১৯৭৪–৭৫ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৭৪–৭৫ |
---|---|
তারিখ | ২৪ আগস্ট ১৯৭৪ – ১৪ জুন ১৯৭৫ |
চ্যাম্পিয়ন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৩য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ৩য় জার্মান শিরোপা |
অবনমন | স্টুটগার্ট টেনিস বরুসিয়া বার্লিন ভুপারটাল |
ইউরোপীয় কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বায়ার্ন মিউনিখ (চ্যাম্পিয়ন) |
কাপ উইনার্স কাপ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট |
উয়েফা কাপ | হের্টা হামবুর্গার কলন ডুসবুর্গ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ১০৫৬ (ম্যাচ প্রতি ৩.৪৫টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | ইয়ুপ হাইনকেস (২৭টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ফ্রাঙ্কফুর্ট ৯–১ এসেন (৫ অক্টোবর ১৯৭৪) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ডুসেলডর্ফ ৬–৫ বায়ার্ন মিউনিখ (৭ জুন ১৯৭৫) |
← ১৯৭৩–৭৪ ১৯৭৫–৭৬ → |
১৯৭৪–৭৫ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ১২তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭৪ সালের ২৪শে আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৪ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] শালকের জার্মান রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হেলমুট ক্রেমার্স এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে ৪৯ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৪র্থ বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৩য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৩য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়ুপ হাইনকেস ২৭ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
[সম্পাদনা]প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগার বিভিন্ন বিভাগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
[সম্পাদনা]১৯৭৩–৭৪ মৌসুম শেষে ফর্টুনা কলন এবং হানোফার ৯৬ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে টেনিস বরুসিয়া বার্লিন এবং আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
টেনিস বরুসিয়া বার্লিন | মোমসেন স্টেডিয়াম | ১৮,০০০ |
বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
রট-ভাইস এসেন | গেওর্গ মেলশেস স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | রাডরেনবান মুঙ্গার্সডর্ফ | ২৯,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
কিকার্স অফেনবাখ | বিবারার বার্গ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
ভুপারটাল | স্টাডিওন আম জু | ২৮,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (C) | ৩৪ | ২১ | ৮ | ৫ | ৮৬ | ৪০ | +৪৬ | ৫০ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | হের্টা | ৩৪ | ১৯ | ৬ | ৯ | ৬১ | ৪৩ | +১৮ | ৪৪ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৯ | ৮৯ | ৪৯ | +৪০ | ৪৩ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৯ | ৫৫ | ৩৮ | +১৭ | ৪৩ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | কলন | ৩৪ | ১৭ | ৭ | ১০ | ৭৭ | ৫১ | +২৬ | ৪১ | |
৬ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১৬ | ৯ | ৯ | ৬৬ | ৫৫ | +১১ | ৪১ | |
৭ | শালকে | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৫২ | ৩৭ | +১৫ | ৩৯ | |
৮ | কিকার্স অফেনবাখ | ৩৪ | ১৭ | ৪ | ১৩ | ৭২ | ৬২ | +১০ | ৩৮ | |
৯ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৫২ | ৪২ | +১০ | ৩৬ | |
১০ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ১৪ | ৬ | ১৪ | ৫৭ | ৬৩ | −৬ | ৩৪ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
১১ | বোখুম | ৩৪ | ১৪ | ৫ | ১৫ | ৫৩ | ৫৩ | ০ | ৩৩ | |
১২ | রট-ভাইস এসেন | ৩৪ | ১০ | ১২ | ১২ | ৫৬ | ৬৮ | −১২ | ৩২ | |
১৩ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৩ | ৫ | ১৬ | ৫৬ | ৫৫ | +১ | ৩১ | |
১৪ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১২ | ৬ | ১৬ | ৫৯ | ৭৭ | −১৮ | ৩০ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[খ] |
১৫ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ৯ | ৭ | ১৮ | ৪৫ | ৬৯ | −২৪ | ২৫ | |
১৬ | স্টুটগার্ট (R) | ৩৪ | ৮ | ৮ | ১৮ | ৫০ | ৭৯ | −২৯ | ২৪ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | টেনিস বরুসিয়া বার্লিন (R) | ৩৪ | ৫ | ৬ | ২৩ | ৩৮ | ৮৯ | −৫১ | ১৬ | |
১৮ | ভুপারটাল (R) | ৩৪ | ২ | ৮ | ২৪ | ৩২ | ৮৬ | −৫৪ | ১২ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বায়ার্ন মিউনিখ কাপ উইনার্স কাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
- ↑ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ১৯৭৪–৭৫ ডিএফবি-পোকালের রানার-আপ ডুসবুর্গকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
[সম্পাদনা]শীর্ষ গোলদাতা
[সম্পাদনা]অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | ইয়ুপ হাইনকেস | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ২৭ |
২ | ডিটার মুলার | কলন | ২৪ |
৩ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ২৩ |
৪ | রোলান্দ সান্দবার্গ | কাইজারস্লাউটার্ন | ২১ |
৫ | অ্যালান সিমনসেন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৮ |
৬ | আরভিন কোস্টেডে | কিকার্স অফেনবাখ | |
৭ | মানফ্রেড বুর্গসমুলার | রট-ভাইস এসেন | |
৮ | ক্লাউস ফিশার | শালকে | ১৭ |
৯ | হারমান ওলিখার | স্টুটগার্ট | |
১০ | বার্ন্ড হোলজেনবাইন | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১৬ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 1973/1974 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "FC Schalke 04 - 1. FC Kaiserslautern 2:1 (Bundesliga 1974/1975, 1. Round)"। worldfootball.net। ৬ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (German ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭৪–৭৫ বুন্দেসলিগা (জার্মান)