ব্রিটিশ কাউন্সিল
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৩৪ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | যুক্তরাজ্য সরকার |
ধরন | শিক্ষা, সংস্কৃতি |
এলাকাগত সেবা | বিশ্বব্যাপী |
মূল ব্যক্তিত্ব | ভেরন এলিস, চেয়ারম্যান; মার্টিন ডেভিডসন, প্রধান নির্বাহী |
আয় | £৯৮২ মিলিয়ন (২০০৬-০৭) |
ওয়েবসাইট | ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট |
ব্রিটিশ কাউন্সিল (ইংরেজি: British Council) হচ্ছে যুক্তরাজ্য বা বৃটেনের বিশেষায়িত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমভিত্তিক সংস্থা, যা বৃটেনসহ বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে থাকে। এটি রাজকীয় সনদসহ ইংল্যান্ড, ওয়েলস্ এবং স্কটল্যান্ডের নিবন্ধনকৃত দাতব্য সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৩৪ সালে স্যার রেজিনাল্ড লিপার কর্তৃক উজ্জ্বীবিত হয়ে অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে নিয়োজিত ব্রিটিশ কমিটি ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা, সাংস্কৃতিক প্রচারণা ইত্যাদি বিষয়গুলো ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে বলে লিপারের ধারণা ছিল। প্রতিষ্ঠানটি রাজা ষষ্ঠ জর্জের ১৯৪০ সালের রাজকীয় সনদের মাধ্যমে মর্যাদা পায়। এটির পৃষ্ঠপোষক দপ্তর যু্ক্তরাজ্য সরকারের বৈশ্বিক ও কমনওয়েলথ অফিস - উভয়ের মাধ্যমে সংযোগ ঘটিয়ে উত্তরোত্তর স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের বর্তমান প্রধান নির্বাহী হিসেবে মার্টিন ডেভিডসন এপ্রিল, ২০০৭ থেকে কর্মরত আছেন।
সূচনা
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে - মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার সেতুবন্ধন তৈরী করার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত করা। এটির বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীর শতাধিক দেশ ও উপনিবেশগুলোর ২৩৩টি স্থানে পরিচালিত হচ্ছে। সেন্ট্রাল লন্ডনের হুয়াইট হলের কাছাকাছি স্প্রিং গার্ডেনে এর প্রধান দপ্তর অবস্থিত। এছাড়াও, ব্রিটিশ কাউন্সিলের অন্যান্য শাখা অফিসগুলো বেলফাস্ট, কার্ডিফ, ম্যানচেষ্টার এবং এডিনবার্গে রয়েছে।[১] ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৫৫১ মিলিয়ন পাউণ্ড আয় করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। তন্মধ্যে ১৯৫ মিলিয়ন পাউণ্ড স্টার্লিং ব্রিটিশ সরকার প্রদান করে। বাকী অর্থ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ইংরেজি শিক্ষা প্রদান, পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরামর্শদাতা হিসেবে উপার্জিত হয়। মূলতঃ ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রমের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে - শিক্ষা, শিল্পকলা, বিজ্ঞান এবং সমাজব্যবস্থা। ব্রিটিশ কাউন্সিল শান্তিরক্ষায় ইংরেজি শীর্ষক প্রকল্প লিবিয়ায় চালু রেখেছে। এতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ যোগান দিচ্ছে যা ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত অন্যান্য ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতের মতোই চলমান।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯২০ সালের শেষ দিকে বিদেশ এবং কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গঠন নিয়ে আলোচনা ও তৎপর়তা চলে। এর আগেই ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালীর রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক সংস্থার কার্যালয় বিদেশে প্রতিষ্ঠা করে।[৩]
ব্যয়ের কালিমা
[সম্পাদনা]মার্ক ল্যাঙ্কাস্টার, মাইকেল মার্টিন এবং অন্যান্য এমপি'রা ব্রিটিশ কাউন্সিলের শাখা ভ্রমণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে জড়িত হয়ে পড়েন। ২০০৮ সালে মার্ক ল্যাঙ্কাস্টার বিমানের বিজনেস ক্লাসে চড়ে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত দু'দিনের ব্রিটিশ কাউন্সিল সম্মেলনে যোগ দেন এবং ব্যয় করেন ₤৫,০১৮ যেখানে লেবার এমপি শ্যালি কিবল ইকোনমি ক্লাসে গমন এবং বিজনেস ক্লাসে প্রত্যাবর্তনে ব্যয় করেন ₤২,৪৫২।[৪] জুন, ২০১০ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী মার্টিন ডেভিডসন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন।[৫]
কার্যক্রমসমূহ
[সম্পাদনা]শিক্ষা
[সম্পাদনা]৫৩টি দেশের ৭০টি ব্রিটিশ কাউন্সিল টিচিং সেন্টার রয়েছে। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে ১১ লক্ষ ৮৯ হাজার ঘণ্টা শিক্ষা প্রদান করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল দাবী করছে যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান।[৬] এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি যৌথভাবে আইইএলটিএস কার্যক্রম ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসওএল এবং আইডিপি এডুকেশন অস্ট্রেলিয়ার সাথে বৈশ্বিকভাবে পরিচালনা করে। ইংল্যান্ডের বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিল তিন মিলিয়ন শিশুকে অন্যান্য সংস্কৃতির সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও যথাযথ উপলদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক স্কুল এ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণে একযোগে কাজ করছে। এখন যুক্তরাজ্যের প্রায় ২,৭০০ বিদ্যালয়ে এই সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি বিদ্যালয়ে শিশুদের নিয়ে যুক্তরাজ্যবিরোধী মনোভাব দূরীকরণ এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পরিচালনা করছে। অদ্যাবধি মধ্যপ্রাচ্যের ১৫৩টি বিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করে ৫৩টি সহযোগিতামূলক প্রকল্পও চালু রেখেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড
[সম্পাদনা]যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রশাসন আইএইএসটিই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী ৮০টি দেশে পরিচালিত হয় এবং ইন্টার্ণীশিপে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।[৭] এতে মূলতঃ উচ্চাভিলাসী স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়ণের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, স্থাপত্যকলা অথবা ফার্মেসী বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। এছাড়াও, উক্ত কার্যক্রমে অতি মেধাবী বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে চাকরি গ্রহণের জন্যেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর ফলে যুক্তরাজ্যের অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে দক্ষ কর্মীর অভাবহেতু বিশেষতঃ ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে নিয়োগ দিয়ে প্রধান উৎসস্থল হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রধান ভূমিকা পালন করে।[৮]
ক্রীড়া উৎসবের মাধ্যমে নেতৃত্ব ও দল গঠন
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ৪০ দেশে ড্রিমস + টিমস্ শিরোনামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যাতে কিশোর-তরুণেরা জড়িত হয়ে নতুন নেতৃত্ব এবং দল গঠনে সক্ষমতা ও দক্ষতা দেখাতে পারে। এ কার্যক্রমের আওতায় ৫,৫০০ কিশোর নেতৃত্ব এবং প্রায় তিন লক্ষ তরুণ তাদের বিদ্যালয় ও সম্প্রদায়ে জড়িত হয়েছে। বিশ্ব নাগরিকত্ব লাভের লক্ষ্যে ক্রীড়া উৎসবকে ঘিরে ব্রিটিশ কাউন্সিল তাদের কর্মতৎপরতা ও কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করছে।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ইংরেজি
[সম্পাদনা]আফ্রিকা মহাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে পিসকিপিং ইংলিশ শিরোনামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক উপকরণ হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংরেজি ভাষা শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি বিদেশ এবং কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোর কার্যালয় ও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সামরিক কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা নিরূপণে কাজ করছে যা পিসকিপিং ইংলিশ প্রজেক্ট বা পিইপি নামে পরিচিত। এ পর্যন্ত পিইপি'র মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামরিক ও পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত প্রায় পঞ্চাশ হাজার ব্যক্তিদেরকে শিক্ষা দিয়েছে। তন্মধ্যে এ কার্যক্রম লিবিয়া, ইথিওপিয়া এবং জর্জিয়ায়ও চালু রয়েছে।[৯] পিসকিপিং ইংলিশ প্রজেক্ট বা পিইপি ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং যুক্তরাজ্য সরকারের বৈশ্বিক সাংঘর্ষিক প্রতিরোধ তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
অন-লাইন কার্যক্রম
[সম্পাদনা]২০০৭ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চীন শাখা হংকং এবং চীন়ের অধিবাসীদের জন্য ইংরেজি শিক্ষায় আগ্রহী ও শিক্ষকদেরকে ঘিরে একটি নতুন ওয়েবসাইট হিসেবে উদ্বোধন করে। ইতোমধ্যেই ত্রিশ হাজার সদস্য এর অধিভূক্ত হয়েছে। অন-লাইনে ইংরেজির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্র হিসেবে পডকাস্টের মাধ্যমে ইংরেজি শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।[১০]
অন্যান্য কর্মকাণ্ড
[সম্পাদনা]ক্যাফে সায়েন্টিফিক
[সম্পাদনা]যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ক্যাফে সাইন্টিফিকস্ কার্যক্রম পরিচালনা করছে যা অলিখিত ঘটনাগুলোকে বিজ্ঞানের সহযোগিতায় জনগণের মাঝে সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার মাধ্যমে মতবিনিময় করছে। ক্যাফে, বার, বইয়ের দোকানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানী কিংবা বিজ্ঞান লেখকদের সাথে সংক্ষিপ্ত কথাবার্তার মাধ্যমেই এ ক্ষেত্র বিরাজমান। এছাড়াও, ভারত এবং মালয়েশিয়া থেকেও সামাজিক, নৈতিক ঘটনা থেকে শুরু করে ডারউইনের মতবাদ, ডিএনএ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোকপাত করছে।
জিরো কার্বন সিটি
[সম্পাদনা]বিশ্বের প্রধান প্রধান নগরগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তন এবং শক্তিজনিত ঘাটতি মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচারণা হিসেবে জিরো কার্বন সিটি শিরোনামের প্রকল্পে ব্রিটিশ কাউন্সিল অংশ নিয়েছে। জি-৮ সম্মেলন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারণামা বাস্তবায়নে বৈশ্বিক সমস্যাসমূহ মোকাবেলার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এ কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সফর প্রতিযোগিতা, অন-লাইনে বৈশ্বিক বিতর্ক এবং একাধিক সেমিনার ও কনফারেন্স অন্যতম। ইতিমধ্যে ৬২টি দেশের ২৫ লক্ষাধিক লোক সরাসরি এ প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।[১১]
২০০৬ সালে পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণ সংক্রান্ত অধিদপ্তরের যুব প্রচারণা সফলভাবে সমাপণের পর ব্রিটিশ কাউন্সিল ১৩ দেশের প্রত্যেকটি থেকে ৩জন করে যুব চ্যাম্পিয়নদেরকে সম্পৃক্ত করে। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যেই হচ্ছে যুব সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব এবং নিজেদের সম্প্রদায়ে এর সমাধানের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বিজয়ীরা লন্ডন নগর পরিদর্শন করেন মে, ২০০৮ সালে। সেখানে তারা উদ্দীপনামূলক সমস্যা মোকাবেলার অংশ হিসেবে জি-৮ভূক্ত দেশসমূহের পরিবেশ মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করে। যুবরা বিশ্বব্যাপী প্রধান সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। বিজয়ীরা জাপানের কোবে শহরের কোবে সমস্যা উপস্থাপন করে এবং পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প হিসেবে নিজেদের দেশে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় ও এ সংক্রান্ত তথ্যাবলী প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
আফগানিস্তানে শেক্সপিয়ারের নাটক
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় শেক্সপিয়ারের নাটক লাভ'স্ লেবার'স্ লস্ট ২০০৫ সালে আফগানিস্তানে ১৭ বছরের মধ্যে ১মবারের মতো মঞ্চস্থ হয়। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় দারী ভাষায় নাটকটি মঞ্চস্থ হলেও অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক প্রকাশভঙ্গীমা শেক্সপিয়ারের নাটকে প্রকাশ পায়।
উদীয়মান যুব উদ্যোক্তা পুরস্কার
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক উদীয়মান যুব উদ্যোক্তা পুরস্কার
[সম্পাদনা]উদীয়মান শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্রিটিশ অভিজ্ঞতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল সৃষ্টিশীল যুব উদ্যোক্তাদের জন্য বছরের সেরা - আন্তর্জাতিক যুব প্রকাশক, যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুব প্রকাশক উদ্যোক্তা এবং আন্তর্জাতিক যুব সঙ্গীত উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান করে থাকে।[১২] এ পুরস্কারকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হচ্ছে অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে - আন্তর্জাতিকভাবে সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা এবং অপরটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক - সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা'র পুরস্কার।[১৩]
উদীয়মান যুব উদ্যোক্তা কার্যক্রম প্রসঙ্গে
[সম্পাদনা]উদীয়মান যুব উদ্যোক্তা কার্যক্রমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সৃষ্টিশীল শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যুব উদ্যোক্তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। সৃষ্টিশীল অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে তারা সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তার কেন্দ্রস্থল চিহ্নিত করে, সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলে। যুব সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছর - তাদেরকে দক্ষতা, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ, জীবিকার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমন্ত্রণ এবং সম্পৃক্ততার সুযোগসহ নতুন প্রকল্পে উদ্বুদ্ধ করা হয়।[১৪] এটি যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা হিসেবে সৃষ্টিশীল খাত, নতুন খাত এবং মিশ্র খাতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে সৃষ্টিশীল অর্থনীতিতে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতে, এ কার্যক্রমটি তৈরী করার ক্ষেত্রে মৌলিক উপাদান হিসেবে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা গড়ে তুলছে যারা এ ধরনের সংযোগক্ষেত্র পরিচালনা করবে।
প্রতি বছরই ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে উদীয়মান ও বিকাশমান শিল্পকারখানাগুলো পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যায়। এর ফলাফল হিসেবে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত্ব নেটওয়ার্কের আওতাধীন সৃষ্টিশীল যুব উদ্যোক্তরা সম্পর্ক, মানোন্নয়ন ও সম্যক বাস্তব শিক্ষা গ্রহণ করে অগ্রসর হয়।
নয়টি বিষয়শ্রেণীতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যথা : ভিজ্যুয়াল আর্টস, ডিজাইন, ফ্যাশন, পারফরমিং আর্টস, পাবলিশিং, স্ক্রিন, মিউজিক, ইন্টারএকটিভ এবং কমিউনিকেশনস্।
উদীয়মান যুব উদ্যোক্তা সংঘ বা ওয়াইসিই ক্লাব
[সম্পাদনা]ওয়াইসিই পুরস্কার প্রদানের ধারণাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং যুক্তরাজ্যে ক্রম অগ্রসরমান। এ পর্যন্ত পঞ্চাশেরও অধিক দেশের ১৫০জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়াইসিই ক্লাব এপ্রিল, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রকাশনায় সৃষ্টিশীল এবং সাংস্কৃতিক দক্ষতা এবং কাউন্টারপয়েন্ট খ্যাত থিংক ট্যাংক ২০০৭-২০১০ সালের অর্থনৈতিক সমস্যার ফলে সৃষ্ট সৃষ্টিশীল খাতগুলোর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে। ইনজিনিয়াস মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ম্যাককেনা'র সমাপণী ভাষণের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়। নতুন ক্লাব অনেক দেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই পোল্যান্ড এবং তুরস্কে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৃষ্টিশীল খাতের চাহিদা ও চাপের মুখোমুখি হয়ে স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সৃষ্টিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নতদেশে উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল দেশে মাইক্রো-বিজনেস ও এসএমই হিসেবে চিহ্নিত।
উদীয়মান উদ্যোক্তার সংজ্ঞা
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তার সংজ্ঞা নিম্নরূপভাবে দিয়েছে -
- সৃষ্টিশীল খাতে কর্মরত ব্যক্তি যিনি ব্যবসায়ের সাফল্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা হিসেবে লাভ, বাজারের অংশ দখল, কর্মীসহ গুণগতমান এবং রূচির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে আশাবাদী হন।
- সৃষ্টিশীল খাতে যিনি সামাজিক কিংবা অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠানে সফলতা লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।
- সৃষ্টিশীল খাতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি যদি প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে নেতৃত্বের মাধ্যমে তার দক্ষতা দেখাতে পারেন।
- প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা, উৎসবাদিতে যিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নতিসহ সৃষ্টিশীল খাতে কর্মরত থেকে বাজার দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ্যাওয়ার্ড কার্যক্রমে সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব বিকাশে উদ্যোক্তাকে নিম্নলিখিত গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে -
- ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা
- সৃষ্টিশীল খাতে উৎসাহী
- সম্মিলিত দক্ষতা
- আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা উল্লেখযোগ্য।
প্যালেস্টাইন সাহিত্য উৎসব
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিল ২০০৮ সাল থেকে সাহিত্য উৎসবে মূল অংশীদার হিসেবে যোগ দিয়েছে। ২০০৯ সালে ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ উৎসবের শেষ দিকে জোরপূর্বক আয়োজনের স্থান বন্ধ করে দেয় কিন্তু ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ স্মরণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আয়োজন স্থল অন্যত্র স্থানান্তর করে।[১৫]
প্রধানমন্ত্রীর বৈশ্বিক ফেলোশীপ
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ চলমান কার্যক্রমগুলোর যাবতীয় দায়-দায়িত্বের ভাগীদার যদিও এ কার্যক্রমগুলোর ব্যয়ভার যুক্তরাজ্যের শিশু, বিদ্যালয় এবং পরিবার অধিদপ্তর বহন করে। প্রতিবছরই ১০০জন ফেলো এ কার্যক্রমকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে সমন্বয়কের ভূমিকা নেয় এবং তাদের ফেরা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকে।
রাশিয়ায় পরিচালনাগত সমস্যা
[সম্পাদনা]সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ কাউন্সিল রাশিয়ায় তাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্য-রাশিয়ার মধ্যেকার চাপা উত্তেজনার দরুন বাঁধার মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৯৪ সালে উভয় দেশের সরকার কর্তৃক শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার রাশিয়ায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের অনুকরণে নতুন শিক্ষা কেন্দ্রের চুক্তির কথা লক্ষ্য করে ও প্রতিবাদ জানায়।[১৬] বর্তমানে ব্রিটিশ কাউন্সিল রাশিয়ায় নিবন্ধনকৃত সংস্থা হিসেবে উপার্জনমুখী কার্যক্রমসমূহ থেকে প্রাপ্ত ফি'র অংশবিশেষ কর হিসেবে প্রদান করে। এছাড়াও, ই-মেইলের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ রাশিয়াকে জানায় যে - তারা রাশিয়ায় নিবন্ধিত করপ্রদানকারী সংস্থা ও নিয়মিত করাদী পরিশোধ করে আসছে এবং রাশিয়ার কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য করাদীও পরিশোধ করছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার আদালত ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছ থেকে দাবীকৃত ২.৩ মিলিয়ন পাউণ্ডের কর সংক্রান্ত মামলা পুণর্বহাল রাখে যদিও নিম্ন আদালতে যুক্তরাজ্যের কূটনীতিবিদদের আশা ছিল খুব দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান হবে।[১৭]
চীনে ব্রিটিশ কাউন্সিল
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ ১৯৪৮ সালে হংকংয়ে তাদের কার্যক্রম চালু করে। ইংরেজি শিক্ষা; যুক্তরাজ্য সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য; ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ; হংকং সরকারের সাথে দেশ পুণর্গঠন; বিজ্ঞান, কলা, সাহিত্য এবং ডিজাইন তুলে ধরা ছিল কাউন্সিলের প্রধান কর্মকাণ্ড।[১৮]
সমালোচনা
[সম্পাদনা]মার্চ, ২০০৭ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে - প্রতিষ্ঠানের মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার শাখাগুলোয় উত্তোরোত্তর বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, প্রাতিষ্ঠানিক সেবা হিসেবে ইউরোপ থেকে লাইব্রেরী এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। জুন, ২০০৭ সালে ১৯৪৬ সালে তেলআবিব এবং জেরুজালেমেও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। এথেন্সে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরীসহ বেলগ্রেডেও কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়েছে। একইভাবে ভারতের ভূপাল ও ত্রিভান্দ্রুমেও একই বছরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রম বন্ধের মুখোমুখি হয়।[১৯][২০][২১]
প্রধানগণ
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালনায় নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ক্রমিক নং | নাম | সময়কাল |
(১) | লর্ড টায়রেল | ১৯৩৪ - ১৯৩৭ |
---|---|---|
(২) | লর্ড লয়েড | ১৯৩৭ - ১৯৪১ |
(৩) | স্যার ম্যালকম রবার্টসন | ১৯৪১ - ১৯৪৫ |
(৪) | স্যার রোনাল্ড অ্যাডাম | ১৯৪৬ - ১৯৫৫ |
(৫) | স্যার ডেভিড কেলী | ১৯৫৫ - ১৯৫৯ |
(৬) | লর্ড ব্রিজেস | ১৯৫৯ - ১৯৬৭ |
(৭) | লর্ড ফুলটন | ১৯৬৮ - ১৯৭১ |
(৮) | স্যার লেসলি রোয়ান | ১৯৭১ - ১৯৭২ |
(৯) | লর্ড বলানট্রেয়ি | ১৯৭২ - ১৯৭৬ |
(১০) | স্যার চার্লস ট্রাউটন | ১৯৭৭ - ১৯৮৪ |
(১১) | স্যার ডেভিড অর | ১৯৮৫ - ১৯৯২ |
(১২) | স্যার মার্টিন জ্যাকম্ব | ১৯৯২ - ১৯৯৮ |
(১৩) | ব্যারোনেস কেনেডী অব দ্য সজ্ | ১৯৯৮ - ২০০৪ |
(১৪) | লর্ড কিনক[২২] | ২০০৪ - ২০০৯ |
(১৫) | স্যার ভেরন এলিস | ২০১০ থেকে বর্তমান |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- ↑ "লিবিয়ায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ইংরেজি শিক্ষা প্রকল্প"। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ ব্রিটিশ কাউন্সিলের গঠন সংক্রান্ত আলোচনা
- ↑ "ডেইলী টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন"। ১২ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ দিসইজলন্ডন ওয়েবসাইটে মার্টিন ডেভিডসন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বিশ্বের বৃহত্তম ইংরেজি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান"। ৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ আইএইএসটিই'র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- ↑ "আইএইএসটিই.অর্গ"। ২৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "লিবিয়া, ইথিওপিয়া এবং জর্জিয়ায় ইংরেজি শিক্ষা"। ২৭ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংলিশ অন-লাইন"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "জিরো কার্বন সিটি"। ২১ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "বিশ্বকে পৃথকভাবে তৈরী করা"। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "ক্রিয়েটিভ ইকোনোমি ডট অর্গ ডট ইউকে"। ১৭ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ ফেসবুক ডট কম
- ↑ ইউটিউব ডট কমে ব্রিটিশ কাউন্সিল
- ↑ বৈদেশিক সম্পর্কীয় কমিটির রিপোর্ট
- ↑ টেলিগ্রাফ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন
- ↑ ব্রিটিশ কাউন্সিল ওয়েবসাইটে হংকং বিষয়ক প্রতিবেদন
- ↑ "সার্বিয়ায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরি উদ্বোধন"। ২৭ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ এথেন্সে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি বন্ধের ঘোষণা
- ↑ "ভারতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঘোষণা"। ৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- আইএইএসটিই ইউকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- ব্রিটিশ কাউন্সিল : লার্ন ইংলিশ গেটওয়ে
- ব্রিটিশ কাউন্সিল : লার্ন ইংলিশ কিডস্
- ব্রিটিশ কাউন্সিল : আইইএলটিএস - দি ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম
- ব্রিটিশ কাউন্সিল : টিচিং ইংলিশ গেটওয়ে
- দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ইংলিশ ক্লাব