মুসা খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুসা খান
বাংলার বারো ভূঁইয়াদের নেতা
Grave of Musa Khan in Curzon Hall compound, Dhaka University..jpg
মুসা খাঁর কবর, কার্জন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজত্ব1599–1611
মৃত্যু১৬২৩
ঢাকা
সমাধি
বাগ-এ-মুসা[১][২]
বংশধরমাসুম খান[৩]
প্রাসাদজঙ্গলবাড়ি দুর্গ
পিতাঈসা খাঁ
ধর্মইসলাম

ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খান সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে (১৬০৫-২৭) বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে সর্বাপাক্ষা শক্তিশালী ছিলেন। পিতা ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর মুসা খাঁ ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁয়ের মসনদের অধিকারী হন।[১] তিনি মুঘল আনগত্য অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে আজীবন যুদ্ধ করেন। বৃহত্তর ঢাকা,কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জেলার অধিকাংশ স্থান নিয়ে তার রাজত্ব গঠিত হয়েছিল। সোনারগাঁ ছিল তার রাজধানী।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৫৯৯ সালে পিতার মৃত্যুর পরে, মুসা খান বারো-ভূঁইয়াদের প্রধান হিসাবে বাংলার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। তার বাবার উত্তরাধিকার অব্যাহত রাখেন। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মুঘল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলেন এবং ১৬ জুলাই ১৬১০ সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি ইসলাম খান কর্তৃক পরাজিত হোন।[৪][৫] সুবাহদার ইবরাহিম খান ফতেহ জঙ্গ এর রাজত্বকালে (রাজত্ব: ১৬১৭-১৬২৪) তিনি মুঘলদের আনুগত্য স্বীকার করেন।[৬] পরে তিনি ত্রিপুরা বিজয় এবং কামরূপে বিদ্রোহের দমনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে অবস্থিত মুসা খান মসজিদের উত্তর- পূর্ব কোণে মুসা খাঁর সমাধি

মুসা খাঁ ১৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্জন হল প্রাঙ্গণে অবস্থিত মুসা খান মসজিদের উত্তর- পূর্ব কোণে তার সমাধি রয়েছে।[১] জনশ্রুতি আছে যে, এই মসজিদটি তিনিই নির্মাণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঢাবি ক্যাম্পাসে মুসা খানের সমাধি ও মসজিদ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭ 
  2. "মুসা খান"বাংলাপিডিয়া 
  3. Muazzam Hussain Khan। "মাসুম খান"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ নভে ৩, ২০১৫ 
  4. Sen, Sailendra. (২০১৩)। Textbook of medieval indian history.। [Place of publication not identified]: Primus Books। আইএসবিএন 93-80607-34-2ওসিএলসি 822894456 
  5. Feroz, M A Hannan (২০০৯)। 400 years of Dhaka। Ittyadi। পৃষ্ঠা 12। 
  6. খান, মুয়ায্‌যম হুসায়ন। "ইবরাহিম খান ফতেহ জঙ্গ"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭