কলিন স্নেডেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কলিন স্নেডেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকলিন আলেকজান্ডার স্নেডেন
জন্ম(১৯১৮-০১-০৭)৭ জানুয়ারি ১৯১৮
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২৪ এপ্রিল ২০১১(2011-04-24) (বয়স ৯৩)
নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার, ধারাভাষ্যকার
সম্পর্কনেসি স্নেডেন (পিতা)
সিএ স্নেডেন (কাকা)
ওয়ারউইক স্নেডেন (ভ্রাতা)
মার্টিন স্নেডেন (ভ্রাতৃষ্পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৪৩)
২১ মার্চ ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা - ৪৪
ব্যাটিং গড় - ৮.৮০
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান - ১৪
বল করেছে ৯৬ ২০৪০
উইকেট - ৩১
বোলিং গড় - ২৫.৪১
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - ৬/৫৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ এপ্রিল, ২০২০

কলিন আলেকজান্ডার স্নেডেন (ইংরেজি: Colin Snedden; জন্ম: ৭ জানুয়ারি, ১৯১৮ - মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল, ২০১১) অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন কলিন স্নেডেন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩৮-৩৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুম পর্যন্ত কলিন স্নেডেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মিডিয়াম পেসের ভঙ্গীমায় অফ ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। প্রায়শঃই নতুন বল নিয়ে আক্রমণ করতেন। ০/৪৬ বোলিং করেন। সব মিলিয়ে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের আয়ুষ্কাল ছিল মাত্র ১৩ মাস।

অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী কলিন স্নেডেন অকল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন খেলতে শুরু করেন। দীর্ঘদেহী ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকার ছিলেন ও দ্রুত অফ ব্রেক বোলিং করতেন।[১] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পূর্বে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এরপর, আট বছর পর ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে খেলেন। ওতাগো’র বিপক্ষে পাঁচ উইকেট লাভের পর ক্যান্টারবারি’র বিপক্ষে আট উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ ওভার বোলিং করে ৬/৩৯ পরিসংখ্যান দাঁড় করেছিলেন।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কলিন স্নেডেন। ২১ মার্চ, ১৯৪৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

মার্চ, ১৯৪৭ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে একটি টেস্টে অংশগ্রহণের জন্যে তাকে নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে আরও পাঁচজন নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটারের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ৩৪৫/৯ তুলে নিউজিল্যান্ড দল ইনিংস ঘোষণা করে। এগারো নম্বরধারী ব্যাটসম্যান হওয়ায় তাকে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি। সর্বমোট ১৬ ওভার বোলিং করেন। কিন্তু, তৃতীয় ও চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি এবং খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৩]

অবসর[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পূর্বে দুই মৌসুম খেললেও খুব কম খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। অবসর গ্রহণের পর অনেকগুরো বছর বেতারে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন কলিন স্নেডেন।[৪]

২৪ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ৯৩ বছর বয়সে কলিন স্নেডেনের দেহাবসান ঘটে। ১ আগস্ট, ২০১০ তারিখে এরিক টিন্ডিলের দেহাবসানের পর কলিন স্নেডেন নিউজিল্যান্ডের বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ২৪ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ৯৩ বছর বয়সে ঘুমন্ত অবস্থায় তার দেহাবসান ঘটে।[৫][৬]

তার পিতা নেসি স্নেডেন ও ভ্রাতা ওয়ারউইক স্নেডেন - উভয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন। তার ভ্রাতৃষ্পুত্র মার্টিন স্নেডেন নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২৫টি টেস্ট ও ৯৩টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wisden 2012, p. 221.
  2. Auckland v Canterbury, 1946–47
  3. "The Unfortunate Few"NZ Cricket Museum (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ নভেম্বর ২০১৫। ২ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭ 
  4. "Auckland cricket dynasty loses veteran"NZ Herald। ৩০ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭ 
  5. Cricinfo
  6. "New Zealand veteran Colin Snedden dies"ESPNcricinfo। ২৪ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]