হাওয়া
হবা | |
---|---|
| |
দাম্পত্য সঙ্গী | আদম |
সন্তান | অবন (কন্যা) কয়িন (পুত্র) অসুরা (কন্যা) হেবল (পুত্র) শেথ (পুত্র) অকলিমা (কন্যা) |
পিতা-মাতা | আদম থেকে সৃষ্টি (প্রথম মহিলা) |
সন্ত হবা Εὕα | |
---|---|
জন্ম | এদন বাগান |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | |
উৎসব | ২৪ ডিসেম্বর[১] |
হাওয়া حَوَّاء | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
অন্যান্য নাম | হবা (হিব্রু ভাষায়: חַוָּה) ইভ (গ্রিক: Εὕα) | ||||||
দাম্পত্য সঙ্গী | আদম | ||||||
সন্তান | |||||||
|
হাওয়া, হবা বা ইভ (হিব্রু: חַוָּה, আধুনিক: Ḥava, টিবেরীয়: Ḥawwā; আরবি: حَوَّاء, প্রতিবর্ণীকৃত: Ḥawwāʾ; গ্রিক: Εὕα; লাতিন: Eva, Heva; Classical Syriac: ܚܰܘܳܐ Ḥawâ), আব্রাহামিক ধর্মানুসারে সৃষ্টির প্রথম নারী।[২] তিনি আদমের স্ত্রী হিসাবেই ইসলামে পরিচিত।
আদিপুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায় অনুসারে, হাওয়াকে আদমের পাঁজরের হাড়[৩] থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। যদিও হাওয়াকে সৃষ্টির পূর্বেই আদমকে স্বর্গীয় উদ্যানে বিচরণ করতে দেওয়া হয়েছিল এবং নিষিদ্ধ ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছিল, তবুও এটি পরিষ্কার যে হাওয়া সৃষ্টিকর্তার এই নিষেধ সম্পর্কে অবগত ছিলেন।[৪] কিন্তু সর্পের প্রলোভনে তিনি উক্ত নিষিদ্ধ ফল খান এবং আদমকেও তা খাওয়ান। এর ফলশ্রুতিতে তারা স্বর্গীয় উদ্যান থেকে বহিষ্কৃত হন। আদম ও হাওয়ার এই অবাধ্যতার বিষয়ে খ্রিস্টান মতবাদগুলোর মাঝে দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। তবে ইসলামী শিক্ষায় উভয়ই সমানভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়।
ক্যাথলিক গির্জা আদমের পাশাপাশি হাওয়াকেও সাধু (saint) হিসেবে গণ্য করে।[৫] মধ্যযুগ থেকেই এস্তোনিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়া, স্ক্যান্ডিনেভিয়া সহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে ২৪ নভেম্বর সাধু অ্যাডাম ও ইভের পর্ব উৎযাপিত হয়ে আসছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ The Slaves of the Immaculate Heart of Mary (২৪ ডিসেম্বর ২০০০)। "Saint Adam and Saint Eve (First Age of the world)"। Catholicism.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ Womack 2005, পৃ. 81, "Creation myths are symbolic stories describing how the universe and its inhabitants came to be. Creation myths develop through oral traditions and therefore typically have multiple versions."
- ↑ Genesis 2:21
- ↑ Holy Bible (NIV): Genesis 3:2-3।
- ↑ Steve Ray, "St[s]. Adam and Eve, St. Abraham, St. Moses – Did You Know Some Old Testament People Are Saints?", https://www.catholicconvert.com/blog/2019/01/16/st-adam-eve-st-abraham-st-moses-did-you-know-some-old-testament-people-are-saints/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জুলাই ২০১৯ তারিখে; confer Catechism of the Catholic Church, 61.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Alter, Robert (২০০৪)। The Five Books of Moses। New York: W. W. Norton। আইএসবিএন 978-0-393-33393-0। A translation with commentary.
- Flood, John (2010). Representations of Eve in Antiquity and the English Middle Ages. Routledge.
- Hastings, James (২০০৩)। Encyclopedia of Religion and Ethics, Part 10। Kessinger Publishing। আইএসবিএন 978-0-7661-3682-3।
- Hugenberger, G.P. (১৯৮৮)। "Rib"। Bromiley, Geoffrey W.। The International Standard Bible Encyclopedia, Volume 4। Eerdmans। আইএসবিএন 9780802837844।
- Jacobs, Mignon R. (২০০৭)। Gender, Power, and Persuasion: The Genesis Narratives and Contemporary Perspectives। Baker Academic।
- Mathews, K. A. (১৯৯৬)। Genesis 1–11:26। B&H Publishing Group। আইএসবিএন 9780805401011।
- Norris, Pamela (১৯৯৮). The Story of Eve. MacMillan Books.
- Pagels, Elaine (১৯৮৯). Adam, Eve and the Serpent. Vintage Books.
- Tumanov, Vladimir (২০১১). "Mary versus Eve: Paternal Uncertainty and the Christian View of Women". Neophilologus: International Journal of Modern and Mediaeval Language and Literature ৯৫.৪: ৫০৭–৫২১.
- Turner, Laurence A. (২০০৯)। Genesis (২য় সংস্করণ)। Sheffield: Phoenix Press। আইএসবিএন 9781906055653।
- Womack, Mari (২০০৫)। Symbols and Meaning: A Concise Introduction। AltaMira Press। আইএসবিএন 978-0-7591-0322-1।