লেবু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
টেমপ্লেট যুক্ত করা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
"Lemon" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০২১}}
{{taxobox
|name = '''লেবু'''<br>''Citrus limon''
|image = Citrus x limon - Köhler–s Medizinal-Pflanzen-041.jpg
|image_caption = ''Citrus limon''
|regnum = [[Plantae]]
|unranked_divisio = [[Angiosperms]]
|unranked_classis = [[Eudicots]]
|unranked_ordo = [[Rosids]]
|ordo = [[Sapindales]]
|familia = [[Rutaceae]]
|genus = ''[[Citrus]]''
|species = ''C. limon''
|binomial = ''Citrus limon''
|binomial_authority = ([[Carolus Linnaeus|L.]]) Burm.f.
|range_map = 2012lemon and lime.png
|range_map_caption = Lemon and Lime output in 2012
|synonyms =
{{collapsible list|bullets = true
|''Citrus'' × ''aurantium'' subsp. ''bergamia'' <small>(Risso & Poit.) Engl.</small>
|''Citrus'' ''aurantium'' subsp. ''bergamia'' <small>(Risso) Wight & Arn.</small>
|''Citrus'' ''aurantium'' var. ''bergamia'' <small>(Risso) Brandis</small>
|''Citrus'' × ''aurantium'' var. ''mellarosa'' <small>(Risso) Engl.</small>
|''Citrus'' × ''bergamia'' <small>Risso & Poit.</small>
|''Citrus'' × ''bergamia'' subsp. ''mellarosa'' <small>(Risso) D.Rivera & al.</small>
|''Citrus'' × ''bergamota'' <small>Raf.</small>
|''Citrus'' × ''limodulcis'' <small>D.Rivera, Obón & F.Méndez</small>
|''Citrus'' × ''limonelloides'' <small>Hayata</small>
|''Citrus'' × ''limonia'' <small>Osbeck</small>
|''Citrus'' × ''limonia'' var. ''digitata'' <small>Risso</small>
|''Citrus'' × ''limonum'' <small>Risso</small>
|''Citrus'' ''medica'' var. ''limon'' <small>L.</small>
|''Citrus'' ''medica'' f. ''limon'' <small>(L.) M.Hiroe</small>
|''Citrus'' ''medica'' f. ''limon'' <small>(L.) Hiroë</small>
|''Citrus'' ''medica'' subsp. ''limonia'' <small>(Risso) Hook. f.</small>
|''Citrus'' × ''medica'' var. ''limonum'' <small>(Risso) Brandis</small>
|''Citrus'' × ''medica'' subsp. ''limonum'' <small>(Risso) Engl.</small>
|''Citrus'' ''medica'' var. ''limonum'' <small>(Risso) Brandis</small>
|''Citrus'' × ''mellarosa'' <small>Risso</small>
|''Citrus'' × ''meyeri'' <small>Yu.Tanaka</small>
|''Citrus'' × ''vulgaris'' <small>Ferrarius ex Mill.</small>
|''Limon''× ''vulgaris'' <small>Ferrarius ex Miller</small>
|}}
}}
'''লেবু''' (''সাইট্রাস লিমন'') মূলত ছোট্ট [[চিরহরিৎ|চিরসবুজ]] উদ্ভিদ এবং [[সপুষ্পক উদ্ভিদ|সপুষ্পক উদ্ভিদের]] [[রুটেসি|রুটাসি]] পরিবারের গাছের একটি প্রজাতি। এটি [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] একটি স্থানীয় গাছ, সাধারণত, [[উত্তর-পূর্ব ভারত|উত্তর পূর্ব ভারত]] । লেবুর ফল সাধারণত গোলাকার হয়।


লেবু গাছে থাকা উপবৃত্তাকার হলুদ ফলটির [[রস]] সারা বিশ্বে রন্ধনসম্পর্কীয় এবং অ-রন্ধনসম্পর্কীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। লেবুর রস রন্ধনসম্পর্কীয় এবং পরিষ্কার করা উভয়ই কাজেই ব্যবহার করা হয়। <ref name="morton2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> লেবুর মজ্জা এবং [[ খোসা (ফল)|খোসা]] , রান্না এবং বেকিংয়েও ব্যবহৃত হয়। লেবুর রসে প্রায় ৫% থেকে ৬% [[সাইট্রিক অ্যাসিড]] থাকে। লেবুর রসের [[পি.এইচ|পিএইচ]] প্রায় ২.২ , যার কারণে এটির স্বাদ টক হয়। লেবুর রসের টক স্বাদ এটিকে [[পানীয়]] এবং খাবার, যেমন লেবু্র জল এবং [[লিমন মেরিংয়ে পাই|লিমন মেরিংয়ে পাইয়ের]] মূল উপাদান হিসাবে তৈরি করে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে লেবুকে "হঁজি" বলে। নোয়াখালীতে লেবুকে "কাগজী" বলে।


==ইতিহাস ==
[[File:Lemon-Whole-Split.jpg|thumb|right]]


'''লেবু''' (''সাইট্রাস লিমন'' ) মূলত [[রুটেসি]] পরিবারের ছোট [[চিরহরিৎ|চিরসবুজ]] [[সপুষ্পক উদ্ভিদ|সপুষ্পক উদ্ভিদের]] একটি প্রজাতি। এটি [[দক্ষিণ এশিয়া]] সাধারণত, [[উত্তর-পূর্ব ভারত|উত্তর পূর্ব ভারতের]] একটি স্থানীয় গাছ।
লেবুর উৎপত্তি অজানা, যদিও লেবুগুলি প্রথম আসামে (উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি অঞ্চল), উত্তর বার্মা বা চীনে জন্মেছিল বলে ধারণা করা হয়।<ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|বছর=1987|পাতাসমূহ=160–168|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|লেখক=Julia F. Morton|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|প্রকাশক=Purdue University}}</ref> বাংলাদেশে প্রথম লেবু জন্মেছিলো নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায়। জিনোমিক গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে এটি তিক্ত কমলা (টক কমলা) এবং সিট্রনের মধ্যে একটি সংকর।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|লেখক১=Gulsen, O.|লেখক২=M. L. Roose|বছর=2001|শিরোনাম=Lemons: Diversity and Relationships with Selected ''Citrus'' Genotypes as Measured with Nuclear Genome Markers|সাময়িকী=Journal of the American Society of Horticultural Science|খণ্ড=126|পাতাসমূহ=309–317}}</ref><ref>[https://www.sciencedaily.com/releases/2011/01/110118101600.htm Genetic origin of cultivated citrus determined: Researchers find evidence of origins of orange, lime, lemon, grapefruit, other citrus species"], ''Science Daily,'' January 26, 2011 (Retrieved February 10, 2017).</ref>


এই গাছের উপবৃত্তাকার হলুদ ফলটি সারা বিশ্বে রান্নার কাজ এবং রান্নার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়; মূলত এটির [[রস|রসের জন্য]]। এটির রস রান্না ও পরিষ্কারের উভয় কাজেই ব্যবহার করা হয়। <ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> লেবুর শাঁস এবং খোসাও রান্না এবং বেকিংয়ে ব্যবহৃত হয়। লেবুর রসে প্রায় ২.২ [[পি.এইচ|পিএইচ]] এর প্রায় ৫% থেকে ৬% [[সাইট্রিক অ্যাসিড]], যার কারণে এটি টক স্বাদযুক্ত হয়। লেবুর রস টক স্বাদযুক্ত হওয়ায় এটিকে [[পানীয়]] এবং খাবার, যেমন লেবুর শরবত এবং 'লেবু মেরিংয়ে পাইয়ের' মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।চট্টগ্রাম অঞ্চলে লেবুকে "হঁজি" বলে। নোয়াখালীতে লেবুকে "কাগজী" বলে।
==উৎপাদন==
{| class="wikitable" style="float:right; width:290px; margin:10px"
|-
! colspan=3|লেবুর উৎপাদন, ২০১৮


== ইতিহাস ==
<small>(লক্ষ টন)</small>
[[চিত্র:Lemon_-_whole_and_split.jpg|থাম্ব| লেবুর বাহিরের পৃষ্ঠ এবং প্রস্থচ্ছেদ]]
|-
লেবুর উৎপত্তি অজানা, যদিও লেবু আসামে (উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি অঞ্চল), উত্তর বার্মা বা চীনে প্রথম জন্মেছিল বলে ধারণা করা হয়।<ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> বাংলাদেশে প্রথম লেবু জন্মেছিলো নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায়। একটি জিনোমিক গবেষণায়, এটি (টক কমলা) ও সাইট্রনের মধ্যে একটি সংকর বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Lemons: Diversity and Relationships with Selected ''Citrus'' Genotypes as Measured with Nuclear Genome Markers|শেষাংশ=Gulsen, O.|শেষাংশ২=M. L. Roose|বছর=2001|পাতাসমূহ=309–317|doi=10.21273/JASHS.126.3.309|doi-access=free}}</ref> <ref>[https://www.sciencedaily.com/releases/2011/01/110118101600.htm Genetic origin of cultivated citrus determined: Researchers find evidence of origins of orange, lime, lemon, grapefruit, other citrus species"], ''Science Daily,'' January 26, 2011 (Retrieved February 10, 2017).</ref>
! style="background:#ddf; width:75%;"| <center>দেশ</center>
! style="background:#ddf; width:25%;"| <center>২০১৮</center>
|-
| <center>{{IND}}</center> || <center>৩১</center>
|-
| <center>{{MEX}}</center> || <center>২৫</center>
|-
| <center>{{CHN}}</center> || <center>২৫</center>
|-
| <center>{{ARG}}</center> || <center>২০</center>
|-
| <center>{{BRA}}</center> || <center>১৫</center>
|-
| <center>{{TUR}}</center> || <center>১১</center>
|-
|- style="background:#ccc;"
|<center>'''[[বিশ্বে]]'''</center> || <center>'''১৯৪'''</center>
|-
|colspan=3 style="font-size:90%" |
|}
২০১৮ সালে সারা বিশ্ব ১৯৪ টন লেবুর উৎপাদন হয়।<ref>"World production of lemons and limes in 2018; Crops/Regions/World/Production Quantity from pick lists". Food and Agriculture Organization of the United Nations, Statistics Division (FAOSTAT). 2019. Retrieved February 19, 2020</ref>


খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর পরে, [[প্রাচীন রোম|প্রাচীন রোমের]] সময়কালে, দক্ষিণ [[ইতালি|ইতালির]] নিকট হয়ে লেবু [[ইউরোপের সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকা|ইউরোপে]] প্রবেশ করে। <ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> তবে সেগুলো ব্যাপকভাবে চাষ করা হত না। পরে [[ইরান|পারস্য]], তারপরে [[ইরাক]] ও [[মিশর|মিশরে]] ৭০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে লেবুর প্রচলন করা হয়। সাহিত্যে সর্বপ্রথম লেবুর বর্ণনা পাওয়া যায় আরবি ভাষায় লিখিত একটি প্রবন্ধে। ইসলামের প্রাথমিক যুগের বাগানগুলোতে লেবু গাছকে শোভাবর্ধক গাছ হিসেবে লাগানো হত। ১০০০-১১৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এটি আরব ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। স্পেনের [[আন্দালুসিয়া|আন্দালুসিয়ায়]] লেবু ও বাতাবিলেবু গাছের চাষ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ ইবনে আল-আওওয়ামের দ্বাদশ শতাব্দীর কৃষি বিষয়ক বই ''বুক অন এগ্রিকালচারে'' প্রকাশিত হয়েছে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/lelivredelagric00algoog/page/n14/mode/2up|শিরোনাম=Le livre de l'agriculture d'Ibn-al-Awam (kitab-al-felahah)|শেষাংশ=Ibn al-'Awwam|প্রথমাংশ=Yaḥyá|বছর=1864|প্রকাশক=A. Franck|পাতাসমূহ=300–301 (ch. 7 - Article 32)|ভাষা=fr|oclc=780050566}} (pp. [[iarchive:lelivredelagric00algoog/page/n408/mode/2up|300]]–301 (Article XXXII)</ref>
== রন্ধন ==
লেবুর রস, বল্কল এবং খোসা বিভিন্ন ধরণের খাবার ও পানীয়তে ব্যবহৃত হয়। পুরো লেবু [[কমলালেবুর আচার]], লেবুর দই এবং লিমন লিক্যুয়ার তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।লেবু টুকরা এবং লেবু রাইন্ড খাবার এবং পানীয়ের জন্য ভূষণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নোয়াখালী এর সুবর্ণচর উপজেলায় লেবু দিয়ে "চিস্তি" নামক একধরণের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়।


পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপের [[জেনোভা|জেনোভায়]] প্রথম লেবুর পর্যাপ্ত চাষ শুরু হয়। পরে ১৪৯৩ সালে [[ক্রিস্টোফার কলম্বাস]] হিস্প্যানিওলায় তাঁর ভ্রমণে লেবুর বীজ নিয়ে আসলে [[আমেরিকা অঞ্চল|আমেরিকায়]] লেবুর প্রচলন ঘটে। স্প্যানিশ বিজয় পুরো বিশ্ব জুড়ে লেবুর বীজ ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল। এটি মূলত একটি শোভাবর্ধক উদ্ভিদ এবং ওষুধের জন্য ব্যবহৃত হত। <ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> উনিশ শতকে [[ফ্লোরিডা]] এবং [[ক্যালিফোর্নিয়া|ক্যালিফোর্নিয়ায়]] ক্রমবর্ধমানভাবে লেবু রোপণ করা হয়।
==লেবুর গুণাবলী ও ব্যবহার ==
লেবুর অনেক গুণ। লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। মাত্র একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে চল্লিশ মিলিগ্রাম [[ভিটামিন সি]] বা এসকরবিক এসিড পাওয়া যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে দ্রুতগতিতে কোলাজেন কোষ উপাদান তৈরি করে ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘সি’। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইট্রিক এসিড বিদ্যমান যা ক্যালসিয়াম নির্গমন হ্রাস করে পাথুরী রোগ প্রতিহত করতে পারে। লেবুর খোসার ভেতরের অংশে () ‘রুটিন’ নামের বিশেষ ফ্ল্যাভানয়েড উপাদান আছে যা শিরা এবং রক্তজালিকার প্রাচীরকে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সুরক্ষা দেয়। ফলে স্বভাবতই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। লেবুর অন্যান্য ব্যবহারও কম নয়। রান্নায় বা আহারে লেবুর ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মতভাবেই স্বাস্থ্যপ্রদ। ত্বক বা রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার ঐতিহ্যগত ভাবেই সুপ্রচলিত। বয়সজনিত মুখের স্পট বা দাগ সারাতে লেবুর রস যথেষ্ট কার্যকরী। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত সারে। বাজারের ভেজাল মিশ্রিত পানীয় না খেয়ে টাটকা লেবুর রসের সাথে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে লেমোনেড তৈরি করা হয় যা একই সাথে তৃষ্ণা মেটায়।<ref>M. Hofrichter (2010). Industrial Applications. Springer. p. 224. {{আইএসবিএন|978-3-642-11458-8}}.</ref>
{{nutritional value | name=লেবু, কাঁচা, খোসা ছাড়া
| kJ=121
| protein=1.1 g
| fat=0.3 g
| carbs=9.32 g
| fiber=2.8 g
| sugars=2.5 g
| calcium_mg=26
| iron_mg=0.6
| magnesium_mg=8
| phosphorus_mg=16
| potassium_mg=138
| zinc_mg=0.06
| manganese_mg=0.03
| vitC_mg=53
| thiamin_mg=0.04
| riboflavin_mg=0.02
| niacin_mg=0.1
| pantothenic_mg=0.19
| vitB6_mg=0.08
| folate_ug=11
| choline_mg=5.1
| source_usda=1
| note=[http://ndb.nal.usda.gov/ndb/search/list?qlookup=09150&format=Full Link to USDA Database entry]
}}


১৯৪৭ সালে জেমস লিন্ডের [[স্কার্ভি|স্কার্ভিতে]] ভুগতে থাকা নাবিকদের উপর করা গবেষণাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ডায়েটে লেবুর রস যুক্ত করা হয়, যদিও [[ভিটামিন সি]] তখনও ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হিসাবে পরিচিত ছিল না। <ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=A treatise on the scurvy. Second edition.|শেষাংশ=James Lind|বছর=1757|প্রকাশক=A. Millar}}</ref>
==উপকারিতা==
লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে। গরম জলে একটু লেবুর রস পরিপাক প্রক্রিয়াকে কার্যকর করে আর যকৃতকে রাখে সতেজ। এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কার্যকর। লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন গোসল করার সময়। শরীরকে ঠাণ্ডা , আর আরাম দেয়। এছাড়া এই গুঁড়ো মাথাব্যথা দূর করে। ব্রণে লেবুর রস দিলে ব্রণ দূরীভূত হয়, নতুন ব্রণ উঠতে বাধা দেয়। এটি প্রাকৃতিক ত্বক পরিষ্কারকারি। ত্বকের কালো হওয়ার জন্যে দায়ী মেলানিন কমায় এবং মেলানিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ত্বক থাকে সজীব আর উজ্জ্বল। লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে। লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও আলসার সারাতে সাহায্য করে। লেবু শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, অন্ত্রনালী, লিভার ও পুরো শরীরকে পরিষ্কার রাখে। পেট ফোলাজনিত সমস্যা কমায়। রক্ত পরিশোধন করে। ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলে ভালো কাজ করে। শ্বাসনালীর ও গলার ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে। লেবু স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এটি রক্তচাপ ( ব্লাড পেসার) কমায় আর রক্তে এইচ ডি এল ( ভালো কোলেস্টেরল) বাড়ায়। কোলন, প্রোস্টেট এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবুর ভুমিকা রয়েছে করে। এটি কোষের নাইট্রোসো অ্য মিন প্রস্তুতিতে বাধা দেয়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লেবু কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এটি রক্তের শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি করে যা জীবাণু ধ্বংস করে। এছাড়া অ্যান্টিবডি উৎপাদনে সহায়তা করে। লেবু আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো ।গলার খুশখুশ দূর করতে হাল্কা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে গরগরা করলে গলার উপশম হয়। অথবা গরম চায়ে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কাজ হয়। লেবুর রসের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়।


মধ্যপ্রাচ্য ''lemon'' (লেবু) শব্দটির উৎস হতে পারে। <ref name="morton">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html#Description|শিরোনাম=Lemon in Fruits of Warm Climates|শেষাংশ=Julia F. Morton|বছর=1987|প্রকাশক=Purdue University|পাতাসমূহ=160–168}}</ref> শব্দটি আরবি ''laymūn'' বা ''līmūn'' এবং [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] ''līmūn'' থেকে প্রাচীন ফরাসি ভাষায় ''limon'' হয়ে তারপর ইতালিয়ান ''limone'' হয়;এটি সাইট্রাস জাতীয় ফলের জাতিগত নাম, যার একটি একজাতীয় সংস্কৃত নাম ''(nimbū,'' "লেবু ")। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.etymonline.com/index.php?term=lemon|শিরোনাম=Online Etymology Dictionary|শেষাংশ=Douglas Harper}}</ref>
হজমে সাহায্য করেঃ
দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। অন্যদিকে লেবু পাকস্থলি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আর বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে।


== বৈচিত্র্য ==
রোগ প্রতিরোধঃ
[[চিত্র:Citrus_x_limon_-_Köhler–s_Medizinal-Pflanzen-041.jpg|থাম্ব|310x310পিক্সেল| ফ্রেঞ্জ ইউজেন কোহলারের আঁকা লেবুর শ্রেনিবিন্যাসগত বিস্তারিত চিত্র।]]
সিট্রাস গোত্রের ফল যেমন লেবু, বাতাবি লেবু বা কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অসকর্বিক অ্যাসিড। ভিটামিন সি ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং অসকর্বিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন গ্রহণে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
'বনি ব্রাই' জাতের লেবু , আবদ্ধ মসৃণ, পাতলা খোসাযুক্ত এবং বীজবিহীন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/orangeitsculture00spalrich|শিরোনাম=The orange: its culture in California|শেষাংশ=Spalding|প্রথমাংশ=William A.|বছর=1885|প্রকাশক=Press and Horticulturist Steam Print|পাতা=[https://archive.org/details/orangeitsculture00spalrich/page/88 88]|সংগ্রহের-তারিখ=March 2, 2012}}</ref> এগুলির বেশিরভাগই আমেরিকার সান দিয়েগো কাউন্টিতে জন্মে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=zDjmYpZGh_4C&q=Bonnie%20Brae%20lemon&pg=PA195|শিরোনাম=Rational Diet: An Advanced Treatise on the Food Question|শেষাংশ=Carque|প্রথমাংশ=Otto|বছর=2006|প্রকাশক=[[Kessinger Publishing]]|পাতা=195|আইএসবিএন=978-1-4286-4244-7|সংগ্রহের-তারিখ=March 2, 2012}}</ref>


'ইউরেকা' জাতটি বছরব্যাপী এবং প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত পায়। এটি সুপারমার্কেটে প্রচলিত লেবু, <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.fourwindsgrowers.com/our-citrus-trees/lemon/principal-lemon-varieties.html|শিরোনাম=Complete List of Four Winds Dwarf Citrus Varieties|প্রকাশক=Fourwindsgrowers.com|সংগ্রহের-তারিখ=June 6, 2010}}</ref> সারা বছর জুড়ে একসাথে ফল ও ফুল উৎপাদন হওয়ার কারণে এটি 'ফোর সিজনস' ( ''কোয়াটর সায়সনস) নামেও পরিচিত।'' বাসাবাড়িতেও এই জাতের লেবুর গাছ পাওয়া যায়। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.telegraph.co.uk/gardening/3325753/Kitchen-garden-lemon-tree.html|শিরোনাম=Kitchen garden: lemon tree|শেষাংশ=Buchan|প্রথমাংশ=Ursula|তারিখ=January 22, 2005|কর্ম=The Daily Telegraph|সংগ্রহের-তারিখ=January 24, 2014|অবস্থান=London}}</ref> বৈচিত্র্যময় সবুজ এবং হলুদ রঙের খোসার গোলাপী শাঁসের ইউরেকা জাতের লেবুও আছে। <ref>[http://www.citrusvariety.ucr.edu/citrus/variegatedpink.html Vaiegated pink] at the [[Citrus Variety Collection]].</ref>
ক্ষারের সমন্বয়ঃ
শরীরে হাইড্রোজেনের পরিমাণের উপর অনেকাংশে সুস্থতা নির্ভর করে। সর্বমোট পিএইচ বা পাওয়ার অফ হাইড্রোজেন স্কেল হল ১ থেকে ১৪। মানবদেহে ৭ মাত্রার পিএইচ থাকা স্বাভাবিক। এর থেকে কম বা বেশি হলে শরীরে রোগের বিস্তার হতে ক্ষারের সমন্বয়ঃ শরীরে হাইড্রোজেনের পরিমাণের উপর অনেকাংশে সুস্থতা নির্ভর করে। সর্বমোট পিএইচ বা পাওয়ার অফ হাইড্রোজেন স্কেল হল ১ থেকে ১৪। মানবদেহে ৭ মাত্রার পিএইচ থাকা স্বাভাবিক। এর থেকে কম বা বেশি হলে শরীরে রোগের বিস্তার হতে পারে।


লিসবন লেবুর সাথে ইউরেকা এবং সুপারমার্কেটে অন্যান্য প্রচলিত লেবুর খুব মিল। এটি ইউরেকা জাতটির চেয়ে মসৃণ, খোসা পাতলা এবং এর বীজ কম থাকে বা থাকে না। সাধারণত এটিতে ইউরেকা জাতটির চেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://citrusvariety.ucr.edu/citrus/frostlisbon.html|শিরোনাম=frostlisbon|ওয়েবসাইট=citrusvariety.ucr.edu|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://harvesttotable.com/eureka_lemon_and_lisbon_lemon/|শিরোনাম=Eureka Lemon and Lisbon Lemon: Kitchen Basics|শেষাংশ=says|প্রথমাংশ=3 Easy Tips: How to Plant Lemon Seeds at Home Indoors or Outdoors|তারিখ=2007-02-01|ওয়েবসাইট=Harvest to Table|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-27}}</ref>
বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশনঃ
পানির মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়। লেবু হচ্ছে প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। তাছাড়া লেবুর সিট্রিক এসিড পাকস্থলি পরিষ্কার রেখে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।


'ফেমিনেলো সেন্ট টেরেসা' বা 'সোরেরেন্টো' <ref name="latimes">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.latimes.com/features/la-fo-limoncello8sep08,0,771590.story|শিরোনাম=Taste of a thousand lemons|তারিখ=September 8, 2004|কর্ম=[[Los Angeles Times]]|সংগ্রহের-তারিখ=November 21, 2011}}</ref> হল ইতালির স্থানীয় লেবুর একটি জাত। এই লেবুর খোসার উপরের অংশ তেলে ভরপুর। ঐতিহ্যগতভাবে এই জাতটি ''লিমোনসেলো'' তৈরিতে ব্যবহৃত ।
শক্তি বর্ধকঃ
পানি এবং লেবুর রস শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন যুক্ত করে। ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হয়।


'ইয়েন বেন' হল লেবুর একটি অস্ট্রেলিয়ান জাত। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ceventura.ucdavis.edu/ben/citrus/misc/new_zealand.htm|শিরোনাম=New Zealand Citrus|প্রকাশক=ceventura.ucdavis.edu|সংগ্রহের-তারিখ=June 13, 2010}}</ref>{{তথ্যছক পুষ্টি মান|name=লেবু,কাঁচা,খোসা ছাড়া|manganese_mg=0.03|source_usda=1|choline_mg=5.1|folate_ug=11|vitB6_mg=0.08|pantothenic_mg=0.19|niacin_mg=0.1|riboflavin_mg=0.02|thiamin_mg=0.04|vitC_mg=53|zinc_mg=0.06|kJ=121|potassium_mg=138|phosphorus_mg=16|magnesium_mg=8|iron_mg=0.6|calcium_mg=26|sugars=2.5 g|fiber=2.8 g|carbs=9.32 g|fat=0.3 g|protein=1.1 g|note=[http://ndb.nal.usda.gov/ndb/search/list?qlookup=09150&format=Full Link to USDA Database entry]}}
ত্বক সুন্দর করেঃ
দীর্ঘক্ষণ পানিশূণ্য থাকলে ত্বক ম্লান দেখায়। সকালে লেবুর শরবত খেলে এর ভিটামিন সি ত্বক সুস্থ রাখে। আর লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।


== পুষ্টি এবং ফাইটোকেমিক্যালস ==
==স্বাস্থ্য উপকারিতা==
লেবু [[ভিটামিন সি]] এর সমৃদ্ধ উৎস, যা 100 গ্রাম রেফারেন্স পরিমাণে (টেবিল) দৈনিক প্রয়োজনীয়তার 64% সরবরাহ করে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি পরিমাণে কম থাকে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-


লেবুতে পলিফেনলস, টের্পেনস এবং ট্যানিন সহ অসংখ্য ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Phytochemical analysis and radical scavenging profile of juices of ''Citrus sinensis'', ''Citrus anrantifolia'', and ''Citrus limonum''|vauthors=Rauf A, Uddin G, Ali J|বছর=2014|পাতা=5|doi=10.1186/2191-2858-4-5|pmc=4091952|pmid=25024932}}</ref> লেবুর রসে বাতাবিলেবুর রসের চেয়ে কিছুটা বেশি [[সাইট্রিক অ্যাসিড]] থাকে (প্রায় 47 গ্রাম/লিটার)। লেবুর রসে জাম্বুরার রসের প্রায় দ্বিগুণ এবং কমলার রসের প্রায় পাঁচগুণ বেশি সাইট্রিক এসিড পাওয়া । <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Quantitative Assessment of Citric Acid in Lemon Juice, Lime Juice, and Commercially-Available Fruit Juice Products|vauthors=Penniston KL, Nakada SY, Holmes RP, Assimos DG|বছর=2008|পাতাসমূহ=567–570|doi=10.1089/end.2007.0304|pmc=2637791|pmid=18290732}}</ref>
১. লেবুর রস চুলের দারুণ লাইটেনার হিসেবে করে। কোনো কিছু দেয়ার প্রয়োজন নেই। লেবুর রস চুলে দিয়ে নিন। এতে সূর্যের তাপ মাথাকে গরম করতে পারবে না।


== রন্ধনসম্পর্কীয় ব্যবহার ==
২. জেল ম্যানিকিউর নখকে দুর্বল করে দেয়। এতে নখ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লেবুর রস থাকতে ভয় নেই। অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এতে ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠবে।
লেবুর রস, বহিরাবরণ এবং খোসা বিভিন্ন ধরণের খাবার ও পানীয়তে ব্যবহৃত হয়। মারমালেড, লেবু দই এবং লেবু লিকার তৈরি করতে লেবুর সব অংশ ব্যবহৃত হয়। লেবু টুকরা এবং লেবুর খোসা খাবার এবং পানীয়ের গার্নিশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। লেবুর খোসার উপরের অংশ বা ফলের খোসার উপরের অংশ ঝাঁঝরি করে পাওয়া অংশ বেকড করা পণ্য, পুডিং, ভাত এবং অন্যান্য খাবারের স্বাদ যোগ করতে ব্যবহৃত হয়।


=== রস ===
৩. শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।
লেবুর রস শরবত, [[কোমল পানীয়]] এবং ককটেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মাছ মেরিনেড করার জন্য ব্যবহৃত হয়,এটির অ্যাসিড মাছের অ্যামাইনো যৌগগুলোকে অনুদ্বায়ী অ্যামোনিয়াম লবণে রূপান্তর করার মাধ্যমে নিরপেক্ষ করে। এটির অ্যাসিড মাংসের শক্ত কোলাজেন ফাইবারকে আংশিক হাইড্রোলাইজ করে এটিকে কোমল করে তোলে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencelearn.org.nz/resources/1945-fruit-enzymes-tenderise-meat|শিরোনাম=Fruit enzymes tenderise meat|ওয়েবসাইট=Science Learning Hub|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-14}}</ref> [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]], বিশেষত শ্রোভ মঙ্গলবারে, প্যানকেকে প্রায়শই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়, ।


লেবুর রস কিছু নির্দিষ্ট খাবার যেগুলো কেটে রাখলে বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয় এবং বাদামী হয়ে যায় (এনজাইমেটিক ব্রাউনিং ) সেগুলোর ক্ষেত্রে স্বল্প-মেয়াদী প্রিজারভেটিভ হিসাবেও ব্যবহৃত হয় যেমন: [[আপেল]], [[কলা]] এবং [[অ্যাভোকাডো]]। কারণ এর অ্যাসিড এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট করে ।
৪. চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কার কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে, যা তেলতেলে অংশ শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে।


=== খোসা ===
৫. লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
[[মরক্কো|মরোক্কোতে]] লেবুগুলি বয়াম বা নুনের পিপায় সংরক্ষণ করা হয়। লবণ খোসা ভেদ করে, সেটাকে নরম করে এবং তাদের ঠিক রাখে করে যাতে তারা প্রায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থায়ী হয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cooking.nytimes.com/recipes/1016212-preserved-lemons|শিরোনাম=Preserved Lemons Recipe|শেষাংশ=Moskin|প্রথমাংশ=Julia|ওয়েবসাইট=NYT Cooking|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-14}}</ref> সংরক্ষিত লেবুগুলো বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়। সিসিলিয়ান, ইতালিয়ান, গ্রীক এবং ফরাসি খাবারগুলিতেও সংরক্ষণ করা লেবু পাওয়া যেতে পারে।


পেকটিন তৈরিতেও খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।পেকটিন হল একধরনের পলিস্যাকারাইড যা জেলিং এজেন্ট এবং স্ট্যাবিলাইজার হিসাবে খাবার বা অন্যান্য পণ্যে ব্যবহৃত হয়। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Pectin recovery and characterization from lemon juice waste streams|শেষাংশ=Dimopoulou|প্রথমাংশ=Maria|শেষাংশ২=Alba|প্রথমাংশ২=Katerina|তারিখ=2019-11-01|পাতাসমূহ=6191–6198|doi=10.1002/jsfa.9891|issn=1097-0010|pmid=31250441}}</ref>
৬. বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তা ছাড়া অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। এসব বলিরেখা দূর করতে মানুষ কতো পয়সা খরচ করে দামি দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। কিছুটা কাজ হলেও নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।


=== তেল ===
৭. দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও ভালো কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানান। তার পর দাঁত মেজে দেখুন কী ফল দাঁড়ায়।
লেবুর খোসার তেলযুক্ত কোষ থেকে লেবুর তেল বের করা হয়। একটি মেশিনে কোষগুলিকে ভাঙা হয় এবং সব তেল বের করে আনতে পানির স্প্রে ব্যবহার করা হয় ।সেন্ট্রিফিউগেশন এর মাধ্যমে তেল জলের মিশ্রণটি ফিল্টার করে তেল আলাদা করা হয়। <ref>{{Citation|last=Tranchida|first=Peter Quinto|chapter=Advanced Analytical Techniques for the Analysis of Citrus Oils|title=Citrus Oils|year=2010|pages=482–516|publisher=CRC Press|doi=10.1201/b10314-16|isbn=978-1-4398-0029-4}}</ref>


=== পাতা ===
৮. মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসকসে হয়। এই অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন জাদুর মতো কাজ করবে।
লেবু গাছের পাতা চা তৈরি করতে এবং রান্না করা মাংস ও সামুদ্রিক খাবার প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।


== অন্যান্য ব্যবহার ==
৯. যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।


=== শিল্প ===
১০. ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে।
[[গাঁজন|গাঁজন-]] ভিত্তিক প্রক্রিয়াগুলো উন্নত হওয়ার আগে লেবু সাইট্রিক অ্যাসিডের প্রাথমিক বাণিজ্যিক উৎস ছিল। <ref name="Hofrichter2010">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=80XBNrGsIywC&pg=PA224|শিরোনাম=Industrial Applications|শেষাংশ=M. Hofrichter|বছর=2010|প্রকাশক=Springer|পাতা=224|আইএসবিএন=978-3-642-11458-8}}</ref>


=== সুগন্ধ ===
১১. নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্য হানি ঘটায়। লেবুর রস এসব ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে তাদের তুলে আনে। লেবুর রসের সঙ্গে আর কিছু মেশানোর প্রয়োজন নেই। বেশ ভালো করে ত্বকে রস দিয়ে ঘষুন।
লেবুর তেল অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লেবুর তেলের সুগন্ধ মানুষের [[অনাক্রম্যতন্ত্র|রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে]] প্রভাবিত করে না, <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Olfactory influences on mood and autonomic, endocrine, and immune function|শেষাংশ=Kiecolt-Glaser|প্রথমাংশ=J. K.|শেষাংশ২=Graham|প্রথমাংশ২=J. E.|বছর=2008|পাতাসমূহ=328–39|doi=10.1016/j.psyneuen.2007.11.015|pmc=2278291|pmid=18178322}}</ref> তবে উদ্বেগ মুক্ত করতে অবদান রাখতে পারে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Aromatherapy: A systematic review|শেষাংশ=Cooke|প্রথমাংশ=B|শেষাংশ২=Ernst|প্রথমাংশ২=E|বছর=2000|পাতাসমূহ=493–6|pmc=1313734|pmid=10962794}}</ref>


=== অন্যান্য ===
১২. মুখের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য এক টুকরো লেবুর রসের সঙ্গে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগান। ১৫ – ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলু্ন।
এমন একটি শিক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায রয়েছে যেখানে একটি লেবুতে তড়িৎদ্বার সংযুক্ত করে সেটিকে বিদ্যুত উৎপাদন করার জন্য [[ব্যাটারি]] হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যদিও খুব কম শক্তি উৎপন্ন হয়,তবে বেশ কয়েকটি লেবু ব্যাটারি হিসেবে কাজ করে একটি ছোট ডিজিটাল ঘড়িকে চালু রাখতে পারে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.energyquest.ca.gov/projects/lemon.html|শিরোনাম=Lemon Power|প্রকাশক=California Energy Commission|সংগ্রহের-তারিখ=December 7, 2014}}</ref> এই পরীক্ষাগুলো অন্যান্য ফল এবং শাকসবজির ক্ষেত্রেও কাজ করে।


তাপ প্রদান করে লেবুর রসকে সাধারণ অদৃশ্য কালি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.scientificamerican.com/podcast/episode/invisible-ink-and-other-science-of-10-04-20/|শিরোনাম=Invisible Ink and More: The Science of Spying in the Revolutionary War|শেষাংশ=Mirsky|প্রথমাংশ=Steve|তারিখ=April 20, 2010|ওয়েবসাইট=Scientific American|সংগ্রহের-তারিখ=October 15, 2016}}</ref>
১৩. মুখের ব্রন এবং ব্রনের দাগ সরানোর জন্য লেবুর রস ত্বকে মাখা একান্ত দরকার। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। লেবু কিংবা গাজরের রস অল্প একটু চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর হাত থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।


লেবুর রস চুলের স্বর্ণাভ রঙ বাড়াতে ব্যবহার করা যায়।আর্দ্রতাযুক্ত চুল সূর্যের আলোতে প্রকাশিত হওয়ার পর এটি প্রাকৃতিকভাবে রঙটি লক্ষণীয় করে তোলে। সাইট্রিক অ্যাসিড ব্লিচ হিসাবে কাজ করার কারণে এটি ঘটে। <ref name="GLAMOUR">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.glamourmagazine.co.uk/article/lemon-juice-in-hair|শিরোনাম=Here's how to lighten your hair at home with lemon juice (it actually works)|তারিখ=2020|ওয়েবসাইট=Glamour UK|প্রকাশক=Bianca London|সংগ্রহের-তারিখ=16 Sep 2020}}</ref> <ref name="Klorane Labratories">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.klorane.com/uk-en/feelgoodactgood/does-lemon-juice-really-lighten-hair|শিরোনাম=Does lemon juice really lighten hair?|তারিখ=2020|প্রকাশক=Klorane Laboratories|সংগ্রহের-তারিখ=18 Sep 2020}}</ref>
১৪. আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে আদ্রতা আনবে। মেক আপ করার আগে মুখে এই রূপটানটি লাগালে মুখ উজ্জল হবে।
হজমে সহায়ক : 
শরীর থেকে অযাচিত পদার্থ এবং টক্সিন বের করে দেয় লেবুর রস। আমাদের হজমের জন্য ব্যবহৃত লালা এবং পাচক রসের সাথে বেশ মিল আছে এর গঠন এবং কাজের। আর যকৃত থেকে হজমে সহায়ক এক ধরনের পদার্থ নিঃসরণেও এটি সহায়তা করে।


== উদ্যানপালনবিদ্যা ==
১৫. ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে
লেবুর বেড়ে উঠতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় {{রূপান্তর|7|C|F}} থাকা প্রয়োজন, তাই তারা সারাবছর উষ্ণ জলবায়ুতে শক্ত থাকে না, তবে তারা পরিণত হওয়ার সাথে সাথে শক্ত হয়ে ওঠে। <ref name="rhs">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rhs.org.uk/advice/grow-your-own/fruit/citrus|শিরোনাম=Citrus|তারিখ=2017|প্রকাশক=Royal Horticultural Society|সংগ্রহের-তারিখ=19 April 2017}}</ref> সাইট্রাস জাতীয় উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে লম্বা ডালটি উপর থেকে কেটে কেটে গাছটিকে ঝোপের মতো বৃদ্ধি পেতে দিতে হয় এবং অন্তত বেশি লতাপাতা যুক্ত ডালগুলো ছাঁটাই করতে হয়। পুরো গ্রীষ্ম জুড়ে সবচেয়ে সতেজভাবে বর্ধনশীল অংশগুলোর আগা ভেঙে দিলে তা গাছটি অনেক বেশি আচ্ছাদিত হয়ে বেড়ে ওঠানিশ্চিত করে। যেহেতু পরিপক্ক গাছে অযাচিত, দ্রুত বর্ধনশীল ছোট ছোট কচি ডাল বেড়ে উঠতে পারে ("ওয়াটার শুট" নামেও পরিচিত), তাই সেগুলো গাছের নীচের বা মাঝের মূল শাখা থেকে তুলে ফেলা হয়।
শরীরে মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া মূত্রনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক।


রঙ-ভিত্তিক সহানুভূতিমূলক যাদুর ফলস্বরূপ লেবু গাছের কাছে প্রস্রাব করার প্রথাটি <ref>
১৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : 
{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=1w2jBgAAQBAJ|শিরোনাম=The Little Veggie Patch Co.|শেষাংশ=Capomolla|প্রথমাংশ=Fabian|শেষাংশ২=Pember|প্রথমাংশ২=Matthew|তারিখ=2011|প্রকাশক=Plum|পাতা=129|অধ্যায়=Lemon|আইএসবিএন=9781742628417|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-27}}
লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও লৌহ, যা ঠাণ্ডাজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরও আছে পটাসিয়াম, যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড প্রদাহ দূর করে এবং অ্যাজমা বা এ জাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়। এছাড়াও কফ কমাতে সাহায্য করে লেবু।
</ref> <ref>
{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=J5MtDwAAQBAJ|শিরোনাম=Growing Food the Italian Way|শেষাংশ=Capomolla|প্রথমাংশ=Fabian|তারিখ=2017|ধারাবাহিক=The Hungry Gardener|প্রকাশক=Plum|পাতা=168|আইএসবিএন=9781760554903|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-27}}
</ref> <ref>
[[The World's Fastest Indian]] - "Munro was never known to actually urinate on his lemon tree; film director Roger Donaldson added that detail as a tribute to his own father, who did."
</ref> চালু হয়ে পারে থাকতে পারে।


[[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] "মায়ার" <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rhs.org.uk/Plants/29386/i-Citrus-i-×-i-limon-i-Meyer-(F)/Details|শিরোনাম=RHS Plantfinder - Citrus × limon 'Meyer'|সংগ্রহের-তারিখ=30 January 2018}}</ref> এবং "ভ্যারিগাটা" <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rhs.org.uk/Plants/90013/i-Citrus-i-×-i-limon-i-Variegata-(F-v)/Details|শিরোনাম=RHS Plantfinder - Citrus × limon 'Variegata'|সংগ্রহের-তারিখ=30 January 2018}}
১৭. শরীরের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখে : 
</ref> জাত দুটির চাষাবাদে রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির অ্যাওয়ার্ড গার্ডেন মেরিট অর্জিত হয়েছে (২০১৭ সালে নিশ্চিতকৃত )। <ref>
এর অর্থ হলো শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখে লেবু। লেবু হজম হয়ে যাবার পর কিন্তু আর অম্লীয় থাকে না, ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে এটি রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের অম্লতা বাড়তে দেয় না। অম্লতা বেড়ে গেলেই দেখা দেয় রোগ।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rhs.org.uk/plants/pdfs/agm-lists/agm-ornamentals.pdf|শিরোনাম=AGM Plants - Ornamental|তারিখ=July 2017|প্রকাশক=Royal Horticultural Society|পাতা=20|সংগ্রহের-তারিখ=24 January 2018}}
</ref>


== উৎপাদন ==
১৮. ত্বক পরিষ্কার করে : 
{| class="wikitable" style="float:right; width:290px; margin:10px"
ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী।
! colspan="2" |লেবুর উৎপাদন, ২০১৮
<small>(লক্ষ টন)</small>
|-
! style="background:#ddf; width:75%;" |<center>দেশ</center>
! style="background:#ddf; width:25%;" |<center>২০১৮</center>
|-
|<center>{{IND}}</center>
|<center>৩১</center>
|-
|<center>{{MEX}}</center>
|<center>২৫</center>
|-
|<center>{{CHN}}</center>
|<center>২৫</center>
|-
|<center>{{ARG}}</center>
|<center>২০</center>
|-
|<center>{{BRA}}</center>
|<center>১৫</center>
|-
|<center>{{TUR}}</center>
|<center>১১</center>
|-
|- style="background:#ccc;"
|<center>'''[[বিশ্বে]]'''</center>
|<center>'''১৯৪'''</center>
|-
| colspan="2" style="font-size:90%" |
|}
২০১৮ সালে, বিশ্বে লেবুর উৎপাদন ( প্রতিবেদনের জন্য বাতাবিলেবুর সাথে একত্রে হিসাব করে) ছিল 19.4 মিলিয়ন [[মেট্রিক টন|টন]] ।<ref name="faostat18" /> শীর্ষ উৎপাদক ছিল ভারত, মেক্সিকো, চীন, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং তুরস্ক; যারা সম্মিলিতভাবে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ৬৫% উৎপাদন করেছিল। <ref name="faostat18">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.fao.org/faostat/en/#data/QC|শিরোনাম=World production of lemons and limes in 2018; Crops/Regions/World/Production Quantity from pick lists|তারিখ=2019|প্রকাশক=Food and Agriculture Organization of the United Nations, Statistics Division (FAOSTAT)|সংগ্রহের-তারিখ=19 February 2020}}</ref>


== একজাতীয় ফল ==
১৯. আপনার মন ভালো করে দেয় : 
অনেক গাছের স্বাদ বা গন্ধ লেবুর মতো হয়ে থাকে।
সকালেই প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লেবু। আর এর গন্ধে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে নিমিষেই। দুশ্চিন্তা এবং বিষণœতা দূরীকরণেও এটি অসামান্য।


* বাতাবিলেবু হল আরেকটি প্রচলিত টক সাইট্রাসজাতীয় ফল, লেবুর মতো একইভাবে ব্যবহার করা হয়।
২০. ক্ষতস্থান সেরে ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে ক্ষতস্থান সেরে তুলতে সাহায্য করে অ্যাসকরবিক এসিড। আর হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি সহায়ক। স্ট্রেস এবং যে কোনো ধরনের ব্যথার উপশম করে ভিটামিন সি।
** [[কাফির লেবু|কাফির লেবুর]] পাতা: পূর্ব এশিয়ার প্রচলিত খাবার
* [[তুলসী]]<nowiki/>র নির্দিষ্ট কিছু জাত
* সুমাক ফল, ইউরোপীয়দের লেবু সম্পর্কে জানার অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হত
* ''সাইম্বোপোগন'' (লেমনগ্রাস)
* লেমন বাল্ম, ল্যামিয়াসি পরিবারের পুদিনার মতো বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ
* সুগন্ধি জেরানিয়ামের দুটি প্রকারভেদ: ''পেলের্গোনিয়াম ক্রিসপাম'' (লেমন জেরানিয়াম) এবং ''পেরারগনিয়াম'' ও ''মেলিসিনাম'' (লেমন বাল্ম)
* লেবুর সুগন্ধি পত্রযুক্ত গুল্ম <ref name="Morgan and McCormick 2015">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Homegrown Herb Garden: A Guide to Growing and Culinary Uses|শেষাংশ=Lisa Baker Morgan|শেষাংশ২=Ann McCormick|তারিখ=15 January 2015|প্রকাশক=Quarry Books|পাতাসমূহ=148–|আইএসবিএন=978-1-59253-982-6}}</ref>
* [[লেবু ভারবেনা|লেবু গুল্ম]]
* [[পুদিনা (রং)|পুদিনার]] নির্দিষ্ট কিছু জাত
* ''[[উদয়পদ্ম|ম্যাগনোলিয়া গ্র্যান্ডিফ্লোরা]]'' গাছের ফুল


== অন্যান্য যেসব সাইট্রাসকে 'লেবু' বলা হয় ==
২১. নিঃশ্বাসে আনে তরতাজা ভাব : 
লেবুর রস নিঃশ্বাসে সতেজতা আনা ছাড়াও, এভাবে গরম পানির সাথে লেবুর রস পানে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়। তবে এটা পানের পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না, কারণ সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। আগে দাঁত ব্রাশ করে তারপর এটা পান করা ভালো। আর লেবুপানি পান করার পর বিশুদ্ধ পানি খেতে পারেন এক গ্লাস।


* চ্যাপ্টা লেবু,এটি মান্ডারিন একটি সংকর জাত
২২. শরীরে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে : 
* [[এলাচি লেবু|মায়ার লেবু]], একটি সিট্রন এবং ম্যান্ডারিন / পোমেলোর মধ্যে সংকরায়নে প্রাপ্ত এক ধরনের লেবু যা টক বা মিষ্টি কমলা থেকে আলাদা। <ref name="limes and lemons">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Phylogenetic origin of limes and lemons revealed by cytoplasmic and nuclear markers|শেষাংশ=Curk|প্রথমাংশ=Franck|শেষাংশ২=Ollitrault|প্রথমাংশ২=Frédérique|বছর=2016|পাতাসমূহ=565–583|doi=10.1093/aob/mcw005|pmc=4817432|pmid=26944784}}</ref> এটির নামকরণ ফ্রাঙ্ক এন.মায়ারের নামানুসারে করা হয়, তিনিই এটি প্রথম ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবর্তন করেছিলেন। মায়ার লেবু পাতলা চামড়াযুক্ত ও লিসবন এবং ইউরেকা লেবুগুলির তুলনায় কিছুটা কম অ্যাসিডিক। শিপিংয়ের সময় মায়ার লেবুর ক্ষেত্রে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয় না। মায়ার লেবু পরিপক্ক হলে প্রায়শই হলুদ-কমলা রঙের হয়। তারা কিছুটা বেশি হিম-সহনশীল।
রাতে ঘুমানোর সময়ে যে পানি খরচ হয় সেটা পূরণ হয়ে যায় সকাল সকাল এই এক গ্লাস লেবু পানি পানের মাধ্যমে।
* পন্ডেরোসা লেবু, এই জাতের লেবু আসল লেবুর চেয়ে বেশি শীত সংবেদনশীল; ফলগুলো ঘন চামড়াযুক্ত এবং খুব বড়। জিনগত বিশ্লেষণে এটিকে সিট্রন এবং পোমেলোর একটি জটিল সংকর হিসাবে দেখা যায়।
* রুক্ষ লেবু, এটি সিট্রন-ম্যান্ডারিন এর সংকরায়নে তৈরি, শীত-সহনশীল এবং প্রায়শই সাইট্রাসের কলম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
* মিষ্টি লেবু বা মিষ্টি বাতাবিলেবু হল একটি মিশ্র শ্রেণী, যাতে রয়েছে লুমিয়া (নাশপাতি লেবু), লিমেটা, এবং ফিলিস্তিনি মিষ্টি লেবু । তাদের মধ্যে জাফা লেবুও আছে যেটি পোমেলো-সিট্রন এর একটি সংকর জাত।
* ভোলকামার লেবু, রুক্ষ লেবুর মতোই তবে এটি সিট্রন-মান্ডারিন এর সংকর।


== চিত্রশালা ==
২৩. ওজন কমাতে সহায়ক : 
[[চিত্র:Jacob_Foppen_van_Es_-_Still_life_with_pitcher.jpg|থাম্ব| জ্যাকব ফপ্পেন ভ্যান এস: লাইফ স্টিল উইথ পিচার]]
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বাড়ে বেশি।
<gallery widths="150" heights="120">
চিত্র:Flowers blossoms.jpg|ফুল
চিত্র:Lemon-citrus limon seedling.jpg|লেবু চারা
চিত্র:P2101990,lemon.jpg|পরিপক্ক লেবু
চিত্র:Citrus limon - Lemon tree - Limonero - Limoeiro.JPG|পূর্ণ আকারের গাছ
চিত্র:Citrus x limon 'Variegated Pink' - Lemon.jpg|[[Variegated|বিভিন্ন ধরণের]] গোলাপী লেবু
চিত্র:Lemon 2 Bangladesh .jpg|পাতা সহ লেবু
</gallery>


== আরো দেখুন ==
==লেবুর শরবত==
আমাদের দেশে নানান জাতের লেবু পাওয়া যায়। যেমন-কমলা লেবু, পাতি লেবু, বাতাবি লেবু, কাগজী লেবু ইত্যাদি। লেবুতে প্রচুর পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার। এতে রয়েছে [[ভিটামিন সি]] এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান সমূহ (যেমন- ফ্ল্যাভনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস) যাহা আমাদের হৃদপিন্ড, ফুসফুস, দাঁত, ত্বক প্রভৃতির জন্য খুবই উপকারী। তবে আমরা লেবুর শরবত কেন খাবো এমন প্রশ্নের উত্তরে নিম্নের বিষয়গুলো বর্ণণা করা হল:


* [[টমেটো]]
এক গ্লাস '''লেবুর শরবতের উপকারীতাঃ'''
* [[কামরাঙ্গা]]

* [[কমলা লেবু]]
'''দেহের ওজন কমায়ঃ''' আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই মোটা। শরীরের গঠন ও কাঠামো অনুযায়ী ওজন বেশি থাকে। আর বাড়তি ওজনের জন্য নানান প্রকার রোগ-ব্যাধি শরীরের বাসা বাধে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়তি ওজন কমাতে নানা প্রকার ঔষধ সেবন করে থাকে। এতে অনেকে উপকৃত হন আবার অনেকে প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু লেবু যে আমাদের ওজন কমাতে ঔষধের চেয়েও বেশি কার্যকরী তাহা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। তাই বাড়তি ওজন কমাতে ঔষধের চেয়ে লেবুকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। লেবু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। তাছাড়া লেবুতে প্রচুর পরিমানে অাঁশ জাতীয় পদার্থ প্যাকটিন থাকে, যাহা ক্ষদা কমায়। আর ক্ষুদা কম থাকলে খাওয়াও কম হবে আর ওজন কমবে। তাই প্রতিবারে খাবারের প্লেটে লেবু রাখতে হবে। অথবা লেবুর শরবত করে খেতে হবে। কুসুম কুসুম গরম পানিতে লেবু চিবিয়ে শররব করে তার সাথে সামান্য পরিমানে মধু মিশ্রিত করে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
* [[আনারস]]

* [[আপেল]]
'''ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ''' আঁশ জাতীয় খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। ভিটামিনের মধ্যে এ, সি, ই, বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খাবার পাকস্থলি, মলদ্বার, জরায়ু, লিভার, স্তন, প্রোস্টেট, ফুসফুস ও অগ্নাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান। আর ভিটামিন সি এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যাহা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। লেবুর শরবত ক্যান্সারের কোষ গুলোকে ধ্বংস করে।

'''পিত্তথলির পাথর দূর করেঃ''' পিত্তরস খাবার হজমে বিশেষ করে চর্বি জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। আর লেবুর রসে রয়েছে চর্বি বিরোধী উপাদান, যাহা চর্বিকে গলাতে সাহায্য করে। তাছাড়া পিত্তথলির পাথর দূর করতে দরকার উচ্চ ফাইবার বা অাঁশযুক্ত খাবার। যাহা লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।

'''ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি উপশম করেঃ''' শীতকালে বেশিরভাগ মানুষেরই জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যাথা, টনসিল, শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চায়ের মত খেলে পারলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। অল্পতেই সর্দি কাশি ও গলাব্যাথা দূর হয়ে যাবে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যাহা সর্দি কাশি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া লেবু স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুস পরিষ্কার করে [[এ্যাজমা]] সমস্যার উপশম করে।

'''ক্লান্তি দূর করেঃ''' বেশিক্ষণ গরমে বা রোধে থাকলে মানুষ খুব ক্লান্তিবোধ করে। তখন একগ্লাস লেবুর শরবত পান করলেই নিমিষেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাছাড়া মানসিক চাপ ও দুশ্চিতা দূর করে লেবু। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। মানসিক চাপের কারণে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দেয়। লেবু তা নিমিষেই পূরণ করে দেয়। ফলে পুনরায় দেহ ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

'''রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ''' লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে [[ভিটামিন]] সি, [[আয়রন]], [[ক্যালসিয়াম]], [[ম্যাগনেসিয়াম]], [[পটাসিয়াম]] ও [[ফসফরাস]],[[ফলিক এসিড]], [[অ্যাসকরবিক এসিড]] ইত্যাদি। ভিটামিন সি ও আয়রন জ্বর ভাল করে, পটাসিয়াম [[মস্তিষ্ক]] ও স্নায়ুকোষকে সক্রিয় রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাসকরভিক এসিড শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ, যাবতীয় ব্যাথা জনিত অসুবিধা দূর করে। তাজা লেবুর রস দাঁতের ব্যাথার উপশম করে। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপড়া বন্ধ করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

'''লেবুর শরবতের অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছেঃ'''
*কৃমির আক্রমণ হতে রক্ষা করে।
*লিভার ইনফেকশন দূর করে।
*হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
*বদহজম, বুক জ্বালার সমস্যার সমাধান করে।
*গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে।
*হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
*ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়।
*ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।<ref>[https://free.facebook.com/story.php?story_fbid=123746682467093&id=100044952842295&refid=17&_ft_=mf_story_key.123746682467093%3Atop_level_post_id.123746682467093%3Atl_objid.123746682467093%3Acontent_owner_id_new.100044952842295%3Athrowback_story_fbid.123746682467093%3Astory_location.4%3Athid.100044952842295%3A306061129499414%3A2%3A0%3A1580543999%3A-3082044323175106403&__tn__=%2As-R|Free Facebook]</ref>

===লেবুর শরবতের আরও উপকারিতা===
১. এই সরবতটি শুধুমাত্র Human gastrointestinal tract কেই উদ্দিপ্ত করে না, এই সরবত যকৃত পরিষ্কার রাখে এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া এটি পাচক ও হজম সহায়ক এসিড তৈরি করে খাবার হজম ও বর্জনে সাহায্য করে।

২. সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল যেমন লেবুতে অনেক বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি এবং এস্করবিক এসিড থাকে। ভিটামিন সি ঠাণ্ডা জ্বর থেকে রক্ষা করে দেহকে এবং এস্করবিক এসিড আয়রন শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধের অংশ।

৩. আপনার শরীরে্র যদি পিএইচ এর মাত্রা যদি ঠিক না থাকে তবে অনেক রকম অসুখ হতে পারে। যদিও লেবু এসিডিক তথাপি এটি দেহের মধ্যে ক্ষারীয় ভাব আনে এবং শরীর এর পি.এইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে।

৪. লেবু পানি একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। অর্থাৎ এটি আপনার শরীরকে পরিষ্কার করে এবং সেই সাথে বিষক্রিয়া জাতীয় পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। সাইট্রিক এসিড গুলো লিভারের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম গুলো বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

৫. অনেকেই নিজের সকালের কফি বা চা ছাড়তে দ্বিধা বোধ করেন, কিন্তু অনেকেই খুব সহজে কয়েকদিন লেবু পানি পান করে এই মারাত্মক অভ্যাসটা ছেড়ে দিতে পারেন। লেবু এবং পানির এই মিশ্রণটা পরিশুদ্ধ ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত তৈরি করে। যার ফলে সারাটি দিন অনেক ফুরফুরে এবং সতেজ লাগে।[wp_ad_camp_2]

৬. যাদের মধ্যে পানি শুন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের দেহের চামড়া অনেক রুক্ষ হয়ে থাকে এবং ফাটা ফাটা দেখা যায়। তারা তাদের দিনের শুরুটা করুন ১ গ্লাস হালকা গরম পানি, মধু এবং লেবুর সরবত দিয়ে, ভিটামিন সি চামড়া সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং এন্টিওক্সিডেন্ট বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।

৭. যাদের বাতের/ হাঁটুতে ব্যথা আছে বা প্রদাহ/ফুলে যায় তাদের জন্য এই সরবত উপকারী। কারণ লেবু পানি ইউরিক এসিড কমিয়ে বা দূর করে দেয় ফলে ব্যথা কম হয়ে যায়।

৮. লেবু পানিতে বেশ পরিমাণ পেক্টিন জাতীয় আঁশ আছে যা কলোন এর জন্য ভালো এবং এটি অনুজীব প্রতিহত করে।

৯. লেবু পানি সাথে সাথেই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। কখনো শরীর দুর্বল মনে হলে বা মাথা ঘুরালে সে সময় ১ গ্লাস লেবু সরবত মেডিসিনের মত কাজ করে এবং দেহে চনমনে ভাব চলে আসবে, কারণ এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা মস্তিষ্কের নার্ভকে উদ্দিপ্ত করে।

১০. মাইগ্রেনের সমস্যায় এটি অনেক উপকারী। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় লেবুর সরবত খেলে লেবু ও চিনি ব্রেইনের নার্ভকে আরাম দেয় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

১১. সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস হালকা গরম লেবু পানি ওজন কমাতে সাহয্য করে।

তাই দেরি না করে আজই শুরু কসুরু এই ভাল অভ্যাসটি ।

==সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে লেবুর উপকারিতা==
১. ঠোঁটের শুষ্কতা রোধে
অনেক কারণেই বা অনেক প্রসাধনী ব্যবহারে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে পড়ে। ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে।

২. বগলের ত্বকে গন্ধ রোধে
বগলের নিচে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এটি কালোভাব দূর করবে এবং ডিওডরেন হিসেবেও কাজ করবে। লেবু দুর্গন্ধ তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করতে সাহায্য করে। লেবুর রস, মধু এবং ওটমিলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে বগলের ত্বকে লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

৩. ব্ল্যাক হেডস দূর করতে
লেবু ত্বককে পরিষ্কার করে, টক্সিন দূর করে ব্ল্যাক হেডসের সঙ্গে যুদ্ধ করে। ব্ল্যাক হেডসের ওপর ১০ মিনিট লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন। তবে এ অবস্থায় রোদে যাবেন না। কেননা এতে ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল তৈরি হবে।

৪. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য লেবু খুব উপকারী। ঘুমের আগে একটুকরো লেবু রস করে তুলার মধ্যে লাগিয়ে মুখে লাগান। এভাবে সারা রাত রাখুন। এতে তৈলাক্ততা রোধ হবে।

৫. নখকে শক্ত করতে
নখের জন্য লেবু খুবই কার্যকরী জিনিস। এটি নখকে শক্ত করে এবং সাদাভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নখে লাগাতে পারেন।

৬. দাগ দূর করতে
লেবুর রস দাগের ওপর ১৫ মিনিট লাগান। এটি দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহারের ভালো সময় রাতের বেলা। কেননা সূর্যের আলো বিপরীত কাজ করতে পারে।

৭. চুলে লাগান
চুলের জন্যও লেবু খুব উপকারী। চুলে সামান্য লেবুর রস লাগিয়ে রোদে বের হতে পারেন। এর ফলে চুল ঝলমলে দেখাবে। ভালো ফলাফলের জন্য এক সপ্তাহ এটি ব্যবহার করতে পারেন।

== লেবুর খোসা উপকারিতা ==
লেবুর খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন, ফাইবার এবং মিনারেলস। লেবুর রসের এসব উপাদান শরীরের নিরাময় এবং আরোগ্যে কাজ করে। লেবুর খোসা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। তাই লেবুর খোসা খাওয়া হার্টের জন্য ভালো। এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। লেবুর খোসায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা, ফ্ল‌ু এবং গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর খোসার মধ্যে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব রোধেও সহায়তা করে। লেবুর খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে পেকটিন রয়েছে তা অন্ত্রের শর্করা শোষণ করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যও লেবুর খোসা বেশ ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাকে সাহায্য করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদার ৩০ শতাংশ লেবু পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর আছে নিরাময় ক্ষমতা। এটি প্রোটিনের বাঁধনে সাহায্য করে, যা টেনডনস, লিগামেন্ট এবং ত্বকের জন্য ভালো। লেবুর খোসা ত্বকের কালো দাগ, বলি রেখা, বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। <ref>লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই</ref>

==চিত্রশালা==
[[চিত্র:13-09-01-kochtreffen-wien-RalfR-02.jpg|thumb|left]]
[[চিত্র:A Green Lemon.jpeg|thumb|কাঁচা সবুজ লেবু]]
[[চিত্র:Lemon 2 Bangladesh .jpg|thumb|গাছে ঝুলে আছে লেবু।]]
[[চিত্র:Lemon, Dhaka. .jpg|thumb|কয়েকটি লেবু, ঢাকা]]
<gallery widths="150px" heights="120px">
File:Flowers blossoms.jpg|ফুল
File:Lemon-citrus limon seedling.jpg|লেবুর চারাগাছ
File:P2101990,lemon.jpg|পাকা লেবু
File:Citrus limon - Lemon tree - Limonero - Limoeiro.JPG|পরিপূর্ণ গাছ
File:Citrus x limon 'Variegated Pink' - Lemon.jpg|[[Variegated]] pink lemon
</gallery>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
২৮৬ নং লাইন: ১৬৬ নং লাইন:


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Lemon|লেবু}}
* [http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/lemon.html (Purdue University)] [[Julia Morton|Morton, Julia F.]] 1987. "Lemon". pp.&nbsp;160–168, in ''Fruits of warm climates''. (Julia F. Morton, Miami)
* [http://davesgarden.com/pf/go/49905/ PlantFiles: Citrus x meyeri 'Meyer']

{{অসম্পূর্ণ}}


* {{Wikispecies-inline|Citrus × limon}}
[[বিষয়শ্রেণী:সাইট্রাস]]
* {{Cite EB1911|wstitle=Lemon|volume=16|pages=413–415|ref=none|short=1}}
[[বিষয়শ্রেণী:সবজি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ফলদ বৃক্ষ]]
[[বিষয়শ্রেণী:টক ফল]]
[[বিষয়শ্রেণী:ক্রান্তীয় কৃষি]]
[[বিষয়শ্রেণী:সাইট্রাস হাইব্রিড]]
[[বিষয়শ্রেণী:লেবু]]
[[বিষয়শ্রেণী:লেবু]]
[[বিষয়শ্রেণী:রুটেসি]]

০৫:৫৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ


লেবু (সাইট্রাস লিমন ) মূলত রুটেসি পরিবারের ছোট চিরসবুজ সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি প্রজাতি। এটি দক্ষিণ এশিয়া সাধারণত, উত্তর পূর্ব ভারতের একটি স্থানীয় গাছ।

এই গাছের উপবৃত্তাকার হলুদ ফলটি সারা বিশ্বে রান্নার কাজ এবং রান্নার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়; মূলত এটির রসের জন্য। এটির রস রান্না ও পরিষ্কারের উভয় কাজেই ব্যবহার করা হয়। [১] লেবুর শাঁস এবং খোসাও রান্না এবং বেকিংয়ে ব্যবহৃত হয়। লেবুর রসে প্রায় ২.২ পিএইচ এর প্রায় ৫% থেকে ৬% সাইট্রিক অ্যাসিড, যার কারণে এটি টক স্বাদযুক্ত হয়। লেবুর রস টক স্বাদযুক্ত হওয়ায় এটিকে পানীয় এবং খাবার, যেমন লেবুর শরবত এবং 'লেবু মেরিংয়ে পাইয়ের' মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।চট্টগ্রাম অঞ্চলে লেবুকে "হঁজি" বলে। নোয়াখালীতে লেবুকে "কাগজী" বলে।

ইতিহাস

লেবুর বাহিরের পৃষ্ঠ এবং প্রস্থচ্ছেদ

লেবুর উৎপত্তি অজানা, যদিও লেবু আসামে (উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি অঞ্চল), উত্তর বার্মা বা চীনে প্রথম জন্মেছিল বলে ধারণা করা হয়।[১] বাংলাদেশে প্রথম লেবু জন্মেছিলো নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায়। একটি জিনোমিক গবেষণায়, এটি (টক কমলা) ও সাইট্রনের মধ্যে একটি সংকর বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।[২] [৩]

খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর পরে, প্রাচীন রোমের সময়কালে, দক্ষিণ ইতালির নিকট হয়ে লেবু ইউরোপে প্রবেশ করে। [১] তবে সেগুলো ব্যাপকভাবে চাষ করা হত না। পরে পারস্য, তারপরে ইরাকমিশরে ৭০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে লেবুর প্রচলন করা হয়। সাহিত্যে সর্বপ্রথম লেবুর বর্ণনা পাওয়া যায় আরবি ভাষায় লিখিত একটি প্রবন্ধে। ইসলামের প্রাথমিক যুগের বাগানগুলোতে লেবু গাছকে শোভাবর্ধক গাছ হিসেবে লাগানো হত। ১০০০-১১৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এটি আরব ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। স্পেনের আন্দালুসিয়ায় লেবু ও বাতাবিলেবু গাছের চাষ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ ইবনে আল-আওওয়ামের দ্বাদশ শতাব্দীর কৃষি বিষয়ক বই বুক অন এগ্রিকালচারে প্রকাশিত হয়েছে। [৪]

পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপের জেনোভায় প্রথম লেবুর পর্যাপ্ত চাষ শুরু হয়। পরে ১৪৯৩ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস হিস্প্যানিওলায় তাঁর ভ্রমণে লেবুর বীজ নিয়ে আসলে আমেরিকায় লেবুর প্রচলন ঘটে। স্প্যানিশ বিজয় পুরো বিশ্ব জুড়ে লেবুর বীজ ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছিল। এটি মূলত একটি শোভাবর্ধক উদ্ভিদ এবং ওষুধের জন্য ব্যবহৃত হত। [১] উনিশ শতকে ফ্লোরিডা এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্রমবর্ধমানভাবে লেবু রোপণ করা হয়।

১৯৪৭ সালে জেমস লিন্ডের স্কার্ভিতে ভুগতে থাকা নাবিকদের উপর করা গবেষণাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ডায়েটে লেবুর রস যুক্ত করা হয়, যদিও ভিটামিন সি তখনও ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হিসাবে পরিচিত ছিল না। [১] [৫]

মধ্যপ্রাচ্য lemon (লেবু) শব্দটির উৎস হতে পারে। [১] শব্দটি আরবি laymūn বা līmūn এবং ফার্সি līmūn থেকে প্রাচীন ফরাসি ভাষায় limon হয়ে তারপর ইতালিয়ান limone হয়;এটি সাইট্রাস জাতীয় ফলের জাতিগত নাম, যার একটি একজাতীয় সংস্কৃত নাম (nimbū, "লেবু ")। [৬]

বৈচিত্র্য

ফ্রেঞ্জ ইউজেন কোহলারের আঁকা লেবুর শ্রেনিবিন্যাসগত বিস্তারিত চিত্র।

'বনি ব্রাই' জাতের লেবু , আবদ্ধ মসৃণ, পাতলা খোসাযুক্ত এবং বীজবিহীন। [৭] এগুলির বেশিরভাগই আমেরিকার সান দিয়েগো কাউন্টিতে জন্মে। [৮]

'ইউরেকা' জাতটি বছরব্যাপী এবং প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত পায়। এটি সুপারমার্কেটে প্রচলিত লেবু, [৯] সারা বছর জুড়ে একসাথে ফল ও ফুল উৎপাদন হওয়ার কারণে এটি 'ফোর সিজনস' ( কোয়াটর সায়সনস) নামেও পরিচিত। বাসাবাড়িতেও এই জাতের লেবুর গাছ পাওয়া যায়। [১০] বৈচিত্র্যময় সবুজ এবং হলুদ রঙের খোসার গোলাপী শাঁসের ইউরেকা জাতের লেবুও আছে। [১১]

লিসবন লেবুর সাথে ইউরেকা এবং সুপারমার্কেটে অন্যান্য প্রচলিত লেবুর খুব মিল। এটি ইউরেকা জাতটির চেয়ে মসৃণ, খোসা পাতলা এবং এর বীজ কম থাকে বা থাকে না। সাধারণত এটিতে ইউরেকা জাতটির চেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়। [১২] [১৩]

'ফেমিনেলো সেন্ট টেরেসা' বা 'সোরেরেন্টো' [১৪] হল ইতালির স্থানীয় লেবুর একটি জাত। এই লেবুর খোসার উপরের অংশ তেলে ভরপুর। ঐতিহ্যগতভাবে এই জাতটি লিমোনসেলো তৈরিতে ব্যবহৃত ।

'ইয়েন বেন' হল লেবুর একটি অস্ট্রেলিয়ান জাত। [১৫]

লেবু,কাঁচা,খোসা ছাড়া
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান
শক্তি১২১ কিজু (২৯ kcal)
৯.৩২ g
চিনি২.৫ g
খাদ্য আঁশ২.৮ g
০.৩ g
১.১ g
ভিটামিনপরিমাণ দৈপ%
থায়ামিন (বি)
৩%
০.০৪ মিগ্রা
রিবোফ্লাভিন (বি)
২%
০.০২ মিগ্রা
নায়াসিন (বি)
১%
০.১ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক
অ্যাসিড (বি)
৪%
০.১৯ মিগ্রা
ভিটামিন বি
৬%
০.০৮ মিগ্রা
ফোলেট (বি)
৩%
১১ μg
কোলিন
১%
৫.১ মিগ্রা
ভিটামিন সি
৬৪%
৫৩ মিগ্রা
খনিজপরিমাণ দৈপ%
ক্যালসিয়াম
৩%
২৬ মিগ্রা
লৌহ
৫%
০.৬ মিগ্রা
ম্যাগনেসিয়াম
২%
৮ মিগ্রা
ম্যাঙ্গানিজ
১%
০.০৩ মিগ্রা
ফসফরাস
২%
১৬ মিগ্রা
পটাশিয়াম
৩%
১৩৮ মিগ্রা
জিংক
১%
০.০৬ মিগ্রা

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল

পুষ্টি এবং ফাইটোকেমিক্যালস

লেবু ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস, যা 100 গ্রাম রেফারেন্স পরিমাণে (টেবিল) দৈনিক প্রয়োজনীয়তার 64% সরবরাহ করে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি পরিমাণে কম থাকে।

লেবুতে পলিফেনলস, টের্পেনস এবং ট্যানিন সহ অসংখ্য ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। [১৬] লেবুর রসে বাতাবিলেবুর রসের চেয়ে কিছুটা বেশি সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে (প্রায় 47 গ্রাম/লিটার)। লেবুর রসে জাম্বুরার রসের প্রায় দ্বিগুণ এবং কমলার রসের প্রায় পাঁচগুণ বেশি সাইট্রিক এসিড পাওয়া । [১৭]

রন্ধনসম্পর্কীয় ব্যবহার

লেবুর রস, বহিরাবরণ এবং খোসা বিভিন্ন ধরণের খাবার ও পানীয়তে ব্যবহৃত হয়। মারমালেড, লেবু দই এবং লেবু লিকার তৈরি করতে লেবুর সব অংশ ব্যবহৃত হয়। লেবু টুকরা এবং লেবুর খোসা খাবার এবং পানীয়ের গার্নিশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। লেবুর খোসার উপরের অংশ বা ফলের খোসার উপরের অংশ ঝাঁঝরি করে পাওয়া অংশ বেকড করা পণ্য, পুডিং, ভাত এবং অন্যান্য খাবারের স্বাদ যোগ করতে ব্যবহৃত হয়।

রস

লেবুর রস শরবত, কোমল পানীয় এবং ককটেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মাছ মেরিনেড করার জন্য ব্যবহৃত হয়,এটির অ্যাসিড মাছের অ্যামাইনো যৌগগুলোকে অনুদ্বায়ী অ্যামোনিয়াম লবণে রূপান্তর করার মাধ্যমে নিরপেক্ষ করে। এটির অ্যাসিড মাংসের শক্ত কোলাজেন ফাইবারকে আংশিক হাইড্রোলাইজ করে এটিকে কোমল করে তোলে। [১৮] যুক্তরাজ্যে, বিশেষত শ্রোভ মঙ্গলবারে, প্যানকেকে প্রায়শই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়, ।

লেবুর রস কিছু নির্দিষ্ট খাবার যেগুলো কেটে রাখলে বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয় এবং বাদামী হয়ে যায় (এনজাইমেটিক ব্রাউনিং ) সেগুলোর ক্ষেত্রে স্বল্প-মেয়াদী প্রিজারভেটিভ হিসাবেও ব্যবহৃত হয় যেমন: আপেল, কলা এবং অ্যাভোকাডো। কারণ এর অ্যাসিড এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট করে ।

খোসা

মরোক্কোতে লেবুগুলি বয়াম বা নুনের পিপায় সংরক্ষণ করা হয়। লবণ খোসা ভেদ করে, সেটাকে নরম করে এবং তাদের ঠিক রাখে করে যাতে তারা প্রায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থায়ী হয়। [১৯] সংরক্ষিত লেবুগুলো বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়। সিসিলিয়ান, ইতালিয়ান, গ্রীক এবং ফরাসি খাবারগুলিতেও সংরক্ষণ করা লেবু পাওয়া যেতে পারে।

পেকটিন তৈরিতেও খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।পেকটিন হল একধরনের পলিস্যাকারাইড যা জেলিং এজেন্ট এবং স্ট্যাবিলাইজার হিসাবে খাবার বা অন্যান্য পণ্যে ব্যবহৃত হয়। [২০]

তেল

লেবুর খোসার তেলযুক্ত কোষ থেকে লেবুর তেল বের করা হয়। একটি মেশিনে কোষগুলিকে ভাঙা হয় এবং সব তেল বের করে আনতে পানির স্প্রে ব্যবহার করা হয় ।সেন্ট্রিফিউগেশন এর মাধ্যমে তেল জলের মিশ্রণটি ফিল্টার করে তেল আলাদা করা হয়। [২১]

পাতা

লেবু গাছের পাতা চা তৈরি করতে এবং রান্না করা মাংস ও সামুদ্রিক খাবার প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য ব্যবহার

শিল্প

গাঁজন- ভিত্তিক প্রক্রিয়াগুলো উন্নত হওয়ার আগে লেবু সাইট্রিক অ্যাসিডের প্রাথমিক বাণিজ্যিক উৎস ছিল। [২২]

সুগন্ধ

লেবুর তেল অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লেবুর তেলের সুগন্ধ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না, [২৩] তবে উদ্বেগ মুক্ত করতে অবদান রাখতে পারে। [২৪]

অন্যান্য

এমন একটি শিক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায রয়েছে যেখানে একটি লেবুতে তড়িৎদ্বার সংযুক্ত করে সেটিকে বিদ্যুত উৎপাদন করার জন্য ব্যাটারি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যদিও খুব কম শক্তি উৎপন্ন হয়,তবে বেশ কয়েকটি লেবু ব্যাটারি হিসেবে কাজ করে একটি ছোট ডিজিটাল ঘড়িকে চালু রাখতে পারে। [২৫] এই পরীক্ষাগুলো অন্যান্য ফল এবং শাকসবজির ক্ষেত্রেও কাজ করে।

তাপ প্রদান করে লেবুর রসকে সাধারণ অদৃশ্য কালি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। [২৬]

লেবুর রস চুলের স্বর্ণাভ রঙ বাড়াতে ব্যবহার করা যায়।আর্দ্রতাযুক্ত চুল সূর্যের আলোতে প্রকাশিত হওয়ার পর এটি প্রাকৃতিকভাবে রঙটি লক্ষণীয় করে তোলে। সাইট্রিক অ্যাসিড ব্লিচ হিসাবে কাজ করার কারণে এটি ঘটে। [২৭] [২৮]

উদ্যানপালনবিদ্যা

লেবুর বেড়ে উঠতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ৭ °সে (৪৫ °ফা) থাকা প্রয়োজন, তাই তারা সারাবছর উষ্ণ জলবায়ুতে শক্ত থাকে না, তবে তারা পরিণত হওয়ার সাথে সাথে শক্ত হয়ে ওঠে। [২৯] সাইট্রাস জাতীয় উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে লম্বা ডালটি উপর থেকে কেটে কেটে গাছটিকে ঝোপের মতো বৃদ্ধি পেতে দিতে হয় এবং অন্তত বেশি লতাপাতা যুক্ত ডালগুলো ছাঁটাই করতে হয়। পুরো গ্রীষ্ম জুড়ে সবচেয়ে সতেজভাবে বর্ধনশীল অংশগুলোর আগা ভেঙে দিলে তা গাছটি অনেক বেশি আচ্ছাদিত হয়ে বেড়ে ওঠানিশ্চিত করে। যেহেতু পরিপক্ক গাছে অযাচিত, দ্রুত বর্ধনশীল ছোট ছোট কচি ডাল বেড়ে উঠতে পারে ("ওয়াটার শুট" নামেও পরিচিত), তাই সেগুলো গাছের নীচের বা মাঝের মূল শাখা থেকে তুলে ফেলা হয়।

রঙ-ভিত্তিক সহানুভূতিমূলক যাদুর ফলস্বরূপ লেবু গাছের কাছে প্রস্রাব করার প্রথাটি [৩০] [৩১] [৩২] চালু হয়ে পারে থাকতে পারে।

যুক্তরাজ্যের "মায়ার" [৩৩] এবং "ভ্যারিগাটা" [৩৪] জাত দুটির চাষাবাদে রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির অ্যাওয়ার্ড গার্ডেন মেরিট অর্জিত হয়েছে (২০১৭ সালে নিশ্চিতকৃত )। [৩৫]

উৎপাদন

লেবুর উৎপাদন, ২০১৮

(লক্ষ টন)

দেশ
২০১৮
 ভারত
৩১
 মেক্সিকো
২৫
 গণচীন
২৫
 আর্জেন্টিনা
২০
 ব্রাজিল
১৫
 তুরস্ক
১১
বিশ্বে
১৯৪

২০১৮ সালে, বিশ্বে লেবুর উৎপাদন ( প্রতিবেদনের জন্য বাতাবিলেবুর সাথে একত্রে হিসাব করে) ছিল 19.4 মিলিয়ন টন[৩৬] শীর্ষ উৎপাদক ছিল ভারত, মেক্সিকো, চীন, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং তুরস্ক; যারা সম্মিলিতভাবে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ৬৫% উৎপাদন করেছিল। [৩৬]

একজাতীয় ফল

অনেক গাছের স্বাদ বা গন্ধ লেবুর মতো হয়ে থাকে।

  • বাতাবিলেবু হল আরেকটি প্রচলিত টক সাইট্রাসজাতীয় ফল, লেবুর মতো একইভাবে ব্যবহার করা হয়।
  • তুলসীর নির্দিষ্ট কিছু জাত
  • সুমাক ফল, ইউরোপীয়দের লেবু সম্পর্কে জানার অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হত
  • সাইম্বোপোগন (লেমনগ্রাস)
  • লেমন বাল্ম, ল্যামিয়াসি পরিবারের পুদিনার মতো বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ
  • সুগন্ধি জেরানিয়ামের দুটি প্রকারভেদ: পেলের্গোনিয়াম ক্রিসপাম (লেমন জেরানিয়াম) এবং পেরারগনিয়ামমেলিসিনাম (লেমন বাল্ম)
  • লেবুর সুগন্ধি পত্রযুক্ত গুল্ম [৩৭]
  • লেবু গুল্ম
  • পুদিনার নির্দিষ্ট কিছু জাত
  • ম্যাগনোলিয়া গ্র্যান্ডিফ্লোরা গাছের ফুল

অন্যান্য যেসব সাইট্রাসকে 'লেবু' বলা হয়

  • চ্যাপ্টা লেবু,এটি মান্ডারিন একটি সংকর জাত
  • মায়ার লেবু, একটি সিট্রন এবং ম্যান্ডারিন / পোমেলোর মধ্যে সংকরায়নে প্রাপ্ত এক ধরনের লেবু যা টক বা মিষ্টি কমলা থেকে আলাদা। [৩৮] এটির নামকরণ ফ্রাঙ্ক এন.মায়ারের নামানুসারে করা হয়, তিনিই এটি প্রথম ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবর্তন করেছিলেন। মায়ার লেবু পাতলা চামড়াযুক্ত ও লিসবন এবং ইউরেকা লেবুগুলির তুলনায় কিছুটা কম অ্যাসিডিক। শিপিংয়ের সময় মায়ার লেবুর ক্ষেত্রে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয় না। মায়ার লেবু পরিপক্ক হলে প্রায়শই হলুদ-কমলা রঙের হয়। তারা কিছুটা বেশি হিম-সহনশীল।
  • পন্ডেরোসা লেবু, এই জাতের লেবু আসল লেবুর চেয়ে বেশি শীত সংবেদনশীল; ফলগুলো ঘন চামড়াযুক্ত এবং খুব বড়। জিনগত বিশ্লেষণে এটিকে সিট্রন এবং পোমেলোর একটি জটিল সংকর হিসাবে দেখা যায়।
  • রুক্ষ লেবু, এটি সিট্রন-ম্যান্ডারিন এর সংকরায়নে তৈরি, শীত-সহনশীল এবং প্রায়শই সাইট্রাসের কলম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • মিষ্টি লেবু বা মিষ্টি বাতাবিলেবু হল একটি মিশ্র শ্রেণী, যাতে রয়েছে লুমিয়া (নাশপাতি লেবু), লিমেটা, এবং ফিলিস্তিনি মিষ্টি লেবু । তাদের মধ্যে জাফা লেবুও আছে যেটি পোমেলো-সিট্রন এর একটি সংকর জাত।
  • ভোলকামার লেবু, রুক্ষ লেবুর মতোই তবে এটি সিট্রন-মান্ডারিন এর সংকর।

চিত্রশালা

জ্যাকব ফপ্পেন ভ্যান এস: লাইফ স্টিল উইথ পিচার

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Julia F. Morton (১৯৮৭)। "Lemon in Fruits of Warm Climates"। Purdue University। পৃষ্ঠা 160–168। 
  2. Gulsen, O.; M. L. Roose (২০০১)। "Lemons: Diversity and Relationships with Selected Citrus Genotypes as Measured with Nuclear Genome Markers": 309–317। ডিওআই:10.21273/JASHS.126.3.309অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3. Genetic origin of cultivated citrus determined: Researchers find evidence of origins of orange, lime, lemon, grapefruit, other citrus species", Science Daily, January 26, 2011 (Retrieved February 10, 2017).
  4. Ibn al-'Awwam, Yaḥyá (১৮৬৪)। Le livre de l'agriculture d'Ibn-al-Awam (kitab-al-felahah) (ফরাসি ভাষায়)। A. Franck। পৃষ্ঠা 300–301 (ch. 7 – Article 32)। ওসিএলসি 780050566  (pp. 300–301 (Article XXXII)
  5. James Lind (১৭৫৭)। A treatise on the scurvy. Second edition.। A. Millar। 
  6. Douglas Harper। "Online Etymology Dictionary" 
  7. Spalding, William A. (১৮৮৫)। The orange: its culture in California। Press and Horticulturist Steam Print। পৃষ্ঠা 88। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১২ 
  8. Carque, Otto (২০০৬)। Rational Diet: An Advanced Treatise on the Food QuestionKessinger Publishing। পৃষ্ঠা 195। আইএসবিএন 978-1-4286-4244-7। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১২ 
  9. "Complete List of Four Winds Dwarf Citrus Varieties"। Fourwindsgrowers.com। সংগ্রহের তারিখ জুন ৬, ২০১০ 
  10. Buchan, Ursula (জানুয়ারি ২২, ২০০৫)। "Kitchen garden: lemon tree"The Daily Telegraph। London। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৪, ২০১৪ 
  11. Vaiegated pink at the Citrus Variety Collection.
  12. "frostlisbon"citrusvariety.ucr.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  13. says, 3 Easy Tips: How to Plant Lemon Seeds at Home Indoors or Outdoors (২০০৭-০২-০১)। "Eureka Lemon and Lisbon Lemon: Kitchen Basics"Harvest to Table (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  14. "Taste of a thousand lemons"Los Angeles Times। সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২১, ২০১১ 
  15. "New Zealand Citrus"। ceventura.ucdavis.edu। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৩, ২০১০ 
  16. Rauf A, Uddin G, Ali J (২০১৪)। "Phytochemical analysis and radical scavenging profile of juices of Citrus sinensis, Citrus anrantifolia, and Citrus limonum": 5। ডিওআই:10.1186/2191-2858-4-5পিএমআইডি 25024932পিএমসি 4091952অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  17. Penniston KL, Nakada SY, Holmes RP, Assimos DG (২০০৮)। "Quantitative Assessment of Citric Acid in Lemon Juice, Lime Juice, and Commercially-Available Fruit Juice Products": 567–570। ডিওআই:10.1089/end.2007.0304পিএমআইডি 18290732পিএমসি 2637791অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  18. "Fruit enzymes tenderise meat"Science Learning Hub (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৪ 
  19. Moskin, Julia। "Preserved Lemons Recipe"NYT Cooking (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৪ 
  20. Dimopoulou, Maria; Alba, Katerina (২০১৯-১১-০১)। "Pectin recovery and characterization from lemon juice waste streams": 6191–6198। আইএসএসএন 1097-0010ডিওআই:10.1002/jsfa.9891পিএমআইডি 31250441 
  21. Tranchida, Peter Quinto (২০১০), "Advanced Analytical Techniques for the Analysis of Citrus Oils", Citrus Oils, CRC Press, পৃষ্ঠা 482–516, আইএসবিএন 978-1-4398-0029-4, ডিওআই:10.1201/b10314-16 
  22. M. Hofrichter (২০১০)। Industrial Applications। Springer। পৃষ্ঠা 224। আইএসবিএন 978-3-642-11458-8 
  23. Kiecolt-Glaser, J. K.; Graham, J. E. (২০০৮)। "Olfactory influences on mood and autonomic, endocrine, and immune function": 328–39। ডিওআই:10.1016/j.psyneuen.2007.11.015পিএমআইডি 18178322পিএমসি 2278291অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  24. Cooke, B; Ernst, E (২০০০)। "Aromatherapy: A systematic review": 493–6। পিএমআইডি 10962794পিএমসি 1313734অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  25. "Lemon Power"। California Energy Commission। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৪ 
  26. Mirsky, Steve (এপ্রিল ২০, ২০১০)। "Invisible Ink and More: The Science of Spying in the Revolutionary War"Scientific American। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০১৬ 
  27. "Here's how to lighten your hair at home with lemon juice (it actually works)"Glamour UK। Bianca London। ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টে ২০২০ 
  28. "Does lemon juice really lighten hair?"। Klorane Laboratories। ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টে ২০২০ 
  29. "Citrus"। Royal Horticultural Society। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  30. Capomolla, Fabian; Pember, Matthew (২০১১)। "Lemon"। The Little Veggie Patch Co.। Plum। পৃষ্ঠা 129। আইএসবিএন 9781742628417। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৭ 
  31. Capomolla, Fabian (২০১৭)। Growing Food the Italian Way। The Hungry Gardener। Plum। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 9781760554903। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৭ 
  32. The World's Fastest Indian - "Munro was never known to actually urinate on his lemon tree; film director Roger Donaldson added that detail as a tribute to his own father, who did."
  33. "RHS Plantfinder - Citrus × limon 'Meyer'"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  34. "RHS Plantfinder - Citrus × limon 'Variegata'"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  35. "AGM Plants - Ornamental" (পিডিএফ)। Royal Horticultural Society। জুলাই ২০১৭। পৃষ্ঠা 20। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  36. "World production of lemons and limes in 2018; Crops/Regions/World/Production Quantity from pick lists"। Food and Agriculture Organization of the United Nations, Statistics Division (FAOSTAT)। ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  37. Lisa Baker Morgan; Ann McCormick (১৫ জানুয়ারি ২০১৫)। Homegrown Herb Garden: A Guide to Growing and Culinary Uses। Quarry Books। পৃষ্ঠা 148–। আইএসবিএন 978-1-59253-982-6 
  38. Curk, Franck; Ollitrault, Frédérique (২০১৬)। "Phylogenetic origin of limes and lemons revealed by cytoplasmic and nuclear markers": 565–583। ডিওআই:10.1093/aob/mcw005পিএমআইডি 26944784পিএমসি 4817432অবাধে প্রবেশযোগ্য 

বহিঃসংযোগ