বারুহাস ইউনিয়ন
বারুহাস | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
২ নং বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ | |
ডাকনাম: বারুহাস | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | সিরাজগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | তাড়াশ উপজেলা |
আসন | সিরাজগঞ্জ-৩ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
বারুহাস বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
ধারণা করা হয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনামলে এই অঞ্চলের আবিষ্কার হয়। তখন এই অঞ্চলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক সাধু সন্ন্যাসীর আগমন ঘটে। মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে বারুহাস গ্রামে শাহ ইমাম (রহ) আসেন এবং পরবর্তী মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর সরেজমিনে বাংলা পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি বারুহাস গ্রামের শাহ ইমাম (রহ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। শাহ ইমামকে সম্রাট জাহাঙ্গীর বারুহাস গ্রামে কয়েকটি পাকাঘর এবং একটি পুকুর খনন করে দিয়েছিলেন। যা ইমাম বাড়ি নামে পরিচিত। এভাবেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উর্বর কৃষিভূমি থাকায় আরবীয় বানিজ্যের সাথে চলনবিলের সংযোগ ঘটে। প্রায় ৪০০বছর পূর্বে চলনবিল এলাকার ভদ্রাবতী নদীর পাড়ে সনাতন বসতির এই অঞ্চলে ইয়েমেন থেকে আগত শেখগন প্রথম মুসলিম বসতি স্থাপন করেন।পরবর্তীতে নায়েব শেখ বাহারউদ্দিন বা "বারু শেখ" এর নামানুসারে এই অঞ্চলের নাম হয় "বারুহাস"। লোকমুখে শোনা যায় রানী ভবানীর শাসনের হাত থেকেও শেখগন এই অঞ্চল রক্ষা করেছিলেন যাতে রানীর শাসন ভদ্রাবতীর ওপারে পশ্চিমে নাটোর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। ব্রিটিশ শাসনামলে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা বিদ্রোহী শেখদের অপসারন করে দেলোয়ার খান চৌধুরীকে মহালের জমিদার নিযুক্ত করেন। ইমাম বাড়ি, বারুহাসের জমিদার বাড়ি ও বেহুলার কুয়া সহ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই বারুহাস।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]১ বারুহাস ইমাম বাড়ি
এখানে দুই রকম কথা প্রচলিত আছে।
উপরে বর্ণিত একটা
আরেকটা এরকম
সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালে কাগমারীর দরবেশ হযরত শাহ জালাল (রঃ) এবং তার মামা শাহানশাহ হযরত বাবা আদম (রঃ) কাশ্মিরী এ অঞ্চলে আগমন ও ইসলাম প্রচার করেন। তাঁদের জীবনীতেই বিশাল জলধির মধ্যে চর জাতীয় প্রাচীন ভূমির উল্লেখ পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে শাহজাদপুরে হযরত শাহদৌলা মখদুম (রঃ), সিরাজগঞ্জে হযরত শাহ সিরাজউদ্দিন, নওগাঁতে দাদাপীর, রাজশাহী জেলার বাঘাতে শাহাদৌলা জামী দানেশমন্দ (রঃ) এবং চর মধ্যাহ্ন দ্বীপে বারুহাস ইমামবাড়ী পীর সাহেবের আগমন ঘটে।
অরেকমতে, (ইমাম বাড়া)
চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী বারুহাস ইমাম বাড়া কালের সাক্ষী। প্রায় সাড়ে তিন'শ বছর আগে হাসান-হোসেন(রাঃ) স্মরণে শিয়া সম্প্রদায় ভবন দুটি নির্মাণ করেন। এখানে নামাজ আদায় এবং মিলাদ মাহফিলের ব্যাবস্থা থাকে। হোসেনি দালান বাংলাদেশের প্রথম ইমাম বাড়া। মোগল আমলে শাহসুজার নৌ সেনাপতি মীর মুরাদ ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মান করে। হোসেনি দালান নির্মাণের পর থেকে শিয়া সম্প্রদায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অনেক ইমাম বাড়া নির্মাণ শুরু করে। তার একটা নিদর্শন চলবিলের চরমধ্যান্ন দ্বীপে এই ইমাম বাড়া। আশে পাশের অন্নান্য দ্বীপের ইমাম সাহেব এখানে এসে ধর্মীয় আলোচনা করতেন। পরে চরমধ্যান্ন দ্বীপ নাম পরিবর্তন করে এ গ্রামের নাম রাখা হয় বারুহাস। সবার মুখে এই স্থাপনা এখন বারুহাস ইমাম বাড়ি নামে সুপরিচিত।
২ বারুহাস জমিদার বাড়ি
৩ বেহুলার কূপ
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক কাঠামো
[সম্পাদনা]শিক্ষা ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে তাড়াশ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |