বিষয়বস্তুতে চলুন

জেমস মার্শাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেমস মার্শাল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জেমস অ্যান্ড্রু হ্যামিল্টন মার্শাল
জন্ম (1979-02-15) ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ (বয়স ৪৫)
ওয়ার্কওয়ার্থ, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কএইচজেএইচ মার্শাল (যমজ ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩০)
২৬ মার্চ ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৩ মে ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪০)
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১ জুলাই ২০০৮ বনাম আয়ারল্যান্ড
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪)
২১ অক্টোবর ২০০৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টি২০আই১৩ জুন ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৭/৯৮ - ২০১২/১৩নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস
২০০২ - ২০০৩বাকিংহ্যামশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ১৪৮ ১৫৮
রানের সংখ্যা ২১৮ ২৫০ ৭,৪২২ ৪,৯০২
ব্যাটিং গড় ১৯.৮১ ২৫.০০ ৩১.৮৫ ৩৫.৫২
১০০/৫০ ০/১ ১/১ ১৩/৩৬ ৭/৩৩
সর্বোচ্চ রান ৫২ ১৬১ ২৩৫ ১৬১
বল করেছে ৮৪৩ ৪৮৭
উইকেট
বোলিং গড় ৮১.১৬ ৭৩.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/২ ১/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ০/– ১২৫/– ৫৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

জেমস অ্যান্ড্রু হ্যামিল্টন মার্শাল (ইংরেজি: James Marshall; জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯) অকল্যান্ডের ওয়ার্কওয়ার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে থেকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও ইংরেজ ক্রিকেটে বাকিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জেমস মার্শাল। তার যমজ ভ্রাতা হামিশ মার্শাল নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেমস মার্শালের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী জেমস মার্শাল ব্যাটিং উদ্বোধন কিংবা মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারতেন। ২০০৪-০৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রাদেশিক দল নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের সদস্যরূপে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এ অবস্থানে থেকেই সর্বাধিক সফল হয়েছিলেন।

ব্যাটিং উদ্বোধনসহ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ২০০৪-০৫ মৌসুম পর্যন্ত নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এ অবস্থানে থেকে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। এছাড়াও, হক কাপে নর্থল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন।

স্বর্ণালী সময়

[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটেও বেশ কয়েক মৌসুম খেলেছেন। লিভারপুল ও জেলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় শুরুতে মার্সেসাইডভিত্তিক ফর্মবি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। এরপর, ২০০৪ সালে প্রতিবেশী নর্দার্নের সাথে যুক্ত হন। এ পর্যায়ে পরের বছর ২০০৫ সালে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নশীপে দলের সফলতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। ২০০৬-০৭ মৌসুমে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে দলের স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপে পঞ্চম শিরোপা লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার খেলেন। ৫১.৩৩ গড়ে ৬১৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি।

২০১৩ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এ পর্যায়ে তিনি একদিনের খেলায় নর্দার্ন নাইটসের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন। ৩৭৫৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি দলের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় সহস্রাধিক রান তুলেন। ১২৬টি প্লাঙ্কেট শীল্ডের খেলায় অংশ নেন। এরফলে, নিউজিল্যান্ডের যে-কোন প্রদেশের খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিকসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের রেকর্ড গড়েন।[][][][]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট, দশটি ওডিআই ও তিনটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন জেমস মার্শাল। ২৬ মার্চ, ২০০৫ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ মে, ২০০৮ তারিখে ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম খেলতে নামেন। এ পর্যায়ে তিনি অবশ্য মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন। সপ্তাহখানেক বাদেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ পর্যায়ে তিনি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। উভয় খেলাতেই তার যমজ ভ্রাতা হামিশ মার্শালকেও খেলতে দেখা যায়। তবে, রান খরায় ভুগতে থাকায় জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে আস্থা হারান তিনি। ২৬ মার্চ, ২০০৫ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মার্ক ও স্টিভ ওয়াহ’র পর দ্বিতীয় যমজ ভ্রাতা হিসেবে এক সঙ্গে খেলার গৌরব অর্জন করেন।[]

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেককালীন তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৮.৭০। হামিশ মার্শালের ন্যায় তাকেও গড়ের দিকে লক্ষ্য রেখে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও, জেমসকে আবারও ব্যাটিং উদ্বোধনে নামার সিদ্ধান্তটি নিউজিল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলীর অন্যতম কৌশল গ্রহণ ছিল।

শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি

[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে তাকে জাতীয় পর্যায়ের চুক্তিনামা থেকে বাদ দেয়া হয়। তাসত্ত্বেও, একই বছরের শেষদিকে কুইন্সটাউনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। নিউজিল্যান্ড দলের শীর্ষসারির ব্যাটিং সীমাবদ্ধতায় তাকে পুনরায় চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়।

২০০৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে দলের সাথে যান। এসেক্সের বিপক্ষে বেশ আকর্ষণীয় শতরানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, টেস্টে তিন নম্বর অবস্থানে থেকে ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের আশাবাদ করা হয়। কিন্তু, টেস্ট পর্যায়ে সুইং বলের বিপক্ষে তাকে বেশ নাস্তানুবাদ হতে হয়েছিল। এরফলে, ওডিআইগুলোয়ও তাকে খেলানো হয়নি।

তবে, ঐ গ্রীষ্মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরান করেন। ১ জুলাই, ২০০৮ তারিখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ রানে বিদেয় নেন। এ পর্যায়ে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও এ সংগ্রহটি ব্ল্যাক ক্যাপসদের ইতিহাসে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ ও সকল ওডিআইয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির মর্যাদা পায়। তিনি তার একমাত্র শতরানটি নিজস্ব সর্বশেষ খেলায় লাভ করেন। এরফলে, সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণকারী যে-কোন খেলোয়াড়ের দিক থেকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও, অবসরগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বশেষ ওডিআইয়ে দেড় শতাধিক রান সংগ্রাহক হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]