বিষয়বস্তুতে চলুন

ঘোষ পশ্চাত্তালব্য নাসিক্যধ্বনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিহ্বামূলীয় নাসিক্যধ্বনির বৈশিষ্ট্যসমূহ
জাত ব্যঞ্জন
বায়ুর সঞ্চালক ফুসফুস
বায়ুর অভিমুখ বহির্গামী
বায়ুর পথ নাসিক
ঘোষতা ঘোষ
উচ্চারক পশ্চাজ্জিহ্বা
উচ্চারণস্থান পশ্চাত্তালু
উচ্চারণরীতি স্পর্শ

পশ্চাত্তালব্য নাসিক্যধ্বনি একটা ব্যঞ্জনধ্বনি। এই ব্যঞ্জনধ্বনিটা বিশ্বের অনেকগুলো কথ্য ভাষায় ধ্বনিমূলক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় [ŋ]
বাংলা লিপিতে ঙ্‌‌‌ বা ং‌ যেমন "বেঙ", "ভাঙা", "বাংলা", ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায়

[সম্পাদনা]

অন্য আর্য ভাষার তুলনায়, এই ধ্বনিটি বাংলা ভাষায় বেশ ঘন ঘন ব্যবহৃত। তবু এই ধ্বনিটি শুধু অক্ষরের শেষে বসে বলে শব্দের আদিতে কোনওসময় বসে না। অনেক অঞ্চলে এই ধ্বনিটির পরে "গ"-এর উচ্চারণ হয়। এইসব আঞ্চলিক ভাষায় "বাঙালি" (বাং-আ-লি) শব্দটিকে "বাঙ্গালি" (বাং-গা-লি) বলে।

অন্যান্য ভাষায়

[সম্পাদনা]

বাংলা ছাড়াও অনেক-অনেক ভাষায় এই ব্যঞ্জনধ্বনিটি শব্দের আদিতে বসতে পারে না, যেমন কোরীয়, ইংরেজি, ম্যান্ডারিন চীনা, ইত্যাদি। তবু ক্যান্টনিজ ভাষায় এই ধ্বনিটি শব্দের যেকোনও স্থানে বসতে পারে, যেমন ঙাউ (অর্থাৎ "গরু") এবং ("আমি")। ক্যান্টনিজে এটি শব্দের একমাত্র ধ্বনিও হতে পারে, যেমন ঙ্‌ ("পাঁচ")।