বিষয়বস্তুতে চলুন

আহা!

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আহা!
ভিসিডি প্রচ্ছদ
পরিচালকএনামুল করিম নির্ঝর
প্রযোজকফরিদুর রেজা সাগর
ইবনে হাসান খান (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)
রচয়িতাএনামুল করিম নির্ঝর
শ্রেষ্ঠাংশেহুমায়ুন ফরীদি
তারিক আনাম খান
ফজলুর রহমান বাবু
শহিদুল ইসলাম সাচ্চু
ইয়াসমিন বিলকিস সাথী
ফেরদৌস (অতিথি শিল্পী)
প্রজ্ঞা লাবনী
খালেদ খান
গাজী রাকায়েত
সুরকারদেবজ্যোতি মিশ্র
চিত্রগ্রাহকসাইফুল ইসলাম বাদল
সম্পাদকঅর্ঘকমল মিত্র
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি২০০৭
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

আহা! ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[] ছবিটির চিত্রনাট্য রচয়িতা, গীতিকার ও পরিচালক এনামুল করিম নির্ঝর। এটি তার প্রথম পরিচালিত ছবি। বাংলালিংক নিবেদিত এই ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ। ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন ফরীদি, তারিক আনাম খান, ফজলুর রহমান বাবু, শহিদুল আলম সাচ্চু, ইয়াসমিন বিলকিস সাথী, ফেরদৌস (অতিথি শিল্পী), প্রজ্ঞা লাবনী, খালেদ খান, গাজী রাকায়েতসহ আরও অনেকে। 'আহা!' ছবিটি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ পরিচালক এনামুল করিম নির্ঝর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এ শ্রেষ্ঠ পরিচালক ২০০৭ লাভ করেন। এবং এটা সহ ছবিটি মোট চারটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

কাহিনী সংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

প্রায় একশ বছরের পুরনো বাপ-দাদার বাড়িতে বাস করেন অর্ন্তমূখী মল্লিক সাহেব (তারিক আনাম খান)। পুরনো ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তার বাড়ির আশেপাশে রিয়েল এস্টেট কোম্পানী ছ'তলা, সাততলা বিল্ডিং বানায়। মল্লিক সাহেবকে তারা নানা প্রলোভনে এই বাড়ি ভেঙ্গে এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স বানাতে বলে। তিনি দ্বিধা-দুশ্চিন্তায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এমন সময়ে হঠাৎ তার একমাত্র মেয়ে রুবা আমেরিকায় স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়ে ছয় বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফেরত চলে আসে। দেশে ফিরে রুবা এঘর ওঘর ঘুরে বেড়ায়। স্মৃতিমাখা জানালায় চোখ রেখে আকাশ দেখার চেষ্টা করে। চোখে পড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা বিল্ডিং আর সারি সারি বারান্দা। বর্ষায় একদিন জানালার সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ পাশের বারান্দায় আবিষ্কার করে এক লাল বস্ত্রখন্ড। আসলে সেটা কি? পরপর সাতদিন সাত রঙের আন্ডারওয়্যার ঝুলতে দেখে তার যেমন কৌতূহল বাড়ে, তেমনি মনের জমিতে অদ্ভুত এক কৌতুক তৈরী হয়। আগন্তুক সোলেমান-এর (ফজলুর রহমান বাবু) আবির্ভাব ঘটে, সে খুনের অনুশোচনায় মল্লিক সাহেব-এর কাছে আশ্রয় চায় শুদ্ধ হবার আশায়। দারোয়ান হিসেবে কাজ পাবার পর সে নানা কারণে এলাকার ছেলেদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। আর এদিকে জীবের সুন্দরতম অনুভূতির ছোঁয়া পেয়েও হঠাৎ একদিন বাবার কাছে ধরা পড়ে যায় রুবা। শেষ পর্যন্ত একটা খুন প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে থমকে দাঁড়ায়।

শ্রেষ্ঠাংশে

[সম্পাদনা]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক সম্মননা

[সম্পাদনা]
  • মনোনয়নঃ ৫ম দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০০৭

সঙ্গীত

[সম্পাদনা]

আহা! ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রেজাউল দেবজ্যোতি মিশ্র। সঙ্গীত রচনা করেছেন ছবির পরিচালক এনামুল করিম নির্ঝর

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "৫ম দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আহা!"। ১১ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০০৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]