জগজীবনপুর

স্থানাঙ্ক: ২৫°০২′৩৩″ উত্তর ৮৮°২৪′১৩″ পূর্ব / ২৫.০৪২৪২৩° উত্তর ৮৮.৪০৩৬৩৪° পূর্ব / 25.042423; 88.403634
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জগজ্জীবনপুর
জগজীবনপুর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
জগজীবনপুর
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
অবস্থানপশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক২৫°০২′৩৩″ উত্তর ৮৮°২৪′১৩″ পূর্ব / ২৫.০৪২৪২৩° উত্তর ৮৮.৪০৩৬৩৪° পূর্ব / 25.042423; 88.403634
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক স্থান
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিত৯ম শতাব্দী
স্থান নোটসমূহ
খননের তারিখ১৯৯২, ১৯৯৪-৯৫
প্রত্নতত্ত্ববিদসুধীন দে, অমল রায়
মালিকানাপ্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার

জগজ্জীবনপুর হল পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এই স্থানটি ইংরেজ বাজার শহর থেকে ৪১ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই স্থান থেকে পাওয়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলির মধ্যে পাল সম্রাট মহেন্দ্রপালদেবের একটি তাম্র-ফলক শিলালিপি ও ৯ম শতাব্দীর একটি বৌদ্ধ বিহারের কাঠামোগত অবশেষ নন্দদীর্ঘিকা-উদ্রাঙ্গ মহাবিহার রয়েছে।[১]

এই স্থানটির গুরুত্ব সর্বপ্রথম পাল সম্রাট মহেন্দ্রপালের একটি তাম্র-ফলক শিলালিপি ঘটনাচক্রে ১৯৮৭ সালের ১৩ই মার্চ আবিষ্কারের মাধ্যমে নির্দেশিত হয়েছিল, যা এই আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত অন্য কোনো উত্স থেকে জানা যায়নি। পরে, সুধীন দে-এর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরের একটি দলের দ্বারা ১৯৯২ সালে তুলাভিটা ঢিবিতে খননকাজ শুরু হয়, তারপরে একই অধিদপ্তরের অমল রায়ের নির্দেশে একই জায়গায় ১৯৯৫-৯৬ সালে ব্যাপক খনন করা হয়েছিল।[২] খননের ফলে ইট দ্বারা নির্মিত বিহারের একটি অংশ, স্তূপ, কুলুঙ্গিযুক্ত ঘর, বারান্দা এবং অনেক পুরাকীর্তি আবিষ্কৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে পোড়ামাটির ফলক, পোড়ামাটির সীলমোহর ও সিলিং, একটি খোদাই করা মাটির পাত্রাদির ভাঙ্গা টুকুরা, পুঁতি ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য অন্যান্য বস্তু।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Jagjivanpur, A newly discovered Buddhist site in west Bengal"। Information & Cultural Affairs Department, Government of West Bengal website। ২০১২-০৪-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২২ 
  2. Chakrabarti, D. K. (2001). Archaeological Geography of the Ganga Plain: the Lower and the Middle Ganga, New Delhi: Permanent Black, আইএসবিএন ৮১-৭৮২৪-০১৬-৫, pp. 75-6