১৯৭৯–৮০ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৭৯–৮০ |
---|---|
তারিখ | ১১ আগস্ট ১৯৭৯ – ৩১ মে ১৯৮০ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ৫ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ৬ষ্ঠ জার্মান শিরোপা |
অবনমন | হের্টা ভেয়ার্ডার ব্রেমেন আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ |
ইউরোপীয় কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ |
উয়েফা কাপ | হামবুর্গার কাইজারস্লাউটার্ন স্টুটগার্ট কলন |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ১০২৩ (ম্যাচ প্রতি ৩.৩৪টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে (২৬টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | কলন ৮–০ ব্রাউনশভাইগ (৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৪–৬ ১৮৬০ (২৬ জানুয়ারি ১৯৮০) |
← ১৯৭৮–৭৯ ১৯৮০–৮১ → |
১৯৭৯–৮০ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ১৭তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭৯ সালের ১১ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৮০ সালের ৩১শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] ভেয়ার্ডার ব্রেমেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ক্লাউস ভুন্ডার এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
হামবুর্গার বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৭৮–৭৯ মৌসুমে ৪৯ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ৫ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৬ষ্ঠ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে ২৬ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
[সম্পাদনা]প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগার বিভিন্ন বিভাগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
[সম্পাদনা]১৯৭৮–৭৯ মৌসুম শেষে আরমিনিয়া বিলেফেল্ড, নুর্নবার্গ এবং ডার্মস্টাট মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে বায়ার লেভারকুজেন, ১৮৬০ মিউনিখ এবং বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৫৪,০০০ |
ডুসবুর্গ | ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৬১,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৩১,৫০৯ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৮০,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৭২,০০০ |
বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ক্রেফেল্ড | গ্রটেনবুর্গ স্টেডিয়াম | ২৮,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২২ | ৬ | ৬ | ৮৪ | ৩৩ | +৫১ | ৫০ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | হামবুর্গার | ৩৪ | ২০ | ৮ | ৬ | ৮৬ | ৩৫ | +৫১ | ৪৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৩ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৮ | ৫ | ১১ | ৭৫ | ৫৩ | +২২ | ৪১ | |
৪ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৭ | ৭ | ১০ | ৭৫ | ৫৩ | +২২ | ৪১ | |
৫ | কলন | ৩৪ | ১৪ | ৯ | ১১ | ৭২ | ৫৫ | +১৭ | ৩৭ | |
৬ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৬৪ | ৫৬ | +৮ | ৩৬ | |
৭ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১২ | ১২ | ১০ | ৬১ | ৬০ | +১ | ৩৬ | |
৮ | শালকে | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৪০ | ৫১ | −১১ | ৩৩ | |
৯ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৫ | ২ | ১৭ | ৬৫ | ৬১ | +৪ | ৩২ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
১০ | বোখুম | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৪১ | ৪৪ | −৩ | ৩২ | |
১১ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৬২ | ৭২ | −১০ | ৩২ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
১২ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৪৫ | ৬১ | −১৬ | ৩২ | |
১৩ | ১৮৬০ মিউনিখ | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৪২ | ৫৩ | −১১ | ৩০ | |
১৪ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৪৩ | ৫৭ | −১৪ | ২৯ | |
১৫ | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ৩৪ | ১২ | ৫ | ১৭ | ৪৩ | ৬১ | −১৮ | ২৯ | |
১৬ | হের্টা (R) | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৪১ | ৬১ | −২০ | ২৯ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (R) | ৩৪ | ১১ | ৩ | ২০ | ৫২ | ৯৩ | −৪১ | ২৫ | |
১৮ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ (R) | ৩৪ | ৬ | ৮ | ২০ | ৩২ | ৬৪ | −৩২ | ২০ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট উয়েফা কাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
ফলাফল
[সম্পাদনা]শীর্ষ গোলদাতা
[সম্পাদনা]অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে | বায়ার্ন মিউনিখ | ২৬ |
২ | হর্স্ট রুবেশ | হামবুর্গার | ২১ |
৩ | ডিটার মুলার | কলন | |
৪ | মানফ্রেড বুর্গসমুলার | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২০ |
৫ | হারাল্ড নিকেল | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
৬ | রাইনার গেয়ে | কাইজারস্লাউটার্ন | ১৭ |
৭ | ক্লাউস আলোফস | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ১৬ |
৮ | ডিটার হোনেস | বায়ার্ন মিউনিখ | |
৯ | হান্সি মুলার | স্টুটগার্ট | ১৪ |
১০ | ফ্রিডহেম ফুনকেল | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 1979/1980 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Werder Bremen - Bayer 05 Uerdingen 1:0 (Bundesliga 1979/1980, 1. Round)"। worldfootball.net। ৬ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭৯–৮০ বুন্দেসলিগা (জার্মান)