নিযামুল মুলক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৩৮, ৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

আবু আলী আল-হাসান আল তুসি নিযাম উল-মুলক (১০১৮-১০৯২), খাজা নিযামুল মুলক নামে অধিক পরিচিত (ফার্সি - خواجه نظام‌الملک طوسی - খাজা নিযামুল মুলক আল-তুসী) ছিলেন পারস্যের পন্ডিত[১][২] এবং সেলজুক সাম্রাজ্যের উজির। অল্পকালের জন্য তিনি সেলজুক সাম্রাজ্যের শাসক হিসেবেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।

জীবনী

নিযামুল মুলক তুস নগরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমদিকে গজনভি সুলতানের অধীনে চাকরি করেন। ১০৫৯ সালে তিনি খোরাসানের প্রধান শাসক হন।

১০৬৩ সাল থেকে তিনি সেলজুকদের উজির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আল্প আরসালান (১০৬৩-১০৭২) ও প্রথম মালিক শাহের (১০৭২-১০৯২) রাজত্বকাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। সেলজুক সাম্রাজ্যের সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনি বেশ প্রভাব রেখে যান যার ফলে তিনি “নিযামুল মুলক” উপাধী লাভ করেন। এর অর্থ “রাজ্যের শৃঙ্খলা”। বিরোধীদের বিরুদ্ধে আব্বাসীয়সেলজুকদের মধ্যকার রাজনৈতিক দূরত্ব দূর করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই বিরোধীদের মধ্যে ফাতেমীয়বুইয়িরা ছিল।

উজিরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এগুলোর মধ্যে নিজামিয়া অন্যতম। এগুলো তার নামে নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্বসূরি ও আদর্শরূপে পরিণত হয়।

রাজত্বের উপর লিখিত তার সিয়াসাতনামা গ্রন্থটির জন্যও তিনি খ্যাত। দাস্তুর আল-উজারা নামক বইটিও তিনি লেখেন। এটি তিনি তার পুত্র আবুলফাতেহ ফখর-উল-মালেকের জন্য জন্য লেখেন। বইটি বিখ্যাত গ্রন্থ কাবুস নামার মতই।

৪৮৫ হিজরির ১০ রমজান (১৪ অক্টোবর ১০৯২ খ্রিষ্টাব্দ) ইসফাহান থেকে বাগদাদ যাওয়ার পথে আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হন। বিভিন্ন মৌলিক সূত্রমতে হাশাশিনরা তাকে হত্যা করে। ঘাতক দরবেশের ছদ্মবেশে তার দিকে অগ্রসর হয়।[৩]

তথ্যসূত্র

  1. Gustave E. Von Grunebaum, Katherine Watson, Classical Islam: A History, 600 A.D. to 1258 A.D., Translated by Katherine Watson Published by Aldine Transaction, 2005. page 155
  2. Holt, P. M. (১৯৭৭)। The Cambridge History of Islam Volume 1। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 150।  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  3. Waterson, James, The Ismaili Assassins. A history of medieval murder (Yorkshire, 2008) 79

বহিঃসংযোগ