সাইক্লোজেনেসিস পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাইক্লোজেনেসিস পদ্ধতি(Cyclogenesis process) হলো আবহাওয়াবিজ্ঞান এবং ভূগোল ও পরিবেশ ভাষায় এমন একটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি যা মারাত্বক ও বিধ্বংসী গতিবেগসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন সৃষ্টিতে মূখ্য ভূমিকা রাখে।এ পদ্ধতিকে গ্ৰীষ্মমন্ডলীয় (ঘূর্ণিঝড়ের জীবনচক্র:-The Lifecycle of Cyclone 🌀)বলা যেতে পারে।

সাইক্লোজেনেসিস পদ্ধতির ধাপসমূহ[সম্পাদনা]

ঘূর্ণিঝড়ের জীবনচক্র ও গ্ৰীষ্মমন্ডলীয় সাইক্লোজেনেসিস পদ্ধতির ধাপসমূহ হলোঃ উৎপত্তিস্থল মহাসাগর থেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চ সামুদ্রিক তাপমাত্রা ২৭°সে- ৬০°সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা দরকার। সাইক্লোজেনেসিস পদ্ধতির দুইটি সাইক্লোজেনিক প্রভাবক হলো কোরিওলিস ফোর্স ও এল নিনো(El Niño)। অধিকাংশ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ঘটে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী অঞ্চল থেকে। সাধারণত ৫° উত্তর থেকে ৩০° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে ৩০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির উৎপত্তির কেন্দ্রস্থল বলে। ধারণা লক্ষণীয় যে, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ক্ষেত্রে আন্তঃক্রান্তীয় মিলন বলয়ের (Equatorial Convergence zone) কিছু ভূমিকা রয়েছে। আন্তঃক্রান্তীয় মিলন বলয়ের অবস্থান হলো বিষুবরেখার নিকটবর্তী, যেখানে দুই গোলার্ধের বায়ুপ্রবাহ এসে মিলিত হয়, তবে এর অবস্থান ঋতুভেদের ওপর নির্ভরশীল। একটি ঘূর্ণিঝড় পৃথিবীর আবর্তন থেকে সৃষ্ট ‘কোরিওলিস ফোর্স(Coriolis force)’ থেকে তার ঘূর্ণায়মান গতি প্রাপ্ত হয়। কার্যত বিষুবরেখায় এ শক্তি শূন্যের (০) পর্যায়ে থাকে। তাই ঘূর্ণিঝড়গুলি ঠিক বিষুবরেখা থেকে সৃষ্টি হতে অক্ষম। প্রয়োজনীয় ঘূর্ণিগতির জন্য ঝড়গুলির উৎপত্তি ঘটে বিষুবরেখা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে নিরক্ষীয় রেখায়। সম্ভবত পূর্বদিক থেকে আসা ঢেউরাজিও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় কিছুটা মূখ্য ভূমিকা রাখে ও অনুঘটন করে।কোরিওলিস ফোর্স ও এল নিনোর প্রভাবে পরিক্রমক একটি ঘূর্ণিঝড়ের ডান প্রান্তে বাম প্রান্তটির তুলনায় অধিক ধ্বংসাত্নক শক্তি বিদ্যমান থাকে। কাজেই সমুদ্রের দক্ষিণ দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় যখন উত্তরে কোনো ভূখন্ডে সজোরে আঘাত হানে, তখন ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ডান অংশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয় ও বাম প্রান্তে ডান প্রান্তটির তুলনায় অধিক কম শক্তি বিদ্যমান থাকে। একটি ঘূর্ণিঝড়ের শুরু থেকে সমাপ্তির সময়সীমা ৭-১০ দিন পর্যন্ত ব্যাপ্ত এবং এসময় জুড়ে ২৫০-৫০০ মিলিমিটার বা তার অধিক আনুমানিক প্রায় ৯০০ মিলিমিটারের কাছাকাছি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানার পর জলীয়বাষ্প সরবরাহ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘূর্ণিঝড় হয়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের জীবনচক্র ও গ্ৰীষ্মমন্ডলীয় সাইক্লোজেনেসিস‌ পদ্ধতির পরিসমাপ্তি ঘটে।গ্ৰীষ্মমন্ডলীয় সাইক্লোজেনেসিস‌ পদ্ধতির ৩টি উপধাপ রয়েছে। সাইক্লোজেনেসিসের ৩টি উপধাপ: প্রাথমিক ধাপ(১-৫), মাধ্যমিক (১-৩) ও সর্বোচ্চ ধাপ{ক্যাটাগরিভিত্তিক}(৪-৫)।

১.লঘুচাপঃ উচ্চ সামুদ্রিক তাপমাত্রায় মহাসাগরে তৈরি হওয়া একটি সার্কুলেশন বা ঘূর্ণাবর্ত যখন কিছুটা শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণাবর্তের বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ থেকে ৩৪ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে তখন একে লঘুচাপ(Gentle Force) বলা হয়।

২.সুস্পষ্ট লঘুচাপঃ ঘূর্ণাবর্তের বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলে একে বলা হয় সুস্পষ্ট লঘুচাপ(Apparent Influence)।

৩. নিম্নচাপঃ ঘূর্ণাবর্তের বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে তখন এটাকে নিম্নচাপ(Melancholy) বলা হয়।

৪. গভীর ক্রান্তীয় নিম্নচাপঃ বাতাসের গতি যখন ঘন্টায় ৫৫ থেকে ৬২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে তখন একে গভীর নিম্নচাপ(Deep Tropical Despondency)বলে।

৫. ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ঃ বাতাসের গতি যখন ঘন্টায় ৬৩ থেকে ১১৮ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে তখন একে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়(Tropical Squall) বলা হয়।

৬. ক্যাটাগরি-১ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ঃ

খুব বিপজ্জনক বাতাস কিছু ক্ষতি করবে(Very hazardous wind will cause some damage)

শ্রেণী ০১ ঝড় সাধারণত বেশিরভাগ সুনির্মিত স্থায়ী কাঠামোর কোন উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত লাভবান করে। এই ঝড় ক্ষণস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ বাড়িগুলিকে উপড়ে ফেলতে পারে, সেইসাথে দুর্বল গাছ উপড়ে বা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলতে পারে। খারাপভাবে সংযুক্ত ছাদ বা টাইলগুলি উড়ে যেতে পারে। উপকূলীয় বন্যা এবং ঘাটের ক্ষতি প্রায়শই এই শ্রেণীর ঝড়ের কারণে হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট সাধারণত বিস্তৃত থেকে ব্যাপক, কখনও কখনও কয়েক দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদিও এটি সবচেয়ে কম তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা হারিকেন, তবুও এটা ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে এবং এর কারণে জীবন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এসময়ের বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৯ থেকে ১৫৩ কিলোমিটারের মধ্যে। সাফির সিম্পসন মাপনীতে সর্বনিম্ন বিভাগ।

শ্রেণী-০১ মাত্রার কয়েকটি হারিকেন ঝড়: জুয়ান (১৯৮৫), ইসমাইল (১৯৯৫), ড্যানি (১৯৯৭), স্ট্যান (২০০৫), হাম্বার্টো (২০০৭), আইজ্যাক (২০১২), ম্যানুয়েল (২০১৩), আর্ল (২০১৬), নেট (২০১৭), ব্যারি (২০১৯), লরেনা (২০২০), হানা (২০২০), ইসাইয়াস (২০২০), গামা (২০২০), নিকোলাস (২০২১), পামেলা (২০২১), জুলিয়া (২০২২), লিসা (২০২২), নিকোল (২০২২),ঘূর্ণিঝড় আইলা(২০০৯), ঘূর্ণিঝড় হামুন (২০২৩), ঘূর্ণিঝড় কোমেন (২০১৫), ঘূর্ণিঝড় সাগর (২০১৮),ঘূর্ণিঝড় আকাশ(২০০৭),ঘূর্ণিঝড় বুরেভি(২০২০),ঘূর্ণিঝড় ইয়াস(২০২১),ঘূর্ণিঝড় গুলাব-শাহীন(২০২১),ঘূর্ণিঝড় মিধিলি(২০২৩),ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু (২০১৬),ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (২০২২),ঘূর্ণিঝড় রেশমি (২০০৮),ঘূর্ণিঝড় ভেমি(২০০১),ঘূর্ণিঝড় হেলেন(২০১৩),ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম(২০২৩),ঘূর্ণিঝড় নিভার(২০২০),ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ(২০২১),ঘূর্ণিঝড় অশনি(২০২২),ঘূর্ণিঝড় ভিয়ারু(২০১৩),ঘূর্ণিঝড় তিতলি(২০১৮),ঘূর্ণিঝড় মাইকেল(১৯৬৯),ঘূর্ণিঝড় লুবান(২০১৮),ঘূর্ণিঝড় বায়ু(২০১৯),ঘূর্ণিঝড় মোরা(২০১৭),ঘূর্ণিঝড় গাজা(২০১৮),ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল(২০০৮),হ্যারিকেন ফিলিপ (২০০৫), ঘূর্ণিঝড় পল(২০২৪),

৭. ক্যাটাগরি-২ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ঃ

অত্যন্ত বিপজ্জনক বাতাস ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে(The extremely hazardous wind will cause extensive damage)

শ্রেণী-০২ তীব্রতা প্রায়ই ছাদের উপাদানের ক্ষতিসাধন করে (কখনো ছাদ উড়িয়ে নেয়) এবং খারাপভাবে নির্মিত দরজা এবং জানালার ক্ষতিগ্ৰস্ত করে। খারাপভাবে নির্মিত চিহ্ন এবং স্তম্ভগুলি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এবং অনেক গাছ উপড়ে যায় বা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। সাধারণত ভ্রাম্যমাণ বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কখনো কখনো ধ্বংস হয়ে যায় এবং অনেক তৈরি করা বাড়িও কাঠামোগত ক্ষতি-লোকসানের সম্মুখীন হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং পানীয় জলের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সম্ভবত অনেক দিন স্থায়ী হতে পারে। এসময়ের বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৪ থেকে ১৭৭ কিলোমিটারের মধ্যে।

শ্রেণী-০২ মাত্রার কয়েকটি হারিকেন ঝড়: এলিস (১৯৫৪), এলা (১৯৫৮), ফিফি (১৯৭৪), ডায়ানা (১৯৯০), গার্ট (১৯৯৩), রোজা (১৯৯৪), এরিন (১৯৯৫), আলমা (১৯৯৬), জুয়ান (২০০৩), অ্যালেক্স (২০১০), রিচার্ড (২০১০), টমাস (২০১০), কার্লোটা (২০১২), আর্থার (২০১৪), স্যালি (২০২০), ওলাফ (২০২১), রিক (২০২১),আগাথা (২০২২), ঘূর্ণিঝড় তেজ(২০২৩),ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ(২০২০),ঘূর্নিঝড় ফেথাই(২০১৮),ঘূর্ণিঝড় গামনে(২০২৪),হারিকেন স্যান্ডি(২০১২),

৮. ক্যাটাগরি-৩ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ঃ

ভয়াবহ ক্ষতি হবে("The damage will be Devastative)

শ্রেণী-০৩ মাত্রার এবং উচ্চতর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় আটলান্টিক বা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকার প্রধান হারিকেন হিসাবে গণনা করা হয়। এই ঝড়গুলি ছোট ঘরবাড়ি এবং বিল্ডিংগুলির কিছু কাঠামোগত ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেসব ভবনে শক্ত ভিত্তি নেই, যেমন ভ্রাম্যমাণ বাড়ি, সেগুলো সাধারণত ধ্বংস হয়ে যায় । উপকূলের কাছাকাছি বন্যা ছোট কাঠামো ধ্বংস করে, বড় কাঠামো ভাসমান ধ্বংসাবশেষ দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। প্রচুর সংখ্যক গাছ উপড়ে বা ভেঙে ফেলা পড়ে, অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উপরন্তু, ভূখণ্ড প্লাবিত হতে পারে, বিদ্যুতের ক্ষতি হতে পারে এবং পানি নষ্ট বা দূষিত হতে পারে। এসময়ের বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৮ থেকে ২০৮ কিলোমিটারের মধ্যে।


শ্রেণী-০৩ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়: ইজি (১৯৫০), ক্যারল (১৯৫৪), হিল্ডা (১৯৫৫), অড্রে (১৯৫৭), এলোইস (১৯৭৫), অলিভিয়া (১৯৭৫), অ্যালিসিয়া (১৯৮৩), এলেনা (১৯৮৫ ), রোক্সান (১৯৯৫), ফ্রান (১৯৯৬), ইসিডোর (২০০২), জিন (২০০৪), লেন (২০০৬), কার্ল(২০১০), অটো (২০১৬), জেটা (২০২০), গ্রেস (২০২১),ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়(২০২৩),১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড়,ঘূর্ণিঝড় চাপলা(২০১৫), ঘূর্ণিঝড় মেঘ (২০১৫), ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ (২০১৪), ১৯৭৭ অন্ধ্রপ্রদেশ ঘূর্ণিঝড়,ঘূর্ণিঝড় মেকুনু(২০১৮),ঘূর্ণিঝড় বুলবুল (২০১৯),ঘূর্ণিঝড় অক্ষি(২০১৭),১৯৯৮ গুজরাত ঘূর্ণিঝড়,

৯. ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ঃ

চরম ক্ষতি হবে(The damage will be extreme)

সবচেয়ে শক্ত গাছ ব্যতীত বেশিরভাগ গাছই উপড়ে ফেলে বা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। অনেক এলাকাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা করে ফেলে। এই ঝড় মাত্রাতিরিক্ত ব্যাপকভাবে সমুদ্রসৈকত ক্ষয় ঘটায়। অভ্যন্তরীণ ভূখণ্ড প্লাবিত হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক এবং পানীয় জলের ক্ষতি হয়৷ এসময়ের বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৯ থেকে ২৫১ কিলোমিটারের মধ্যে।

শ্রেণী-০৪ মাত্রার কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় ও হারিকেন হচ্ছেঃ বেটসি (১৯৬৫), সেলিয়া (১৯৭০), কার্মেন (১৯৭৪), ফ্রেডেরিক (১৯৭৯), জোয়ান (১৯৮৮), ইনিকি (১৯৯২), লুইস (১৯৯৫), আইরিস (২০০১), চার্লি (২০০৪), ডেনিস (২০০৫), গুস্তাভ (২০০৮), আইকে (২০০৮), জোয়াকিন (২০১৫), হার্ভে (২০১৭), লরা (২০২০), ইটা (২০২০), আইওটা (২০২০), আইডা (২০২১),ঘূর্ণিঝড় মোখা (২০২৩),ঘূর্ণিঝড় সিডর(২০০৭),ঘূর্ণিঝড় নার্গিস(২০০৮), ঘূর্ণিঝড় কিয়ার (২০১৯),ঘূর্ণিঝড় নিলোফার(২০১৪),ঘূর্ণিঝড় টাউকটে(২০২১), ঘূর্ণিঝড় নেভিল(২০২৪),ঘূর্ণিঝড় ফরেস্ট(১৯৯২),ঘূর্ণিঝড় মানদাউস(২০২৩),ঘূর্ণিঝড় ইয়ান(২০২২),ঘূর্ণিঝড় ওলগা(২০২৪),

১০. ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার সুপার সাইক্লোন বা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ঃ

ব্যাপক ক্ষতি হবে(The damage will be Extensive and Catastrophic)

শ্রেণী-০৫ হল স্যাফির-সিম্পসন মাপনীর সর্বোচ্চ বিভাগ।এটা হলো ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ মারাত্নক,বিপর্যয়কর,অতিপ্রবল,মহাশক্তিশালী ও ধ্বংসাত্নক অবস্থা।এ ক্যাটাগরি ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ উপকূলরেখার নিকটবর্তী সমস্ত কাঠামোর নীচের তলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয় এবং অনেক উপকূলীয় কাঠামো ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে সম্পূর্ণরূপে ভেসে যেতে পারে। কার্যত সমস্ত গাছ উপড়ে বা ভেঙে চুরে ফেলে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়, জনবসতি বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জনবহুল এলাকা থেকে ব্যাপকভাবে জনগণ সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং পানীয় জলের ক্ষতি হয় আর মৌলিক মানবিক চাহিদা সংকট দেখা দেয়, সম্ভবত কয়েক মাস পর্যন্ত এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জনবহুল এলাকায় জনবসতিতে বাসিন্দারা।এসময়ের বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫২ থেকে ৫০০ কিলোমিটার বা তার চেয়ে অধিকতর আনুমানিক প্রায় ১০০০ কিলোমিটারের নিকটবর্তী।

শ্রেণী-০৫ মাত্রার কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন ও হারিকেন হচ্ছেঃ "কিউবা" (১৯২৪), "উকিচোবি" (১৯২৮), "বাহামা" (১৯৩২), "কিউবা-ব্রাউনসভিল" (১৯৩৩), "শ্রম দিবস" (১৯৩৫), জ্যানেট (১৯৫৫), ইনেজ (১৯৬৬), ক্যামিল (১৯৬৯), এডিথ (১৯৭১), অনিতা (১৯৭৭), ডেভিড (১৯৭৯), গিলবার্ট (১৯৮৮), অ্যান্ড্রু (১৯৯২), ডিন (২০০৭), ফেলিক্স (২০০৭), ইরমা (২০১৭),মারিয়া (২০১৭),মাইকেল (২০১৮),ডোরিয়ান (২০১৯), টাইফুন মাওয়ার (২০২৩), টাইফুন ভেলাবেন (২০২৩), টাইফুন সাওলা(২০২৩),ঘূর্ণিঝড় ফণী(২০১৯),ঘূর্ণিঝড় আম্পান(২০২০), হারিকেন ওটিস(২০২৩),ঘূর্ণিঝড় সিডর(২০০৭),ঘূর্ণিঝড় মার্কাস(২০১৮),ঘূর্ণিঝড় পাইলিন(২০১৩),ঘূর্ণিঝড় প্যাট্রিসিয়া(২০১৫),ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান(২০১৩),১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়,হারিকেন ইরমা(২০১৭),

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • হারিকেনঃ কোপিং উইথ ডিসাস্টার, এডিটর- রবার্ট সিম্পসন, আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন, ওয়াশিংটন ডি সি, ২০০৩।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ঘূর্ণিঝড় উইকি ট্রপিকাল ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে একটি উইকিয়া, "সাইক্লোপিডিয়া" নামেও পরিচিত (ইংরেজি)