ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ
ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
মালয়েশিয়ার ৪র্থ ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং তেরেঙ্গানুর সুলতান | |||||
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং | |||||
রাজত্ব | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ | ||||
পূর্বসূরি | তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা | ||||
উত্তরসূরি | আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ | ||||
তেরেঙ্গানুর সুলতান | |||||
রাজত্ব | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৫ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ৬ জুন ১৯৪৯ | ||||
পূর্বসূরি | সুলতান আলি শাহ | ||||
উত্তরসূরি | সুলতান মাহমুদ আল-মুকতাফি বিল্লাহ শাহ | ||||
জন্ম | কুয়ালা তেরেঙ্গানু, তেরেঙ্গানু, শ্যাম | ২৪ জানুয়ারি ১৯০৭||||
মৃত্যু | ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ ইসতানা বাদারিয়াহ, কুয়ালা তেরেঙ্গানু, তেরেঙ্গানু, মালয়েশিয়া | (বয়স ৭২)||||
সমাধি | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | তুঙ্কু ইন্তান জাহারাহ | ||||
বংশধর | মাহমুদ আল-মুকতাফি বিল্লাহ শাহ তুঙ্কু জালিহা | ||||
| |||||
পিতা | তৃতীয় জয়নুল আবেদিন | ||||
মাতা | চিক মাইমুনাহ বিনতে আবদুল্লাহ | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
সুলতান ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহ ইবনে আলমরহুম সুলতান তৃতীয় জয়নুল আবেদিন (২৪ জানুয়ারি ১৯০৭ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) ছিলেন মালয়েশিয়ার ৪র্থ সম্রাট এবং তেরেঙ্গানুর ১৫তম সুলতান।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]তার জন্ম তারিখ ১৯০৬ সালের ১৬ মার্চ[২] বা ১৯০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি[৩] জানা যায়। দ্বিতীয় তারিখটি মূলত ব্যবহার হয়ে থাকে। তিনি ছিলেন সুলতান তৃতীয় জয়নুল আবেদিনের পঞ্চম ছেলে। তার মা চিক মাইমুনাহ বিনতে আবদুল্লাহ ছিলেন একজন থাই বংশোদ্ভূত ধর্মান্তরিত মুসলিম।[৪]
তিনি কুয়ালা তেরেঙ্গানু মালয় স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। এরপর মালয় কলেজে ভর্তি হন।[৫] ১৯২৯ সালে তিনি তেরেঙ্গানুর প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ১৯৩৪ সালে কুয়ালা তেরেঙ্গানুর ভূমি রাজস্ব বিষয়ক সহকারী কালেক্টর নিযুক্ত হন।
১৯৩৫ সালে তার বড় ভাই সুলতান সুলাইমানের এইড-ডি-ক্যাম্প হন। সুলাইমানের সাথে তিনি ১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জের অভিষেক অনুষ্ঠানে যান। ১৯৩৯ সালে তিনি উচ্চ আদালত ও আপিল আদালতের রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন। তিনি ভূমি আদালতের রেজিস্ট্রার হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯৪০ সালে তিনি তেরেঙ্গানুর মন্ত্রীসভার সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৪১ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হন এবং ১৯৪১ সালের ১৫ নভেম্বর তেরেঙ্গানু স্টেট সেক্রেটারি পদে উন্নীত হন।[৬]
উত্তরাধিকার বিতর্ক
[সম্পাদনা]১৯৪২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তেরেঙ্গানুর সুলতান সুলাইমান বদরুল আলম শাহ মারা যান। এসময় মালয়ের জাপানি সামরিক প্রশাসন সুলাইমানের ছেলে সুলতান আলি শাহকে নতুন সুলতান ঘোষণা করে। ১৯৪৩ সালের ১৮ অক্টোবর ফিল্ড মার্শাল প্লাইক পিবুলসোংগ্রামের নেতৃত্বাধীন থাই সরকার জাপানিদের কাছ থেকে তেরেঙ্গানুর প্রশাসন গ্রহণ করে এবং সুলতান আলি শাহকে স্বীকৃতি প্রদান বহাল রাখে।[৭]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ফিরে আসে। তারা সুলতান আলি শাহকে মেনে নিতে রাজি হয়নি। তার বিরুদ্ধে জাপানিদের সহায়তার অভিযোগ করা হয়।[৮] সুলতান আলি শাহর মতে মালয় ইউনিয়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হওয়ায় ব্রিটিশরা তাকে অপসারণ করতে চাইছিল।[৯]
১৯৪৫ সালের ৫ নভেম্বর তেরেঙ্গানু স্টেট কাউন্সিল সুলতান আলি শাহকে অপসারণ করে ইসমাইলকে তেরেঙ্গানুর সুলতান মনোনীত করে। ১৯৪৯ সালের ৬ জুন কুয়ালা তেরেঙ্গানুতে ইসমাইল নাসিরউদ্দিন শাহর অভিষেক হন।[১০] এরপর থেকে সুলতান ইসমাইলের বংশধররা তেরেঙ্গানু শাসন করছেন।
উপসম্রাট
[সম্পাদনা]১৯৬০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুলতান ইসমাইল ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
সম্রাট
[সম্পাদনা]সুলতান ইসমাইল মালয়েশিয়ার চতুর্থ ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি দায়িত্বপালন করেছেন। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি ১৯৬৯ সালে সম্রাটের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তুঙ্কু আবদুর রহমানের অনুরোধে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করেননি।[১১]
সুলতান ইসমাইলের শাসনামলে কুয়ালালামপুরে দাঙ্গা সংঘটিত হয় এবং সংসদ স্থগিত করা হয়। এসত্ত্বেও তুঙ্কু আবদুর রহমান তার যুগকে "ঘটনাবহুল ও মহিমান্বিত" হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[১২]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]সুলতান ইসমাইল ১৯৭৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুয়ালা তেরেঙ্গানুতে মৃত্যুবরণ করেন। পরের দিন আবেদিন মসজিদের রাজকীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[১৩] এরপর তার ছেলে সুলতান মাহমুদ আল-মুকতাফি বিল্লাহ শাহ তার উত্তরসূরি হন।
পরিবার
[সম্পাদনা]সুলতান ইসমাইল চারবার বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীরা হলেন:
- চে ওয়ান আমিনা বিনতে চে চিক। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে।
- তুঙ্কু তেনগাহ জাহারাহ। তাদের সাত সন্তান রয়েছে। ইসমাইলের উত্তরসূরি সুলতান মাহমুদ ছিলেন তুঙ্কু তেনগাহর ছেলে
- চে জারাহ বিনতে আবদুল্লাহ। তাদের এক মেয়ে রয়েছে।
- তুঙ্কু ইন্তান জাহারাহ।[১৪]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]জাতীয়
[সম্পাদনা]- তেরেঙ্গানু
- ফ্যামিলি অর্ডার অব তেরেঙ্গানু
- অর্ডার অব দ্য ক্রাউন অব তেরেঙ্গানু
- মালয়েশিয়া (ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হিসেবে) :
- অর্ডার অব দ্য রয়েল হাউস অব মালয়েশিয়া
- অর্ডার অব দ্য ক্রাউন অব দ্য রিয়েল্ম
- অর্ডার অব দ্য ডিফেন্ডার অব দ্য রিয়েল্ম
- অর্ডার অব দ্য লয়ালটি অব দ্য ক্রাউন অব মালয়েশিয়া
- অর্ডার অব দ্য রয়েল হাউসহোল্ড অব মালয়েশিয়া
- মালয়
- অর্ডার অব দ্য ক্রাউন অব দ্য রিয়েল্ম[১৫]
বৈদেশিক সম্মাননা
[সম্পাদনা]- যুক্তরাজ্য :
- কিং জর্জ ফিফথ সিলভার জুবিলি মেডেল
- কিং জর্জ সিক্সথ করোনেশন মেডেল
- নাইট কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব সেইন্ট মাইকেল এন্ড সেইন্ট জর্জ
- কুইন এলিজাবেথ সেকেন্ড করোনেশন মেডেল
- ফিলিপাইন : অর্ডার অব সিকাতুনা
- জার্মানি : বুন্ডেসভারডিয়েন্সটক্রেউজ
- দক্ষিণ কোরিয়া : গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংওয়া
- জাপান : অর্ডার অব ক্রিসান্থেমাম
- ইরান : অর্ডার অব পাহলভি
- ইথিওপিয়া : অর্ডার অব দ্য কুইন শেবা[১৬]
- ইন্দোনেশিয়া : অর্ডার অব দ্য রিপাবলিক অব ইন্দোনেশিয়া
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Royal Ark
- ↑ Finestone, Jeffrey and Shaharil Talib (1994) The Royal Families of South-East Asia Shahindera Sdn Bhd
- ↑ Buyong Adil (1974) Sejarah Terengganu p 205 DBP
- ↑ Buyong Adil Op Cit p 140
- ↑ mir.com.my
- ↑ Buyong Adil, op cit, p. 205
- ↑ Willan, HC (1945) Interviews with the Malay rulers CAB101/69, CAB/HIST/B/4/7
- ↑ Willan, op cit
- ↑ Wan Ramli Wan Mohamad (1993) Pengakuan Tengku Ali Mengapa Saya Diturunkan Dari Takhta Terengganu Fajar Bakti, Kuala Lumpur
- ↑ Buyong Adil Op Cit p205
- ↑ Tunku Abdul Rahman (1977) Looking Back pp 343-344 Pustaka Antara, kuala Lumpur
- ↑ The Star - Reviews of the First Five Kings (1975)
- ↑ (22 September 1979) New Straits Times
- ↑ Finestone, Jeffrey and Shaharil Talib (1994) Op Cit
- ↑ "Senarai Penuh Penerima Darjah Kebesaran, Bintang dan Pingat Persekutuan Tahun 1958." (পিডিএফ)। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Angelfire
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা (পেরলিসের রাজা) |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং (মালয়েশিয়ার সম্রাট) |
উত্তরসূরী তুঙ্কু আবদুল হালিম (কেদাহর সুলতান) |
পূর্বসূরী সুলতান আলি শাহ |
তেরেঙ্গানুর সুলতান ১৯৪৫-১৯৭৯ |
উত্তরসূরী সুলতান মাহমুদ আল-মুকতাফি বিল্লাহ শাহ |