ডোমিনিকা জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডোমিনিকা
ডাকনামলস পেরিকোস
অ্যাসোসিয়েশনডোমিনিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনকনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা)
প্রধান কোচরাজেশ লাচ্ছু
অধিনায়কগ্লেনসন প্রিন্স
সর্বাধিক ম্যাচগ্লেনসন প্রিন্স (৫৬)
শীর্ষ গোলদাতাজুলিয়ান ওয়েড (১৬)[১]
মাঠউইন্ডসর পার্ক
ফিফা কোডDMA
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৮০ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[২]
সর্বোচ্চ১২৮ (নভেম্বর ২০১০, ফেব্রুয়ারি ২০১১)
সর্বনিম্ন১৯৮ (জুলাই ২০০৯)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৮৯ হ্রাস ১ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৩]
সর্বোচ্চ৫৯ (জানুয়ারি ১৯৩৮)
সর্বনিম্ন১৯৮ (মার্চ ২০১৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 ডোমিনিকা ১–০ মার্তিনিক 
(ডোমিনিকা; ১৯৩২)[৪]
বৃহত্তম জয়
 ডোমিনিকা ১০–০ ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ 
(সান ক্রিস্তোবাল, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র; ১৫ অক্টোবর ২০১০)
বৃহত্তম পরাজয়
 মেক্সিকো ১০–০ ডোমিনিকা 
(স্যান অ্যান্টোনিও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ১৯ জুন ২০০৪)

ডোমিনিকা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Dominica national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ডোমিনিকার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ডোমিনিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডোমিনিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৯৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৫] ১৯৩২ সালে, ডোমিনিকা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ডোমিনিকায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ডোমিনিকা মার্তিনিককে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

১২,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট উইন্ডসর পার্কে লস পেরিকোস নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ডোমিনিকার রাজধানী রোজোয় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন রাজেশ লাচ্ছু এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ফারে পেতিত-ক্যানেলের গোলরক্ষক গ্লেনসন প্রিন্স

ডোমিনিকা এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপেও ডোমিনিকা এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।

গ্লেনসন প্রিন্স, চ্যাড বার্ট্রান্ড, ম্যালকম জোসেফ, জুলিয়ান ওয়েড এবং কার্লসন বেঞ্জামিনের মতো খেলোয়াড়গণ ডোমিনিকার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ডোমিনিকা তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১২৮তম) অর্জন করে এবং ২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৯৮তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ডোমিনিকার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৫৯তম (যা তারা ১৯৩৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৯৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৭৮ অপরিবর্তিত  বার্বাডোস ৯৪৩.৮
১৭৯ অপরিবর্তিত  কম্বোডিয়া ৯৩১.৪৭
১৮০ অপরিবর্তিত  ডোমিনিকা ৯২২.২৫
১৮১ অপরিবর্তিত  চাদ ৯২০.৩৭
১৮২ অপরিবর্তিত  বেলিজ ৯১৮.৬৮
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[৩]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৮৭ বৃদ্ধি  আরুবা ১০০২
১৮৭ হ্রাস  সোমালিল্যান্ড ১০০২
১৮৯ হ্রাস  ডোমিনিকা ১০০১
১৯০ হ্রাস  পশ্চিম সাহারা ৯৯৬
১৯১ হ্রাস  লিশটেনস্টাইন ৯৫৬

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮ উত্তীর্ণ হয়নি
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২
জার্মানি ২০০৬ ২০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০
ব্রাজিল ২০১৪ ১১
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ২০ ১৩ ১৫ ৫৪

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mamrud, Robert; Stokkermans, Karel। "Players with 100+ Caps and 30+ International Goals"। RSSSF। ২৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  2. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  3. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  4. Courtney, Barrie। "Dominica – List of International matches"। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১০ 
  5. "This Week in CONCACAF History: April 17–23"। CONCACAF.com (2011)। ২৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]