২০১২ ওএফসি নেশন্স কাপ
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জে |
তারিখ | ১—১০ জুন, ২০১২ |
দল | ৮ (১টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১ (১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | তাহিতি (১ম শিরোপা) |
রানার-আপ | নতুন ক্যালিডোনিয়া |
তৃতীয় স্থান | নিউজিল্যান্ড |
চতুর্থ স্থান | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১৬ |
গোল সংখ্যা | ৬৪ (ম্যাচ প্রতি ৪টি) |
দর্শক সংখ্যা | ১,৩৩,৭০০ (ম্যাচ প্রতি ৮,৩৫৬ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | জ্যাকুয়েস হেইকো (৬) |
সেরা খেলোয়াড় | নিকোলাস ভলার |
২০১২ ওএফসি নেশন্স কাপ (ইংরেজি: 2012 OFC Nations Cup) ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত ওএফসি নেশন্স কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার নবম আসর। ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরাসি পলিনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ তাহিতির জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বকারী ও তাহিতি ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক পরিচালিত তাহিতি জাতীয় ফুটবল দলটি জয়লাভ করে, যা তাদের এ প্রতিয়োগিতায় প্রথম শিরোপা অর্জন। লসন তামা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় নিউ ক্যালিডোনিয়া দলকে চং হিউ'র বিজয়সূচক গোলে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়া (বর্তমানে ওএফসিতে নেই) ও নিউজিল্যান্ডের পর একমাত্র দলরূপে ওএফসি নেশন্স কাপ জয়ী হয়েছিলেন।[১] পাশাপাশি দলটি ওএফসি অঞ্চল থেকে ২০১৩ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছিল।
এছাড়াও, সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণকারী চারটি দল ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা নির্ধারণী খেলার তৃতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছিল। আন্তঃফেডারেশনের প্লে-অফ খেলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল।[২]
স্বাগতিক দেশ
[সম্পাদনা]৩০ জুলাই, ২০১১ তারিখে ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরু'র মারিনা দা গ্লোরিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রাথমিক পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ফিজিকে ২০১২ সালের ৩-১২ জুনের মধ্যে ওএফসি নেশন্স কাপের স্বাগতিক দেশের মর্যাদাসহ খেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়।[৩] কিন্তু ওএফসি সাধারণ সম্পাদক তাই নিকোলাস এবং ফিজি কর্তৃপক্ষের মাঝে আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হয়।[৪] কেননা, জানুয়ারি, ২০১২ সালে ওএফসি'র পুরুষ ও মহিলাদের প্রাক-অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতার যোগ্যতা নির্ধারণী প্রতিযোগিতা হবার কথা ছিল।
অতঃপর ২৮ মার্চ, ২০১২ তারিখে ফিজির কাছ স্বাগতিকের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে দেয়া হয়।[৫] সেখানকার হোনিয়ারার লসন তামা স্টেডিয়ামে সকল খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[৬]
অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ
[সম্পাদনা]দল | ফিফা র্যাঙ্কিং (৯ মে, ২০১২ মোতাবেক) |
যোগ্যতা নির্ধারণ | ওএফসি নেশন্স কাপে অংশগ্রহণ | পূর্বেকার সেরা সাফল্য |
---|---|---|---|---|
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | ১৮৩ | স্বাগতিক | ৬ষ্ঠ | রানার-আপ (২০০৪) |
নিউজিল্যান্ড | ১৩০ | স্বয়ংক্রিয় | ৯ম | বিজয়ী (১৯৭৩, ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৮) |
নতুন ক্যালিডোনিয়া | ১৫৫ | স্বয়ংক্রিয় | ৫ম | রানার-আপ (২০০৮) |
ফিজি | ১৬০ | স্বয়ংক্রিয় | ৭ম | তৃতীয় স্থান (১৯৯৮ ও ২০০৮) |
ভানুয়াতু | ১৭২ | স্বয়ংক্রিয় | ৮ম | চতুর্থ স্থান (১৯৭৩, ২০০০, ২০০২ ও ২০০৮) |
তাহিতি | ১৭৯ | স্বয়ংক্রিয় | ৮ম | রানার-আপ (১৯৭৩, ১৯৮০ ও ১৯৯৬) |
পাপুয়া নিউগিনি | ১৯৩ | স্বয়ংক্রিয় | ৩য় | ১ম রাউন্ড (১৯৮০ ও ২০০২) |
সামোয়া | ১৫৬ | ১ম রাউন্ড বিজয়ী | ১ম | নেই (অভিষেক) |
গ্রুপ পর্ব
[সম্পাদনা]গ্রুপ টেবিলে রঙের বিন্যাস | |
---|---|
গ্রুপ বিজয়ী ও রানার্স-আপের উত্তরণ:
|
যদি দলগুলোর পয়েন্ট সমান হয়, তাহলে দলের উত্তরণ ঘটবে:[৭]
- গোল পার্থক্য
- সর্বাধিকসংখ্যক গোল
গ্রুপ এ
[সম্পাদনা]
|
|
সামোয়া | ১–১০ | তাহিতি |
---|---|---|
ম্যালো ৬৯' | প্রতিবেদন | এল. তেহাউ ৮', ৮২', ৮৪', ৮৫' জে. তেহাউ ১৬', ৭৮' এ. তেহাউ ১৮', ৪০' টি. তেহাউ ৫৪' স্টিভি চং হিউ ৬১' |
ভানুয়াতু | ২–৫ | নতুন ক্যালিডোনিয়া |
---|---|---|
তাসো ৫২' নাপ্রাপল ৬১' |
প্রতিবেদন | কাই ৩২', ৫৮', ৭৬' গোপ-ফেনেপজ ৬৬' আর. কেয়ারা ৮৭' |
তাহিতি | ৪–৩ | নতুন ক্যালিডোনিয়া |
---|---|---|
এ. তেহাউ ১৯' ভলার ২৮' (পে.) এল. তেহাউ ৩৪' রোইহাউ দেগাগে ৮৬' |
প্রতিবেদন | Bako ৭৬' Haeko ৮৩' Kauma ৮৯' |
নতুন ক্যালিডোনিয়া | ৯–০ | সামোয়া |
---|---|---|
আর. কেয়ারা ১০' হেইকো ১১', ৪৫+১', ৭১', ৮৯', ৯০+১' কেবিউ ২২' ইক্সোই ২৫' (পে.) নিপাতে ৪৪' |
প্রতিবেদন |
গ্রুপ বি
[সম্পাদনা]
|
|
ফিজি | ০–১ | নিউজিল্যান্ড |
---|---|---|
প্রতিবেদন | টমি স্মিথ ১১' |
পাপুয়া নিউগিনি | ১–২ | নিউজিল্যান্ড |
---|---|---|
হ্যান্স ৮৯' (পে.) | প্রতিবেদন | স্মেলৎজ ২' ক্রিস উড ৫২' |
পাপুয়া নিউগিনি | ১–১ | ফিজি |
---|---|---|
জ্যাক ৮৫' | প্রতিবেদন | ডুনাডামু ১৩' |
নিউজিল্যান্ড | ১–১ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
---|---|---|
ক্রিস উড ১৩' | প্রতিবেদন | তোতোরি ৫৬' |
নক-আউট পর্ব
[সম্পাদনা]সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||
হোনিয়ারা | |||||||
তাহিতি | ১ | ||||||
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | ০ | ||||||
হোনিয়ারা | |||||||
তাহিতি | ১ | ||||||
নতুন ক্যালিডোনিয়া | ০ | ||||||
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | |||||||
হোনিয়ারা | হোনিয়ারা | ||||||
নিউজিল্যান্ড | ০ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | ৩ | ||||
নতুন ক্যালিডোনিয়া | ২ | নিউজিল্যান্ড | ৪ |
বিজয়ী
[সম্পাদনা]২০১২ ওএফসি নেশন্স কাপ বিজয়ী |
---|
তাহিতি প্রথম শিরোপা |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Glorious Tahiti claim maiden Oceania crown"। FIFA.com। ১০ জুন ২০১২। ৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২।
- ↑ "Preliminary Competition Format and Draw Procedures – Oceanian Zone" (পিডিএফ)। ২০ মে ২০১১। ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Pacific Games no longer part of qualification"। oceaniafootball.com। ২৯ জুলাই ২০১১। ৩ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "OFC takes tournaments away from Fiji"। FijiLive.com। ১৭ জানুয়ারি ২০১২। ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১২।
- ↑ "OFC strip Fiji of Nation Cup hosting rights"। FijiLive.com। ১৪ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১২।
- ↑ "Honiara to host OFC Nations Cup"। Oceania Football Confederation। ২৮ মার্চ ২০১২। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১২।
- ↑ "Regulations OFC Nations Cup 2012" (পিডিএফ)। Oceania Football Confederation। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৩।