অ্যাথল রোয়ান
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাথল ম্যাথু বার্চেল রোয়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেনসিংটন, জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ হারম্যানাস, পশ্চিম কেপ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৭৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এরিক রোয়ান (ভ্রাতা), টিডব্লিউ ফন বিউগ (জামাতা), বিডব্লিউ ফন বিউগ (নাতি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬০) | ৭ জুন ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ আগস্ট ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ জুন ২০১৯ |
অ্যাথল ম্যাথু বার্চেল রোয়ান (ইংরেজি: Athol Rowan; জন্ম: ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ - মৃত্যু: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮) জোহেন্সবার্গের কেনসিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।[৪]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন অ্যাথল রোয়ান।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত অ্যাথল রোয়ানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে ওয়ান্ডারার্সে নাটকীয়ভাবে সেরা বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ট্রান্সভালের সদস্যরূপে সফররত অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ইনিংসে ৯/১৯ পান। ফলে অস্ট্রেলিয়া দল ৮৪ রানে গুটিয়ে যায়। ৬৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ট্রান্সভাল দল অবশ্য ৫৩ রানে অল-আউট হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্টে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে অ্যাথল রোয়ানের। ৭ জুন, ১৯৪৭ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৬ আগস্ট, ১৯৫১ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
অংশগ্রহণকৃত ১৫ টেস্টের সবকটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন। তন্মধ্যে, লেন হাটনকে এগারোবার আউট করেন। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমের সিরিজ থেকে ১৯৫১ সালের প্রথম টেস্ট পর্যন্ত একাধারে পাঁচবার লেন হাটন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। বারোবারও তাকে আউট করতে পারতেন। তবে, ওভালে উইকেট-রক্ষক রাসেল এনডিন সহজ ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ড গমনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দলটিতে ক্লাইভ ফন রাইনেভেল্ড, অ্যাথল রোয়ান, জন ওয়েট, জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ, রয় ম্যাকলিন, কুয়ান ম্যাকার্থি, রাসেল এনডিন, মাইকেল মেল, পার্সি ম্যানসেল, জিওফ্রে চাব, এরিক রোয়ান, ডাডলি নোর্স, জ্যাক চিদাম, জর্জ ফুলারটন ও নরম্যান মানের অংশগ্রহণ ছিল।
ডাডলি নোর্সের অধিনায়কত্বে খেলেন তিনি। এক বছর পূর্বে পোর্ট এলিজাবেথে বোলিংয়ের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখে ৬০-৯-১৬৬-৫ করেন।
খেলার ধরন[সম্পাদনা]
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন তিনি। মনপ্রাণ হৃদয় খুলে খেলায় অংশ নিতেন। তবে, সৌভাগ্য তার দুয়ারে নাড়া দেয়নি। আঘাতের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারেননি। লেন হাটন জিম লেকারের সাথে রোয়ানকে মূল্যায়ন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। পশ্চিম রণাঙ্গনে জার্মানদের হাতে ধৃত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন তার পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। সম্মুখের পায়ে সম্পূর্ণ চাপ রাখতে পারতেন না। প্রায়শঃই ব্যথা নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। তবে, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এরিক রোয়ান তাকে পর্যাপ্ত সাহস যোগাতেন। ব্যথার মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকলে ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর অবসর নিতে বাধ্য হন।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এরিক রোয়ান ১৯৩৫ থেকে ১৯৫১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২৬ টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলন তিনি। অ্যাথল রোয়ানের জামাতা টিডব্লিউ ফন বিউগ ও নাতি বিডব্লিউ ফন বিউগ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে পশ্চিম কেপের হারম্যানাস এলাকায় অ্যাথল রোয়ানের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "South Africa – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Athol Rowan"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-১০।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- এরিক রোয়ান
- ফিশ মার্কহাম
- সানফয়েল সিরিজ
- ইস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট দল
- দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
- সামরিকবাহিনীতে অবস্থানকালীন নিহত ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যাথল রোয়ান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যাথল রোয়ান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)