ফরিদপুর জিলা স্কুল
ফরিদপুর জিলা স্কুল | |
---|---|
ঠিকানা | |
মুজিব সড়ক | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারী বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | "একতা, ঈমান, শৃঙ্খলা" |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৪০ |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
ইআইআইএন | ১০৮৭৩২ |
অধ্যক্ষ | প্রীতিলতা সরকার (ভারপ্রাপ্ত) [১] |
শ্রেণি | চতুর্থ - দশম |
লিঙ্গ | বালক বিদ্যালয় |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৫০০ |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল |
ডাকনাম | FZS |
বিশেষ প্রকল্প | ব্রিটিশ কাউন্সিল এর অধীনে ক্লাস পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। |
ওয়েবসাইট | www |
ফরিদপুর জিলা স্কুল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৪০ সালে তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এডগার এফ লুথার ইংলিশ সেমিনারি স্কুল নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ সরকার এ বিদ্যালয়টির ব্যয়ভার ও পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ও তখন থেকে নাম হয় "ফরিদপুর জিলা স্কুল"। বর্তমানে ফরিদপুর জিলা স্কুলে প্রভাতী ও দিবা দুটি শাখায় চতুর্থ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৪০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এডগার এফ লুথার ইংলিশ সেমিনারি স্কুল নামে ফরিদপুরে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৮৫১ সালে এটির জাতীয়করণ হয় ও ব্রিটিশ সরকার বিদ্যালয় পরিচালনার খরচ ও দায়িত্বগ্রহণ করে। সেসময় বিদ্যালয়ের নতুন নাম ফরিদপুর জিলা স্কুল রাখা হয়। এস ফ্রানকয়েস লেফেবরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বহু গুনী ব্যক্তিত্ব এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]ফরিদপুরের শহরের মুজিব সড়কের পাশে ১১ একর জমির উপর বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে একটি তিনতলা প্রশাসনিক ভবনসহ মোট ৮টি পৃথক ভবন রয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোর মধ্যে আছে ১টি ছাত্রাবাস, ১টি ব্যায়মাগার, ১টি মসজিদ, ৩টি খেলার মাঠ, ১টি বাস্কেট বল চত্বর ও ২টি পুকুর।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]১৯৯০ সাল থেকে ফরিদপুর জিলা স্কুলে প্রভাতী ও দিবা দুইটি শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ১৫০০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫০ জন। এ ছাড়া অফিস সহকারী, এমএলএস ও নৈশ প্রহরী মিলে ১০ জন প্রশাসনিক কর্মচারীর রয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আছে গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ও ল্যাবরেটরি। স্কুল গ্রন্থাগারে গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার এবং কম্পিউটারের সংখ্যা ১০টি।
শিক্ষার্থীদের পোশাক
[সম্পাদনা]স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক হল আকাশী বা নীল শার্ট, নেভি ব্লু প্যান্ট ও সাদা জুতো। শার্ট ফুল হাতা গ্রহণযোগ্য। শার্টের পকেটের উপর স্কুলের লোগো থাকা এবং গলায় ঝুলানো ফিতাযুক্ত আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া শীতকালে নীল রঙের সোয়েটারও ইউনিফরমের অন্তর্ভুক্ত।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]জিলা স্কুলের সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেঃ
- বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
- ফরিদপুর জিলা স্কুল ডিবেটিং ক্লাব(FZSDC)
- ফরিদপুর জিলা স্কুল ক্রিকেট দল
- বাংলাদেশ স্কাউটস
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)
- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]যে সব খ্যাতিনামা ব্যক্তিরা এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনঃ
- জসীমউদ্দীন - কবি;
- আ.ন.ম বজলুর রশীদ - কবি;
- এল.কে সিদ্দিকী - প্রাক্তন মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ;
- এটিএম সামছুল হুদা - প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
- অধ্যাপক ডা: দীন মুহাম্মদ - প্রখ্যাত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ; অধ্যক্ষ (সাবেক), ঢাকা মেডিকেল কলেজ; পরিচালক জাতীয় স্নায়ুরোগ ইন্সটিটিউট।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ফরিদপুর জিলা স্কুল"। faridpurzillaschool.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |