আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ
আবদুল হালিম | |||||
---|---|---|---|---|---|
মালয়েশিয়ার ১৪তম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং কেদাহর সুলতান | |||||
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং | |||||
রাজত্ব | ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ – ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ১১ এপ্রিল ২০১২ | ||||
পূর্বসূরি | মিজান জয়নুল আবেদিন | ||||
উত্তরসূরি | পঞ্চম মুহাম্মদ | ||||
রাজত্ব | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ | ||||
অভিষেক | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ | ||||
পূর্বসূরি | ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ | ||||
উত্তরসূরি | ইয়াহিয়া পেত্রা | ||||
প্রধানমন্ত্রী | তালিকা দেখুন | ||||
কেদাহর সুলতান | |||||
রাজত্ব | ১৪ জুলাই ১৯৫৮ – ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ||||
অভিষেক | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ | ||||
পূর্বসূরি | সুলতান বাদলি শাহ | ||||
উত্তরসূরি | সুলতান সালেহউদ্দিন | ||||
মুখ্যমন্ত্রী | তালিকা দেখুন
| ||||
জন্ম | আনাক বুকিত, আলোর সেতার, কেদাহ, ব্রিটিশ মালয় | ২৮ নভেম্বর ১৯২৭||||
মৃত্যু | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইস্তানা আনাক বুকিত, আলোর সেতার, কেদাহ, মালয়েশিয়া | (বয়স ৮৯)||||
সমাধি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ লঙ্গগর রাজকীয় কবরস্থান, আলোর সেতার, কেদাহ, মালয়েশিয়া | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | তুঙ্কু বাহিয়াহ সুলতানা হামিনাহ হামিদুন | ||||
বংশধর বিস্তারিত | তুঙ্কু পুত্রা ইন্তান সাফিনাজ তুঙ্কু সুরায়া তুঙ্কু সারিনা | ||||
| |||||
পিতা | সুলতান বাদলিশাহ | ||||
মাতা | তুঙ্কু সুফিয়ান বিনতে তুঙ্কু মাহমুদ | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
Kedah Royal Family |
---|
HRH Sultan Abdul Halim Muadzam Shah, The Sultan
HH Tunku Mahmud Sallehuddin, Tunku Paduka Maharaja Temenggong Angota Desa
HH Tunku Abdul Hamid Thani, Tunku Laksamana |
আল-মু'তাসিমু বিল্লাহি মুহিব্বুদ্দিন সুলতান আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ ইবনে আলমরহুম সুলতান বাদলিশাহ (২৮ নভেম্বর ১৯২৭ – ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭) ছিলেন কেদাহের ২৮তম সুলতান। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এবং ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুই দফায় মালয়েশিয়ার ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং (সম্রাট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুইবার সম্রাট ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]তুঙ্কু আবদুল হালিম ছিলেন সুলতান বাদলিশাহর দ্বিতীয় পুত্র। তিনি আলোর মেরাহ ও তিতি গাজাহ মালয় স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। এরপর তিনি সুলতান আবদুল হামিদ কলেজে লেখাপড়া করেছেন। তিনি অক্সফোর্ডের ওয়াডহাম কলেজে পড়াশোনা করেছেন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও জনপ্রশাসনে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এরপর তিনি কেদাহর প্রশাসনিক দায়িত্বে যোগ দেন। তিনি আলোর স্টারের জেলা অফিসার ছিলেন। পরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দায়িত্বপালন করেছেন।[১]
১৯৪৯ সালের ৬ আগস্ট আবদুল হালিম উত্তরাধিকারই নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের ১৫ জুলাই বাবার মৃত্যুর পর তিনি কেদাহর সুলতান হন।[২] ১৯৫৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তার অভিষেক হয়।[৩]
প্রথমবার উপসম্রাট নির্বাচন
[সম্পাদনা]১৯৬৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবদুল হালিম ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ছিলেন।
প্রথমবার সম্রাট নির্বাচন
[সম্পাদনা]তুঙ্কু আবদুল হালিম মালয়েশিয়ার পঞ্চম সম্রাট নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সম্রাট ছিলেন। তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা ও তুঙ্কু মিজান জয়নুল আবেদিন|মিজান জয়নুল আবেদিনের]] পর তিনি তৃতীয় কনিষ্ঠ সম্রাট।
দ্বিতীয়বার উপসম্রাট নির্বাচন
[সম্পাদনা]২০০৬ সালের ২ নভেম্বর আবদুল হালিম দ্বিতীয়বার ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন। এই পদে নির্বাচিত হওয়া তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি।
দ্বিতীয়বার সম্রাট নির্বাচন
[সম্পাদনা]২০১১ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয়বার সম্রাট নির্বাচিত হন। ১৩ ডিসেম্বর থেকে তার শাসনকাল শুরু হয়। তিনি মালয়েশিয়ার প্রথম সম্রাট যিনি দুই মেয়াদে দায়িত্বপালন করেছেন।[৪]
দ্বিতীয় দফায় সম্রাট মনোনীত হওয়ার পর কেদাহর সুলতান হিসেবে তার দায়িত্বসমূহ তার ভাই তুঙ্কু আনোয়ার, তুঙ্কু সালাহউদ্দিন, তুঙ্কু আবদুল হামিদ সানি ও মেয়ে তুঙ্কু পুতেরি ইন্তান সাফিনাজকে নিয়ে গঠিত কাউন্সিলকে প্রদান করা হয়।[৫] ২০১২ সাকের ১১ এপ্রিল তার অভিষেক হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্য মালয়ী শাসকদের সাথে ব্রুনাইয়ের যুবরাজ ও যুবরাজ্ঞী উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার
[সম্পাদনা]তুঙ্কু আবদুল হালিম দুইবার বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীরা হলেন:
- তুঙ্কু হামিনাহ বিনতে হামিদুন। ১৯৭৫ সালে তাদের বিয়ে হয়।[৮] আবদুল হালিমের দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি রাজা পেরামাইসুরি আগং ছিলেন। তাদের কোনো সন্তান নেই।
৫০ বছর পূর্তি উৎসব
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের ১৫ জুলাই কেদাহর সুলতান হিসেবে আবদুল হালিমের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব হয়।[৯] এই উপলক্ষে ১৫ জুলাইকে কেদাহতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।[১০]
সামরিক র্যাঙ্ক
[সম্পাদনা]তুঙ্কু আবদুল হালিম সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল, নৌবাহিনীর এডমিরাল অব দ্য ফ্লিট এবং বিমানবাহিনীর মার্শাল পদের অধিকারী।[১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ibrahim Ismail (1987) Sejarah Kedah Sepintas Lalu p209 Penerbit UUM
- ↑ (3 November 2006) Bernama Online
- ↑ Ibrahim Ismail (1987) Op Cit pp 214–218
- ↑ "Sultan of Kedah to be next Yang di-Pertuan Agong, for second time" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে, The Malaysian Insider, October 14, 2011
- ↑ "Kedah Sultan Reminds Council of Regency To Carry Out Duties With Honesty"। Bernama। ২০১১-১২-১২। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-৩০।
- ↑ ( 26 August 2003) Utusan Malaysia
- ↑ Royal Ark
- ↑ (10 January 2004) Bernama Online
- ↑ (July 14, 2008) Bernama Online
- ↑ (July 6, 2008) Bernama Online
- ↑ "Photographs of Tuanku Abdul Halim, Yang di-Pertuan Agong of Malaysia"। Janus। ২০১৬-১২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-২৬।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সুলতান বাদলিশাহ |
কেদাহর সুলতান ১৯৫৮–২০১৭ |
উত্তরসূরী মাহমুদ সালাহউদ্দিন |
পূর্বসূরী ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ১৯৭০–১৯৭৫ |
উত্তরসূরী ইয়াহিয়া পেত্রা |
পূর্বসূরী মিজান জয়নুল আবেদিন |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ২০১১–২০১৬ |
উত্তরসূরী পঞ্চম মুহাম্মদ |