জান্নাতুল বাকি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৪°২৮′০২″ উত্তর ৩৯°৩৬′৫৮″ পূর্ব / ২৪.৪৬৭২° উত্তর ৩৯.৬১৬° পূর্ব / 24.4672; 39.616
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
সম্প্রসারণ ও তথ্যসূত্র সংযোজন
২২ নং লাইন: ২২ নং লাইন:
| political =
| political =
}}
}}
'''জান্নাতুল বাকি''' ({{lang-ar|مقبرة البقيع}}, ''The Baqi Cemetery'') [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] [[মদিনা|মদিনায়]] অবস্থিত একটি কবরস্থান। এটি [[মসজিদে নববী|মসজিদে নববীর]] দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত। পূর্বে এখানে কবরের উপর স্থাপনা ছিল। পরবর্তীতে সৌদি আরব সরকার তা ধ্বংস করে দেয়।
'''জান্নাতুল বাকি''' ({{lang-ar|مقبرة البقيع}}, ''The Baqi Cemetery'') আরবীতে বলা হয়- বাকিউল গারকাদ, মাকবারাতুল বাকি। [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] [[মদিনা|মদিনায়]] অবস্থিত একটি কবরস্থান। এটি [[মসজিদে নববী|মসজিদে নববীর]] দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত। পূর্বে এখানে কবরের উপর স্থাপনা ছিল। পরবর্তীতে সৌদি আরব সরকার তা ধ্বংস করে দেয়। [[ইমাম মালিক|ইমাম মালিক (রহ.)]]-এর কথামতে জান্নাতুল বাকিতে অন্তত দশ হাজার সাহাবার কবর রয়েছে।<ref name="Banglanews">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জান্নাতুল বাকিতে ১০ হাজার সাহাবির কবর |ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/islam/news/bd/605142.details |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ জুন ২০১৯ |এজেন্সি=[[বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম]] |তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭}}</ref>


এই কবরস্থানটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে [[মুহাম্মদ]] (সা) এর অনেক আত্মীয় ও [[সাহাবি|সাহাবিকে]] দাফন করা হয়েছে। [[মুহাম্মদ]] (সা) এই কবরস্থানে বেশ কয়েকবার এসেছেন। জান্নাতুল বাকির পেছনে একসময় একটি ইহুদি কবরস্থান ছিল। পরবর্তীতে [[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া]] আমলে তা জান্নাতুল বাকির অংশে পরিণত করা হয়।<ref>Textual Sources for the Study of Islam By Knappert, Jan, Andrew Rippin</ref>
এই কবরস্থানটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে [[মুহাম্মদ]] (সা) এর অনেক আত্মীয় ও [[সাহাবি|সাহাবিকে]] দাফন করা হয়েছে। [[মুহাম্মদ]] (সা) এই কবরস্থানে বেশ কয়েকবার এসেছেন। জান্নাতুল বাকির পেছনে একসময় একটি ইহুদি কবরস্থান ছিল। পরবর্তীতে [[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া]] আমলে তা জান্নাতুল বাকির অংশে পরিণত করা হয়।<ref>Textual Sources for the Study of Islam By Knappert, Jan, Andrew Rippin</ref>
২৮ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
==ইতিহাস==
==ইতিহাস==
[[File:Shrines of the Prophet's Wives and Abdullah ibn Ja'far and Aqeel ibn Abi Talib in Al-Baqi' before demolition.jpg|thumb|স্থাপনা ধ্বংসের পূর্বে জান্নাতুল বাকির দৃশ্য।]]
[[File:Shrines of the Prophet's Wives and Abdullah ibn Ja'far and Aqeel ibn Abi Talib in Al-Baqi' before demolition.jpg|thumb|স্থাপনা ধ্বংসের পূর্বে জান্নাতুল বাকির দৃশ্য।]]
মুহাম্মদ (সা) হিজরত করে মদিনা আসার সময় জান্নাতুল বাকির স্থান সবুজ বৃক্ষ আচ্ছাদিত ছিল। [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদ (স.)]] এর স্ত্রী [[আয়িশা|আয়েশা (রা.)]] বলেছেন, ‘হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শেষ রাতে জান্নাতুল বাকির দিকে বেরিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘হে (কবরের) মুমিন সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের নিকট এসেছে যা তোমাদেরকে ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল, কাল কিয়ামত পর্যন্ত তোমরা অবশিষ্ট থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আমরাও তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবো। হে আল্লাহ! তুমি বাকিউল গারদবাসীদের ক্ষমা করে দাও।’ - [[সহীহ মুসলিম]]
মুহাম্মদ (সা) হিজরত করে মদিনা আসার সময় জান্নাতুল বাকির স্থান সবুজ বৃক্ষ আচ্ছাদিত ছিল।


[[মসজিদে নববী]] নির্মাণের সময় তিনি মসজিদের স্থানটি দুজন এতিম শিশুর কাছ থেকে কিনে নেন। তার এক সাহাবি আসাদ বিন জারারার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ (সা) কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করেন। আসাদ বিন জারার ছিলেন এখানে দাফন হওয়া প্রথম [[আনসার (ইসলাম)|আনসার]] ব্যক্তি। উসমান বিন মাজুন এখানে দাফন হওয়া প্রথম [[মুহাজিরুন|মুহাজির]] ব্যক্তি।
[[মসজিদে নববী]] নির্মাণের সময় তিনি মসজিদের স্থানটি দুজন এতিম শিশুর কাছ থেকে কিনে নেন। তার এক সাহাবি আসাদ বিন জারারার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ (সা) কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করেন। আসাদ বিন জারার ছিলেন এখানে দাফন হওয়া প্রথম [[আনসার (ইসলাম)|আনসার]] ব্যক্তি। উসমান বিন মাজুন এখানে দাফন হওয়া প্রথম [[মুহাজিরুন|মুহাজির]] ব্যক্তি।

০৪:১৭, ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জান্নাতুল বাকি
জান্নাতুল বাকি (جنة البقيع)
মানচিত্র
বিস্তারিত
প্রতিষ্ঠাকাল৬২২ খ্রিষ্টাব্দ
অবস্থান
দেশসৌদি আরব
প্রকারমুসলিম
মালিকানারাষ্ট্র

জান্নাতুল বাকি (আরবি: مقبرة البقيع, The Baqi Cemetery) আরবীতে বলা হয়- বাকিউল গারকাদ, মাকবারাতুল বাকি। সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত একটি কবরস্থান। এটি মসজিদে নববীর দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত। পূর্বে এখানে কবরের উপর স্থাপনা ছিল। পরবর্তীতে সৌদি আরব সরকার তা ধ্বংস করে দেয়। ইমাম মালিক (রহ.)-এর কথামতে জান্নাতুল বাকিতে অন্তত দশ হাজার সাহাবার কবর রয়েছে।[১]

এই কবরস্থানটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মুহাম্মদ (সা) এর অনেক আত্মীয় ও সাহাবিকে দাফন করা হয়েছে। মুহাম্মদ (সা) এই কবরস্থানে বেশ কয়েকবার এসেছেন। জান্নাতুল বাকির পেছনে একসময় একটি ইহুদি কবরস্থান ছিল। পরবর্তীতে উমাইয়া আমলে তা জান্নাতুল বাকির অংশে পরিণত করা হয়।[২]

ইতিহাস

স্থাপনা ধ্বংসের পূর্বে জান্নাতুল বাকির দৃশ্য।

মুহাম্মদ (সা) হিজরত করে মদিনা আসার সময় জান্নাতুল বাকির স্থান সবুজ বৃক্ষ আচ্ছাদিত ছিল। মুহাম্মদ (স.) এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শেষ রাতে জান্নাতুল বাকির দিকে বেরিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘হে (কবরের) মুমিন সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের নিকট এসেছে যা তোমাদেরকে ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল, কাল কিয়ামত পর্যন্ত তোমরা অবশিষ্ট থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আমরাও তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবো। হে আল্লাহ! তুমি বাকিউল গারদবাসীদের ক্ষমা করে দাও।’ - সহীহ মুসলিম

মসজিদে নববী নির্মাণের সময় তিনি মসজিদের স্থানটি দুজন এতিম শিশুর কাছ থেকে কিনে নেন। তার এক সাহাবি আসাদ বিন জারারার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ (সা) কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করেন। আসাদ বিন জারার ছিলেন এখানে দাফন হওয়া প্রথম আনসার ব্যক্তি। উসমান বিন মাজুন এখানে দাফন হওয়া প্রথম মুহাজির ব্যক্তি।

তৃতীয় খলিফা উসমান ইবনে আফফানের মৃত্যুর পর তাকে এখানে দাফন করা হয়। তখন তার কবরটি পার্শ্ববর্তী ইহুদি কবরস্থানের মধ্যে পড়ে। খলিফা প্রথম মুয়াবিয়া তার সম্মানে এই স্থানকে জান্নাতুল বাকির অংশ করে নেন। উমাইয়া খিলাফতের সময় তার কবরের উপর প্রথম গম্বুজ নির্মিত হয়। অন্যান্য সময়েও এখানকার বিভিন্ন কবরের উপর গম্বুজ ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।

ধ্বংস

আব্বাস, হাসান, আলি সাজ্জাদ, বাকির সাদিকের মাজার। এটি ধ্বংস হওয়ার পূর্বের ছবি।
১৯২৫ সালে ধ্বংসের পরের দৃশ্য। পেছনে মসজিদে নববী দৃশ্যমান।

১৯২৬ সালে আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের শাসনামলে জান্নাতুল বাকির মাজারগুলো ধ্বংস করা হয়। একই বছর মক্কার জান্নাতুল মুয়াল্লা কবরস্থানের মাজারগুলোও ধ্বংস করা হয়। জান্নাতুল মুয়াল্লায় মুহাম্মদ (সা) এর প্রথম স্ত্রী খাদিজাসহ আরো অন্যান্য আত্মীয়ের কবর রয়েছে। এসময় বহির্বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় প্রতিবাদ জানালেও এসব স্থাপনা ধ্বংস করে ফেলা হয়।

সমাহিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ

মুহাম্মদ (সা) এর আত্মীয় ও সাহাবি

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "জান্নাতুল বাকিতে ১০ হাজার সাহাবির কবর"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 
  2. Textual Sources for the Study of Islam By Knappert, Jan, Andrew Rippin

বহিঃসংযোগ

উইকিমিডিয়া কমন্সে জান্নাতুল বাকি সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।

গ্যালারি