 7 | pages = 628–9 | year = 2005 | pmid = 15937493 | doi = 10.1038/nsmb947}}</ref> যাইহোক, অনান্য গবেষনার অনুযায়ী মাইটোকোনদ্রীয়ন হল আর্টেমিসাইনিন ও তার সহধর্মীদের প্রধান লক্ষ্য. <ref>{{cite journal | author = Li W, Mo W, Shen D, Sun L, Wang J, Lu S, Gitschier J, Zhou B | title = Yeast model uncovers dual roles of mitochondria in action of artemisinin | journal = PLoS Genet | volume = 1 | issue = 3 | pages = e36 | year = 2005 | pmid = 16170412 | doi = 10.1371/journal.pgen.0010036}}</ref>


কার্যকরী ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ বাজারে থাকা সত্তেও, রোগ কবলিত এলাকায় যেসব মানুষরা সঠিক এবং অবিলম্বে কার্যকরী ওষুধগুলো পায় না তাদের কাছে রোগটি এখনো একটা ত্রাস.ফার্মেসি ও স্বাস্থ্য পরিসেবাগুলোর মতে ওষুধের দামই হল মূল প্রতিবন্ধকতা.[[মেদেসিনস সা ফ্রন্টিয়েরেস|মেদেসিনস সা ফ্রন্টিয়েরেস]] -এর গণনা অনুযায়ী 2002 সালে ম্যালেরিয়া কবলিত দেশে একজন ম্যালেরিয়া-আক্রান্ত রোগীর চিকিত্সা খরচা হল [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার |US$]]0.25 ও $2.40 প্রতি ডোজ. <ref name="msf">সীমান্তহীন ওষুধ - ''ম্যালেরিয়া'', "[http://www.msf.org/content/page.cfm?articleid=44247857-6A39-4D9C-8FA7E54299FF1D4D কি দাম এবং কে মেটাবে?]"</ref>



===জাল ওষুধ ===
[[জাল ওষুধ|অবিশুদ্ধ]] জালওষুধ পাওয়া গেছে [[ক্যামবোডিয়া|ক্যামবোডিয়া]],[179][[চীন| চীন]], [181][[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়া]], [[লাওস |লাওস]], [[থাইল্যান্ড|থাইল্যান্ড]], [[ভিয়েতনাম|ভিয়েতনাম]]-এর মত এশিয়ান দেশগুলোতে যা এই দেশগুলোতে পরিহার্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ.<ref>{{cite journal
| author=Newton PN Green MD, Fernández FM, Day NPJ, White NJ.
| title=Counterfeit anti-infective drugs
| journal=Lancet Infect Dis
| year=2006
| volume=6
| issue=9
| pages=602–13
| pmid=16931411
| doi = 10.1016/S1473-3099(06)70581-3}}</ref>
[[WHO|WHO]] বলছে যে গবেষণা অনুযায়ী [[আর্টেসুনেট|আর্টেসুনেট]] -এর ওপর ভিত্তি করা ম্যালেরিয়ার ওষুধগুলোর 40% জাল,বিশেষ করে গ্রেট [[মিকং|মিকং]] অঞ্চলে এবং সেখানে একটা দ্রুত সতর্ক করার পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে যা অতি দ্রুততার সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রাসঙ্গিক কর্তৃত্ব কে জাল ওষুধ সম্পর্কে তথ্য পৌছে দেবে.<ref>{{cite web
| author=Jane Parry
| title=WHO combats counterfeit malaria drugs in Asia
| url=http://www.bmj.com/cgi/content/full/330/7499/1044-d
| accessdate=2008-07-19 | year=2005}}</ref> পরীক্ষাগার-এর সাহায্য ছাড়া ডাক্তার বা সাধারণ মানুষের পক্ষে জাল ওষুধ নির্ধারণ করার কোন নির্ভরযোগ্য উপায় নেই.জাল ওষুধের এই কারবার বন্ধ করার জন্য নতুন প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহার করে উত্স থেকে পরিবেশনা অবধি সুরক্ষা প্রদান করার চেষ্টা করছে কোম্পানিগুলো.



==ইতিহাস==
{{further|[[History of malaria]]}}


ম্যালেরিয়া মানুষকে 50,000 বছর ধরে সংক্রমিত করে এসেছে ,এবং ম্যালেরিয়া প্রটোজোয়া মানুষের বাকি ইতিহাসে একটা মনুষ্য [[প্যাথজেন |প্যাথোজেন]] হতে পারতো.<ref>{{cite journal | author = Joy D, Feng X, Mu J, ''et al.'' | title = Early origin and recent expansion of Plasmodium falciparum | journal = Science | volume = 300 | issue = 5617 | pages = 318–21 | year = 2003 | pmid = 12690197 | doi = 10.1126/science.1081449}}</ref> মনুষ্য ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট-এর সহধর্মী প্যারাসাইট শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে এখনও দেখা যায় . <ref>{{cite journal | author = Escalante A, Freeland D, Collins W, Lal A | title = The evolution of primate malaria parasites based on the gene encoding cytochrome b from the linear mitochondrial genome | doi= 10.1073/pnas.95.14.8124 | journal = Proc Natl Acad Sci USA | volume = 95 | issue = 14 | pages = 8124–9 | year = 1998 | pmid = 9653151}}</ref> ম্যালেরিয়ার স্বতন্ত্র সময়বিশেষের জ্বর-এর কথা চীন-এ 2700 BC থেকে শুরু করে নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বত্রই উল্লিখিত আছে.<ref>{{cite journal | author = Cox F | title = History of human parasitology | url= | pmc = 126866 | journal = Clin Microbiol Rev | volume = 15 | issue = 4 | pages = 595–612 | year = 2002 | pmid = 12364371 | doi = 10.1128/CMR.15.4.595-612.2002}}</ref> ম্যালেরিয়া শব্দটির উত্স[[মধ্য বয়স | মধ্যযুগীয়]][[ইতালিয়ান ভাষা | ইতালিয়ান]]: ''মালা এরিয়া'' - "[[রোগের মায়েস্মা তত্ব |দুষিত হাওয়া]]"; এবং জলা ও জলাভূমির সঙ্গে যুক্ত থাকে রোগটির আগের নাম ছিলো '''এগ''' বা '''মার্স ফিভার''' (জলা জ্বর).<ref>[http://www.cdc.gov/ncidod/EID/vol6no1/reiter.htm দেফয় কে সেক্সপিয়ার : তুষার যুগে ইংলান্ডে ম্যালেরিয়া]. পল রেইটার. ''রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক কেন্দ্রগুলি, সান জুয়ান, পয়ের্ত রিকো.'' </ref>[[ইউরোপ |ইউরোপ]] ও [[উত্তর আমেরিকা|উত্তর আমেরিকা]]-য় ম্যালেরিয়া একসময় খুব হত, এখন সেখানে রোগটির[[স্থানীয় (মহামারী বিষয়ক বিদ্যা)| প্রকোপ ]]আর নেই<ref>[http://www.cambridge.org/catalogue/catalogue.asp?isbn=9780511254819&amp;ss=exc ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা-এ কিট-পতঙ্গ ও ছোট ইন্দুর জাতীয় প্রাণী দ্বারা বাহিত রোগ]. নরমে জি. গ্রাত্জ. ''ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইসেষণ, জেনেভা.'' </ref> .যদিও এখন চালান হওয়া ঘটনাগুলো ঘটে.


ম্যালেরিয়ার ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষনার প্রথম উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয় 1880 সালে.[[আলজেরিয়া|আলজেরিয়া]]-র [[কনস্টান্টটাইন, আলজেরিয়া|কনস্টান্টটাইন]]-এর সামরিক হাসপাতালে কর্মরত [[শার্ল লুই আফন্সে লাভেরা|শার্ল লুই আফন্সে লাভেরা]] নামে একজন ফরাসী সমরিক ডাক্তার ম্যালেরিয়া রোগাক্রান্তদের [[লাল রক্ত কণিকা|লাল রক্ত কণিকা]]-য় প্রথম প্যারাসাইট দেখতে পান .তিনি এরপর প্রস্তাব পেশ করেন যে ম্যালেরিয়া এই [[প্রটোজোয়া|প্রটোজোয়া]]-র দ্বারাই হয় এবং এর মাধ্যমে রোগসৃষ্টি প্রটোজোয়াটি প্রথম চিন্হিত হয়.<ref>{{cite web | title = Biography of Alphonse Laveran | publisher = The Nobel Foundation | url = http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1907/laveran-bio.html | accessdate = 2007-06-15}}নোবেল ফাউন ডেশন. Accessed 25 Oct 2006</ref> এটা এবং তাঁর পরের আবিষ্কারের জন্য লাভেরা কে 1907 সালে[[শরীরবিদ্যা ও চিকিত্সা বিদ্যা-এ নোবেল পুরস্কার | চিকিত্সাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার]] দেওয়া হয়.প্রটোজোয়াটির ''প্লাজমোডিয়াম'' নামকরণ করেন ইতালীয় বৈজ্ঞানিকদ্বয় [[এত্তরে মার্চিয়াভা|এত্তরে মার্চিয়াভা]] এবং[[এঞ্জেলো চেল্লি| এঞ্জেলো চেল্লি]].<ref>{{cite web | title = Ettore Marchiafava| work = | url = http://www.whonamedit.com/doctor.cfm/2478.html | accessdate = 2007-06-15}}</ref> এক বছর পরে [[কার্লস ফিনলে|কার্লস ফিনলে]] নামক [[হাভানা |হাভানা]]-তে [[ইয়েলো ফিভার (পীত জ্বর)|ইয়েলো ফিভার]]ইয়েলো ফিভার (পীত জ্বর)/2}-এর চিকিত্সারত এক কুবা-ন ডাক্তার জোরদার তথ্য প্রদান করেন যে মশা মানুষের দেহে ও দেহ থেকে রোগ ছড়াচ্ছে.<ref>{{cite journal |author=Tan SY, Sung H |title=Carlos Juan Finlay (1833–1915): of mosquitoes and yellow fever |journal=Singapore Med J |volume=49 |issue=5 |pages=370–1 |year=2008 |month=May |pmid=18465043 |url=http://smj.sma.org.sg/4905/4905ms1.pdf|format=PDF}}</ref> এই কাজটি [[ফিলারিয়াসিস|ফিলারিয়াসিস]]-এর সংক্রমণের ওপর [[জোসিয়াহ সি.নট|জোসিয়াহ সি.নট]]<ref>{{cite journal |author=Chernin E |title=Josiah Clark Nott, insects, and yellow fever |journal=Bull N Y Acad Med |volume=59 |issue=9 |pages=790–802 |year=1983 |month=November |pmid=6140039 |pmc=1911699 |url=}}</ref> এবং [[প্যাট্রিক ম্যানশন|প্যাট্রিক ম্যানশন]]-এর একটি কাজ কে অনুসরণ করে.<ref>{{cite journal |author=Chernin E |title=Patrick Manson (1844–1922) and the transmission of filariasis |journal=Am. J. Trop. Med. Hyg. |volume=26 |issue=5 Pt 2 Suppl |pages=1065–70 |year=1977 |month=September |pmid=20786 |doi= |url=http://www.ajtmh.org/cgi/pmidlookup?view=long&pmid=20786}}</ref>


অবশেষে[[কোলকাতা| কোলকাতা ]]-র [[প্রেসিডেন্সি জেনেরাল হাসপাতাল|প্রেসিডেন্সি জেনেরাল হাসপাতাল]]-এ কর্মরত ব্রিটেন-এর[[রোনাল্ড রস| স্যার রোনাল্ড রস]] 1888 সালে প্রমান করেন যে ম্যালেরিয়া মশার দ্বারাই সংক্রমিত হয়.তিনি দেখান যে কিছু প্রজাতির মশা পাখিদের ম্যালেরিয়া সংক্রমণ করে এবং তারপর তিনি যেসব মশা পাখিদের রক্ত খেয়েছে তাদের লালা-গ্রন্থি থেকে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটগুলো আলাদা করেন - এর মাধ্যমেই তিনি তাঁর আবিস্কার প্রমান করেন. <ref>{{cite web | title = Biography of Ronald Ross | publisher = The Nobel Foundation | url = http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1902/ross-bio.html | accessdate = 2007-06-15}}</ref> এই কাজটির জন্য রস 1902 সালে চিকিত্সাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন.ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিস থেকে পদত্যগের পর রস কাজ করেন সদ্য-প্রতিষ্ঠিত [[লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন|লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন]]-এ এবং [[মিশর |মিশর]], [[পানামা|পানামা]], [[গ্রীস|গ্রীস]] ও[[মরিশাস| মরিশাস]]-এ ম্যালেরিয়া-নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাগুলো পরিচালনা করেন.<ref>{{cite web | title = Ross and the Discovery that Mosquitoes Transmit Malaria Parasites| work = CDC Malaria website | url = http://www.cdc.gov/malaria/history/ross.htm | accessdate = 2007-06-15}}</ref> ফিনলে এবং রস-এর আবিষ্কার পরে 1900 সালে [[ওয়াল্টার রিড|ওয়াল্টার রিড]]-এর নেতৃত্তাধীন মেডিক্যাল বোর্ড অনুমোদন করে এবং সেখানকার নির্দেশগুলো [[পানামা খাল|পানামা খাল]] নির্মানের সময়[[পানামা খাল নির্মানের সময় অবলম্বিত স্বাস্থ্য বিধান| অবলম্বিত স্বাস্থ্য বিধান]]গুলোতে[[উইলিয়াম সি.গর্গ্যাস| উইলিয়াম সি.গর্গ্যাস]] প্রয়োগ করেন.এই জন-স্বাস্থ্য উন্নতির প্রচেষ্টার ফলে প্রচুর শ্রমিকদের জীবন সুরক্ষিত হয় এবং ভবিষ্যতে এই রোগের বিরুদ্ধে জন-স্বাস্থ্য অভিযানগুলোতে ব্যবহারের জন্য পদ্ধতি বিকাশে সাহায্য করে.


ম্যালেরিয়ার প্রথম কার্যকরী চিকিত্সার সুত্র আসে [[সিনকোনা|সিনকোনা গাছ]]-র বাকল থেকে যার মধ্যে আছে[[কুইনাইন| কুইনাইন]]. গাছটি প্রধানত জন্মায় [[পেরু|পেরু]]-তে[[এন্দিজ| এন্দিজ]] পর্বতমালার ঢালে.ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করত [[পেরু|পেরু]]-র অধিবাসীরা এবং 1640 সালে [[জেসুইটস|জেসুইটস]]-রা ইউরোপ-এ এর প্রচলন ঘটায় যা দ্রুত গৃহীত হয়. <ref>{{cite journal | author = Kaufman T, Rúveda E | title = The quest for quinine: those who won the battles and those who won the war | journal = Angew Chem Int Ed Engl | volume = 44 | issue = 6 | pages = 854–85 | year = 2005 | pmid = 15669029 | doi = 10.1002/anie.200400663}}</ref> যাইহোক 1820 সালে প্রথম বার বাকল থেকে কুইনাইন নিষ্কাশন করে আলাদা করে নামকরণ করেন ফরাসী রসায়নবিদ [[পিয়ের জোসেফ পেলেতিয়ের|পিয়ের জোসেফ পেলেতিয়ের]] এবং [[জোসেফ বিয়েনামে কাভেনতু|জোসেফ বিয়েনামে কাভেনতু]].<ref>{{cite journal |author=Kyle R, Shampe M |title=Discoverers of quinine |journal=JAMA |volume=229 |issue=4 | pages = e320 |year=1974 |pmid=4600403 | doi = 10.1001/jama.229.4.462}}</ref>


বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, [[এন্টিবাযোটিক্স|এন্টিবাযোটিক্স]]-এর আগে, [[জুলিয়াস ওয়াগনার-জারেগ|জুলিয়াস ওয়াগনার-জারেগ]]-এর কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে 1} সিফিলিস রোগীদের ইচ্ছাকৃত ম্যালেরিয়া[[সংক্রমিত | সংক্রমণ ]]করানো হত একটা [[জ্বর |জ্বর]] সৃষ্টির জন্য .[[কুইনাইন|কুইনাইন]] দিয়ে জ্বরটিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে সিফিলিস ও ম্যালেরিয়া দুটোরই প্রভাব কমিয়ে আনা যাবে.ম্যালেরিয়াতে বেশ কিছু রোগীর মৃত্যু হলেও সিফিলিসের অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর থেকে এটা অপেক্ষাকৃত বান্চ্ছনীয় বলে ভাবা হত.<ref>{{cite journal | author = Raju T | title = Hot brains: manipulating body heat to save the brain | doi= 10.1542/peds.2005-1934 | journal = Pediatrics | volume = 117 | issue = 2 | pages = e320–1 | year = 2006 | pmid = 16452338 |url=http://pediatrics.aappublications.org/cgi/content/full/117/2/e320}}</ref>


ম্যালেরিয়া জীবন চক্রের রক্ত পর্ব ও মশা পর্ব উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চিন্হিত করা গেলেও, 1980 সালের আগে প্যারাসাইটটির অন্তর্নিহিত যকৃত রূপটি আবিষ্কৃত হয়নি.<ref>{{cite journal | author = Krotoski W, Collins W, Bray R, ''et al.'' | title = Demonstration of hypnozoites in sporozoite-transmitted Plasmodium vivax infection | journal = Am J Trop Med Hyg | volume = 31 | issue = 6 | pages = 1291–3 | year = 1982 | pmid = 6816080}}</ref> <ref>{{cite journal | author = Meis J, Verhave J, Jap P, Sinden R, Meuwissen J | title = Malaria parasites--discovery of the early liver form | journal = Nature | volume = 302 | issue = 5907 | pages = 424–6 | year =1983 | pmid = 6339945 | doi = 10.1038/302424a0}}</ref> প্যারাসাইটটির এই অন্তর্নিহিত রূপটির আবিষ্কার অবশেষে বুঝতে সাহায্য করে যে কেন ম্যালেরিয়া সেরে গেলেও পুনরায় দেখা দিতে পারে রক্তের মধ্য থেকে প্যারাসাইট অদৃশ্য হওয়ার বহু বছর পর.



===মানুষের জিনের ওপর ম্যালেরিয়ার অভিব্যক্তির/বিবর্তনের বলপ্রয়োগ ===
{{further|[[Evolution]], [[Natural selection]]}}
বলা হয় সাম্প্রতিক ইতিহাসে [[হিউম্যান জিনোম|হিউম্যান জিনোম]]-এর ওপর ম্যালেরিয়া হল সর্ব বৃহত [[নির্বাচন |নির্দিষ্ট বলপ্রয়োগ]] বা সিলেক্টিভ প্রেসার.[221] এর কারণ [[মৃত্যু |মৃত্যু]] ও [[রোগের লক্ষণপূর্ণতা |রোগ]]-এর উচ্চ মাত্রা যা ম্যালেরিয়া ঘটায় বিশেষত ''[[প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম|পি.ফ্যালসিপেরাম ]]'' প্রজাতি.



====সিকেল-সেল রোগ ====
[[File:Paludisme - Frequence statistique.png|thumb|right|1996-তে ম্যালেরিয়ার উত্স ও আবির্ভাবের মাপাংক [222]]]
{{Original research|date=April 2009}}
{{Unreferenced section|date=April 2009}}
হিউম্যান জিনোম-এর ওপর ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট-এর সব থেকে বেশি প্রভাব হল একটা বংশগত রোগ যার নাম [[সিকেল-সেল রোগে|সিকেল-সেল রোগ]].সিকেল-সেল উপসর্গটি রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু কেউ সিকেল দ্বারা আংশিক ভাবে আক্রান্ত হলেও ম্যালেরিয়ার বিরদ্ধে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষিত থাকে.


সিকেল-সেল রোগে ''HBB'' জিনের একটা পরিবর্তন ঘটে যেটি [[হিমোগ্লোবিন|হিমোগ্লোবিন]] -এর বেটা-গ্লোবিন সাবইউনিট কে এনকোড করে . সাধারণ আলীল একটা [[গ্লুটামেট|গ্লুটামেট]] এনকোড করে বেটা-গ্লোবিন প্রোটিনের ছয় নম্বর স্থানে যেখানে সিকেল-সেল আলীল একটা [[ভ্যালিন|ভ্যালিন]] এনকোড করে . হাইড্রফিলিক থেকে হাইড্রফবিক আমাইনো আসিড-এ এই পরিবর্তন হিমোগ্লোবিন অনুগুলোর বন্ধনে সাহায্য করে হিমোগ্লোবিনের পলিমারাইজেসন সহ যা লাল রক্ত কনিকা কে বিকৃত করে একটা "সিকেল" বা "কাস্তে" আকাট ধারণ করায়.এই ধরনের বিকৃত কোষগুলো রক্ত থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়, বিশেষত প্লীহা থেকে, ধ্বংস ও পুনর্সন্চালনার জন্য.


ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট জীবন চক্রের মেরোজৈট পর্বে, প্যারাসাইটটি লাল রক্ত কনিকার ভেতরে থাকে এবং তার মেটাবলিজিম লাল রক্ত কনিকার অভ্যন্তরীণ রসায়নে পরিবর্তন আনে. সংক্রমিত কোষগুলো প্যারাসাইট-এর প্রজনন অবধি বাঁচে কিন্তু লাল কনিকাতে যদি সিকেল ও সাধারণ হিমোগ্লোবিনের একটা মিশ্রন থাকে তাহলে কন্যা প্যারাসাইট জন্ম নেওয়ার আগেই সেটির বিকৃত ও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে. সুতরাং, সিকেল-সেল ট্রেইট নামে পরিচিত পরিবর্তিত আলীল-এর একক [[হেটেরোজাইগস|হেটেরোজাইগস]]-এর [[এনিমিয়া (রক্তাল্পতা) |এনিমিয়া]] (রক্তাল্পতা)-র নিম্ন ও সাধারনত গুরুত্বহীন মাত্রা থাকতে পারে কিন্তু গুরুতর ম্যালেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাব নাও কম থাকে.[[হেটেরোজাইগট এডভান্টেজ|হেটেরোজাইগট এডভান্টেজ]] -এর এটা একটা ধ্রুপদী উদাহরণ .


পরিবর্তনের জন্য একক [[হোমোজাইগস|হোমোজাইগস]] -এর সম্পূর্ণ সিকেল-সেল রোগ থাকে এবং ঐতিহ্যবাহী সমাজে খুব কোন সময়েই বয়ঃসন্ধির পর বেঁচে থাকে.যাইহোক, যেসব [[স্থানীয় (মহামারী বিষয়ক বিদ্যা)|জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি]] সেখানে সিকেল-সেল জিনের [[জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার|পুনঃপুনঃ ঘটার হার ]]10%. সিকেল-টাইপ হিমোগ্লোবিনের [[হেপ্লোটাইপ |হ্যাপ্লোটাইপ]] -এর চার রকম ভাগের অস্তিত্ব বোঝায় যে এই বিভাজন বা পরিবর্তন ম্যালেরিয়া-কবলিত এলাকায় অন্তত চার বার [[সমকেন্দ্রীয় বিকাশ |স্বাধীনভাবে]] উঠে এসেছে যা সেই সাব আক্রান্ত অঞ্চলে সেটির অভিব্যক্তির সুবিধা বর্ণনা করে.HBB জিনের অনান্য অনেক পরিবর্তন আছে যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের জন্য একই রকম প্রতিরোধ-সক্ষম হিমোগ্লোবিন অনু উত্পাদন করে.এই পরিবর্তনগুলো HbE ও HbC গোত্রের হিমোগ্লোবিন উত্পাদন করে যা যথাক্রমে [[দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া |দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া]] ও [[পশ্চিম আফ্রিকা |পশ্চিম আফ্রিকা]]-য় দেখা যায়.



====থ্যালাসিমিয়াস ====
ম্যালেরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হিউম্যান জিনোম-এ রক্তের সমস্যা সৃষ্টিকারী আরেকরকম নথিভুক্ত পরিবর্তনের সেট পাওয়া যায় যাকে বলা হয় [[থ্যালাসিমিয়াস |থ্যালাসিমিয়াস]].[[সারডিনিয়া|সারডিনিয়া]] এবং [[পাপুয়া নিউ গিনি|পাপুয়া নিউ গিনি]]-তে হওয়া গবেষণা থেকে জানা গেছে যে [[থ্যালাসিমিয়া#বিটা (β) থ্যালাসিমিয়াস|β-থ্যালাসিমিযাস]]-এর [[জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার|জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার]] একটা নির্দিষ্ট জনসংখ্যায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মাত্রার সঙ্গে যুক্ত.[[লাইবেরিয়া|লাইবেরিয়া]] -তে 500 জন শিশুর ওপর হওয়া একটা গবেষণা বলছে যে β-থ্যালাসিমিযাস আক্রান্তদের ক্লিনিকাল ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা 50% কম. এই ধরনের অনান্য গবেষণা α-থ্যালাসিমিয়া-র α+ ধরনটার ভেতর জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপের মধ্যে সুত্র খুঁজে পেয়েছে. সম্ভবত এই জিনগুলো কে মানুষের বিবর্তন-এর ধারার সঙ্গে সঙ্গে [[প্রাকৃতিক নির্বাচন |নির্বাচিত]] করা হয়েছে.



====ডাফি এন্টিজেন====
[[ডাফি এন্টিজেন|ডাফি এন্টিজেন]] হল একরকমের [[এন্টিজেন|এন্টিজেন]] যা [[সেমোকাইন|সেমোকাইন]] রিসেপ্টর হিসেবে শরীরে লাল রক্ত কনিকা ও অনান্য কোষগুলোর ওপর প্রকাশ পায়. রক্ত কনিকার ওপর ডাফি এন্টিজেন-এর প্রকাশটি Fy জিন (Fya, Fyb, Fyc ইত্যাদি .)দ্বারা এনকোড করা থাকে. ''[[প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স |প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স]]'' ম্যালেরিয়া রক্ত কণিকায় প্রবেশের জন্য ডাফি এন্টিজেন ব্যবহার করে . লাল রক্ত কণিকায় কোন ডাফি এন্টিজেন প্রকাশ না করাও যায় (Fy-/Fy-). এই [[জেনোটাইপ|জেনোটাইপ]] -টি ''পি . ভাইভ্যাক্স '' সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে . ইউরোপিয়ান, এশিয়ান এবং আমেরিকান জনসংখায় জেনোটাইপ-টি বিরল কিন্তু পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা-র অধিবাসী বেশিরভাগ জনসংখ্যার মধেই এটি পাওয়া যায়.[226]এর কারণ হিসেবে ভাবা হয় শেষ হাজার বছরে [[আফ্রিকা|আফ্রিকা]] -তে ''পি . ভাইভ্যাক্স '' -এর অতিরিক্ত প্রকটরূপে দেখা দেওয়া.



====G6PD====
[[গ্লুকোজ -6-ফসফেট ডিহাইড্রোজিনেস |গ্লুকোজ -6-ফসফেট ডিহাইড্রোজিনেস]] (G6PD) হল একটা [[এনজাইম|এনজাইম]] লাল রক্ত কণিকায় [[অক্সিডেটিভ স্ট্রেস|অক্সিডেটিভ স্ট্রেস]] -এর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দান করে.যাইহোক, এই এনজাইম-এ একটা জেনেটিক অভাব গুরুতর ম্যালেরিয়ার বিরদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধি করে.



====HLA ও interleukin-4====
[[হিউম্যান লিউকোসাইট এন্টিজেন|HLA-B53]] গুরুতর ম্যালেরিয়ার অল্প ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত . এই [[মেজর হিসটোকমপ্যাটিবিলিটি কমপ্লেক্স |MHC class I]] অণুটি [[যকৃত |লিভার]] (যকৃত) স্টেজ ও [[স্পোরোজৈট|স্পোরোজৈট]] [[এন্টিজেন |এন্টিজেন]] দেয় [[T-কোষ|T-কোষ]] গুলোকে . সচল T কোষ উত্পাদন করে IL4 দ্বারা এনকোড করা Interleukin-4 কে এবং এন্টিবডি-সৃষ্টিকারী B কোষগুলোর বিস্তার ও বিভাজন বর্ধন করে.প্রতিবেশী জাতি গোষ্ঠীর থেকে যারা কম ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয় ও যাদের দেহে ম্যালেরিয়া-বিরোধী এন্টিবডি উচ্চ মাত্রায় উপস্থিত সেই বুর্কিনা ফাসো-র ফুলানি-দের নিয়ে একটা গবেষণা থেকে জানা যায় লে IL4-524 T আলীলটি ম্যালেরিয়া এন্টিজেন বিরোধী উত্থিত এন্টিবডি মাত্রার সঙ্গে যুক্ত,যেটির জন্য একটা সম্ভাবনা দেখা যায় যে এটা
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বর্ধিত প্রতিরোধের একটা কারণ বিশেষ . <ref>{{cite journal |author=Verra F, Luoni G, Calissano C, Troye-Blomberg M, Perlmann P, Perlmann H, Arcà B, Sirima B, Konaté A, Coluzzi M, Kwiatkowski D, Modiano D |title=IL4-589C/T polymorphism and IgE levels in severe malaria |journal=Acta Trop. |volume=90 |issue=2 |pages=205–9 |year=2004 |pmid=15177147 | doi = 10.1016/j.actatropica.2003.11.014}}</ref>



==সমাজ ও সংস্কৃতি ==
{{further|[[Diseases of poverty]], [[Tropical disease]]}}
[[File:Malaria geographic distribution 2003.png|thumb|2003 সালে যে সব দেশগুলিতে স্থানীয় ভাবে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল (হলুদ রং). [231] সবুজ রঙ্গা দেশগুলি পুরোটাই স্থানীয় ম্যালেরিয়া মুক্ত ছিল ]]
ম্যালেরিয়া প্রায় 250 মিলিয়ন জ্বরের ঘটনা ও বছরে আনুমানিক এক মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ.<ref name="wmr08">2005 WHO [http://www.who.int/malaria/mediacentre/wmr2008/ বিশ্ব ম্যালেরিয়া বিবরণ 2008]</ref> এর মধ্যে বেশিরভাগটিই হয় 5 বছরের চেয়ে কম বয়সী বাচ্চাদের ; <ref name="greenwood2005">{{cite journal | author=Greenwood BM, Bojang K, Whitty CJ, Targett GA | title=Malaria | journal=Lancet | year=2005 | volume=365 | pages=1487–1498 | pmid = 15850634 | doi = 10.1016/S0140-6736(05)66420-3}}</ref> বিশেষত অন্তঃসত্তা মহিলারাও যথেষ্ট এই রোগ প্রবন.1992-এর পর থেকে যেসব জায়গায় এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল সেখানে সংক্রমণ কমানো ও চিকিত্সা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করা হলেও খুব অল্প পরিবর্তন আনা গেছে.<ref>{{cite journal | author = Hay S, Guerra C, Tatem A, Noor A, Snow R | title = The global distribution and population at risk of malaria: past, present, and future | journal = Lancet Infect Dis | volume = 4 | issue = 6 | pages = 327–36 | year = 2004 | pmid = 15172341 | doi = 10.1016/S1473-3099(04)01043-6}}</ref>প্রকৃতপক্ষে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ যদি বর্তমানের মত এরম উর্দ্ধমুখী থাকে তাহলে আগামী কুঁড়ি বছরে মৃত্যুর হার দ্বিগুন হতে পারে.
<ref name="Breman"></ref> সঠিক পরিসংখ্যানটি অজানা কারণ গ্রামাঞ্চলে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যেখানে মানুষের কাছে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যের অনান্য সুযোগসুবিধা মেলেনা বা সেগুলো তাদের সামর্থে কুলিয়ে ওঠেনা.ফলত, বেশিরভাগ ঘটনাই থেকে যায় অনথিভুক্ত.<ref name="Breman">{{cite journal | author = Breman J | title = The ears of the hippopotamus: manifestations, determinants, and estimates of the malaria burden | url=http://www.ajtmh.org/cgi/content/abstract/64/1_suppl/1 | journal = Am J Trop Med Hyg | date = January 1, 2001 | volume = 64 | issue = 1-2 Suppl | pages = 1–11 | pmid = 11425172 | month = Jan | day = 01 }}</ref>


HIV ও ম্যালেরিয়ার সহ-সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি হলেও, HIV/[[যক্ষা|যক্ষা]]-র ক্ষেত্রে সেটা অতটা সমস্যার নয় কারণ দুটি রোগ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে আক্রমন করে. ম্যালেরিয়া বেশিরভাগ সময় যুবক/যুবতীদের হয় এবং সচল যক্ষা প্রধানত বৃদ্ধদের মধ্যেই দেখা যায়.<ref>{{cite journal | author = Korenromp E, Williams B, de Vlas S, Gouws E, Gilks C, Ghys P, Nahlen B | title = Malaria attributable to the HIV-1 epidemic, sub-Saharan Africa | url=http://www.cdc.gov/ncidod/EID/vol11no09/05-0337.htm | journal = Emerg Infect Dis | volume = 11 | issue = 9 | pages = 1410–9 | year = 2005 | pmid = 16229771}}</ref> যদিও HIV/ম্যালেরিয়া সহ-সংক্রমণ HIV ও TB-এর থেকে কম গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ করে , HIV ও ম্যালেরিয়া একে অপরের বিস্তারে সাহায্য করে.এটা হয় কারণ ম্যালেরিয়া [[ভাইরাল লোড|ভাইরাল লোড ]]বাড়িয়ে তোলে আর HIV সংক্রমণ একজন মানুষের ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে.<ref>{{cite journal |author=Abu-Raddad L, Patnaik P, Kublin J |title=Dual infection with HIV and malaria fuels the spread of both diseases in sub-Saharan Africa |journal=Science |volume=314 |issue=5805 |pages=1603–6 |year=2006 | pmid = 17158329 | doi = 10.1126/science.1132338}}</ref>


ম্যালেরিয়ার প্রকোপ এখন দেখা যায় বিষুবরেখা-র কাছে,[[আমেরিকাস | আমেরিকাস]]-এর অঞ্চলগুলোতে,[[এশিয়া| এশিয়া]]-র অনেক জায়গায় এবং [[আফ্রিকা|আফ্রিকা]]-র বহু এলাকায়; যাইহোক, উপ-সাহারান আফ্রিকা-তেই 85-90% ম্যালেরিয়ার চূড়ান্ত প্রকোপ লক্ষিত হয়.<ref>{{cite web | author = Layne SP | title = Principles of Infectious Disease Epidemiology /| work = EPI 220 | publisher = UCLA Department of Epidemiology | url = http://web.archive.org/web/20060220083223/http://www.ph.ucla.edu/epi/layne/Epidemiology+220/07.malaria.pdf | accessdate = 2007-06-15|format=PDF}}</ref> বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ভৌগলিক পরিবেশনাটি জটিল, এবং ম্যালেরিয়া -কবলিত ও ম্যালেরিয়া-মুক্ত এলাকাগুলো দেখা যায় একে অপরের কাছাকাছি.<ref name="greenwood2002">{{cite journal | author=Greenwood B, Mutabingwa T | title=Malaria in 2002 | journal=Nature | year=2002 | volume=415 | pages=670–2 | pmid = 11832954 | doi = 10.1038/415670a}}</ref> শুষ্ক অঞ্চলগুলিতে প্রায় সঠিকভাবে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আগে থেকেই বলা যায় বৃষ্টির পরিমান মেপে. <ref>{{cite journal | author = Grover-Kopec E, Kawano M, Klaver R, Blumenthal B, Ceccato P, Connor S | title = An online operational rainfall-monitoring resource for epidemic malaria early warning systems in Africa | url= | journal = Malar J | volume = 4 | issue = | pages = 6 | year = 2005 | pmc = 548290 | pmid = 15663795 | doi = 10.1186/1475-2875-4-6}}</ref>শহরের থেকে ম্যালেরিয়া গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা যায় ; ব্যাপারটা [[ডেঙ্গু জ্বর |ডেঙ্গি জ্বর]]-এর উল্টো, ডেঙ্গিতে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকে.<ref>{{cite journal |author=Van Benthem B, Vanwambeke S, Khantikul N, Burghoorn-Maas C, Panart K, Oskam L, Lambin E, Somboon P |title=Spatial patterns of and risk factors for seropositivity for dengue infection | url=http://www.ajtmh.org/cgi/content/full/72/2/201 |journal=Am J Trop Med Hyg |volume=72 |issue=2 |pages=201–8 |date= February 1, 2005 | pmid = 15741558 |month=Feb |day=01 }}</ref> উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে[[ভিয়েতনাম| ভিয়েতনাম]],[[লাওস | লাওস]] ও [[কাম্বোডিয়া |ক্যামবডিয়া]]-র মত শহর কার্যত ম্যালেরিয়া মুক্ত, কিন্তু বেশ কিছু গ্রামাঞ্চলে রোগটির উপস্থিতি রয়েছে.<ref>{{cite journal |author=Trung H, Van Bortel W, Sochantha T, Keokenchanh K, Quang N, Cong L, Coosemans M |title=Malaria transmission and major malaria vectors in different geographical areas of Southeast Asia |journal=Trop Med Int Health |volume=9 |issue=2 | pages = e473 |year=2004 | pmid = 15040560 | doi = 10.1046/j.1365-3156.2003.01179.x}}</ref> আবার আফ্রিকা-তে ম্যালেরিয়া গ্রাম ও শহর দুটো জায়গাতেই বর্তমান তবে বড় শহরগুলোতে বিপদ কম.<ref>{{cite journal |author=Keiser J, Utzinger J, Caldas de Castro M, Smith T, Tanner M, Singer B |title=Urbanization in sub-saharan Africa and implication for malaria control | url=http://www.ajtmh.org/cgi/content/full/71/2_suppl/118 |journal=Am J Trop Med Hyg |volume=71 |issue=2 Suppl |pages=118–27 |date= August 1, 2004 |pmid=15331827 |month=Aug |day=01 }}</ref>1960-এর পর থেকে বিশ্ব জুরে ম্যালেরিয়ার [[স্থানীয় (মহামারী বিষয়ক বিদ্যা)|প্রকোপ]] মাত্রা মাপা হয়নি.যাইহোক এটা সংশোধনের জন্য UK-এর[[ ওয়েলকাম ট্রাস্ট| ওয়েলকাম ট্রাস্ট ]][http://www.map.ox.ac.uk ম্যালেরিয়া এটলাস প্রজেক্ট]-এর তহবিলে অর্থদান করেছে<ref>{{cite journal | author = Hay SI, Snow RW | title = The Malaria Atlas Project: Developing Global Maps of Malaria Risk | doi = 10.1371/journal.pmed.0030473 | journal = PLoS Medicine | volume = 3 | issue = 12 | pages = e473 | year = 2006 |pmid=17147467 |pmc=1762059 }}</ref> যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যতের ম্যালেরিয়া-র[[রোগ ভার| রোগ ভার]] আরো সমসাময়িক ও দৃঢ় পদ্ধতি দ্বারা পরিমাপ করা যায়.



===আর্থ-সামাজিক প্রভাব ===


ম্যালেরিয়া শুধুমাত্র দারিদ্রের সঙ্গে যুক্ত একটা রোগ নয়, সেটি দারিদ্রের কারণ এবং [[অর্থনৈতিক উন্নয়ন|অর্থনৈতিক উন্নয়নের]] পথে এক প্রতিবন্ধকতা.ট্রপিকাল অঞ্চলগুলো সব থেকে বেশি আক্রান্ত থাকে যদিও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পৌছে যায় এমন কিছু নাতিশিতষ্ণ অঞ্চলে যেখানে চরম ঋতু পরিবর্তন হয়.যেসব জায়গায় রোগটির প্রকোপ ব্যাপক সেখানে রোগটিকে নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে.19 শতাব্দীর শেষ দিকে এবং 20 শতাব্দীর প্রথম দিকে আমেরিকা-র দক্ষিনের রাজ্যগুলোতে মন্থর অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান কারণ ম্যালেরিয়া.<ref name="humphreys">হামফ্রেস, এম. 2001. ম্যালেরিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র, জাতি ও জন-স্বাস্থ্য. জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস. ISBN 0-8018-6637-5</ref>. 1995 সালে, [[ক্রয় ক্ষমতার সামঞ্জস্য|ক্রয় ক্ষমতায় সামঞ্জস্য আনার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা]] পার ক্যাপিটা GDP -র তুলনা করলে ,একটা পাঁচ ভাগে বিভক্ত প্রভেদ লক্ষিত হয় ম্যালেরিয়া সহ ও ম্যালেরিয়া মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে. ($1,526 USD বনাম $8,268 USD). যেসব দেশে ম্যালেরিয়া হয় , গড়ে পার ক্যাপিটা GDP বেড়েছে (1965 থেকে 1990 অবধি ) শুধু 0.4% প্রত্যেক বছরে কিন্তু অনান্য দেশে সেটা বেড়েছে 2.4% . <ref name="sachs2002">{{cite journal | author=Sachs J, Malaney P | title=The economic and social burden of malaria | journal=Nature | year=2002 | volume=415 | pages=680–5 | pmid = 11832956 | doi = 10.1038/415680a}}</ref> দারিদ্র একাধারে কারণ এবং ফল.রোগটা প্রতিরোধ করার বা চিকিত্সা করার মত অর্থনৈতিক সমর্থ গরিব মানুষদের নেই. মালাউই-তে 4% গৃহ আয়ের উচ্চ থেকে নিম স্তরে তুলনা করলে দেখা যায় নিম্ন আয়-এর মানুষদের বার্ষিক আয়ের 32% এই রোগটির পিছনে খরচা হয়.{{Citation needed|date=November 2008}} সর্বসমেত ম্যালেরিয়ার অর্থনৈতিক প্রভাব আফ্রিকা-তে প্রত্যেক বছর আনুমানিক $12 বিলিয়ন USD ব্যয় হয়.অর্থনৈতিক প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য খাতে খরচা, অসুস্থতা বশত কাজের দিন নষ্ট, শিক্ষার দিন নষ্ট, সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার দ্বারা মস্তিষ্ক ক্ষয়ের জন্য নিম্নগামী উত্পাদনক্ষমতা এবং বিনিয়োগ ও পর্যটন-এ ক্ষতি.<ref name="greenwood2005"></ref>কিছু কিছু ম্যালেরিয়া ভারাক্রান্ত দেশে রোগটির জন্য জন-স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের 40% , আউটপেশেন্ট ভর্তির 30-50% এবং আউটপেশেন্ট ভিসিটের প্রায় 50% ব্যবহৃত হয়.<ref>{{cite web | author=Roll Back Malaria | title=Economic costs of malaria | url=http://www.rbm.who.int/cmc_upload/0/000/015/363/RBMInfosheet_10.htm|publisher=[[World Health Organization|WHO]] | accessdate=2006-09-21}}</ref>



==আরো দেখুন==

*[[AIDS, টিউবারক্যুলিসিস ও ম্যালেরিয়া দূরীকরণের জন্য বিশ্ব তহবিল|AIDS, টিউবারক্যুলিসিস ও ম্যালেরিয়া দূরীকরণের জন্য বিশ্ব তহবিল]]
*[[ম্যালেরিয়া অপসারণে অংশীদারিত্ব (RBM) |ম্যালেরিয়া অপসারণে অংশীদারিত্ব (RBM) ]]
*[[ম্যালিরিয়া প্রতিষেধকের জন্য কর্মপ্রচেষ্টা (MMV)|ম্যালিরিয়া প্রতিষেধকের জন্য কর্মপ্রচেষ্টা (MMV)]]
*[[ভুবনিকরণ ও রোগ |ভুবনিকরণ ও রোগ ]]
*[[সংক্রামক রোগগুলির নিশ্চিহ্নকরণ |সংক্রামক রোগগুলির নিশ্চিহ্নকরণ ]]
*[[আঞ্চলিক অসুখ|আঞ্চলিক অসুখ]]গুলি
*''[[সেভ মাই সোল - ম্যালেরিয়া দূরীকরণের উদ্দেশ্যে সঙ্গীত|সেভ মাই সোল - ম্যালেরিয়া দূরীকরণের উদ্দেশ্যে সঙ্গীত]]'' (অ্যালবআম)



==উল্লেখপঞ্জি ==
{{reflist|2}}



==বহি:সূত্র==
'''সাধারণ তথ্য '''

* [http://www.who.int/malaria/ WHO site on ম্যালেরিয়া]
* [http://www.rollbackmalaria.org/gmap/ বিশ্ব ম্যালেরিয়া কর্ম পরিকল্পনা ]
* [http://www.map.ox.ac.uk/ ম্যালেরিয়া সতর্কীকরণ প্রকল্প ]
* [http://www.mmv.org ম্যালিরিয়া প্রতিষেধকের জন্য কর্মপ্রচেষ্টা (MMV)]
* [http://www.rollbackmalaria.org/wmr2005/ বিশ্ব ম্যালেরিয়া বিবরণ 2005]
* [http://www.doctorswithoutborders.org/news/malaria/index.cfm সীমানাহীন ডাক্তার/সীমান্তহীন ওষুধ - ''ম্যালেরিয়া''] তথ্য পৃষ্ঠা
* [http://www.nlm.nih.gov/medlineplus/malaria.html মেডিসিন প্লাস - ''ম্যালেরিয়া'']


{{Protozoal diseases}}


[[Category:এপিকমপ্লেক্সা ]]
[[Category:কীট-পতঙ্গবাহী রোগ সমূহ ]]
[[Category:ম্যালেরিয়া]]
[[Category:চিকিত্সা-বিষয়ক আপত্কালীন ব্যবস্থা ]]
[[Category:পরাশ্রয়ী রোগ সমূহ ]]
[[Category:আঞ্চলিক রোগ সমূহ ]]
[[Category:ম্যালেরিয়া থেকে মৃত্যু ]]
[[Category:অবহেলিত রোগ সমূহ ]]


{{Link FA|de}}
{{Link FA|hi}}
{{Link FA|uk}}


[[af:Malaria]]
[[ar:ملاريا]]

[[en:Malaria]]
[[en:Malaria]]
[[gn:Akanundu ro'y]]
[[zh-min-nan:Ma-lá-lí-á]]
[[bs:Malarija]]
[[bg:Малария]]
[[ca:Malària]]
[[cs:Malárie]]
[[cy:Malaria]]
[[da:Malaria]]
[[de:Malaria]]
[[dv:މެލޭރިޔާ]]
[[et:Malaaria]]
[[el:Ελονοσία]]
[[es:Malaria]]
[[eo:Malario]]
[[eu:Malaria]]
[[fa:مالاریا]]
[[fo:Malaria]]
[[fr:Paludisme]]
[[gl:Malaria]]
[[ko:말라리아]]
[[hi:मलेरिया]]
[[hr:Malarija]]
[[id:Malaria]]
[[ia:Malaria]]
[[is:Malaría]]
[[it:Malaria]]
[[he:מלריה]]
[[jv:Malaria]]
[[ka:მალარია]]
[[sw:Malaria]]
[[la:Malaria]]
[[lv:Malārija]]
[[lt:Maliarija]]
[[hu:Malária]]
[[mk:Маларија]]
[[ml:മലമ്പനി]]
[[mt:Malarja]]
[[mr:मलेरिया]]
[[arz:مالاريا]]
[[ms:Malaria]]
[[nl:Malaria]]
[[ne:मलेरिया]]
[[ja:マラリア]]
[[no:Malaria]]
[[nn:Malaria]]
[[oc:Malària]]
[[om:Malaria]]
[[:পি এন বি :ملیریا|পি এন বি :ملیریا]]
[[ps:ملاريا]]
[[pl:Malaria]]
[[pt:Malária]]
[[ro:Malarie]]
[[qu:Chukchu]]
[[ru:Малярия]]
[[scn:Malaria]]
[[simple:Malaria]]
[[sk:Malária]]
[[sl:Malarija]]
[[sr:Маларија]]
[[sh:Malarija]]
[[su:Malaria]]
[[fi:Malaria]]
[[sv:Malaria]]
[[tl:Malarya]]
[[ta:மலேரியா]]
[[te:మలేరియా]]
[[th:มาลาเรีย]]
[[tr:Sıtma]]
[[uk:Малярія]]
[[vi:Sốt rét]]
[[war:Malarya]]
[[yi:מאלאריע]]
[[bat-smg:Maliarėjė]]
[[zh:疟疾]]

১০:৪৯, ২৩ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ম্যালেরিয়া
বিশেষত্বসংক্রামক রোগ, tropical medicine, পরজীবীবিজ্ঞান উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ম্যালেরিয়া একটা মশা-বাহিত সংক্রামক রোগ যার মূলে রয়েছে প্রটোজোয়ান(এক কোষী প্রাণী) প্যারাসাইটস (পরজিবি প্রাণী). আমেরিকাস,এশিয়া এবং আফ্রিকা-র কিছু অংশ সহ ট্রপিকাল ও সাব-ট্রপিকাল অঞ্চলগুলোতে এই রোগের সংক্রমণ ব্যাপক.প্রত্যেক বছর প্রায় 350–500 মিলিয়ন ম্যালেরিয়ার নমুনা পাওয়া যায়[১], মারা যায় এক থেকে তিন মিলিয়ন মানুষ যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকা-র উপ-সাহারান অঞ্চলের শিশু.[২] ম্যালেরিয়া ঘটিত নব্বই শতাংশ মৃত্যু এই উপ-সাহারান আফিকাতেই হয়.সাধারনত ম্যালেরিয়া কে দারিদ্রের সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হয় কিন্তু ম্যালেরিয়া দারিদ্রেরও একটা বড় কারণ[৩] এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এক প্রবল প্রতিবন্ধকতা.


ম্যালেরিয়া সংক্রমক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং জনস্বাস্থ্য -এর এক ভীষণ সমস্যা.প্লাজমোডিয়াম গোত্র-এর প্রটোজোয়ান প্যারাসাইট হল এই রোগের প্রধান কারণ.মানুষের দেহে পাঁচ রকমের প্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট সংক্রমণ ঘটতে পারে, রোগটির গুরুতর আকার ধারণ করার মূলে থাকে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম .প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স , প্লাজমোডিয়াম ওভালে প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরে যে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঘটায় তা মারাত্মক না. প্লাজমোডিয়াম নলেসী নামক একটা পঞ্চম প্রজাতি বাঁদর-দের মধ্যে সংক্রমণ ঘটালেও মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে. এই শ্রেনীর হিউম্যান-প্যাথোজেনিক প্লাজমোডিয়াম প্রজাতি কে সাধারনত ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট রূপে চিন্হিত করা হয়.


সাধারনত মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয় সংক্রমণকারী স্ত্রী (আনোফেলিস) মশা কামড়ালে.আনোফেলিস মশাই একমাত্র ম্যালেরিয়া সংক্রমিত করতে পারে এবং তাদেরও আগে কোন এক আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত খাওয়ার সময় সংক্রমিত হয়ে থাকতে হবে.যখন একটা মশা একজন সংক্রমিত মানুষ কে কামড়ায় তখন অল্প একটু রক্ত নিয়ে নেয় যাতে থাকে ক্ষুদ্র ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট.প্রায় এক সপ্তাহ পরে যখন মশাটি আবার রক্ত খায় তখন এই প্যারাসাইটগুলো মশার লালার সঙ্গে মিশে যায় এবং যাকে সেই মশাটি কামড়াচ্ছে সেই ব্যক্তির শরীরে ঢুকে যায়. প্যারাসাইটগুলো রক্তের লাল কনিকা-য় বংশবৃদ্ধি করে যার ফলে এনিমিয়া(মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, নিশ্বাসের কষ্ট, ট্যাকিকারডিয়া ইত্যাদি ) ও জ্বর, কাঁপুনি, বমি ভাব, ফ্লু-এর মত অসুস্থতা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে কোমা ও মৃত্যুর মত রোগের বিভিন্ন লক্ষণসমূহ দেখা দেয়. ম্যালেরিয়া সংক্রমণ কমানো যায় মশারি বা ইনসেক্ট রেপেলেন্ট (পোকা দূর করার ওষুধ বিশেষ) ব্যবহার করে মশার কামড় প্রতিরোধ করে বা বাড়ির ভেতর কীটনাশক ছড়ানো এবং জমা জল, যেখানে মশা ডিম পাড়ে, সেই জল বার করার মত মশা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করে. ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা হয়েছে যদিও তা খুব একটা সফলতা অর্জন করতে পারেনি কিন্তু নতুন সাব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি উঠে এসেছে যেমন মশার জেনেটিক ম্যানিপুলেশন যার দ্বারা মশাটিকে সংক্রমণ প্রতিরোধক করে তোলা যাবে. [৪]


যদিও কিছু গবেষণার অধীন, তাও এমন কোন ভ্যাকসিন এখন পাওয়া যায়না যেটা ম্যালেরিয়া থেকে উন্নত মানের সুরক্ষা প্রদান করে[৫];প্রতিষেধক ওষুধ ধারাবাহিক ভাবে খেয়ে যেতে হবে সংক্রমণ রুখতে. কিন্তু এই ধরনের প্রোফিল্যাকটিক বা প্রতিষেধক চিকিত্সা রোগ কবলিত এলাকার মানুষগুলোর পক্ষে যথেষ্ট ব্যয়বহুল.রোগ কবলিত এলাকার বেশিরভাগ মানুষেরই দীর্ঘকালীন সংক্রমণের একটা মাত্রা থাকে, যেটা পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা থাকে এবং তাদের একটা আংশিক প্রতিরোধ অনাক্রম্যতা থাকে(প্রতিরোধ ক্ষমতা);প্রতিরোধ ক্ষমতাটি সময়ের সঙ্গে কমে আসে এবং সেরম প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যালেরিয়া প্রবন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে যদি তারা রোগ-মুক্ত কোন স্থানে বেশ কিছু সময় কাটায়. যদি তারা রোগ কবলিত এলাকায় ফিরে আসে তাহলে সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য তাদের কড়া সুপারিশ জারি করা হয়.কুইনাইন বা আর্টেমাইসাইনিন মত ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধকারী ওসুধ দ্বারা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সা করা হয়. যদিও প্যারাসাইটগুলো এই ওসুধ প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে উঠেছে.সুতরাং দেখা যায় যে , বিশ্বের বহু প্রান্তে, ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার জন্য কয়েকটা মাত্র ওসুধই কার্যকরী.


রোগের চিহ্ন

ম্যালেরিয়া রোগের প্রধান উপসর্গ. [10]


ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো হল জ্বর,কাঁপুনি,আথরালজিয়া(হাঁটুর ব্যথা),বমি, এনিমিয়া(হিমলাইসিস দ্বারা ঘটিত),হিমোগ্লোবিনিউরিয়া, রেটিনা ক্ষয়[৬] এবং খিঁচুনি.ম্যালেরিয়ার ধ্রুপদী লক্ষণটি হল হঠাত ঠান্ডা লাগা যার পর আসে কাঠিন্য এবং তারপর জ্বর এবং ঘাম যা প্রায় চার থেকে ছয় ঘন্টা অবধি থাকে.পি.ভাইব্যাক্সপি.ওভালে -এর ক্ষেত্রে দুদিন অন্তর এবং পি.ম্যালেরে -এর ক্ষেত্রে তিনদিন অন্তর.[৭] পি. ফ্যালসিপেরাম -এ 36-48 ঘন্টা অন্তর বারবার এবং প্রায় ধারাবাহিকভাবে জ্বর আসতে পারে. ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুরা অস্বভাভিক অঙ্গবিন্যাস প্রদর্শন করে যেটা একটা গুরুতর মস্তিস্ক ক্ষয়ের লক্ষণ. যদিও এটার কারনটা বোঝা যায়না কিন্তু সম্ভবত ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেসার-এর সঙ্গে এই ঘটনা যুক্ত.[৮]দেখা গেছে শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া জ্ঞানসহায়ক ইন্দ্রিয়গুলোর ক্ষতি করে.দ্রুত মস্তিস্ক বিকাশের সময় এটা ব্যাপক এনিমিয়া (রক্তাল্পতা) ঘটায় যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে.সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার ফলে এই স্নায়ু ক্ষয় দেখা দেয় যার প্রতি শিশুরা বেশি প্রবন.[৯][১০] সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার সঙ্গে রেটিনার সাদা হয়ে যাওয়া যুক্ত,[১১] যা চিকিত্সা ক্ষেত্রে অনান্য জ্বর থেকে এটাকে আলাদা করে চিন্হিত করার এক উল্লেখযোগ্য সুত্র. [১২]


প্রজাতি আকার পর্যাবৃত্তি যকৃতে স্থায়ী ?
প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স
দুই দিন অন্তর হ্যা
প্লাজমোডিয়াম ওভালে
দুই দিন অন্তর হ্যা
প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম
দুই দিন অন্তর না
প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরে
তিন দিন অন্তর না


গুরুতর ম্যালেরিয়া স্বতন্ত্রভাবে ঘটায় পি . ফ্যালসিপেরাম এবং সংক্রমণের 6-14 দিন পরে দেখা দেয়. [১৩] যদি চিকিত্সা না করা হয় তাহলে গুরুতর ম্যালেরিয়ার ফল হল কোমা বা মৃত্যু - কিশোর এবং অন্তঃসত্তা মহিলারা বেশি প্রবন. স্প্লেনোমেগালি(প্লীহা বৃদ্ধি), প্রচন্ড মাথাব্যথা, সেরিব্রাল ইস্কিমিয়া, হেপাটোমেগালি(যকৃত বৃদ্ধি), হাইপোগ্লাইসিমিয়া এবং রিনাল ফেলীয়র(মুত্রাশয় ক্ষয়) সহ হেমোগ্লোবিনিউরিয়া হতে পারে.রিনাল ফেলীয়র ফলে হতে পারে ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার, যেখানে লাইসড লাল রক্ত কনিকা থেকে হিমোগ্লোবিন প্রস্রাবের মধ্যে ঢুকে পড়ে.গুরুতর ম্যালেরিয়া দ্রুত বেড়ে যায় এবং কয়েক ঘন্টা বা দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটাতে পারে.[১৩]যথেষ্ট তদারকি ও চিকিত্সা সত্তেও রোগটির সবথেকে গুরুতর অবস্থায় মৃত্যুর হার 20% বা তার ওপরে উঠতে পারে.[১৪] রোগ কবলিত এলাকাগুলোতে চিকিত্সা প্রায় হয়না বললেই চলে এবং সব রকমের ম্যালেরিয়ার সর্বসমেত মৃত্যুর হার হতে পারে প্রত্যেক দশ জনের মধ্যে এক জনের .[১৫] বিভিন্ন সময় গুরুতর ম্যালেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে রোগটি তাদের বিকাশের হানি করেছে . [১৬]


ক্রনিক ম্যালেরিয়া দেখা যায় পি . ভাইভ্যাক্স পি . ওভালে -এর ক্ষেত্রে , কিন্তু পি . ফ্যালসিপেরাম -এর ক্ষেত্রে এটা দেখা যায়না . এখানে, প্রথম দেখা দেওয়ার কয়েক মাস বা বছর পড়ে রোগটি আবার দেখা দিতে পারে যকৃতে স্থায়ী প্যারাসাইট থাকার জন্য.রক্ত থেকে প্যারাসাইট চলে গেলেই যে ম্যালেরিয়া সেরে গেছে সেটা বলা তাই ঠিক হবেনা. পি . ভাইভ্যাক্স -এর সর্বোচ্চ সুপ্তাবস্থা 30 বছর পর্যন্ত.[১৩] নাতিশিতোষ্ণ এলাকায় প্রায় প্রত্যেক পাঁচটা পি.ভাইভ্যাক্স নমুনার মধ্যে একটা হিপ্নোজৈটস দ্বারা ওভারউইনটারিং হওয়া(মানে মশা কামড়ানোর এক বছরের মধ্যেই রোগটি আবার দেখা দেয়)[১৭]


কারণ

এই অসত্য-রঙের বৈদ্যুতিন মাইক্রগ্রাফ একটি মশার মিডগাট এপিথেলিয়াল কোষের মধ্যে ভাম্যমান একটি টিতেপ্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট (পরজিবি প্রাণী) দেখা যাচ্ছে.


ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট

প্লাজমোডিয়াম (ফাইলাম এপিকমপ্লেক্সা) গোত্রের প্রটোজোয়ান প্যারাসাইট থেকে ম্যালেরিয়া হয়.মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ঘটায় পি.ফ্যালসিপেরাম , পি.ম্যালেরে , পি.ওভালে , পি.ভাইভ্যাক্স এবং পি.নলেসী .[১৮] [১৯] পি . ফ্যালসিপেরাম ই সাধারনত সংক্রমণের কারণ এবং 80% ম্যালেরিয়ার নমুনা ও 90% ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর ঘটনার জন্য দায়ী . [২০] প্যারাসিটিক প্লাজমোডিয়াম প্রজাতি পাখি,সরীসৃপ,বাঁদর,শিম্পাঞ্জি এবং ইঁদুর-দের মধ্যও সংক্রমণ ঘটায়. [২১]বহু সিমিয়ান প্রজাতির ম্যালেরিয়ার দ্বারা মানুষের দেহে সংক্রমণের নমুনা রয়েছে , যেমন পি.নলেসী , পি . ইনুই , পি . সাইনোমল্জি , [২২] পি . সিমীয়ভালে , পি . ব্রাজিলিয়ানাম , P. শোয়েটজি এবং পি. সিমিয়াম ;যদিও পি . নলেসী , ছাড়া এগুলোর বেশিরভাগই জন স্বাস্থ্যের দিক থেকে স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ.[২৩]এভিয়ান ম্যালেরিয়া মুরগি ও টার্কির মৃত্যু ঘটালেও পোল্ট্রি চাষীদের গুরুতর কোন অর্থনৈতিক ক্ষতি করেনা . [২৪] যাইহোক, ঘটনাচক্রে মানুষ দ্বারা সূচিত হয়ে হাওয়াই-এর স্থানীয় পাখি-রা এটা ধ্বংশ করে দিয়েছে, যারা এটার অবর্তমানে প্রতিরোধহীন ভাবে বেড়ে উঠেছে. [২৫]


গঠন

মশা জীবানুবাহক এবং প্লাজমোডিয়াম জীবন চক্র

প্যারাসাইট-এর প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণকারী ও সংক্রমণকারী জীবানুবাহক হল আনোফেলিস প্রজাতির স্ত্রী মশা.একজন সংক্রমিত মানুষের দেহ থেকে জোয়ান মশারা প্রথমে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট তার পাকস্থলিতে গ্রহণ করে এবং এই সংক্রমিত আনোফেলিস মশাগুলো তাদের লালা-গ্রন্থি-তে প্লাজমোডিয়াম স্পোরোজৈট্স বহন করে.একজন সংক্রমিত মানুষের থেকে রক্ত খাওয়ার পর একটা মশা সংক্রমিত হয়ে যায়.পাকস্থলিতে গ্রহণ করার পরে, রক্তে গৃহীত প্যারাসাইট গ্যামেটোসাইট-গুলো আরো বিভক্ত হয়ে পরে পুরুষ ও স্ত্রী জননকোষ-এ এবং শেষে মশার অন্ত্রে একীভূত হয়ে যায়.এটার ফলে একটা উকিনেট সৃষ্টি হয় যা অন্ত্রের ধার ভেদ করে অন্ত্রের দেয়ালে একটা উসিস্ট তৈরী করে.উসিস্ট যখন ফেটে যায় তখন তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে স্পোরোজৈটস যা মশার দেহ থেকে লালা-গ্রন্থি অবধি যায় এবং তারা তখন মানুষের দেহে সংক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকে .এই ধরনের সংক্রমণ কে সাধারনত বলা হয় অ্যান্টেরিয়ার স্টেশন ট্রান্সফার.[২৬]যখন মশাটি রক্ত খায় তখন লালার সঙ্গে স্পোরোজুয়াইট্স চামড়ার মধ্যে ঢুকে যায় .


পুরুষ মশা রোগ সংক্রমণ করেনা কারণ রক্ত খায় একমাত্র স্ত্রী মশাই.আনোফেলিস প্রজাতির স্ত্রী মশা রাতে খেতে বেশি পছন্দ করে.বিকেল থেকেই তারা অনুসন্ধান আরম্ভ করে এবং সারা রাত সেটা চালিয়ে যায় যতক্ষণ না তারা খাদ্য গ্রহণ করছে.রক্ত দান-এর সময়েও ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট পরিবাহিত হতে পারে যদিও এই ধরনের ঘটনা বিরল. [২৭]


প্যাথোজেনেসিস বা রোগনিরুপন

মানব দেহে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট-এর জীবন-চক্র. একটি মশা একবার রক্ত পান করেই একজন মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে. প্রথমে স্পোরোজৈটসগুলি রক্তনালী তে প্রবেশ করে এবং পরে সেগুলি যকৃতে স্থানান্তরিত হয়. প্রথমে যকৃতের কোষগুলিকে (হেপাটোসাইটস) কে সংক্রমিত করে এবং সেগুল্লি গুনিতকে বৃদ্ধি পেয়ে মেরোজৈটস-এ রুপান্তরিত হয়ে যকৃতের কোষগুলিকে ছেঁদা করে দিয়ে আবার রক্তনালী-তে প্রত্যাবর্তন করে. এরপর, মেরোজৈটসগুলি লাল রক্ত কনিকা কে সংক্রমিত করে বৃত্যাকৃতি ধারণ করে, এরপর ট্রফসাইটস (ভক্ষণ পর্যায়), তারপর স্কাইজোন্ট্স (সংখ্যাবৃদ্ধি পর্যায়), তারপর মেরোজৈটস প্রত্যাবর্তন.সংখ্যাবৃদ্ধি কারক অবস্থায়, যাকে জ্যামেটোসাইট বলা হয়, যদি একটি মশা এটিকে খেয়ে ফেলে তাহলে মশাতীয় সংক্রমিত হবে এবং এটি জীবন চক্র চালিয়ে যাবে.


মানুষের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া দুটো পর্বে বিকশিত হয়:একটা এক্সোএরিথ্রসাইটিক এবং একটা এরিথ্রসাইটিক পর্ব.এক্সোএরিথ্রসাইটিক পর্বটির অন্তর্গত হেপাটিক সিস্টেম বা যকৃতের সংক্রমণ আর এরিথ্রসাইটিক পর্বটির অন্তর্গত এরিথ্রসাইট বা লাল রক্ত কনিকার সংক্রমণ.যখন একটা সংক্রমিত মশা একজন মানুষের চামড়া ভেদ করে রক্ত খায় তখন মশার লালা থেকে স্পোরোজুয়াইট্স রক্তে প্রবেশ করে যকৃত-এ পৌছয়.মনুষ্য দেহে প্রবেশের 30 মিনিটের মধ্যে,স্পোরোজৈটস হেপাটোসাইটস-দের সংক্রমিত করে.এরপর তারা 6-15 দিনের মধ্যে অযৌন ও অঔপসর্গিকভাবে বংশবৃদ্ধি করে.একবার যকৃতে পৌঁছনোর পর জীবানুগুলো বিভক্ত হয়ে পরে হাজার হাজার মেরোজৈটস সৃষ্টি করতে যারা তাদের নিয়ন্ত্রক কোষগুলো ফেটে যাওয়ার পর রক্তে প্রবেশ করেলাল রক্ত কনিকা-কে সংক্রমিত করে এবং এই ভাবে জীবন চক্রের এরিথ্রসাইটিক পর্বের সূচনা করে.[২৮] যকৃত থেকে প্যারাসাইটটি সংক্রমিত নিয়ন্ত্রক যকৃত কোষের কোষ পর্দার মোড়কে বেরিয়ে যায়.[২৯]

লাল রক্ত কণিকায় প্যারাসাইটগুলো আবার অযৌন পন্থায় উত্তরোত্তর বংশবৃদ্ধি করে এবং সময়বিশেষে নিয়ন্ত্রক কোষ থেকে বেরিয়ে পরে তাজা লাল রক্ত কনিকা-য় প্রবেশ করার জন্য . এই ধরনের বেশ কিছু সম্প্রসারণ চক্র ঘটতে থাকে.সুতরাং বারবার জ্বরের ধ্রুপদী বর্ণনাটি এসেছে বারবার মেরোজৈটস-দের বেরোনো এবং লাল রক্ত কনিকা সংক্রমণ করা যা একই সঙ্গে ঘটে.


কিছু পি . ভাইভ্যাক্স পি . ওভালে স্পোরোজৈটস সঙ্গে সঙ্গেই এক্সোএরিথ্রসাইটিক-পর্বের মেরোজোয়াইট্স-এ পরিণত হয়না বরং হিপ্নোজৈটস তৈরী করে যা বেশ কিছু মাস (সাধারনত 6–12 মাস ) থেকে তিন বছর অবধি সুপ্ত থাকে.সুপ্তবস্থার পর তারা সক্ষণ হয়ে ওঠে এবং মেরোজোয়াইট্স তৈরী করে.এই দুই রকম ম্যালেরিয়ার দীর্ঘ সুপ্তাবস্থা এবং পরে আবার দেখা দেওয়ার জন্য হিপ্নোজৈটস দায়ী . [৩০]


তুলনামূলকভাবে এই প্যারাসাইট দেহের অনাক্রম্যতা বলয় বা ইমিউন সিস্টেম-এর আক্রমন থেকে সুরক্ষিত কারণ মনুষ্য দেহে তার জীবন চক্রের বেশিরভাগ সময়েই সেটি যকৃতে থাকে এবং তুলনামূলক ভাবে অনাক্রম্যতা তত্ত্বাবধান থেকে মুক্ত. যাইহোক, প্লীহা -য় সংক্রমিত সঞ্চালিত রক্ত কোষ ধ্বংস করে দেওয়া হয়. এই ঘটনা এড়াতে পি.ফ্যালসিপেরাম সংক্রমিত রক্ত কোষের ওপরে আঠালো বা এধেসিভ প্রোটিন প্রদর্শন করে যার ফলে রক্ত কোষগুলো ছোট শিরাগুলোর দেয়ালে আটকে যায় এবং সাধারণ সঞ্চালন ও প্লীহার মধ্য দিয়ে গমন থেকে প্যারাসাইটটিকে বিরত করে স্বতন্ত্র রাখা হয়. [৩১] ম্যলেরিয়ার হেমর্হেজিক জটিলতা দেখা দেওয়ার জন্য এই "আঠালো" ভাবটাই প্রধান কারণ . হাই এন্ডোথেলিয়াল ভেনিউল্স (সংবহনতন্ত্রের সব থেকে ক্ষুদ্র বিভাগ ) কে প্রতিরোধ করা যায় এই সংক্রমিত লাল রক্ত কনিকার অনুসঙ্গ দ্বারা.এই শিরাগুলোর ব্লকেজ-এর ফলে প্ল্যাসেন্টাল ও সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার মত উপসর্গ দেখা দেয়. সেরিব্রাল ম্যালেরিয়াতে স্বতন্ত্র করে রাখা লাল রক্ত কনিকাগুলো রক্ত মস্তিষ্ক বেষ্টনী ভেঙ্গে দিতে পারে যার ফল হল কোমা.[৩২]


লাল রক্ত কনিকা সারফেস এধেসিভ প্রোটিন (যার নাম PfEMP1, প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম -এর জন্য erythrocyte membrane protein 1) ইমিউন সিস্টেম-এ অনাবৃত করা হলেও,তাদের বৈচিত্রের জন্য তারা অনাক্রম্যতা লক্ষ্য হিসেবে ভালো নয় ; একটি প্যারাসাইট-এর মধ্যে প্রোটিনের অন্তত 60 টি ধরন থাকে এবং প্যারাসাইট পপুলেশন(সর্বসমেত সংখ্যা)-এ হয়ত অসংখ্য থাকে. [৩১] PfEMP1 সারফেস প্রোটিনের বিস্তারিত পটভূমিকায় ছদ্মবেশধারণকারী চোর বা বহু পাসপোর্ট থেকে চর-এর মত প্যারাসাইট ভূমিকা অদলবদল করে এবং অন্বেষণকারী ইমিউন সিস্টেমের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকে .


কিছু মেরোজোয়াইট্স পুরুষ এবং স্ত্রী গ্যামেটোসাইটস-এ পরিণত হয়.একটা মশা যখন কোন সংক্রমিত ব্যক্তির চামড়া ভেদ করে রক্ত খায় তখন গ্যামেটোসাইটসগুলোও চলে আসে রক্তের সঙ্গে. মশার অন্ত্রে প্যারাসাইটগুলোর উর্বরতা প্রাপ্তি ও যৌন পুনর্গঠন ঘটে, এবং তার ফলে মশাটি রোগটির নির্দিষ্ট ধারক হিসেবে চিন্হিত হয়.নতুন স্পোরোজৈটস-এর উদ্বব হয় এবং তারা মশার লালা-গ্রন্থি তে পৌছয় যার চক্রটিকে সম্পূর্ণ করে.বিশেষত অন্তঃসত্তা মহিলারা মশাদের আকৃষ্ট করে[৩৩] এবং অন্তঃসত্তা মহিলাদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া স্টিলবার্থ, শিশু মৃত্যু এবং নিম্ন জন্ম ওজনের জন্য দায়ী,[৩৪] বিশেষ করে পি.ফ্যালসিপেরাম সংক্রমনে, ও পি.ভাইভ্যাক্স সহ অন্য প্রজাতির সংক্রমনেও.[৩৫]


নির্ণয়

প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম কোষ (K1 স্ট্রেন)থেকে রক্ত নিসরণ . বহু লাল রক্ত কণিকায় বৃত্যাকার প্রজায় অন্তরভুক্ত থাকে. কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী একটি স্কায়জোন্ট এবং বামদিকে একটি ট্রফজাইট .


1880 সালে শার্ল লাভেরা রক্তে প্রথম ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট দর্শানোর পর থেকে [৩৬]ম্যালেরিয়া নির্ণয়ের একমাত্র উপায়ই ছিল রক্তের দূরবীক্ষণ পরীক্ষা.


ত্রুটিপূর্ণ নির্ণয়ের ফলে আফ্রিকা-তে গুরুতর ম্যালেরিয়া কে অনেক সময় জ্বর বা সেপটিক শক হিসেবে ধরা হয় যা অনান্য জীবন-নাশক রোগের চিকিত্সার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে. ম্যালেরিয়া কবলিত এলাকায় প্যারাসিটিমিয়া গুরুতর ম্যালেরিয়া নির্ণয়ে সাহায্য করে না কারণ প্যারাসিটিমিয়া আকস্মিক বা অন্য রোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে.সাম্প্রতিক গবেষণা বলে যে ম্যালেরিয়াল থেকে নন-ম্যালেরিয়াল কোমা আলাদা করার জন্য ক্লিনিকাল বা পরীক্ষাগার বৈশিষ্টের থেকে ম্যালেরিয়াল রেটিনোপ্যাথি ভালো (95% সর্বসমেত সাড়া ও 90% নির্দিষ্টতা ). [৩৭]


সাধারনত নির্ণয়ের জন্য রক্ত ব্যবহৃত হলেও,গবেষণা করে দেখা গেছে যে লালা ও প্রস্রাব বিকল্প এবং কম আক্রমনাত্মক নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে. [৩৬]


ঔপসর্গিক নির্ণয়

যেসব এলাকার সাধারণ পরীক্ষাগারে নির্ণায়ক পরীক্ষার সামর্থও থাকেনা তারা ব্যক্তিবিশেষ হিসেবে জ্বরের ইতিহাস অনুসরণ করে ম্যালেরিয়া চিকিসার সহায়তার জন্য. মালাউই-তে শিশুদের থেকে গিয়েম্সা-স্টেনড রক্ত ব্যবহার করে একটা গবেষণা দেখায় যে ক্লিনিকাল ভবিষ্যতবক্তা (রেকটাল তাপমাত্রা,ম্লান নখগোরা ও স্প্লেনোমেগালি )চিকিত্সার প্রদর্শক হিসেবে ব্যবহার করলে ম্যালেরিয়ার অপ্রয়োজনীয় চিকিত্সা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ব্যক্তিবিশেষের জ্বরের ইতিহাস ব্যবহারের মত বর্তমান জাতীয়[কোনটি?] নীতির থেকে (রোগীর সাড়া বারে 21% থেকে 41%). [৩৮]


ব্লাড ফিল্ম বা রক্তচ্ছদ-এর দূরবীক্ষণ পরীক্ষা

সব থেকে কম ব্যয়ে, উত্কৃষ্ট ও নির্ভরযোগ্য ম্যালেরিয়া নির্ণয় হল ব্লাড ফিল্ম-এর দূরবীক্ষণ পরীক্ষা কারণ চারটি প্যারাসাইট প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট থাকে.প্রথানুযায়ী দু রকম ব্লাড ফিল্ম ব্যবহার করা হয়.সুক্ষ ফিল্ম সাধারণ ব্লাড ফিল্মের মতই এবং প্রজাতি চিন্হিত করতে সাহায্য করে কারণ এই আয়োজনটির মধেই প্যারাসাইটটির আকার সব থেকে ভালো ভাবে সংরক্ষিত করা হয়. স্থুল ফিল্ম দূরবীক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী কে আরো বড় পরিমানের রক্ত স্ক্রিন করতে সাহায্য করে এবং ফিল্মটি সুক্ষ ফিল্মের থেকে এগারো গুন বেশি অনুভূতিশীল তাই নিম্ন মাত্রার সংক্রমণ তুলে ধরা স্থুল ফিল্মে অনেক সহজ. কিন্তু প্যারাসাইটটির আকারটি বিকৃত হয়ে যায় এবং সেই জন্য বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে প্রভেদ করা অনেক কঠিন হয়ে পরে.দুরকম ফিল্মের দশ গুন পর্যবেক্ষণ করে যেটা একান্ত প্রয়োজনীয় সেটা হল এই দুটো ফিল্ম কে নির্দিষ্ট এক নির্ণয়ে কাজে লাগানো.[৩৯]


স্থুল ফিল্মটি থেকে একজন অভিজ্ঞ দূরবীক্ষণ নিয়ন্ত্রক প্যারাসাইট মাত্রা নির্ধারণ করতে পারবেন (বা প্যারাসিটিমিয়া ) যা হবে লাল রক্ত কনিকার 0.0000001% মত নিম্নে .প্রজাতি নির্ণয় করা সমস্যার কারণ চারটি প্রজাতির প্রাথমিক ট্রফোজৈটস ("রিং ফর্ম ") একই রকম দেখতে এবং একটি একক রিং ফর্ম কে ভিত্তি করে প্রজাতি নির্ণয় কখনই সম্ভব না;প্রজাতি চিন্হিত করতে অনেক ট্রফোজৈট লাগে.


ফিল্ড টেস্ট

যেসব জায়গায় মাইক্রস্কপি উপলব্ধ নয় বা যেখানে পরীক্ষাগারের কর্মীরা ম্যালেরিয়া নির্ণয়ে অভিজ্ঞ নয় সেখানে এন্টিজেন নির্ণায়ক পরীক্ষা হয় যেটিতে মাত্র এক বিন্দু রক্ত লাগে.[৪০] ইমিউনোক্রমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা (ম্যালেরিয়া রাপিড ডায়াগনসটিক পরীক্ষা , এন্টিজেন -ক্যাপচার পরীক্ষা বা "ডিপস্টিক্স " নামেও পরিচিত )উদ্ভাবন করে পরিবেশনা ও ফিল্ডটেস্ট করা হয়েছে . এই পরীক্ষাগুলো ফিঙ্গার-স্টিক বা ভিনাস ব্লাড ব্যবহার করে. সম্পূর্ণ পরীক্ষার সময় 15–20 মিনিটের মত এবং পরীক্ষাগার লাগে না. এই রাপিড ডায়াগনসটিক পরীক্ষাগুলোর নির্ণায়ক সুত্রপাতের শ্রেণী 100 প্যারাসাইট /µl রক্ত মাইক্রস্কপির স্থুল ফিল্মে 5 -এর সঙ্গে তুলনা করলে. প্রথম রাপিড ডায়াগনসটিক টেস্ট পি.ফ্যালসিপেরাম গ্লুটামেট ডিহাইড্রোজেনেজ কে এন্টিজেন হিসেবে ব্যবহার করে.[৪১] PGluDH শীঘ্রই বদল করে পি.ফ্যালসিপেরাম ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজেনেজ ব্যবহার করা হয় যা একটি 33 kDa oxidoreductase [EC 1.1.1.27]. এটা গ্লাইকটিক পথের শেষ এনজাইম যা ATP উত্পাদনে প্রয়োজনীয় এবং পি.ফ্যালসিপেরাম দ্বারা প্রকাশিত এনজাইমগুলোর মধ্যে সব থেকে প্রতুল.PLDH রক্তে থাকেনা,সফল একটা চিকিত্সার পর প্যারাসাইট-এর সঙ্গে সঙ্গেই সরে যায়.চিকিসার পর এন্টিজেন-এর অনুপস্থিতি pLDH টেস্ট কে সহায়ক করে তোলে ভবিষ্যতের চিকিত্সা ঘটিত ব্যর্থতার কথা পূর্বেই জানতে. এই দিক দিয়ে pLDH pGluDH -এর মতই. The OptiMAL-IT পরীক্ষা পি.ফ্যালসিপেরাম ও পি.ভাইভ্যাক্স-এর মধ্যে প্রভেদ করতে পারে কারণ তাদের pLDH আইসোএনজাইম-এর মধ্যে এন্টিজেনিক পার্থক্যের জন্য. OptiMAL-IT নির্ভরযোগ্য ভাবেই ফ্যালসিপেরাম নির্ণয় করতে পারে 0.01% প্যারাসিটিমিয়া অবধি এবং নন -ফ্যালসিপেরাম 0.1% অবধি. প্যারা চেক -Pf 0.002% অবধি প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করতে পারবে কিন্তু ফ্যালসিপেরাম ও নন-ফ্যালসিপেরাম -এর মধ্যে প্রভেদ করতে পারবেনা.প্যারাসাইট নিউক্লিক আসিড নির্ণয় করা হয় পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান ব্যবহার করে.মাইক্রস্কপির থেকে এই পদ্ধতিটি বেশি সঠিক.কিন্তু এটি ব্যয়বহুল এবং নির্দিষ্ট একটা পরীক্ষাগার লাগে এটির জন্য . প্যারাসিটিমিয়ার মাত্রা যে সব সময় রোগটির ক্রম বিকাশের সঙ্গে আপেক্ষিক তা নয়, বিশেষত যখন প্যারাসাইটটি শিরার দেয়ালে সংযুক্ত হতে পারে.সুতরাং আরো অনুভূতিশীল, কম প্রযুক্তির নির্ণায়ক যন্ত্রের উদ্ভাবন করতে হবে ফিল্ডে নিম্ন মাত্রার প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করার জন্য.যেসব এলাকার সাধারণ পরীক্ষাগারে নির্ণায়ক পরীক্ষার সামর্থও থাকেনা তারা ব্যক্তিবিশেষ হিসেবে জ্বরের ইতিহাস অনুসরণ করে ম্যালেরিয়া চিকিসার সহায়তার জন্য. মালাউই-তে শিশুদের থেকে গিয়েম্সা-স্টেনড রক্ত ব্যবহার করে একটা গবেষণা দেখায় যে ক্লিনিকাল ভবিষ্যতবক্তা (রেকটাল তাপমাত্রা,ম্লান নখগোরা ও স্প্লেনোমেগালি )চিকিত্সার প্রদর্শক হিসেবে ব্যবহার করলে ম্যালেরিয়ার অপ্রয়োজনীয় চিকিত্সা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাসপ্রাপ্ত হয় ব্যক্তিবিশেষের জ্বরের ইতিহাস ব্যবহারের মত বর্তমান জাতীয়{0/} নীতির থেকে (রোগীর সাড়া বারে 21% থেকে 41%). [৩৮]


আনবিক পদ্ধতি

কিছু ক্লিনিকাল পরীক্ষাগারে আনবিক পদ্ধতি উপলব্ধ এবং রোগ কবলিত এলাকায় প্রয়োগের আশা নিয়ে রাপিড রিয়েল-টাইম পরীক্ষার (উদাহরণ , পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান-এর ওপর নির্ভরশীল QT-NASBA )[88]উন্নয়ন করা হচ্ছে.


রাপিড এন্টিজেন টেস্ট

OptiMAL-IT 0.01% প্যারাসিটিমিয়াতে নির্ভরযোগ্যভাবেই ফ্যালসিপেরাম ও 0.1%তে নন-ফ্যালসিপেরাম নির্ণয় করতে পারবে. প্যারা চেক-Pf 0.002%তে প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করতে পারবে কিন্তু ফ্যালসিপেরাম ও নন-ফ্যালসিপেরাম -এর মধ্যে প্রভেদ ধরতে পারবেনা.প্যারাসাইট নিউক্লিক আসিড নির্ণয় করা হয় পলিমেরেজ চেন রিয়াকসান ব্যবহার করে . মাইক্রস্কপির থেকে এই পদ্ধতিটি বেশি সঠিক . কিন্তু এটি ব্যয়বহুল এবং নির্দিষ্ট একটা পরীক্ষাগার লাগে এটির জন্য . প্যারাসিটিমিয়ার মাত্রা যে সব সময় রোগটির ক্রম বিকাশের সঙ্গে আপেক্ষিক তা নয়, বিশেষত যখন প্যারাসাইটটি শিরার দেয়ালে সংযুক্ত হতে পারে.সুতরাং আরো অনুভূতিশীল, কম প্রযুক্তির নির্ণায়ক যন্ত্রের উদ্ভাবন করতে হবে ফিল্ডে নিম্ন মাত্রার প্যারাসিটিমিয়া নির্ণয় করার জন্য. [৪২]


প্রতিরোধ

আনোফেলিস এল্বাইম্যানাস মশা মানুষের বাহু থেকে রক্তপান করছে এই মশা টি ম্যালিরিয়া রোগ বাহক এবং মশার দমনই ম্যালেরিয়া প্রতরোধের সরবতকৃষ্ট উপায় .


ম্যালেরিয়া নিবারণের জন্য ও ম্যালেরিয়া কবলিত এলালাকায় মানুষের সুরক্ষার জন্য যেসব পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় সেগুল হল প্রতিষেধক ওষুধ, মশা নির্মূল এবং মশার কামড় প্রতিরোধ. একটা অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ক্রমাগত প্রভাব থাকার জন্য দরকার উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব,উচ্চ মশার সংখ্যার ঘনত্ব এবং মানুষ থেকে মশা ও মশা থেকে মানুষের মধ্যে উচ্চ সংক্রমণের একটা সংযোগ.এগুলোর কোন একটা যদি যথেষ্ট পরিমানে নিম্নমুখী হয় তাহলে প্যারাসাইটটি সে অঞ্চল থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে যেমন হয়েছে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপমধ্য প্রাচ্য-এর কিছু জায়গায়. সমগ্র পৃথিবী থেকে প্যারাসাইটটি নির্মূল না করা হলে যদি তারা প্রজননের উপযোগী সংযোগ পায় তাহলে তারা নিজেদের পুনরায় প্রতিস্থাপন করবে. অনেক দেশগুলোতেই পর্যটন ও দেশান্তরে গমনের ফলে বিদেশ থেকে আসা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে.(আনোফেলিসদেখুন .)


বর্তমানে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক কোন ভ্যাকসিন নেই কিন্তু বিষয়টি সক্রিয় গবেষনার অধীন.


অনেক গবেষকদের মতে পরে চিকিত্সা করার থেকে আগে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করা সাশ্রয়ের কিন্তু এর ব্যয়ভার বহন করা পৃথিবীর দরিদ্রতম মানুষগুলোর সামর্থের বাইরে.অর্থনৈতিক উপদেশটা জেফ্রি শাখস বলেন যে প্রতি বছর US$3 বিলিয়ন অনুদানের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় . বলা হয় যে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল মাফিক কাজ করতে গেলে , HIV/AIDS-এর চিকিত্সা থেকে টাকা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের খাতে পাঠানো উচিত যা আফ্রিকান অর্থনীতিকে একই টাকার বিনিময়ে সহায়তা প্রদান করবে.[৪৩]


তহবিলের পরিবেশন এক এক দেশে এক এক রকম . বিশাল জনসংখ্যার দেশগুলো একই পরিমাণ সাহায্য পায়না . 34 টি দেশের মধ্যে যেসব দেশ $1 -এর কম পার ক্যাপিটা বার্ষিক সাহায্য পায় তাদের মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার কিছু দরিদ্রতম দেশ.


অনান্য উন্নতশীল না পারলেও ব্রাজিল, এরিট্রিয়া, ভারত ও ভিয়েতনাম তাদের ম্যালেরিয়া ভারটিকে সফল ভাবেই কমিয়ে এনেছে.সফলতার মূল চাবিকাঠিগুলো হল দেশের সহায়ক আবহাওয়া, কার্যকরী যন্ত্রসমূহ সম্বলিত একটি লক্ষ্য-কেন্দ্রিক প্রযুক্তিগত কর্মসম্পাদন, ডাটা পরিচালিত নীতি নির্ধারণ, সরকারের সব পর্যায় সক্রিয় নেতৃত্ব, সম্প্রদায়গুলোর অংশগ্রহণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় ও উপ - জাতীয় স্তরে প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা, সহযোগী এজেন্সিগুলোর প্রযুক্তিগত ও প্রগ্রামাটিক সহায়তা এবং যথেষ্ট ও সম্প্রসারণযোগ্য টাকার যোগান . [৪৪]


জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রণ


মশা নির্মূল করে ম্যালেরিয়া নির্মূল করার প্রচেষ্টা কিছু লিচু জায়গায় সফল হয়েছে.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিন ইউরোপ-এ খুব ম্যালেরিয়া হত কিন্তু সংক্রমিত রোগীর তত্ত্বাবধান ও চিকিত্সার সঙ্গে জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রণ সূচী রোগকবলিত জায়গাগুলো থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সাহায্য করেছে.কিছু কিছু জায়গায় জলাজমি সংস্কার ও উত্কৃষ্ট স্বাস্থ্যব্যবস্থা মজুত ছিল.এইরকম পদ্ধতি অবলম্বন করে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে উত্তর USA থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা হয়েছিল এবং 1951 সালের মধ্যে DDT কীটনাশক ব্যবহার করে দক্ষিন থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ করা হয়. [৪৫]US - এ 2002 তে 1,059 খানা ম্যালেরিয়ার ঘটনার রিপোর্ট আছে.এর মধ্যে আট জনের মৃত্যু ঘটে কিন্তু এগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত.


DDT -র আগে ট্রপিকাল অঞ্চলগুলোতেও ম্যালেরিয়া সফলভাবে নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা হত মশাদের বংশবৃদ্ধির জায়গা বা শুককিট পর্বের জলজ আবাস সরিয়ে ফেলে বা বিষাক্ত করে দিয়ে যেমন জমা জলবিশিষ্ট জায়গায় তেল দিয়ে ভরানো বা তেল প্রয়োগ করা.আফ্রিকাতে এই ধরনের পদ্ধতির প্রয়োগ অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় থেকে করা হয়নি.[৪৬]1950 ও 1960 -এর দশকে ম্যালেরিয়া কবলিত অঞ্চলে নির্দিষ্ট ভাবে মশাদের লক্ষ্য করে ম্যালেরিয়া নির্মূল করার বিশ্বব্যাপী একটা প্রধান জনস্বাস্থ্য প্রচেষ্টার সূচনা করা হয়েছিল. [৪৭]কিন্তু উন্নতিশীল দেশের বহু প্রান্ত থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে - আফ্রিকা-তে সব থেকে প্রবল এই রোগের প্রকোপ.


স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক হল একটা নতুন সম্ভাবনাময় মশা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি. ট্রান্সজেনিক বা জেনেটিকালি মডিফাই করা পোকার দিকে অগ্রগতির থেকে একটা সুত্র উঠে আসছে যে বন্য মশাদের ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে.লন্ডন-এর ইম্পিরিয়াল কলেজ-এর গবেষকরা পৃথিবীর প্রথম ট্রান্সজেনিক মশা সৃষ্টি করে [100]এবং একই সঙ্গে 2002 সালে ওহায়ও-তে কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ বিশ্ববিদ্যালয়-এর একটি দোল পেশ করেন প্রথম প্লাজমোডিয়াম-প্রতিরোধক প্রজাতি.[102]জেনেটিকালি মডিফাই করা জনসংখ্যা দ্বারা বর্তমান জনসংখ্যার সফল প্রতিস্থাপন নির্ভর করে একটা ড্রাইভ মেকানিজিম(গঠন প্রণালী)-এর ওপর যেমন স্থান বিনিময়কারী পদার্থগুলোর জরুরি জিনের অ-মেন্ডেলীয় আহরণে সাহায্য করা.[103]আগামী দিনে জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রণ করার একটা আরো আধুনিক পদ্ধতি হল লেজার -দ্বারা উড়ন্ত মশা মারা.[৪৮]


প্রফিল্যাকটিক বা প্রতিষেধক ওষুধ


বহু ওষুধ, যার বেশিরভাগ ম্যালেরিয়ার চিকিত্সায় কাজে লাগে, সেগুলোকে প্রতিষেধক হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে.সাধারনত এই ওষুধগুলো দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভাবে নেওয়া হয় এবং একজন যথার্থ সংক্রমিত রোগীর চিকিত্সায় যেরমভাবে ব্যবহার করা হয় তার থেকে ডোজ কম থাকে. ম্যালেরিয়া কবলিত অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে প্রফিল্যাকটিক ওষুধগুলোর ব্যবহার একেবারেই যুক্তিযুক্ত না.এগুলোর ব্যবহার বিশেষত ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় স্বল্প-সময়ের ভ্রমনকারী বা পর্যটকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়. এর কারণ হল ওষুধগুলোর দাম, দীর্ঘ-সময় ব্যবহারের ফলে নেতিবাচক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া এবং ধনী রাষ্ট্রগুলোর বাইরে কার্যকরী কিছু ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ পাওয়া সমস্যার.


সপ্তদশ শতাব্দী থেকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রফিল্যাকটিক হিসেবে কুইনাইন -এর ব্যবহার শুরু হয় . বিংশ শতাব্দিতে কুইনাক্রাইন, ক্লোরোকয়াইনপ্রাইমাকয়াইন-এরম মত আরো বিকপ্লের আবিষ্কার কুইনাইন-এর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনে. প্রফিল্যাক্সিস হিসেবে ব্যবহৃত না হলেও আজও ক্লোরোকয়াইন-প্রতিরোধী প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম -এর চিকিত্সা করার জন্য কুইনাইন ব্যবহার করা হয়. অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে স্যামুয়েল হ্যানিম্যান পর্যবেক্ষণ করেন যে কুইনাইন-এর ওভারডোজ(মাত্রাতিরিক্ত সেবন) হলে ম্যালেরিয়ার মতই একটা উপসর্গ দখা দেয়.এটি তাকে ল অফ সিমিলার্সহোমিওপ্যাথি উদ্ভাবনে সাহায্য করে .


যেসব আধুনিক ওষুধ প্রতিষেধক রূপে ব্যবহৃত হয় সেগুলো হল মেফ্লোকয়াইন(ল্যারিয়াম ), দক্সিসাইক্লিন( জেনেরিক ভাবে উপলব্ধ)এবং আটোভাকুওনপ্রগুয়ানিল হাইড্রোক্লোরাইড(মালারন ).কোন ওষুধ খাওয়া উচিত নির্ভর করে কোন ওষুধগুলোর প্রতিরোধ প্যারাসাইট করবে ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও অনান্য কারণের ওপর.প্রফিল্যাকটিক-এর প্রতিক্রিয়া ওষুধ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয় না তাই কেউ কিছু দিনের জন্য ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় গেলে পৌছানোর এক দু সপ্তাহ বাদে ওষুধ নেয় এবং চলে যাওয়ার পর চার সপ্তাহ ধরে সেগুলো টানা খেতে হবে(ব্যতিক্রম শুধু আটোভাকুওন যা আসার 2দিন আগে নিতে হবে এবং যাওয়ার পর 7 সাত দিন অবধি খেতে হবে).


গৃহের ভেতর স্প্রে করা

ইন্ডোর রেসিডুয়াল স্প্রেয়িং (IRS) বা গৃহের ভেতর স্প্রে করা হল ম্যালেরিয়া কবলিত অঞ্চলে বাড়িগুলোর দেয়ালে কীটনাশক স্প্রে করা রীতি . রক্ত খাওয়ার পর অনেক মশার প্রজাতি কাছের যেকোন জায়গায় বিশ্রাম নেয় খাদ্য পরিপাকের জন্য,তাই দেয়ালগুলো যদি আগে থেকেই কীটনাশক সিক্ত করা থাকে তাহলে বিশ্রামরত মশাগুলো পরের কাউকে কামড়ে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট সংক্রমণ করার আগেই মরে যাবে.


IRS -এর জন্য ব্যবহৃত প্রথম ও ঐতিহাসিক কীটনাশক হল DDT.[107]প্রাথমিক ভাবে সেটিকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হলেও দ্রুত তা কৃষিতেও ব্যবহার করা হয়.সময়ের সঙ্গে সঙ্গে DDT-র ব্যবহার রোগ-নিয়ন্ত্রনের থেকে কীট-নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যবহার হতে লাগলো এবং বৃহত পরিমান কৃষি ব্যবহারের ফলে বহু জায়গায় প্রতিরোধী মশার বিবর্তন ঘটে.আনফেলিস মশার DDT প্রতিরোধটি তুলনা করা যায় ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের সঙ্গে.এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবানের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও এন্টিবায়োটিকস-এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে ঠিক যেমন শস্যের ওপর মাত্রাতিরিক্ত DDT স্প্রে-এর ফলে আনফেলিস মশা DDT প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে ওঠে.1960 দশকে এটির যথেচ্ছ ব্যবহারের পরিনামের প্রতি সচেতনতা জাগে এবং শেষ পর্যন্ত 1970 দশকে বহু দেশে কৃষিতে DDT-র প্রয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়.যেহেতু DDT বেশ কিছু কাল ধরে কৃষি ব্যবহারে সীমাবদ্ধ বা নিষিদ্ধ ছিল সেই কারণে রোগ-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে DDT এখন বেশি কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে.


ম্যালেরিয়া-নিয়ন্ত্রণে DDT প্রয়োগ কখনো নিষিদ্ধ না হলেও এবং IRS উপযোগী অনান্য অনেক কীটনাশক থাকলেও কিছু সমর্থক বলেছেন যে নিষিদ্ধ করার ফলে ট্রপিকাল দেশগুলো, যেখানে DDT একসময় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ছিল , সেখানে কয়েক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে . জনস্বাস্থ্য-এ ব্যবহারের থেকে নয় বরং DDT ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ সমস্যার উত্সই কৃষিতে সেটার শিল্প-পর্যায়ের প্রয়োগ. [৪৯]


ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান (WHO) -এর বর্তমান নির্দেশানুযায়ী IRS অপারেশনে 12 রকম কীটনাসক ব্যবহার করা উচিত . এগুলোর মধ্যে রয়েছে DDT ও বিকল্প কীটনাশকের একটা সিরিজ(যেমন পারমেথ্রিন এবং ডেল্টামেথ্রিন -এর মত পাইরেথয়েডস)সেই সমস্ত জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধ করতে যেখানে মশা DDT-প্রতিরোধী . [110]জনস্বাস্থ্য খাতে এই ক্ষুদ্র মাত্রায় DDT -এর ব্যবহার পারসিস্টেন্ট অর্গ্যানিক পলিউট্যানটস (POPs)-এর ওপর স্টকহোম সম্মেলন দ্বারা অনুমোদিত যা DDT-র কৃষি ব্যবহার নিষিদ্ধ করে.[111]যাইহোক সেটির পূর্ব ইতিহাসের জন্য বহু উন্নতিশীল দেশ ছোট মাত্রায় হলেও DDT প্রয়োগ করে না. [৫০] [৫১]


ইন্ডোর রেসিডুয়াল স্প্রেয়িং-এর সবকটা ধরনেরই একটা সমস্যা হল মশাদের ক্রম বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা কীটনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা.মশাদের আচরণ ও জীবানুবাহক নিয়ন্ত্রনের ওপর একটা গবেষনার মতে যেসব মশার বংশ IRS দ্বারা প্রভাবিত সেগুলো এন্ডফিলিক প্রজাতির (যে প্রজাতি ভেতরেই বিশ্রাম করার ও থাকার দিকে প্রবন )এবং স্প্রেয়িং বশত উত্তেজনার ফলে তাদের বিবর্তিত বংশধররা এক্জোফিলিক (যে প্রজাতি বাইরে বিশ্রাম করার ও থাকার দিকে প্রবন ) হওয়ার দিকে প্রবন হয়ে পরছে.এর মানে হল তারা একদমই প্রভাবিত না - একটুও না - IRS দ্বারা এবং পদ্ধতিটি ডিফেন্স-মেক্যানিজিম(প্রতিরক্ষা যন্ত্রানুসঙ্গ) হিসেবে নিরর্থক.[৫২]


মশারি এবং বিছানাপত্র

মশারি মানুষের কাছ থেকে মশাকে দুরে রাখতে সাহায্য করে এবং দারুনভাবে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ও পরিবহন কমিয়ে আনে.নেট বা মশারিগুলো সম্পূর্ণ বেষ্টনী নয় এবং অনেক সময় সেগুলোকে কীটনাশক দিয়ে তৈরী করা হয় যাতে মশা নেটটা ভেদ করে প্রবেশের আগেই মরে যায়.দেখা গেছে ইন্সেকটিসাইড-ট্রিটেড নেট (ITN) বা কীটনাশক মশারি এমনি মশারির থেকে দুগুণবেশি কার্যকরী[৪৩] এবং প্রতিরক্ষাহীন অবস্থার সঙ্গে তুলনায় 70% বেশি সুরক্ষা প্রদান করে. [৫৩]. ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ITN -এর কার্যকারিতা প্রমানিত হলেও আফ্রিকার উপ-সাহারান এলাকার শহুরে অঞ্চলে 2% -এরও কম সংখ্যক শিশু ITNs দ্বারা সুরক্ষিত.আনোফেলিস মশা যেহেতু রাতে খায় সেই জন্য সব থেকে ভালো উপায় হল একটা বড় মশারি বা "বেড নেট" বিছানার মাঝখানে টাঙানো যেটা সম্পূর্ণ বিছানাটাকেই ঘিরে রাখবে.


দেখা গেছে যে পারমেথ্রিন বা ডেল্টামেথ্রিন-এর মত কীটনাশক মন্ডিত মশারির পরিবেশন ম্যালেরিয়া নিরোধের এক উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি এবং সব থেকে ব্যয়বহুলও বটে.রাষ্ট্রসংঘ, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান (WHO) ও অনান্য সুত্র থেকে এই নেটগুলো পাওয়া যায় US$2.50 - $3.50 (2-3 euro)-র বিনিময়ে.দেখা গেছে ITNs ম্যালেরিয়া নিরোধের সব থেকে সাশ্রয়দানকারী পদ্ধতি এবং এগুলো WHO’-এর মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (MDGs)-এর অংশ.


সর্বোচ্চ কার্যকারিতার জন্য নেটগুলো কে প্রয়েক ছয় মাস অন্তর কীটনাশক দ্বারা পুনরায় মন্ডিত করতে হয়.এই প্রক্রিয়াটি গ্রামাঞ্চলে গুরুতর কিছু যৌক্তিক সমস্যার সৃষ্টি করে . Olyset বা DawaPlus -এর মতো নতুন প্রযুক্তিগুলো লং লাস্টিং ইন্সেকসাইডাল মসকুইটো নেটস(LLINs)-এর উত্পাদনে সাহায্য করে যা আনুমানিক 5 বছরের জন্য কীটনাশক তৈরী করে[৫৪] এবং তার দাম পরে US$5.50. নেটের নিচে ঘুমন্ত মানুষদের সুরক্ষিত রাখে ITNs এবং একই সঙ্গে যেসব মশা নেটের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে তাদের মেরে ফেলে.এই পদ্ধতি দ্বারা কিছু সুরক্ষা অন্যদেরও প্রদান করা হয় যেমন একই ঘরে কিন্তু নেটের নিচে যারা শুয়ে নেই.


ম্যালেরিয়া নিরোধের অন্যতম উপাদান মশারি পরিবেশন হলেও,কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া ও ম্যালেরিয়ার বিপদসমূহের ওপর সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশন শিবিরগুলোর সঙ্গেই যুক্ত যাতে যাদের কে মশারি দেওয়া হচ্ছে তারা সেটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারে. আন্তর্জাতিক রেড ক্রস-এর স্বেচ্ছাসেবকরা ও রেড ক্রেসেন্ট আন্দোলন যে ধরনের শিবির পরিচালনা করে সেই ধরনের "হ্যাং আপ" শিবিরে থাকে একেকটা পরিবার যারা শিবিরটির শেষে বা বর্ষার অল্প পূর্বে একটা নেট পায় এই শর্তে যে সেটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হবে এবং শিশু ও বড়রা যারা সব থেকে বেশি ম্যালেরিয়া প্রবন তারা সেটির নিচে শোয়.সিয়েরা লিয়ন-এ CDC দ্বারা একটি গবেষণায় দেখা যাছে যে একই সম্প্রদায়ভুক্ত ও নেট ব্যবহার তুলে ধরার প্রচেষ্টারত কোন স্বেচ্ছাসেবক ব্যক্তিগত তদারকি করতে গেলে নেটের ব্যবহার 22 শতাংশ বাড়ে.টোগো-তে একটা গবেষণা একই অগ্রগতি দেখায়.[৫৫]


আয়ের সঙ্গে ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার খরচ আপেক্ষিক এবং অসুস্থতার কারণে মাইনে কাটা যায়.উন্নতিশীল দেশগুলোতে মশারি প্রায়ই মানুষের সামর্থের বাইরে থাকে বিশেষত যাদের ঝুঁকি সবথেকে বেশি.আফ্রিকা-তে 20 জনের মধ্যে 1 জনের বেড নেট আছে.[৪৩]আফ্রিকাতে ইউরোপ থেকে উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যের সাহায্য হিসেবে পাঠালেও,দ্রুত নেটগুলো বহুমূল্য বানিজ্যিক পণ্য হয়ে দাড়ায় . সেগুলোকে মূলত মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা হয় এবং শয়ে শয়ে দান করা মশারি মেলালে পুরো নদীই ঘেরা হয়ে যায় যার ফলে একদম ক্ষুদ্র মাছও ধরা পড়ে.[৫৬]শিশুদের জন্য হাম-এর শিবিরের মত ভ্যাকসিন শিবিরগুলোর মাধ্যমে ভাউচার সাবসিডি ব্যবহার করে প্রায়ই নেট বিতরণ করা হয়.


পাকিস্তান-এ আফঘান উদ্বাস্তুদের মধ্যে একটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে গায়ের চাদর ও চাদার(মাথা ঢাকার কাপড় বিশেষ)কে পারমেথ্রিন দিয়ে মন্ডিত করলে ট্রিটেড নেটের মতই হয় এবং খরচও কম.[125]আরেকটি বিকল্প পদ্ধতিতে বভেরিয়া বাসিয়ানা নামক ছত্রাক-এর বীজগুটি দেয়ালে ও বেড নেটের ছড়িয়ে দেওয়া হয় মশা মারার জন্য.কিছু মশা রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারলেও ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে সেটা পারেনি.[৫৭]


ভ্যাকসিনেশন


ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন গবেষনার অধীন এবং সম্পূর্ণ কার্যকরী ভ্যাকসিন এখনও পাওয়া যায় না.1967 সালে প্রথম সম্ভাব্য ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন প্রকাশ করা হয় ইঁদুরকে জীবন্ত বিকিরণ-শিথিল স্পোরোজৈটস দ্বারা ইমিউন করে এবং নর্মাল টেকসই স্পোরোজৈটস ইনজেকশন ইঁদুরকে 60% সুরক্ষা প্রদান করে. [৫৮]1970 -এর দশক থেকে মানুষের মধ্যে অনুরূপ ভ্যাকসিন কৌশল উদ্ভাবন করার প্রচেষ্টা করা হয় . এটা বলা হয় যে পি.ফ্যালসিপেরাম সংক্রমণ থেকে একজন সুরক্ষিত থাকতে পারে যদি সংক্রমিত, ইরেডিয়েটেড মশার 1000 কামর খায়.[৫৯]


এই বিষয়ে সবাই একমত যে আশঙ্কাজনক রোগীকে এই ভ্যাকসিনেশন কৌশল দ্বারা চিকিত্সা করা অযৌক্তিক.কিন্তু সম্প্রতি এই ধারনাটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সানারিয়া-র ডাঃ.স্টিফেন হফম্যান যিনি সেইসব গবেষকদের অন্যতম যিনি প্রথম প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম জিনোম সিকোয়েন্স করেন . তাঁর কাজটি মাস স্টোরেজ ও মানুষের টিকাকরনের জন্য 1000 ইরেডিয়েটেড মশার সমতুল্য প্যারাসাইট আলাদা ও তৈরী করার যৌক্তিক সমস্যার সমাধান ঘিরে.কোম্পানিটি সম্প্রতি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউনডেসান ও U.S সরকার থেকে বহু-মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে 2007 ও 2008 -এ ক্লিনিকাল গবেষণা শুরু করার জন্য.[৬০]ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ দ্বারা অনুদানপ্রাপ্ত সিয়েটেল বায়োমেডিকেল রিসার্চ ইন্সটিটিউট (SBRI) সম্ভাব্য স্বেচ্ছাসেবকদের আশ্বাস দেয় যে "[2009]-এ ক্লিনিকাল ট্রায়াল জীবন-ত্রাসসৃষ্টিকারী অভিজ্ঞতা হবেনা.অনেক স্বেচ্ছাসেবক [সিয়েটেল-এ ] বাস্তবিকই ম্যালেরিয়া সংক্রমিত হয়ে পড়ে, পরীক্ষায় ব্যবহৃত ক্লোনড স্ট্রেন দ্রুত নিরাময় করা যায় এবং রোগটিকে পুনরায় হতে দেয় না ." "কিছু অংশগ্রহণকারী কে দেওয়া হবে পরীক্ষাধীন ওষুধ বা ভ্যাকসিন ও অন্যরা পাবে প্ল্যাসেবো ." [৬১]


বরং ইরেডিয়েটেড স্পোরোজৈটস দ্বারা ইমিউনাইজেসানের পর যে ইমিউনোলজিকাল প্রক্রিয়াগুলো সুরক্ষা প্রদান করে সেগুলোকে বোঝার জন্য বহু গবেষণা করা হয়েছে . 1967 সালে ইঁদুর ভ্যাকসিনেশন গবেষনার পর[134] এটা ভাবা হত যে প্রয়োগ করা স্পোরোজৈটগুলো নিজেরাই ইমিউন সিস্টেম দ্বারা চিন্হিত হয় যে প্রক্রিয়া আবার প্যারাসাইট বিরোধী এন্টিবডি সৃষ্টি করছে. এটা নির্দিষ্ট করা হয় যে ইমিউন সিস্টেম স্পোরোজৈট মন্ডিত সারকামস্পোরোজৈট প্রোটিন (CSP)বিরোধী এন্টিবডি সৃষ্টি করছে . [৬২] CSP বিরোধী এন্টিবডি স্পোরোজৈট কে হেপাটোসাইট-গুলোয় প্রবেশে বাধা দেয়. [৬৩]সুতরাং CSP কে সব থেকে সম্ভাবনাময় প্রোটিন হিসেবে বাচ্ছা হয় যেটার ওপর ম্যালেরিয়া স্পোরোজৈট বিরোধী ভ্যাকসিন গড়ে তোলা যাবে . এই ঐতিহাসিক কারণ গুলোর জন্য CSP ভিত্তিক ভ্যাকসিনগুলোই সব ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ.


বর্তমানে অনেক রকম ভ্যাকসিন আছে.প্রি-এরিথ্রসাইটিক ভ্যাকসিন (যে ভ্যাকসিন প্যারাসাইট কে রক্তে পৌছানোর আগেই মেরে ফেলে ),ও বিশেষত CSP ভিত্তিক ভ্যাকসিনগুলো ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন গবেষণায় সব থেকে অধিক প্রচলিত.অনন্য ভ্যাকসিন হল : যেগুলো সংক্রমণের রক্ত পর্বে ইমিউনিটি প্রবর্তন করতে চায়; যেগুলো ম্যলেরিয়ার গুরুতর জটিলতা এড়াতে চায় প্যারাসাইট-এর রক্ত শিরাপ্ল্যাসেন্টা-য় সংযুক্তি নিরোধ করে;এবং পরিবহন-নিরোধক ভ্যাকসিন যা সংক্রমিত মানুষের রক্ত খাওয়ার পরেই মশার শরীরে প্যারাসাইট-এর বিকাশ বন্ধ করে দেয়.[140] এটা প্রত্যাশা করা হয় যে পি.ফ্যালসিপেরাম জিনোম সিকয়েসিং নতুন ওষুধ ও ভ্যাকসিনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দেবে.[৬৪]


SPf66 হল প্রথম উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন যেটা ফিল্ড ট্রায়াল-এর মধ্য দিয়ে গেছে এবং এটি উদ্ভাবন করেছে মানুয়েল এলকিন পাতারোযো 1987 সালে.এটি স্পোরোজৈট(CS পুনরাবৃত্তি ব্যবহার করে ) ও মেরোজৈট প্যারাসাইট থেকে এন্টিজেন-এর সমাহার. ফেজ I ট্রায়াল চলাকালীন 75% কার্যকারিতা হার প্রদর্শিত হয়েছে এবং ভ্যাকসিনটিকে সাবজেক্ট দ্বারা সহনীয় ও ইমিউনোজেনিক হিসেবেই দেখা গেছে.ফেজ IIb ও III ট্রায়ালগুলো ততোধিক সফল হয়নি ,সেখানে কার্যকারিতা হারের নিম্নগামিতা লক্ষ্য করা গেছে 38.8% ও 60.2%. 1993 সালে তানজানিয়া-য় একটা ট্রায়াল হয় যেখানে এক বছর কর্মস লেগে থাকার পর 31% কার্যকারিতা হার দেখা যায় কিন্তু গাম্বিয়া -তে সব থেকে সাম্প্রতিক(যদিও বিতর্কিত) পরীক্ষাটি কোন ফল দেয়নি. বিস্তারিত ট্রায়াল ও বহু গবেষনার পরেও জানা যায়না কি করে SPf66 ভ্যাকসিন ইমিউনিটি প্রদান করে;তাই এটা ম্যালেরিয়ার সমাধান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য না. CSP হল পরর্বর্তী ভ্যাকসিন যেটা প্রাথমিক ভাবে যথেষ্ট সম্ভাবনাময় ছিল ট্রায়াল দেওয়ার জন্য. এটিও সারকামস্পোরোজৈট প্রোটিন ভিত্তিক কিন্তু সংযোজিত আছে একটা রিকম্বিট্যান্ট (Asn-Ala-Pro15Asn-Val-Asp-Pro)2-Leu-Arg(R32LR) প্রোটিন যা কভালেন্ট ভাবে শুদ্ধ সিউডোমোনাস এরুগিনোসা টক্সিন (A9)-এর সঙ্গে যুক্ত . যাইহোক প্রাথমিক পর্যায়ে যাদের টিকাকরণ হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ইমিউনিটি সুরক্ষার অভাব দেখা যায়.কেনিয়া-তে ব্যবহৃত স্টাডি-গ্রুপটিতে 82% প্যারাসিটিমিয়া দেখা গেছে যেখানে কন্ট্রোল গ্রুপটিতে দেখা গেছে 89% . যে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগের ফলে অনাবৃতদের মধ্যে T-লিম্ফোসাইট-এর বর্ধিত সাড়া পাওয়া যায় সেখানে এটা দেখা যায়না.


পাতারোযো-র ভ্যাকসিন নিয়ে US বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দেয় এবং দ্য ল্যানসেট (1997)-এ তারা এই বলে শেষ করেন যে "ভ্যাকসিনটি কার্যকরী নয় এবং সেটিকে বর্জন করা উচিত".যদিও কলম্বিয়ান বৈজ্ঞানিকটি তাদের "ক্রোধ"-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাদের বিবৃতি নস্যাত করে দেন কারণ তিনি এক উন্নতিশীল দেশের বাসিন্দা.


RTS,S/AS02A ভ্যাকসিনটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সব থেকে দূরবর্তী প্রার্থী.PATH ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ(গেটস ফাউনডেসান-এর অনুদানপ্রাপ্ত ), ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি GlaxoSmithKline ও ওয়াল্টার রিড আর্মি ইন্সটিটিউট অফ রিসার্চ যৌথভাবে এটার উন্নতিসাধনে রত[144].ভ্যাকসিনটিতে CSP-র একটা অংশ হেপাটাইটিস B ভাইরাস-এর ইমিউনোজেনিক "S এন্টিজেন"-এর সঙ্গে মিশ্রিত করা হয়েছে;এই রিকম্বিট্যান্ট প্রোটিনটি সক্ষম AS02A সাহায্যকারীর সঙ্গেই প্রয়োগ করা হয়.[145]অক্টোবর 2004 -এ RTS,S/AS02A গবেষকরা ঘোষণা করেন ফেজ IIb ট্রায়াল -এর ফল এবং যাজন যে ভ্যাকসিনটি সংক্রমণের ঝুঁকি আনুমানিক 30% ও সংক্রমণের প্রখরতা 50%-এর বেশি কমিয়ে দিয়েছে . গবেষণাটি 2,000 -এর বেশি মোজাম্বিকান শিশুদের নিয়ে করা হয় . [147]RTS,S/AS02A -এর আরো সাম্প্রতিক পরীক্ষার মূল লক্ষ্য হল প্রাথমিক পর্যায়ে এটির নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রনের কার্যকারিতা:অক্টোবর 2007 -এ গবেষকরা ফেজ I/IIb ট্রায়াল -এর ফল ঘোষণা করেন যেটা 10 থেকে 18 মাস বয়সী 214 জন মোজাম্বিকান শিশুদের ওপর করা হয়েছিল. দেখা যায় যে ভ্যাকসিনটির সম্পূর্ণ তিন-ডোজ-এর কোর্স সংক্রমণ 62% কমিয়ে আনে এবং শুধু এটি প্রয়োগের সময় একটু ব্যথা হয় তাছারা এটির আর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই . [৬৫]অধিকতর গবেষনার জন্য 2011 অবধি এই ভ্যাকসিনটির বানিজ্যিক মুক্তি বিলম্বিত হবে.[৬৬]


অনান্য পদ্ধতি

ম্যালেরিয়ার উপসর্গ চিনতে পারার জ্ঞান উন্নতিশীল বিশ্বের কিছু জায়গায় রোগের ঘটনা প্রায় 20% কমিয়ে দিয়েছে . প্রাথমিক স্তর থেকেই রোগটি নির্ণয় করতে পারলে সেটির ঘাতকরূপ ধারণ আটকানো যেতে পারে . এই ধরনের জ্ঞানের ফলে মানুষ জানতে পেরেছে যে জলের ট্যাংকের মত জমা জলবিশিষ্ট জায়গা ঢেকে রাখলে রোগটির পরিবহন রোখা যায় কারণ ঐসব জায়গায়ই হল প্যারাসাইট ও মশাদের বংশবৃদ্ধির স্থল.শহুরে এলাকাতেই এইসব পদ্ধতি বেশি প্রয়োগ করা হয় যেখানে একটি সীমাবদ্ধ জায়গায় বৃহত জনসংখ্যার বাস এবং সংক্রমণ এখান থেকেই বেশি ছড়াতে পারে.


ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বর্তমানে ডাউনটাইম কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করছে যা পৃথিবীজুরে একেকজন স্বেচ্ছাসেবকরা (দেখুন ভলান্টিয়ার কম্পিউটিং BOINC)দান করেছে স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া ও ট্রান্সমিশন ডাইনামিক্স-এর আদর্শ অনুকরণ করার জন্য যাতে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে শ্রেষ্ট পদ্ধতি বা পদ্ধতির সংযোগ বের করা যায়. এই মডেলটি অন্ত্যন্ত কম্পিউটার ইনটেনসিভ কারণ বৃহত জনসংখ্যার সিমুলেশন(অনুকরণ)-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যাপক স্থিতিমাপের সঙ্গে সম্পর্কিত জৈবিক ও সামাজিক কারণ যা রোগটির ছড়ানোতে সাহায্য করে .যেসব বৈজ্ঞানিকরা প্রোগ্রামটির বিকাশ ঘটাচ্ছে তাদের কাছে বর্তমানে উপলব্ধ সংস্থান দ্বারা যেটা করতে 40 বছর লাগতো ভলান্টিয়ারড কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করে সেটা করতে কয়েক মাস লাগবে. [৬৭]


আগুযাস ও অনান্যদের গবেষণাপত্রে দেখা যায় ম্যালেরিয়া দূরীকরণ সুচির কম্পিউটার মডেলিং-এর গুরুত্বের উদাহরণ দেখা যায়.তারা দেখিয়েছেন যে ম্যালেরিয়া কঠোরভাবে নির্ভরশীল রোগ-কবলিত এলাকায় অ-উপসর্গিক ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মানুষদের যারা সংক্রমণের ভাঁড়ার হিসেবে কাজ করে তাদের খুঁজে বের করে চিকিত্সা করার ওপর .[৬৮] ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট জন্তুজানোয়ারদের আক্রান্ত করেনা তাই প্রত্যাশা করা হয় যে মানুষের মাঝ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যকরী হবে .


ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রনের অনন্য পদ্ধতিগুলো হল মাস ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেসনইন্টারমিটেন্ট প্রিভেন্টিভ থেরাপি.


চিকিত্সা

পি.ফ্যালসিপেরাম সহ সক্রিয় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ একটি মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা যা হাসপাতাল-এ স্থানান্তরিত করতে হয়.পি . ভাইভ্যাক্স , পি . ওভালে বা পি . ম্যালেরে সংক্রমণের চিকিত্সা প্রায়ই আউটপেশেন্ট হিসেবে করা যেতে পারে.ম্যালেরিয়ার চিকিত্সা নির্ভর করে সহায়ক কিছু বিধি ও নির্দিষ্ট কিছু ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধের ওপর. সঠিকভাবে চিকিত্সার পর একজন সম্পূর্ণ সেরে ওঠার প্রত্যাশা রাখতে পারেন.[৬৯]


ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধকারী ওষুধ

ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার জন্য বিভিন্ন গোত্রের ওষুধ আছে.ক্লোরোকুইন খুবিই সস্তা এবং কিছু দিন আগে পর্যন্ত যথেষ্ট কার্যকরী ছিল যার ফলে এটি সব থেকে জনপ্রিয় ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ হিসেবে পৃথিবীর বহু জায়গায় পরিচিত ছিল.কিন্তু সাম্প্রতিক কালে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম ক্লোরোকুইন প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে উঠেছে বলে দেখা গেছে এশিয়া থেকে আফ্রিকা-র নানান জায়গায় .এর ফলে ওষুধটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সব থেকে ভয়ানক প্লাজমোডিয়াম-এর বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে গেছে.[৭০] তবে যেসব অঞ্চলে ক্লোরোকুইন এখনো কার্যকরী সেখানে সেটাই প্রথম মনোনীত ওষুধ.দুর্ভাগ্যবশত ক্লোরোকুইন-প্রতিরোধ কুইনাইনআমোডিয়াকয়াইন-এর মত ওষুধের প্রতি হ্রাসপ্রাপ্ত অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত.[৭১]


চিকিত্সা ও আংশিক প্রতিরোধের (প্রফিল্যাক্সিস ) জন্য অনান্য অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়.অনেক ওষুধ দুটো ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় ; বড় ডোজগুলো ম্যালেরিয়া চিকিত্সার জন্য. তাদের বিস্তার নির্ভর করে ওষুধ প্রয়োগের জায়গায় প্রতিরোধকারী প্যারাসাইটের উপস্থিতির হারের ওপর.একটা ওষুধ currentlyযেটাকে নিয়ে গবেষণা করা হছে তার ম্যালেরিয়া-বিরোধী ক্ষমতা ও বিশেষত ওষুধ-প্রতিরোধী রোগের চিকিসার জন্য সেটা হল বেটা ব্লকার প্রপ্রানোলোল. দেখা গেছে প্রপ্রানোলোল দুটো প্লাজমোডিয়াম-এরই লাল রক্ত কণিকায় প্রবেশ ও একটা সংক্রমণ স্থাপন করার এবং প্যারাসাইট রেপ্লিকেশন-এর ক্ষমতাকে রুখতে পারে. নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়-এর 2006 ডিসেম্বরের একটা গবেষণায় গবেষকরা জানাচ্ছেন যে প্রপ্রানোলোল হয়তো বিদ্যমান ওষুধের ডোজ কমিয়ে আনতে পারে যাতে সেগুলো 5- থেকে 10-গুন কার্যকরী হয়ে ওঠে পি.ফ্যালসিপেরাম-এর বিরুদ্ধে, যেটি কম্বিনেশন থেরাপির ইঙ্গিতবহ. [৭২]

বর্তমানে উপলব্ধ ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধগুলো হল : [৭৩]


ওষুধগুলোর উন্নয়ন সহজতর হয় প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম কালচার করার পর. [৭৪] এটির ফলে নতুন ওষুধগুলোর ভিট্রো টেস্টিং(পরীক্ষা)ন সম্ভব হয়.


আর্টেমিশিয়া আনুয়া নামক গাছের একটি নির্যাস যার মধ্যে রয়েছে আর্টেমিসাইনিন যৌগটি ও সেমি-সিন্থেটিক আহরণগুলো (কুইনাইন-এর সঙ্গে অসম্পর্কিত একটি পদার্থ )90% কার্যকরী ক্ষমতা প্রদর্শন করে কিন্তু তাদের যোগান চাহিদার থেকে কম . [168] রোন্ডা-র একটা গবেষণায় দেখা যায় যে সাধারণ পি.ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা তাদের উত্তর-চিকিত্সার 28তম দিনে কম ক্লিনিকাল ও প্যারাসিটোলজিকাল ব্যর্থতা প্রদর্শন করে যখন আমোডিয়াকয়াইন কে আর্টেসুনেট-এর সঙ্গে দেওয়া হয় একক প্রয়োগের থেকে (OR = 0.34). যাইহোক এই গবেষনার সময় আমোডিয়াকয়াইন বিরুদ্ধে ক্রমশ বৃদ্ধিমান প্রতিরোধটিও ছিল লক্ষনীয়.[৭৫] 2001 সাল থেকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানায়জেশান নির্দেশ জারি করেছে যে যেসব এলাকায় পুরানো চিকিত্সায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা সেসব জায়গায় সাধারণ ম্যালেরিয়ার প্রাথমিক চিকিত্সা করতে হবে আর্টেমিসাইনিন নির্ভর কম্বিনেশন থেরাপি(ACT) ব্যবহার করে. WHO-এর একদম সাম্প্রতিক ম্যালেরিয়ার চিকিত্সার জন্য নির্দেশাবলী চার রকমের ACTs -এর নির্দেশ দেয়.আফ্রিকা সহ নানান দেশ তাদের সরকারী ম্যালেরিয়া চিকিত্সা নীতিতে পরিবর্তনটি অন্তর্ভুক্ত করলেও ব্যয়ভার ACT প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক প্রবল সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে.যেহেতু ACTs -এর ব্যয় আগের চিকিত্সা পদ্ধতির থেকে কুঁড়িগুন বেশি তাই বহু ম্যালেরিয়া-কবলিত দেশগুলোর কাছে সেটি সামর্থের বাইরে.আর্টেমিসাইনিন-এর আনবিক লক্ষ্যটি বিতর্কিত যদিও সাম্প্রতিক গবেষণা বলে যে এন্ডপ্লাজমিক রেটিকুলাম-এ একটা ক্যালসিয়াম পাম্প যা SERCA নামে পরিচিত সেটি আর্টেমিসাইনিন প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত.[৭৬] ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটগুলো আর্টেনিসাইনিন-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গরে তুলতে পারে এবং প্রতিরোধ গরে উঠতে পারে SERCA -র পরিবর্তনের ফলেও.[৭৭] যাইহোক, অনান্য গবেষনার অনুযায়ী মাইটোকোনদ্রীয়ন হল আর্টেমিসাইনিন ও তার সহধর্মীদের প্রধান লক্ষ্য. [৭৮]


কার্যকরী ম্যালেরিয়া-বিরোধী ওষুধ বাজারে থাকা সত্তেও, রোগ কবলিত এলাকায় যেসব মানুষরা সঠিক এবং অবিলম্বে কার্যকরী ওষুধগুলো পায় না তাদের কাছে রোগটি এখনো একটা ত্রাস.ফার্মেসি ও স্বাস্থ্য পরিসেবাগুলোর মতে ওষুধের দামই হল মূল প্রতিবন্ধকতা.মেদেসিনস সা ফ্রন্টিয়েরেস -এর গণনা অনুযায়ী 2002 সালে ম্যালেরিয়া কবলিত দেশে একজন ম্যালেরিয়া-আক্রান্ত রোগীর চিকিত্সা খরচা হল US$0.25 ও $2.40 প্রতি ডোজ. [৭৯]


জাল ওষুধ

অবিশুদ্ধ জালওষুধ পাওয়া গেছে ক্যামবোডিয়া,[179] চীন, [181]ইন্দোনেশিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম-এর মত এশিয়ান দেশগুলোতে যা এই দেশগুলোতে পরিহার্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ.[৮০] WHO বলছে যে গবেষণা অনুযায়ী আর্টেসুনেট -এর ওপর ভিত্তি করা ম্যালেরিয়ার ওষুধগুলোর 40% জাল,বিশেষ করে গ্রেট মিকং অঞ্চলে এবং সেখানে একটা দ্রুত সতর্ক করার পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে যা অতি দ্রুততার সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রাসঙ্গিক কর্তৃত্ব কে জাল ওষুধ সম্পর্কে তথ্য পৌছে দেবে.[৮১] পরীক্ষাগার-এর সাহায্য ছাড়া ডাক্তার বা সাধারণ মানুষের পক্ষে জাল ওষুধ নির্ধারণ করার কোন নির্ভরযোগ্য উপায় নেই.জাল ওষুধের এই কারবার বন্ধ করার জন্য নতুন প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহার করে উত্স থেকে পরিবেশনা অবধি সুরক্ষা প্রদান করার চেষ্টা করছে কোম্পানিগুলো.


ইতিহাস


ম্যালেরিয়া মানুষকে 50,000 বছর ধরে সংক্রমিত করে এসেছে ,এবং ম্যালেরিয়া প্রটোজোয়া মানুষের বাকি ইতিহাসে একটা মনুষ্য প্যাথোজেন হতে পারতো.[৮২] মনুষ্য ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট-এর সহধর্মী প্যারাসাইট শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে এখনও দেখা যায় . [৮৩] ম্যালেরিয়ার স্বতন্ত্র সময়বিশেষের জ্বর-এর কথা চীন-এ 2700 BC থেকে শুরু করে নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বত্রই উল্লিখিত আছে.[৮৪] ম্যালেরিয়া শব্দটির উত্স মধ্যযুগীয় ইতালিয়ান: মালা এরিয়া - "দুষিত হাওয়া"; এবং জলা ও জলাভূমির সঙ্গে যুক্ত থাকে রোগটির আগের নাম ছিলো এগ বা মার্স ফিভার (জলা জ্বর).[৮৫]ইউরোপউত্তর আমেরিকা-য় ম্যালেরিয়া একসময় খুব হত, এখন সেখানে রোগটির প্রকোপ আর নেই[৮৬] .যদিও এখন চালান হওয়া ঘটনাগুলো ঘটে.


ম্যালেরিয়ার ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষনার প্রথম উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয় 1880 সালে.আলজেরিয়া-র কনস্টান্টটাইন-এর সামরিক হাসপাতালে কর্মরত শার্ল লুই আফন্সে লাভেরা নামে একজন ফরাসী সমরিক ডাক্তার ম্যালেরিয়া রোগাক্রান্তদের লাল রক্ত কণিকা-য় প্রথম প্যারাসাইট দেখতে পান .তিনি এরপর প্রস্তাব পেশ করেন যে ম্যালেরিয়া এই প্রটোজোয়া-র দ্বারাই হয় এবং এর মাধ্যমে রোগসৃষ্টি প্রটোজোয়াটি প্রথম চিন্হিত হয়.[৮৭] এটা এবং তাঁর পরের আবিষ্কারের জন্য লাভেরা কে 1907 সালে চিকিত্সাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়.প্রটোজোয়াটির প্লাজমোডিয়াম নামকরণ করেন ইতালীয় বৈজ্ঞানিকদ্বয় এত্তরে মার্চিয়াভা এবং এঞ্জেলো চেল্লি.[৮৮] এক বছর পরে কার্লস ফিনলে নামক হাভানা-তে ইয়েলো ফিভারইয়েলো ফিভার (পীত জ্বর)/2}-এর চিকিত্সারত এক কুবা-ন ডাক্তার জোরদার তথ্য প্রদান করেন যে মশা মানুষের দেহে ও দেহ থেকে রোগ ছড়াচ্ছে.[৮৯] এই কাজটি ফিলারিয়াসিস-এর সংক্রমণের ওপর জোসিয়াহ সি.নট[৯০] এবং প্যাট্রিক ম্যানশন-এর একটি কাজ কে অনুসরণ করে.[৯১]


অবশেষে কোলকাতা -র প্রেসিডেন্সি জেনেরাল হাসপাতাল-এ কর্মরত ব্রিটেন-এর স্যার রোনাল্ড রস 1888 সালে প্রমান করেন যে ম্যালেরিয়া মশার দ্বারাই সংক্রমিত হয়.তিনি দেখান যে কিছু প্রজাতির মশা পাখিদের ম্যালেরিয়া সংক্রমণ করে এবং তারপর তিনি যেসব মশা পাখিদের রক্ত খেয়েছে তাদের লালা-গ্রন্থি থেকে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটগুলো আলাদা করেন - এর মাধ্যমেই তিনি তাঁর আবিস্কার প্রমান করেন. [৯২] এই কাজটির জন্য রস 1902 সালে চিকিত্সাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন.ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিস থেকে পদত্যগের পর রস কাজ করেন সদ্য-প্রতিষ্ঠিত লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন-এ এবং মিশর, পানামা, গ্রীস মরিশাস-এ ম্যালেরিয়া-নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাগুলো পরিচালনা করেন.[৯৩] ফিনলে এবং রস-এর আবিষ্কার পরে 1900 সালে ওয়াল্টার রিড-এর নেতৃত্তাধীন মেডিক্যাল বোর্ড অনুমোদন করে এবং সেখানকার নির্দেশগুলো পানামা খাল নির্মানের সময় অবলম্বিত স্বাস্থ্য বিধানগুলোতে উইলিয়াম সি.গর্গ্যাস প্রয়োগ করেন.এই জন-স্বাস্থ্য উন্নতির প্রচেষ্টার ফলে প্রচুর শ্রমিকদের জীবন সুরক্ষিত হয় এবং ভবিষ্যতে এই রোগের বিরুদ্ধে জন-স্বাস্থ্য অভিযানগুলোতে ব্যবহারের জন্য পদ্ধতি বিকাশে সাহায্য করে.


ম্যালেরিয়ার প্রথম কার্যকরী চিকিত্সার সুত্র আসে সিনকোনা গাছ-র বাকল থেকে যার মধ্যে আছে কুইনাইন. গাছটি প্রধানত জন্মায় পেরু-তে এন্দিজ পর্বতমালার ঢালে.ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করত পেরু-র অধিবাসীরা এবং 1640 সালে জেসুইটস-রা ইউরোপ-এ এর প্রচলন ঘটায় যা দ্রুত গৃহীত হয়. [৯৪] যাইহোক 1820 সালে প্রথম বার বাকল থেকে কুইনাইন নিষ্কাশন করে আলাদা করে নামকরণ করেন ফরাসী রসায়নবিদ পিয়ের জোসেফ পেলেতিয়ের এবং জোসেফ বিয়েনামে কাভেনতু.[৯৫]


বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, এন্টিবাযোটিক্স-এর আগে, জুলিয়াস ওয়াগনার-জারেগ-এর কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে 1} সিফিলিস রোগীদের ইচ্ছাকৃত ম্যালেরিয়া সংক্রমণ করানো হত একটা জ্বর সৃষ্টির জন্য .কুইনাইন দিয়ে জ্বরটিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে সিফিলিস ও ম্যালেরিয়া দুটোরই প্রভাব কমিয়ে আনা যাবে.ম্যালেরিয়াতে বেশ কিছু রোগীর মৃত্যু হলেও সিফিলিসের অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর থেকে এটা অপেক্ষাকৃত বান্চ্ছনীয় বলে ভাবা হত.[৯৬]


ম্যালেরিয়া জীবন চক্রের রক্ত পর্ব ও মশা পর্ব উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চিন্হিত করা গেলেও, 1980 সালের আগে প্যারাসাইটটির অন্তর্নিহিত যকৃত রূপটি আবিষ্কৃত হয়নি.[৯৭] [৯৮] প্যারাসাইটটির এই অন্তর্নিহিত রূপটির আবিষ্কার অবশেষে বুঝতে সাহায্য করে যে কেন ম্যালেরিয়া সেরে গেলেও পুনরায় দেখা দিতে পারে রক্তের মধ্য থেকে প্যারাসাইট অদৃশ্য হওয়ার বহু বছর পর.


মানুষের জিনের ওপর ম্যালেরিয়ার অভিব্যক্তির/বিবর্তনের বলপ্রয়োগ

বলা হয় সাম্প্রতিক ইতিহাসে হিউম্যান জিনোম-এর ওপর ম্যালেরিয়া হল সর্ব বৃহত নির্দিষ্ট বলপ্রয়োগ বা সিলেক্টিভ প্রেসার.[221] এর কারণ মৃত্যুরোগ-এর উচ্চ মাত্রা যা ম্যালেরিয়া ঘটায় বিশেষত পি.ফ্যালসিপেরাম প্রজাতি.


সিকেল-সেল রোগ

1996-তে ম্যালেরিয়ার উত্স ও আবির্ভাবের মাপাংক [222]

হিউম্যান জিনোম-এর ওপর ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট-এর সব থেকে বেশি প্রভাব হল একটা বংশগত রোগ যার নাম সিকেল-সেল রোগ.সিকেল-সেল উপসর্গটি রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু কেউ সিকেল দ্বারা আংশিক ভাবে আক্রান্ত হলেও ম্যালেরিয়ার বিরদ্ধে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষিত থাকে.


সিকেল-সেল রোগে HBB জিনের একটা পরিবর্তন ঘটে যেটি হিমোগ্লোবিন -এর বেটা-গ্লোবিন সাবইউনিট কে এনকোড করে . সাধারণ আলীল একটা গ্লুটামেট এনকোড করে বেটা-গ্লোবিন প্রোটিনের ছয় নম্বর স্থানে যেখানে সিকেল-সেল আলীল একটা ভ্যালিন এনকোড করে . হাইড্রফিলিক থেকে হাইড্রফবিক আমাইনো আসিড-এ এই পরিবর্তন হিমোগ্লোবিন অনুগুলোর বন্ধনে সাহায্য করে হিমোগ্লোবিনের পলিমারাইজেসন সহ যা লাল রক্ত কনিকা কে বিকৃত করে একটা "সিকেল" বা "কাস্তে" আকাট ধারণ করায়.এই ধরনের বিকৃত কোষগুলো রক্ত থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়, বিশেষত প্লীহা থেকে, ধ্বংস ও পুনর্সন্চালনার জন্য.


ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট জীবন চক্রের মেরোজৈট পর্বে, প্যারাসাইটটি লাল রক্ত কনিকার ভেতরে থাকে এবং তার মেটাবলিজিম লাল রক্ত কনিকার অভ্যন্তরীণ রসায়নে পরিবর্তন আনে. সংক্রমিত কোষগুলো প্যারাসাইট-এর প্রজনন অবধি বাঁচে কিন্তু লাল কনিকাতে যদি সিকেল ও সাধারণ হিমোগ্লোবিনের একটা মিশ্রন থাকে তাহলে কন্যা প্যারাসাইট জন্ম নেওয়ার আগেই সেটির বিকৃত ও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে. সুতরাং, সিকেল-সেল ট্রেইট নামে পরিচিত পরিবর্তিত আলীল-এর একক হেটেরোজাইগস-এর এনিমিয়া (রক্তাল্পতা)-র নিম্ন ও সাধারনত গুরুত্বহীন মাত্রা থাকতে পারে কিন্তু গুরুতর ম্যালেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাব নাও কম থাকে.হেটেরোজাইগট এডভান্টেজ -এর এটা একটা ধ্রুপদী উদাহরণ .


পরিবর্তনের জন্য একক হোমোজাইগস -এর সম্পূর্ণ সিকেল-সেল রোগ থাকে এবং ঐতিহ্যবাহী সমাজে খুব কোন সময়েই বয়ঃসন্ধির পর বেঁচে থাকে.যাইহোক, যেসব জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি সেখানে সিকেল-সেল জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার 10%. সিকেল-টাইপ হিমোগ্লোবিনের হ্যাপ্লোটাইপ -এর চার রকম ভাগের অস্তিত্ব বোঝায় যে এই বিভাজন বা পরিবর্তন ম্যালেরিয়া-কবলিত এলাকায় অন্তত চার বার স্বাধীনভাবে উঠে এসেছে যা সেই সাব আক্রান্ত অঞ্চলে সেটির অভিব্যক্তির সুবিধা বর্ণনা করে.HBB জিনের অনান্য অনেক পরিবর্তন আছে যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণের জন্য একই রকম প্রতিরোধ-সক্ষম হিমোগ্লোবিন অনু উত্পাদন করে.এই পরিবর্তনগুলো HbE ও HbC গোত্রের হিমোগ্লোবিন উত্পাদন করে যা যথাক্রমে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াপশ্চিম আফ্রিকা-য় দেখা যায়.


থ্যালাসিমিয়াস

ম্যালেরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হিউম্যান জিনোম-এ রক্তের সমস্যা সৃষ্টিকারী আরেকরকম নথিভুক্ত পরিবর্তনের সেট পাওয়া যায় যাকে বলা হয় থ্যালাসিমিয়াস.সারডিনিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনি-তে হওয়া গবেষণা থেকে জানা গেছে যে β-থ্যালাসিমিযাস-এর জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার একটা নির্দিষ্ট জনসংখ্যায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মাত্রার সঙ্গে যুক্ত.লাইবেরিয়া -তে 500 জন শিশুর ওপর হওয়া একটা গবেষণা বলছে যে β-থ্যালাসিমিযাস আক্রান্তদের ক্লিনিকাল ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা 50% কম. এই ধরনের অনান্য গবেষণা α-থ্যালাসিমিয়া-র α+ ধরনটার ভেতর জিনের পুনঃপুনঃ ঘটার হার ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপের মধ্যে সুত্র খুঁজে পেয়েছে. সম্ভবত এই জিনগুলো কে মানুষের বিবর্তন-এর ধারার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত করা হয়েছে.


ডাফি এন্টিজেন

ডাফি এন্টিজেন হল একরকমের এন্টিজেন যা সেমোকাইন রিসেপ্টর হিসেবে শরীরে লাল রক্ত কনিকা ও অনান্য কোষগুলোর ওপর প্রকাশ পায়. রক্ত কনিকার ওপর ডাফি এন্টিজেন-এর প্রকাশটি Fy জিন (Fya, Fyb, Fyc ইত্যাদি .)দ্বারা এনকোড করা থাকে. প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া রক্ত কণিকায় প্রবেশের জন্য ডাফি এন্টিজেন ব্যবহার করে . লাল রক্ত কণিকায় কোন ডাফি এন্টিজেন প্রকাশ না করাও যায় (Fy-/Fy-). এই জেনোটাইপ -টি পি . ভাইভ্যাক্স সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে . ইউরোপিয়ান, এশিয়ান এবং আমেরিকান জনসংখায় জেনোটাইপ-টি বিরল কিন্তু পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা-র অধিবাসী বেশিরভাগ জনসংখ্যার মধেই এটি পাওয়া যায়.[226]এর কারণ হিসেবে ভাবা হয় শেষ হাজার বছরে আফ্রিকা -তে পি . ভাইভ্যাক্স -এর অতিরিক্ত প্রকটরূপে দেখা দেওয়া.


G6PD

গ্লুকোজ -6-ফসফেট ডিহাইড্রোজিনেস (G6PD) হল একটা এনজাইম লাল রক্ত কণিকায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস -এর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দান করে.যাইহোক, এই এনজাইম-এ একটা জেনেটিক অভাব গুরুতর ম্যালেরিয়ার বিরদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধি করে.


HLA ও interleukin-4

HLA-B53 গুরুতর ম্যালেরিয়ার অল্প ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত . এই MHC class I অণুটি লিভার (যকৃত) স্টেজ ও স্পোরোজৈট এন্টিজেন দেয় T-কোষ গুলোকে . সচল T কোষ উত্পাদন করে IL4 দ্বারা এনকোড করা Interleukin-4 কে এবং এন্টিবডি-সৃষ্টিকারী B কোষগুলোর বিস্তার ও বিভাজন বর্ধন করে.প্রতিবেশী জাতি গোষ্ঠীর থেকে যারা কম ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয় ও যাদের দেহে ম্যালেরিয়া-বিরোধী এন্টিবডি উচ্চ মাত্রায় উপস্থিত সেই বুর্কিনা ফাসো-র ফুলানি-দের নিয়ে একটা গবেষণা থেকে জানা যায় লে IL4-524 T আলীলটি ম্যালেরিয়া এন্টিজেন বিরোধী উত্থিত এন্টিবডি মাত্রার সঙ্গে যুক্ত,যেটির জন্য একটা সম্ভাবনা দেখা যায় যে এটা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বর্ধিত প্রতিরোধের একটা কারণ বিশেষ . [৯৯]


সমাজ ও সংস্কৃতি

2003 সালে যে সব দেশগুলিতে স্থানীয় ভাবে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল (হলুদ রং). [231] সবুজ রঙ্গা দেশগুলি পুরোটাই স্থানীয় ম্যালেরিয়া মুক্ত ছিল

ম্যালেরিয়া প্রায় 250 মিলিয়ন জ্বরের ঘটনা ও বছরে আনুমানিক এক মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ.[১০০] এর মধ্যে বেশিরভাগটিই হয় 5 বছরের চেয়ে কম বয়সী বাচ্চাদের  ; [১০১] বিশেষত অন্তঃসত্তা মহিলারাও যথেষ্ট এই রোগ প্রবন.1992-এর পর থেকে যেসব জায়গায় এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল সেখানে সংক্রমণ কমানো ও চিকিত্সা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করা হলেও খুব অল্প পরিবর্তন আনা গেছে.[১০২]প্রকৃতপক্ষে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ যদি বর্তমানের মত এরম উর্দ্ধমুখী থাকে তাহলে আগামী কুঁড়ি বছরে মৃত্যুর হার দ্বিগুন হতে পারে. [১০৩] সঠিক পরিসংখ্যানটি অজানা কারণ গ্রামাঞ্চলে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যেখানে মানুষের কাছে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যের অনান্য সুযোগসুবিধা মেলেনা বা সেগুলো তাদের সামর্থে কুলিয়ে ওঠেনা.ফলত, বেশিরভাগ ঘটনাই থেকে যায় অনথিভুক্ত.[১০৩]


HIV ও ম্যালেরিয়ার সহ-সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি হলেও, HIV/যক্ষা-র ক্ষেত্রে সেটা অতটা সমস্যার নয় কারণ দুটি রোগ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে আক্রমন করে. ম্যালেরিয়া বেশিরভাগ সময় যুবক/যুবতীদের হয় এবং সচল যক্ষা প্রধানত বৃদ্ধদের মধ্যেই দেখা যায়.[১০৪] যদিও HIV/ম্যালেরিয়া সহ-সংক্রমণ HIV ও TB-এর থেকে কম গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ করে , HIV ও ম্যালেরিয়া একে অপরের বিস্তারে সাহায্য করে.এটা হয় কারণ ম্যালেরিয়া ভাইরাল লোড বাড়িয়ে তোলে আর HIV সংক্রমণ একজন মানুষের ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে.[১০৫]


ম্যালেরিয়ার প্রকোপ এখন দেখা যায় বিষুবরেখা-র কাছে, আমেরিকাস-এর অঞ্চলগুলোতে, এশিয়া-র অনেক জায়গায় এবং আফ্রিকা-র বহু এলাকায়; যাইহোক, উপ-সাহারান আফ্রিকা-তেই 85-90% ম্যালেরিয়ার চূড়ান্ত প্রকোপ লক্ষিত হয়.[১০৬] বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ভৌগলিক পরিবেশনাটি জটিল, এবং ম্যালেরিয়া -কবলিত ও ম্যালেরিয়া-মুক্ত এলাকাগুলো দেখা যায় একে অপরের কাছাকাছি.[১০৭] শুষ্ক অঞ্চলগুলিতে প্রায় সঠিকভাবে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আগে থেকেই বলা যায় বৃষ্টির পরিমান মেপে. [১০৮]শহরের থেকে ম্যালেরিয়া গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা যায় ; ব্যাপারটা ডেঙ্গি জ্বর-এর উল্টো, ডেঙ্গিতে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকে.[১০৯] উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে ভিয়েতনাম, লাওসক্যামবডিয়া-র মত শহর কার্যত ম্যালেরিয়া মুক্ত, কিন্তু বেশ কিছু গ্রামাঞ্চলে রোগটির উপস্থিতি রয়েছে.[১১০] আবার আফ্রিকা-তে ম্যালেরিয়া গ্রাম ও শহর দুটো জায়গাতেই বর্তমান তবে বড় শহরগুলোতে বিপদ কম.[১১১]1960-এর পর থেকে বিশ্ব জুরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মাত্রা মাপা হয়নি.যাইহোক এটা সংশোধনের জন্য UK-এর ওয়েলকাম ট্রাস্ট ম্যালেরিয়া এটলাস প্রজেক্ট-এর তহবিলে অর্থদান করেছে[১১২] যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যতের ম্যালেরিয়া-র রোগ ভার আরো সমসাময়িক ও দৃঢ় পদ্ধতি দ্বারা পরিমাপ করা যায়.


আর্থ-সামাজিক প্রভাব

ম্যালেরিয়া শুধুমাত্র দারিদ্রের সঙ্গে যুক্ত একটা রোগ নয়, সেটি দারিদ্রের কারণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এক প্রতিবন্ধকতা.ট্রপিকাল অঞ্চলগুলো সব থেকে বেশি আক্রান্ত থাকে যদিও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পৌছে যায় এমন কিছু নাতিশিতষ্ণ অঞ্চলে যেখানে চরম ঋতু পরিবর্তন হয়.যেসব জায়গায় রোগটির প্রকোপ ব্যাপক সেখানে রোগটিকে নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে.19 শতাব্দীর শেষ দিকে এবং 20 শতাব্দীর প্রথম দিকে আমেরিকা-র দক্ষিনের রাজ্যগুলোতে মন্থর অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান কারণ ম্যালেরিয়া.[১১৩]. 1995 সালে, ক্রয় ক্ষমতায় সামঞ্জস্য আনার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা পার ক্যাপিটা GDP -র তুলনা করলে ,একটা পাঁচ ভাগে বিভক্ত প্রভেদ লক্ষিত হয় ম্যালেরিয়া সহ ও ম্যালেরিয়া মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে. ($1,526 USD বনাম $8,268 USD). যেসব দেশে ম্যালেরিয়া হয় , গড়ে পার ক্যাপিটা GDP বেড়েছে (1965 থেকে 1990 অবধি ) শুধু 0.4% প্রত্যেক বছরে কিন্তু অনান্য দেশে সেটা বেড়েছে 2.4% . [১১৪] দারিদ্র একাধারে কারণ এবং ফল.রোগটা প্রতিরোধ করার বা চিকিত্সা করার মত অর্থনৈতিক সমর্থ গরিব মানুষদের নেই. মালাউই-তে 4% গৃহ আয়ের উচ্চ থেকে নিম স্তরে তুলনা করলে দেখা যায় নিম্ন আয়-এর মানুষদের বার্ষিক আয়ের 32% এই রোগটির পিছনে খরচা হয়.[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সর্বসমেত ম্যালেরিয়ার অর্থনৈতিক প্রভাব আফ্রিকা-তে প্রত্যেক বছর আনুমানিক $12 বিলিয়ন USD ব্যয় হয়.অর্থনৈতিক প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য খাতে খরচা, অসুস্থতা বশত কাজের দিন নষ্ট, শিক্ষার দিন নষ্ট, সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার দ্বারা মস্তিষ্ক ক্ষয়ের জন্য নিম্নগামী উত্পাদনক্ষমতা এবং বিনিয়োগ ও পর্যটন-এ ক্ষতি.[১০১]কিছু কিছু ম্যালেরিয়া ভারাক্রান্ত দেশে রোগটির জন্য জন-স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের 40% , আউটপেশেন্ট ভর্তির 30-50% এবং আউটপেশেন্ট ভিসিটের প্রায় 50% ব্যবহৃত হয়.[১১৫]


আরো দেখুন


উল্লেখপঞ্জি

  1. ম্যালেরিয়া তথ্য . রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক কেন্দ্রগুলি.
  2. Snow RW, Guerra CA, Noor AM, Myint HY, Hay SI (২০০৫)। "The global distribution of clinical episodes of Plasmodium falciparum malaria"। Nature434 (7030): 214–7। ডিওআই:10.1038/nature03342পিএমআইডি 15759000 
  3. "Malaria: Disease Impacts and Long-Run Income Differences" (PDF)Institute for the Study of Labor। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১০ 
  4. Yoshida S, Shimada Y, Kondoh D; ও অন্যান্য (২০০৭)। "Hemolytic C-type lectin CEL-III from sea cucumber expressed in transgenic mosquitoes impairs malaria parasite development"PLoS Pathog.3 (12): e192। ডিওআই:10.1371/journal.ppat.0030192পিএমআইডি 18159942 
  5. RTS,-এই প্রতিষেধকের সুরক্ষা হার
  6. Beare NA, Taylor TE, Harding SP, Lewallen S, Molyneux ME (নভেম্বর ১, ২০০৬)। "Malarial retinopathy: a newly established diagnostic sign in severe malaria"Am. J. Trop. Med. Hyg.75 (5): 790–7। পিএমআইডি 17123967পিএমসি 2367432অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |day= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  7. ম্যালেরিয়া জীবন-চক্র ও রোগ গবেষণা বিদ্যা . মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যালেরিয়া. Accessed October 31, 2006.
  8. Idro, R। "Decorticate, decerebrate and opisthotonic posturing and seizures in Kenyan children with cerebral malaria"Malaria Journal4 (57): 57। ডিওআই:10.1186/1475-2875-4-57পিএমআইডি 16336645পিএমসি 1326205অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য);
  9. Boivin MJ (২০০২)। "Effects of early cerebral malaria on cognitive ability in Senegalese children"J Dev Behav Pediatr23 (5): 353–64। পিএমআইডি 12394524  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  10. Holding PA, Snow RW (২০০১)। "Impact of Plasmodium falciparum malaria on performance and learning: review of the evidence"Am. J. Trop. Med. Hyg.64 (1-2 Suppl): 68–75। পিএমআইডি 11425179 - Scholar search
  11. Maude RJ, Hassan MU, Beare NAV (২০০৯)। "Severe retinal whitening in an adult with cerebral malaria"Am J Trop Med Hyg80 (6): 881। পিএমআইডি 19478242  অজানা প্যারামিটার |day= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); একের অধিক |pages= এবং |page= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  12. Beare NAV, Taylor TE, Harding SP, Lewallen S, Molyneux ME (২০০৬)। "Malarial retinopathy: a newly established diagnostic sign in severe malaria"। Am J Trop Med Hyg75: 790–797। পিএমআইডি 17123967 
  13. Trampuz A, Jereb M, Muzlovic I, Prabhu R (২০০৩)। "Clinical review: Severe malaria"Crit Care7 (4): 315–23। ডিওআই:10.1186/cc2183পিএমআইডি 12930555পিএমসি 270697অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  14. Kain K, Harrington M, Tennyson S, Keystone J (১৯৯৮)। "Imported malaria: prospective analysis of problems in diagnosis and management"। Clin Infect Dis27 (1): 142–9। ডিওআই:10.1086/514616পিএমআইডি 9675468 
  15. Mockenhaupt F, Ehrhardt S, Burkhardt J, Bosomtwe S, Laryea S, Anemana S, Otchwemah R, Cramer J, Dietz E, Gellert S, Bienzle U (২০০৪)। "Manifestation and outcome of severe malaria in children in northern Ghana"। Am J Trop Med Hyg71 (2): 167–72। পিএমআইডি 15306705 
  16. Carter JA, Ross AJ, Neville BG, Obiero E, Katana K, Mung'ala-Odera V, Lees JA, Newton CR (২০০৫)। "Developmental impairments following severe falciparum malaria in children"। Trop Med Int Health10: 3–10। ডিওআই:10.1111/j.1365-3156.2004.01345.xপিএমআইডি 15655008 
  17. Adak T, Sharma V, Orlov V (১৯৯৮)। "Studies on the Plasmodium vivax relapse pattern in Delhi, India"। Am J Trop Med Hyg59 (1): 175–9। পিএমআইডি 9684649 
  18. Mueller I, Zimmerman PA, Reeder JC (২০০৭)। "Plasmodium malariae and Plasmodium ovale--the "bashful" malaria parasites"। Trends Parasitol.23 (6): 278–83। ডিওআই:10.1016/j.pt.2007.04.009পিএমআইডি 17459775  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  19. Singh B, Kim Sung L, Matusop A; ও অন্যান্য (২০০৪)। "A large focus of naturally acquired Plasmodium knowlesi infections in human beings"। Lancet363 (9414): 1017–24। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(04)15836-4পিএমআইডি 15051281  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  20. Mendis K, Sina B, Marchesini P, Carter R (২০০১)। "The neglected burden of Plasmodium vivax malaria" (PDF)Am J Trop Med Hyg64 (1-2 Suppl): 97–106। পিএমআইডি 11425182 
  21. Escalante A, Ayala F (১৯৯৪)। "Phylogeny of the malarial genus Plasmodium, derived from rRNA gene sequences"। Proc Natl Acad Sci USA91 (24): 11373–7। ডিওআই:10.1073/pnas.91.24.11373পিএমআইডি 7972067 
  22. Garnham, PCC (১৯৬৬)। Malaria parasites and other haemosporidia। Oxford: Blackwell Scientific Publications। 
  23. Collins WE & Barnwell JW (২০০৯)। "Plasmodium knowlesi: Finally being recognized"। J Infect Dis199: 1107–1108। ডিওআই:10.1086/597415 
  24. দারিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষে পশু-স্বাস্থ্য গবেষণায় পুঁজিনিবেশ. ইন্টারন্যাশনাল লাইভস্টক রিসার্চ ইন্সট‍িট্যুট. পার্মিন এ. এবং ম্যাদ্সেন এম. (2001)এপেন্ডিক্স 2 : রোগের প্রাদুর্ভাব ও ফলাফলের পুনরনিরীক্ষণ (স্মলহোল্ডার পোল্ট্রি) Accessed 29 Oct 2006
  25. Atkinson CT, Woods KL, Dusek RJ, Sileo LS, Iko WM (১৯৯৫)। "Wildlife disease and conservation in Hawaii: pathogenicity of avian malaria (Plasmodium relictum) in experimentally infected iiwi (Vestiaria coccinea)"। Parasitology। 111 Suppl: S59–69। ডিওআই:10.1017/S003118200007582Xপিএমআইডি 8632925 
  26. Talman A, Domarle O, McKenzie F, Ariey F, Robert V (২০০৪)। "Gametocytogenesis: the puberty of Plasmodium falciparum"। Malar J3: 24। ডিওআই:10.1186/1475-2875-3-24পিএমআইডি 15253774 
  27. Marcucci C, Madjdpour C, Spahn D (২০০৪)। "Allogeneic blood transfusions: benefit, risks and clinical indications in countries with a low or high human development index"। Br Med Bull70: 15–28। ডিওআই:10.1093/bmb/ldh023পিএমআইডি 15339855 
  28. ব্লেডসয়. জি. এইচ. (ডিসেম্বর 2005)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানকারীদের জন্য "ম্যালেরিয়া-এর প্রারম্ভ" সাউথার্ন মেডিকাল জার্নাল 98(12): পিপি . 1197–204, (PMID: 16440920);
  29. Sturm A, Amino R, van de Sand C, Regen T, Retzlaff S, Rennenberg A, Krueger A, Pollok JM, Menard R, Heussler VT (২০০৬)। "Manipulation of host hepatocytes by the malaria parasite for delivery into liver sinusoids"। Science313: 1287–1490। ডিওআই:10.1126/science.1129720পিএমআইডি 16888102  line feed character in |author= at position 10 (সাহায্য)
  30. Cogswell FB (১৯৯২)। "The hypnozoite and relapse in primate malaria"Clin. Microbiol. Rev.5 (1): 26–35। পিএমআইডি 1735093পিএমসি 358221অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  31. Chen Q, Schlichtherle M, Wahlgren M (২০০০)। "Molecular aspects of severe malaria"Clin. Microbiol. Rev.13 (3): 439–50। ডিওআই:10.1128/CMR.13.3.439-450.2000পিএমআইডি 10885986পিএমসি 88942অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  32. Adams S, Brown H, Turner G (২০০২)। "Breaking down the blood-brain barrier: signaling a path to cerebral malaria?"। Trends Parasitol18 (8): 360–6। ডিওআই:10.1016/S1471-4922(02)02353-Xপিএমআইডি 12377286 
  33. Lindsay S, Ansell J, Selman C, Cox V, Hamilton K, Walraven G (২০০০)। "Effect of pregnancy on exposure to malaria mosquitoes"। Lancet355 (9219): 1972। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(00)02334-5পিএমআইডি 10859048 
  34. van Geertruyden J, Thomas F, Erhart A, D'Alessandro U (আগস্ট ১, ২০০৪)। "The contribution of malaria in pregnancy to perinatal mortality"Am J Trop Med Hyg71 (2 Suppl): 35–40। পিএমআইডি 15331817  অজানা প্যারামিটার |day= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  35. Rodriguez-Morales AJ, Sanchez E, Vargas M, Piccolo C, Colina R, Arria M, Franco-Paredes C (২০০৬)। "Pregnancy outcomes associated with Plasmodium vivax malaria in northeastern Venezuela"। Am J Trop Med Hyg74: 755–757। পিএমআইডি 16687675 
  36. Sutherland CJ, Hallett R (২০০৯)। "Detecting malaria parasites outside the blood"। J Infect Dis199 (11): 1561–1563। ডিওআই:10.1086/598857 
  37. Beare NA, Taylor TE, Harding SP, Lewallen S, Molyneux ME (২০০৬)। "Malarial retinopathy: a newly established diagnostic sign in severe malaria"Am. J. Trop. Med. Hyg.75 (5): 790–7। পিএমআইডি 17123967পিএমসি 2367432অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  38. Redd S, Kazembe P, Luby S, Nwanyanwu O, Hightower A, Ziba C, Wirima J, Chitsulo L, Franco C, Olivar M (২০০৬)। "Clinical algorithm for treatment of Plasmodium falciparum malaria in children"। Lancet347 (8996): 80। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(96)90404-3পিএমআইডি 8551881 .
  39. Warhurst DC, Williams JE (১৯৯৬)। "Laboratory diagnosis of malaria"। J Clin Pathol49: 533–38। ডিওআই:10.1136/jcp.49.7.533পিএমআইডি 8813948 
  40. Pattanasin S, Proux S, Chompasuk D, Luwiradaj K, Jacquier P, Looareesuwan S, Nosten F (২০০৩)। "Evaluation of a new Plasmodium lactate dehydrogenase assay (OptiMAL-IT) for the detection of malaria"। Transact Royal Soc Trop Med97: 672–4। ডিওআই:10.1016/S0035-9203(03)80100-1পিএমআইডি 16117960 
  41. Ling IT., Cooksley S., Bates PA., Hempelmann E., Wilson RJM. (১৯৮৬)। "Antibodies to the glutamate dehydrogenase of Plasmodium falciparum"। Parasitology92,: 313–24। ডিওআই:10.1017/S0031182000064088পিএমআইডি 3086819 
  42. Redd S, Kazembe P, Luby S, Nwanyanwu O, Hightower A, Ziba C, Wirima J, Chitsulo L, Franco C, Olivar M (২০০৬)। "Clinical algorithm for treatment of Plasmodium falciparum malaria in children"। Lancet347 (8996): 80। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(96)90404-3পিএমআইডি 8551881 .
  43. Hull, Kevin. (2006) "ম্যালেরিয়া: জ্বরের যুদ্ধ". PBS প্রামান্য চিত্র
  44. Barat L (২০০৬)। "Four malaria success stories: how malaria burden was successfully reduced in Brazil, Eritrea, India, and Vietnam"। Am J Trop Med Hyg74 (1): 12–6। পিএমআইডি 16407339 
  45. http://www.cdc.gov/malaria/history/eradication_us.htm Centers for Disease Control. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যালিরিয়ার নির্মুলিকরণ(1947-1951) 2004.
  46. Killeen G, Fillinger U, Kiche I, Gouagna L, Knols B (২০০২)। "Eradication of Anopheles gambiae from Brazil: lessons for malaria control in Africa?"। Lancet Infect Dis2 (10): e192। ডিওআই:10.1016/S1473-3099(02)00397-3পিএমআইডি 12383612 
  47. Gladwell, Malcolm. (২০০১-০৭-০২)। "The Mosquito Killer"। The New Yorker। 
  48. Robert Guth। "Rocket Scientists Shoot Down Mosquitoes With Lasers"। WSJ.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০০৯ 
  49. Tia E, Akogbeto M, Koffi A; ও অন্যান্য (২০০৬)। "[Pyrethroid and DDT resistance of Anopheles gambiae s.s. (Diptera: Culicidae) in five agricultural ecosystems from Côte-d'Ivoire]"। Bulletin de la Société de pathologie exotique (1990) (French ভাষায়)। 99 (4): 278–82। পিএমআইডি 17111979 
  50. ক্রমাগত ঘটমান জৈবিক দূষণের বিষয় স্টকহোম-এর আলোচনা সভা
  51. Rosenberg, Tina (2007-04-11)। ""What the world needs now is DDT""। New York Times। সংগ্রহের তারিখ 2008-11-03  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  52. প্যাট্স, এইচ. এবং কার্টিস, সি.:"মশা চরিত্র ও রোগ বহন নিয়ন্ত্রণ", পৃষ্ঠা 53-70. পতঙ্গ-বিজ্ঞানের বিষয় বাত্সরিক পুনর্নিরীক্ষণ, 50, 2005.
  53. Bachou H, Tylleskär T, Kaddu-Mulindwa DH, Tumwine JK (২০০৬)। "Bacteraemia among severely malnourished children infected and uninfected with the human immunodeficiency virus-1 in Kampala, Uganda"BMC Infect. Dis.6: 160। ডিওআই:10.1186/1471-2334-6-160পিএমআইডি 17090299পিএমসি 1660577অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  54. নতুন মশারি আফ্রিকা-তে ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সাহায্য করবে
  55. রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি -দ্বয়ের আন্তর্জাতিক সংযুক্তি (200) "দ্য উইনিং ফর্মুলা - ওয়ার্ল্ড ম্যালেরিয়া দে রিপোর্ট 2009"
  56. The Economist (২০০৭)। "Traditional Economy of the Kavango"। Economist Documentary। 
  57. "ছত্রাক ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সহায়তা করে পারে'",BBC নিউস ,2005-06-09
  58. Nussenzweig R, Vanderberg J, Most H, Orton C (১৯৬৭)। "Protective immunity produced by the injection of x-irradiated sporozoites of plasmodium berghei"। Nature216 (5111): 160–2। ডিওআই:10.1038/216160a0পিএমআইডি 6057225 
  59. Hoffman SL, Goh LM, Luke TC; ও অন্যান্য (২০০২)। "Protection of humans against malaria by immunization with radiation-attenuated Plasmodium falciparum sporozoites"। J. Infect. Dis.185 (8): 1155–64। ডিওআই:10.1086/339409পিএমআইডি 11930326 
  60. সানারিয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স
  61. স্বাস্থ্য | ম্যালেরিয়া-এ সংক্রামিত হলে আপনি পয়সা পেতে পারেন | সিত্ত্লে টাইমস নিউসপেপার
  62. Zavala F, Cochrane A, Nardin E, Nussenzweig R, Nussenzweig V (১৯৮৩)। "Circumsporozoite proteins of malaria parasites contain a single immunodominant region with two or more identical epitopes"। J Exp Med157 (6): 1947–57। ডিওআই:10.1084/jem.157.6.1947পিএমআইডি 6189951  অজানা প্যারামিটার |i pmid= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  63. Hollingdale M, Nardin E, Tharavanij S, Schwartz A, Nussenzweig R (১৯৮৪)। "Inhibition of entry of Plasmodium falciparum and P. vivax sporozoites into cultured cells; an in vitro assay of protective antibodies"। J Immunol132 (2): 909–13। পিএমআইডি 6317752 
  64. Gardner M, Hall N, Fung E; ও অন্যান্য (২০০২)। "Genome sequence of the human malaria parasite Plasmodium falciparum"। Nature370 (6906): 1543। ডিওআই:10.1038/nature01097পিএমআইডি 12368864 
  65. Aponte JJ, Aide P, Renom M; ও অন্যান্য (২০০৭)। "Safety of the RTS,S/AS02D candidate malaria vaccine in infants living in a highly endemic area of Mozambique: a double blind randomised controlled phase I/IIb trial"। Lancet370 (9598): 1543–51। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(07)61542-6পিএমআইডি 17949807  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  66. আফ্রিকা: ম্যালেরিয়া - 2011 -এ প্রতিষেধক আশা করা যেতে পারে. আক্রা মেল. 9 জানুয়ারী 2007. Accessed 15 January 2007.
  67. "What is Malariacontrol.net"। AFRICA@home। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-১১ 
  68. Águas R, White LJ, Snow RW, Gomes MG (২০০৮)। "Prospects for malaria eradication in sub-Saharan Africa"PLoS ONE3 (3): e1767। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0001767পিএমআইডি 18335042পিএমসি 2262141অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  69. আমার যদি ম্যালেরিয়া হয়, তাহলে কি আমায় বাকি জীবনটা এটাতে ভুগতে হবে? CDC পাবলিকেশন, Accessed 14 Nov 2006
  70. White NJ (২০০৪)। "Antimalarial drug resistance"J Clin Invest.113 (8): 1084–92। ডিওআই:10.1172/JCI21682পিএমআইডি 15085184পিএমসি 385418অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  71. Tinto H, Rwagacondo C, Karema C; ও অন্যান্য (২০০৬)। "In-vitro susceptibility of Plasmodium falciparum to monodesethylamodiaquine, dihydroartemsinin and quinine in an area of high chloroquine resistance in Rwanda"। Trans R Soc Trop Med Hyg100 (6): 509–14। ডিওআই:10.1016/j.trstmh.2005.09.018 
  72. Murphy S, Harrison T, Hamm H, Lomasney J, Mohandas N, Haldar K (২০০৬)। "Erythrocyte G protein as a novel target for malarial chemotherapy"। PLoS Med3 (12): e528। ডিওআই:10.1371/journal.pmed.0030528পিএমআইডি 17194200  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  73. ম্যালেরিয়া-এর জন্য নির্দেশিত ওষুধ Retrieved February 27, 2007.
  74. Trager W, Jensen JB (১৯৭৬)। "Human malaria parasites in continuous culture"। Science193 (4254): 673–5। ডিওআই:10.1126/science.781840পিএমআইডি 781840 
  75. Rwagacondo C, Karema C, Mugisha V, Erhart A, Dujardin J, Van Overmeir C, Ringwald P, D'Alessandro U (২০০৪)। "Is amodiaquine failing in Rwanda? Efficacy of amodiaquine alone and combined with artesunate in children with uncomplicated malaria"। Trop Med Int Health9 (10): 1091–8। ডিওআই:10.1111/j.1365-3156.2004.01316.xপিএমআইডি 15482401 .
  76. Eckstein-Ludwig U, Webb R, Van Goethem I, East J, Lee A, Kimura M, O'Neill P, Bray P, Ward S, Krishna S (২০০৩)। "Artemisinins target the SERCA of Plasmodium falciparum"। Nature424 (6951): 957–61। ডিওআই:10.1038/nature01813পিএমআইডি 12931192 
  77. Uhlemann A, Cameron A, Eckstein-Ludwig U, Fischbarg J, Iserovich P, Zuniga F, East M, Lee A, Brady L, Haynes R, Krishna S (২০০৫)। "A single amino acid residue may determine the sensitivity of SER`CAs to artemisinins"। Nat Struct Mol Biol12 (7): 628–9। ডিওআই:10.1038/nsmb947পিএমআইডি 15937493 
  78. Li W, Mo W, Shen D, Sun L, Wang J, Lu S, Gitschier J, Zhou B (২০০৫)। "Yeast model uncovers dual roles of mitochondria in action of artemisinin"। PLoS Genet1 (3): e36। ডিওআই:10.1371/journal.pgen.0010036পিএমআইডি 16170412 
  79. সীমান্তহীন ওষুধ - ম্যালেরিয়া, "কি দাম এবং কে মেটাবে?"
  80. Newton PN Green MD, Fernández FM, Day NPJ, White NJ. (২০০৬)। "Counterfeit anti-infective drugs"। Lancet Infect Dis6 (9): 602–13। ডিওআই:10.1016/S1473-3099(06)70581-3পিএমআইডি 16931411 
  81. Jane Parry (২০০৫)। "WHO combats counterfeit malaria drugs in Asia"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-১৯ 
  82. Joy D, Feng X, Mu J; ও অন্যান্য (২০০৩)। "Early origin and recent expansion of Plasmodium falciparum"। Science300 (5617): 318–21। ডিওআই:10.1126/science.1081449পিএমআইডি 12690197 
  83. Escalante A, Freeland D, Collins W, Lal A (১৯৯৮)। "The evolution of primate malaria parasites based on the gene encoding cytochrome b from the linear mitochondrial genome"। Proc Natl Acad Sci USA95 (14): 8124–9। ডিওআই:10.1073/pnas.95.14.8124পিএমআইডি 9653151 
  84. Cox F (২০০২)। "History of human parasitology"Clin Microbiol Rev15 (4): 595–612। ডিওআই:10.1128/CMR.15.4.595-612.2002পিএমআইডি 12364371পিএমসি 126866অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  85. দেফয় কে সেক্সপিয়ার : তুষার যুগে ইংলান্ডে ম্যালেরিয়া. পল রেইটার. রোগ নির্ণয় ও প্রতিষেধক কেন্দ্রগুলি, সান জুয়ান, পয়ের্ত রিকো.
  86. ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা-এ কিট-পতঙ্গ ও ছোট ইন্দুর জাতীয় প্রাণী দ্বারা বাহিত রোগ. নরমে জি. গ্রাত্জ. ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইসেষণ, জেনেভা.
  87. "Biography of Alphonse Laveran"। The Nobel Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৫ নোবেল ফাউন ডেশন. Accessed 25 Oct 2006
  88. "Ettore Marchiafava"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৫ 
  89. Tan SY, Sung H (২০০৮)। "Carlos Juan Finlay (1833–1915): of mosquitoes and yellow fever" (PDF)Singapore Med J49 (5): 370–1। পিএমআইডি 18465043  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  90. Chernin E (১৯৮৩)। "Josiah Clark Nott, insects, and yellow fever"Bull N Y Acad Med59 (9): 790–802। পিএমআইডি 6140039পিএমসি 1911699অবাধে প্রবেশযোগ্য  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  91. Chernin E (১৯৭৭)। "Patrick Manson (1844–1922) and the transmission of filariasis"Am. J. Trop. Med. Hyg.26 (5 Pt 2 Suppl): 1065–70। পিএমআইডি 20786  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  92. "Biography of Ronald Ross"। The Nobel Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৫ 
  93. "Ross and the Discovery that Mosquitoes Transmit Malaria Parasites"CDC Malaria website। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৫ 
  94. Kaufman T, Rúveda E (২০০৫)। "The quest for quinine: those who won the battles and those who won the war"। Angew Chem Int Ed Engl44 (6): 854–85। ডিওআই:10.1002/anie.200400663পিএমআইডি 15669029 
  95. Kyle R, Shampe M (১৯৭৪)। "Discoverers of quinine"। JAMA229 (4): e320। ডিওআই:10.1001/jama.229.4.462পিএমআইডি 4600403 
  96. Raju T (২০০৬)। "Hot brains: manipulating body heat to save the brain"Pediatrics117 (2): e320–1। ডিওআই:10.1542/peds.2005-1934পিএমআইডি 16452338 
  97. Krotoski W, Collins W, Bray R; ও অন্যান্য (১৯৮২)। "Demonstration of hypnozoites in sporozoite-transmitted Plasmodium vivax infection"। Am J Trop Med Hyg31 (6): 1291–3। পিএমআইডি 6816080 
  98. Meis J, Verhave J, Jap P, Sinden R, Meuwissen J (১৯৮৩)। "Malaria parasites--discovery of the early liver form"। Nature302 (5907): 424–6। ডিওআই:10.1038/302424a0পিএমআইডি 6339945 
  99. Verra F, Luoni G, Calissano C, Troye-Blomberg M, Perlmann P, Perlmann H, Arcà B, Sirima B, Konaté A, Coluzzi M, Kwiatkowski D, Modiano D (২০০৪)। "IL4-589C/T polymorphism and IgE levels in severe malaria"। Acta Trop.90 (2): 205–9। ডিওআই:10.1016/j.actatropica.2003.11.014পিএমআইডি 15177147 
  100. 2005 WHO বিশ্ব ম্যালেরিয়া বিবরণ 2008
  101. Greenwood BM, Bojang K, Whitty CJ, Targett GA (২০০৫)। "Malaria"। Lancet365: 1487–1498। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(05)66420-3পিএমআইডি 15850634 
  102. Hay S, Guerra C, Tatem A, Noor A, Snow R (২০০৪)। "The global distribution and population at risk of malaria: past, present, and future"। Lancet Infect Dis4 (6): 327–36। ডিওআই:10.1016/S1473-3099(04)01043-6পিএমআইডি 15172341 
  103. Breman J (জানুয়ারি ১, ২০০১)। "The ears of the hippopotamus: manifestations, determinants, and estimates of the malaria burden"Am J Trop Med Hyg64 (1-2 Suppl): 1–11। পিএমআইডি 11425172  অজানা প্যারামিটার |day= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  104. Korenromp E, Williams B, de Vlas S, Gouws E, Gilks C, Ghys P, Nahlen B (২০০৫)। "Malaria attributable to the HIV-1 epidemic, sub-Saharan Africa"Emerg Infect Dis11 (9): 1410–9। পিএমআইডি 16229771 
  105. Abu-Raddad L, Patnaik P, Kublin J (২০০৬)। "Dual infection with HIV and malaria fuels the spread of both diseases in sub-Saharan Africa"। Science314 (5805): 1603–6। ডিওআই:10.1126/science.1132338পিএমআইডি 17158329 
  106. Layne SP। "Principles of Infectious Disease Epidemiology /" (PDF)EPI 220। UCLA Department of Epidemiology। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৫ 
  107. Greenwood B, Mutabingwa T (২০০২)। "Malaria in 2002"। Nature415: 670–2। ডিওআই:10.1038/415670aপিএমআইডি 11832954 
  108. Grover-Kopec E, Kawano M, Klaver R, Blumenthal B, Ceccato P, Connor S (২০০৫)। "An online operational rainfall-monitoring resource for epidemic malaria early warning systems in Africa"Malar J4: 6। ডিওআই:10.1186/1475-2875-4-6পিএমআইডি 15663795পিএমসি 548290অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  109. Van Benthem B, Vanwambeke S, Khantikul N, Burghoorn-Maas C, Panart K, Oskam L, Lambin E, Somboon P (ফেব্রুয়ারি ১, ২০০৫)। "Spatial patterns of and risk factors for seropositivity for dengue infection"Am J Trop Med Hyg72 (2): 201–8। পিএমআইডি 15741558  অজানা প্যারামিটার |day= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  110. Trung H, Van Bortel W, Sochantha T, Keokenchanh K, Quang N, Cong L, Coosemans M (২০০৪)। "Malaria transmission and major malaria vectors in different geographical areas of Southeast Asia"। Trop Med Int Health9 (2): e473। ডিওআই:10.1046/j.1365-3156.2003.01179.xপিএমআইডি 15040560 
  111. Keiser J, Utzinger J, Caldas de Castro M, Smith T, Tanner M, Singer B (আগস্ট ১, ২০০৪)। "Urbanization in sub-saharan Africa and implication for malaria control"Am J Trop Med Hyg71 (2 Suppl): 118–27। পিএমআইডি 15331827  অজানা প্যারামিটার |day= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  112. Hay SI, Snow RW (২০০৬)। "The Malaria Atlas Project: Developing Global Maps of Malaria Risk"PLoS Medicine3 (12): e473। ডিওআই:10.1371/journal.pmed.0030473পিএমআইডি 17147467পিএমসি 1762059অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  113. হামফ্রেস, এম. 2001. ম্যালেরিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র, জাতি ও জন-স্বাস্থ্য. জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস. ISBN 0-8018-6637-5
  114. Sachs J, Malaney P (২০০২)। "The economic and social burden of malaria"। Nature415: 680–5। ডিওআই:10.1038/415680aপিএমআইডি 11832956 
  115. Roll Back Malaria। "Economic costs of malaria"WHO। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২১ 


বহি:সূত্র

সাধারণ তথ্য



টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA পি এন বি :ملیریا