ইয়ান ক্রেগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়ান ক্রেগ
১৯৬০ সালে ইয়ান ক্রেগ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামইয়ান ডেভিড ক্রেগ
জন্ম(১৯৩৫-০৬-১২)১২ জুন ১৯৩৫
ইয়াস, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১৬ নভেম্বর ২০১৪(2014-11-16) (বয়স ৭৯)
ডাকনাম"দ্য কোল্ট"[১]
উচ্চতা১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৬৫)
৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫১/৫২-১৯৩১/৬২নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ১৪৪
রানের সংখ্যা ৩৫৮ ৭,৩২৮
ব্যাটিং গড় ১৯.৮৮ ৩৭.৯৬
১০০/৫০ ০/২ ১৫/৩৮
সর্বোচ্চ রান ৫৩ ২১৩*
বল করেছে ১৩০
উইকেট
বোলিং গড় ১৩০.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৭০/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৭ আগস্ট ২০১৭

ইয়ান ডেভিড ক্রেগ (ইংরেজি: Ian Craig; জন্ম: ১২ জুন, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ১৬ নভেম্বর, ২০১৪) নিউ সাউথ ওয়েলসের ইয়াস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দ্য কোল্ট নামে পরিচিত ইয়ান ক্রেগ ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ মেয়াদকালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট খেলায় অংশ নিয়েছেন।[১] ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইয়ান ক্রেগ সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বি-শতক হাঁকিয়েছিলেন ও রেকর্ড স্থাপন করেন।[২][৩] এরপর তিনি টেস্ট ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত হন ও অস্ট্রেলীয় দলকে নেতৃত্ব দেন। তার খেলার ধরন অনেকটাই ডন ব্র্যাডম্যানের মতো। তাই তাকে নেক্সট ব্রাডম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। কিন্তু তার খেলোয়াড়ী জীবন তেমন পূর্ণাঙ্গতা পায়নি।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৭ বছর ২৩৯ দিন বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসে অদ্যাবধি সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারের মর্যাদা পাচ্ছেন তিনি।[৪]

১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় দলের পুণঃগঠনের অংশ হিসেবে একদল তরুণ খেলোয়াড়ের নেতৃত্ব দেন ক্রেগ। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে অস্ট্রেলীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাকে অধিনায়ক মনোনীত করেন। ঐ মৌসুমে তিনি মাত্র ছয় টেস্ট খেলেন। তখনো তিনি দলের প্রতিষ্ঠিত সদস্য হননি। মাত্র ২২ বছর ১৯৪ দিন বয়সে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদা পান তিনি।[২][৫] তার দলটি অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের বাইরে সর্বাপেক্ষা দূর্বল দলের পরিচিতি পেয়েছিল।[৬][৭] অস্ট্রেলিয়া দল ৩-০ ব্যবধানে জয় পেলেও তার ব্যাটিং ছিল খুবই দূর্বলমানের। খেলার ধারাবাহিকতা বজায় না থাকায় ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে এক মৌসুম শেষেই দলের বাইরে চলে যেতে হয়। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে নতুন করে চুক্তি করার পূর্বে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ায় ক্রিকেট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ক্রেগ পুনরায় নিউ সাউথ ওয়েলস দলে ফিরে আসলেও টেস্ট দলে ঠাঁই পাননি।[৮]

অবসর[সম্পাদনা]

ফার্মাসিস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্যে ও কাজের প্রতি দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে তাকে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই জোরপূর্বক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নিতে হয়। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম বুটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন,[৯] সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ট্রাস্ট[১০]ব্রাডম্যান মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ক্রিকেটের বিভিন্ন পদে যুক্ত ছিলেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Robinson, p. 262.
  2. Cashman, p. 67.
  3. Robinson, p. 260.
  4. Youngest players on debut for Australia in Test matches – CricketArchive. Retrieved 10 January 2017
  5. "Test matches – Youngest captains"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-০৯ 
  6. Haigh, p. 108.
  7. Benaud, Richie (১৯৯৮)। Anything ButHodder & Stoughton। পৃষ্ঠা 142আইএসবিএন 0-340-69648-6 
  8. "Player Oracle ID Craig"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪ 
  9. Derriman, pp. 208–209.
  10. Perry, p. 201.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
ইয়ান জনসন
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৫৭/৫৮
উত্তরসূরী
রিচি বেনো