ফরিদ উদ্দিন আত্তার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরিদ উদ্দিন আত্তার
আধ্যাত্মিক কবি
জন্মপ্রায় ১১৪৫ খ্রিস্টাব্দ
নিশাপুর
মৃত্যুপ্রায় ১২২০ খ্রিস্টাব্দ
নিশাপুর
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনইসলাম
যার দ্বারা প্রভাবিতFerdowsi, Sanai, Khwaja Abdullah Ansari, Hallaj, Abusa'id Abolkhayr, Bayazid Bastami
যাদের প্রভাবিত করেনRumi, Hafiz, Jami, Nava'i and many other later Sufi Poets
ঐতিহ্য বা ধরন
Mystic কবিতা
উল্লেখযোগ্য কর্মMemorial of the Saints
The Conference of the Birds

আবু হামিদ বিন আবু বাকর ইব্রাহিম (ইংরেজি: Abū Hamīd bin Abū Bakr Ibrāhīm) (১১৪৫-১১৪৬ - c. ১২২১; ফার্সি: ابو حمید ابن ابوبکر ابراهیم), তার কলম-নামে অধিক পরিচিত ফারিদ উদ-দিন (ইংরেজি: Farīd ud-Dīn) (فریدالدین) এবং আত্তার (عطار - "গন্ধদ্রব্যব্যবসায়ী") ছিল একজন ফার্সি মুসলিম কবি, সুফিবাদের সিদ্ধান্ত এবং যিনি সুফিবাদ এবং ফার্সি কবিতার উপর একটি স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করেছে।

জীবনী[সম্পাদনা]

ইরানের নিশাপুরে আত্তারের দরগা।

তিনি হিজরী ৫৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ওষুধ বিক্রেতা। পিতার মৃত্যুর পর তিনি ওষুধ বিক্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পেশাগত কারণেই তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন। কথিত আছে যে প্রতিদিন তার কাছে অন্তত ৫০০ জন রোগী আসতেন। রোগীদের তিনি তার নিজের তৈরি ওষুধ দিতেন। ফরিদ উদ্দিন আত্তার অন্তত ৩০ টি বই লিখে গেছেন। তার একটি বিখ্যাত বই হচ্ছে "মানতিকে তাইয়ার" বা "পাখির সমাবেশ"। আত্তারের কবিতা রুমিসহ বহু আধ্যাত্মিক কবির জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি কিছু আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে দীর্ঘ দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন। তিনি গবেষণার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করেন,তা কবিতার আকারে লিখে গেছেন। হিজরী ৮১১ সালে ইরানের এই বিখ্যাত কবি মোঙ্গলদের হামলার সময় মৃত্যুবরণ করেন। ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিশাপুর শহরে তার কবরস্থান রয়েছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ইতিহাসে প্রতিদিন"। ২০১৪-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]