এরিক ফ্রিম্যান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এরিক ফ্রিম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএরিক ওয়াল্টার ফ্রিম্যান
জন্ম (1944-07-13) ১৩ জুলাই ১৯৪৪ (বয়স ৭৯)
সেমাফোর, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামফ্রিৎজি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ, ধারাভাষ্যকার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৪৪)
১৯ জানুয়ারি ১৯৬৮ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৪/৬৫ - ১৯৭৩/৭৪সাউথ অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ৮৩
রানের সংখ্যা ৩৪৫ ২২৪৪ ৫৭
ব্যাটিং গড় ১৯.১৬ ১৯.১৭ ৯.৫০
১০০/৫০ –/২ ১/৯ –/–
সর্বোচ্চ রান ৭৬ ১১৬ ২১
বল করেছে ২১৮৩ ১৪২৮১ ৪১৮
উইকেট ৩৪ ২৪১
বোলিং গড় ৩৩.১৭ ২৭.৭৫ ২৮.২৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৪/৫২ ৮/৪৭ ৩/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ৬০/– ৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এরিক ফ্রিৎজি ফ্রিম্যান (ইংরেজি: Eric Freeman; জন্মঃ ১৩ই জুলাই, ১৯৪৪) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সেমাফোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন ‘ফ্রিৎজি’ ডাকনামে পরিচিত এরিক ফ্রিম্যানক্রিকেট খেলার পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। পোর্ট অ্যাডিলেড ফুটবল ক্লাবের সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলকিকার তিনি।[২]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত এরিক ফ্রিম্যানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডীয় একাদশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৪৭ দাঁড় করান। খেলায় তিনি ৯৭ রান খরচায় ১১ উইকেট পেয়েছিলেন।[৩]

শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটালেও নিজেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার, মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও চমৎকার ফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ক্রিকেট খেলতেন। এরপর ১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়া দলে খেলেছেন। তেমন সমীহ জাগানো বোলিং করতে পারতেন না। এছাড়াও তার ব্যাটিং কৌশলও পুরোপুরি টেস্ট মানের ছিল না। অবশ্য দুইবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এরিক ফ্রিম্যান। ১৯ জানুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড, ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড এবং ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।

১৯৬৮ সালে বিল লরি’র নেতৃত্বে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ দলটিতে ব্রায়ান টাবের, ডগ ওয়াল্টার্স, লেস জোসলিন, জন গ্লিসন, অ্যাশলে মলেট, ডেভিড রেনেবার্গ, জন ইনভেরারিটি, এরিক ফ্রিম্যান, ইয়ান চ্যাপেল, নীল হক, পল শিহান, অ্যালেন কনলি, বব কাউপার, গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জিইয়ান রেডপাথ ছিলেন। প্রস্তুতিমূলক খেলায় অস্ট্রেলীয় একাদশের সদস্যরূপে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে অংশ নেন। ঐ খেলায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তার একমাত্র সেঞ্চুরি করেছিলেন। ৯০ মিনিটে পাঁচ ছক্কা ও তেরোটি চারে ১১৬ রান তুলেন তিনি।[৪]

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছক্কা মেরে রানের খাতা শুরু করেন তিনি। গাব্বায় ভারত দলের বিপক্ষে এ সফলতা পান। অদ্যাবধি মাত্র পাঁচজন ব্যাটসম্যান এ কৃতিত্বের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।[৫][৬][৭] তারা হলেন - এরিক ফ্রিম্যান (১৯৬৮), কার্লাইল বেস্ট (১৯৮৬), কিথ দাবেঙ্গা (২০০৫), মার্ক ক্রেগ (২০১৪) ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা (২০১৬)।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নৈরাশ্যকর দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণ শেষ হয়ে যায় তার। এ সফরে তার বোলিং আশানুরূপ ছিল না। আরও তিন বছর অবশ্য এ ধারা অব্যাহত ছিল তার। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে পেশাদারী পর্যায়ে ব্যাংকিং খাতে সংশ্লিষ্ট থাকেন। তাসত্ত্বেও, এ ক্রীড়ার সাথে কোচ ও ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায়। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর এরিক ফ্রিম্যান ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ২০১০ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত অ্যাডিলেডভিত্তিক এবিসি রেডিওতে ক্রিকেট ও ফুটবল পরিসংখ্যানবিদের দায়িত্বে ছিলেন।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Eric Freeman"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১৬ 
  2. "Freeman (Port Adelaide) Biography at Full Points Footy"। ২১ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. Wisden 1969, p. 860.
  4. Wisden 1969, p. 291.
  5. "Debutant de Silva joins exclusive club"cricket.com.au (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৯ 
  6. "Six and in: Debutant's rare feat against Aussies"The Courier Mail (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৭-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৯ 
  7. Unwalla, Shiamak (২০১৪-০৬-১২)। "Mark Craig and other batsmen who smashed six off first ball faced in an innings"Cricket Country (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৯ 
  8. Eric Freeman puts down his stats pencil

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]