সাঁ-দ্যনি, সেন-সাঁ-দ্যনি
| সাঁ-দ্যনি | |
|---|---|
| উপ-প্রশাসনিক জেলা ও কম্যুন | |
 ঝুলন্ত সেতুসহ সাঁ-দ্যনি খাল, পিছনে স্তাদে দে ফ্রান্সে যাওয়ার ফুটপাত ও বাজিলিক সাঁ-দ্যনি | |
সাঁ-দ্যনির অবস্থান লুয়া ত্রুটি মডিউল:তথ্যছক_মানচিত্র এর 86 নং লাইনে: bad argument #1 to 'sqrt' (number expected, got nil)। | |
  সাঁ-দ্যনি | |
| স্থানাঙ্ক: ৪৮°৫৬′০৮″ উত্তর ২°২১′১৪″ পূর্ব / ৪৮.৯৩৫৬° উত্তর ২.৩৫৩৯° পূর্ব | |
| দেশ |  ফ্রান্স |
| নগরের পৌরসভা | সাঁ-দ্যনি |
| ক্যান্টন | সাঁ-দ্যনি-১ ও ২ |
| সরকার | |
| • মেয়র (২০১৪-২০২০) | লোরেন্ত র্যুসিয়ে |
| আয়তন১ | ১২.৩৬ বর্গকিমি (৪.৭৭ বর্গমাইল) |
| বিশেষণ | দিওনিসাঁ |
| সময় অঞ্চল | সিইটি (ইউটিসি+০১:০০) |
| • গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | সিইএসটি (ইউটিসি+০২:০০) |
| আইএনএসইই/ডাক কোড | ৯৩০৬৬ /৯৩২০০, ৯৩২১০ (সমভূমি) |
| উচ্চতা | ২৩–৪৬ মি (৭৫–১৫১ ফু) |
| ওয়েবসাইট | ville-saint-denis.fr |
| ১ ফ্রান্সের ভূমি রেজিস্টার তথ্য, যার ভেতর হ্রদ, পুকুর, হিমবাহ > ১ বর্গকি.মি.২(০.৩৮৬ বর্গ মাইল বা ২৪৭ একর) এবং নদীর মোহনা অন্তর্ভূক্ত নয়। | |
সাঁ-দ্যনি (ফরাসি : [sɛ̃d(ə)ni] ()) ফ্রান্সের পারির উত্তর শহরতলীর একটি কম্যুন। এটি পারির কেন্দ্র থেকে ৯.৪ কিমি (৫.৮ মাইল) দূরে অবস্থিত। সাঁ-দ্যনি সেন-সাঁ-দ্যনি দেপার্তমঁর একটি উপ-প্রশাসনিক জেলা এবং সাঁ-দ্যনির আরোঁদিসমাঁর আসন। সাঁ-দ্যনির বাসিন্দাদের দিওনিসাঁ নামে ডাকা হয়।[১]
এখানে ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল ও রাগবি স্টেডিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্স অবস্থিত, যা ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত হয়েছিল। শহরটি পূর্বে শিল্প উপনগরী ছিল, যা বর্তমানে অর্থনীতির ভিত্তিতে পরিণত হচ্ছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২য় শতাব্দীতে সাঁ-দ্যনি শহরের বর্তমান অবস্থানে কাতোলাকুস নামে একটি গ্যালো-রোমান গ্রাম ছিল। ২৫০ সালে পারির প্রথম বিশপ এবং ফ্রান্সের সন্তদের পৃষ্টপোষক সন্ত দ্যনি খুন হন এবং তাকে কাতোলাকুসের সমাধিতে সমাহিত করা হয়। দ্যনির সমাধি অচিরেই উপাসনার স্থান হয়ে ওঠে। ৪৭৫ সালের দিকে সন্ত জঁভিয়েভ দ্যনির সমাধিতে একটি ছোট চ্যাপল নির্মাণ করেন, যা সে সময়ে তীর্থযাত্রার জনপ্রিয় স্থান হয়ে ওঠে। এই চ্যাপলটি প্রথম দাগোবের (আনু. ৬০৩-৬৩৯) পুনর্নির্মাণ করেন এবং তা রাজকীয় মঠে পরিণত হয়। দাগোবের এই মঠে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন, যেমন পারি থেকে বিশপদের স্বাধীনতা, বাজার রাখার অধিকার, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তাকে সাঁ-দ্যনির বাজিলিকায় সমাহিত করা হয়, যে ঐতিহ্য তার প্রায় সকল উত্তরসূরি অনুসরণ করেন, তথা প্রায় সকল ফরাসি রাজাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে। মধ্যযুগে দাগোবেরের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার জন্য সাঁ-দ্যনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সমগ্র ইউরোপের বণিকেরা এই মঠের বাজারে বেচা-কেনা করতে আসত।
১১৪০ সালে রাজার উপদেষ্টা অ্যাবট স্যুগে সাঁ-দ্যনির নাগরিকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসেন। তিনি সাঁ-দ্যনির বাজিলিয়ার আওতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করেন, যা এখনো বিদ্যমান। একে গোথিক স্থাপত্যের প্রারম্ভিক ভাগের প্রথম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[২][৩] নতুন গির্জাটি ১১৪৪ সালে উপাসনার জন্য পৃথক করা হয়।
শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধে সাঁ-দ্যনির জনসংখ্যা হ্রাস পায়। যুদ্ধের পর ১০,০০০ জনসংখ্যা থেকে ৩,০০০ জন বেঁচে ছিল।
ফরাসি ধর্মের যুদ্ধে ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যে ১৫৬৭ সালের ১০ই নভেম্বর সাঁ-দ্যনির যুদ্ধ হয়। প্রোটেস্ট্যান্টরা পরাজিত হলেও ক্যাথলিকদের কমান্ডার আন দ্য মোঁমোরঁসি খুন হন। ১৫৯০ সালে শহরটি চতুর্থ অঁরির নিকট সমর্পণ করা হয়। অঁরি ১৫৯৩ সালে সাঁ-দ্যনি মঠে ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
রাজা চতুর্দশ লুই (১৬৩৮-১৭১৫) সাঁ-দ্যনিতে বুনন ও সুতা কাটা এবং রং করা-সহ কয়েকটি শিল্প চালু করেন। তার উত্তরসূরি পঞ্চদশ লুইয়ের (১৭১০-১৭৭৪) কন্যা কার্মেলিত কনভেন্টের একজন নান ছিলেন। তিনি এই শহরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং এতে করে পঞ্চদশ লুই এই কনভেন্টে একটি চ্যাপল যোগ করেন ও রাজকীয় মঠের দালানগুলো নতুন করে সাজান।
পরিবহন
[সম্পাদনা]সাঁ-দ্যনিতে মেট্রো, আরইআর, ট্রাম ও ট্রান্সিলিয়েন যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। সাঁ-দ্যনি রেল স্টেশন ১৮৪৬ সালে নির্মিত হয়, যা পূর্বে সাঁ-দ্যনির একমাত্র রেল স্টেশন ছিল। বর্তমানে এটি ট্রান্সিলিয়েন পারি - নর (লাইন আশ) উপশহর রেল লাইন ও আরইআর লাইন ডি'র মধ্যবর্তী স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৪]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]সাঁ-দ্যনিতে ২৯টি সরকারি প্রাক-বিদ্যালয় বা নার্সারি বিদ্যালয় রয়েছে।[৫] এখানে ৩০টি সরকারি বাধ্যতামূলক বিদ্যালয় রয়েছে, তন্মধ্যে একটি আন্তঃসাম্প্রদায়িক বিদ্যালয়।[৬] এই শহরে আটটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।[৭] এই শহরের কলেজগুলো হল লিস বার্থোল্ডি, লিস পল এলুয়ার, লিস স্যুগে, ও লিস দাপ্লিকাশিও দ্য লেনা।[৮]
সাঁ-দ্যনিতে একটি বেসরকারি বাধ্যতামূলক, মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে এবং একটি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Saint-Denis - Habitants"। habitants.fr। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ Rolf, Toman (ed.) (2004). Der Gothisch. Ullmann & Könemann
- ↑ Swaan, Wim (1969). The Gothic Cathedral
- ↑ "carnet02"। cfchanteraines (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "La liste des écoles maternelles de Saint-Denis"। Saint-Denis (ফরাসি ভাষায়)। ১০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "La liste des écoles élémentaires de Saint-Denis"। Saint-Denis (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Les collèges dans la ville"। Saint-Denis (ফরাসি ভাষায়)। ৩০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ "Les lycées dans la ville"। Saint-Denis (ফরাসি ভাষায়)। ৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- INSEE (ইংরেজি)
- City council website (ফরাসি)
- Saint-Denis, a town in the Middle Ages (ইংরেজি)
| সাধারণ | |
|---|---|
| জাতীয় গ্রন্থাগার | |
| অন্যান্য | |
