ইরাক জাতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩
দলের লোগো
ডাকনামব্যবিলনের সিংহ
অ্যাসোসিয়েশনইরাক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
সাব–কনফেডারেশনপশ্চিম এশীয় ফুটবল ফেডারেশন
প্রধান কোচরাদি শিনাইশিল
অধিনায়কমুন্তাদির মুহাম্মদ
ফিফা কোডIRQ
ওয়েবসাইটifa.iq
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 কাতার ০–০ ইরাক 
(দোহা, কাতার; ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫)
বৃহত্তম জয়
ইরাক  ১৩–০  মাকাও
(কুয়েত সিটি, কুয়েত; ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩)
বৃহত্তম পরাজয়
জর্ডান  ৫–০  ইরাক
(আম্মান, জর্ডান; ১০ জুলাই ১৯৯৯)
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ
অংশগ্রহণ৫ (২০১৩-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (২০১৩)
গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক
অংশগ্রহণ৫ (১৯৮০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচতুর্থ স্থান (২০০৪)
এশিয়ান গেমস
অংশগ্রহণ২ (২০০৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরৌপ্য পদক (২০০৬)

ইরাক জাতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল (যা ইরাক অলিম্পিক ফুটবল দল অথবা সংক্ষেপে ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ নামে পরিচিত) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরাকের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল, যার সকল কার্যক্রম ইরাকের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইরাক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।[১] ১৯৯৫ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর তারিখে, ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত কাতার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচটি ০–০ গোলে ড্র হয়েছিল। ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ হচ্ছে ডাব্লিউএএফএফ অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০২৩ সালে ইরান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ১–১ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।

ব্যবিলনের সিংহ নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের প্রধান প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন ইরাকি সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রাদি শিনাইশিল এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মেস রাফসানজানের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় মুন্তাদির মুহাম্মদ[২][৩]

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপে ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ এপর্যন্ত ৫ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৩ এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া, যেখানে তারা সৌদি আরব অনূর্ধ্ব-২৩ দল্কে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, ইরাক অনূর্ধ্ব-২৩ এপর্যন্ত ৫ বার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচে পৌঁছানো, যেখানে তারা ইতালি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ০–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। ইউনিস মাহমুদ, মুন্তাদির আব্দুল আমির, ফাহাদ তালিব, আয়মান হুসাইন এবং হুসাইন আব্দুল্লাহের মতো খেলোয়াড়গণ ইরাকের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক[সম্পাদনা]

গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
ফ্রান্স ১৯০০ অংশগ্রহণ করেনি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯০৪
যুক্তরাজ্য ১৯০৮
সুইডেন ১৯১২
বেলজিয়াম ১৯২০
ফ্রান্স ১৯২৪
নেদারল্যান্ডস ১৯২৮
জার্মানি ১৯৩৬
যুক্তরাজ্য ১৯৪৮
ফিনল্যান্ড ১৯৫২
অস্ট্রেলিয়া ১৯৫৬
ইতালি ১৯৬০
জাপান ১৯৬৪
মেক্সিকো ১৯৬৮
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭২
কানাডা ১৯৭৬
সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৪
দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৮৮
স্পেন ১৯৯২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৬ উত্তীর্ণ হয়নি
অস্ট্রেলিয়া ২০০০
গ্রিস ২০০৪ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ৪র্থ
চীন ২০০৮ উত্তীর্ণ হয়নি
যুক্তরাজ্য ২০১২
ব্রাজিল ২০১৬ গ্রুপ পর্ব ১২তম
জাপান ২০২০ উত্তীর্ণ হয়নি
ফ্রান্স ২০২৪ অনির্ধারিত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৮
অস্ট্রেলিয়া ২০৩২
মোট চতুর্থ স্থান ২/২৭ ১০

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]