২০০৪ ওএফসি নেশন্স কাপ
| বিবরণ | |
|---|---|
| স্বাগতিক দেশ | অস্ট্রেলিয়া |
| তারিখ | ২৯ মে – ১২ অক্টোবর |
| দল | ৬ (১টি কনফেডারেশন থেকে) |
| মাঠ | ৪ (৩টি আয়োজক শহরে) |
| চূড়ান্ত অবস্থান | |
| চ্যাম্পিয়ন |  অস্ট্রেলিয়া (৪র্থ শিরোপা) |
| রানার-আপ |  সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
| তৃতীয় স্থান |  নিউজিল্যান্ড |
| চতুর্থ স্থান |  ফিজি |
| পরিসংখ্যান | |
| ম্যাচ | ১৭ |
| গোল সংখ্যা | ৬৯ (ম্যাচ প্রতি ৪.০৬টি) |
| দর্শক সংখ্যা | ৭১,৫৬১ (ম্যাচ প্রতি ৪,২০৯ জন) |
| শীর্ষ গোলদাতা | টিম কেহিল ভন কভেনি (উভয় ৬টি করে গোল) |
২০০৪ ওএফসি নেশন্স কাপ ছিল ওএফসি নেশন্স কাপের টুর্নামেন্টের সংস্করণ এবং দুই-লেগ ফাইনাল ব্যতীত ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপে যোগ্যতার টুর্নামেন্ট হিসাবে দ্বিগুণ হয়েছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে একটি পৃথক প্লে-অফ সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রতিযোগিতাটি দুটি গ্রুপ পর্বে বিভক্ত ছিল (প্রথমটি হল যোগ্যতার পর্যায়), অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় পর্যায়ে (চূড়ান্ত পর্যায়) বাছাই করেছিল। ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়ন (অস্ট্রেলিয়া) ২০০৫ ফিফা কনফেডারেশন কাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
বাছাইপর্ব
[সম্পাদনা]প্রথম রাউন্ডের ১০টি দলকে ৫টি করে দল দুটি করে ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি দলই একে অপরের সঙ্গে একবার করে খেলেছিলেন। এরপর প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বে উন্নীত হয়েছিল, যেখানে তারা ২টি সীডযুক্ত দলের সাথে যোগ দিয়েছিল।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]
মাঠ
[সম্পাদনা]| অস্ট্রেলিয়া (ফাইনাল টুর্নামেন্ট ও ফাইনাল ম্যাচ – দ্বিতীয় লেগের স্বাগতিক)
| |||
|---|---|---|---|
| সিডনি | অ্যাডিলেড | ||
| সিডনি ফুটবল স্টেডিয়াম | হিন্দমার্শ স্টেডিয়াম | মার্ডেন স্পোর্টস কমপ্লেক্স | |
| ধারণক্ষমতা: ৪৫,৫০০ | ধারণক্ষমতা: ১৭,০০ | ধারণক্ষমতা: ৬,০০০ | |
|
|
| |
| সলোমন দ্বীপপুঞ্জ (ফাইনাল ম্যাচ–প্রথম লেগের স্বাগতিক)
| |||
| হোনিয়ারা | |||
| লসন তামা স্টেডিয়াম | |||
| ধারণক্ষমতা: ৩০,০০০ | |||
.jpg)
| |||
দলীয় সদস্য
[সম্পাদনা]চূড়ান্ত পর্যায়
[সম্পাদনা]প্রথম পর্বের ৪টি সক্রিয় সদস্য (প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল) দুটি সীডযুক্ত দলে (অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড) যোগ দিয়েছিল এবং একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল যেখানে প্রতিটি দল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে একবার করে একে অপরের সাথে খেলেছিল।
এটি ২০০৪ ওশেনিয়া নেশন্স কাপ হিসাবে দ্বিগুণ হওয়ার সাথে সাথে দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের শীর্ষ দুটি দল ওএফসি নেশন্স কাপের বিজয়ী নির্ধারণের জন্য দুই লেগের ফাইনালে অগ্রসর হয়েছিল। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এই দুটি ম্যাচ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে আলাদা ছিল।
এই পর্যায় থেকে শীর্ষ দুটি দলও ২০০৬ ওশেনিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়েছিল।
| অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
|
|
|
|
|
| |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | অস্ট্রেলিয়া
|
৫ | ৪ | ১ | ০ | ২১ | ৩ | +১৮ | ১৩ | ফাইনালে অগ্রসর | — | — | ১–০ | ৬–১ | ৯–০ | — | |
| ২ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
|
৫ | ৩ | ১ | ১ | ৯ | ৬ | +৩ | ১০ | ২–২ | — | — | — | — | — | ||
| ৩ | নিউজিল্যান্ড
|
৫ | ৩ | ০ | ২ | ১৭ | ৫ | +১২ | ৯ | — | ৩–০ | — | — | ১০–০ | — | ||
| ৪ | ফিজি
|
৫ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ১০ | −৭ | ৪ | — | ১–২ | ০–২ | — | — | ১–০ | ||
| ৫ | তাহিতি
|
৫ | ১ | ১ | ৩ | ২ | ২৪ | −২২ | ৪ | — | ০–৪ | — | ০–০ | — | ২–১ | ||
| ৬ | ভানুয়াতু
|
৫ | ১ | ০ | ৪ | ৫ | ৯ | −৪ | ৩ | ০–৩ | ০–১ | ৪–২ | — | — | — |
| ভানুয়াতু | ০–১ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
|---|---|---|
| প্রতিবেদন | বাট্রাম সুরি  ৫১' (পে.) |
| অস্ট্রেলিয়া | ১–০ | নিউজিল্যান্ড |
|---|---|---|
| ব্রেসিয়ানো ৪০' |
প্রতিবেদন |
| নিউজিল্যান্ড | ৩–০ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
|---|---|---|
| ফিশার ৩৬' অফটন ৮১' লাইনস ৯০' |
প্রতিবেদন |
| অস্ট্রেলিয়া | ৯–০ | তাহিতি |
|---|---|---|
| কেহিল ১৪', ৪৭' স্কোকো ৪৩' সাইমন ৪৪' (আ.গো.) স্টেরজোভস্কি ৫১', ৬১', ৭৪' জদ্রিলিচ ৮৫' চিপারফিল্ড ৮৯' |
প্রতিবেদন |
| অস্ট্রেলিয়া | ৬–১ | ফিজি |
|---|---|---|
| মাদাশি ৬', ৫০' কেহিল ৩৯', ৬৬', ৭৫' এলরিচ ৮৯' |
প্রতিবেদন | গাতাউরুয়া ১৯' |
| তাহিতি | ০–৪ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
|---|---|---|
| প্রতিবেদন | ফা'আরোদো ৯' মেনাপি ১৪', ৮০' বাট্রাম সুরি ৪২' |
| নিউজিল্যান্ড | ১০–০ | তাহিতি |
|---|---|---|
| কোভেনি ৬', ৩৮', ৪৫' ফিশার ১৬', ২২', ৬৩' জোন্স ৭২' অফটন ৭৪' নেলসেন ৮২', ৮৭' |
প্রতিবেদন |
| ফিজি | ১–২ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
|---|---|---|
| তোমা ২১' |
প্রতিবেদন | কাকাই ১৬' হুকারাওয়া ৮২' |
| ভানুয়াতু | ০–৩ | অস্ট্রেলিয়া |
|---|---|---|
| Report | আলোইসি ২৫', ৮৫' এমারটন ৮১' |
| তাহিতি | ২–১ | ভানুয়াতু |
|---|---|---|
| তেমাতাউয়া ৪০' ওয়াজোকা ৮৯' |
প্রতিবেদন | আইওয়াই ২৩' |
| ফিজি | ০–২ | নিউজিল্যান্ড |
|---|---|---|
| প্রতিবেদন | বুন্স ৮' কোভেনি ৫৬' |
| সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | ২–২ | অস্ট্রেলিয়া |
|---|---|---|
| মেনাপি ৪৩', ৭৫' |
প্রতিবেদন | কেহিল ৫০' এমারটন ৫২' |
ফাইনাল
[সম্পাদনা]২০০৪ ওশেনিয়া নেশন্স কাপের ফাইনালটি ছিল দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের শীর্ষ দুটি দলের মধ্যে দুই লেগের হোম এবং অ্যাওয়ে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
| দল ১ | সমষ্টি | দল ২ | ১ম লেগ | ২য় লেগ |
|---|---|---|---|---|
| সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
|
১–১১ | অস্ট্রেলিয়া
|
১–৫ | ০–৬ |
| সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | ১–৫ | অস্ট্রেলিয়া |
|---|---|---|
| বাট্রাম সুরি ৬০' |
প্রতিবেদন | স্কোকো ৫', ২৮' মিলিচিক ১৯' এমারটন ৪৩' এলরিখ ৭৯' |
| অস্ট্রেলিয়া | ৬–০ | সলোমন দ্বীপপুঞ্জ |
|---|---|---|
| মিলিচিক ৫' কেওয়েল ৮' ভিডমার ৬০' থম্পসন ৭৯' এলরিখ ৮২' এমারটন ৮৯' |
প্রতিবেদন |
অস্ট্রেলিয়া মোট ১১–১ ব্যবধানে জিতেছিল এবং ২০০৪ ওশেনিয়া নেশন্স কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারা ২০০৫ কনফেডারেশন্স কাপের জন্যও যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
যদিও ২০০৪ ওএফসি নেশন্স কাপের দ্বিতীয় পর্ব ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ ওশেনিয়ান বাছাইপর্ব দ্বিগুণ হয়েছিল, তবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্লে-অফ আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া আবার সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে পরাজিত করেছিল, মোট ৯-১ ব্যবধানে জিতেছিল এবং কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকান) দেশ উরুগুয়ের বিপক্ষে প্লে-অফে উন্নীত হয়েছিল।
গোলদাতা
[সম্পাদনা]এই প্রতিযোগিতায় ১৭টি ম্যাচে ৬৯টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ৪.০৬টি গোল।
৬টি গোল
৪টি গোল
৩টি গোল
২টি গোল
১টি গোল
মার্ক ব্রেসিয়ানো- স্কট চিপারফিল্ড
- হ্যারি কেওয়েল
- আর্চি থম্পসন
- টনি ভিডমার
- ডেভিড জদ্রিলিচ
লাইসিয়াসা গাতাউরুয়া
চে বুন্স- নিল জোন্স
- আরণ লাইনস
হেনরি ফা'আরোদো- মাহলন হুকারাওয়া
- পল কাকাই
গ্যাব্রিয়েল ওয়াজোকা- অ্যাক্সেল তেমাতাউয়া
লেক্সা বিবি- রিচার্ড আইওয়াই
- জিন মালেব
- সিমাতা চিলিয়া
- আলফোস কোরিগ
১টি আত্মঘাতী গোল
- ভিনসেন্ট সাইমন (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "FIFA World Cup qualification (OFC) 2006, football - table and standings"। soccer365.me। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- আরএসএসএসএফ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সংযোগ করা হয়েছিল।