বক্সা জাতীয় উদ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
প্যারামিটার সঠিক করা হয়েছে ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
| location = [[পশ্চিমবঙ্গ]], {{পতাকা|ভারত}} |
| location = [[পশ্চিমবঙ্গ]], {{পতাকা|ভারত}} |
||
| nearest_city = [[আলিপুরদুয়ার]] |
| nearest_city = [[আলিপুরদুয়ার]] |
||
| coordinates = {{ |
| coordinates = {{স্থানাঙ্ক|26|39|0|N|89|34|48|E|display=inline, title}} |
||
| area = ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার |
| area = ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার |
||
| established = ১৯৮৩ |
| established = ১৯৮৩ |
১৪:১৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বক্সা জাতীয় উদ্যান | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
নিকটবর্তী শহর | আলিপুরদুয়ার |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৩৯′০″ উত্তর ৮৯°৩৪′৪৮″ পূর্ব / ২৬.৬৫০০০° উত্তর ৮৯.৫৮০০০° পূর্ব |
আয়তন | ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার |
স্থাপিত | ১৯৮৩ |
কর্তৃপক্ষ | পরিবেশ ও বন মন্ত্রক, ভারত সরকার |
বক্সা জাতীয় উদ্যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকে বক্সা পাহাড় এলাকায় অবস্থিত। জাতীয় উদ্যানের আয়তন প্রায় ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার। জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র বা টাইগার রিজার্ভ রয়েছে। এই জাতীয় উদ্যানে বাঘ, সিভেট ও রেড জাঙ্গল ফাউল দেখা যায়।[১][২]
অবস্থান
বক্সা জাতীয় উদ্যান পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত। এর উত্তর সীমাটি হল ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও সিঞ্চুলা পর্বতমালা। তার ওপারে রয়েছে ভুটানের ফিপসু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। পূর্ব সীমায় আছে পশ্চিমবঙ্গ-আসাম রাজ্যসীমা। তার ওপারে আছে আসামের মানস জাতীয় উদ্যান। দক্ষিণ দিকে রয়েছে ৩১ নং জাতীয় সড়ক। দক্ষিণ-পশ্চিমের চিলাপাতা বনাঞ্চলটি বক্সা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি এলিফ্যান্ট করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই জাতীয় উদ্যানের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২-১৭৫৫ মিটার পর্যন্ত। অরণ্যের মধ্য দিয়ে পানা, ডিমা, রায়ডাক, বালা, গাবুর বাসরা, সঙ্কোষ নদী প্রবাহিত।[৩]
বন-সংরক্ষণের ইতিহাস
১৯৮৩ সালে দেশের ১৫শ টাইগার রিজার্ভ হিসেবে বক্সা টাইগার রিজার্ভ স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩১৪.৫২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বক্সা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্থাপিত হয়। ১৯৯১ সালে, আরও ৫৪.৪৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বক্সা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়। এক বছর বাদে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটিকে জাতীয় উদ্যান স্তরে উন্নীত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং আরও ১১৭.১০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চল এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯৯৭ সালে রাজ্য সরকার বক্সাকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।[৪]
বক্সা দুর্গ
বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে বক্সা দুর্গ নামে একটি পুরনো দুর্গ আছে। এই দুর্গের আয়তন ২৬০০ বর্গফুট। দুর্গটিতে ব্রিটিশ যুগে একবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এছাড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি শিব মন্দিরও আছে। স্থানীয় মানুষজন শিব মন্দিরটিকে খুব পবিত্র মনে করেন।
বনাঞ্চলের ধরন
- শুষ্ক ডেসিডুয়াস বনাঞ্চল (উত্তরে)
- ভাবর ও তরাই শাল বনাঞ্চল (পূর্বে)
- পূর্ব হিমালয় আর্দ্র মিশ্র ডেসিডুয়াস বনাঞ্চল
- উপ-হিমালয় মাধ্যমিক সিক্ত মিশ্র বনাঞ্চল
- সাব-মন্টেন প্রায়-চিরহরিৎ বনাঞ্চল
- ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনাঞ্চল (উত্তরে)
- পূর্ব হিমালয় উপক্রান্তীয় সিক্ত পার্বত্য বনাঞ্চল
- আর্দ্র শাল সাভানা বনাঞ্চল
- নিম্ন পলল-সমভূমি বনাঞ্চল
- সাভানা জঙ্গল
উদ্ভিদ ও প্রাণী
উদ্ভিদ
এই জাতীয় উদ্যানে ৩০০টিরও বেশি প্রজাতির গাছ, ২৫০টি প্রজাতির গুল্ম, ৪০০টি প্রজাতির ওষধি, ৯টি প্রজাতির বেত, ১০টি প্রজাতির বাঁশ, ১৫০টি প্রজাতির অর্কিড, ১০০টি প্রজাতির ঘাস, ১৩০টি প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ দেখা যায়। এছাড়া আছে ১৬০টি প্রজাতির ফার্ন-জাতীয় উদ্ভিদ। গাছপালার মধ্যে শাল, চাঁপা, গামার, শিমুল, চিক্রসি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[৪]
প্রাণী
এখানে এশীয় হাতি, বাঘ, গউর, বুনো শুয়োর, সম্বর হরিণ দেখা যায়। এছাড়া এখানে ২৮৪টি প্রজাতির পাখি,[১] ৭৩টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৭৬টি প্রজাতির সাপ ও ৫টি প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ সংখ্যক মাছ প্রজাতী বক্সা জাতীয় উদ্যানে দেখা যায়। এখানে ভালুক, সিভেট, দৈত্যাকার কাঠবিড়ালী, চিতল, ক্লাউডেড চিতাবাঘ, বুনো মোষ, পাইথন ও অ্যান্টিলোপও দেখা যায়।[২]
নদী ও হ্রদ
বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে রায়ডাক ও জয়ন্তী নদী বয়ে গিয়েছে। বনের মধ্যে নরথালি হ্রদ পরিযায়ী পাখিদের আড্ডা। এখানে নানা ধরনের হর্নবিল, রেড-স্টার, ওয়াগটেইল ইত্যাদি পাখি দেখা যায়।[৪]
বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী
বক্সায় যেসব প্রজাতির প্রাণীদের দেখা যায় তাদের মধ্যে অনেকগুলি বিপন্ন প্রজাতির ; যেমন – বাঘ, এশীয় হাতি, লেওপার্ড ক্যাট, বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান, রিগাল পাইথন, চাইনিজ প্যাঙ্গোলিন, হিসপিড হেয়ার[৫], হগ হরিণ[২][৪]। এছাড়াও কিছু বিপন্ন প্রজাতির পাখিও এখানে দেখা যায়।[১]
আরও দেখুন
ছবি
-
বক্সায় ইন্ডিয়ান ক্যাবেজ হোয়াইট
-
বক্সায় রেড জাঙ্গলফাউল
-
বক্সায় ব্লু-রক থ্রাস
-
বক্সায় ভার্ডিটার ফ্লাইক্যাচার
-
হোয়ারি-বেলিড স্কুইরল
-
বক্সায় ব্যাম্বু ট্রি-ব্রাউন
পাদটীকা
- ↑ ক খ গ "Abundance of birds in different habitats in Buxa Tiger Reserve, West Bengal, India"। Forktail। পৃষ্ঠা 128–133। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ Bidhan Kanti Das। "Role of NTFPs Among Forest Villagers in a Protected Area of West Bengal"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ কল্যাণ চক্রবর্তী, বিশ্বজিত রায়চৌধুরী, ভারতের বন ও বন্যপ্রাণী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১, কলকাতা, পৃষ্ঠা-১৪১।
- ↑ ক খ গ ঘ "Project Tiger on Buxa"। ২০১১-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-৩০।
- ↑ Joseph A. Chapman। Rabbits, hares and pikas: status survey and conservation action plan। পৃষ্ঠা 128–136। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-৩০। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)