ভূবিজ্ঞান
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
ভূবিজ্ঞান হল পৃথিবী ও এর ভূতাত্ত্বিক পদ্ধতিসমুহের বৈজ্ঞানিক আলোচনা।[২] ভূবিজ্ঞানকে গ্রহ বিজ্ঞানের শাখা বিবেচনা করা হয় কিন্তু এর ইতিহাস আরো প্রাচীন। ভূবিজ্ঞানের অন্তর্গত বিষয়সমূহ হল ভূগোল, স্থলমণ্ডল, ও ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত বৃহৎ নির্মাণাদি এবং বায়ুমণ্ডল, জলমণ্ডল, ও জীবমণ্ডল। সাধারণত ভূবিজ্ঞানীগণ ভূগোল, কালনিরূপণবিদ্যা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতের উপাদান ব্যবহার করে পৃথিবী কিভাবে বিবর্তিত হয়েছে এবং হচ্ছে তা নিরুপন করেন।
গবেষণার ক্ষেত্র[সম্পাদনা]
- ভূতত্ত্ব - অন্তর্গত বিষয়সমূহ হল শিলাগঠিত ভূপৃষ্ঠ এবং এর উন্নয়ন। প্রধান উপশাখাসমূহ হল খনিজ বিজ্ঞান ও শিলাবিদ্যা, ভূরসায়ন, জীবাশ্মবিজ্ঞান, স্তরবিদ্যা, কাঠামোগত ভূবিদ্যা, প্রকৌশলগত ভূবিদ্যা, এবং পলিবিদ্যা।
- স্থানিক ভূগোল - অন্তর্গত বিষয়সমূহ হল ভূ-প্রকৃতিবিদ্যা, মাটি গবেষণা, জলবিদ্যা, আবহাওয়াবিদ্যা, জলবায়ুবিদ্যা এবং জীবভূগোল।[৩]
- ভূপ্রকৃতিবিদ্যা ও ভূগঠন - পৃথিবীর আকার বিষয় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রদান করে।
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান - ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ ও মৃত্তিকা গঠন পদ্ধতি বিষয়ে আলোকপাত করে।[৪]
- বাস্তুসংস্থান - বায়োম ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মিথষ্ক্রিয়তা নিরুপন করে।
- জলবিদ্যা - পানির গতি, বণ্টন, ও গুণাগুণ পর্যালোচনা করে।
- হিমবিদ্যা - পৃথিবীর হিমস্থান (হিমমণ্ডল) নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
- বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান - ভূত্বক ও এক্সোস্পিয়ার (প্রায় ১০০০ কি.মি.) এর মধ্যে অবস্থিত পৃথিবীর গ্যাসীয় অংশ নিয়ে আলোচনা করে। প্রধান উপশাখাসমূহ হল ভূ-প্রকৃতিবিদ্যা, জলবায়ুবিদ্যা, বায়ুমণ্ডলীয় রসায়ন ও বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থ বিজ্ঞান।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Encyclopedia of Volcanoes, Academic Press, London, 2000
- ↑ "earth science"। Memidex/WordNet Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১১।
- ↑ Pidwirny, M. (2006)। "Elements of Geography" 2nd Edition. physicalgeography.net.
- ↑ "Duane Gardiner, Lecture: Why Study Soils? excerpted from Miller, R.W. & D.T. Gardiner, 1998. Soils in our Environment, 8th Edition". nau.edu.