মোহনপুর ইউনিয়ন, উল্লাপাড়া
এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (নভেম্বর ২০১৯) |
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন একটি ইউনিয়ন। ইহার পূর্বে দুর্গানগর ইউনিয়ন, পশ্চিমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা, উত্তরে একই উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়ন ও দক্ষিণে ফরিদপুর উপজেলা। ইহার আয়তন ৯০৪৯.০৬ একর এবং সীমা ১৪.১৪ বর্গমাইল। [১]
প্রশাসনিক অঞ্চল
[সম্পাদনা]ইউনিয়নটি নিন্মলিখিত গ্রাম নিয়ে গঠিত: কালিয়াকৈড়, সুজা, কৈবত্তগাঁতী, পশ্চিম বংকিরাট, পূর্ব বংকিরাট, পশ্চিম বামনগ্রাম, আঁচলগাতী, বলাইগাতী, সাতবিলা, নাদা, দত্তপাড়া এলংজানী, মামুদপুর, বলতৈল, হাজিপুর, চকপাড়া এলংজানী, আটিয়ারপাড়া এলংজানী, গোনাইগাঁতী, কাইমকোলা, কোনাবাড়ী, দৈমুচী এলংজানী, চন্ডিপুর, বাল্লোপাড়া, আগ মোহনপুর, লাহিড়ীপাড়া, মিলপাড়া, মোহনপুর বাজার, দহকুলা, চর মোহনপুর, চর বর্দ্ধনগাছা বর্দ্ধনগাছা।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]জনসংখ্যা প্রায় ৪৬,০০০ (ছয়চল্লিশ হাজার)। শিক্ষার হার- ৮০% । শতকরা ৯৫% মুসলমান, ৪% হিন্দু এবং ১% অন্যান্য ধর্মাবম্বী।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]অত্র ইউনিয়নে শিক্ষার হার শতকরা ৮০% ভাগ। এখানে ১টি মহাবিদ্যালয়, ৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি কমিউনিটি বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এখানে ৩টি সংগীত বিদ্যালয় আছে। ঐ সকল সংগীত বিদ্যালয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ও কিশোর কিশোরীদেরকে গান-বাজনা শেখানো হয়। এ সমস্ত শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠানে গান-বাজনা পরিবেশন করা হয় ।
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়ন একটি নিম্নাঞ্চল এলাকা। সামান্য বর্ষাতেই সমস্ত এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে, যার ফলে অভ্যান্তরীন যোগাযোগ তেমন ভাল না। তবে বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যায়। এখানে ২০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা এবং ৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা আছে। এখানে ঢাকা-রাজশাহী রেল যোগাযোগ আছে এবং সড়ক পথে ও ঢাকা-রাজশাহী সহ দে্শের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যায় ।
কৃষি
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নের শতকরা ৮০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে প্রচুর পরিমানে ধান, গম, সরিষা, আলু এবং সবজীর চাষ-আবাদ করা হয়, যা অত্র এলাকার চাহিদা পূরণের পরও দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করা যায়।
নদ-নদী ও জলাশয়
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নের মাঝামাঝি ২টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। একটি গোহালা নদী ও অপরটি কোমলা বানিয়াধান নদী, ইহাছাড়া অনেক ব্যক্তিগত পুকুর ও খাস পুকুর আছে। এখানে প্রচুর পরিমানে মাছের চাষ করা হয়। এখানে যে পরিমান মাছ পাওয়া যায় তা অত্র ইউনিয়নের চাহিদা পুরণের পরও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
গবাদী পশু
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নে দেশী-বিদাশী গবাদী পশু পালন করা হয়। যেমন- উন্নতজাতের গাভী, হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া পালন করা হয়। উন্নত জাতের গাভীর ফার্ম থেকে প্রচুর দুগ্ধ উৎপাদন হয় । এই দুধ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করা হয় এবং এখানে গরু ও ছাগলের মাংস পাওয়া যায়।
শিল্প কারখানা
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ মিল্কভিটা নামে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রসহ ব্র্যাক দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র, প্রাণ দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র আছে। এখানে এসকল কারখানায় প্রচুর পরিমানে দুগ্ধ শীতল করে দেশের বিভিন্ন মিল্কভিটায় সরবরাহ করা হয়। ইহাতে প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জিত হয়। বর্তমানে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে পাশে একটি গোখাদ্য কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীগণ সার্বক্ষনিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আছে। ইহাছাড়া বিভিন্ন বে-সরকারী সংস্থা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত। অত্র ইউনিয়নে একটি হাসপাতাল ও ওয়ার্ড ভিত্তিক ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। যাহাদ্বারা বিভিন্ন বয়সী মেয়েদেরসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে চিকিৎসা করা হয়।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/ব্যবসা
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নে সোনালী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও আশা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, যাহা সার্বক্ষণিক জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছে। ইহাছাড়া বিভিন্ন সমিতি আছে, যাহা বাংলাদেশ সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত।
প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নে অনেক সুনামধন্য লোকের জন্ম। বিশেষ করে লাহিড়ী পরিবারে জন্ম “অমূল্য লাহিড়ী” নামে একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিল। তার নামানুসারে লাহিড়ী মোহনপুর রেলস্টেশন নামে পরিচিতি লাভ করে। ইহাছাড়া ক্ষিতিমোহন লাহিড়ী, মির্জা মেনহাজ উদ্দিন, মিজানুর রহমান খন্দকার, অধ্যক্ষ আবুল হোসেন এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য- উত্তর বঙ্গের লালসূর্য পলাশ ডাঙ্গার সর্বাধিনায়ক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ আব্দুল লতিফ মির্জাসহ আরও অনেক রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক ব্যক্তিদের জন্ম হয়েছিল। যাহারা দেশ ও জাতীর জন্য গর্ব।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বাসযোগে
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা হতে উত্তর বঙ্গের যেকোন বাসে সরাসরি বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনাসেতু) হয়ে সিরাজগঞ্জ গোল চত্বরে নামতে হবে অথবা গোল চত্ত্বর থেকে দক্ষিণ দিকে পাবনা রোড হয়ে মাত্র ১২-১৫ কিলোমিটার (১০-১২মিনিট) এসে উল্লাপাড়া শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামতেহবে। এরপর বাসস্ট্যান্ড হতে পশ্চিম দিকে মোহনপুরের উদ্দেশ্যে আসতে হবে। এখান থেকে রিক্সা, ভ্যান হলে সময় লাগবে ৩০-৩৫ মিনিট অথবা সিএনজি, অটোরিক্সা হলে সময় লাগবে ৮-১০ মিনিট। মোহনপুর এসে উধুনিয়া ও বড়পাঙ্গাসী রোড এর সংলগ্ন বাম পার্শ্বে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত ।
ট্রেনযোগে
[সম্পাদনা]রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন হতে সরাসরি আন্ত:নগর ট্রেনে লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন এ নামতে হবে। সময় লাগবে প্রায় ৪-৫ঘণ্টার মতো। লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাজারের ভিতর হয়ে ৩০০-৪০০ ফুট উত্তর দিকে পায়ে হেঁটে এসে হাতের বাম পার্শ্বে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ। সময় লাগবে ১-২ মিনিট। [২]
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]ক্রমিক | নাম | কীভাবে যাওয়া যায় | অবস্থান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১ | হযরত আদম এর মাজার শরীফ | উল্লাপাড়া অথবা তালগাছী হয়ে লাহিড়ী মোহনপুর আসতে হবে। এরপর মোহনপুর মিল্কভিটা হতে দক্ষিণে ২কিলোমিটার সূদুর দক্ষিণ দিকে চন্ডিপুর গ্রামে অবস্থিত হযরত আদম এর মাজার শরীফ । শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেল যোগে এবং বর্ষাকালে নৌকা যোগে যাতায়াত করা যায়। | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২ | মোহনপুর মিল্কভিটা | উল্লাপাড়া ও তালগাছী হতে প্রায় ১০কিলোমিটার সূদুর পশ্চিম দিকে মোহনপুর মিল্কভিটা। সড়ক পথে বাস, সিএনজি, মোটর সাইকেল, ভ্যান/রিকসা যোগে যাতায়াত করা যায়। | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৩ | এলংজানী সিদ্দিকিয়া খানকা ও মাজার শরীফ | সিরাজগঞ্জ জেলাধীন উল্লাপাড়ার মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানী গ্রামে অবস্থিত । | ৪ বড়পাঙ্গাসি ইউনিয়েনর নরসিংহপাড়া'শুকলাই শুকলহাট দ্বিতল ঈদগাঁহ মাঠ অবস্থিত। নরসিংহপাড়া নদীপাড়া হতে ২কি:।দ্বিতল ঈদগাহ মাঠের প্রতিষ্ঠাতা:মো:মোস্তফা জাহাঙ্গির আলম পিতা:মরহুম ব্যারিস্টার রওশন আলী। স্থাপিত:২০১৫ ইং।
ভাষা ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নের সবাই বাঙ্গালী, তাই তাদের একই ভাষা-বাংলা । বাংলাভাষার উচ্চারণের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য দেখা যায় । গ্রামবাসী ও শহরবাসীর উচ্চারণের মধ্যে সাধারণতঃ পার্থক্য পাওয়া যায় । তার কারণ শহরের মানুষ অধিকাংশই শিক্ষিত, তাই তারা শুদ্ধ ভাবে লিখতে, পড়তে এবং বলতে পারে, যা’ অধিকাংশ অশিক্ষিত গ্রাম্য মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব নয় । প্রসঙ্গক্রমে গ্রামীণ ভাষার কিছু নমুনা নিম্নে উদ্ধৃত করা হ’ল।
আবাস[সম্পাদনা]সাধারণত পল্লীবাসী উলুখড় নির্মিত ‘বাঙ্গালা’ ‘চৌরী’ কাঁচা গৃহে বাস করে ।কেনেস্তারা ও করগেট টিনের গৃহ ৩৫/৪০ বৎসর ধরে প্রচলিত আছে । ধণীলোক দালানে বাস করে । অতিপূর্বে এদেশের মাটির কোঠা প্রচলিত ছিল । অধুনা ডেমরা কোঠার নিদর্শন আছে । কপাট-জানালার ব্যবহার সর্বত্রই আছে্ । গরিব লোক কপটের পরিবর্তে চাটাই নির্মিত বেড়া বা ঝাঁপ ব্যবহার করে । তবে যেসব গ্রামেবাজারবাহাটআছে, ব্যবসায়ীআছে, সেসবগ্রামেকিছুকিছুপাকাদালানআছে।কাঁচাবাসারসংখ্যানগণ্য-প্রায় সবাই পাকা দালানে বসবাস করে । কিছু ছোট ছোট রাস্তা আছে যা পাকা তবে কংক্রীট বা পিচ ঢালা নয়। খাদ্য[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নের মানুষের প্রধান খাদ্য- ভাত, রুটি, ডাল, শাক-সবজি, মুড়ি, চিড়া ইত্যাদি । গ্রামে পান্তা ও কড়কড়া ভাতের বহুল প্রচালন আছে । এমনকি অবস্থা সম্পন্ন ঘরে ও সকালে বাসী তরকারীর সঙ্গে পান্তা খাওয়া হয় । খাদ্যের প্রশ্নে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নাই, একমাত্র গরুর গোশত ব্যতীত, যা হিন্দুরা খায়না । তবে যে হিন্দুরা এক কালে পেয়াজ, রসুন, মুরগী, ডিম, গরু প্রভৃতির নাম শুনলে নাক সিটকে দুরে সরে যেত, বর্তমান কালে তারা সেসব খাদ্যের বড় সমঝদার হয়ে পড়েছে । গ্রামের সঙ্গতি সম্পন্ন পরিবারে নানা ধরনের পিঠা যেমন- সরাপিঠা, পাটীসাপ্টা, ছিটাপিঠা, রুটিপিঠা, পরটা, তেলপিঠা, কুস্লীপিঠা, তালপিঠা, তালবড়া, সেমাই, পায়েস, হালুয়া, দুধেরক্ষীর, ভাপাপিঠা (ধুকীপিঠা) প্রভৃতি প্রস্তত হয়ে থাকে । খেলাধুলা[সম্পাদনা]লাঠি খেলা মোহনপুর ইউনিয়নের একটি প্রসিদ্ধ খেলা । মোহনপুর ইউনিয়নের লাঠিয়ালগণের বিশেষ সুনাম আছে । গারসি ও মহরম সময়ে সর্বত্রই লাঠি খেলার প্রচলন আছে । ৩০আশ্বিন মোহনপুর ইউনিয়নের ‘গারসি’ বলে পরিচিত । এইদিনে সাধারণ হিন্দু মুসলমানগণের অনেকেই কুস্তি ও মল্ল ক্রীড়াদি প্রদর্শন করে থাকে । পলো নিয়ে মাছ মারা এই মোহনপুর ইউনিয়নের লোকের একটি প্রাচীন আমোদ । মহিষের সিঙা বাজিয়ে লাঠি ও পলো কাঁধে নিয়ে শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে বিল জলাশয়ে মাছ ধরে । এরা ‘‘বাহুত’’ নামে পরিচিত। নৌকা চালনে মোহনপুর ইউনিয়নের লোক বিশেষ অভ্যস্ত । দুর্গোৎসবে দহকুলা গ্রামের নৌকা বাইচ প্রথা ও পানসি নৌকার সাজ এবং সারি গানের আমোদ বহুদিন হতে প্রচলিত । এদেশের বালকদের মধ্যে শীতকালে ঘুড়ি বা ঘুন্নি উড়ানোর প্রথা প্রচলিত আছে । এটি একটি প্রধান ক্রীড়া বা আমোদ বলে গণ্য । হাডুডু বা হৈলডুবি অনেক অঞ্চলে প্রচলিত । ডান্ডাগুলি, কঢ়িখেলা, লাটিম কাচ্চা প্রভৃতি বালকদের মধ্যে, তাস আবাল বৃদ্ধ বণিতা এবং পাশা, দাবা যুবক ও বৃদ্ধগণের মধ্যে দেখা যায় । কোথাও কোথাও তুরমি খেলা প্রচলিত আছে । সাতবিলা গ্রামে পৌষ পার্বণে চিঠি খেলার বিশেষ প্রচলন আছে ।বর্তমানে স্কুল ও কলেজে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, টেনিস ইত্যাদি খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আঞ্চলিক গান[সম্পাদনা]মোহনপুর ইউনিয়নের গানে সমৃদ্ধ । এখানের মাঠে ঘাটে গ্রামান্তরে অজস্ত্র লোক সংগীত শ্রুত হয় । এগুলোর মধ্যে বর্ষার গান উল্লেখ যোগ্য । যে গানে ভালবাসায় সিক্ত গ্রামের একজন বধুর অনুভূতি বর্ণনা করা হয়েছে। {মোহনপুর ইউনিয়নের আরো যে সমস্ত গান প্রচলিত আছে সেগুলোর মধ্যে ঘুমপারানী গান, বিয়েরগান, ঘুম ভাঙ্গানো গান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য}। খাল ও নদী[সম্পাদনা]বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ । সেই দিক হতে মোহনপুর ইউনিয়ন নদীনালা, খালবিল ও বিভিন্ন জলাশয়ে ভরপুর। বাংলাদেশের অন্যতম বিল চলন বিল মোহনপুর ইউনিয়নের কোল ঘেঁসে বয়ে চলেছে । অত্র ইউনিয়নে দুটি নদী ও অসংখ্য খালবিল আছে। নদী দুটির মধ্যের (১) গোহালা নদী (২) কোমলা বানিয়াধান । নদীগুলোতে সারা বছর পানি থাকে এবং নৌকা চলাচল করে । আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী তাই আমাদের ইউনিয়নের নদী ও খালবিলগুলোতে বছরের সকল সময়ে মাছ পাওয়া যায় । চৈত্র-বৈশাখ মাসে নদীতে পানি থাকলেও খালবিলগুলোতে তেমন পানি থাকেনা, অনেকগুলো খালবিল শুকিয়ে যায় । কিন্তু আষাঢ় মাসে যখন বৃষ্টি হয় তখন থেকেই নদীনালা- খালবিল পানিতে ভরে যায় । এরপর বর্ষার পানিতে সকল নদীনালা-খালবিল পানিতে তলিয়ে যায়। বর্ষাকালে মোহনপুর ইউনিয়ন পানিতে থৈ-থৈ করে । এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয় । বনভোজন পিয়াসু লোকজন নৌকা নিয়ে মোহনপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বনভোন করতে যায় । জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্ভর করে । মোহনপুর ইউনিয়নের রেলস্টেশন বাজার হতে প্রত্যেহ মাছগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গার (স্থানের) মাছের চাহিদা মেটায় । এরপর যখন বর্ষার পানি সরে যেতে থাকে তখনও নদীতে পানি থাকে, খালবিলগুলো ক্রমান্বয়ে পানি শূন্যতা করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । খালবিলগুলোতে ইরিধানের মৌসুমে ধান চাষ করা হয় । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]মসজিদ[সম্পাদনা]
মন্দির[সম্পাদনা]
কবরস্থান[সম্পাদনা]
মাদ্রাসা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
|