চান্দাই ইউনিয়ন
চান্দাই ইউনিয়ন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৭নং চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | নাটোর জেলা |
উপজেলা | বড়াইগ্রাম উপজেলা ![]() |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | শাহনাজ পারভীন (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১১৬.৫৫ বর্গকিমি (৪৫.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৫,৫৮৭ |
• জনঘনত্ব | ২২০/বর্গকিমি (৫৭০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৬৬২৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
চান্দাই ইউনিয়ন বাংলাদেশের নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন পরিষদ।[১][২] এটি ১১৬.৫৫ কিমি২ (৪৫.০০ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং ২০১১ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৫,৫৮৭ জন। ইউনিয়নটিতে মোট গ্রামের সংখ্যা ১৭টি ও মৌজার সংখ্যা ২১টি। ইউনিয়নটিতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোছাঃ শাহানাজ পারভীন। [৩]
গ্রাম সমুহ[সম্পাদনা]
চান্দাই ইউনিয়নে প্রায় ১৫ টি গ্রাম রয়েছে।
- বড় গাড়ফা (ওয়ার্ড নং ১)
- দিয়াড় গাড়ফা (ওয়ার্ড নং ২)
- ভান্ডারদহ (ওয়ার্ড নং ৩)
- কৃঞ্চপুর
- চান্দাই ইউনিয়ন (ওয়ার্ড নং ৭)
- দাসগ্রাম
- তেলো
- সাতইল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
চান্দাই ইউনিয়নে বেশ কিছু মানসম্মত স্কুল এবং কলেজ রয়েছে।
স্কুল সমুহঃ
- চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়
- দিয়াড় গাড়ফা খৈরাশ (ডি.কে) উচ্চ বিদ্যালয়
- ভান্ডারদহ উচ্চ বিদ্যালয়
সরকারি স্কুল সমুহঃ
- গাড়ফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- দিয়াড় গাড়ফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভান্ডারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- চান্দাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কৃঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সাতইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাদ্রাসা সমুহঃ
- গাড়ফা মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা
- দিয়াড় গাড়ফা জিন্নাহ মাদ্রাসা
- দাসগ্রাম আদর্শ ফাজিল মাদ্রাসা
কলেজ সমুহঃ
- দাসগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজ
- চান্দাই ডিগ্রি কলেজ
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
চান্দাই ইউনিয়নে দর্শনীয় স্থান তেমন নেই। তবে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে।
- ডিকে পার্ক/জিন্নাহ পার্ক (ডি.কে উচ্চ বিদ্যালয়)
- বড় গাড়ফা রাজারপুকুর
গাড়ফা গ্রামের সবচেয়ে পুরনো স্থানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এখানে অতীতে বিশাল বড় পুকুর ছিল আর সেটা প্রাচীন নায়েবের ছিল। যা আনুমানিক প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো। কথিত আছে এখানে নায়েবের স্ত্রীগণরা গোসল করতেন আবার নায়েব নিজেও আশেপাশের এলাকাগুলোতে নায়েবী চালিয়ে এখানে এসে বিশ্রাম নিতেন। এখনো অনেকে সেখানে নায়েবের স্ত্রীদের অলংকার খুজে পান। আবার শোনা যায় যারা খাজনা দিতেন না তাদেরকে এই পুকুরের পাশেই মাটির টিলা দর্গা ভিটিতে নিয়ে মৃত্যদন্ড দিতেন। যা এখন ভুতুরে যায়গা নামে পরিচিত। আশেপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় এখন পুকুর ছোট হয়ে যাচ্ছে। তবুও অবশিষ্ট আছে বড় বড় চারটি নায়েবের পুকুরে নামার সিঁড়ি। এই যায়গাটা নিয়ে অনেক ভুতুরে আবার জমিদারপ্রথার গল্প প্রচল আছে। যা এলাকার লোকমুখে প্রচলিত। এটা “রাজারপুকুর” নামেই পরিচিত।
- বড় গাড়ফা ব্রীজ
চিকনাই নদীর উপর অবস্থিত বড় গাড়ফা ব্রীজ। এই ব্রীজের উপর থেকে গ্রাম বাংলার আবহমান দৃশ্য সুন্দর ভাবে দেখা যায়। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন সাজে সজ্জিত হয় গাড়ফা গ্রাম। গ্রীষ্মের খরতাপে পুকুর, খাল নদীনালা শুকিয়ে যায়। দুর দুরন্ত পর্যন্ত শস্য শূন্য চাষের জমি। চারিদিকে শুষ্ক রুক্ষ ভাব। জনমানব শূন্য মাটির রাস্তা আর ঘুঘুর মন উদাস করা ডাক বাংলার গ্রামের এক পরিচিত চিত্র। বর্ষার আবির্ভাবে আকাশে ভেসে বেড়ায় সজল মেঘমালা। সবকিছু যেন এই ব্রীজ থেকে একেবারে অসাধারণভাবে দেখা যায়। জেলেপাড়ার ছোট ছোট ডিঙি নৌকা বর্ষার অথৈই জলের উপর ভেসে চলে আর জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য যেন অবিরাম মুগ্ধ করে চলে। বর্ষার সময় জেলেপাড়ার পুরো অংশটা একটা দ্বীপের মতো দেখায়। এক নতুন জীবনের আশ্বাসে সবুজ সাজে সেজে ওঠে এ গ্রামের প্রকৃতি। “অরুণ আলোর অঞ্জলি” নিয়ে হাজির হয় শরৎ। হেমন্তে শিশির আর হিমের পরশে মাঠের মঞ্জুরিত শস্যে ধরে সোনার রং। শীতের কুয়াশা ঢাকা সকাল আর উত্তুরে হিমেল হাওয়ায় জড়তার ভাব। “ফাগুনের আলোর সোনার কাঠিতে” বাংলার গ্রামের সকাল হয়। গাছের পাতা ঝরে, আবার নতুন পাতায় ফুলে ফলে ডাল গুলি নতুন ভাবে সেজে ওঠে। সবকিছুই যেন সুন্দর। প্রতিদিনই নতুন দর্শনার্থীদের আনাগোনা এই ব্রীজের উপর। তারা প্রকৃতি উপভোগ করেন সব ঋতুর। ব্রীজের দুই পাশের পুরোনো বটগাছ গুলো আরো সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "চান্দাই ইউনিয়ন"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৬।
- ↑ "Union Parishad List"। Local Government Engineering Department (LGED)। ৫ আগস্ট ২০১২। ৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৬।