সিড কার্নো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিড কার্নো
১৯৩১-৩২ মৌসুমের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে সিড কার্নো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসিডনি হ্যারি কার্নো
জন্ম(১৯০৭-১২-১৬)১৬ ডিসেম্বর ১৯০৭
বেনোনি, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু২৮ জুলাই ১৯৮৬(1986-07-28) (বয়স ৭৮)
পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৩)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫১
রানের সংখ্যা ১৬৮ ৩৪০৯
ব্যাটিং গড় ১২.০০ ৪২.০৮
১০০/৫০ ০/০ ৯/১১
সর্বোচ্চ রান ৪৭ ২২৪
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/- ১৮/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

সিডনি হ্যারি সিড কার্নো (ইংরেজি: Syd Curnow; জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯০৭ - মৃত্যু: ২৮ জুলাই, ১৯৮৬) ট্রান্সভাল উপনিবেশের বেনোনি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেন সিড কার্নো। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭০-এর দশকের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন।[২] তার পিতা ডব্লিউ. এস. কার্নো দক্ষিণ আফ্রিকান খনি প্রকৌশলী ও মাতা মিস ফ্রান্সিস ম্যাকঅলিফ তাসমানিয়ার লঞ্চেস্টনের অধিবাসী ছিলেন।[৩] সিড কার্নো ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত সিড কার্নো’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৪২.০৮ গড়ে ৩,৪০৯ রান তুলেছেন।

১৯২৮-২৯ মৌসুমে ট্রান্সভাল দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরফলে ইংল্যান্ড গমনের পথ সুগম হয় তার। প্রথম ইনিংসে কোন রান তুলতে না পারলেও দ্বিতীয়টিতে ৯২ রান করেন। রক্ষণাত্মক খেলায় দক্ষতা প্রদর্শন করেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমের প্রথম ও নিজস্ব তৃতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় নাটাল দলের বিপক্ষে ৯৯ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস উপহার দেন।[৪] পরের খেলায় এ সংগ্রহকে আরও উত্তরণ ঘটান। গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন।[৫] এরপর ঐ মৌসুমের তৃতীয় খেলায় অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ১৬২ রান করেন।[৬] তন্মধ্যে, ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে এ. ল্যাঞ্জব্রিঙ্কের সাথে ২০৪ রান তুলেছিলেন। ঐ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন টেস্ট খেলার আয়োজন করা হয়নি।

কিন্তু, পরের বছর ১৯৩০-৩১ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করলে কার্নো খেলার সুযোগ পান। সফরকারী দলের বিপক্ষে মৌসুমের শুরুর খেলায় তিনি অপরাজিত ৮৩ রান সংগ্রহ করেন।[৭]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সিড কার্নো। একটি বাদে সবকটি ইনিংসেই ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তবে, সর্বমোট ১৬৮ রান তুলতে পেরেছিলেন। এ সংগ্রহের মাধ্যমে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩০ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৩০-৩১ মৌসুমে পার্সি চ্যাপম্যানের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডেরার্সে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। স্বাগতিক দল ২৮ রানে জয় পায় ও ১৯০৯-১০ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জয় ছিল। নিউল্যান্ডসে ১৩ ও ৮ রান তুললে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে। এরপর সিরিজের শেষ দুই টেস্টে তাকে দলে রাখা হয়।

অস্ট্রেলিয়া গমন[সম্পাদনা]

অন্য চারটি টেস্ট ১৯৩১-৩২ মৌসুমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। মেলবোর্নে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন।

মাঝারিমানের সফলতা লাভ করা সত্ত্বেও ১৯৩১-৩২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনের জন্যে মনোনীত হন। প্রস্তুতিমূলক খেলাগুলোয় সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ-টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে তাকে নেয়া হয়। এবারও তিনি সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। ১১ ও ৮ রান তুলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রান সংগ্রহের জন্যে তাকে ৭১ মিনিট সময় ব্যয় করতে হয়। এ পর্যায়ে ৪৯ বছর বয়সী বার্ট আইরনমঙ্গারের খেলায় নয় উইকেট লাভের পথে প্রতিরোধব্যূহ গড়ে তোলেন।[৮]

দ্বিতীয় টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি। তবে, ভিক্টোরিয়া কান্ট্রি একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীবিহীন খেলায় ১৫৮ রান তুললে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রতিপক্ষীয় বোলিং আক্রমণে নিশ্চিতভাবেই দলের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হয়েছিলেন।[৯] ফলশ্রুতিতে, সিরিজের তৃতীয় টেস্টসহ শেষ টেস্টে তাকে খেলানো হয়। এ পর্যায়ে তিনি কিছু রান তুলতে পেরেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৪৭ ও দ্বিতীয়টিতে ৯ রান করেন। তন্মধ্যে, ৪৭ রানই তার সেরা টেস্ট রান হিসেবে চিত্রিত হয়ে যায়।[১০] তবে, এ সফলতা চতুর্থ টেস্টে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হন। ২০ ও ৩ রান করেন তিনি।[১১]

সিরিজের পঞ্চম টেস্টই সিড কার্নো’র সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এ টেস্টটি সর্বকালের অন্যতম স্মরণীয় টেস্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। অসীম সময়ের ঐ টেস্টটি মন্দ আবহাওয়ার কারণে তিনদিনের অধিক সময় খেলা না হলেও পরবর্তীতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ও ৩৩ মিনিটব্যাপী স্থায়ী ছিল। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রানে গুটিয়ে যায়।[১২] এ খেলায় সর্বমোট ২৩৪ রান সংগৃহীত হয়। তাসত্ত্বেও তিনি খেলায় কিছু ব্যক্তিগত সফলতা বয়ে আনেন। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে আউট হবার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। দ্বিতীয় ইনিংসে এটিই একমাত্র দুই অঙ্কের সংগ্রহ ছিল। প্রথম ইনিংসে জক ক্যামেরন ১১ রান তুলে দুই অঙ্কের একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন। আইরনমোঙ্গার ঐ খেলায় ১১ উইকেট পান। সিরিজে ৩৩ উইকেট নেয়া ক্ল্যারি গ্রিমেটকে বোলিংই করতে হয়নি।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। দুই টেস্টের সিরিজে অংশ নিলেও সিড কার্নোকে কোন খেলায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি।

অবসর[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন শেষে সিড কার্নো খণ্ডকালীন ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিতেন। কেবলমাত্র, বড়দিনের সময়ে প্রত্যেক মৌসুমে খেলতেন। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করে ব্যক্তিগত সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। এ মৌসুমে নিজের প্রতিভার স্ফূরণ ঘটান। চার খেলায় ৯১.৫৭ গড়ে তিন সেঞ্চুরি সহযোগে ৬৪১ রান তুলেন। মৌসুমের প্রথম খেলায় ট্রান্সভালের সদস্যরূপে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ১৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে ১৫৬ রানে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও তার দল ছয় উইকেটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়।[১৩] নাটালের বিপক্ষে ১০৫ রান তোলার এক সপ্তাহ পর নর্থ ও সাউথের মধ্যকার প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ২২৪ রান তুলেন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সংগৃহীত নয়টি সেঞ্চুরির মধ্যে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল।[১৪]

তবে, ১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে তুলনামূলকভাবে কম সফল ছিলেন। উভয় মৌসুমেই একবারও পঞ্চাশ রানের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়েও খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে চার মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকান। ১৯৪২-৪৩ মৌসুমের যুদ্ধকালীন সময়ে আরেকটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।[১৫] বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা স্বাভাবিক গতিতে অগ্রসর হলে ট্রান্সভালের পক্ষে আরও তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে তিনি কম সফল হন ও এভাবেই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত ট্রান্সভালের পক্ষে খেলা চালিয়ে যান। ১৯৭০-এর দশকে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে থাকেন। ২৮ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ এলাকায় সিড কার্নো’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Syd Curnow"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. "Obituaries"। Wisden Cricketers' Almanack (1987 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 1230 
  3. "Personal Column"। Launceston Examiner। ৫ জানুয়ারি ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. "Scorecard: Natal v Transvaal"। www.cricketarchive.com। ১৪ ডিসেম্বর ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  5. "Scorecard: Transvaal v Griqualand West"। www.cricketarchive.com। ২৬ ডিসেম্বর ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  6. "Scorecard: Transvaal v Orange Free State"। www.cricketarchive.com। ১ জানুয়ারি ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  7. "Scorecard: Transvaal v MCC"। www.cricketarchive.com। ২৯ নভেম্বর ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  8. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৭ নভেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  9. "Scorecard: Victoria Country XI v South Africans"। www.cricketarchive.com। ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  10. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  11. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ২৯ জানুয়ারি ১৯৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১২ 
  12. "Scorecard: Australia v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১২ 
  13. "Scorecard: Western Province v Transvaal"। www.cricketarchive.com। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১২ 
  14. "Scorecard: South v North"। www.cricketarchive.com। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১২ 
  15. "First-class Batting and Fielding in each Season by Syd Curnow"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]