জোনাকির আলো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জোনাকির আলো
পরিচালকখালিদ মাহমুদ মিঠু
চিত্রনাট্যকারখালিদ মাহমুদ মিঠু
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারইমন সাহা
ইবরার টিপু
হায়দার হোসেন
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি১ এপ্রিল, ২০১৪
স্থিতিকাল১০১ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

জোনাকির আলো ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার নাট্য চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন খালিদ মাহমুদ মিঠু। ত্রিভুজ প্রেমের এই গল্পে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, মামনুন হাসান ইমন, কল্যাণ কোরাইয়া।[১][২] এছাড়া বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত। চলচ্চিত্রটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাইব্যাকা ও ফ্লোরিডা এবং ভারতের দিল্লী ও জয়পুর চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১২তম এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শকদের পছন্দে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।[৩] ২০১৪ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর রোমানিয়ার ব্রার্সভ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ রোমানিয়ান সাবটাইটেলসহ প্রদর্শিত হয় এবং পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন।[৪] একই বছর ডিসেম্বর মাসে দিল্লী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে 'অ্যাক্রস দ্য বর্ডার' পুরস্কার অর্জন করে।[৫] এছাড়া ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে বিদ্যা সিনহা সাহা মীম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং কনক চাঁপা চাকমা শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জার জন্য পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]

কাহিনি সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

কবিতা একজন সমাজকর্মী। সামজিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সে কাজ করে। সমুদ্রের পারে ঘুরতে গিয়ে পরিচিত হয় আলোকচিত্রী সমুদ্রের সাথে। সামাজিক কাজ করতে গিয়ে দাদুর সাহায্যে দেখা হয় বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের সাথে। তার শিশুদর্শনের বিষয়বস্তু তাকে নাড়া দেয়। তাই সে এস এম সুলতানের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে এবং তার কাজে সাহায্য করতে বিভিন পরিকল্পনা তৈরি করে। এরই মধ্যে তার বিয়ে হয় এক জমিদারের একমাত্র ছেলে সুবর্ণের সাথে। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর আসে একটি দুঃসংবাদ যা তাদের সুখের সংসারে বিঘ্ন ঘটায়। কবিতা ফিরে আসে নিজের ঠিকানায়। একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করতে চায় সমাজসেবায়। এই সময়ে তাকে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসে তার পূর্ব পরিচিত সমুদ্র। সমুদ্রের সাথে তার ঘনিষ্ঠ হতে থাকলে ফিরে আসে সুবর্ণ। এখন কি করবে কবিতা? আবার ফিরে যাবে সুবর্ণের কাছে, নাকি সমুদ্রের সাথে নতুনভাবে জীবন শুরু করবে, নাকি নিজেই জোনাকির আলো হয়ে একা একা জ্বলবে?

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

নির্মাণ নেপথ্য[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং হয় সেন্টমার্টিন, রাঙামাটি, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ি, এবং ঢাকার সাভারে।[৭]

মুক্তি[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১২তম এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব-এ জোনাকির আলো ছায়াছবিটির প্রিমিয়ার শো হয়। এই বছর পহেলা বৈশাখে ছায়াছবিটি বাংলাদেশের ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পায়।[৮]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

জোনাকির আলো ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা, হায়দার হোসেন ও ইবরার টিপু। গীত রচনা করেছেন মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, হায়দার হোসেন, ইউসুফ আল মামুন ও জুয়েল মাহমুদ।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব

ব্রার্সভ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

দিল্লী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জোনাকির আলোয় মীম"বাংলানিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৭ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "আসছে এক নতুন ইমন"দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৮ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "মুম্বাইয়ে পুরস্কার পেল জোনাকির আলো"দৈনিক প্রথম আলো। জানুয়ারি ২০, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 
  4. "রোমানিয়ায় ব্রার্সভ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত 'জোনাকির আলো'"দৈনিক মানবজমিন। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "দিল্লীতে জোনাকির আলো সেরা ছবি"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: সেরা সম্মাননা ফেরদৌস মৌসুমী মিমের"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১১ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 
  7. "সেন্সরে জোনাকির আলো"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। অক্টোবর ৩, ২০১৩। ১৮ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 
  8. "নববর্ষে 'জোনাকির আলো'"বিডিনিউজ। এপ্রিল ১৩, ২০১৪। ১৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]