জেফ হ্যামন্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেফ হ্যামন্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেফ্রি রবার্ট হ্যামন্ড
জন্ম (1950-04-19) ১৯ এপ্রিল ১৯৫০ (বয়স ৭৩)
উত্তর অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাফাস্ট বোলার, কোচ
সম্পর্কঅ্যাশলে হ্যামন্ড (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৫)
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট২১ এপ্রিল ১৯৭৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ ১৮)
২৮ আগস্ট ১৯৭২ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৯/৭০–১৯৮০/৮১সাউথ অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৯ ১৫
রানের সংখ্যা ২৮ ১৫ ৯২২ ৯৯
ব্যাটিং গড় ৯.৩৩ ১৬.৪৬ ১৪.৪৪
১০০/৫০ –/– –/– –/১ –/–
সর্বোচ্চ রান ১৯ ১৫* ৫৩ ২৪
বল করেছে ১০৩১ ৫৪ ১১০৩৬ ৮৬৯
উইকেট ১৫ ১৮৪ ১৫
বোলিং গড় ৩২.৫৩ ৪১.০০ ২৮.৮৮ ৩৪.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৩৮ ১/৪১ ৬/১৫ ৩/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– -/- ৩৬/– ৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জেফ্রি রবার্ট হ্যামন্ড (ইংরেজি: Jeff Hammond; জন্ম: ১৯ এপ্রিল, ১৯৫০) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অ্যাডিলেড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন জেফ হ্যামন্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬৯-৭০ মৌসুম থেকে ১৯৮০-৮১ মৌসুম পর্যন্ত জেফ হ্যামন্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলাররূপে জেফ হ্যামন্ডের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ১৯৬৯ সালে। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় বছরে ৩৪ উইকেট পান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জেফ হ্যামন্ড। ১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, অ্যাশেজ সিরিজের কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। তবে, ২৮ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে একমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। খেলায় তিনি ১/৪১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। মাইনর কাউন্টিজের খেলায় ৬/১৫ পান। পিঠের সমস্যা নিয়েও সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি।

১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ এপ্রিল, ১৯৭৩ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন।

১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে রাখা হয়। আঘাতপ্রাপ্ত ডেনিস লিলি’র অনুপস্থিতিতে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। হ্যামন্ডের ভূমিকা ও তার সাথে উদ্বোধনী বোলিং অংশীদার ম্যাক্স ওয়াকারকে অস্ট্রেলিয়ার বিস্ময়কর সিরিজ বিজয়ে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১]

গায়ানা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষসারির চারজন ব্যাটসম্যানকে আউট করে ৪২/৪ দাঁড় করান ও অস্ট্রেলিয়াকে ১০ উইকেটে জয় এনে দেন। তবে, নিজ দেশে ফেরাকালীন ভাঙ্গা পা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপর, ডেনিস লিলি, জেফ থমসনম্যাক্স ওয়াকারের বোলিং শৈলীর কাছে তিনি কখনো নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ করতে পারেননি।

অবসর[সম্পাদনা]

পুরো খেলোয়াড়ী জীবনে আঘাতপ্রাপ্তি তার নিত্যসঙ্গী ছিল ও পিঠের সমস্যার কারণে খেলার জগৎ থেকে দূরে সড়ে আসতে হয়। ১৯৮০ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। ২০০০ সালে গ্ল্যামারগনের কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। ২০০৭ সালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শন বোর্ডের সদস্যরূপে মনোনীত হন।

জেফ হ্যামন্ড বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী ডিপ্লোমাধারী। ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিকে টেলিকম অস্ট্রেলিয়ার ম্যানেজম্যান্ট দলের সদস্য হন। এরপর তিনি ক্রিকেট প্রশাসনে ঝুঁকে পড়েন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার সন্তান অ্যাশলে হ্যামন্ড সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Buchanab, Matt। "Ashes 2013: The Damaged XI"WA Today। Fairfax Media। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]