গ্যারি বার্টলেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্যারি বার্টলেট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্যারি অ্যালেক্স বার্টলেট
জন্ম (1941-02-03) ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ (বয়স ৮৩)
ব্লেনহেইম, মার্লবোরা, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৮৮)
৮ ডিসেম্বর ১৯৬১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৭ মার্চ ১৯৬৮ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৬১
রানের সংখ্যা ২৬৩ ১,৫০৪
ব্যাটিং গড় ১৫.৪৭ ১৬.৭১
১০০/৫০ ০/০ ০/৪
সর্বোচ্চ রান ৪০ ৯৯*
বল করেছে ১,৭৬৮ ১০,১৫১
উইকেট ২৪ ১৫০
বোলিং গড় ৩৩.০০ ২৮.৩২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৩৮ ৬/৩৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/– ৩৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো/কম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

গ্যারি অ্যালেক্স বার্টলেট (ইংরেজি: Gary Bartlett; জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১) মার্লবোরার ব্লেনহেইম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন গ্যারি বার্টলেট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত গ্যারি বার্টলেটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যায়ে তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। পরের মৌসুমে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে টেস্টবিহীন সিরিজে নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে চার খেলার সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। উইজডেনের ভাষ্যমতে, ‘তিনি মৌসুমের সেরা আবিষ্কার ছিলেন।’[১] অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান ক্রেগ ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম খেলায় তার বল মোকাবেলার বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, তার বলটি কোথায় পড়বে তা জানতাম ও আমার পিছনে গ্লাভসে তা জমা হয়। আমার মতে বলটি খুবই দ্রুতগতিসম্পন্ন ছিল।[২]

১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেন। এখানে থাকাকালীন বার্নসাইড ওয়েস্ট ক্রাইস্টচার্চ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য হন। এরপর, ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসে ফিরে আসেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন তিনি। এছাড়াও, হক কাপে মার্লবোরার পক্ষে খেলেছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ১৬ বছর বয়সে প্রথম খেলায় ওয়াইকাতোর বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তিনি ৬/৩৭ ও ২/১১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। খেলার সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গ্যারি বার্টলেট। ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে ডারবানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ মার্চ, ১৯৬৮ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। সেখানেই তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের সবকটি টেস্টেই তার অংশগ্রহণ ছিল। মাত্র আট উইকেট লাভ করলেও আট কিংবা নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩.৮৮ গড়ে ২১৫ রান সংগ্রহের ন্যায় কার্যকরী রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান। এরপর থেকে কেবলমাত্র নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডে মাঝে-মধ্যে টেস্টে অংশ নিতেন।

বিতর্কিত ভূমিকা[সম্পাদনা]

১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলেন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৬/৬৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ঐ সময়ে যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় বোলারের এটিই সেরা বোলিং ছিল।[৪] দ্বিতীয় ইনিংসে তার এ বোলিংয়ের সুবাদ নিউজিল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়লাভে সমর্থ হয়।

দূর্ভাগ্যজনকভাবে তার এ সফলতা বোলিং ভঙ্গীমার বৈধতা সম্পর্কে প্রশ্নের কারণে ঢাকা পড়ে যায়।[৫][৬][৭][৮][৯] ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট চলাকালীন ভারতীয় বোলার সৈয়দ আবিদ আলী তার বোলিংয়ের বৈধতা বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করেন।[১০] পরের টেস্টে বার্টলেটকে খেলানো হয়নি। তবে, চতুর্থ টেস্টে তাকে আবারও দলে রাখা হলে ভারতীয় ব্যবস্থাপক গুলাম আহমেদ আপত্তি জানান। পতৌদির নবাবের মতে, সকল ভারতীয় খেলোয়াড় তার বোলিংকে সন্দেহজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে।[১১] এ ধরনের সন্দেহ ও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও গ্যারি বার্টলেটকে আর বল নিক্ষেপের দায়ে নো-বলের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়নি।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • Meteor over Marlborough: The Gary Bartlett Story by John Alexander (2014)[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wisden 1961, p. 847.
  2. Quoted in Gideon Haigh, The Summer Game, Text, Melbourne, 1997, p. 178.
  3. Waikato v Marlborough 1957-58
  4. Dick Brittenden, The Finest Years, A.H. & A.W. Reed, Wellington, 1977, p. 37.
  5. Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 376.
  6. Wisden 1969, p. 852.
  7. Peter Pollock, The Thirty Tests, Don Nelson, Cape Town, 1978, pp. 10, 65.
  8. Gideon Haigh, The Summer Game, Text, Melbourne, 1997, p. 178.
  9. Colin Bryden, All-Rounder: The Buster Farrer Story, Aloe Publishing, Kidd's Beach, 2013, pp. 54–55.
  10. "Turning the Tables"। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-২৬ 
  11. Nawab of Pataudi, Tiger's Tale, Hind, Delhi, 1969, p.120.
  12. Meteor Over Marlborough[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Retrieved 7 October 2014.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]