ক্বীন ব্রীজ

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৩′১৫″ উত্তর ৯১°৫২′০৫″ পূর্ব / ২৪.৮৮৭৬° উত্তর ৯১.৮৬৮১° পূর্ব / 24.8876; 91.8681
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৭:০৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ক্বীন ব্রীজ
ক্বীন ব্রীজ, ২০১৫
স্থানাঙ্ক২৪°৫৩′১৫″ উত্তর ৯১°৫২′০৫″ পূর্ব / ২৪.৮৮৭৬° উত্তর ৯১.৮৬৮১° পূর্ব / 24.8876; 91.8681
বৈশিষ্ট্য
মোট দৈর্ঘ্য৩৫০.৫২ মি (১,১৫০.০ ফু)
প্রস্থ৫.৪ মি (১৭.৭ ফু)
ইতিহাস
চালু১৯৩৬
অবস্থান
মানচিত্র

ক্বীন ব্রীজ হলো বাংলাদেশের সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর উপর স্থাপিত একটি লৌহ নির্মিত সেতু। এটি সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। সুরমা নদীর ওপর নির্মিত এই স্থাপনাটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসাবেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।[১] এই ব্রীজটিকে সিলেট শহরের "প্রবেশদ্বার" বলা হয়।

অবস্থান

ক্বীন ব্রীজ এবং আলী আমজদের ঘড়ি

সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে ক্বীন ব্রীজটি অবস্থিত। এর এক দিকে দক্ষিণ সুরমা ও অপর দিকে তালতলা। এই ব্রীজটি সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর উপর অবস্থিত, এবং বাংলাদেশের রাজধানী, ঢাকা শহর থেকে ২৪৬ কিলোমিটার (১৫৩ মা) উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই ব্রীজটি মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

নামকরণ

গত শতকের তিরিশের দশকের দিকে আসাম প্রদেশের গভর্নর ছিলেন মাইকেল ক্বীন। তিনি সিলেট সফরে আসেন। তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতেই এ ব্রীজটি নির্মাণ হয় এবং এই ব্রীজটির নামকরণ করা হয় গভর্নর মাইকেল ক্বীনের নামানুসারে, যিনি ১৯৩২ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত আসামের একজন ইংরেজ গভর্নর ছিলেন।[২]

তৈরির ইতিহাস

আসাম প্রদেশের গভর্নর মাইকেল ক্বীন সিলেট সফরে আসার জন্য সুরমা নদীতে ব্রীজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ তখন আসামের সাথে সিলেটের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ট্রেন। ফলে, রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং নির্মাণ শেষে ১৯৩৬ সালে ব্রীজটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।

তৎকালীন আসাম সরকারের এক্সিকিউটিভ সদস্য রায় বাহাদুর প্রমোদ চন্দ্র দত্ত এবং শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ ব্রীজটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অশেষ অবদান রাখেন।

গঠন

ক্বীন ব্রীজ লোহা দিয়ে তৈরী। এর আকৃতি ধনুকের ছিলার মত বাঁকানো। এই ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ১১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। ব্রীজ নির্মাণে তৎকালীন সময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৬ লাখ টাকা।[২]

সংস্কার ও বর্তমান অবস্থা

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ডায়নামাইট দিয়ে ব্রীজের উত্তর পাশের একাংশ উড়িয়ে দেয়; যা স্বাধীনতার পর কাঠ ও বেইলী পার্টস দিয়ে মেরামত করা হয় ও হালকা যান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়।[২]

১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় ব্রীজের বিধ্বস্ত অংশটি কংক্রীট দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা হয়[৩] এবং তৎকালীন নৌ বাহিনীর প্রধান রিয়াল এডমিরাল এম এইচ খান সংস্কারকৃত ব্রীজটি উদ্বোধন করেন; ফলে পুনরায় এটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।[২]

চিত্রসম্ভার

তথ্যসূত্র

  1. "সিলেট জেলা তথ্য বাতায়ন" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মে ২০১৩ তারিখে,
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৫ 
  3. বাংলাদেশ (১১ অক্টোবর ২০০৮)। "The Sylhet Times"। Sylhettimesdigital.co.uk। ৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১২ 

বহিঃসংযোগ