স্বাধীনতা পুরস্কার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) অ সম্প্রসারণ, সংশোধন |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) 1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta8) |
||
৪২ নং লাইন: | ৪২ নং লাইন: | ||
=== বাছাই পদ্ধতি === |
=== বাছাই পদ্ধতি === |
||
বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, জেলা প্রশাসক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর/ দপ্তর/ সংস্থাকে পুরস্কার প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে সংযুক্তি ছক অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এই পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নামের প্রস্তাব বা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রী ও সচিবেরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠানোর পর প্রাথমিক বাছাই করে একটি তালিকা করা হয়। এরপর পদক কমিটির বৈঠকে এই তালিকা উঠানো হয়। সেখান থেকে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এই তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তালিকাটি চূড়ান্ত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা কোনো বছর ১০ এর বেশি হবে না, তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এই সংখ্যা বাড়াতে পারেন।<ref name="প্রদানের-প্রক্রিয়া">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=স্বাধীনতা পদক প্রদানের বিস্তারিত প্রক্রিয়া|ইউআরএল=https://nhd.gov.bd/content/স্বাধীনতা_পদক_প্রদানের_বিস্তারিত_প্রক্রিয়া|ওয়েবসাইট=nhd.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=২৮ আগস্ট ২০১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180828201517/https://nhd.gov.bd/content/ |
বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, জেলা প্রশাসক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর/ দপ্তর/ সংস্থাকে পুরস্কার প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে সংযুক্তি ছক অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এই পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নামের প্রস্তাব বা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রী ও সচিবেরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠানোর পর প্রাথমিক বাছাই করে একটি তালিকা করা হয়। এরপর পদক কমিটির বৈঠকে এই তালিকা উঠানো হয়। সেখান থেকে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এই তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তালিকাটি চূড়ান্ত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা কোনো বছর ১০ এর বেশি হবে না, তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এই সংখ্যা বাড়াতে পারেন।<ref name="প্রদানের-প্রক্রিয়া">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=স্বাধীনতা পদক প্রদানের বিস্তারিত প্রক্রিয়া|ইউআরএল=https://nhd.gov.bd/content/স্বাধীনতা_পদক_প্রদানের_বিস্তারিত_প্রক্রিয়া|ওয়েবসাইট=nhd.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=২৮ আগস্ট ২০১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180828201517/https://nhd.gov.bd/content/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE_%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ অগাস্ট ২০১৮|তারিখ=জুন ৪, ২০১৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> |
||
কোনো ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান পদক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের মতামত না জানালে তা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জানাতে হয়। ফলে ঐ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নাম পদকপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় না এবং তাদের নাম পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয় না।<ref name="প্রদানের-প্রক্রিয়া" /> |
কোনো ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান পদক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের মতামত না জানালে তা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জানাতে হয়। ফলে ঐ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নাম পদকপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় না এবং তাদের নাম পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয় না।<ref name="প্রদানের-প্রক্রিয়া" /> |
২০:৩০, ২৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
স্বাধীনতা পুরস্কার | |
---|---|
![]() স্বর্ণ পদক | |
বিবরণ | জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। |
অবস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দেশ | ![]() |
পুরস্কারদাতা | বাংলাদেশ সরকার |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৭৭ |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০১৬ |
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।[১]
প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তদের একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ৫০ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট পদক, একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়ন পত্র এবং সম্মাননা স্বরুপ নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।[১][২] প্রাথমিকভাবে প্রদানকৃত অর্থের পরিমাণ কুড়ি হাজার ছিল, তবে ২০১৩ সালে থেকে দুই লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়ে অাসছে।[২]
ইতিহাস
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পদকের প্রবর্তন করেন।[৩] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই পুরস্কারের প্রবক্তা।
পুরস্কারের ক্ষেত্র
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া হয়:[২]
- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- চিকিৎসাবিদ্যা
- শিক্ষা
- সাহিত্য
- সংস্কৃতি
- ক্রীড়া
- পল্লী উন্নয়ন
- সমাজসেবা/জনসেবা
- জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন
- জনপ্রশাসন
- গবেষণা ও প্রশিক্ষণ
- সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন ক্ষেত্র
প্রায় প্রতি বছর কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জীবিতদের পাশাপাশি মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার রীতিও আছে।
বাছাই পদ্ধতি
বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, জেলা প্রশাসক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর/ দপ্তর/ সংস্থাকে পুরস্কার প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে সংযুক্তি ছক অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এই পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নামের প্রস্তাব বা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রী ও সচিবেরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠানোর পর প্রাথমিক বাছাই করে একটি তালিকা করা হয়। এরপর পদক কমিটির বৈঠকে এই তালিকা উঠানো হয়। সেখান থেকে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এই তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তালিকাটি চূড়ান্ত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা কোনো বছর ১০ এর বেশি হবে না, তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এই সংখ্যা বাড়াতে পারেন।[৪]
কোনো ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান পদক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের মতামত না জানালে তা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জানাতে হয়। ফলে ঐ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নাম পদকপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় না এবং তাদের নাম পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয় না।[৪]
পদকটি সাধারণত স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায়, বিভিন্ন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকদের উপস্থিতিতে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।[১]
পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা
- স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭–৭৯)
- স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮০–৮৯)
- স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯০–৯৯)
- স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০০–০৯)
- স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১০–১৯)
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ সানজিদা খান (২০১২)। "জাতীয় পুরস্কার"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ ক খ গ "স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত নির্দেশাবলী" (পিডিএফ)। cabinet.gov.bd। সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৭, ২০১৫।
- ↑ "স্বাধীনতা পদক"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-১৭।
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পদক প্রদানের বিস্তারিত প্রক্রিয়া"। nhd.gov.bd। জুন ৪, ২০১৭। ২৮ অগাস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)