প্রাগৈতিহাসিক শিল্পকলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৬২ নং লাইন: ১৬২ নং লাইন:
===আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ===
===আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ===
{{See|গুহাচিত্র#আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ}}
{{See|গুহাচিত্র#আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ}}
[[File:San Painting, Ukalamba Drakensberge 1.JPG|left|thumb|[[San rock art|San rock painting]] of an [[Taurotragus|eland]] at [[Drakensberg]]]]
[[File:San Painting, Ukalamba Drakensberge 1.JPG|left|thumb|[[স্যান জনগোষ্ঠীর শিলাশিল্প|স্যান শিলা চিত্রে]] একটি [[টরোট্রেগাস|কৃষ্ণসারমৃগ]], [[ডারকেনসবার্গ]]]]
In September 2018, scientists{{who?|date=October 2018}} reported the discovery of the earliest known drawing by ''[[Homo sapiens]]'',<ref>{{cite web |title=What the oldest drawing found in South Africa tells us about our human ancestors |url=https://qz.com/africa/1389000/what-the-oldest-drawing-found-in-south-africa-tells-us-about-our-human-ancestors/ |accessdate=30 August 2019}}</ref> which is estimated to be 73,000 years old, much earlier than the 43,000 years old artifacts understood to be the earliest known modern human drawings found previously.<ref name="NYT-20180912">{{cite news |last=St. Fleur |first=Nicholas|title=Oldest Known Drawing by Human Hands Discovered in South African Cave |url=https://www.nytimes.com/2018/09/12/science/oldest-drawing-ever-found.html |date=12 September 2018 |work=[[The New York Times]] |accessdate=15 September 2018 }}</ref>
সেপ্টেম্বর ২০১৮এ, বিজ্ঞানীরা{{who?|date=October 2018}} ''[[মানুষ|মানুষের]]'' প্রাচীনতম অঙ্কন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন, যা আনুমানিক ৭৩,০০০ বছরের পুরানো।<ref>{{cite web |title=An abstract drawing from the 73,000-year-old levels at Blombos Cave, South Africa |url=https://www.nature.com/articles/s41586-018-0514-3 |accessdate=30 August 2019}}</ref> ৪৩,০০০ বছরের পুরানো নিদর্শনগুলি এর আগে পাওয়া প্রাচীনতম মানব অঙ্কন মনে করা হত, এটি তার অনেক আগেকার। এটি কেপটাউন থেকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) দূরে ব্লম্বোস গুহায় আবিষ্কার হয়েছিল। হাজার হাজার বছর আগে এখানে শিকারীদের অস্থায়ী বাড়ি ছিল।<ref>{{cite web |title=What the oldest drawing found in South Africa tells us about our human ancestors |url=https://qz.com/africa/1389000/what-the-oldest-drawing-found-in-south-africa-tells-us-about-our-human-ancestors/ |accessdate=30 August 2019}}</ref> <ref name="NYT-20180912">{{cite news |last=St. Fleur |first=Nicholas|title=Oldest Known Drawing by Human Hands Discovered in South African Cave |url=https://www.nytimes.com/2018/09/12/science/oldest-drawing-ever-found.html |date=12 September 2018 |work=[[The New York Times]] |accessdate=15 September 2018 }}</ref>
জিম্বাবুয়ের [[মাতোবো ন্যাশনাল পার্ক]] এর আশেপাশে এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিলাচিত্র রয়েছে যা খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে করা।<ref name="Coulson86">[[#Coulson|Coulson]], p. 86</ref>


উল্লেখযোগ্য [[স্যান জনগোষ্ঠীর শিলাশিল্প|স্যান শিলা চিত্র]] [[পালালা নদী]]র ওপরদিকে [[ওয়াটারবার্গ ন্যাশনাল পার্ক|ওয়াটারবার্গ]] অঞ্চলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার [[ডারকেনসবার্গ|ডারকেনসবার্গের]] আশেপাশে বিদ্যমান, যার কয়েকটি খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দের বলে মনে করা হয়। এই চিত্রগুলি খুব স্পষ্ট এবং বিভিন্ন ধরণের মানুষ এবং [[বন্যপ্রাণ|বন্যপ্রাণের]] মোটিফ চিত্রিত করা আছে, বেশি দেখা গেছে [[হরিণ]]চিত্র। এই অঞ্চলে শিলাচিত্রের মোটামুটি ধারাবাহিক ইতিহাস রয়েছে বলে মনে হয়; কিছু শিল্প স্পষ্টভাবে ঊনবিংশ শতকের। এর মধ্যে অশ্বচালক সহ ঘোড়ার চিত্র রয়েছে, যা ১৮২০ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে পরিচিত ছিল না।<ref name="Coulson80">[[#Coulson|Coulson]], pp. 80–82</ref>


নামিবিয়ার [[অ্যাপোলো ১১ গুহ]] সমূহ ছাড়াও [[ট্যুইফেলফোনটাইন]] এর কাছে স্যান শিলা চিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য বিন্যাস রয়েছে। এই কাজটি কয়েক হাজার বছরের পুরানো, এবং এই অঞ্চলে মেষপালক উপজাতির আগমনের সাথে এগুলি শেষ হয়ে যায়।<ref name="UnescoTwyfel">[[#UnescoTwyfel|Unesco World Heritage designation]].</ref>
There is a significant body of rock painting in the region around [[Matobo National Park]] of Zimbabwe dating from as early as 6000 BCE to 500 CE.<ref name="Coulson86">[[#Coulson|Coulson]], p. 86</ref>


===Horn of Africa===
Significant [[San rock art|San rock painting]]s exist in the [[Waterberg National Park|Waterberg]] area above the [[Palala River]] and around [[Drakensberg]] in South Africa, some of which are considered to derive from the period 8000 BCE. These images are very clear and depict a variety of human and [[wildlife]] motifs, especially [[antelope]]. There appears to be a fairly continuous history of rock painting in this area; some of the art clearly dates into the 19th century. They include depictions of horses with riders, which were not introduced to the area until the 1820s.<ref name="Coulson80">[[#Coulson|Coulson]], pp. 80–82</ref>
{{See|Cave painting#Horn of Africa}}
[[File:Laas Geel.jpg|thumb|Long-horned [[cattle]] and other [[rock art]] in the [[Laas Geel]] complex.]]
[[Laas Geel]] is a complex of [[cave]]s and [[rock shelter]]s in northwestern [[Somalia]]. Famous for their rock art, the caves are located in a rural area on the outskirts of [[Hargeisa]]. They contain some of the earliest known cave paintings in the [[Horn of Africa]], many of which depict pastoral scenes. Laas Geel's rock art is estimated to date back to somewhere between [[9th millennium BCE|9,000]]–[[8th millennium BCE|8,000]] and [[3rd millennium BCE|3,000]] [[BCE]].


In 2008, archaeologists also announced the discovery of cave paintings in Somalia's northern [[Dhambalin]] region, which the researchers suggest includes one of the earliest known depictions of a hunter on horseback. The rock art is in the Ethiopian-Arabian style, dated to 1000 to 3000 BCE.<ref name="Tdodras">{{cite journal|last=Mire|first=Sada|title=The Discovery of Dhambalin Rock Art Site, Somaliland|journal=African Archaeological Review|year=2008|volume=25|issue=3–4|pages=153–168|url=http://www.mbali.info/doc494.htm|accessdate=22 June 2013|doi=10.1007/s10437-008-9032-2|deadurl=yes|archiveurl=https://web.archive.org/web/20130627100400/http://www.mbali.info/doc494.htm|archivedate=27 June 2013|df=}}</ref><ref name="Guafcpaonas">{{cite news|last=Alberge|first=Dalya|title=UK archaeologist finds cave paintings at 100 new African sites|url=https://www.theguardian.com/world/2010/sep/17/cave-paintings-found-in-somaliland|accessdate=25 June 2013|newspaper=The Guardian|date=17 September 2010}}</ref>
Namibia, in addition to the [[Apollo 11 Cave]] complex, has a significant array of San rock art near [[Twyfelfontein]]. This work is several thousand years old, and appears to end with the arrival of pastoral tribes in the area.<ref name="UnescoTwyfel">[[#UnescoTwyfel|Unesco World Heritage designation]].</ref>

Other prehistoric art in the Horn region include stone [[megalith]]s and engravings, some of which are 3,500 years old. The town of Dillo in [[Ethiopia]] has a hilltop covered with stone [[stele|stelae]]. It is one of several such sites in southern Ethiopia dating from historic period{{Clarification needed|date=October 2018}} (10th-14th centuries).<ref name="Coulson147">[[#Coulson|Coulson]], p. 147</ref>


==আরো দেখুন==
==আরো দেখুন==

০৯:৩০, ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফ্রান্সের শৌভেত গুহা তে গণ্ডারের প্রাগৈতিহাসিক চিত্র, আনুমানিক ৩৫,০০০ বছর আগেকার।

শিল্পের ইতিহাসে, প্রাগৈতিহাসিক শিল্পকলা হল প্রাক সাক্ষর সময়কার শিল্পকলা। প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতিটি ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের অনেক পরে কোনসময়ে শুরু হয়েছিল। যতক্ষণ না লেখার বিকাশ হয়েছে বা মানুষ তথ্য সংরক্ষণ করতে শিখেছে, বা অন্য সংস্কৃতির মানুষ যারা বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনার তথ্য সংরক্ষণ করতে শিখেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই শিল্পকলা অব্যাহত ছিল। এই সময় থেকেই পুরানো শিক্ষিত সংস্কৃতির জন্য প্রাচীন শিল্প শুরু হয়। কবে এটি শেষ হল তার সময় বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রকম।[১]

আদি শিল্পকলাগুলিতে শৈল্পিক ছোঁয়া ছিল কিনা, তা কিছুটা বিতর্কিত বিষয়। এটা পরিষ্কার যে এই ধরণের কাজ ৪০,০০০ বছর আগে প্রাচীন প্রস্তর যুগে ছিল, যদিও এটি তার আগে থেকেও শুরু হতে পারে। সেপ্টেম্বর ২০১৮ এ, বিজ্ঞানীরা মানুষের প্রাচীনতম অঙ্কন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন, যা আনুমানিক ৭৩,০০০ বছরের পুরানো। এর আগে পর্যন্ত ৪৩,০০০ বছরের পুরানো নিদর্শনগুলিই প্রাচীনতম মানব অঙ্কন বলে মনে করা হত।[২]

৫০০,০০০ বছর আগেকার হোমো ইরেকটাসদের খোদাই করে তৈরি করা খোলগুলি পাওয়া গেছে, যদিও এই খোদাইগুলিকে যথাযথভাবে ‘শিল্প’ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায় কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত নন।[৩] প্রাচীন প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে মধ্য প্রস্তর যুগ পর্যন্ত, গুহা চিত্র এবং বহনযোগ্য শিল্পের মধ্যে প্রধানত মূর্তি এবং পুঁতির কাজ দেখা গেছে। কিছু উপযোগী বস্তুতে আলংকারিক ভাস্কর্যও দেখা যায়। নব্য প্রস্তরযুগের প্রাচীন মৃৎশিল্পের প্রমান মিলেছে, এছাড়াও দেখা গেছে ভাস্কর্য এবং মেগালিথ নির্মাণ। প্রাচীন শিলা শিল্প প্রথম এই সময়ের মধ্যে দেখা যায়। ব্রোঞ্জ যুগে ধাতুর কাজের উদ্ভবের ফলে শিল্প সৃষ্টিতে ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত মাধ্যম পাওয়া গিয়েছিল, এর ফলে শৈলীগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, এবং শিল্প ছাড়া অন্য কোন সুস্পষ্ট কাজ নেই এমন বস্তুও তৈরি হয়েছিল। এই সময় কারিগরদের কিছু ক্ষেত্রেও উন্নয়ন হয়েছিল, শিল্পের উৎপাদনের পাশাপাশি প্রারম্ভিক লেখার ব্যবস্থায় বিশেষজ্ঞ এক শ্রেণির মানুষ দেখা গিয়েছিল। লৌহ যুগের মধ্যেই, প্রাচীন মিশর থেকে চীনের ইতিহাস # প্রাচীন চীন পর্যন্ত যে সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল, সেখানে লিপির সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে অনেক স্থানীয় অধিবাসী তাদের ভৌগলিক অঞ্চল এবং সংস্কৃতির সাথে স্বতন্ত্রভাবে শৈল্পিক কাজ করে চলেছিল। অনুসন্ধান এবং বাণিজ্য তাদের কাছে নথি রাখার পদ্ধতি নিয়ে পৌঁছোনোর পর তাদের সম্বন্ধে জানা গেছে। কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্কৃতি, যেমন মায়া সভ্যতা, স্বাধীনভাবে লেখার বিকাশ ঘটিয়েছিল, যা পরে হারিয়ে যায়। এই সংস্কৃতিগুলিকে প্রাগৈতিহাসিক হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে, বিশেষত যদি তাদের লেখার ব্যবস্থাটি বিশদভাবে পাঠোদ্ধার না করা হয়ে থাকে।

প্রাচীন প্রস্তরযুগ

প্রাথমিক এবং মধ্য প্রাচীন প্রস্তরযুগ

হোমো ইরেক্টাসদের জ্যামিতিক ছেদযুক্ত খোল, প্রায় ৫০০,০০০ বছর আগেকার, এটিকে প্রথম শিল্পকাজ হিসাবে মনে করা হয়। প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য কেন্দ্র, নেদারল্যান্ডস[৪][৫]
অ্যাচিউলিয়ান হাতের কুড়াল

প্রথম অবিসংবাদিত শিল্পের প্রকাশ হয়েছিল প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রথম দিকে অরিগনাশিয়ান মানুষের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতি অনুসারে। কিন্তু, কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে যাতে বোঝা যায় যে, নান্দনিকতার প্রতি আগ্রহ, ১০০,০০০ থেকে ৫০,০০০ বছর আগে, মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগ থেকে দেখা গিয়েছিল। কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক, বিশেষ কিছু মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগের নিদর্শনগুলিকে, শৈল্পিক প্রকাশের প্রাথমিক উদাহরণ হিসাবে মনে করেছেন।[৬][৭] নিদর্শনের প্রতিসাম্য, সরঞ্জাম আকৃতির বিশদের দিকে মনোযোগ ইত্যাদি প্রমাণ দেখে কিছু বিশেষজ্ঞ অ্যাচিউলিয়ানদের হাতের কুড়ালকে মনে করেছেন সেই সময়কার মানুষদের বিশেষ শৈল্পিক সত্ত্বার প্রকাশ।

স্বীকৃত "মানুষের হাতের প্রাচীনতম অঙ্কন", দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লম্বস গুহায় আবিষ্কৃত। অনুমান করা হয় ৭৩,০০০ বছর আগেকার।[৮]

একইভাবে, ৫০০,০০০ বছর আগের পাওয়া (অর্থাৎ প্রাথমিক প্রাচীন প্রস্তরযুগ সময়ের), হোমো ইরেক্টাসদের করা, মিষ্টি জলের ঝিনুক-খোলায় হাঙর দাঁত দিয়ে ঘষে তৈরি একটি আঁকাবাঁকা নকশা শৈল্পিক ক্রিয়াকলাপের প্রথম প্রমাণ হিসাবে ২০১৪ সালে গৃহীত হয়েছিল। [৯]

মধ্য প্রাচীন প্রস্তরযুগের আরও কিছু ভাস্কর্য রয়েছে, যাদের নাম "ভেনাস অফ ট্যান-ট্যান" (৩০০ কেওয়াইএ এর আগে)[১০] এবং "ভেনাস অফ বেরেখাত রাম" (২৫০ কেওয়াইএ)। ২০০২ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লম্বস গুহাতে, এমন পাথর পাওয়া গেছে যাতে জালি দাগ বা তেরছা দাগ দিয়ে খোদাই করা হয়েছে। মনে করা হয় সেগুলি ৭০,০০০ বছর আগেকার নিদর্শন। এর ফলে কিছু গবেষক ধারণা করেছেন যে প্রারম্ভিক মানুষ বিমূর্ততা এবং বিমূর্ত শিল্প বা প্রতীকী শিল্প উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। কিন্তু রিচার্ড ক্লিন সহ একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক ব্লম্বস গুহার আবিষ্কার গুলিকে প্রকৃত শিল্পের প্রথম উদাহরণ হিসাবে স্বীকার করেন না।

সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে, দক্ষিণ আফ্রিকায় মানুষর দ্বারা প্রাচীনতম অঙ্কনের আবিষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছিল, যেটি আনুমানিক ৭৩,০০০ বছরের পুরানো। এর আগের ধারণা অনুযায়ী ৪৩,০০০ বছর আগেকার প্রাপ্ত শিল্পনিদর্শনকে প্রাচীনতম মনে করা হত।[১১]

নব্য প্রাচীন প্রস্তরযুগ

ইন্দোনেশিয়া দ্বীপের বোর্নিওর লুবাং জেরিজি সালেহর গুহা থেকে পাওয়া, সম্ভবত সম্ভবত প্রাচীনতম চিত্রকর্ম, আনুমানিক ৪০,০০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ [১২][১৩]
ফ্রান্সের লাসকক্সে একটি গুহাচিত্রে ওরকস

নভেম্বর ২০১৮তে, বিজ্ঞানীরা একটি অজানা জন্তুর প্রাচীনতম মূর্তি চিত্র শিল্প আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন, যা ৪০,০০০ বছরেরও বেশি পুরানো (সম্ভবত ৫২,০০০ বছরের পুরানো)। সেটি পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়া দ্বীপের বোর্নিওর লুবাং জেরিজি সালেহর গুহা থেকে।[১২][১৩]

মূর্ত শিল্পের প্রাচীনতম অবিসংবাদিত সৃষ্টিগুলির একটি জার্মানির শোভাবিস্কে আলব, বাডেন-ওয়ার্টেমবার্গ এ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রাচীনতম হল একটি ভেনাস মূর্তি, যেটি ভেনাস হোলে ফেলস নামেও পরিচিত এবং একটি সিংহ-মূর্তি যাদের সৃষ্টি করা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে।

উইলেনডর্ফের ভেনাস

নব্য প্রাচীন প্রস্তর যুগের আরও চিত্র শিল্পের (মোটামুটিভাবে ৪০,০০০ থেকে ১০,০০০ বছর আগেকার) মধ্যে রয়েছে গুহা চিত্রাঙ্কন (উদাহরণস্বরূপ, শৌভেত, আলতামিরা, পেখ মেরলে, আরসি-সুর-কিউর এবং লাসকক্স গুহার অঙ্কন) এবং বহনযোগ্য শিল্প:উইলেনডর্ফের ভেনাস এর মতো ভেনাস মূর্তি, পাশাপাশি সন্তরণরত বল্গাহরিণ, লেস আইজিসের নেকড়েমূর্তির লকেট এবং ব্যাটনস ডি কমান্ডমেন্ট নামে পরিচিত বেশ কয়েকটি বস্তু।

ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপের সুলাওয়েসির পেট্টাকেরে গুহার চিত্রগুলি ৪০,০০০ বছরের পুরানো, যা প্রাচীনতম ইউরোপীয় গুহা শিল্পের সময়কার। তাই মনে হয় সম্ভবত আফ্রিকাই এই ধরণের শিল্পের উৎস। [১৪]

ইউরোপে এই সময়কার খোলা জায়গায় বিস্ময়কর বিরাট শিল্পগুলির মধ্যে আছে পর্তুগালের কোয়া ভ্যালি এবং মাজুকো, স্পেনের ডোমিংগো গার্সিয়া এবং সিয়েগা ভার্দে, এবং ফ্রান্সের রোশার গ্রেভ ডি ফরনলস [fr] এ শিলা চিত্র।


দক্ষিণ কোরিয়ায় তুরোবং এর একটি গুহায় মানুষের দেহাবশেষের সঙ্গে পাওয়া গেছে খোদাই করা হরিণের হাড় এবং হরিণের চিত্র, যেগুলি প্রায় ৪০,০০০ বছরের পুরোনো।[১৫] সকচাং-রিতে পাওয়া হরিণ বা বল্গাহরিণের পেট্রোগ্লাইফগুলি নব্য প্রাচীন প্রস্তর যুগেরও হতে পারে। প্রাচীন জাপানি কাজের মতো শৈলীতে করা টুকরো জেজু দ্বীপের কোসান-রি তে পাওয়া গেছে, যা সে সময় সমুদ্র জলের স্তর কম থাকায় জাপান থেকে অভিগম্য হত।[১৬]

প্রাচীনতম পেট্রোগ্লাইফ গুলি আনুমানিক প্রায় ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ বছর পুরোনো, নব্য প্রাচীন প্রস্তরযুগের শেষের দিকের এবং মধ্য প্রস্তরযুগের সময়কার।

প্রাচীনতম অবিসম্বাদিত আফ্রিকার শিলা শিল্প প্রায় ১০,০০০ বছরের পুরোনো। আফ্রিকাতে পাওয়া মানুষের প্রথম প্রাকৃতিক চিত্রগুলি প্রায় ৮,০০০ বছর আগেকার। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় সেগুলি নীলনদী উপত্যকায় উদ্ভূত, ১০,০০০ বছর আগে মালি থেকে যা পশ্চিমদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রারম্ভিক শিল্পের উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলি হল দক্ষিণ আলজেরিয়ার তাসিলি এন'আজ্জের, লিবিয়ার টাদরার্ট অ্যাক্যাকাস (ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যমূলক স্থান), এবং উত্তর চাদে তিবেস্তি পর্বতমালা[১৭] দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারওয়েক গুহায় শিলা খোদাই এই সময়কার।[১৮] তানজানিয়ায় একটি স্থানে ২৯,০০০ বছর পূর্বের পাওয়া জিনিষের সময় নিয়ে কিছু বিতর্ক থেকে গেছে। নামিবিয়ার অ্যাপোলো ১১ গুহা সমষ্টির একটি স্থানের সময় ২৭,০০০ বছরের বলা হয়।

তুরস্কের গোবেলি টিপ অঞ্চলে বিশালাকার টি-আকারের পাথরের স্তম্ভ রয়েছে যা খ্রীস্টপূর্ব দশম-অষ্টম সহস্রাব্দ সময়ের; এগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম পরিচিত মেগালিথ। স্তম্ভগুলি অনেক বিমূর্ত, হেঁয়ালিপূর্ণ চিত্রলিপি এবং খোদাই করা প্রাণী কারুশিল্প দিয়ে সজ্জিত।

এশিয়া

"মহেঞ্জো-দরোর নৃত্যরতা মেয়ে", সিন্ধু সভ্যতা

বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সভ্যতা, বিশেষত চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এশিয়া ছিল গঠনভূমি। পূর্ব এশিয়ার প্রাক ইতিহাসিক বিশেষ আকর্ষণীয়, কারণ তুলনামূলকভাবে আগেই চীনে লেখার এবং ঐতিহাসিক ঘটনার নথিবদ্ধের প্রবর্তন আশেপাশের সংস্কৃতি এবং ভৌগলিক অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। খুব সমৃদ্ধ মেসোপটেমিয়ার শিল্পের ঐতিহ্যগুলির সামান্যই প্রাগৈতিহাসিক হিসাবে গণ্য করা হয়, কারণ সেখানে লেখার প্রচলন অনেক আগেই হয়েছিল। তবে প্রতিবেশী সংস্কৃতিগুলি যেমন উরারতু, লোরেস্তন প্রদেশ এবং ইরানের উল্লেখযোগ্য এবং জটিল শৈল্পিক ঐতিহ্য ছিল।

একটি "যোগী" বা "আদি শিব" এর সম্ভাব্য উপস্থাপনা, খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০-১৯০০

আজারবাইজান

বাকু থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে, আজারবাইজান এর বৃহত্তর ককেশাস পর্বতমালার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত সংরক্ষিত গোবুস্তান জাতীয় উদ্যানের ইতিহাস আজ থেকে ১২ হাজার বছরের পুরোনো। উদ্যানতে ৬,০০০ এরও বেশি শিলা খোদাই রয়েছে যাদের বেশিরভাগই শিকারের দৃশ্য, মানব ও প্রাণীদেহ চিত্রিত করা আছে। এছাড়াও ভাইকিং জাহাজের মতো দীর্ঘ জাহাজের চিত্র রয়েছে। গাবুস্তান এর একটি বিশেষত্ব এখানকার গাভালদাশ (টাম্বুরিন পাথর) নামে একটি প্রাকৃতিক সঙ্গীতসৃষ্টিকারী পাথর। [১৯][২০][২১][২২][২৩]

ভারতীয় উপমহাদেশ

প্রাচীনতম ভারতীয় চিত্র পাওয়া গেছে প্রাগৈতিহাসিক সময়ের শিলা চিত্রগুলি। পেট্রোগ্লাইফ গুলি ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্রর মতো জায়গায় পাওয়া যায়, এবং তাদের কয়েকটি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮,০০০ এর কাছাকাছি সময়ের।[২৪][২৫][২৬][২৭][২৮] সিন্ধু সভ্যতা থেকে সূক্ষ্ম ছোট মুদ্রা ছাপ এবং ভাস্কর্য পাওয়া গেছে, এবং তারা হয়তো শিক্ষিত ছিল, কিন্তু এর পতনের পরে, সাক্ষরতার সময় পর্যন্ত, অপেক্ষাকৃত কম শৈল্পিক অবশেষ রয়েছে, সম্ভবত তখন ক্ষয়শীল উপাদান ব্যবহৃত হত।

চীন

সানসিংদুই থেকে পাওয়া দুটি ব্রোঞ্জের মাথা, সোনার পাত দিয়ে ঢাকা

নব্যপ্রস্তরযুগের চীনে প্রাগৈতিহাসিক শিল্পকর্ম, যেমন অঙ্কিত মৃৎপাত্র, পাওয়া গেছে হুয়াংহো নদীর উপত্যকার ইয়াংশাও সংস্কৃতি এবং লংশান সংস্কৃতি থেকে। চীনের ব্রোঞ্জ যুগের সময়, প্রাচীন ঝাং রাজবংশ এর এবং ঝৌ রাজবংশ বহুসংখ্যক চীনা অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্রোঞ্জপাত্র উৎপাদন করেছিল, যেগুলি পূর্বপুরুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত সাধারণ বাসন এবং অন্যান্য সামগ্রী। সেগুলি টাওটি নমুনা এবং শ্যাং রাজত্বের শেষদিকের চীনা ব্রোঞ্জের লিপি দ্বারা সজ্জিত। ১৯৮৭ সালে মধ্য চীনের সানসিংদুইয়ের আবিষ্কারগুলি থেকে পাওয়া গিয়েছিল এযাবৎ অজানা প্রাক-সাক্ষর ব্রোঞ্জ যুগের সংস্কৃতি, যার নিদর্শনগুলিতে খুব বড় দর্শনীয় ব্রোঞ্জ মূর্তি রয়েছে (উদাহরণ বামদিকে)। এগুলি সমসাময়িক ঝাং সংস্কৃতির শেষের দিকের শিল্প, যা সর্বদা চীনা সংস্কৃতিতে ধারাবাহিক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে, তার চেয়ে অনেক আলাদা ছিল।

জাপান

একটি জোমোন মানবমূর্তি

প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ অনুযায়ী, প্রাচীন জাপানের জোমোন লোকেরা মৃৎপাত্র তৈরীতে প্রথম ছিল, সেট আনুমানিক প্লাইস্টোসিন (খ্রিস্টপূর্ব একাদশ সহস্রাব্দ) যুগে। ক্রমশ পরিশীলিত হয়ে, জোমোন লোকেরা ভেজা মাটির ওপর খাঁজকাটা বা মসৃণ দড়ি এবং লাঠির চাপ দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তুলত।

কোরিয়া

৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুশানে পাওয়া একটি কোরিয়ান নব্যপ্রস্তরযুগের পাত্র

সবচেয়ে আগের কোরিয়ান শিল্পের উদাহরণগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সময়কার। এগুলিতে মূলত অতিপ্রাকৃত ভাস্কর্য রয়েছে, যদিও পেট্রোগ্লাইফগুলিও সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে। শিলা শিল্প, প্রচুর পাথরের সরঞ্জাম এবং মৃৎপাত্র নির্মান এই সময় প্রচলিত ছিল।

এই প্রারম্ভিক সময়ের পর বিভিন্ন কোরিয়ান রাজ্য এবং রাজবংশের শিল্প শৈলী এসেছিল। এই সময়কালে, শিল্পীরা প্রায়শই তাদের শিল্পকর্মগুলিতে চীনের শিল্পশৈলী গ্রহণ করেছিল। তবে, কোরিয়ানরা কেবল চীন সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছিল তা নয়, বরং নিজেদের সাধারণ কমনীয়তা, প্রাকৃতিক বিশুদ্ধতা এবং স্বতঃস্ফূর্ততা দিয়ে সেগুলিকে পরিবর্তিত করেছিল। চীনা শৈলীর এই পরিস্রবণ পরে সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক পরিস্থিতির কারণে জাপানি শৈল্পিক ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করেছিল।

কোরিয়ার প্রাগৈতিহাসিক সময় শেষ হয়েছিল কোরিয়ার তিনটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে শুরু হিসাবে, এটি খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর ধ্রুপদী চীনা ভাষাতে লেখা (চিরাচরিত কোরিয়ার লিখিত ভাষা) সামগুক সাগিতে নথিভুক্ত রয়েছে; কেউ কেউ বলেন এর পূর্ববর্তী ইতিহাসও চীনা লিপিতে তৈরি করা হয়েছে, যেমন খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর সাঙ্গুও ঝি

জুমুন সময়কাল

নব্যপ্রস্তরযুগের শেষের দিকে, কোরিয়ায় জুমুন মৃৎশিল্পের সময় নামে পরিচিত সময়ে, সংস্কৃতির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, যেগুলি চীন সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে পাওয়া মৃৎশিল্পের মতই, জেড আকৃতির নকশা দিয়ে সজ্জিত। প্রাচীনতম নব্যপ্রস্তরযুগের স্থানগুলি যেখানে মৃৎশিল্পের অবশেষ পাওয়া গেছে, উদাহরণস্বরূপ ওসান-রি, খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০-৪৫০০ সময়কার।[১৬] এই মৃৎশিল্পটি চিরুনি নকশা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে, পাত্রটি প্রায়শই তীক্ষ্ণ ভূমিযুক্ত হত। এই সময়ের অলঙ্কারগুলির মধ্যে খোলের তৈরি মুখোশ রয়েছে; টোঙ্গসাম-ডং, ওসান-রি এবং সিনাম-রি-তে উল্লেখযোগ্য সন্ধান পাওয়া গেছে। নংপো-ডং-এ হাত দিয়ে করা কাদামাটির মূর্তি পাওয়া গেছে।[২৯]

মুমুন সময়কাল

দাপিয়ং বা তার কাছাকাছি একটি গর্তের ঘর থেকে পাওয়া একটি বড় সঞ্চয় পাত্র, মধ্য মুমুন (প্রায় ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)এ পাওয়া

মুমুন মৃৎশিল্পের সময়কালে, প্রায় ১৫০০ এবং ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে, কৃষির প্রসার ঘটেছিল, গ্রামগুলি বেড়েছিল এবং কবরগুলি আরও সুসম্পন্ন হয়েছিল, তা থেকে বড় আকারের রাজনৈতিক কাঠামোর প্রমাণ স্পষ্ট হয়। এই সময়েই কোরিয়া জুড়ে মেগালিথিক সমাধি এবং ডলমেন সমাধি দেখা গেছে। এই সময়ের মৃৎশিল্পগুলিতে বিশেষ করে কোন কারুকাজ ছিলনা। শৈলীতে এই পরিবর্তনগুলির অনেকগুলি মনে হয় উত্তর থেকে নতুন লোকের অভিবাসনের কারণে ঘটেছিল, যদিও এটি বিতর্কের বিষয়।[৩০] দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানে, মূলত শৈলীগত কারণে, শিলা শিল্প প্যানেল রয়েছে যা এই সময়কালের মনে করা হয়।[৩১]

যদিও কোরিয়ার ব্রোঞ্জের কাজ প্রবর্তনের সঠিক তারিখটিও বিতর্কের বিষয়, এটা পরিষ্কার যে ব্রোঞ্জের কাজ প্রায় ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে করা হয়েছিল। পাওয়া জিনিষগুলির মধ্যে শৈলীগতভাবে স্বতন্ত্র ছোরা, আয়না এবং বেল্ট বগলস্ আছে, যেগুলি স্থানীয়ভাবে স্বতন্ত্র, ব্রোঞ্জের কাজের, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর সংস্কৃতি হিসাবে প্রমাণিত।[৩২]

প্রাগৈতিহাসিক এবং ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যবর্তী কোরিয়া

গোগুরাইও সমাধি ম্যুরাল

৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ এবং ৩০০ খ্রিস্টাব্দে তিনটি রাজ্যের প্রতিষ্ঠা ও স্থিতির মধ্যবর্তী সময়টি, চীন ও জাপানের সাথে বাণিজ্য বাড়িয়ে, শৈল্পিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে বিশেষরূপে চিহ্নিত হয়ে আছে, সেই সময়ের চীনা ইতিহাস একে সমর্থন করে। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর মধ্যেই সম্প্রসারণবাদী চীনারা উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করে প্রশাসনিক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিল; খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে তাদের বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।[৩৩] এরপরে যা অবশিষ্ট ছিল, বিশেষত আধুনিক পিয়ং ইয়াং এর কাছে, লেল্যাং অঞ্চলে হান শৈলীতে তৈরী অনেকগুলি হস্তনির্মিত বস্তু পাওয়া গেছে।[৩৪]

চীনা ইতিহাসেও খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে কোরিয়ায় লোহার কাজ শুরু করার কথা লেখা আছে। পাথর নির্মিত বস্তু এবং ভাঁটিতে পোড়ানো মৃৎশিল্পগুলিও এইসময় থেকেই দেখা যায়, যদিও তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।[৩৫] জাপানি শৈলীর মৃৎশিল্প কোরিয়ায় পাওয়া গেছে এবং কোরিয়ার বিশেষরকম ধাতব কাজগুলি উত্তর-পূর্ব চীনে পাওয়া গেছে।[৩৬]

স্টেপস (পন্টিক–ক্যাস্পিয়ান স্টেপ অঞ্চল) কলা

সপ্তম শতকের শেষ সিথিয়ার চিতাবাঘের ফলক

স্টেপস আর্ট এর দুর্দান্ত নমুনা - বেশিরভাগ সোনার গহনা এবং ঘোড়ার জন্য অলংকরণ - হাঙ্গেরি থেকে মঙ্গোলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে দেখা গেছে। খ্রিস্টপূর্ব ৭​​ম এবং তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে, বস্তুগুলি সাধারণত ছোট হত, কারণ যাযাবর জনজাতির লোকেদের সর্বদাই চলাফেরা র মধ্যে থাকত। স্টেপসের শিল্পটি মূলত প্রাণী শিল্প, অর্থাৎ বেশ কয়েকটি প্রাণীর (আসল বা কল্পিত) সঙ্গে বা একটি প্রাণীর সঙ্গে (যেমন সোনালী মথ) লড়াইয়ের দৃশ্যগুলি প্রাধান্য পেয়েছে। স্টেপের ইউরোপীয় প্রান্তে, সিথিয়ানরা সর্বাধিক এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল,তারা বিশেষ করে সোনার সামগ্রীগুলি মাটিতে পুঁতে রাখত। ১৯৪৭ সালে সর্বাধিক বিখ্যাত আবিষ্কারগুলি হয়েছিল, যখন সোভিয়েত প্রত্নতাত্ত্বিক সের্গেই রুডেনকো আলতাই পর্বতমালার পাজিরিকে একটি রাজকীয় সমাধি আবিষ্কার করেছিলেন। অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর সঙ্গে, যার মধ্যে ছিল, সর্বাধিক প্রাচীন বিদ্যমান তন্তুময় কম্বল, যা সম্ভবত পার্সিতে তৈরি। প্রাগৈতিহাসিক সমাধির জন্য অস্বাভাবিকভাবে, এই অঞ্চলের উত্তর দিকের লোকেরা, হয়তো কাঠ এবং কাপড়ের মতো জৈব পদার্থ সংরক্ষণ করত যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। স্টেপসের লোকেরা ইউরোপ থেকে চীন প্রতিবেশী সংস্কৃতি থেকে একাধারে প্রভাবিত হয়েছিল এবং তাদের প্রভাবিত করেছিল, এবং পরবর্তীতে সিথিয়ান কাজগুলি প্রাচীন গ্রীক রীতিতে প্রচুরভাবে প্রভাবিত হয়, এবং সম্ভবত প্রায়শই সিথিয়ায় গ্রীকরা তৈরি করত।

এশিয়া উত্তর আফ্রিকার কিছু অংশ

গোবেলি টিপ থেকে পাওয়া অগভীর খোদাই যুক্ত স্তম্ভ, যাতে মনে হচ্ছে একটি ষাঁড়, একটি খেঁকশিয়াল এবং একটি সারসের কাঠামো আছে, ৯৬০০ থেকে ৮৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের।

আধুনিক ইসরায়েলে পাওয়া গেছে এইন সাখরি জুগল, ক্যালসাইটে একটি ছোট নাটুফিন খোদাই, প্রায় ৯,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। প্রায় একই সময়, পূর্ব তুরস্কের গোবেলি টিপে অসাধারণ কাজগুলি শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে, প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগ এ (পিপিএনএ)তে, বিশাল আকারের পরিস্কার টি-আকৃতির পাথরের স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছিল - যেগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম মেগালিথসমূহ[৩৭] প্রায় ২০ টি বৃত্তে লাগানো ২০০ টিরও বেশি স্তম্ভের কথা বর্তমানে জিওফিজিক্যাল সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে। প্রতি স্তম্ভের উচ্চতা ছিল প্রায় ৬ মি (২০ ফু) এবং ওজন প্রায় ১০ টন পর্যন্ত। এগুলি বেডরকে গর্ত করা লাগানো হয়েছিল।[৩৮] দ্বিতীয় পর্যায়ে, প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগ বি (পিপিএনবি)তে, নির্মিত স্তম্ভগুলি ছোট এবং আয়তক্ষেত্রাকার কক্ষের চুন পালিশ করা মেঝেতে দাঁড় করানো ছিল। স্তম্ভগুলির মসৃণ পৃষ্ঠতলে প্রাণী, বিমূর্ত নিদর্শন এবং কিছু মানব কাঠামো ছিল।

প্রথানুসারে, খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে হাখমানেশি সাম্রাজ্যের এর উত্থান না হওয়া পর্যন্ত এশিয়া আফ্রিকাতে প্রাগৈতিহাসিক অবস্থা চলছিল মনে করা হয়, যদিও এই অঞ্চলে প্রায় ২,০০০ বছর আগে লেখার অস্তিত্ব ছিল। সেই ভিত্তিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং দীর্ঘ ঐতিহ্যশালী মেসোপটেমিয়ার শিল্প, পাশাপাশি আসিরিয়ার ভাস্কর্য, হিট্টাইট শিল্প এবং আরও অনেক ঐতিহ্য যেমন লুরিস্তান ব্রোঞ্জ, এইসমস্তই প্রাগৈতিহাসিক শিল্পের আওতায় পড়ে। শাসকের প্রশংসা করে লেখা পাওয়া গেলেও, যেমম অনেক আসিরিয়ান প্রাসাদ রয়েছে, এগুলি সব প্রাগৈতিহাসিক।

ইউরোপ

প্রস্তর যুগ

হস্ত প্রতিলিপি, কসকার গুহা, ফ্রান্স, আনুমানিক ২৭,০০০ বছরের পুরোনো

নব্য প্রাচীন প্রস্তরযুগের শিল্প মূলত হরিণ শৃঙ্গ এবং প্রাণীদের হাড়ের উপর খোদাই করা হত, এছাড়া উপরে বর্ণিত তথাকথিত ভেনাস মূর্তি এবং গুহা চিত্রগুলিও ছিল। উষ্ণ জলবায়ু থাকা সত্ত্বেও, মধ্য প্রস্তর যুগে নিঃসন্দেহে পূর্ববর্তী সময়ের বস্তুর উচ্চতা থেকে কম উচ্চতা যুক্ত বস্তু তৈরী হত। শিলা শিল্প দেখতে পাওয়া গেছে স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং উত্তর রাশিয়ায়, পূর্ব স্পেনের ভূমধ্যসাগরের আশেপাশের অঞ্চলে। সবচেয়ে প্রাচীন শিলা চিত্র দেখা গেছে উত্তর ইতালির ভালকামোনিকায়, তবে সেগুলি এই অঞ্চলের মধ্যবর্তী নয়।[৩৯][৪০] বহনশীল শিল্পের মধ্যে আছে আজিলিয়ান সংস্কৃতির নুড়ি পাথরে আঁকা, যা ম্যাগডালেনিয়ান শৈলীর পর এসেছে, এবং ডেনমার্কেরটাইব্রাইন্ড ভিগ এর দাঁড়ের মতো উপযোগী জিনিসগুলির উপর নকশা। সার্বিয়ার আয়রন গেটে লেপেনস্কি বিরের মধ্য প্রস্তর যুগের মূর্তিটি খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম সহস্রাব্দ সময়ের এবং সেটিতে মানুষ বা মানুষ এবং মাছের মিশ্রণ দেখা যায়। কৃষিজমি না থাকলেও বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মৃৎশিল্পের বিকাশ শুরু হয়েছিল।

মধ্য প্রস্তর যুগ

পূর্ববর্তী নব্য প্রাচীন প্রস্তরযুগ এবং পরবর্তী নব্যপ্রস্তরযুগের তুলনায়, মধ্য প্রস্তর যুগের খুব বেশি শিল্প পাওয়া যায়নি। ইবেরিয়ান ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকার শিলা শিল্প, যা সম্ভবত নব্য প্রাচীন প্রস্তরযুগ থেকে শুরু হয়ে এসেছে, একটি বহুবিস্তৃত ঘটনা। এগুলি নব্য প্রাচীন প্রস্তরযুগের গুহা-চিত্রগুলির তুলনায় অনেক কম পরিচিত, যার সঙ্গে এগুলির আকর্ষক বৈপরীত্য আছে। জায়গাগুলি এখন বেশিরভাগ পাহাড়ের খাড়াইতে খোলা হাওয়ায় পড়ে আছে, এবং বিষয়গুলি এখানে বেশিরভাগ পশুর বদলে মানুষ, যারা ছোট কাঠামোযুক্ত এবং বড় দলে বিন্যস্ত; রোকা দেলস মোরোস এ ৪৫ জনের চিত্র রয়েছে। এরা পোশাক পরে রয়েছে, এবং নাচ, লড়াই, শিকার এবং খাবার সংগ্রহের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। চিত্রগুলি প্রাচীন প্রস্তরযুগের শিল্পের প্রাণীদের তুলনায় অনেক ছোট, এবং অনেক বেশি পরিকল্পনা অনুযায়ী চিত্রিত, যদিও এগুলি প্রায়ই উৎসাহী ভঙ্গিতে দেখা গেছে।[৪১] কয়েকটি ছোট খোদাই করা লকেট যেগুলিতে ঝোলানোর জন্য ছিদ্র করা আছে এবং সাধারণ খোদাই করে নকশা করা আছে। এগুলির কিছু পাওয়া গেছে উত্তর ইউরোপ থেকে, যেগুলি অ্যাম্বারের তৈরী, এবং একটি পাওয়া গেছে ব্রিটেনের স্টার কার থেকে, যেটি শেল এর তৈরী।[৪২]

উরাল পর্বতমালার শিলা শিল্পে প্রাচীন প্রস্তর যুগের পরেও একই রকম পরিবর্তন দেখা গেছে, এবং কাঠের শিগির প্রতিমাটি ভাস্কর্যের জন্য খুব সাধারণ উপাদান হলেও এতদিন পরে একে অক্ষত পাওয়া খুব বিরল ঘটনা। এটি জ্যামিতিক মোটিফ দিয়ে খচিত লার্চ এর তক্তা, কিন্তু শীর্ষে একটি মানব মাথা আছে। এখন টুকরো হয়েছে বটে, এটি তৈরির সময় সম্ভবত ৫ মিটার লম্বা ছিল।[৪৩]

নব্যপ্রস্তরযুগ

আয়ারল্যান্ডের ব্লেসিংটন থেকে সোনার লুনুলা (কন্ঠহার), নব্যপ্রস্তরযুগের শেষ দিক/ব্রোঞ্জ যুগের প্রথম দিক, আনুমানিক ২৪০০–২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
ইউরোপে স্ট্যাচু-মেনহির প্রাপ্ত স্থানের মানচিত্র।[১] আলোকচিত্র এবং ছবি: ১ওয়াই ৪.-বুয়েনো এট আল।২০০৫; ২.-সান্টোঞ্জা ওয়াই সন্টোঞ্জা ১৯৭৮; ৩.-জর্জ ১৯৯৯; ৫.-পোর্তেলা ওয়াই জিমনেজ ১৯৯৬; ৬.-রোমেরো ১৯৮১; ৭.-হেলগো ১৯৯৭; ৮.- তারেট ১৯৯৭; ৯, ১০, ১৩, ১৪, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২.-ফিলিপ্পন ২০০২; ১১.-কর্বুড ওয়াই কারডি ২০০৯; ১২.-মুলার ১৯৯৭; ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩ আর্নাল ১৯৭৬; ২৪ ওয়াই ২৫.- অগআস্টো ১৯৭২; ২৬ ওয়াই ২৭.- গ্রসজিন ১৯৬৬; ৩৪.- লোপেজ এট অল। ২০০৯।

মধ্য ইউরোপে, অনেক নব্যপ্রস্তরযুগ সভ্যতা, যেমন লিনিয়ারব্যান্ডকেরামিক, লেঙ্গিয়েল এবং ভিনকা[৪৪],সভ্যতার মানুষ মহিলা (খুব কমই পুরুষ)এবং প্রাণী মূর্তি তৈরী করত, যেগুলি ছিল তাদের শিল্প। এছাড়া তারা তাদের মৃৎশিল্পকে পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষরূপে সাজাতো, যেমন, জেলিসভেক এবং লেঙ্গিয়েল শৈলীতে অঙ্কন করত।

নব্যপ্রস্তরযুগের মেগালিথিক (অর্থাৎ বড় পাথর) স্মৃতিস্তম্ভগুলি মাল্টা থেকে পর্তুগাল, ফ্রান্স হয়ে দক্ষিণে এবং দক্ষিণ ইংল্যান্ড জুড়ে ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশে পাওয়া গেছে। এছাড়াও এগুলি উত্তর জার্মানি এবং পোল্যান্ডের পাশাপাশি মিশরের সাহারা মরুভূমি (নাতা প্লায়া এবং অন্যান্য স্থানে) পাওয়া গেছে। সমস্ত মন্দিরের মধ্যে সর্বাধিক সংরক্ষিত এবং প্রাচীনতম স্থায়ী কাঠামো হল মাল্টার মেগালিথিক মন্দির। এগুলি শুরু হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৫ম সহস্রাব্দে, যদিও কিছু লেখক মনে করেছেন এর শুরু মধ্য প্রস্তর যুগে। অন্যতম একটি প্রাগৈতিহাসিক স্থান হল স্টোনহেঞ্জ, যেটি স্টোনহেঞ্জ বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান এর মধ্যে পড়ে। এখানে প্রচুর স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল রয়েছে। পশ্চিম এবং উত্তর ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলে, বিশেষত ফ্রান্সের কার্নাকে স্মৃতিস্তম্ভগুলি পাওয়া গেছে।

নিউগ্রাঞ্জে মেগালিথিক শৈলীর প্রবেশের পাথর

আয়ারল্যান্ডের নিউগ্রাঞ্জে অবস্থিত বৃহ্ৎ সমাধিটি খ্রিস্টপূর্ব ৩২০০ অব্দের। এর প্রবেশপথে একটি বিশাল পাথর আছে, যেটি জটিল সর্পিল নকশা দ্বারা খোদাই করা। কাছাকাছি [নোথ|নোথের]]র ঢিবিতে বিশালাকার সমতল পাথর রয়েছে যার উলম্ব দিকের চারপাশে নকশা খোদাই করা রয়েছে। এর অর্থ মনে করা হয়েছে স্থানীয় উপত্যকার চিত্র বা চাঁদের প্রাচীনতম চিত্র বা এমন কিছু। এই স্মৃতিসৌধগুলির মধ্যে অনেকগুলি ছিল মেগালিথিক সমাধি, এবং প্রত্নতাত্ত্বিকরা অনুমান করেন যে বেশিরভাগের ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। নোথে পশ্চিম ইউরোপে সমস্ত মেগালিথিক শিল্পের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পাওয়া গেছে।

মধ্য আল্পস এ, ক্যামুনি প্রায় ৩৫,০০০ পেট্রোগ্লাইফ তৈরি করেছিল: ভালকামোনিকার শিলা চিত্র দেখুন।

ব্রোঞ্জ যুগ

তিনজন কিছু অনুষ্ঠান পালন করছে, বোহাসলান, সুইডেন

খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দের সময়ে, ইউরোপে ব্রোঞ্জ যুগ শুরু হয়েছিল। এর ফলে শিল্পের জন্য একটি একটি নতুন মাধ্যম চলে এল। ব্রোঞ্জ সরঞ্জামগুলিতে দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেল, এর ফলে জিনিষপত্র উদ্বৃত্ত হতে শুরু করল— এটি ছিল এক শ্রেণির কারিগর তৈরির প্রথম ধাপ। সমাজের সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে, বিলাসবহুল পণ্য তৈরি করা শুরু হল, বিশেষ করে অলঙ্কৃত অস্ত্রশস্ত্র। উদাহরণগুলির মধ্যে আছে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের জন্য ব্রোঞ্জের শিরস্ত্রান, কুড়ালের অলঙ্কৃত বাঁট এবং তলোয়ার। এছাড়াও ছিল শিঙা এবং ব্যবহারিক উদ্দেশ্য ছাড়াই অন্যান্য আনুষ্ঠানিক সামগ্রী যেমন- অতিরিক্ত বড় অক্সবোরো ডার্ক (এক ধরণের অস্ত্র)। বিশেষ সামগ্রী সোনা দিয়ে তৈরি করা হত; পশ্চিম এবং মধ্য ইউরোপে লৌহ যুগের সামগ্রীর চেয়ে অনেক বেশি সোনার বস্তু পাওয়া গেছে। অনেক রহস্যময় এবং আজব জিনিস যেমন, লুনুলা (একটি আইরিশ বিশেষত্ব), মোল্ড কেপ এবং সোনালী টুপি পাওয়া গেছে। মধ্য ইউরোপের মৃৎশিল্পগুলি বিস্তৃত আকারের এবং অলংকৃত ছিল। ধর্মীয় আচারের দৃশ্যগুলি দেখিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে শিলা শিল্পের সন্ধান পাওয়া গেছে, উদাহরণস্বরূপ বোহুস্লান, সুইডেন এবং উত্তর ইতালির ভালকামোনিকা। ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে, মিনোয়ান সভ্যতা অত্যন্ত উন্নত ছিল, সেখানে প্রাসাদে খনন করে ফ্রেসকো পাওয়া গেছে। সমসাময়িক প্রাচীন মিশরীয় শিল্প এবং অন্যান্য উন্নত এশিয়া আফ্রিকার সংস্কৃতিগুলিকে আর "প্রাগৈতিহাসিক" হিসাবে গণ্য করা যায় না।

লৌহ যুগ

লৌহ যুগের সোনার জুতা ফলক হশডরফ চিফটেনের সমাধি, জার্মানি, আনু. ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

লৌহ যুগে নৃতাত্ত্বিক ভাস্কর্যগুলির বিকাশ দেখা গেছিল, যেমন হির্সলান্ডেনের যোদ্ধা, এবং জার্মানির গ্লবার্গের মূর্তি। আয়রন যুগের প্রথম দিকের হলস্ট্যাট শিল্পীরা জ্যামিতিক, বিমূর্ত নকশাকে পছন্দ করত, তারা সম্ভবত ধ্রুপদী বিশ্বের সাথে বাণিজ্য সংযোগ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। রাইন উপত্যকার একটি কেন্দ্র থেকে, লৌহ যুগের শেষ দিকে, ইউরোপে আরও বিস্তৃত ও বক্ররেখার লা টেন শৈলী বিকশিত হয়েছিল, তবে শীঘ্রই এটি সমগ্র মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সমৃদ্ধ নেতা শ্রেণির লোকেরা জাঁকজমক এবং শাস্ত্রীয় প্রভাবগুলিকে উৎসাহিত করেছিল বলে মনে করা হয়, যেমন, ব্রোঞ্জের পানীয় পাত্রগুলি ওয়াইন পান করার জন্য একটি নতুন কায়দার প্রমাণ দেয়। সামাজিক খাওয়া-দাওয়া সেল্টিক সমাজ এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল এবং তাদের শিল্পের বেশিরভাগই প্রায়শই থালা, ছুরি, কড়াই এবং পেয়ালার মাধ্যমে প্রকাশ পেত। ঘোড়ার পরিধান এবং অস্ত্রশস্ত্রকেও সাজানো হত। ধর্মীয় এবং প্রাকৃতিক বিষয়ের পাশাপাশি পৌরাণিক প্রাণীগুলিকে সাধারণ মোটিফ করা হত এবং তাদের চিত্রাঙ্কনটি প্রাকৃতিক এবং শৈলীকৃতির মিশ্রণে করা হত। মেগালিথিক শিল্পের চর্চাও মাঝে মাঝে করা হত, উদাহরণের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ফ্রান্সের এন্টারেমন্টে অভয়ারণ্যের খোদাই করা চুনাপাথরের স্তম্ভগুলি। ব্যক্তিগত সাজসজ্জার মধ্যে ছিল টর্ক কন্ঠহার, আবার মুদ্রার প্রবর্তন শৈল্পিক প্রকাশের জন্য আরও একটি সুযোগ এনে দিয়েছিল। এই সময়ের মুদ্রাগুলি গ্রীক এবং রোমান প্রকার থেকে আহরণ করা, তবে এগুলিতে আরও সমৃদ্ধ সেল্টিক শৈলী দেখা যায়।

খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীর একটি আয়না, ইংল্যান্ডের ডেসবোরোতে পাওয়া, এতে সর্পিল এবং শিঙা মোটিফ দেখা যাচ্ছে।

খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে রাইনল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়াল্ডালজেশিম রথ সমাধি, ব্রোঞ্জের বোতল এবং রিপুসে শৈলী দ্বারা মানব আকৃতি সহ ব্রোঞ্জের ফলক লা টেন শিল্পের অনেক সূক্ষ্ম উদাহরণ উপস্থাপন করেছে। অনেক কাজের মধ্যে ঢেউ খেলানো জৈব শৈলী ছিল, যদিও এগুলি প্রকৃতির গাছপালার আকর্ষের নিদর্শন থেকে প্রাপ্ত।

পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই শৈল্পিক উপাদানগুলি রোমান উপনিবেশগুলির শিল্প ও স্থাপত্যে বেঁচে আছে বলা যায়। বিশেষত ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে রোমান সময়কালের একটি স্থায়ী ধারাবাহিকতা রয়েছে, ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে সেল্টিক মোটিফগুলি খ্রিস্টীয় ইনসুলার শিল্পের মধ্য দিয়ে পুনরায় নতুন শক্তিতে উদ্ভুত হয়।

পরিশীলিত এট্রুস্কান সংস্কৃতি গ্রীক প্রভাব নিয়ে নবম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী অবধি বিকশিত হয়েছিল, অবশেষে রোমানরা তাদের শেষ করে। এই সময়ের শেষ থেকে তাদের লেখার বিকাশ ঘটেছিল, তবে প্রথমদিকের এট্রুস্কান আর্টকে প্রাগৈতিহাসিক বলা যেতে পারে।

আফ্রিকা

প্রাচীন মিশর এই নিবন্ধের আওতায় পড়েনা; বিশেষত সুদান এর সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, এই সময়ের মধ্যে নুবিয়া নামে পরিচিত, যেখানে খ্রিস্টপূর্ব ৪ র্থ সহস্রাব্দ থেকে উন্নত সংস্কৃতি ছিল, যেমন "এ-বিভাগ", "সি-বিভাগ", এবং কুশ রাজত্ব

আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ

স্যান শিলা চিত্রে একটি কৃষ্ণসারমৃগ, ডারকেনসবার্গ

সেপ্টেম্বর ২০১৮এ, বিজ্ঞানীরা[কে?] মানুষের প্রাচীনতম অঙ্কন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন, যা আনুমানিক ৭৩,০০০ বছরের পুরানো।[৪৫] ৪৩,০০০ বছরের পুরানো নিদর্শনগুলি এর আগে পাওয়া প্রাচীনতম মানব অঙ্কন মনে করা হত, এটি তার অনেক আগেকার। এটি কেপটাউন থেকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) দূরে ব্লম্বোস গুহায় আবিষ্কার হয়েছিল। হাজার হাজার বছর আগে এখানে শিকারীদের অস্থায়ী বাড়ি ছিল।[৪৬] [৪৭] জিম্বাবুয়ের মাতোবো ন্যাশনাল পার্ক এর আশেপাশে এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিলাচিত্র রয়েছে যা খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে করা।[৪৮]

উল্লেখযোগ্য স্যান শিলা চিত্র পালালা নদীর ওপরদিকে ওয়াটারবার্গ অঞ্চলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ডারকেনসবার্গের আশেপাশে বিদ্যমান, যার কয়েকটি খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দের বলে মনে করা হয়। এই চিত্রগুলি খুব স্পষ্ট এবং বিভিন্ন ধরণের মানুষ এবং বন্যপ্রাণের মোটিফ চিত্রিত করা আছে, বেশি দেখা গেছে হরিণচিত্র। এই অঞ্চলে শিলাচিত্রের মোটামুটি ধারাবাহিক ইতিহাস রয়েছে বলে মনে হয়; কিছু শিল্প স্পষ্টভাবে ঊনবিংশ শতকের। এর মধ্যে অশ্বচালক সহ ঘোড়ার চিত্র রয়েছে, যা ১৮২০ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে পরিচিত ছিল না।[৪৯]

নামিবিয়ার অ্যাপোলো ১১ গুহ সমূহ ছাড়াও ট্যুইফেলফোনটাইন এর কাছে স্যান শিলা চিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য বিন্যাস রয়েছে। এই কাজটি কয়েক হাজার বছরের পুরানো, এবং এই অঞ্চলে মেষপালক উপজাতির আগমনের সাথে এগুলি শেষ হয়ে যায়।[৫০]

Horn of Africa

Long-horned cattle and other rock art in the Laas Geel complex.

Laas Geel is a complex of caves and rock shelters in northwestern Somalia. Famous for their rock art, the caves are located in a rural area on the outskirts of Hargeisa. They contain some of the earliest known cave paintings in the Horn of Africa, many of which depict pastoral scenes. Laas Geel's rock art is estimated to date back to somewhere between 9,0008,000 and 3,000 BCE.

In 2008, archaeologists also announced the discovery of cave paintings in Somalia's northern Dhambalin region, which the researchers suggest includes one of the earliest known depictions of a hunter on horseback. The rock art is in the Ethiopian-Arabian style, dated to 1000 to 3000 BCE.[৫১][৫২]

Other prehistoric art in the Horn region include stone megaliths and engravings, some of which are 3,500 years old. The town of Dillo in Ethiopia has a hilltop covered with stone stelae. It is one of several such sites in southern Ethiopia dating from historic periodটেমপ্লেট:Clarification needed (10th-14th centuries).[৫৩]

আরো দেখুন

টীকা

  1. "The term "prehistoric" ceases to be valid some thousands of years B.C. in the Middle East but remains a warranted description down to about 500 A.D. in Ireland", Review by "A. T. L." of Prehistoric Art by T. G. E. Powell, The Journal of the Royal Society of Antiquaries of Ireland, Vol. 97, No. 1 (1967), p. 95, Royal Society of Antiquaries of Ireland, JSTOR
  2. St. Fleur, Nicholas (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Oldest Known Drawing by Human Hands Discovered in South African Cave"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. "Shell 'art' made 300,000 years before humans evolved - New Scientist"New Scientist 
  4. Callaway, Ewen। "Homo erectus made world's oldest doodle 500,000 years ago"Nature News (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.1038/nature.2014.16477 
  5. Brahic, Catherine (৩ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Shell 'art' made 300,000 years before humans evolved"New Scientist। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. New York Times
  7. The Metropolitan Museum of New York City Introduction to Prehistoric Art Retrieved 2012-5-12
  8. St. Fleur, Nicholas (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Oldest Known Drawing by Human Hands Discovered in South African Cave"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  9. Joordens, Josephine C. A.; d’Errico, Francesco; Wesselingh, Frank P.; Munro, Stephen; de Vos, John; Wallinga, Jakob; Ankjærgaard, Christina; Reimann, Tony; Wijbrans, Jan R.; Kuiper, Klaudia F.; Mücher, Herman J.; Coqueugniot, Hélène; Prié, Vincent; Joosten, Ineke; van Os, Bertil; Schulp, Anne S.; Panuel, Michel; van der Haas, Victoria; Lustenhouwer, Wim; Reijmer, John J. G.; Roebroeks, Wil (২০১৪)। "Homo erectus at Trinil on Java used shells for tool production and engraving"। Nature518 (7538): 228–231। ডিওআই:10.1038/nature13962পিএমআইডি 25470048 
  10. Chase, pp. 145-146
  11. St. Fleur, Nicholas (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Oldest Known Drawing by Human Hands Discovered in South African Cave"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  12. Zimmer, Carl (৭ নভেম্বর ২০১৮)। "In Cave in Borneo Jungle, Scientists Find Oldest Figurative Painting in the World - A cave drawing in Borneo is at least 40,000 years old, raising intriguing questions about creativity in ancient societies."The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  13. Aubert, M.; ও অন্যান্য (৭ নভেম্বর ২০১৮)। "Palaeolithic cave art in Borneo"Nature। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  14. "Indonesian Cave Paintings As Old As Europe's Ancient Art"NPR.org। ৮ অক্টোবর ২০১৪। 
  15. Portal, p. 25
  16. Portal, p. 26
  17. Coulson, pp. 150–155
  18. Thackeray.
  19. Azerbaijan, Azerbaijan (২০০৫)। Azerbaijan। Cavendish Square Publishing। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 9780761420118 
  20. Azerbaijan: Mosques, Turrets, Palaces, Azerbaijan: Mosques, Turrets, Palaces (১৯৭৯)। Azerbaijan: Mosques, Turrets, Palaces। Corvina Kiadó। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 9789631303216 
  21. A Historical Atlas of Azerbaijan (Historical Atlases of South Asia, Central Asia, and The Middle East), A Historical Atlas of Azerbaijan (Historical Atlases of South Asia, Central Asia, and The Middle East) (২০০৪)। A Historical Atlas of Azerbaijan (Historical Atlases of South Asia, Central Asia, and The Middle East)। Rosen Pub Group। পৃষ্ঠা 11। আইএসবিএন 978-0823944972 
  22. "The Rock Engravings of Gobustan"donsmaps.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৭ 
  23. Pre-Columbian Trans-Oceanic Contact। Lulu.com। ২০১৬। পৃষ্ঠা 98। আইএসবিএন 978-1329972162 
  24. Mathpal, Yashodhar (১৯৮৪)। Prehistoric Painting Of Bhimbetka (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 220। আইএসবিএন 9788170171935 
  25. Tiwari, Shiv Kumar (২০০০)। Riddles of Indian Rockshelter Paintings (ইংরেজি ভাষায়)। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 189। আইএসবিএন 9788176250863 
  26. Rock Shelters of Bhimbetka (পিডিএফ)। UNESCO। ২০০৩। পৃষ্ঠা 16। 
  27. Mithen, Steven (২০১১)। After the Ice: A Global Human History, 20,000 - 5000 BC (ইংরেজি ভাষায়)। Orion। পৃষ্ঠা 524। আইএসবিএন 9781780222592 
  28. Javid, Ali; Jāvīd, ʻAlī; Javeed, Tabassum (২০০৮)। World Heritage Monuments and Related Edifices in India (ইংরেজি ভাষায়)। Algora Publishing। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 9780875864846 
  29. Portal, p. 27
  30. Portal, p. 29
  31. Portal, p. 33
  32. Portal, pp. 34–35
  33. Portal, p. 38
  34. Portal, p. 39
  35. Portal, p. 40
  36. Portal, p. 41
  37. Sagona, Claudia (২০১৫-০৮-২৫)। The Archaeology of Malta (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 9781107006690। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  38. Curry, Andrew (নভেম্বর ২০০৮)। "Gobekli Tepe: The World's First Temple?"। Smithsonian.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২, ২০১৩ 
  39. Sandars, 75-98
  40. "Rock Drawings in Valcamonica" (পিডিএফ) 
  41. Sandars, Nancy K., Prehistoric Art in Europe, Penguin (Pelican, now Yale, History of Art), pp. 87-96, 1968 (nb 1st edn.)
  42. "11,000 year old pendant is earliest known Mesolithic art in Britain", University of York
  43. Geggel, Laura (এপ্রিল ২৫, ২০১৮)। "This Eerie, Human-Like Figure Is Twice As Old As Egypt's Pyramids"Live Science। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৮, ২০১৮ 
  44. Borić, Dušan; Hanks, Bryan; Šljivar, Duško; Kočić, Miroslav; Bulatović, Jelena; Griffiths, Seren; Doonan, Roger; Jacanović, Dragan (জুন ২০১৮)। "Enclosing the Neolithic World: A Vinča Culture Enclosed and Fortified Settlement in the Balkans"Current Anthropology59 (3): 336–345। ডিওআই:10.1086/697534 
  45. "An abstract drawing from the 73,000-year-old levels at Blombos Cave, South Africa"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯ 
  46. "What the oldest drawing found in South Africa tells us about our human ancestors"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯ 
  47. St. Fleur, Nicholas (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Oldest Known Drawing by Human Hands Discovered in South African Cave"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  48. Coulson, p. 86
  49. Coulson, pp. 80–82
  50. Unesco World Heritage designation.
  51. Mire, Sada (২০০৮)। "The Discovery of Dhambalin Rock Art Site, Somaliland"African Archaeological Review25 (3–4): 153–168। ডিওআই:10.1007/s10437-008-9032-2। ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৩ 
  52. Alberge, Dalya (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "UK archaeologist finds cave paintings at 100 new African sites"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৩ 
  53. Coulson, p. 147

তথ্যসূত্র

  • Arbib, Michael A (২০০৬)। Action to language via the mirror neuron system: The Mirror Neuron System। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-84755-1 
  • Bailey, Douglass (২০০৫)। Prehistoric Figurines: Representation and Corporeality in the Neolithic। Routledge Publishers। আইএসবিএন 978-0-415-33152-4 
  • Bruhns, Karen O (১৯৯৪)। Ancient South America। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-27761-7 
  • Chase, Philip G (২০০৫)। The Emergence of Culture: The Evolution of a Uniquely Human Way of Life। Birkhäuser। আইএসবিএন 978-0-387-30512-7 
  • Coulson, David; Campbell, Alec (২০০১)। African Rock Art। Harry N. Abrams, Inc। আইএসবিএন 978-0-8109-4363-6 
  • Lavallée, Danièle (১৯৯৫)। The First South Americans। Bahn, Paul G (trans.)। University of Utah Press। আইএসবিএন 978-0-87480-665-6 
  • Portal, Jane (২০০০)। Korea: Art and Archaeology। Thames & Hudson। 
  • Sandars, Nancy K., Prehistoric Art in Europe, Penguin (Pelican, now Yale, History of Art), 1968 (nb 1st edn.)
  • Stone-Miller, Rebecca (১৯৯৫)। Art of the Andes। Thames and Hudson। আইএসবিএন 978-0-500-20286-9 
  • Thackeray, Anne I.; Thackeray, JF; Beaumont, PB; Vogel, JC; ও অন্যান্য (১৯৮১-১০-০২)। "Dated Rock Engravings from Wonderwerk Cave, South Africa"। Science214 (4516): 64–67। ডিওআই:10.1126/science.214.4516.64পিএমআইডি 17802575 
  • "Unesco World Heritage announcement on Twyfelfontein"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৩ 

বহিঃসংযোগ