বিষয়বস্তুতে চলুন

পূর্ব তিমুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৮°৩৩′ দক্ষিণ ১২৫°৩৪′ পূর্ব / ৮.৫৫° দক্ষিণ ১২৫.৫৬° পূর্ব / -8.55; 125.56
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৩৩ নং লাইন: ১৩৩ নং লাইন:


== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==
===প্রাগৈতিহাসিক যুগ===
১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপটি পর্তুগাল এর একটি উপনিবেশ ছিলো। ১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়া এ দ্বীপটি দখল করে নেয়।সেই থেকে দ্বীপটি তে চরম সহিংসতা উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা প্রশ্নের গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং গণভোটে ৭৮.৫% ভোট স্বাধীনতার পক্ষে যায়। ১৪ এপ্রিল ২০০২ রাষ্ট্রপতি নিরবাচনে বিজয়ী আলেকজান্ডার হোসে জানানা গুসামাও রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেয়। ২০০১ এর ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদীয় নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী দল ফ্রেটিলিন দেশটির আইন সভার ৮৮ আসনের ৫৫ টি আসনে জয়ী হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আল কাতিরি।
পূর্ব তিমুরের পূর্ব প্রান্তে জেরিমালাইতে অবস্থিত সাংস্কৃতিক পুরাণিদর্শনগুলো ৪২,০০০ বছর আগের, যা এই স্থানটিকে [[সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া]]র আধুনিক মানব ক্রিয়াকলাপের প্রাচীনতম স্থানগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।<ref>{{cite journal|last1=Marwick|first1=Ben|last2=Clarkson|first2= Chris|last3=O'Connor|first3=Sue|last4=Collins|first4=Sophie|title=Early modern human lithic technology from Jerimalai, East Timor|journal=Journal of Human Evolution|date=December 2016| volume=101|pages=45–64|doi=10.1016/j.jhevol.2016.09.004|pmid=27886810|url=http://ro.uow.edu.au/smhpapers/4268|type=Submitted manuscript}}</ref>অভিবাসনের অন্তত তিনটি দফায় বংশধররা এখনও পূর্ব তিমুরে বসবাস করে বলে ধারণা করা হয়। প্রথমটিকে নৃতাত্ত্বিকরা [[ভেদো]]-[[অস্ট্রালয়েড]] ধরণের মানুষ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে, দ্বিতীয় অভিবাসন মেলানেশিয়ানদের এখানে নিয়ে এসেছিল। পূর্ববর্তী ভেদো-অস্ট্রালয়েড জাতিগোষ্ঠী এই সময়ে পাহাড়ের মধ্যদেশে চলে গিয়েছিল। অবশেষে, প্রোটো-মালয়রা দক্ষিণ [[চীন]] এবং উত্তর ইন্দোচীন থেকে এসেছিল।<ref>{{Cite web |url=http://www.uc.pt/Timor/CURSO1A.HTM |title=Lesson 1 (First Part): Population Settlements in East Timor and Indonesia |website=University of Coimbra |archive-url=https://web.archive.org/web/19990202035244/http://www.uc.pt/Timor/CURSO1A.HTM |archive-date=1999-02-02}}</ref> হাক্কা ব্যবসায়ীরা এই সর্বশেষ গোষ্ঠীর বংশধরদের মধ্যে অন্যতম।<ref name="TL">{{Cite web |url=http://www.timor-leste.gov.tl/AboutTimorleste/history.htm |title=About Timor-Leste > Brief History of Timor-Leste: A History |website=Timor-Leste.gov.tl |url-status=dead |archive-url=https://web.archive.org/web/20081029065300/http://www.timor-leste.gov.tl/AboutTimorleste/history.htm |archive-date=29 October 2008}}</ref>


তিমোরীয় বংশোদ্ভূত পৌরাণিক কাহিনীগুলিতে পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যারা তিমুরের পূর্ব প্রান্তের চারপাশে যাত্রা করে দক্ষিণ ভূমিতে পৌঁছেছিল।কিছু গল্পে মালয় উপদ্বীপ বা সুমাত্রার মিনাংকাবাউ উচ্চভূমি থেকে ভ্রমণ করা তিমোরীয় পূর্বপুরুষদের বর্ণনা করা হয়েছে।<ref name="Taylor 2003 378">{{cite book|last=Taylor|first=Jean Gelman|title=Indonesia: Peoples and Histories|url=https://archive.org/details/indonesia00jean|url-access=registration|pages=[https://archive.org/details/indonesia00jean/page/378 378]|publisher=Yale University Press|year=2003|location= New Haven and London|isbn=978-0-300-10518-6}}</ref>অস্ট্রোনেশীয়রা তিমুরে অভিবাসীত হয়েছিল এবং দ্বীপটিতে কৃষির উন্নয়নের সাথে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়। {{Citation needed|date=January 2008}}
ভালো


১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপটি পর্তুগাল এর একটি উপনিবেশ ছিলো। ১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়া এ দ্বীপটি দখল করে নেয়।সেই থেকে দ্বীপটি তে চরম সহিংসতা উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা প্রশ্নের গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং গণভোটে ৭৮.৫% ভোট স্বাধীনতার পক্ষে যায়। ১৪ এপ্রিল ২০০২ রাষ্ট্রপতি নিরবাচনে বিজয়ী আলেকজান্ডার হোসে জানানা গুসামাও রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেয়। ২০০১ এর ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদীয় নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী দল ফ্রেটিলিন দেশটির আইন সভার ৮৮ আসনের ৫৫ টি আসনে জয়ী হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আল কাতিরি।


== প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ==
== প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ==

১০:২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তিমুর-লেস্তে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র

পূর্ব তিমুরের প্রতীক
প্রতীক
নীতিবাক্য: 
Unidade, Acção, Progresso (পর্তুগিজ)
Unidade, Asaun, Progresu (Tetum)
("একতা, কর্ম ও প্রগতি")
জাতীয় সঙ্গীত: Pátria (পর্তুগিজ)
("ফাদারল্যান্ড")
পূর্ব তিমুরের অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
দিলি
৮°৩৩′ দক্ষিণ ১২৫°৩৪′ পূর্ব / ৮.৫৫° দক্ষিণ ১২৫.৫৬° পূর্ব / -8.55; 125.56{{#coordinates:}}: প্রতি পাতায় একাধিক প্রাথমিক ট্যাগ থাকতে পারবে না
সরকারি ভাষা
জাতীয় ভাষা সমূহ
কার্মিক ভাষাসমূহ
ধর্ম
(২০১৫ সালের আদমশুমারি)[১]
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ
  • পূর্ব তিমুরিজ
  • তিমুরিজ
  • মৌবের (অনানুষ্ঠানিক)[২][৩]
সরকারএকক আধা-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র[৪]
ফ্রান্সিসকো গুতেররেস
জোস মারিয়া ভ্যাসকনসেলস
আইন-সভাজাতীয় সংসদ
স্বাধীনতা 
১৬ শতক
• স্বাধীনতা ঘোষিত
২৮ নভেম্বর ১৯৭৫
১৭ জুলাই ১৯৭৬
• ইউএনটিএইটি দ্বারা পরিচালিত
২৫ অক্টোবর ১৯৯৯
• স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার
২০ মে ২০০২; ২২ বছর আগে (20 May 2002)
আয়তন
• মোট
১৫,০০৭[৫] কিমি (৫,৭৯৪ মা) (১৫৪তম)
• পানি (%)
নগণ্য
জনসংখ্যা
• ২০২১ আনুমানিক
১,৩৪০,৫১৩ (১৫৩তম)
• ২০১৫ আদমশুমারি
১,১৮৩,৬৪৩[৬]
• ঘনত্ব
৭৮/কিমি (২০২.০/বর্গমাইল)
জিডিপি (পিপিপি)২০২০ আনুমানিক
• মোট
৫.৩১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
• মাথাপিছু
৪,০৩১ ডলার[৭]
জিডিপি (মনোনীত)২০২০ আনুমানিক
• মোট
১.৯২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
• মাথাপিছু
১,৪৫৬ ডলার[৭]
জিনি (২০১৪)২৮.৭[৮]
নিম্ন
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯)হ্রাস ০.৬০৬[৯]
মধ্যম · ১৪১তম
মুদ্রামার্কিন ডলারb (ইউএসডি)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৯ (টিএলটি)
গাড়ী চালনার দিকবামদিক
কলিং কোড+৬৭০
আইএসও ৩১৬৬ কোডTL
ইন্টারনেট টিএলডি.tlc
ওয়েবসাইট
timor-leste.gov.tl
  1. আরও পনেরটি "জাতীয় ভাষা" সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত।
  2. সেন্টাভো কয়েনও ব্যবহার করা হয়েছিল
  3. .tp পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয়েছে

পূর্ব তিমুর (/-ˈtmɔːr/ (শুনুন)) বা তিমুর-লেস্তে (/tiˈmɔːr ˈlɛʃt/; Tetum: Timór Lorosa'e[১০]), সরকারিভাবে তিমুর-লেস্তে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র[১১] (পর্তুগিজ: República Democrática de Timor-Leste,[১২] Tetum: Repúblika Demokrátika Timór-Leste[১০]),[১৩] দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এটি তিমুর দ্বীপের পূর্ব অর্ধাংশ, আতাউরো, জ্যাকো এবং ওকাসের নিকটবর্তী দ্বীপগুলি নিয়ে গঠিত, যা ইন্দোনেশীয় পশ্চিম তিমুর দ্বারা বেষ্টিত দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম দিকের একটি ক্ষুদ্র উপনিবেশ। অস্ট্রেলিয়া তিমুর সাগর দ্বারা বিচ্ছিন্ন দেশটির দক্ষিণ প্রতিবেশী। দেশটির আয়তন ১৫,০০৭ বর্গকিলোমিটার (৫,৭৯৪ মা)।[৫]দিলি এর রাজধানী।

ষোড়শ শতাব্দীতে পূর্ব তিমুর পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল এবং ১৯৭৫ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পর্তুগিজ তিমুর নামে পরিচিত ছিল, যখন স্বাধীন পূর্ব তিমুরের জন্য বিপ্লবী ফ্রন্ট (ফ্রেটিলিন) এই অঞ্চলটির স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। নয় দিন পরে, ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী এটি আক্রমণ করে এবং দখল করে নেয়; পরের বছর এটিকে ইন্দোনেশিয়ার ২৭তম প্রদেশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্ব তিমুরের ইন্দোনেশীয় দখলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী (বিশেষ করে ফ্রেটিলিন) এবং ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা সহিংস দ্বন্দ্ব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল।

১৯৯৯ সালে, জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় স্ব-নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসরণ করে ইন্দোনেশিয়া এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করেছিল। ২০০২ সালের ২০ মে তিমুর-লেস্তে হিসাবে এটি একবিংশ শতাব্দীর প্রথম নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়ে ওঠে এবং জাতিসংঘ[১৪]পর্তুগিজ ভাষার দেশের সম্প্রদায়ে যোগদান করে।[১৫] ২০১১ সালে, পূর্ব তিমুর দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (আসিয়ান) এর একাদশ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।[১৬]এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি খ্রিস্টান প্রধান দেশগুলির মধ্যে একটি, অন্যটি হল ফিলিপাইন,[১৭] পাশাপাশি এটি এশিয়ার একমাত্র দেশ যা সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত।[১৮]

ব্যুৎপত্তি

"টিমুর" (Timur) থেকে তিমুর (Timor) উদ্ভূত হয়েছে, মালয় ভাষার "পূর্ব" শব্দটি পর্তুগিজ ভাষায় তিমুর হিসাবে সংরক্ষিত হয়ে যায়, ফলে টোটোলজিক টপানাম যার অর্থ "পূর্ব পূর্ব": পর্তুগিজ ভাষায় তিমুর-লেস্তে (লেস্তে শব্দটির অর্থ "পূর্ব"); তেতুম ভাষায় তিমোর্‌ লোরোসা'এ (লোরোসা'এ এর অর্থ হল "পূর্ব" (আক্ষরিক অর্থে "উদীয়মান সূর্য")) এর অর্থপ্রকাশকারী শব্দ )।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ইন্দোনেশীয় ভাষায়, দেশটিকে তিমুর টিমুর (Timor Timur) বলা হয়, এর মাধ্যমে দ্বীপটির পর্তুগিজ নাম ব্যবহার করে এর পরে "পূর্ব" শব্দটি ব্যবহৃত হয়, কারণ ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় বিশেষণের পরে বিশেষ্য দেওয়া হয়।

সংবিধানের অধীনে সরকারি নামগুলি হল ইংরেজিতে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব টিমুর-লেস্তে,[১৯] পর্তুগিজ ভাষায় রেপাব্লিকা ডেমোক্র্যাটিকা দে টিমুর-লেস্তে,[১২] এবং তেতুম ভাষায় রেপব্লিকা ডেমোক্রিতিকা তিমোর্‌ লোরোসা'এ।[১৩]

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও) ইংরেজি এবং অন্যান্য সমস্ত ভাষায় সরকারী সংক্ষিপ্ত রূপটি হল তিমুর-লেস্তে (কোড: টিএলএস এবং টিএল),[২০] যা জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স (এএফএনওআর), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এএনএসআই), যুক্তরাজ্য (বিএসআই), জার্মানি (ডিআইএন) ও সুইডেন (এসআইএস) এর জাতীয় মান সংস্থাগুলি দ্বারা গৃহীত হয়েছে,[২১] প্রোটোকল এবং সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের মাধ্যমে দেশটিতে সমস্ত কূটনৈতিক মিশন রয়েছে।[২২]

ইতিহাস

প্রাগৈতিহাসিক যুগ

পূর্ব তিমুরের পূর্ব প্রান্তে জেরিমালাইতে অবস্থিত সাংস্কৃতিক পুরাণিদর্শনগুলো ৪২,০০০ বছর আগের, যা এই স্থানটিকে সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আধুনিক মানব ক্রিয়াকলাপের প্রাচীনতম স্থানগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।[২৩]অভিবাসনের অন্তত তিনটি দফায় বংশধররা এখনও পূর্ব তিমুরে বসবাস করে বলে ধারণা করা হয়। প্রথমটিকে নৃতাত্ত্বিকরা ভেদো-অস্ট্রালয়েড ধরণের মানুষ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে, দ্বিতীয় অভিবাসন মেলানেশিয়ানদের এখানে নিয়ে এসেছিল। পূর্ববর্তী ভেদো-অস্ট্রালয়েড জাতিগোষ্ঠী এই সময়ে পাহাড়ের মধ্যদেশে চলে গিয়েছিল। অবশেষে, প্রোটো-মালয়রা দক্ষিণ চীন এবং উত্তর ইন্দোচীন থেকে এসেছিল।[২৪] হাক্কা ব্যবসায়ীরা এই সর্বশেষ গোষ্ঠীর বংশধরদের মধ্যে অন্যতম।[২৫]

তিমোরীয় বংশোদ্ভূত পৌরাণিক কাহিনীগুলিতে পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যারা তিমুরের পূর্ব প্রান্তের চারপাশে যাত্রা করে দক্ষিণ ভূমিতে পৌঁছেছিল।কিছু গল্পে মালয় উপদ্বীপ বা সুমাত্রার মিনাংকাবাউ উচ্চভূমি থেকে ভ্রমণ করা তিমোরীয় পূর্বপুরুষদের বর্ণনা করা হয়েছে।[২৬]অস্ট্রোনেশীয়রা তিমুরে অভিবাসীত হয়েছিল এবং দ্বীপটিতে কৃষির উন্নয়নের সাথে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]


১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপটি পর্তুগাল এর একটি উপনিবেশ ছিলো। ১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়া এ দ্বীপটি দখল করে নেয়।সেই থেকে দ্বীপটি তে চরম সহিংসতা উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা প্রশ্নের গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং গণভোটে ৭৮.৫% ভোট স্বাধীনতার পক্ষে যায়। ১৪ এপ্রিল ২০০২ রাষ্ট্রপতি নিরবাচনে বিজয়ী আলেকজান্ডার হোসে জানানা গুসামাও রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেয়। ২০০১ এর ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদীয় নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী দল ফ্রেটিলিন দেশটির আইন সভার ৮৮ আসনের ৫৫ টি আসনে জয়ী হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আল কাতিরি।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

পূর্ব তিমুরের ১৩টি পৌরসভা

পূর্ব তিমুরকে তেরোটি পৌরসভায় বিভক্ত করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে ৬৫টি প্রশাসনিক পদ, ৪৪২টি সুকোস (গ্রাম) এবং ২,২২৫টি অ্যালডেয়াস (পল্লী) এ বিভক্ত।

ভূগোল

অর্থনীতি

জনসংখ্যা

সংস্কৃতি

রাজনীতি ও সরকার

জানানা গুসমাও, ইন্দোনেশিয়ার দখলের পর পূর্ব তিমুরের প্রথম রাষ্ট্রপতি।

পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, যিনি জনগণের ভোটে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন।যদিও রাষ্ট্রপতির কার্যনির্বাহী ক্ষমতা কিছুটা সীমিত, তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং সরকারি আইন ভেটো করার ক্ষমতা রয়েছে। নির্বাচনের পর, রাষ্ট্রপতি সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের নেতাকে পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবং পরবর্তীদের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা নিয়োগ করেন। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সভাপতিত্ব করেন। [২৭]

এককক্ষ বিশিষ্ট পূর্ব তিমোরিজ সংসদ হল জাতীয় সংসদ বা পার্লামেন্টো ন্যাসিওনাল, যার সদস্যরা জনগণের ভোটে পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন। আসন সংখ্যা সর্বনিম্ন বায়ান্ন থেকে সর্বোচ্চ পঁয়ষট্টির মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। পূর্ব তিমুরের সংবিধান পর্তুগালের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। দেশটি এখনও তার প্রশাসন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সরকারি বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে পুলিসিয়া ন্যাসিওওনাল দে তিমুর-লেস্তে (পুলিশ), পূর্ব তিমুরের রাজ্য ও অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের মন্ত্রণালয়, তিমুর-লেস্তে বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ এবং তিমুর-লেস্তে অভিবাসন বিভাগ।

পূর্ব তিমুরের ন্যাশনাল পুলিশ বা পিএনটিএল হল পূর্ব তিমুরের জাতীয় পুলিশ বাহিনী, যা ২০০২ সালের মে মাসে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আগে নতুন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জারি করা হয়েছিল, যার একটি আদেশ হল নিরাপত্তা প্রদান এবং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য, পেশাদার ও নিরপেক্ষ পুলিশ পরিষেবার দ্রুত বিকাশকে সক্ষম করতে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Nationality, Citizenship, and Religion"। Government of Timor-Leste। ২৫ অক্টোবর ২০১৫। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. Hicks, David (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। Rhetoric and the Decolonization and Recolonization of East Timor। Routledge। আইএসবিএন 9781317695356 – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  3. Adelman, Howard (২৮ জুন ২০১১)। No Return, No Refuge: Rites and Rights in Minority Repatriation। Columbia University Press। আইএসবিএন 9780231526906 – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  4. Shoesmith, Dennis (মার্চ–এপ্রিল ২০০৩)। "Timor-Leste: Divided Leadership in a Semi-Presidential System"Asian Survey43 (2): 231–252। আইএসএসএন 0004-4687ওসিএলসি 905451085ডিওআই:10.1525/as.2003.43.2.231The semi-presidential system in the new state of Timor-Leste has institutionalized a political struggle between the president, Xanana Gusmão, and the prime minister, Mari Alkatiri. This has polarized political alliances and threatens the viability of the new state. This paper explains the ideological divisions and the history of rivalry between these two key political actors. The adoption of Marxism by Fretilin in 1977 led to Gusmão's repudiation of the party in the 1980s and his decision to remove Falintil, the guerrilla movement, from Fretilin control. The power struggle between the two leaders is then examined in the transition to independence. This includes an account of the politicization of the defense and police forces and attempts by Minister of Internal Administration Rogério Lobato to use disaffected Falintil veterans as a counterforce to the Gusmão loyalists in the army. The December 4, 2002, Dili riots are explained in the context of this political struggle. 
  5. "East Timor Geography"www.easttimorgovernment.com 
  6. "Population by Age & Sex"। Government of Timor-Leste। ২৫ অক্টোবর ২০১৫। ২৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২০ 
  7. "Report for Selected Countries and Subjects"www.imf.org। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৯ 
  8. "Gini Index coefficient"। CIA World Factbook। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২১ 
  9. Human Development Report 2020 The Next Frontier: Human Development and the Anthropocene (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০। পৃষ্ঠা 343–346। আইএসবিএন 978-92-1-126442-5। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ 
  10. "tetun.org"tetun.org 
  11. "UNGEGN list of country names" (পিডিএফ)United Nations Group of Experts on Geographical Names। ২–৬ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৬ 
  12. "Constituição da República Democrática de Timor" (পিডিএফ)Government of Timor-Leste। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  13. "Konstituisaun Repúblika Demokrátika Timór-Leste" (পিডিএফ)Government of Timor-Leste। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  14. United Nations General Assembly। "Unanumous Assembly Decision Makes Timor-Leste 191st United Nations Member State"United Nations Meetings Coverage and Press ReleasesUnited Nations। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০২০ 
  15. Taylor-Leech, Kerry (২০০৯)। "The language situation in Timor-Leste"। Current Issues in Language Planning10 (1): 1–68। এসটুসিআইডি 146270920ডিওআই:10.1080/14664200802339840 
  16. East Timor Bid to Join ASEAN Wins 'Strong Support', Bangkok Post, date: 31 January 2011.
  17. Cavanaugh, Ray (২৪ এপ্রিল ২০১৯)। "Timor-Leste: A young nation with strong faith and heavy burdens"The Catholic World Report 
  18. Bada, Ferdinand (২৯ আগস্ট ২০১৯)। "Countries Located Completely in the Southern Hemisphere"www.worldatlas.com 
  19. "Constitution of the Democratic Republic of Timor-Leste" (পিডিএফ)Government of Timor-Leste। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  20. "United Nations Member States"। United Nations। ২৪ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  21. "US Department of State: Timor-Leste"। State.gov। ২০ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১০ 
  22. "CIA World Factbook"। US Govt.। ১ জুলাই ২০১৪। 
  23. Marwick, Ben; Clarkson, Chris; O'Connor, Sue; Collins, Sophie (ডিসেম্বর ২০১৬)। "Early modern human lithic technology from Jerimalai, East Timor"Journal of Human Evolution (Submitted manuscript)। 101: 45–64। ডিওআই:10.1016/j.jhevol.2016.09.004পিএমআইডি 27886810 
  24. "Lesson 1 (First Part): Population Settlements in East Timor and Indonesia"University of Coimbra। ১৯৯৯-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. "About Timor-Leste > Brief History of Timor-Leste: A History"Timor-Leste.gov.tl। ২৯ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  26. Taylor, Jean Gelman (২০০৩)। Indonesia: Peoples and Historiesবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। New Haven and London: Yale University Press। পৃষ্ঠা 378আইএসবিএন 978-0-300-10518-6 
  27. Neto, Octávio Amorim; Lobo, Marina Costa (২০১০)। "Between Constitutional Diffusion and Local Politics: Semi-Presidentialism in Portuguese-Speaking Countries" (পিডিএফ)এসএসআরএন 1644026অবাধে প্রবেশযোগ্য। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ