রাজান জাইতুনেহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাজান জাইতুনেহ
رزان زيتونة
জন্ম (1977-04-29) এপ্রিল ২৯, ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
পেশাHuman rights lawyer

রাজান জাইতুনেহ (বা জাইতুনাহ;আরবি: رزان زيتونة জন্ম ২৯ এপ্রিল ১৯৭৭) একটি সিরিয়ান মানবাধিকার আইনজীবী এবং সুশীল সমাজের কর্মী। সিরিয়ার বিদ্রোহের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, তিনি সরকার কর্তৃক অভিযুক্ত হয় যে তিনি বিদেশী প্রতিনিধি[১],সে জন্য লুকিয়ে থাকেন এবং তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।[২] লোকাল কো-অর্ডিনেশন কমিটিস অব সিরিয়ার জন্য তিনি মানবাধিকার নথি তৈরি করেন।[৩]

জীবন[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৯৯ সালে ল-স্কুল থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন এবং ২০০১ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি ২০০১ সাল থেকে রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতিরক্ষা করার জন্য আইনজীবীদের দলের একজন সদস্য ছিলেন। একই বছরে, রাজান হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ইন সিরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন (এইচআরএএস)। ২০০৫ সালে, রাজান জাইতুনেহ এসএইচআরআইএল (দ্য সিরিয়ান হিউম্যান রাইটস ইনফর্মেশন লিংক) প্রতিষ্ঠা করেন, যার মাধ্যমে তিনি সিরিয়াতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিবেদন করতে থাকেন। ২০০৫ সালে, সিরিয়ায় রাজনৈতিক বন্দিদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য তিনি কমিটি টু সাপোর্ট ফেমিলিস অব পলিটিকাল প্রিজোনার্স ইন সিরিয়ার একজন সক্রিয় সদস্য।

২৭ শে অক্টোবর ২০১১ সালে, চারজন আরবের সাথে যৌথভাবে চিন্তার স্বাধীনতা জন্য ২০১১ সালের সাখারভ পুরস্কার লাভ করেন।[৪] তিনি পোলিটকোভসকায়া পুরস্কার পান রিচ্ অল উইমেন ইন ওয়ার দ্বারা।[৫] ২০১৩ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার লাভ করেন।[৬]

ডিসেম্বর ২০১৩ সালে, বিরোধী ওয়েবসাইটগুলি প্রতিবেদন করেছিল যে, রাজান তার স্বামী ওয়াইল হামাদেহ এবং দুই সহকর্মী সামীরা খলিল ও নাজিম হামাদেহর সাথে দামাস্কাসের উত্তরে বিরোধীদলীয় শহর ডুমাতে অপহরণ হয়েছে।[৭][৮][৯] ২০১৫ সালের ডিসেম্বর অনুযায়ী, তাদের অভিযান এখনও অজানা এবং অপহরণকারীদের পরিচয় বিষয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। যদিও এটি সন্দেহ করা হয়েছিল যে ইসলামী সালাফি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই ঘটনার জন্য দায়ী।[১০]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • ২০১১ সালে চিন্তার স্বাধীনতা জন্য সাখারভ পুরস্কার।
  • ২০১১ সালে আননা পোলিটকোভসকায়া পুরস্কার।[১১]
  • ২০১২ সালে চিন্তার স্বাধীনতা জন্য ইবনে রুশদ পুরস্কার।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Syrian Activist In Hiding: 'If We Didn't Believe We Will Win, We Couldn't Bear All This'"। Radio Liberty। ৭ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১১ 
  2. Beaumont, Peter (২১ মে ২০১১)। "Syria's defiant women risk all to protest against President Bashar al-Assad"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১১ 
  3. "Syrian woman activist wins human rights award"Amnesty International। ২০১১-১০-০৭। ২০১২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-০৫ 
  4. "Three finalists for Sakharov Prize 2011 honouring human rights activists"European Parliament। ২৩ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১১ 
  5. "Razan Zaitouneh (Syria): Winner of the 2011 Anna Politkovskaya Award"Reach All Women in War। ১৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১১ 
  6. "Dissident Tibetan Writer Wins The US Government 2013 International Women of Courage Award"VOA। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  7. دي برس। "اختطاف الناشطة رزان زيتونه في دوما بريف دمشق"। ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  8. "Human Rights advocate Razan Zaitouneh kidnapped near Damascus"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৮ 
  9. "Syrian opposition activist Razan Zaitouneh kidnapped at gunpoint"Financial Times। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  10. Pizzi, Michael। "The Syrian Opposition Is Disappearing From Facebook"The Atlantic। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  11. "Razan Zaitouneh (Syria): Winner of the 2011 Anna Politkovskaya Award"Raw in War। ১৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]