১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়
সুপার ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল)
শ্রেণী ৫ (স্যাফির-সিম্পসন স্কেল)
ঘূর্ণিঝড়টি ২৯শে অক্টোবর ওড়িশার ভূমিভাগে আগাত হানার পরে এর নথিভুক্ত সর্বোচ্চ তীব্রতা অর্জন করে
গঠন২৫ অক্টোবর ১৯৯৯ (1999-10-25)
বিলুপ্তি৪ নভেম্বর ১৯৯৯ (1999-11-04)
(৩১ অক্টোবর ১৯৯৯ (1999-10-31) পরে অবশিষ্টাংশ কম)
সর্বোচ্চ গতি৩-মিনিট স্থিতি: ২৬০ কিমি/ঘণ্টা (১৬০ mph)
১-মিনিট স্থিতি: ২৬০ কিমি/ঘণ্টা (১৬০ mph)
সর্বনিম্ন চাপ৯১২ hPa (mbar); ২৬.৯৩ inHg
(উত্তর ভারত মহাসাগরে নথিভুক্ত সবচেয়ে কম)
হতাহত৯,৮৮৭
(আইএমডি এই পরিসংখ্যানটি ব্যবহার করে। কিছু অনুমান ৩০,০০০ জন পর্যন্ত)
ক্ষয়ক্ষতি$4.44 বিলিয়ন (1999 $)
প্রভাবিত অঞ্চলথাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত (বিশেষত ওড়িশা)
১৯৯৯ উত্তর ভারত মহাসাগর ঘূর্ণিঝড় মরশুম

১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি উপাধি বিওবি০৬, জেটিডব্লিউসি উপাধি ০৫বি[১]) উত্তর ভারত মহাসাগরের ও এই অঞ্চলের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়সমূহের মধ্যে নথিভুক্ত সবচেয়ে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়।[note ১] ১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ অক্টোবর আন্দামান সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপের মাধ্যমে সংগঠিত হয়, যদিও এর সূত্রপাতটি চার দিন আগে সুলু সাগরের পরিচলন অঞ্চলে ঘটে। পরের দিন ঝড়টি ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিতে পৌঁছে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমের পথ অব্যাহত থাকায় ধীরে ধীরে এই ঝড় আরও জোরদার হয়। অত্যন্ত অনুকূল অবস্থার সাহায্যে ২৮ অক্টোবরে ঝড়টি দ্রুত তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা অর্জন করে এবং পরের দিন ২৬০ কিমি/ঘণ্টা (১৬০ মাইল) গতিবেগে বয়ে যাওয়া ও নথিভুক্ত-নিম্নচাপের মান ৯১২ মিলি বারে পৌঁছায়। ঝড়টি এই তীব্রতা ওড়িশার ভূমিভাগে ২৯ শে অক্টোবর আঘাত হানার সাথে বজায় রেখেছে। স্থির স্থল মিথস্ক্রিয়া ও শুষ্ক বাতাসের কারণে ঘূর্ণিঝড়টি অবিচ্ছিন্নভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, দু'দিন ধরে আস্তে আস্তে অনেক দূর্বল ব্যবস্থা হিসাবে সমুদ্র তীরে পৌঁছানোর আগে আধা-স্থির ছিল; ঝড়টি ৪ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

যদিও এর প্রাথমিক প্রভাবসমূহ ভারতের একটি স্থানীয় অঞ্চলে অনুভূত হয়, তবে সুপার সাইক্লোন বা অতি ঘূর্ণিঝড়ের বাইরের প্রান্তসমূহ মিয়ানমারবাংলাদেশকে প্রভাবিত করে।

টীকা[সম্পাদনা]

  1. In 1999, Odisha was known as Orissa; its name was changed in 2011 following the passage of the Orissa Bill and adoption of the 113th Amendment to the Constitution of India through Parliament.[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. McPherson, Terry; Stapler, Wendell (২০০০)। 1999 Annual Tropical Cyclone Report (পিডিএফ)Naval Oceanography Operations Command (প্রতিবেদন)। Pearl Harbor, Hawaii, United States: Joint Typhoon Warning Center। পৃষ্ঠা 154–159। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Orissa's new name is Odisha"The Times of India। New Delhi। ২৪ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭