স্যান্ডি বেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যান্ডি বেল
১৯৩৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে স্যান্ডি বেল
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯০৬-০৪-১৫)১৫ এপ্রিল ১৯০৬
পূর্ব লন্ডন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু১ আগস্ট ১৯৮৫(1985-08-01) (বয়স ৭৯)
পূর্ব লন্ডন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২৮)
২৯ জুন ১৯২৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৭ জুলাই ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৬ ৬৩
রানের সংখ্যা ৬৯ ৩১১
ব্যাটিং গড় ৬.২৭ ৯.১৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৬* ৩২*
বল করেছে ৩৩৪২ ১২০৪৭
উইকেট ৪৮ ২২৮
বোলিং গড় ৩২.৬৪ ২৩.২৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৯৯ ৮/৩৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/- ২৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

আলেকজান্ডার জন বেল (ইংরেজি: Sandy Bell; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯০৬ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯৮৫) কেপ প্রদেশের পূর্ব লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯২৯ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৬ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন স্যান্ডি বেল[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯২৫-২৬ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু দলে তিনি কোন প্রভাব ফেলতে পারেননি। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে পুনরায় দলে ফিরে আসেন। দলে প্রত্যাবর্তন করেই অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের পাঁচ উইকেট দখল করেন ৫৩ রানের বিনিময়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি আরও তিন উইকেট লাভ করেন।[২] পরবর্তীতে আরও দুই খেলায় ভালো ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করায় ১৯২৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন।

ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যরূপে ১৯২৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। শুরুর দিকে অল্প কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। কিন্তু মে মাসের শেষদিকে ব্রিস্টলে অনুষ্ঠিত খেলায় গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৬৮ রান দিয়ে ছয় উইকেট পান।[৩] ফলশ্রুতিতে প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে প্রথম একাদশে সীমিত সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু টেস্টে তাকে নেয়া হয়নি।

দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে নেভিল কুইনসিরিল ভিনসেন্ট আহত হলে লর্ডস টেস্টে খেলার জন্য তাকে প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ডেনিস মরকেলের তাণ্ডবে শুরুতেই তিন উইকেট হারায়। চতুর্থ উইকেটও একই বোলার লাভ করেন। স্যান্ডি বেল পরবর্তী ছয় উইকেট ৯৯ রান খরচায় দখল করেন।[৪] উইজডেনের মতে, বেল দূর্দান্ত নিশানা বরাবর বোলিং করে এ সফলতা পেয়েছেন।[৫] এ বোলিং পরিসংখ্যানটি পরবর্তীতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা হিসেবেই রয়ে যায়। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায় ও তিনি কোন উইকেটই পাননি।

তার এ ক্রীড়াশৈলী, দলের আঘাতজনিত সমস্যা মোকাবেলার প্রেক্ষিতে হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে দলের সদস্যরূপে অংশগ্রহণ করেন স্যান্ডি বেল। খেলায় তিনি বল হাতে তেমন সফলতা পাননি। তবে, ব্যাট হাতে অভূতপূর্ব সফলকাম হন। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ নম্বরে মাঠে নামেন। দলীয় সংগ্রহ ১৭২/৯ থাকা অবস্থায় মাত্র ৮০ রানে এগিয়ে যায় দল। টাপি ওয়েন-স্মিথের সাথে জুটি গড়ে ৬৫ মিনিটে ১০৩ রান যুক্ত করেন তারা। স্যান্ডি বেলের অপরাজিত ২৬ রানের বিপরীতে স্মিথের সংগ্রহ ছিল ১২৯।[৬] বেল তার সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসটি খেলেছিলেন।

১০ম উইকেটে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের জুটি গড়েন। পরবর্তীকালে ২০১০-১১ মৌসুমে এবি ডি ভিলিয়ার্সমরনে মরকেল জুটি এ রেকর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেন। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে বেল দলের সদস্য থাকেন। তবে বল কিংবা ব্যাট হাতে কোনটিতেই সফলতা দেখাতে পারেননি। বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হলে ইংল্যান্ড রাবার জয় করে। চূড়ান্ত টেস্টে দলের প্রথম একাদশে ছিলেন না তিনি। এ সফরে সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৭.৮৩ গড়ে ৬১ উইকেট পান তিনি।[৭]

ঘরোয়া সাফল্য[সম্পাদনা]

এ সফর শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেট মৌসুমে প্রথম খেলায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলতে নামেন। ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনে ইনিংসে নিজস্ব সেরা বোলিংসহ খেলার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। প্রথম ইনিংসে ৮/৩৪ ও পরবর্তী ইনিংসে ৫/২৭ পান। খেলায় তিনি সর্বমোট ১৩জনের উইকেট পান।[৮] পরের বছর ১৯৩০-৩১ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসে। দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে সম্মুখসারিতে রাখেন। ঐ মৌসুমে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে সীমিত প্রথম-শ্রেণীর খেলার একটিতে ৬/৪৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৪৪ পান।[৯] সফরকারী দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হন। অবশ্য ঐ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দল স্বল্প ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। তাস্বত্ত্বেও নির্বাচকমণ্ডলী কেপ টাউনের পেস উপযোগী পিচে দ্বিতীয় খেলায় অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করে। মরিস লেল্যান্ড, মরিস টার্নবুলপার্সি চ্যাপম্যানকে আউট করে দ্রুত মাঝারিসারিতে ধ্স নামান। তবে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[১০] ডারবানের বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। তবে, পুরো খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকানরা মাত্র এক উইকেট ফেলেছিল। এরফলে এ খেলার পর দলের বাইরে তাকে অবস্থান করতে হয়।[১১] সিরিজের পঞ্চম খেলায় আবারও তার প্রত্যাবর্তন ঘটে। তবে আবারও তিনি ব্যর্থ হন ও খেলায় তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। এ খেলার মাধ্যমেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সর্বশেষ অংশগ্রহণ ছিল।[১২]

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

১৯৩০-৩১ মৌসুমের পর বেলের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার দুইটি টেস্ট সফরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে যান। অন্যটি ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ড সফর ছিল। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে রোডেশিয়ার পক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

অবশেষে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে দলের নিয়মিত টেস্ট খেলোয়াড় হতে পেরেছিলেন। ঐ সফরে সাত টেস্টের সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। প্রথম টেস্টটি মারাত্মকভাবে বিরূপ আবহাওয়ার কবলে নিপতিত হয়। অস্ট্রেলিয়া ৪৫০ রান তোলার পর দুই দিন বৃষ্টির জন্য খেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের অন্যতম দিক ছিল ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের ২২৬ রান। তাস্বত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। একমাত্র ইনিংসটিতে দক্ষিণ আফ্রিকানদের পক্ষে সর্বাপেক্ষা সেরা বোলার ছিলেন তিনি। ১২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন স্যান্ডি বেল।[১৩] উইজডেন মন্তব্য করে যে, দীর্ঘ ইনিংসটিতে বেল একাধারে বোলিং করে গেছেন।[১৪] ফলাফলের দিক দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসটিও একই অবস্থায় পড়ে। এবার আবহাওয়া কোন প্রভাব ফেলেনি। তিনদিনেই দক্ষিণ আফ্রিকানরা ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায়। এবারও বেল একমাত্র ইনিংসটিতে সেরা বোলার ছিলেন। ১৪০ রান দিয়ে তিনি ৫ উইকেট পান।[১৫] সিরিজের তৃতীয় টেস্টে কম রান দেন ও প্রথম ইনিংসটিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন। বেল ও কুইন স্বাগতিক দলকে ১৯৮ রানে গুটিয়ে দেন। তন্মধ্যে, বেল ৫/৬৯ ও কুইন ৪/৪২ লাভ করেন।[১৬] তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি কেবলমাত্র এক উইকেট পান। অস্ট্রেলীয়রা ৫৫৪ রান তুলে খুব সহজেই খেলায় তাদের প্রাধান্য বিস্তার করে জয় তুলে নেয়।

চতুর্থ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দুইজন খেলোয়াড়ের সহায়তায় প্রাধান্য বিস্তার করে। প্রথম ইনিংসে ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ২৯৯ রান তুলেন। ঐ টেস্টে ক্ল্যারি গ্রিমেট ১৪ উইকেট লাভ করেন। আবারও বেল দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সফলতম বোলার হন। তৃতীয় খেলায় ইনিংসে উপর্যুপরি পাঁচ উইকেট পান। তিনি ৫/১৪২ পান। তবে আবারও তিনি ব্র্যাডম্যানকে আউট করতে ব্যর্থ হন। এ সিরিজে তিনি তাকে আউট করতে পারেননি। পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টেও অস্ট্রেলীয়রা একই বিজয় পেলেও প্রেক্ষাপট অন্য টেস্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকানরা মাত্র ৩৬ ও ৪৫ রানে গুটিয়ে যায়। ১৫৩ রানের বিপরীতে ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়। বেল ৩/৫২ পান। তন্মধ্যে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বিল উডফুলকে প্রথম বলেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ পাঠান। খেলার দুই ইনিংস প্রথম দিনেই শেষ হবার পর তিনি নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ছিলেন। উইকেটে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন ৪৫ মিনিট সময় নিয়ে। কেবলমাত্র সিড কার্নো বাদে দলের অন্য কোন সঙ্গী সময় দিতে পারেননি।[১৭]

সিরিজে বেল দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সফল বোলার ছিলেন। ২৭.২৬ গড়ে ২৩ উইকেট নেন। তার কাছাকাছি ছিলেন কুইন ৩৯.৩৮ নিয়ে ১৩ উইকেট পান।[১৮]

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হবার পর নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকানরা জয় পায়। তবে বেল ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন না। দুই খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র তিন উইকেট দখল করেন।[১৯][২০]

অবসর প্রস্তুতি[সম্পাদনা]

১৯৩১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে স্যান্ডি বেল

অস্ট্রেলিয়া সফরের পর পরবর্তী তিন বছর দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেট মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেননি বেল। তাস্বত্ত্বেও ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য অন্তর্ভুক্ত হন। সফরের প্রথম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে মাত্র ২৮ রান খরচায় আট উইকেট তুলে নেন। তন্মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/২২ পেয়েছিলেন।[২১] এটিই ঐ মৌসুমে তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল। এরপরই তিনি নিজের দূর্বলমানের বোলিং ও শারীরিক অসুস্থতার মুখোমুখি হন। প্রথম টেস্টে তিনি দলে খেলতে পারেননি। তবে, লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে খেলেন। এ টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে পরাভূত করে। তবে বেলের ভূমিকা ক্ষীণ ছিল। তিনি কেবলমাত্র একটি উইকেট পেয়েছিলেন।[২২] তৃতীয় টেস্টে একটু সফল ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট পান ও দ্রুত রান তুলতে থাকা ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ান।[২৩] চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আরও তিন উইকেট পান।[২৪] তবে খেলার চূড়ান্ত দিনে তিনি বোলিং করতে পারেননি।[২৫] উইজডেন মন্তব্য করে যে, তার কনুই বেশ জমাটবদ্ধ ছিল। এ আঘাতের কারণে কার্যত তার সফরকে শেষ করে দেয়। এসেক্সের বিপক্ষে আরও এক খেলায় অংশ নিলেও খেলার শেষ দিনে বোলিং করতে অক্ষম ছিলেন।[২৬] সামগ্রীকভাবে ঐ সফরে বেল ২২.০৩ গড় ৫২ উইকেট পেয়েছিলেন।

এ খেলার পর তিনি আর মাত্র একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। রোডেশিয়ার সদস্যরূপে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে এমসিসি দলের বিপক্ষে খেলেন। তবে, আবহাওয়ার কারণে খেলায় দুইটি উইকেট পান যার জন্য তাকে বেশ রান খরচ করতে হয়েছিল।[২৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sandy Bell"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. "Scorecard: Western Province v Orange Free State"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯২৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১২ 
  3. "Scorecard: Gloucestershire v South Africans"। www.cricketarchive.com। ২২ মে ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১২ 
  4. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৯ জুন ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২ 
  5. "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1930 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 27। 
  6. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৩ জুলাই ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২ 
  7. "First-class Bowling in Each Season by Sandy Bell"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১২ 
  8. "Scorecard: Western Province v Eastern Province"। www.cricketarchive.com। ১৪ ডিসেম্বর ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১২ 
  9. "Scorecard: Western Province v Griqualand West"। www.cricketarchive.com। ৬ ডিসেম্বর ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২ 
  10. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ১ জানুয়ারি ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  11. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ১৬ জানুয়ারি ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  12. "Scorecard: South Africa v England"। www.cricketarchive.com। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১২ 
  13. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৭ নভেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  14. "South Africans in Australia and New Zealand"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1933 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 652। 
  15. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  16. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  17. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  18. "South Africans in Australia and New Zealand"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1933 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 670। 
  19. "Scorecard: New Zealand v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  20. "Scorecard: New Zealand v South Africa"। www.cricketarchive.com। ৪ মার্চ ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  21. "Scorecard: Worcestershire v South Africans"। www.cricketarchive.com। ১ মে ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  22. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৯ জুন ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  23. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৩ জুলাই ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  24. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৭ জুলাই ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  25. "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 43। 
  26. "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 49। 
  27. "Scorecard: Rhodesia v MCC"। www.cricketarchive.com। ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]