মিশর জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিশর
দলের লোগো
ডাকনামআল-ফিরাইনা (পারোহ)
অ্যাসোসিয়েশনমিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচহুসাম আল বদরি
অধিনায়কআহমেদ ফাতহি
সর্বাধিক ম্যাচআহমেদ হাসান (১৮৪)
শীর্ষ গোলদাতাহুসাম হাসান (৬৮)
মাঠকায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
ফিফা কোডEGY
ওয়েবসাইটwww.efa.com.eg
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৩৩ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ(জুলাই – সেপ্টেম্বর ২০১০, ডিসেম্বর ২০১০)
সর্বনিম্ন৭৫ (মার্চ ২০১৩)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৪৭ বৃদ্ধি ৩ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ১৪ (আগস্ট ২০১০)
সর্বনিম্ন৬৮ (এপ্রিল ১৯৯৭)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 ইতালি ২–১ মিশর 
(খেন্ট, বেলজিয়াম; ২৮ আগস্ট ১৯২০)
বৃহত্তম জয়
 মিশর ১৫–০ লাওস 
(জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া; ১৫ নভেম্বর ১৯৬৩)
বৃহত্তম পরাজয়
 ইতালি ১১–৩ মিশর 
(আমস্টার্ডাম, নেদারল্যান্ডস; ৯ জুন ১৯২৮)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ৩ (১৯৩৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্য১৬ দলের পর্ব (১৯৩৪)
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স
অংশগ্রহণ২৩ (১৯৫৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৫৭, ১৯৫৯, ১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০০৮, ২০১০)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ২ (১৯৯৯-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (১৯৯৯, ২০০৯)

মিশর জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: منتخب مصر لكرة القدم, ইংরেজি: Egypt national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মিশরের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম মিশরের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৩ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২০ সালের ২৮শে আগস্ট তারিখে, মিশর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বেলজিয়ামের খেন্টে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে মিশর ইতালির কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৭৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আল-ফিরাইনা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় মিশরের রাজধানী কায়রোয় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হুসাম আল বদরি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন পিরামিডের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আহমেদ ফাতহি

মিশর এপর্যন্ত ৩ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা হাঙ্গেরির কাছে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে মিশর অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৭টি (১৯৫৭, ১৯৫৯, ১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০০৮ এবং ২০১০) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, মিশর ১৯৯৯ এবং ২০০৯ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে।

আহমেদ হাসান, হুসাম হাসান, এসাম এল-হেদারি, মোহাম্মদ সালাহ এবং মোহাম্মদ আবুতরিকাহের মতো খেলোয়াড়গণ মিশরের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১০ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে মিশর তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৯ম) অর্জন করে এবং ২০১৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ৭৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে মিশরের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৪তম (যা তারা ২০১০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৬৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৩১ অপরিবর্তিত  পোল্যান্ড ১৫২০.২৪
৩২ অপরিবর্তিত  ইকুয়েডর ১৫১৯.২
৩৩ অপরিবর্তিত  মিশর ১৫১৮.৯১
৩৪ অপরিবর্তিত  সার্বিয়া ১৫১৭.৪৩
৩৫ অপরিবর্তিত  পেরু ১৫১২.৬৮
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৪৫ হ্রাস  ওয়েলস ১৬৯৬
৪৬ হ্রাস ১৭  সুইডেন ১৬৯৫
৪৭ বৃদ্ধি  মিশর ১৬৮৮
৪৮ বৃদ্ধি ১১  রোমানিয়া ১৬৭৪
৪৯ বৃদ্ধি ১৭  স্লোভাকিয়া ১৬৬২

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪ ১৬ দলের পর্ব ১৩তম ১১
ফ্রান্স ১৯৩৮ প্রত্যাহার প্রত্যাহার
ব্রাজিল ১৯৫০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ উত্তীর্ণ হয়নি
সুইডেন ১৯৫৮ প্রত্যাহার প্রত্যাহার
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ উত্তীর্ণ হয়নি
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ১০ ১৫ ১১
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০ গ্রুপ পর্ব ২০তম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি
ফ্রান্স ১৯৯৮ ১৫
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১০ ২২
জার্মানি ২০০৬ ১০ ২৬ ১৫
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১৩ ২২
ব্রাজিল ২০১৪ ১৯ ১৪
রাশিয়া ২০১৮ গ্রুপ পর্ব ৩১তম ১২
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ১৬ দলের পর্ব ৩/২১ ১২ ৮৯ ৫১ ১৮ ২০ ১৬১ ৮৫

অর্জন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]