সফবীয় সাম্রাজ্য
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হলো: রচনাশৈলী। (ডিসেম্বর ২০২১) |
| ১৫০১–১৭৩৬ | |
প্রতীক[৫]
| |
শাহ প্রথম আব্বাসের শাসনামলে সফবীয় সাম্রাজ্য | |
| অবস্থা | সাম্রাজ্য |
| রাজধানী | |
| প্রচলিত ভাষা | ফার্সি (রাষ্ট্রভাষা)[ঘ]
|
| ধর্ম | শিয়া ইসলাম (রাষ্ট্রধর্ম)[২২]
|
| সরকার | রাজতন্ত্র |
| শাহেনশাহ | |
• ১৫০১–১৫২৪ | প্রথম ইসমাইল (প্রথম) |
• ১৭৩২–১৭৩৬ | তৃতীয় আব্বাস (সর্বশেষ) |
| উজিরে আজম | |
• ১৫০১–? | আমীর জাকারিয়া (প্রথম) |
• ১৭২৯–১৭৩৬ | নাদের কুলী বেগ (সর্বশেষ) |
| আইন-সভা | রাষ্ট্রসভা |
| ঐতিহাসিক যুগ | প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ |
• সফীউদ্দীন আর্দবিলী কর্তৃক সফবিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠা | ১৩০১ |
• প্রতিষ্ঠা | ২২ ডিসেম্বর[২৩] ১৫০১ |
| ১৭২২ | |
• নাদের শাহের নেতৃত্বে পুনর্বিজয় | ১৭২৬–১৭২৯ |
• বিলুপ্ত | ৮ মার্চ ১৭৩৬ |
• নাদের শাহের অভিষেক | ৮ মার্চ ১৭৩৬[২৪] |
| মুদ্রা | তুমান, আব্বাসি (জর্জীয় আবাজিসহ), শাহী[২৫]
|
| বর্তমানে যার অংশ | |
| ইরানের ইতিহাস |
|---|
| ধারাবাহিকের একটি অংশ |
সফবীয় সাম্রাজ্য (ফার্সি: شاهنشاهی صفوی, Šāhanšāhi-ye Safavi), যা সফবীয় পারস্য, সফবীয় ইরান বা সুরক্ষিত ইরান অঞ্চল[ছ] নামেও পরিচিত, ছিল ইরানের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্য। ১৫০১ সাল থেকে ১৭৩৬ সাল পর্যন্ত এই সাম্রাজ্যটি সফবীয় রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়।[২৬][২৭][২৮][২৯] একে প্রায়শই আধুনিক ইরানের ইতিহাসের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়[৩০] এবং বারুদ সাম্রাজ্যগুলোর অন্যতম ধরা হয়।[৩১] সফবীয় শাহ প্রথম ইসমাইল শিয়া ইসলামের দ্বাদশী মতবাদকে সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন, যা ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হয়।[৩২]
এই ইরানি রাজবংশের শিকড় ছিল সুফিবাদী সফবিয়া তরিকায়,[৩৩] যা কিছু সূত্র অনুযায়ী কুর্দি বংশোদ্ভূত শেখদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩৪] রাজবংশটি তুর্কোমান,[৩৫] জর্জীয়,[৩৬] চর্কসীয়[৩৭][৩৮] ও পন্তীয় গ্রীক[৩৯] বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ব্যাপক বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তারা তুর্কিভাষী ও তুর্কায়িত ছিল।[৪০] আর্দবীল থেকে উঠে এসে সফবীয়রা বৃহত্তর ইরান অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং ঐ অঞ্চলের ইরানি আত্মপরিচয় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।[৪১] এভাবে বুঈদের পর প্রথম স্থানীয় রাজবংশ হিসেবে সফবীয়রা দাপ্তরিকভাবে “ইরান” নামক একটি জাতীয় রাষ্ট্র গঠন করে।[৪২]
সফবীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রধান অবদান রাখে কিজিলবাশ[৪৩][৪৪] নামক তুর্কোমান উপজাতিরা, যার নামের অর্থ “লাল মাথা”।[৪৫] অন্যদিকে, নৃতাত্ত্বিক ইরানিরা আমলাতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৪৬] সফবীয়রা ১৫০১ থেকে ১৭২২ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করে। ১৭২৯ থেকে ১৭৩৬ এবং ১৭৫০ থেকে ১৭৭৩ সাল পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী পুনঃপ্রতিষ্ঠাও ঘটে। তাদের শাসনের সর্বোচ্চ ব্যাপ্তিতে তারা আজকের ইরান, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, পূর্ব জর্জিয়া, উত্তর ককেশাসের অংশ, যেমন: রাশিয়া, ইরাক ও তুরস্ক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করত।
১৭৩৬ সালে সাম্রাজ্যটির পতন ঘটলেও সফবীয়দের উত্তরদান ছিল গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী: তারা ইরানকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করে, ভারসাম্য নীতির উপর ভিত্তি করে একটি কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলে, স্থাপত্যে উদ্ভাবন আনে এবং উচ্চশ্রেণির শিল্পকলাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে।[৩০] সফবীয়রা দ্বাদশী শিয়াবাদকে ইরানের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং শিয়া ইসলামকে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, ককেশাস, আনাতোলিয়া, পারস্য উপসাগর এবং মেসোপটেমিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়।[৩০][৩২]
সফবীয় রাজবংশকে মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের পরবর্তী সময়ে ইরানের ইতিহাসে একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ দীর্ঘকাল ধরে অপারসিক শাসকদের অধীনে থাকার পর ইরান আবার মুসলিম বিশ্বে একটি স্বাধীন ও প্রভাবশালী পারসিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।[৪৭]
পটভূমি
[সম্পাদনা]সফবীয় ইতিহাসের শুরুটা হয় তার নামীয় প্রতিষ্ঠাতা সফীউদ্দীন আর্দবিলি (১২৫২–১৩৩৪) দ্বারা সুফি সফবিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। ৭০০/১৩০১ সালে সফীউদ্দীন তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু ও শ্বশুর জাহেদ গিলানীর কাছ থেকে গিলানের গুরুত্বপূর্ণ সুফি তরিকা জাহেদিয়ার নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সফীউদ্দীনের দুর্দান্ত আধ্যাত্মিক কারিশ্মার কারণে তরিকাটি পরে সফবিয়া হিসাবে পরিচিত হয়েছিল। তরিকাটা শীঘ্রই আর্দবিল শহরে দুর্দান্ত প্রভাব অর্জন করেছিল এবং হামদুল্লাহ মুস্তফি উল্লেখ করেন যে, আর্দাবিলের বেশিরভাগ লোক সফীউদ্দীনের অনুসারী ছিল।
পুরাতন আজেরি ভাষায় রচিত সফীউদ্দীনের ধর্মীয় কবিতা[৪৮]—বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় উত্তর-পশ্চিম ইরানীয় ভাষায় লেখা—এবং তার সাথে একটি সহায়ক ফার্সি তফসির আজ অবধি টিকে আছে এবং এটির ব্যাপক ভাষাতাত্ত্বিক গুরুত্বও রয়েছে।[৪৮]
সফীউদ্দীনের পর সফবিয়ার নেতৃত্ব আসেন সদরউদ্দীন মুসা († ৭৯৪/১৩৯১–৯২)। এই সময় তরিকাটি একটি ধর্মীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় যা গোটা ইরান, সিরিয়া এবং এশিয়া মাইনর জুড়ে ধর্মীয় প্রচারণা চালায় এবং সম্ভবত তখন তার সুন্নি শাফিঈ উৎস বজায় ছিল। তরিকার নেতৃত্ব সদরউদ্দীন মুসা থেকে তাঁর পুত্র খাজা আলী সফবী († ১৪২৯) এবং তার পুত্র ইব্রাহিমের (†১৪২৯–১৪৪৮) হাতে যায়।
১৪৪৭ সালে যখন ইব্রাহিমের পুত্র শেখ জুনেদ সফবিয়ার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, তখন সফবীয় আন্দোলনের ইতিহাস আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। ঐতিহাসিক রজার স্যাভরির মতে, “শেখ জুনেদ আধ্যাত্মিক কর্তৃত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং তিনি বৈষয়িক ক্ষমতা চেয়েছিলেন।” ""। এ সময় ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজবংশ ছিল কারা কোয়ুনলু তথা ‘কালো মেষ’, যার শাসক জাহান শাহ জুনেদকে আর্দবিল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন এবং অন্যথায় তিনি এ শহরটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেন।[৩২] জুনেস কারা কোয়ুনলু জাহান শাহের প্রতিদ্বন্দ্বী, আক কোয়ুনলু (সাদা মেষ) খান উজুন হাসানের কাছে আশ্রয় নেন এবং উজুন হাসানের বোন খাদিজা বেগমকে বিয়ে করে সম্পর্ক জোরদার করেন। জুনেদ শিরওয়ানশাহ অঞ্চলগুলিতে আক্রমণ করার সময় নিহত হন এবং তাঁর পুত্র শেখ হয়দর সফবী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
হয়দর উজুন হাসানের মেয়ে মার্থা আলমশাহ হালিমা বেগমকে বিয়ে করেন[৩৯], যিনি সফবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম ইসমাইলকে জন্ম দেন। মার্থার মা থেওদরা—যিনি দেস্পিনা খাতুন নামে পরিচিত[৪৯]—ছিলেন একজন পন্তীয় গ্রীক রাজকন্যা, ত্রবিজন্দের গ্র্যান্ড কোমনেনোস চতুর্থ যোহনের মেয়ে। উসমানীয়দের কাছ থেকে গ্র্যান্ড কোমনেনোদের সুরক্ষার বিনিময়ে তিনি উজুন হাসানের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।[৫০]
উজুন হাসানের মৃত্যুর পরে তার পুত্র ইয়াকুব ক্রমবর্ধমান সফবীয় ধর্মীয় প্রভাব দ্বারা হুমকি অনুভব করেছিলেন। ইয়াকুব নিজেকে শিরওয়ানশাহের সাথে জোটবদ্ধ করেন এবং ১৪৮৮ সালে হয়দরকে হত্যা করেন। এই সময়ের মধ্যে সফবিয়ার বেশিরভাগ অংশ আনাতোলিয়া এবং আজারবাইজান থেকে যাযাবর ওঘুজ তুর্কিভাষী গোষ্ঠী ছিল এবং তাদের ভিন্নধর্মী লাল পাগড়ির কারণে কিজিলবাশ তথা “লাল মাথা” নামে পরিচিত ছিল। কিজিলবাশরা ছিল যোদ্ধা, হয়দরের আধ্যাত্মিক অনুসারী এবং সফবীয় সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তির উৎস।
হয়দরের মৃত্যুর পরে সফবীয়রা তার পুত্র আলী মির্জা সফবীকে ঘিরে সংঘবদ্ধ হয়েছিল ও অনুসরণ করেছিল। ইয়াকুবও তাকে হত্যা করেছিল। সফবীয়দের দাপ্তরিক ইতিহাস মোতাবেক, আলী মারা যাওয়ার আগে তার ছোট ভাই ইসমাইলকে সফবিয়া তরিকার আধ্যাত্মিক নেতা হিসাবে মনোনীত করেছিলেন।[৩২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]শাহ প্রথম ইসমাইল (শা. ১৫০১–১৫২৪) কর্তৃক রাজবংশের প্রতিষ্ঠা
[সম্পাদনা]ইসমাইলের শাসনের পূর্বে ইরান
[সম্পাদনা]
তৈমুরীয় সাম্রাজ্যের (১৩৭০–১৫০৬) পতনের পর ইরান রাজনৈতিকভাবে খণ্ডিত হয়ে পড়ে, যার ফলে বহু ধর্মীয় আন্দোলনের উদ্ভব ঘটে। তামারলানের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বিলুপ্ত হওয়ায় এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়, বিশেষত শিয়া সম্প্রদায়, সামনে আসতে ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। এদের মধ্যে ছিল কয়েকটি সুফি তরিকা, হুরুফি, নুক্তাভি এবং মুশা‘শাঈয়্যাহ। এই বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্যে সফবীয় কিজিলবাশ রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে টিকে থাকা শক্তি প্রমাণিত হয়, এবং এর সাফল্যের ফলে ১৫০১ সালে শাহ ইসমাইল প্রথম রাজনৈতিক খ্যাতি অর্জন করেন।[৫৩] ইসমাইলের প্রতিষ্ঠিত ইরানি রাষ্ট্র গঠনের আগে বহু স্থানীয় রাজ্য বিদ্যমান ছিল।[৫৪] প্রায় ১৫০০ সালের দিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় শাসকেরা ছিলেন:
- সুলতান হোসেন বায়করা, হেরাতের তৈমুরীয় শাসক
- আলবন্দ মির্জা, তব্রীজের আক কোয়ুনলু খান
- মুরাদ বেগ, ইরাকুল আজমের আক কোয়ুনলু শাসক
- ফররুখ ইয়াসার, শীরওয়ানের শাহ
- বদীউজ্জামান মির্জা, বল্খের স্থানীয় শাসক
- হোসেন কিয়া চলবী, সমনানের স্থানীয় শাসক
- মুরাদ বেগ বয়ন্দর, ইয়াজদের স্থানীয় শাসক
- সুলতান মাহমুদ ইবন নিজামুদ্দীন ইয়াহিয়া, সিস্তানের শাসক
- মাজন্দরান ও গিলানের কয়েকজন স্থানীয় শাসক, যেমন: দ্বিতীয় বিসোতুন, আশরাফ ইবন তাজুদ্দৌলা, মির্জা আলী ও দ্বিতীয় কিয়া হোসেন।
ইসমাইল তার প্রতিষ্ঠিত ইরানি সাম্রাজ্যের অধীনে এই সমস্ত ভূখণ্ডকে একীভূত করতে সক্ষম হন।
শাহ প্রথম ইসমাইলের উত্থান
[সম্পাদনা]
সফবীয় বংশ প্রায় ১৫০১ সালে শাহ প্রথম ইসমাইল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫৫] তাঁর পটভূমি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে— তিনি যে ভাষা ব্যবহার করতেন, তা তাঁর “জাতিসত্তা” বা “জাতীয়তার” ভাষার সঙ্গে অভিন্ন ছিল না, এবং জন্ম থেকেই তিনি দ্বিভাষিক ছিলেন।[৫৬] ইসমাইল ছিলেন তুর্কোমান, কুর্দি, পন্তীয় গ্রীক ও জর্জীয় বংশের মিশ্র বংশধর এবং সুফি মুসলিম সাধক শেখ সফীউদ্দীন আর্দবিলির সরাসরি উত্তরসূরি।[৫৭] শেখ সফীউদ্দীনের জাতিগত উৎস নিয়ে বিভিন্ন ইতিহাসবিদের ভিন্ন ভিন্ন দাবি রয়েছে— হিনৎস বলেছেন তিনি আরব, আয়ালন বলেছেন তিনি তুর্কি, কসরবী বলেছেন তিনি ইরানি,[৫৮] আর তোগান মত দিয়েছেন যে তিনি কুর্দি ছিলেন কিন্তু শাহ ইসমাইলের সময়ে সম্পূর্ণ তুর্কায়িত হয়েছিলেন।[৫৯] স্যাভরি ও গুন্দুজ উল্লেখ করেছেন যে শেখ সাফি আল-দীনের জাতিগত উৎস সংক্রান্ত মূলপাঠে তথ্যগত ভুল রয়েছে।[৬০][৬১] রোমারের মতে, সফবীয় শাহ ছিলেন তুর্কোমান ও ইরানি উভয় বংশের মিশ্র উত্তরাধিকারী। সুতরাং বংশপ্রতিষ্ঠাতা শেখ সফী ইরানি, কুর্দি বা সৈয়দ ছিলেন কি না— এই প্রশ্নটি মূলত অপ্রাসঙ্গিক।[৪৬]
তিনি ছিলেন সফবিয়া তরিকার বংশানুক্রমিক শেষ আধ্যাত্মিক প্রধান, যিনি এটির শাসক বংশে উত্তরণের আগেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইসমাইলকে বলা হয় সাহসী ও আকর্ষণীয় যুবক, শিয়া ইসলামের প্রতি প্রবল উৎসাহী, এবং তিনি নিজেকে ঐশ্বরিক বংশোদ্ভূত বলে মনে করতেন— কিজিলবাশ অনুগামীরা প্রায় তাঁর বন্দনা করত।
১৫০০ সালে ইসমাইল প্রথম পার্শ্ববর্তী শিরভান আক্রমণ করেন তাঁর পিতা শেখ হয়দরের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে— যাকে ১৪৮৮ সালে শীরওয়ানের শাসক ফররুখ ইয়াসার হত্যা করেছিলেন। এরপর ইসমাইল এক বিজয় অভিযানে নামেন— ১৫০১ সালের জুলাই মাসে তব্রীজ দখল করেন, নিজেকে আজারবাইজানের শাহ হিসেবে সিংহাসনে বসান,[৬২][৬৩][৬৪] ইরানের “রাজাদের রাজা” (শাহানশাহ) উপাধি গ্রহণ করেন[৬৫][৬৬][৬৭] এবং নিজের নামে মুদ্রা চালু করেন, যেখানে দ্বাদশী শিয়াবাদকে তাঁর শাসনের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।[৩২]
সফবীয় ইরানে দ্বাদশীবাদকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণার ফলে বিভিন্ন সুফি তরিকা প্রকাশ্যে শিয়াপন্থী অবস্থান নেয়, আর অন্যরা দ্রুত শিয়া মতবাদে দীক্ষিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম সফল সুফি তরিকার প্রতিষ্ঠাতা শাহ নিমাতুল্লাহ ওয়ালি (মৃ. ১৪৩১), যিনি নিজের বংশধারা প্রথম ইসমাইলি ইমাম মুহম্মদ ইবন ইসমাইল পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে দাবি করেছিলেন— যা একটি কবিতা ও আরেকটি অপ্রকাশিত রচনায় প্রমাণিত। যদিও শাহ নিমাতুল্লাহ ওয়ালি ছিলেন সুন্নি মুসলিম, সফবীয় বংশের উত্থানের পর নিমাতুল্লাহি তরিকা দ্রুত শিয়াতে রূপান্তরিত হয়।[৬৮]

প্রথমদিকে ইসমাইল কেবল আজারবাইজানের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফবীয়রা প্রায় এক শতাব্দী ধরে চলমান বিভিন্ন বংশ ও রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে সমগ্র ইরানের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। তাবরিজ বিজয়ের এক বছর পর ইসমাইল ইরানের অধিকাংশ অঞ্চলকে তাঁর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করেন এবং ১০ বছরের মধ্যে পুরো দেশের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।[৩২] ইসমাইল “পাদিশাহ-ই-ইরান” উপাধি গ্রহণের আগে ইরানি ও তুর্কোমান শাসকদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন— যা পূর্বে উজুন হাসান ও আরও অনেক ইরানি রাজার দ্বারা ধারণ করা হয়েছিল।[৬৯] অটোমান সুলতানরা তাঁকে ইরানি ভূমির রাজা এবং জমশেদ ও কয় খুসরোর উত্তরাধিকারী বলে সম্বোধন করত।[৭০]
১৫০১ সালে আজারবাইজান, শীরওয়ান, দক্ষিণ দাগেস্তান (গুরুত্বপূর্ণ দারবন্দ শহরসহ) ও আর্মেনিয়া নিয়ে শুরু করে,[৭১] ১৫০২ সালে এরজিঞ্জান ও এরজুরুম,[৭২] ১৫০৩ সালে হামাদান, ১৫০৪ সালে শিরাজ ও কেরমান, ১৫০৭ সালে দিয়ারবাকির, নজফ ও কারবালা, ১৫০৮ সালে ভান, ১৫০৯ সালে বাগদাদ এবং ১৫১০ সালে হেরাতসহ খোরাসানের অন্যান্য অংশ দখল করেন। ১৫০৩ সালে কার্তলি ও কাখেতি রাজ্যগুলোও তাঁর অধীনস্ত হয়।[৭৩] ১৫১১ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্বের উজবেকরা, যাদের খান মুহাম্মদ শায়বানি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, অক্সাস নদীর ওপারে উত্তরে সরে যেতে বাধ্য হয়, যেখান থেকে তারা সফবীয়দের আক্রমণ চালিয়ে যায়। খোরাসানের অধিকাংশ দখলকারী উজবেকদের বিরুদ্ধে ইসমাইলের নির্ণায়ক বিজয় ইরানের পূর্ব সীমান্তকে নিরাপদ করে এবং এরপর থেকে উজবেকরা কখনও হিন্দুকুশ অতিক্রম করতে পারেনি। যদিও উজবেকরা মাঝে মাঝে খোরাসানে আক্রমণ চালাত, সফবীয় সাম্রাজ্য তাদের পুরো শাসনকাল জুড়ে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল।
উসমানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের শুরুয়াত
[সম্পাদনা]
সফবীয়দের জন্য আরও বড় সমস্যা ছিল শক্তিশালী প্রতিবেশী অটোমান সাম্রাজ্য। সুন্নি রাজবংশ হিসেবে উসমানীয়রা সফবীয়দের জন্য আনাতোলিয়ার তুর্কমান গোষ্ঠীগুলির সক্রিয় নিয়োগকে বড় হুমকি হিসেবে দেখত। এই উত্থানশীল সফবীয় শক্তিকে প্রতিহত করতে ১৫০২ সালে সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদ আনাতোলিয়া থেকে বহু শিয়া মুসলমানকে জোরপূর্বক অটোমান সাম্রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে নির্বাসিত করেন। ১৫১১ সালে শাহকুলু বিদ্রোহ ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের ভেতরে থেকে পরিচালিত এক ব্যাপক শিয়াপন্থী এবং সফবীয়পন্থী আন্দোলন।[৭৪] ১৫১০-এর দশকের শুরুতেই ইসমাইলের সম্প্রসারণবাদী নীতি সফবীয় সীমান্তকে এশিয়া মাইনরেআরও পশ্চিম দিকে ঠেলে দেয়। অটোমানরা শীঘ্রই প্রতিক্রিয়া জানায়, যখন নূর-আলী খলিফার নেতৃত্বে সফবীয় গাজীরা পূর্ব আনাতোলিয়ায় বড় আকারের অভিযান চালায়। এই ঘটনা ১৫১২ সালে সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদ ছেলে সুলতান প্রথম সেলিমের সিংহাসনে আরোহণের সঙ্গে মিলে যায় এবং প্রতিবেশী সফবীয় ইরানে আক্রমণ করার জন্য সেলিমের কাছে এটি যুদ্ধের অজুহাত (casus belli) হিসেবে কাজ করে।[৭৫]
সুলতান প্রথম সেলিম আনাতোলিয়া পেরিয়ে খয় শহরের কাছে চালদিরান সমভূমিতে পৌঁছান, যেখানে একটি নির্ণায়ক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। অধিকাংশ সূত্রমতে, অটোমান সেনাবাহিনী ইসমাইলের বাহিনীর অন্তত দ্বিগুণ ছিল;[৫৫] তাছাড়া, অটোমানদের কাছে কামান ছিল, যা সফবীয় বাহিনীর ছিল না। ইতিহাসবিদ রজার স্যাভরির মতে, “সেলিমের পরিকল্পনা ছিল তব্রীজে শীতকাল কাটানো এবং পরবর্তী বসন্তে পারস্য জয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা। কিন্তু তার অফিসারদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দেয়—তারা তব্রীজে শীত কাটাতে অস্বীকার করে—ফলে তিনি আট দিন পর পশ্চাদপসরণ করেন, যা সফবীয়রা আগেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিল।”[৫৫] যদিও ইসমাইল পরাজিত হন এবং তার রাজধানী দখল হয়, সফবীয় সাম্রাজ্য টিকে যায়। ইসমাইলের পুত্র সম্রাট প্রথম তহমাস্প এবং অটোমান সুলতান সুলাইমানের সময় পর্যন্ত দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকে, যতক্ষণ না শাহ আব্বাস ১৬০২ সালের মধ্যে অটোমানদের কাছ থেকে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন।

চালদিরান যুদ্ধে পরাজয়ের মানসিক প্রভাবও ইসমাইলের জন্য বড় ছিল: পরাজয় তার ঈশ্বরপ্রদত্ত মর্যাদার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা নিজের অজেয়তার বিশ্বাসকে ভেঙে দেয়।[৩২] তার কিজিলবাশ অনুসারীদের সঙ্গে সম্পর্কও মৌলিকভাবে পরিবর্তিত হয়। চালদিরানের আগে যে উপজাতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাময়িকভাবে থেমে গিয়েছিল, তা ইসমাইলের মৃত্যুর পর তীব্র আকারে ফিরে আসে এবং ১৫২৪–১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দশ বছরের গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি করে, যতক্ষণ না শাহ তহমাস্প আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পুনর্গঠন করেন। ইসমাইলের শাসনের শেষ দশকের বেশিরভাগ সময়, সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন পরিচালিত হয় তাজিক উজির মির্জা শাহ হোসেনের দ্বারা, যিনি ১৫২৩ সালে খুন হন।[৭৬] চালদিরান যুদ্ধ ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি উসমানীয় ও পারসিক সফবীয়দের (এবং পরবর্তী ইরানি রাজবংশগুলির) মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের ঘনঘন ও কঠোর যুদ্ধের সূচনা করে, যা মূলত পূর্ব আনাতোলিয়া, ককেশাস এবং মেসোপটেমিয়ার ভূখণ্ড নিয়ে ভূ-রাজনীতি ও আদর্শগত বিরোধের কারণে সংঘটিত হয়।
প্রারম্ভিক সফবীয় শক্তি ইরানে মূলত কিজিলবাশদের সামরিক ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল ছিল। ইসমাইল এই শক্তি কাজে লাগিয়ে ইরানের ক্ষমতা দখল করেন। কিন্তু চালদিরানে পরাজয়ের পর রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে তিনি সরকারের দায়িত্ব উকিল (প্রধান প্রশাসক) দফতরে ন্যস্ত করেন। ইসমাইলের উত্তরসূরিরা, বিশেষত শাহ আব্বাস প্রথম, কিজিলবাশদের প্রভাব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে সফলভাবে কমিয়ে আনেন।
শাহ তহমাস্প (শা. ১৫২৪–১৫৭৬)
[সম্পাদনা]তহমাস্পের প্রারম্ভিক শাসনামলে নাগরিক বিগ্রহ
[সম্পাদনা]
খোরাসানের নামমাত্র তরুণ গভর্নর তহমাস্প[৭৭] ১৫২৪ সালে তাঁর পিতা ইসমাইলের উত্তরসূরি হন, তখন তাঁর বয়স ছিল দশ বছর তিন মাস। উত্তরাধিকারে কোনো বিরোধ দেখা যায়নি বলে প্রতীয়মান হয়।[৭৬] তহমাস্প ছিলেন শক্তিশালী কিজিলবাশ আমির আলী বেগ রুমলুর (উপাধি “দিভ সুলতান রুমলু”) তত্ত্বাবধানে, যিনি নিজেকে কার্যত রাষ্ট্রের শাসক মনে করতেন। রুমলু এবং কোপেক সুলতান উস্তাজলু (যিনি ইসমাইলের শেষ উকিল ছিলেন) তরুণ শাহের সহ-অভিভাবক বা সহ-শাসক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেন।[৭৬] চালদিরানের যুদ্ধের উত্তরদায় ক্ষত এখনও বহন করা কিজিলবাশদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়ে ওঠে। তাহমাসপের শাসনের প্রথম দুই বছর কেটে যায় দিভ সুলতানের উস্তাজলুকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের প্রচেষ্টায়।[৭৬] এই দরবারি ষড়যন্ত্র সরাসরি উপজাতীয় সংঘর্ষে রূপ নেয়। ১৫২৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে যুদ্ধ শুরু হয়, প্রথমে উত্তর-পশ্চিম ইরানে, কিন্তু দ্রুতই তা সমগ্র খোরাসানকে আচ্ছন্ন করে।[৭৮] তরুণ ইসমাইলের মতো এক ক্যারিশম্যাটিক, মসীহীয় নেতা অনুপস্থিত থাকায়, উপজাতীয় নেতারা তাদের ঐতিহ্যগত বিশেষাধিকার পুনরুদ্ধার করে এবং স্থানীয় সামন্তযুগে ফিরে যাওয়ার হুমকি তৈরি করে। প্রায় দশ বছর ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী কিজিলবাশ গোষ্ঠীগুলি পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই চালায়। প্রথমে কোপেক সুলতানের উস্তাজলু গোত্রই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এক যুদ্ধে নিহত হন।
এইভাবে প্রথম প্রাসাদ ষড়যুদ্ধে দিভ সুলতান বিজয়ী হন, কিন্তু পরে তাক্কালুর চুহা সুলতানের হাতে পরাজিত হন, যিনি তহমাস্পকে তাঁর প্রথম পরামর্শকের বিরুদ্ধে দাঁড় করান। ১৫২৭ সালে তহমাস্প প্রকাশ্যে তাঁর ইচ্ছা প্রদর্শন করেন—সমবেত দরবারের সামনে দিভ সুলতানের দিকে একটি তীর ছুঁড়ে। তাক্কালুরা রুমলুদের স্থান দখল করে প্রধান গোত্রে পরিণত হয়। কিন্তু তারাও পরে শামলুদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, যাদের আমির হোসেইন খান শামলু প্রধান উপদেষ্টা হন। তবে এই নতুন নেতা কেবল ১৫৩৪ সাল পর্যন্ত টিকে ছিলেন; সেই বছর তাঁকে অপসারণ ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।[৭৯]
হোসেইন খানের পতনের পর তহমাস্প স্বয়ং শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আরেকটি তুর্কমেন গোত্রের ওপর নির্ভর না করে, তিনি একজন পারসিক উকিল নিয়োগ করেন। ১৫৫৩ সাল থেকে চল্লিশ বছরের জন্য শাহ উপজাতীয় বিশ্বাসঘাতকতার ফাঁদ এড়াতে সক্ষম হন। তবে গৃহযুদ্ধের সেই দশক সাম্রাজ্যকে বৈদেশিক হুমকির মুখে ফেলে দেয় এবং তহমাস্পকে উজবেকদের বারংবার আগ্রাসনের দিকে মনোযোগ দিতে হয়।[৮০]
সাম্রাজ্যের জন্য বৈদেশিক হুমকি
[সম্পাদনা]তহমাস্পের শাসনামলে উজবেকরা রাজ্যের পূর্ব প্রদেশগুলোতে পাঁচবার আক্রমণ চালায়, আর প্রথম সুলেমানের নেতৃত্বে উসমানীয়রা ইরানে চারবার হামলা চালায়।[৮১] উজবেক বাহিনীর বিকেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণই মূলত তাদের খোরাসানে স্থায়ীভাবে ভূখণ্ড দখলে ব্যর্থতার প্রধান কারণ ছিল।[৮২] অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব পাশ কাটিয়ে ১৫২৮ সালে সফবীয় অভিজাতরা হেরাতের উপর আসন্ন হুমকির জবাব দিতে তহমাস্পকে (তখন তাঁর বয়স ১৭) সঙ্গে নিয়ে পূর্বদিকে যাত্রা করে এবং জামের যুদ্ধে সংখ্যায় অনেক বেশি উজবেক বাহিনীকে পরাজিত করে।[৮৩] এই বিজয় আংশিকভাবে সম্ভব হয় সফবীয়দের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কারণে, যা তারা চালদিরানের যুদ্ধের পর থেকে সংগ্রহ ও অনুশীলন করে আসছিল।[৮৪]
জামে আগ্নেয়াস্ত্রের সাফল্য সত্ত্বেও তহমাস্প তখনও তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অটোমানদের মোকাবিলার আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি; বরং প্রায়শই ‘স্কর্চড আর্থ’ রণকৌশল ব্যবহার করে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার পথ বেছে নেন।[৮৫] ১৫৩২–১৫৫৫ সালের উসমানীয়–সফবীয় যুদ্ধকালীন উসমানীয়দের ১৫৩৪ ও ১৫৪৮–১৫৪৯ সালের অভিযানে লক্ষ্য ছিল যথাক্রমে তহমাস্পের ভাই সাম মির্জা ও আলকাস মির্জাকে শাহ হিসেবে বসানো, যাতে ইরানকে একটি সামান্ত রাজ্যে পরিণত করা যায়। ঐসব অভিযানে (এবং ১৫৫৪ সালেও) অটোমানরা তব্রীজ দখল করলেও সেখানে দীর্ঘস্থায়ীভাবে অবস্থান করার মতো পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা তাদের ছিল না।[৮৪] তবুও ইরাক ও এর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তহমাস্প তাঁর দরবার তব্রীজ থেকে কজবীনে সরিয়ে নেন।
তহমাস্পের শাসনের সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময়, ১৫৫৩–৫৪ সালে উসমানীয় বাহিনী ইয়েরেভান, কারাবাখ ও নাখজুয়ান দখল করে, প্রাসাদ, ভিলা ও উদ্যান ধ্বংস করে এবং আর্দবীলকে হুমকি দেয়। এই অভিযানের সময় শামলু গোত্রের এক ব্যক্তি (যারা তখন সাম মির্জার দাবিকে সমর্থন করছিল) শাহকে বিষ প্রয়োগের চেষ্টা করে। তহমাস্প যুদ্ধ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৫৫৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর দূতকে সুলেমানের শীতকালীন আস্তানা এরজুরুমে পাঠান শান্তির প্রস্তাব নিয়ে।[৮৬] অস্থায়ী শর্তাবলীর পর ১৫৫৫ সালের জুন মাসে আমসায়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা পরবর্তী দুই দশকের জন্য অটোমানদের সাথে যুদ্ধের অবসান ঘটায়। এই চুক্তি ছিল অটোমানদের পক্ষ থেকে সফবীয় সাম্রাজ্যের প্রথম আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক স্বীকৃতি।[৮৭] চুক্তি মোতাবেক অটোমানরা ইয়েরেভান, কারাবাখ ও নাখজুয়ান সফবীয়দের ফিরিয়ে দেয় এবং বিনিময়ে মেসোপটেমিয়া (ইরাক) ও পূর্ব আনাতোলিয়া নিজেদের হাতে রাখে। সুলেমান সম্মত হন যে, সফবীয় শিয়া তীর্থযাত্রীরা মক্কা–মদিনা এবং ইরাক ও আরবে ইমামদের মাজারে যেতে পারবে, তবে শর্ত থাকে যে, শাহ প্রথম তিন রাশিদুন খলিফাকে নিয়ে সমালোচনার প্রথা (তবররু) বিলুপ্ত করবেন।[৮৮] এটি ভূখণ্ড ও মর্যাদার দিক থেকে এক বড় ধরনের ক্ষতি ছিল, কিন্তু এর ফলে সাম্রাজ্য টিকে যায়—যা তহমাস্পের শাসনের প্রথমদিককার পরিস্থিতি বিবেচনায় একসময় অসম্ভব মনে হয়েছিল।
রাজকীয় শরণার্থী: বায়েজীদ ও হুমায়ুন
[সম্পাদনা]
প্রায় একই সময় সফবীয় সাম্রাজ্যের উত্থানের সঙ্গেসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় তৈমুরীয় উত্তরাধিকারী বাবরের প্রতিষ্ঠিত মুগল সাম্রাজ্যের বিকাশ হচ্ছিল। মুগলরা (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) সহনশীল সুন্নি ইসলামের অনুসারী ছিলেন, যদিও তারা মূলত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার উপর শাসন করতেন। বাবরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র হুমায়ুন নিজের সৎভাই ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাতে ভূখণ্ড হারান, যিনি বাবরের উত্তরাঞ্চলের অঞ্চলগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন।[৯০] শহর থেকে শহরে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়ে, অবশেষে ১৫৪৩ সালে হুমায়ুন কজবীন শাহ তাহমাস্পের দরবারে আশ্রয় চান। তহমাস্প হুমায়ুনকে মুগল বংশের প্রকৃত সম্রাট হিসেবে স্বীকৃতি দেন, যদিও তখন হুমায়ুন নির্বাসনে পনেরো বছরেরও বেশি সময় পার করেছিলেন।[৯০][৯১] চরম চাপের মুখে শিয়া ইসলাম গ্রহণ করার পর[৯০] তহমাস্প হুমায়ুনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেন, বিনিময়ে কন্দহার দাবি করেন—যা মধ্য ইরান ও গঙ্গার মধ্যবর্তী স্থলবাণিজ্য পথ নিয়ন্ত্রণ করত। ১৫৪৫ সালে এক যৌথ ইরানি–মুগল বাহিনী কন্দাহার নিয়ন্ত্রণে নেয় ও কাবুল দখল করে।[৯২] হুমায়ুন কন্দহার তহমাস্পকে হস্তান্তর করেন, কিন্তু ১৫৫৮ সালে হুমায়ুন সফবীয় গভর্নরের মৃত্যুর পর তা দখল করলে তহমাস্পকে ফের কন্দহার পুনর্দখল করতে হয়।
হুমায়ুনই একমাত্র রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন না যিনি তহমাস্পের দরবারে আশ্রয় নেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যে বৃদ্ধ সুলতান সুলেমানের উত্তরাধিকারের প্রশ্নে বিরোধ দেখা দেয়। সুলাইমানের প্রিয় স্ত্রী হুররাম সুলতান চেয়েছিলেন তাঁর পুত্র দ্বিতীয় সেলিম যেন পরবর্তী সুলতান হন। কিন্তু সেলিম ছিলেন মদ্যপ, আর হুররামের অন্য পুত্র শাহজাদা বায়েজীদ অনেক বেশি সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। দুই যুবরাজের মধ্যে বিরোধ বাঁধে এবং অবশেষে বায়েজীদ তাঁর পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। তাঁর অনুতাপের চিঠি সুলেমানের কাছে পৌঁছায়নি, ফলে মৃত্যুদণ্ড এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যেতে হয়। ১৫৫৯ সালে বায়েজীদ ইরানে পৌঁছোন, যেখানে তহমাস্প তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সুলেমান তাঁর পুত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনায় আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু তহমাস্প তাঁর প্রতিশ্রুতি ও হুমকি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেন, অবশেষে ১৫৬১ সালে সুলেমান তাঁর সঙ্গে আপস করেন। সেই বছর সেপ্টেম্বরে, তহমাস্প ও বায়েজীদ তব্রীজে এক ভোজে অংশ নিচ্ছিলেন, যখন তহমাস্প হঠাৎ ভান করলেন যে তিনি খবর পেয়েছেন অটোমান যুবরাজ তাঁর জীবন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। একটি ক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয় এবং তহমাস্প বায়েজীদকে হেফাজতে নেন, দাবি করেন এটি তাঁর নিরাপত্তার জন্য। এরপর তহমাস্প যুবরাজকে অটোমান দূতের কাছে হস্তান্তর করেন। কিছু পরেই বায়েজীদ তাঁর নিজের পিতার পাঠানো গুপ্তঘাতকদের হাতে নিহত হন।[৯৩]
শাহ তহমাস্পের সিলসিলা
[সম্পাদনা]যখন তরুণ শাহ তহমাস্প সিংহাসনে আরোহন করলেন, তখন ইরানের অবস্থা অত্যন্ত দুঃসহ ছিল। দুর্বল অর্থনীতি, গৃহযুদ্ধ এবং দুই অভিমুখে বিদেশি যুদ্ধের মাঝেও তহমাস্প তাঁর মুকুট ধরে রাখতে সক্ষম হন এবং সাম্রাজ্যের ভৌগোলিক একতা রক্ষা করেন (যদিও ইসমাইলের সময়ের তুলনায় অনেক কম)। তাঁর দীর্ঘ শাসনামলের প্রথম ৩০ বছরে তিনি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিভাজন দমন করতে সক্ষম হন। উজবেকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি প্রমাণ করেন যে, সফবীয়রা একটি বারুদ সাম্রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অটোমান হুমকির বিরুদ্ধে তার কৌশল অবশেষে এমন একটি চুক্তির পথ সুগম করেছিল যা বিশ বছর শান্তি রক্ষা করেছিল।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তহমাস্প সূক্ষ্ম শিল্পকলার পুনরুজ্জীবনে নেতৃত্ব দেন, যা তার পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত হয়। সফবীয় সংস্কৃতি প্রায়শই বৃহৎ শহর পরিকল্পনা ও স্থাপত্যের জন্য প্রশংসিত হয়, যা পরবর্তী শাসকদের শাসনামলে গড়ে ওঠে, তবে পারসিক ক্ষুদ্রচিত্র, বইবাঁধাই ও চারুলিপি শিল্পসমূহ আসলে তার সময়ের মতো যতটা মনোযোগ পায়নি।[৯৪]

তহমাস্প এমন বীজ রোপণ করেছিলেন যা অনিচ্ছাকৃতভাবেই পরে অনেক পরিবর্তন আনবে। তাঁর শাসনামলে তিনি নিজের সাম্রাজ্য এবং প্রতিবেশী উসমানীয় সাম্রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলেন যে বিপজ্জনক প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী এবং অভ্যন্তরীণ পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শাসকদ্বয়ের জন্য হুমকি। এগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা না করলে শাসকের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হত অথবা অপ্রয়োজনীয় রাজপ্রাসাদের ষড়যন্ত্র হতে পারত। 'এনসাক্লোপিডিয়া ইরানিকা মোতাবেক, তহমাস্পের জন্য সমস্যা ছিল সাম্রাজ্যের সামরিক গোত্রধারী কিজিলবাশ শ্রেণি যারা বিশ্বাস করতেন সফবীয় পরিবারের কোনো সদস্যের শারীরিক নৈকট্য ও নিয়ন্ত্রণ আধ্যাত্মিক সুবিধা, রাজনৈতিক সৌভাগ্য ও বস্তুগত উন্নতি নিশ্চিত করে।[৯৬] যদিও তহমাস্প তার ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয়দের (যেমন ভাই ও ছেলে) নিয়মিত বিভিন্ন গভর্নরশিপে বদলি করে পরিবারের সম্ভাব্য ঝামেলাগুলো কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান মূলত কিজিলবাশদের রাজনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করা। এনসাক্লোপিডিয়া ইরানিকা অনুসারে, তাঁর পিতা এবং সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম ইসমাইল এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন, যিনি বহু বিশিষ্ট পারসিকদের শক্তিশালী প্রশাসনিক পদে নিযুক্ত করেছিলেন এবং ১৫৩৫ সালের পর থেকে প্রধান উজির কাজী জাহানের সাথে তহমাস্পের দীর্ঘ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।[৯৬] পারসিকরা তহমাস্পের শাসনামলে প্রশাসনিক ও ধর্মীয় শ্রেণীতে তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা অব্যাহত রাখলেও কিজিলবাশদের সামরিক ভূমিকা কমানোর জন্য খুব কম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।[৯৬]

অতএব, ১৫৪০ সালে শাহ তহমাস্প ককেশাস অঞ্চলে একাধিক আক্রমণ শুরু করেন, যা তার সৈন্যদের প্রশিক্ষণ ও ড্রিলিঙের পাশাপাশি বৃহৎ পরিমাণে খ্রীষ্টান চর্কসীয় ও জর্জীয় দাস ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যও বহন করত। এই দলগুলো পরবর্তীতে সামরিক দাস ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তোলে,[১০০] যা প্রতিবেশী উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইয়েনিশারি বাহিনীর অনুরূপ ছিল[১০১] এবং একই সময়ে ইরানি সমাজে একটি নতুন জাতিগত স্তর সৃষ্টি করেছিল, যা ছিল মূলত ককেশীয়দের নিয়ে গঠিত।
১৫৫৩ সালের চতুর্থ আক্রমণে তহমাস্প স্পষ্ট করলেন যে তিনি দখল ও পুনর্বাসনের নীতি অনুসরণ করছেন, কারণ তিনি তিবিলিসি ও কার্তলি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ৩০,০০০-এর বেশি লোককে কেন্দ্রীয় ইরানি ভূখণ্ডে স্থানান্তর করেন।[৯৬] এনসাক্লোপিডিয়া ইরানি অনুসারে, এটি গোলামান-এ খাসসা-এ শরীফা বা রাজকীয় দাস বাহিনীর সূচনা ছিল, যারা সাম্রাজ্যের বেশিরভাগ সময় সামরিক ক্ষেত্রে প্রাধান্য বজায় রাখে। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ককেশিয়ান গিলমান গোত্রবাদী আনুগত্য ও আত্মীয়তার বাধার আওতায় ছিল না, যা তহমাস্পের জন্য আকর্ষণীয় ছিল, যিনি কিজিলবাশ গোত্র রাজনীতির প্রভাবের মধ্যে বড় হয়েছিলেন।[৯৬] এই স্থানান্তরিত নারীদের অনেকেই তহমাস্পের স্ত্রী ও কন্যাশ্রেষ্ঠী হয়েছিলেন, এবং সফবীয় হেরেম জাতিগত রাজনীতির একটি প্রতিযোগিতামূলক ও কখনও কখনও মারাত্মক মঞ্চে পরিণত হয়েছিল, যেখানে তুর্কমেন, চর্কসীয় ও জর্জীয় নারীরা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন শাহের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য।[৯৬]
যদিও প্রথম দাস সৈন্যগণ প্রথম আব্বাসের শাসনামলে সংগঠিত হন, তহমাস্পের সময় ককেশীয়রা রাজকীয় পরিবার, হেরেম এবং বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন[১০২][১০৩] এবং ধীরেধীরে তারা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হন। তহমাস্পের এক বোন একজন চর্কসীয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি তাহমাসপের মেয়ে পরী খান খানুমের সাথে জোট বেঁধে শাসনবিন্যাসে প্রভাব বিস্তার করেন।
আমাসিয়া শান্তি চুক্তির পর তহমাস্প “সত্যিকার ক্ষমাপ্রার্থনা” ঘোষণা করেন। একই সময়ে তিনি তাঁর ছেলে ইসমাইলকে কিজিলবাশ অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে কহকহা কারাগারে বন্দী করেন। তিনি শিয়া ইসলামি চর্চা শক্তিশালী করতে নতুন রাজধানী কজবীনে এমন কবিতা ও সঙ্গীত নিষিদ্ধ করেন যা আলী ও বারো ইমামদের সম্মান করে না। তিনি ঐতিহ্যবাহী শিয়া এলাকায় কর হ্রাস করেন, মসজিদে সেবা নিয়ন্ত্রিত করেন এবং শিয়া প্রোপাগাণ্ডাবিদ ও গুপ্তচর নিয়োগ দেন। সুন্নিদের বিরুদ্ধে হয়রানি, ভীতি সৃষ্টি এবং হয়রানি শুরু হয়।[১০৪]
৯৮৪/১৫৭৬ সালে তহমাস্পের মৃত্যুর সময় ইরান ছিল গৃহযুদ্ধমুক্ত, সীমানা সুরক্ষিত এবং উজবেক ও অটোমান থেকে যেকোনো তাৎক্ষণিক হুমকিহীন। তবে দুর্বল কেন্দ্রীয় ক্ষমতার কারণে স্থানীয় অসন্তোষের হুমকি অপরিবর্তিত ছিল। এই অবস্থা তহমাস্পের নাতি প্রথম আব্বাস সিংহাসনে ওঠার আগ পর্যন্ত (যে সময় এটি আরও খারাপ হয়) অব্যাহত ছিল।
তহমাস্পের ছেলেদের অধীনে বিশৃঙ্খলা
[সম্পাদনা]
তহমাস্পের মৃত্যুর পর তার নয় ছেলের মধ্যে দুজনের সমর্থন জন্ম নেয়; সমর্থন জাতিগত অভিমুখ অনুসারে বিভক্ত ছিল—দ্বিতীয় ইসমাইল প্রধানত তুর্কমেন গোত্র, তাঁর বোন পরী খান খানুম ও তাঁর চাচা শমখাল সুলতান ও চর্কসীয়দের সমর্থন পেতেন, অন্যদিকে হয়দরকে জর্জিয়ানরা সমর্থন করত যদিও তার কিছু সমর্থন ছিল তুর্কমেন উস্তাজলুর কাছ থেকেও।[১০৫] ইসমাইল ১৫৫৬ থেকে কহকহায় বন্দী ছিলেন একটি অভ্যুত্থানের অভিযোগে, তবে কারাগারের বাইরে ৩০,০০০ কিজিলবাশ সমর্থকদের বিক্ষোভের পর তিনি সিংহাসনে বসার সুযোগ পান।[১০৬] ১৫৭৬ সালের ২২শে আগস্ট ইসমাইলের সিংহাসনে ওঠার কিছুদিন পর হয়দরের শিরশ্ছেদ করা হয়।
দ্বিতীয় ইসমাইল দ্বিতীয় (শা. ১৫৭৬–১৫৭৭)
[সম্পাদনা]ইসমাইলের ১৪ মাসের শাসনকাল দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ: আত্মীয়দের এবং সমর্থকদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড এবং ধর্মীয় নীতির বিপরীতমুখী পদক্ষেপ। তিনি তাঁর বড় ভাই মহম্মদ খোদাবন্দাকে ছাড়া সকল আত্মীয়কে হত্যা করেন, যিনি প্রায় অন্ধ ছিলেন এবং সিংহাসনের যোগ্য প্রার্থী নন, এবং মহম্মদের তিন ছেলে: হামজা মির্জা, আব্বাস মির্জা ও আবু তালিব মির্জা বেঁচে থাকেন।[১০৭] ইসমাইলের এই হিংস্রতা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ফল হতে পারে (উসমানীয় সুলতানরা মাঝে মাঝে উত্তরাধিকারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করতেন),[১০৮] তবে তাঁর শিয়াবিরোধী আচরণ সম্ভবত তাঁর পিতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ছিল, যিনি নিজেকে ধার্মিক মনে করতেন। ইসমাইল সুন্নিমত পুনঃপ্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন। তবে এখানে বাস্তব রাজনৈতিক কারণও থাকতে পারে, যেমন শিয়া ধর্মীয় নেতাদের অতিরিক্ত শক্তিশালী অবস্থানের বিরোধিতা।[১০৯] তাঁর আচরণে মাদক সেবনের প্রভাবও থাকতে পারে। যাই হোক, তিনি শেষ পর্যন্ত (কিছু সূত্র মতে) তার চর্কসীয় সৎবোন পরী খান খানুম দ্বারা বিষপান করে হত্যা হন, যিনি তাকে হয়দরের চেয়ে প্রাধান্য দিয়েছিলেন।[১১০]
মহম্মদ খোদাবন্দা (শা. ১৫৭৮–১৫৮৭)
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় ইসমাইলের মৃত্যুর পর তিনজন উত্তরাধিকারীর প্রার্থী ছিলেন: ইসমাইলের শিশু পুত্র শাহ শুজা, মহম্মদ খোদাবন্দা (ইসমাইলের ভাই) এবং মহম্মদের পুত্র সুলতান হামজা মির্জা, যিনি তখন ১১ বছর বয়সী। পরী খান খানুম (ইসমাইল ও মহম্মদের বোন) যেকোনো একের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার আশায় ছিলেন। মহম্মদ নির্বাচিত হন এবং ১৫৭৯ সালের ১১শে ফেব্রুয়ারি মুকুট লাভ করেন।[১১১] মহম্মদ দশ বছর শাসন করেন এবং প্রথমে তাঁর বোন আদালত নিয়ন্ত্রণ করতেন, কিন্তু তিনি শীঘ্রই অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হন, যা অব্যাহত থাকে, যদিও উজবেক ও অটোমানরা পুনরায় সফবীয় অঞ্চলে হুমকি দেয়।
টেমপ্লেট:Continental Asia in 1600 CE
মহম্মদ অন্যদের মাধ্যমে শাসন পরিচালনা করতেন, কিন্তু তাঁর কোনো প্রতিপক্ষ তহমাস্প বা দ্বিতীয় ইসমাইলের মতো ক্ষমতাবান, দক্ষ ও নিষ্ঠুর ছিল না যাতে জাতিগত বা প্রাসাদের গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং তাদের সবাই কঠোর পরিণতি ভোগ করে। মহম্মদের ছোট বোন, যিনি ইসমাইল দ্বিতীয়কে ক্ষমতায় আনতে ও অপসারণ করতে সাহায্য করেছিলেন এবং কিজিলবাশদের মধ্যে প্রভাবশালী ছিলেন, হন প্রথম শিকার। তিনি কজবীনে মহম্মদের শাসনামলের পর খুব বেশিদিন বাঁচেননি এবং খুন হন।[১১২] তিনি মির্জা সালমান জাবেরীর (ইসমাইল দ্বিতীয়র সময়কার উজির) এবং মহম্মদের প্রধান পত্নী, খাইরুন্নিসা বেগমের (মহদ-ই উলিয়া) ষড়যন্ত্রে নিহত হন। কিছু তথ্য অনুযায়ী মির্জা সালমান প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন।[১১৩] পরী খান খানুম কিজিলবাশদের মধ্যে শক্তিশালী সমর্থন পেতেন এবং তার মামা শমখাল সুলতান একজন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত প্রভাবশালী চর্কসীয় ছিলেন।[১০৭] মির্জা সালমান রাজধানী ছাড়ার আগে পরী খান খানুম দরজা বন্ধ করে দেন এবং মির্জা সালমান মহম্মদ খোদাবন্দা ও তার স্ত্রীর কাছে শিরাজে আশ্রয় নেন, যেখানে তিনি তাদের সেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন।[১১৪] তিনি বিশ্বাস করতেন যে শাসন করবে যখন শত্রু দূর হবে, কিন্তু মহদ-ই উলয়া তার চেয়ে শক্তিশালী প্রমাণিত হন।
তিনি রাষ্ট্রের কার্যক্রমে প্রায় সরাসরি প্রভাব বিস্তার করতে চাননি, বরং নিজে সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেন, যার মধ্যে রাজ্যের প্রধান কর্মকর্তাদের নিয়োগ ছিল। নিয়মিত রাজকীয় সমারোহের পরিবর্তে, এই উচ্চ পদস্থরা প্রতিদিন সকালে নারীদের আবাসস্থলের প্রবেশদ্বারে এসে বেগমের নির্দেশ গ্রহণ করতেন। এই সময় রাজকীয় আদেশপত্র প্রস্তুত ও সীলমোহর করা হত।[১১২]
আমিরগণ তার অপসারণ দাবি করেন এবং ১৫৭৯ সালের জুলাই মাসে মহদ-ই উলিয়া হেরেমে গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড পান, অভিযোগ ছিল যে তিনি ক্রিমীয় খান আদিল গিরের ভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রেখেছিলেন, যিনি ১৫৭৮–১৫৯০ সালের অটোমান–সফবীয় যুদ্ধের সময় আটক হন এবং কজভিনে বন্দী ছিলেন।[১১২][১১৫] অপরাধীদের কেউ বিচারকক্ষের সামনে আসেননি, যদিও শাহ সফবীয়দের পুরনো রীতি ভঙ্গ করার জন্য আমিরদের নিন্দা দেন। তিনি ১১ বছর বয়সী সুলতান হামজা মির্জাকে (মহদ-ই উলিয়ার প্রিয়) উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।[১১৬]
প্রাসাদের ষড়যন্ত্র জাতিগত অস্থিরতার প্রতিফলন, যা শিগগিরই উন্মুক্ত যুদ্ধে পরিণত হয়। ইরানের প্রতিবেশীরা সুযোগ নিয়ে আক্রমণ চালায়। ১৫৭৮ সালের বসন্তে উজবেকরা আক্রমণ চালায়, তবে মশহদের গভর্নর মুর্তজা কুলী সুলতান তাদের পরাস্ত করেন।[১১৭] আরও গুরুতর হলো অটোমানরা আমসিয়া শান্তিচুক্তি ভেঙে ইরানের ভূখণ্ড, বিশেষ করে জর্জিয়া ও শীরওয়ান আক্রমণ করে, ১৫৯০ পর্যন্ত চলা যুদ্ধ শুরু করে। প্রাথমিক আক্রমণ প্রতিহত হওয়ার পরও তারা দক্ষিণ ককেশাস, দাগেস্তান, কুর্দিস্তান ও লোরেস্তানে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে এবং ৯৯৩/১৫৮৫ সালে তারা তব্রীজ দখল করে।[১১৮]
এই সব বিদেশি হুমকির মাঝে, খোরাসানে বিদ্রোহ শুরু হয়, যা মহম্মদের পুত্র আব্বাসের পক্ষে অথবা তার দ্বারা পরিচালিত ছিল। আলী কুলী খান শামলু, আব্বাসের ‘লালা’ ও ইসমাইল দ্বিতীয়র প্রতিনিধি, ১৫৮১ সালের এপ্রিল মাসে হেরাতে আব্বাসকে শাহ ঘোষণা করেন।[১১৯] পরবর্তী বছরে বিশ্বস্ত কিজিলবাশ বাহিনী (তুর্কমেন ও তাক্কালু যারা কজবীন নিয়ন্ত্রণ করত), উজির মির্জা সালমান ও উত্তরাধিকারী সুলতান হামজা মির্জার নেতৃত্বে, বিদ্রোহী উস্তাজলু-শামলু জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, যারা নামীয় তরুণ আব্বাসের শাসনে খোরাসান নিয়ন্ত্রণ করেছিল।[১২০] উস্তাজলু প্রধান মুরশিদ কুলী খান রাজকীয় ক্ষমা প্রাপ্ত হন, তবে শামলু নেতা আলী কুলী খান হেরাতে আব্বাসসহ বন্দী হন। উজির মনে করতেন রাজকীয় বাহিনী পর্যাপ্ত জোরে অবরোধ চালায়নি এবং বিদ্রোহের অভিযোগ করেন। বিশ্বস্ত কিজিলবাশরা মির্জা সালমানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে তাদের কাছে হস্তান্তর করে, যাকে তারা মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং সম্পদ জব্দ করে।[১২১] হেরাত অবরোধ ১৫৮৩ সালে আলী কুলী খানের আত্মসমর্পণের অভাবে শেষ হয় এবং খোরাসান পুরোপুরি বিদ্রোহের পরিস্থিতিতে ছিল।
১৫৮৫ সালে দুটি ঘটনা কিজিলবাশদের মধ্যে বিরোধ ভাঙতে সাহায্য করে। প্রথমত, পশ্চিমে অটোমানরা সৈন্যদের বিশৃঙ্খলা দেখে সফবীয় অঞ্চলে গভীর আগ্রাসন চালায় এবং প্রাচীন রাজধানী তব্রীজ দখল করে। উত্তরাধিকারী হামজা মির্জা, তখন ২১ বছর বয়সী, সফবীয় বিষয় পরিচালনা করতেন এবং অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন, তবে ১৫৮৬ সালে রহস্যজনকভাবে হত্যা হন। পূর্বে, উস্তাজলু গোত্রের মুরশিদ কুলী খান শামলুদের কাছ থেকে আব্বাসকে উদ্ধার করেন। ১৫৮৭ সালে উজবেকদের বিশাল আগ্রাসন কজবীনে মুরশিদ কুলী খানের ক্ষমতা প্রবর্তনের সুযোগ দেয়। রাজধানীতে আব্বাসের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয় এবং শাহ মহম্মদ রাজকীয় প্রতীকাবলী তার পুত্র আব্বাস প্রথমের হাতে হস্তান্তর করেন, যাকে ১৫৮৮ সালের ১ অক্টোবর সিংহাসনে আরোহন করানো হয়। সাম্রাজ্যের জন্য এটি গুরুতর মুহূর্ত ছিল, কারণ পশ্চিম ও উত্তরে অটোমান ও পূর্বে উজবেকরা আংশিক নিয়ন্ত্রণ দখল করেছিল।[১২২]
শাহ আব্বাস (শা. ১৫৮৮–১৬২৯)
[সম্পাদনা]১88 বছর বয়সী আব্বাস আমি ১৫৮৮ সালে নামমাত্র শাহ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আসল ক্ষমতা ছিল তাঁর "পরামর্শদাতা" মুর্শিদকুলি খানের হাতে, যাঁরা কিজিলবাশের মধ্যে আদালত অফিস এবং প্রধান গভর্নরের পদকে পুনর্গঠিত করেছিলেন [১১৫] এবং নিজের জন্য ওয়াকালের উপাধি নিয়েছেন। [১০6] আব্বাসের নিজস্ব অবস্থান কিজিলবাশের অনুমোদনের চেয়ে আরও বেশি নির্ভরশীল বলে মনে হয়েছিল মোহাম্মদ খোদাবান্দার চেয়ে। কিজিলবাশের উপর আব্বাসের নির্ভরতা (যা একমাত্র সামরিক বাহিনী সরবরাহ করেছিল) সাম্রাজ্যের অনিশ্চিত পরিস্থিতি দ্বারা অটোম্যান এবং উজবেক উজানের অঞ্চল লুণ্ঠনের ফলে আরও দৃ rein় হয়েছিল। তবুও দশ বছরের ব্যবধানে আব্বাস সাফাইভিড প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর গভীর রূপান্তরকে প্রভাবিত করতে, বিদেশী আক্রমণকারীদের পিছনে ফেলে দিতে এবং পারস্য শিল্পের এক সমৃদ্ধির সভাপতিত্ব করতে সতর্কতার সাথে সময়োপযোগী তবে তবুও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ ব্যবহার করে সক্ষম হয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় কর্তৃত্বের পুনরুদ্ধার
[সম্পাদনা]শুরুতে আব্বাস পুরোপুরি তার কৌশল গঠন করেছিলেন কিনা, শাহের কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তাঁর পদ্ধতিটি তিনটি পর্যায়ে জড়িত ছিল: (১) অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার; (২) উজবেকদের কাছ থেকে পূর্ব অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার; এবং (3) অটোমানদের কাছ থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার 107 প্রথম পর্যায়ে যাত্রা শুরু করার আগে, সাম্রাজ্যের সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি থেকে মুক্তি পাওয়ার দরকার ছিল: অটোমানদের সামরিক চাপ। তিনি অটোমানদের সাথে শান্তির পদে পদক্ষেপ নেওয়ার অপমানজনক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আপাতত আজারবাইজান, কারাবাগ, গঞ্জা, পূর্ব জর্জিয়া সহ (ইরাকের রাজ্যের সমন্বয়ে) ইরাক এবং উত্তরের অঞ্চলগুলিতে তাদের আঞ্চলিক লাভ স্থায়ী করে দিয়েছেন। এবং কখেটি), দাগেস্তান এবং কুর্দিস্তান 108 [109] একই সঙ্গে, তিনি যাতে আদালতে আরও উপজাতির বিদ্বেষের সংকেত হিসাবে কিজিলবাশ দুর্বলতার এই আপাত প্রদর্শনকে ভুল না করেন তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যদিও তার "পরামর্শদাতা" মুর্শিদকুলী খানের ক্ষমতা দখলে কেউ আরও বাধা দিতে পারেনি, তিনি ওয়াকালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেতাদের চারপাশে দাঁড় করিয়েছিলেন এবং তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন। তারপরে, এই বক্তব্যটি দাঁড় করিয়ে যে তিনি তার স্বার্থকে সমর্থন করার জন্য এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও উত্সাহিত করবেন না, তিনি 1515 জুলাইয়ে মুর্শিদকুলী খানকে তার নিজের আদেশে হত্যা করার পক্ষে যথেষ্ট সুরক্ষিত বোধ করেছিলেন। [১১০] এটি স্পষ্ট ছিল যে আব্বাসের নেতৃত্বের ধরণটি মোহাম্মদ খোদাবান্দার নেতৃত্বের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
আব্বাস এক ধরণের উপজাতীয় কনফেডারেশন থেকে একটি আধুনিক সাম্রাজ্যবাদী সরকারে সাম্রাজ্যকে ধীরে ধীরে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হন একজন কিজিলবাশের প্রধানের দ্বারা পরিচালিত মামালিক (প্রাদেশিক) শাসন থেকে প্রদেশগুলি স্থানান্তরিত করে এবং যে রাজস্বটির বেশিরভাগ অংশই স্থানীয় কিজিলবাশ প্রশাসন এবং বাহিনীকে খাস (কেন্দ্রীয়) শাসনে সমর্থন করেছিল আদালত নিয়োগকারী এবং সভাপতির সভাপতিত্বে রাজস্ব পুনর্বার আদালতে প্রত্যাবর্তন ঘটে। গিলান এবং মাজান্দারান প্রদেশগুলি এ ক্ষেত্রে বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ, যা ইরানের একক গুরুত্বপূর্ণ রফতানি করেছিল; সিল্ক যথেষ্ট পরিমাণে নতুন উপার্জনের ফলে আব্বাস কেবলমাত্র তাঁর অনুগত, একটি কেন্দ্রীয়, স্থায়ী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে সক্ষম হন। এটি তাকে স্থানীয় উপজাতির প্রধানদের প্রতি অনুগত কিজিলবাশ যোদ্ধাদের উপর তার নির্ভরতা থেকে মুক্তি দিয়েছে। [১১১]
কিসিলবাশের উপর আব্বাসের নির্ভরতা কীভাবে কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন করেছিল, তবে কীভাবে তিনি এই নতুন সেনাবাহিনী গঠন করেছিলেন। এক তুর্কি গোত্রকে অন্যের উপরে না রাখার এবং তুর্কি-পার্সিয়ান শত্রুতা পোড়াতে এড়ানোর জন্য, তিনি তার সেনাকে "তৃতীয় বাহিনী" থেকে নিয়োগ করেছিলেন, যা নীতি প্রথম স্তরের তাহমাস্পের শাসনামল থেকেই কার্যকর হয়েছিল baby সার্কাসিয়ান, জর্জিয়ান এবং কিছুটা হলেও আর্মেনিয়ান গোলামগুলি (দাস) যা সামরিক বা সামরিক প্রশাসনের কোনও শাখার জন্য প্রশিক্ষিত হয়েছিল। আব্বাসের তৈরি স্থায়ী সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত: (১) 10,000-1515,000 অশ্বারোহী গোলাম রেজিমেন্টগুলি সম্পূর্ণরূপে জাতিগত ককেশীয়দের সমন্বয়ে গঠিত, সাধারণ অস্ত্র ছাড়াও পেশী দিয়ে সজ্জিত ছিল (তখন বিশ্বের বৃহত্তম অশ্বারোহী [১১২]); (২) মুসকিটিয়ার্সের একটি কোপ, তুফানগিয়িয়ান, মূলত ইরানী, মূলত পাদদেশীয় সৈন্য তবে শেষ পর্যন্ত আরোহণ করা হয়েছিল এবং (৩) আর্টিলারিম্যানদের একটি কোপ, ট্যাপচিইন। উভয় বাহিনী মিস্ত্রিটার এবং আর্টিলারিম্যান মোট 12,000 জন পুরুষ ছিল। এছাড়াও শাহের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, একচেটিয়াভাবে ককেশীয় গোলাম দ্বারা গঠিত, নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৩,০০০ করা হয়েছিল। [১১৩] আব্বাসের অধীনে সু-প্রশিক্ষিত ককেশীয় গোলামদের এই বাহিনী মোট প্রায় ৪০,০০০ সৈন্যকে শাহের জন্য অর্থ প্রদান করেছিল এবং দেখেছিল। [১১৪] [১১৫]
আব্বাস তার ক্ষমতাধারী কামানের সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং একক যুদ্ধে তাকে ৫০০ করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। [১১৫] নির্মম শৃঙ্খলা প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং লুটপাটের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। আব্বাস বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে সামরিক পরামর্শও অর্জন করতে পেরেছিলেন, বিশেষত ইংলিশ অ্যাডভেঞ্চারার স্যার অ্যান্টনি শিরলি এবং তার ভাই রবার্ট শর্লি, যিনি ১৫৯৮ সালে এসেক্সের আর্ল থেকে দূত হিসাবে ইরানকে প্ররোচিত করার এক মিশনে এসেছিলেন। অটোমান বিরোধী জোট। [১১6] এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা যেমন উল্লেখ করেছে, শেষ অবধি, ১00০০ সাল থেকে সাফাভিডের রাষ্ট্রপতি আল্লাভারদি খান, রবার্ট শেরেলের সাথে মিলিত হয়ে সেনাবাহিনীর আরও পুনর্গঠন করেছিলেন, যার অর্থ অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে নাটকীয়ভাবে গোলামের সংখ্যা ২৫,০০০-এ বাড়ানো হয়েছিল। [১১7]
আব্বাসও রাজধানী এসফাহনে চলে গিয়েছিলেন, মধ্য ইরানের গভীরে। আব্বাস আমি প্রাচীন পারস্যের পাশেই একটি নতুন শহর তৈরি করেছি। এই সময় থেকে রাজ্য আরও পারস্য চরিত্র গ্রহণ শুরু করে। সাফাভিডরা শেষ পর্যন্ত একটি নতুন পার্সিয়ান জাতীয় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিল।
উজবেক ও উসমানীয়দের কাছ থেকে অঞ্চল পুনরুদ্ধার
[সম্পাদনা]আব্বাস আমি 1598 সালে হেরাত এবং মাশহাদকে পুনরায় দখল করে উজবেকদের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম। তারপরে তিনি ১ grand১–-১18১৮ এর মধ্যে ১16১–-এর মধ্যে বাগদাদ, পূর্ব ইরাক এবং ককেশীয় প্রদেশগুলি পুনরায় দখল করে ইরানের আর্কাইভাল, অটোমানদের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন এবং প্রথম সাফভিদের বিজয় চিহ্নিত করেছিলেন। অটোমানদের উপর তিনি পারস্য উপসাগরে (ভারতের সাথে পর্তুগিজ বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ) থেকে বাহরাইন (1602) এবং ইংরেজ সহায়তায় হরমুজ (1622) থেকে পর্তুগিজদের স্থানচ্যুত করতেও তাঁর নতুন শক্তি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে বাণিজ্যিক সংযোগ প্রসারিত করেছিলেন। সুতরাং আব্বাস সাময়িকভাবে সম্ভবত অনির্দিষ্টকালের জন্য কিজিলবাশের উপর নির্ভরতা ভাঙতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাই সাফাভিড রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছিল।
অটোমান তুর্কি ও সাফাভিডস ইরাকের উর্বর সমভূমিতে দেড় শতাধিক বছর ধরে লড়াই করেছে। ১৫০৯ সালে ইসমাইল প্রথম দ্বারা বাগদাদ দখল করা তার 1515 সালে অটোমান সুলতান সুলায়মানের পরাজয়ের পরে ঘটেছিল। পরবর্তী অভিযানের পরে সাফাভিডস 1632 সালে অটোমান-সাফাভিড যুদ্ধের সময় বাগদাদকে পুনরায় দখল করেন তবে এটি আবারও হেরে যায় মুরাদ চতুর্থ ১38৩৮ সালে আব্বাসের মৃত্যুর পরে। এরপরে কসর-ই শিরিনে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি, যোহাব চুক্তি নামে পরিচিত, ১39৯৯ সালে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে একটি সীমানা বর্ণিত করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এটি এখনও পশ্চিম-পশ্চিম ইরান / দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে অবস্থিত একটি সীমান্ত। দেড়শ বছরের যুদ্ধের ঘটনা ইরাকে সুন্নি ও শিয়া বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করেছিল।
জর্জীয় অভ্যুত্থান দমন
[সম্পাদনা]১–১–-১– সালে অটোমান-সাফাভিড যুদ্ধের সময় (1603–1618), আব্বাস তার পূর্ববর্তী সবচেয়ে অনুগত জর্জিয়ান প্রজা লুসারব দ্বিতীয় এবং তেমনুরজ প্রথম (তাহমুরস খান নামে পরিচিত) কাখেটি রাজ্যে নেতৃত্বাধীন একটি বিদ্রোহকে দমন করেছিলেন। 1613 সালে, আব্বাস তার এই বিশ্বস্ত জর্জিয়ান গোলামগুলি কার্টলি এবং কাখেটির পুতুলের সিংহাসনে নিয়োগ করেছিলেন, ইরানীয় সাফাভিড জর্জিয়ার অঞ্চল শাসন করেছিল। সেই বছরের পরে, শাহ যখন মাজনদারনে একটি শিকার অভিযানে তাঁর সাথে যোগ দিতে ডেকেছিলেন, তখন তারা কারাবন্দি হন বা হত্যা করা হবে এই ভয়ে তারা উপস্থিত হননি। [১১৮] চূড়ান্তভাবে একটি জোট গঠন করে, দু'জনই অটোমান সেনাবাহিনীর সাথে আশ্রয় চেয়েছিল ইমেতিরিতে শাসন করেছিল। সাফাভিদ আদালতের ইতিহাসবিদ ইস্কান্দার বেগ মুন্সির বিবরণ অনুসারে শাহের দু'জনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিষয় এবং গোলোলামের এই বিচ্যুতি শাহকে তুষ্ট করেছিল। [১১৮]
পরের বসন্তে ১14১৪ সালে আব্বাস আমি দ্বিতীয় ইমেরতির আলেকজান্ডারের এক নাতিকে কার্তলির সিংহাসনে নিযুক্ত করেছিলেন, কাখেটির জেসি "ইসā খান" নামেও পরিচিত। [১১৮] এসফাহনের দরবারে এবং একজন মুসলমানের উত্থানে তিনি শাহের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত ছিলেন। পরবর্তীকালে, শাহ ইমেতিরীর রাজধানী গ্রিমের দিকে যাত্রা করে এবং তার ত্রুটিযুক্ত বিষয়গুলিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তার লোকদের শাস্তি দেয়। তিনি কার্তলিতে ফিরে এসেছিলেন এবং দুটি শাস্তিমূলক প্রচারণায় তিনি তিলিসিকে ধ্বংস করেছিলেন, –০-–০,০০০ কখেটি জর্জিয়ান কৃষককে হত্যা করেছিলেন এবং ১৩০,০০০-২০০,০০০ এর মধ্যে জর্জিয়ান বন্দীদের মূল ভূখণ্ড ইরানে নির্বাসন দিয়েছিলেন। [১১৯] [১২০] [१२১] [१२২] এই অঞ্চলটিকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করার পরে, তিনি কার্তলির দ্বিতীয় বিদ্রোহী লুসারবকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছিলেন এবং পরে জর্জিয়ার রানী কেতেভানকে শাহের কাছে আলোচনাকারী হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছিল এবং খ্রিস্টান ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানাতে গিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল এবং পুনর্বাসনের প্রতিশোধ নেওয়ার অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তিমুরাজের। [123] [124] আব্বাসের শাস্তিমূলক প্রচারণায় এই বছরগুলিতে কাখেটি তার জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ লোকসান করেছিলেন। বেশিরভাগকে ইরানে নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল, কিছুকে জবাই করা হয়েছিল। [১২৫]
তৈমুরাজ ১ 16১৫ সালে পূর্ব জর্জিয়ায় ফিরে এসে সাফাভিড বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন। এটি কেবল একটি সংক্ষিপ্ত ধাক্কা ছিল, কারণ আব্বাস ইতিমধ্যে আরও আক্রমণ ঠেকানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে চলেছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত পূর্ব জর্জিয়ান অঞ্চলগুলি সাফাভিড প্রদেশগুলির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে পরিণত করতে সফল হয়েছিল। ১ 16১৯ সালে তিনি অনুগত সাইমন দ্বিতীয় (বা সেমায়ুন খান) কে কাখেতীর প্রতীকী সিংহাসনে নিয়োগ করেছিলেন, এবং তাঁর নিজের একাধিক গভর্নরকে এমন একটি জেলা শাসন করার জন্য রেখেছিলেন যেখানে বিদ্রোহী বাসিন্দারা বেশিরভাগই অবস্থিত। [১১৮] তদুপরি, তিনি কার্তলির সমস্ত অভিজাতকে নির্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পূর্ব জর্জিয়া জুড়ে ইরানি শাসন পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, তবে জর্জিয়ান অঞ্চলগুলি সাফভিড তালিকাভুক্তির প্রতি 1624 সাল থেকে আব্বাসের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। [126]
কুর্দি বিদ্রোহ দমন
[সম্পাদনা]1609-10 সালে কুর্দি উপজাতি এবং সাফাভিড সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সাফাভিড গ্র্যান্ড উইজিয়ার হাতেম বেগের নেতৃত্বে দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী অবরোধের পরে, যা 1609 সালের নভেম্বর থেকে 1610 এর গ্রীষ্ম অবধি ছিল, কুর্দিদের দুর্গ দিমডিমটি দখল করা হয়েছিল। শাহ আব্বাস বেড়াদোস্ত ও মুকরিয়ানে একটি সাধারণ গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন (মহাবাদ, এস্কান্দার বেগ মনশি, সাফাভিদ ইতিহাসবিদ (১৫৫–-১6464২) "আলম আরা আব্বাসি" তে) এবং এই অঞ্চলে তুর্কি আফশার গোত্রকে পুনর্বাসিত করার সময় অনেক কুর্দি উপজাতিদের খোরাসানে নির্বাসন দেওয়ার সময়। । [127] [128] আজকাল, প্রায় 1.7 মিলিয়ন লোকের একটি সম্প্রদায় রয়েছে যারা সাফাভিডদের দ্বারা কুর্দিস্তান থেকে খোরসানে (উত্তর-পূর্ব ইরান) নির্বাসিত উপজাতির বংশধর। [१२৯]
আব্বাসের শাসনামলে ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ
[সম্পাদনা]খ্রিস্টানদের প্রতি আব্বাসের সহিষ্ণুতা তাদের সাধারণ শত্রু, অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য ইউরোপীয় শক্তির সাথে কূটনৈতিক সংযোগ স্থাপনের নীতিমালা ছিল। এইরকম অটোমান বিরোধী জোটের ধারণা নতুন ছিল না - এক শতাব্দী আগে ইরানের তৎকালীন শাসক উজুন হাসান ভেনিজিয়ানদেরকে সামরিক সহায়তার জন্য বলেছিলেন - তবে সাফাভিদের কেউই ইউরোপে কূটনৈতিক আক্রমণ চালিয়ে যায়নি। শাহ ইসমাইল প্রথম হাবসবার্গ-পার্সিয়ান জোটের পূর্ববর্তী পর্যায়ে সাধারণ অটোমান শত্রুর বিরুদ্ধে আবারও জোট প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা সাফাভিদের মধ্যে আমি প্রথম, তবে এটি তাঁর শাসনকালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলদায়কও প্রমাণিত হয়েছিল। [১৩০] আব্বাসের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্য তাঁর দাদা তাহমাস্পের প্রথমের মতো ছিল, যিনি খ্রিস্টান হওয়ার কথা শুনে ইংরেজ ভ্রমণকারী অ্যান্টনি জেনকিনসনকে তাঁর আদালত থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। [১৩১] তার অংশ হিসাবে, আব্বাস ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি "সর্বনিম্ন খ্রিস্টানদের জুতার তল থেকে সর্বোচ্চ উসমানীয় ব্যক্তিত্বের চেয়ে ধুলা পছন্দ করেছেন।" [১৩২] জোটবদ্ধতা সিল করার জন্য আব্বাস সক্রিয় ও প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
1599 সালে, আব্বাস তার প্রথম কূটনৈতিক মিশন ইউরোপে প্রেরণ করেছিলেন। এই দলটি ক্যাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে মস্কোতে নরওয়ে এবং জার্মানি (যেখানে এটি সম্রাট দ্বিতীয় রুডল্ফ দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছিল) দিয়ে রোমে যাওয়ার আগে শীতকালীন সময় কাটিয়েছিল, যেখানে পোপ ক্লিমেন্ট অষ্টম যাত্রীদের দীর্ঘ দর্শকদের উপহার দিয়েছিল। অবশেষে তারা ১ 160০২ সালে স্পেনের তৃতীয় ফিলিপের দরবারে পৌঁছেছিল। যদিও এই অভিযানটি কখনোই ইরানে ফিরে আসতে পারেনি, আফ্রিকার আশেপাশের যাত্রায় ডুবে যাওয়া হলেও এটি ইরান ও ইউরোপের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন পদক্ষেপের চিহ্ন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। ইউরোপীয়রা ইরানীদের এবং তাদের সংস্কৃতি দ্বারা মুগ্ধ হতে শুরু করেছিল - উদাহরণস্বরূপ, শেক্সপিয়ারের দ্বাদশ নাইট (1601–02), 'সোফি'-র দুটি রেফারেন্স দিয়েছে (তারপরে দ্বিতীয় শব্দটি), তারপরে ইংরেজি শব্দটি ইরানের শাহস। [১৩৩] [১৩৪] এখন থেকে, কূটনৈতিক মিশনের সংখ্যা এবং প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। [১৩৫]
ইউরোপের অটোম্যানদের প্রধান বিরোধী স্পেনের সাথে জোটের পক্ষে শাহ শাহজাদা করেছিলেন। আব্বাস ব্যবসায়ীদের অধিকার এবং অটোমানদের বিরুদ্ধে সাহায্যের বিনিময়ে ইরানে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু হরমুজের হোঁচট খাওয়া রইল, স্পেনের রাজা পর্তুগালের সিংহাসন উত্তরাধিকার সূত্রে স্পেনের রাজা হবার পরে স্প্যানিশ হাবসবার্গের হাতে পড়েছিল। স্প্যানিশরা আব্বাসকে ইংরেজদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছিল তারা ত্যাগ করার কথা বিবেচনা করার আগেই। শহর। আব্বাস তা মানতে অক্ষম ছিল। অবশেষে আব্বাস স্পেনের সাথে হতাশ হয়ে পড়েন, যেমন তিনি পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সাথে করেছিলেন, যেহেতু তিনি চেয়েছিলেন যে তিনি তাঁর ৪০০,০০০ এরও বেশি আর্মেনিয়ান পোপের প্রতি আনুগত্যের শপথ করান কিন্তু সম্রাট রুডল্ফ যখন অটোম্যানদের সাথে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন তখন শাহকে তা জানাতে কোনও অসুবিধা হয় নি। । পোপ, পোল্যান্ড এবং মস্কোর সাথে যোগাযোগগুলি আর ফলপ্রসূ হয়নি ১৩6
ইংরেজদের সাথে আব্বাসের যোগাযোগের বিষয়ে আরও কিছু ঘটেছিল, যদিও অটোমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের তেমন আগ্রহ ছিল না। শিরলে ভাইয়েরা ১৫৯৮ সালে এসে ইরান সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠনে সহায়তা করেছিল যা অটোমান-সাফাভিড যুদ্ধের (1603-18) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, ফলে যুদ্ধের সমস্ত পর্যায়ে অটোমান পরাজয় ঘটে এবং তাদের প্রথম সাফভিডের বিজয় সফল হয়। খিলান প্রতিদ্বন্দ্বী. শিরলে ভাইদের একজন রবার্ট শর্লি 1609-11515 অবধি আব্বাসের দ্বিতীয় কূটনৈতিক মিশনে ইউরোপে যান। [১৩ 13] ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করে সমুদ্রের ইংরেজরাও ইরানের প্রতি আগ্রহী হতে শুরু করে এবং ১ 16২২ সালে তার চারটি জাহাজ ওর্মুজের (১22২২) বন্দরে পর্তুগিজ থেকে হরমুজকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। এটিই ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইরানে দীর্ঘকালীন আগ্রহের সূচনা। [১৩ 13]
আব্বাসের স্থলাভিষেক ও উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]হত্যার তার উন্মত্ত ভয়ের কারণে, শাহ আব্বাসকে হত্যা করা হয়েছিল অথবা তার পরিবারের যে কোনও সদস্য তার সন্দেহ জাগিয়েছিল তাকে অন্ধ করে দিয়েছে। তাঁর প্রবীণ পুত্র, মুকুট রাজপুত্র মোহাম্মদ বাকের মির্জাকে আদালতের ষড়যন্ত্রের পরে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল যাতে বেশ কয়েকটি সার্কাসিয়ান জড়িত ছিলেন, এবং দু'জন অন্ধ হয়েছিলেন। যেহেতু আরও দুটি পুত্র তাকে পূর্বসূর করে নিয়েছিল, ফলাফল শাহ আব্বাসের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি ছিল। 1629 সালের 19 জানুয়ারি তিনি মারা যান, তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর কোনও পুত্র নেই ১৩৯
১ 17 শতকের গোড়ার দিকে কিজিলবাশের শক্তি মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়, মূল মিলিশিয়া যে ইসমাইল প্রথমকে তাবরিজকে বন্দী করতে সহায়তা করেছিল এবং বহু শতাব্দী জুড়ে বহু প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্জন করেছিল। শক্তি ককেশিয়ান নির্বাসন ও আমদানির নতুন শ্রেণিতে স্থানান্তরিত হচ্ছিল, জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনীয় কয়েক হাজার জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক। আব্বাসের মৃত্যুর প্রায় ৩০০ বছর পরও সমাজের এই নতুন স্তর ইরানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কাজার রাজবংশের পতন সহ।
প্রথম শাহ আব্বাসের দীর্ঘ শাসনামলে সাম্রাজ্যের পৌঁছনায় ইরান, ইরাক, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া, দাগেস্তান, কাবার্ডিনো-বাল্কারিয়া, বাহরাইন এবং তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তুরস্কের অংশ ছিল।
সাফাভীয় রাষ্ট্রের পতন
[সম্পাদনা]সপ্তদশ শতাব্দীর অগ্রগতির সাথে সাথে তার বহুবর্ষজীবী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি তাদের আক্রমণের ঘটনাটি অটোমান এবং উজবেকীয়রাও নতুন প্রতিবেশীদের উত্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল। পূর্ববর্তী শতাব্দীতে রাশিয়ান মুসকোভি পশ্চিমের এশীয় দুটি খানাটকে সোনার জোড়কে বহিষ্কার করেছিল এবং এর প্রভাব ইউরোপ, ককেশাস পর্বতমালা এবং মধ্য এশিয়ায় প্রসারিত করেছিল। আস্ট্রখান রাশিয়ান শাসনের অধীনে এসেছিল, দাগেস্তানে সাফাভিডের সম্পত্তি নিকটবর্তী ছিল। সুদূর পূর্ব অঞ্চলগুলিতে, ভারতের মুঘলরা সংক্ষিপ্তভাবে কান্দাহারকে নিয়ে ইরানের নিয়ন্ত্রণ ব্যয়ে খোরসানে (বর্তমানে আফগানিস্তান) প্রসারিত হয়েছিল।
১ Abbas৯৯ সালে, শাহ আব্বাসের পূর্বে ১৩০,০০০ এর মধ্যে গণ-প্রবাসের পরে প্রদেশটি পুনর্নির্মাণের জন্য এই অঞ্চলে কিজিলবাশ তুর্কি উপজাতির ব্যাপক জনবসতি অন্তর্ভুক্ত করার নীতি পরিবর্তনের কারণে কাফেটি রাজ্যটি সাফাভিদ ইরানের শাসনের বিরুদ্ধে উঠেছিল [ 140] - 200,000 [120] [121] [141] জর্জিয়ানরা ইরানের মূল ভূখন্ডের সাথে জড়িত এবং ১ 16১16 সালে আরও হাজারের গণহত্যার কারণে কোনও প্রভূত জনসংখ্যার ছাড়াই এই প্রদেশটি চলে যায়। এই বাখাত্রিণী বিদ্রোহটি দ্বিতীয় শাহ আব্বাসের ব্যক্তিগত নির্দেশে সফলভাবে পরাজিত হয়েছিল। তবে, কৌশলগতভাবে এটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে ১৪২ কাখেটিতে ইরানী কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, কিন্তু কিজিলবাশ তুর্কিদের কাখেটিতে বসতি স্থাপন থেকে বিরত রাখা হয়েছিল, যা সংশ্লিষ্ট প্রদেশে পরিকল্পিত ইরানি নীতিগুলিকে ক্ষুন্ন করেছিল।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া সংস্থা এবং পরবর্তীকালে ইংরেজ / ব্রিটিশরা পশ্চিম ভারত মহাসাগরের বাণিজ্য রুটগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের উচ্চতর সামুদ্রিক শক্তি ব্যবহার করেছিল। ফলস্বরূপ, ইরান পূর্ব আফ্রিকা, আরব উপদ্বীপ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিদেশের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। [১৪৩] সপ্তদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইরান উত্তর ও মধ্য ইউরোপের সাথে তার ওভারল্যান্ডের বাণিজ্য আরও বিকাশ করতে সক্ষম হওয়ায় ওভারল্যান্ডের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। [১৪৪] সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, ইরানীয় বণিকরা বাল্টিক সমুদ্রের উত্তরে নারভা হিসাবে উত্তর দিকে স্থায়ী উপস্থিতি স্থাপন করেছিল, এখন এস্তোনিয়াতে যা রয়েছে [145]
ডাচ এবং ইংরেজরা তখনও ইরান সরকারকে তার মূল্যবান ধাতব সরবরাহের বেশিরভাগ অংশ নিকাশ করতে সক্ষম হয়েছিল। দ্বিতীয় শাহ আব্বাস ব্যতীত আব্বাস প্রথমের পরে সাফাভিদ শাসকরা অকার্যকর হয়ে পড়েছিলেন এবং ইরান সরকার অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পূর্বের সীমান্তে মারাত্মক সামরিক হুমকি দেখা দিলে অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। [১৪ 14] দ্বিতীয় আব্বাসের শাসনের সমাপ্তি, 1666, এভাবে সাফাভিদ রাজবংশের শেষের সূচনা করে। রাজস্ব এবং সামরিক হুমকি সত্ত্বেও, পরে শাহগুলি ছিল দুর্দান্ত জীবনধারা। সুলতান হুসেন (১n৯৪-১–২২) বিশেষত তাঁর ওয়াইন প্রেম এবং শাসনব্যবস্থায় বিরক্তির জন্য পরিচিত ছিলেন। [১৪ 14]
১ its৯৮ সালে বালুচ উপজাতির দ্বারা করমান, ১17১17 সালে হোতাকী দ্বারা খোরাসান, দাগেস্তান ও উত্তর শিরওয়ান লেজগিনদের দ্বারা ১21১২ সালে মেসোপটেমিয়ায় সুন্নি উপদ্বীপ আরবদের দ্বারা ক্রমাগত অভিযান চালায়। সুলতান হোসেইন কান্দাহারে তাঁর আফগান প্রজাদের জোর করে সুন্নি থেকে টোয়েলভারিজমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছিলেন। জবাবে, মিরওয়াইস হোতাক নামে এক গিলজাই আফগান সরকারী বিদ্রোহ করে এবং তার সেনাবাহিনী সহ এই অঞ্চলের সাফাভিড গভর্নর গুর্গিন খানকে বিদ্রোহ করে হত্যা করে। ১22২২ সালে মীর ওয়াইজের পুত্র মাহমুদের নেতৃত্বে আফগান সেনাবাহিনী সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে অগ্রসর হয় এবং গুলনাবাদ যুদ্ধে সরকারী বাহিনীকে পরাজিত করে। এরপরে তিনি ইস্ফাহানের রাজধানী অবরোধ করেছিলেন, যতক্ষণ না শাহ সুলতান হুসেন তাঁকে ছেড়ে দিয়ে ইরানের নতুন রাজা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। [১৪৮] [পুরো উদ্ধৃতি প্রয়োজন] একই সময়ে, গ্রেট পিটারের নেতৃত্বে রাশিয়ানরা সাফাভিদ ইরানের আক্রমণ ও আক্রমণ চালিয়েছিল। রুশো-ইরান যুদ্ধের মাধ্যমে উত্তর ককেশীয়, ট্রান্সকোসেশীয় এবং উত্তর মূল ভূখণ্ডের অঞ্চল (1722-1723)। পার্শ্ববর্তী অটোমানরা সাফাভিডদের আর্কাইভালরা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম সাফাভিড ইরান আক্রমণ করেছিল এবং বাগদাদ শহর সহ সেখানকার বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিয়েছিল। রাশিয়ানদের সাথে একত্রে, তারা কনস্টান্টিনোপল চুক্তিতে (১24২৪) চুক্তি অনুসারে বিজয়িত ইরান অঞ্চলগুলিকে বিভক্ত করে রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। [১৪৯]
উপজাতি আফগানরা সাত বছর ধরে তাদের অধিকৃত অঞ্চলটিতে রাফসাইড চালিয়েছিল, কিন্তু সাফাভিদের একটি ভাসাল রাজ্য খোরাসানে আফশার উপজাতির অভ্যন্তরে সামরিক নেতৃত্ব অর্জনকারী প্রাক্তন দাস নাদের শাহের দ্বারা আরও লাভ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সাম্রাজ্যের বন্ধু এবং শত্রুদের মধ্যে (উভয় সাম্রাজ্য নাদেরের সাথে সামিল হওয়ার পরে, সাম্রাজ্যের বন্ধু এবং শত্রুদের মধ্যেই) সম্মতি ও সম্মান উভয়ই সামরিক প্রতিভা হিসাবে দ্রুত নামকরণ করা, নাদের শাহ ১ 17২৯ সালে আফগান হোতাকি বাহিনীকে সহজেই পরাজিত করেছিলেন দামগানের যুদ্ধ। তিনি তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে ১ 17২২ সালের মধ্যে ইরান থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ১32৩২ সালে রেশ্ট চুক্তি দ্বারা এবং ১ 17৩৩ সালে গঞ্জার চুক্তিতে তিনি সম্রাট আন্না ইওনোভানার সরকারের সাথে একটি চুক্তি সমঝোতা করেছিলেন, যার ফলে সম্প্রতি সংযুক্ত ইরানীয় অঞ্চলগুলিতে ফিরে আসার ফলস্বরূপ। , সাধারণ প্রতিবেশী অটোমান শত্রুর বিরুদ্ধে ইরান-রাশিয়ান জোট প্রতিষ্ঠা করার সময়, বেশিরভাগ ককেশাস ইরানের হাতে ফিরে গিয়েছিল। [১৫০] [১৫১] অটোমান-ইরান যুদ্ধে (1730-35), তিনি 1720-এর দশকে অটোম্যান আগ্রাসনের দ্বারা এবং তার পরেও হারিয়ে যাওয়া সমস্ত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছিলেন। সাফাভিড রাজ্য এবং এর অঞ্চলগুলি সুরক্ষিত করার সাথে সাথে, 1738 সালে নাদের কান্দাহারে হোতকির শেষ দুর্গটি জয় করেছিলেন; একই বছর, অটোম্যান এবং রাশিয়ান সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে তার সামরিক ক্যারিয়ারকে সহায়তার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজনে, তিনি ধনী কিন্তু দুর্বল মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে তাঁর জর্জিয়ান বিষয় দ্বিতীয় দ্বিতীয় ইরেকলে আক্রমণ শুরু করেছিলেন, [152] গজনী, কাবুল, লাহোর দখল করেন। , এবং যতদূর ভারতের দিল্লি পর্যন্ত তিনি সামরিকভাবে নিকৃষ্ট মোঘলদের সম্পূর্ণ অপমান ও লুট করেছিলেন। এই শহরগুলি পরবর্তীকালে তার আবদালি আফগান সামরিক কমান্ডার, আহমদ শাহ দুররানী দ্বারা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছিল, যিনি ১ 174747 সালে দুর্নী সাম্রাজ্যের সন্ধান করতে সক্ষম হতেন। নাদির দ্বিতীয় শাহ তাহমাস্পের অধীনে কার্যকর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন এবং পরে ১ 1736 until সাল পর্যন্ত শিশু আব্বাস তৃতীয়ের শাসক হিসাবে শাসন করেন। নিজেই শাহের মুকুট পরেছিলেন।
১474747 সালে নাদের শাহের হত্যাকাণ্ড এবং তার স্বল্পকালীন সাম্রাজ্যের বিচ্ছিন্নতার অব্যবহিত পরে সাফভিডদের উত্তর জাং রাজবংশকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ইরানের শাহ হিসাবে পুনরায় নিয়োগ করা হয়। তবে, ইসমাইল তৃতীয়ের সংক্ষিপ্ত পুতুলের শাসনামল ১ 1760০ সালে শেষ হয় যখন করিম খান দেশের নামমাত্র ক্ষমতা গ্রহণ করতে ও সাফাভিদ রাজবংশের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটাতে যথেষ্ট দৃ strong় বোধ করেছিলেন।
শিয়া ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা
[সম্পাদনা]| ইসনা আশারিয়া |
|---|
| ইসলাম বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
|
|
| শিয়া ইসলাম |
|---|
| ধারাবাহিকের অংশ |
|
|
যদিও সাফাভিদরা ইরানের প্রথম শিয়া শাসক ছিল না, তবুও তারা পুরো ইরানে শিয়া ইসলামকে অফিসিয়াল ধর্ম হিসাবে গড়ে তুলতে এবং পাশাপাশি আজকাল আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।[১২৪] ৮ ম শতাব্দীর শুরুতে কওম এবং সাবজেভারের মতো কয়েকটি শহরে বিশাল শিয়া সম্প্রদায় ছিল। দশম ও একাদশ শতাব্দীতে বুয়াহিদরা শিয়া ইসলামের জাইদিয়াহ শাখার ফার্স, এসফাহন ও বাগদাদে শাসন করেছিল। মঙ্গোল বিজয় এবং ইলখানিদের আপেক্ষিক ধর্মীয় সহনশীলতার ফলস্বরূপ, ইরানে শিয়া রাজবংশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, খোরাসানের সরবেদারন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইলখানিদ শাসক আলজায়তা ১৩শ শতাব্দীতে টোলেভার শিয়া ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
তার ইরান ও আজারবাইজান বিজয়ের পরে, ইসমাইল প্রথমত সুন্নি জনগণের জন্য রূপান্তর বাধ্যতামূলক করেছিলাম। সুন্নি ওলামা বা পাদ্রীরা হয় হত্যা বা নির্বাসিত হয়েছিল [উদ্ধৃতি আবশ্যক] ইসমাইল প্রথম, মূলধারার টোলেভার শিয়া ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে এসেছিল এবং আনুগত্যের বিনিময়ে তাদের জমি ও অর্থ মঞ্জুর করে। পরবর্তীতে, সাফাভিদ এবং বিশেষত কাজার আমলে শিয়া উলামাদের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তারা সরকারের সাথে স্বতন্ত্র বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে সক্ষম হয়।
সামরিক বাহিনী ও কিজিলবাশের ভূমিকা
[সম্পাদনা]কিজিলবাশ বিভিন্ন ধরণের শিয়া মুসলিম (গুলত) এবং বেশিরভাগ তুরকোমান জঙ্গি গোষ্ঠী যারা সাফাভিড সাম্রাজ্যের সন্ধানে সহায়তা করেছিল। শাহস ইসমাইল ও তাহমাস্পের রাজত্বকালে তাদের সামরিক শক্তি অপরিহার্য ছিল। কিজিলবাশ উপজাতিরা শাহ আব্বাসের প্রথম শাসনের পূর্ব পর্যন্ত ইরানের সামরিক বাহিনীর জন্য অপরিহার্য ছিল - তাদের নেতারা প্রচুর প্রভাব প্রয়োগ করতে এবং আদালতের ষড়যন্ত্রে অংশ নিতে সক্ষম হন (উদাহরণস্বরূপ দ্বিতীয় ইসমাইলকে হত্যা করা)।
সাফাভিড রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরে ইসমাইল প্রথম সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিল কীভাবে সেই রাষ্ট্রের দুটি প্রধান নৃগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবধান মেটাতে হয়: কিজিলবাশ ("রেডহেড") টার্কোম্যানস, ধ্রুপদী ইসলামী সমাজের "তরোয়ালদলের মানুষ" যার সামরিক দক্ষতা তাকে ক্ষমতায় এনেছিল, এবং পার্সিয়ান উপাদানগুলি, "কলমের মানুষ", যারা সাফভিড রাজ্যে আমলাতন্ত্র এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পদকে ভরাট করেছিল যেমন তারা ইরানের পূর্ববর্তী শাসকদের অধীনে শতাব্দী ধরে করেছিল। আরব, মঙ্গোল বা তুর্কমেনীয়রা। ভ্লাদিমির মাইনর্স্কি যেমন বলেছিলেন, এই দুটি গ্রুপের মধ্যে বিভেদ অনিবার্য ছিল, কারণ কিজিলবাশ "জাতীয় পার্সিয়ান traditionতিহ্যের কোনও পক্ষ ছিল না"।
ইসমাইলের মৃত্যুর বছর ১৫০৮ থেকে ১৫২৪ সালের মধ্যে শাহ শাহ পর পর পাঁচজন পার্সিয়ানকে ভাকিলের অফিসে নিযুক্ত করেছিলেন। দ্বিতীয় ফারসি ভাকিলকে ট্রান্সস্যাকিয়ানাতে একটি সাফাভিদ সেনাবাহিনীর কমান্ডে রাখা হয়েছিল, তখন কিজিলবাশ তাকে তার অধীনে দায়িত্ব পালন করা বাধ্যতামূলক বলে বিবেচনা করে যুদ্ধক্ষেত্রে তাকে নির্জন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন। চতুর্থ ওয়াকিলকে কিজিলবাশ হত্যা করেছিল এবং পঞ্চম ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল।[৫৫]
সামরিক বাহিনীতে সংস্কার
[সম্পাদনা]শাহ আব্বাস বুঝতে পেরেছিলেন যে, কিজিলবাশের বিরোধিতা না করেই তাঁর সাম্রাজ্যের উপর নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে তাঁর এমন একটি সংস্কার তৈরি করা দরকার যা শাহের সামরিক সহায়তার উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করেছিল। এই সংস্কারগুলির একটি অংশ ছিল অভিজাতদের মধ্যে তৃতীয় শক্তি গঠন এবং সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরে অন্যান্য সমস্ত কার্য, তবে কিজিলবাশের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করার ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণটি ছিল সামরিক বাহিনীতে রয়্যাল কর্পসকে প্রবর্তন করা। এই সামরিক বাহিনী কেবল শাহকে পরিবেশন করবে এবং শেষ পর্যন্ত চারটি পৃথক শাখা গঠিত:[১২৫]
- শাহসেবানরা: এগুলি ছিল 12,000 শক্তিশালী এবং কুরচিসির ছোট্ট দল থেকে নির্মিত যা শাহ আব্বাস তার পূর্বসূরীর কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল। শাহসভান বা "কিং অফ ফ্রেন্ডস" ছিলেন কিজিলবাশ উপজাতিরা যারা কেবল শাহের প্রতি আনুগত্যের জন্য তাদের উপজাতির আনুগত্য ত্যাগ করেছিলেন।[১২৬]
- গুলামস: তাহমাস্প আমি ককেশাস থেকে বিপুল পরিমাণ জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ান দাস এবং নির্বাসকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া শুরু করেছি, যাদের মধ্যে একটি বিশাল পরিমাণ ভবিষ্যতের গোলাম ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠবে। শাহ আব্বাস এই কর্মসূচিটি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছেন এবং এটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত ১৫,০০০ গোলাম অশ্বারোহী এবং ৩,০০০ গোলাম রাজকীয় দেহরক্ষী তৈরি করেছিলেন। আব্বাসের দরবারে ভাইয়ের শিরলির আবির্ভাবের সাথে এবং ১ states০০ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি আল্লাওয়ারদী খানের প্রচেষ্টায় গোলাম লড়াইয়ের রেজিমেন্টগুলি আব্বাসের অধীনে আরও নাটকীয়ভাবে প্রসারিত হয়েছিল ২৫,০০০।[১২৭] আব্বাসের অধীনে, এই বাহিনী মোট প্রায় ৪০,০০০ সৈন্যকে শাহের জন্য অর্থ প্রদান করেছিল এবং দেখেছিল।[১২৮][১২৯][১৩০] তারা সাফাভিড সেনাবাহিনীর অভিজাত সৈনিক হয়ে উঠবে (অটোমান জান্নিসেরির মতো)।[১০১]
- মুশকিরিরা: অটোমানরা তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে যে সুবিধা পেয়েছিল তা উপলব্ধি করে শাহ আব্বাস কুরচি ও গোলাম সেনাদের উভয়কেই আধুনিকীকরণের অস্ত্র সজ্জিত করতে ব্যথিত হয়েছিলেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইরানের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য, 12000 সংখ্যক মুসকিটিয়ার্স (তোফাং-চিস) এর একটি পর্যাপ্ত পদাতিক বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল।
- আর্টিলারি কর্পস: পশ্চিমা দেশগুলির সহায়তায় তিনি 12,000 লোকের একটি আর্টিলারি কর্পসও গঠন করেছিলেন, যদিও এটি ছিল তার সেনাবাহিনীর দুর্বলতম উপাদান। ১ 16২৮ সালে ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সাথে আসা স্যার টমাস হারবার্টের মতে পার্সিয়ানরা তোপ তৈরিতে ইউরোপীয়দের সহায়তার উপর যথেষ্ট নির্ভর করেছিল।[১৩১] এটি এক শতাব্দী পরেও নয়, যখন নাদের শাহ সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হয়েছিলেন যে আর্টিলারি কর্পসকে আধুনিকীকরণের জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা করা হয়েছিল এবং পার্সিয়ানরা আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করতে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে।
সংস্কার সত্ত্বেও, কিজিলবাশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর উপাদান হিসাবে থাকবে এবং তার মোট শক্তির অর্ধেকেরও বেশি অংশীদার হবে।[১৩১] তবে এই বিশাল স্থায়ী সেনাবাহিনী তৈরি করা, যা সাফাভিড ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি শাহের অধীনে কাজ করছিল, তাদের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছিল এবং সম্ভবত রাজ্যের শাসনকালে যে ধরণের নাগরিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ববর্তী শাহসগুলি সংস্কারের বাইরেও, কিজিলবাশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর উপাদান হিসাবে থাকবে এবং তার মোট শক্তির অর্ধেকেরও বেশি অ্যাকাউন্টিং ছিল।
সমাজ
[সম্পাদনা]ভূমির ক্ষেত্রের দিক থেকে বৃহত্তর হলেও, এর অঞ্চলে মরুভূমি এবং পর্বতের বৃহত অনুপাত বলতে ঘনত্ব খুব কম ছিল; সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা অটোমান সাম্রাজ্যের 20 মিলিয়ন এর তুলনায় 17 শতাব্দীর মধ্যভাগে প্রায় 9 মিলিয়ন ছিল।[১৩২]
সাফাভিড সমাজের জন্য একটি উপযুক্ত শব্দটি আজকে আমরা মেধাশক্তি বলতে পারি, যার অর্থ এমন একটি সমাজ যেখানে কর্মকর্তারা যোগ্যতার ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল, জন্মের ভিত্তিতে নয়। এটি অবশ্যই কোনও অভিজাত ছিল না, এটি অভিজাতত্বও ছিল না। সম্মানজনক চিহ্ন হিসাবে তাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরসূরীর জন্য গণ্যমান্য পুত্রগণ বিবেচিত হত, তবে তাদেরকে তাদেরকে এই পদে যোগ্য বলে প্রমাণ করতে হয়েছিল। এই ব্যবস্থা একটি প্রবেশযোগ্য অভিজাত বা জাতি বর্ণের সমাজকে এড়িয়ে চলেছিল।[১৩৩] এমনকি সাধারণ লোকদের এমন অনেকগুলি রেকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে যা তাদের যোগ্যতার ফলস্বরূপ উচ্চ আধিকারিক পদগুলিতে উঠেছে[১৩৪]
তবুও, সাফাভিডের সময় ইরানীয় সমাজ ছিল একটি শ্রেণিবিন্যাস, শাহের সাথে শ্রেনীর ভিত্তিক পিরামিডের শীর্ষে, সাধারণ মানুষ, ঘাঁটিতে বণিক এবং কৃষক এবং মধ্যবংশের অভিজাতরা। দোলাট শব্দটি, যা আধুনিক পার্সিয়ান ভাষায় "সরকার" অর্থ, তখন একটি বিমূর্ত শব্দ ছিল যার অর্থ "পরমানন্দ" বা "উত্সাহ", এবং এটি সাফাভিড রাষ্ট্রের দৃ concrete় ধারণা হিসাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে, যা তাদের মতামতকে প্রতিফলিত করে শাসক, কেউ যেন মানবতার aboveর্ধ্বে।[১৩৫]
অভিজাতদের মধ্যে, শ্রেণিবিন্যাসের পিরামিডের মাঝামাঝি সময়ে, ধর্মীয় আধিকারিকরা ছিলেন, যারা শাসক এবং তার প্রজাদের মধ্যে বাফার হিসাবে ধর্মীয় শ্রেণীর historicতিহাসিক ভূমিকার কথা মনে রেখে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার থেকে রক্ষা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন সরকার।[১৩৫]
প্রথা ও সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]17 তম সি-ফরাসী ভ্রমণকারী জিন চারদিন ইরানে বহু বছর অতিবাহিত করেছিলেন এবং তাদের সংস্কৃতি, রীতিনীতি এবং চরিত্র নিয়ে দীর্ঘক্ষণ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বিদেশীদের প্রতি তাদের বিবেচনার প্রশংসা করেছিলেন, তবে তিনি এমন বৈশিষ্ট্যগুলিতেও হোঁচট খেয়েছিলেন যা তাকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়েছিল। জনসাধারণের উপস্থিতি, জামাকাপড় এবং রীতিনীতি সম্পর্কে তাঁর বিবরণগুলি সেই সময়ের মাইনাইচার, অঙ্কন এবং আঁকাগুলি দ্বারা সুরক্ষিত হয়েছে যা বেঁচে আছে তিনি তাদেরকে একটি সুশিক্ষিত এবং ভাল আচরণের লোক হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।[১৩৬] He considered them to be a well-educated and well-behaved people.[১৩৭]
ইউরোপীয়দের থেকে ভিন্ন, তারা শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে অনেক পছন্দ করে না, এবং নিজের স্বার্থে অনুশীলনের পক্ষে ছিল না, জীবন দিতে পারে এমন বিশ্রাম এবং বিলাসবহুল অবসরকে প্রাধান্য দিয়েছিল। ভ্রমণ কেবলমাত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই করা হয়েছিল, নতুন জায়গা দেখার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে তাদের আকর্ষণীয় নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সম্পর্কে সম্ভবত এই ধরণের মনোভাবই ছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি সম্পর্কে পার্সিয়ানদের অজ্ঞতার জন্য দায়ী। তারা অনুশীলনগুলি যে অংশ নিয়েছিল তা ছিল শরীরকে কোমল ও দৃ st় রাখার জন্য এবং অস্ত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য। তীরন্দাজি প্রথম স্থান নিয়েছিল। দ্বিতীয় স্থান বেড়া দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে কব্জি দৃ firm় কিন্তু নমনীয় এবং চলাফেরা চটচটে থাকতে হয়েছিল। তৃতীয়তঃ ঘোড়সওয়ার ছিল। পার্সিয়ানরা প্রচুর উপভোগ করেছিল এমন একটি অনুশীলনের একটি কঠোর রূপ শিকার ছিল[১৩৮]
বিনোদন
[সম্পাদনা]
প্রাক-ইসলামিক কাল থেকেই কুস্তি খেলাধুলা ছিল ইরানি পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং জুরখানাহে পরিবেশিত পেশাদার কুস্তিগীরা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে বিবেচিত হত। প্রতিটি শহরে তাদের নিজস্ব কুস্তিগীর ছিলো, যাদের নাম পাহলভান। তাদের খেলাধুলা জনসাধারণকে বিনোদন এবং দর্শন দেয়। চারদিন এ জাতীয় একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন:[১৩৯]
| “ | দুই রেসলার গ্রীসে wereাকা ছিল। তারা স্তর মাঠে উপস্থিত, এবং একটি ছোট ড্রাম সর্বদা উত্তেজনা জন্য প্রতিযোগিতার সময় বাজানো হয়। তারা একটি ভাল লড়াইয়ের শপথ করে এবং হাত কাঁপায়। এটি হয়ে গেলে তারা ড্রামের তালে তাদের উরু, নিতম্ব এবং নিতম্বকে চড় মারেন। এটি মহিলাদের জন্য এবং নিজেকে ভাল ফর্মে পেতে। এরপরে তারা একসাথে চিত্কার করে এবং একে অপরকে উৎখাত করার চেষ্টা করে | ” |
কুস্তি করার পাশাপাশি জনসাধারণকে কী জড়ো করেছিল তা ছিল বেড়া দেওয়া, টাইট্রোপ নর্তকী, পুতুল খেলোয়াড় এবং অ্যাক্রোব্যাট, রয়্যাল স্কয়ারের মতো বড় স্কোয়ারে পারফর্ম করে। হারুন-ই ভেলায়েতের সমাধির নিকটবর্তী অঞ্চলের মতো ক্যাবারেটগুলিতে, বিশেষত কয়েকটি জেলায় বিনোদনমূলক বিনোদনের একটি অবয়ব পাওয়া যায়। লোকেরা সেখানে লিকার বা কফি পান করতে, তামাক বা আফিম ধূমপান করতে, এবং আড্ডা দিতে বা কবিতা শোনার জন্য সেখানে মিলিত হয়েছিল।[১৪০]
পোশাক ও বেশভূষা
[সম্পাদনা]


যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, পারস্য চরিত্রটির একটি মূল বিষয় ছিল বিলাসিতা সম্পর্কে বিশেষত উপস্থিতিগুলি অবলম্বন করা love তারা পাথর পরা এবং তাদের ঘোড়াগুলির সাজসজ্জা সজ্জিত করত clothes পুরুষরা তাদের আঙ্গুলগুলিতে অনেকগুলি রিং পরতেন, প্রায় তাদের স্ত্রী হিসাবে। তারা তাদের অস্ত্রগুলিতে যেমন রঞ্জক এবং তরোয়ালগুলিতে রত্ন স্থাপন করেছিল। ড্যাজারগুলি কোমরে পরে ছিল। ভদ্রমহিলার পোশাক বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে পার্সিয়ান পোশাকটি ইউরোপীয়দের তুলনায় চিত্রের চেয়ে বেশি প্রকাশ পেয়েছে, তবে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের উপস্থিতিতে বা তারা জনসমক্ষে ছিল কিনা তার উপর নির্ভর করে মহিলারা আলাদাভাবে উপস্থিত হয়েছেন। গোপনে তারা সাধারণত একটি ওড়না পরতেন যা কেবল চুল এবং পিছনে coveredেকে রাখত, কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোনোর পরে তারা ম্যানটিয়াসের উপর চাপ দেয়, তারা তাদের মুখ ছাড়া ব্যতীত পুরো দেহটি গোপন করে large তারা প্রায়শই পা এবং হাত মেহেদী দিয়ে রঞ্জিত করে। তাদের চুলের স্টাইলটি সহজ ছিল, চুলগুলি আবার ফিরে এসে জড়ো হয়েছিল, প্রায়শই প্রান্তে মুক্তো এবং গহনাগুলির ক্লাস্টারগুলির সাথে সজ্জিত হয়। পাতলা কোমরযুক্ত মহিলাদের বড় আকৃতির ব্যক্তির চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে করা হত। প্রদেশ এবং দাসের মহিলারা তাদের বাম নাসারগুলিকে বাজায় বেঁধে রাখত, তবে সুপরিচিত ফারসি মহিলারা এটি করতে পারেনি[১৪১]
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান আনুষঙ্গিক ছিল পাগড়ি। যদিও তারা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়েছিল, বিবাহ ও নওরোজের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবর্তন হওয়া দরকার ছিল, যদিও মর্যাদার লোকেরা দু'দিন একই পাগড়ি পরে না। যে কোনও উপায়ে মাটির হয়ে যাওয়া কাপড়গুলি তত্ক্ষণাত পরিবর্তন করা হয়েছিল[১৪২]
তুর্ক ও তাজিক
[সম্পাদনা]যদিও সাফাভিদ শাসকরা এবং নাগরিকরা দেশীয় মজুত ছিল এবং ধারাবাহিকভাবে তাদের ইরানী পরিচয় পুনরুদ্ধার করে, সাফাভিড রাজ্যের শক্তি কাঠামোটি মূলত দুটি দলে বিভক্ত ছিল: তুর্কি ভাষী সামরিক / শাসকগোষ্ঠী - যার কাজ ছিল আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা to তাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে ইরানি সাম্রাজ্যের - এবং পার্সিয়ানভাষী প্রশাসনিক / শাসকগোষ্ঠী - যার কাজ ছিল তাদের উচ্চ পদগুলির মাধ্যমে জাতির পরিচালনা ও বিকাশ এবং তার পরিচয় পর্যবেক্ষণ করা। এভাবে "তুর্কি এবং তাজিক" শব্দটি এসেছে, যা বহু প্রজন্ম ধরে পার্সিয়ান বা তুর্কো-পার্সিয়ান বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল, যে বহু রাজবংশের প্রকৃতি যা বৃহত্তর ইরানের উপর দ্বাদশ এবং বিশ শতকের মধ্যে শাসন করেছিল, এই রাজবংশগুলি প্রচার করেছিল। এবং তাদের রাজ্যগুলির প্রভাবশালী পার্সিয়ান ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছিল, যদিও রাজবংশগুলি নিজেরাই অ-পার্সিয়ান (যেমন তুর্কি) ভাষাতাত্ত্বিক উত্সের ছিল of তুর্কি-ভাষী 'তুর্কি' এবং ফারসি-ভাষী 'তাজিক' এর মধ্যে সম্পর্ক প্রতীকী ছিল, তবুও উভয়ের মধ্যে একধরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। প্রাক্তন "তরোয়াল লোক" এবং পরবর্তীকালে "কলমের মানুষ" হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, তাই উচ্চ-স্তরের অফিসিয়াল পদগুলি স্বাভাবিকভাবেই পার্সিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত হত। প্রকৃতপক্ষে, আরব বিজয়ের পর থেকে সাফাভিডের আগেও পারস্য ইতিহাস জুড়ে এই পরিস্থিতি ছিল।[১৪৩] শাহ তাহমাস্প তার পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন, যখন তিনি এবং তার পরে আসা অন্যান্য সাফাভিদ শাসকরা তুর্কি-ভাষাবিদ অফিসারদের ছেলেদের তাদের শিক্ষার জন্য রাজপরিবারে নিয়ে গিয়ে দুটি ভাষাগত গোষ্ঠীর মধ্যে পূর্বনির্ধারিত লাইনগুলিকে ঝাপসা করার চেষ্টা করেছিলেন। ফারসি ভাষা। ফলস্বরূপ, তারা আঞ্চলিক পার্সিয়ানদের একচেটিয়া সংরক্ষণের অঞ্চলগুলিতে আস্তে আস্তে প্রশাসনিক চাকরী নিতে সক্ষম হয়েছিল[১৪৪]
তৃতীয় শক্তি: ককেশীয়
[সম্পাদনা]
১৫৪০ সাল থেকে পরবর্তী সময়ে শাহ তাহমাস্প ধীরে ধীরে একমাত্র নৃতাত্ত্বিক ককেশীয়দের সমন্বয়ে একটি নতুন শাখা এবং স্তর তৈরি করে ইরানী সমাজের ধীরে ধীরে রূপান্তর শুরু করেছিলেন। আব্বাস গ্রেট (আব্বাস আমি) এর অধীনে এই শাখার বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশস্ত করা হবে। এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা অনুসারে, তাহমাস্পের জন্য, এই সূচনা এবং শেষ রচনাটির পটভূমি যা কেবল শাহ আব্বাস প্রথমের অধীনে চূড়ান্ত হবে, সাম্রাজ্যের সামরিক উপজাতীয় অভিজাত কিজিলবাশের চারদিকে প্রদক্ষিণ করেছিল, যারা বিশ্বাস করত যে একটি শারীরিক সান্নিধ্য এবং নিয়ন্ত্রণ ছিল তাত্ক্ষণিক সাফাভিদ পরিবারের সদস্য আধ্যাত্মিক সুবিধা, রাজনৈতিক ভাগ্য এবং উপাদান উন্নতির গ্যারান্টিযুক্ত[৯৬] এটি শাহের কর্তৃত্বের পক্ষে একটি বিশাল প্রতিবন্ধকতা ছিল এবং তদুপরি, এটি কিজিলবাশের সম্মতি বা অংশীদারি লাভ ছাড়া কোনও উন্নয়নকে হ্রাস করেছিল। তাহমাস্প যেহেতু বুঝতে পেরেছিলেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানগুলি মূলত সামগ্রিকভাবে কিজিলবাশের রাজনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করার সাথে জড়িত, তাই তাদের সমাজে পুরোপুরি একটি নতুন স্তর দ্বারা প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন, এটি প্রশ্ন ও কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। প্রতিটি সম্ভাব্য স্তরে কিজিলবাশ, এবং তাদের যে কোনও প্রভাব হ্রাস করুন। এই স্তরটি কেবলমাত্র কয়েক হাজার নির্বাসিত, আমদানি করা এবং স্বল্পত্রে স্বেচ্ছায় জাতিগত সার্কাসিয়ান, জর্জিয়ান এবং আর্মেনীয়দের স্থানান্তরিত হয়ে গঠিত হবে। এই স্তরটি তুর্কিমান ও পার্সিয়ানদের সাথে অন্য দুটি বাহিনীর পাশাপাশি ইরানি সমাজে "তৃতীয় শক্তি" হয়ে উঠবে।
১৫৪০ থেকে ১৫৫৪-এর মধ্যে বৃহত্তর ককেশাসে এটি উপলব্ধি করার পরে তাহমস্প পরবর্তী সময়ে যে প্রচারণা চালিয়েছিল তা হ'ল কিজিলবাশের সেনাবাহিনীর মনোবল এবং যুদ্ধের দক্ষতা ধরে রাখা,[১৪৫] তবে তারা ঘরে ঘরে প্রচুর সংখ্যা নিয়ে এসেছিল (70০,০০০ এরও বেশি)[১৪৬] খ্রিস্টান জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ান দাসদের প্রধান লক্ষ্য হিসাবে এবং এই তৃতীয় শক্তির ভিত্তি হবে; সমাজে নতুন (ককেশীয়) স্তর[১৪৭] এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকার মতে, ওয়ালমান-ই-ই-ই-ইরিফা বা রাজকর্মীদের দাসদের জন্য এটিও একই সূচনা হবে, যারা সাম্রাজ্যের বেশিরভাগ দৈর্ঘ্যের জন্য সাফাভিড সামরিক বাহিনীর উপর আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে এবং এটি একটি কাঠামো তৈরি করবে। তৃতীয় বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নন-টার্কোম্যান ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ায়, এই সার্কাসিয়ান এবং জর্জিয়ান āোলমেন্স (গোলাম হিসাবেও লিখিত) পুরো বংশের আনুগত্য এবং আত্মীয়তার বাধ্যবাধকতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল, যা তাহমাস্পের মতো একজন শাসকের পক্ষে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল, যার শৈশব এবং লালনপালন কিজিলবাশের উপজাতির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।[৯৬] তাদের গঠন, বাস্তবায়ন এবং ব্যবহার প্রতিবেশী অটোমান সাম্রাজ্যের জানিসারিগুলির কাছে অনেকটা একই ছিল[১০১] ফলস্বরূপ, এই প্রতিস্থাপন করা বেশিরভাগ মহিলাই তাহমাস্পের স্ত্রী এবং উপপত্নী হয়েছিলেন এবং সাফাভিদ হারেম প্রতিযোগিতামূলক এবং কখনও কখনও মারাত্মক, তুর্কমেন, সার্কাসিয়ান এবং জর্জিয়ান মহিলা এবং দরবারীদের গোষ্ঠী হিসাবে জাতিগত রাজনীতির আখড়া হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। রাজার মনোযোগ[৯৬] যদিও প্রথম দাস সৈন্যরা আব্বাসের প্রথম শাসনামল পর্যন্ত সংগঠিত হত না, তহমাস্পের রাজত্বকালে ককেশীয়রা ইতিমধ্যে রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হেরেম এবং বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছিল[১০২][১০৩] এবং তাদের পথে ছিল সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠার। তাহমাস্প প্রথমের উত্তরাধিকারী, ইসমাইল দ্বিতীয়, আরও ৩০,০০০ সার্কাসিয়ান এবং জর্জিয়ানকে ইরানে নিয়ে এসেছিলেন, যার মধ্যে অনেকে গোলাম বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।[১৪৮]
আব্বাস প্রথম দ্বারা এই নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের পরে, মহিলারা (কেবলমাত্র সার্কাসিয়ান এবং জর্জিয়ান) এখন প্রায়শই সাফাভিড অভিজাতদের হারেমগুলিতে বিশিষ্ট পদ দখল করতে এসেছিলেন, এবং পুরুষরা যারা অংশ হিসাবে গোলাম "শ্রেণির" অংশ হয়েছিলেন শক্তিশালী তৃতীয় বাহিনীকে সমাপ্তির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যা তারা হয় নতুনভাবে নির্মিত ঝিলম্যান রেজিমেন্টের একটিতে ভর্তি হয়েছিলেন, বা রাজপরিবারে নিযুক্ত ছিলেন।[১৪৯] জনগোষ্ঠী ও দুর্বৃত্তদের বাকী জনতা, লক্ষ লক্ষ লোকের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মূল ভূখণ্ড ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল এবং তাদেরকে সমাজের অংশ হিসাবে যেমন কারিগর, কৃষক, গবাদি পশু প্রজননকারী, ব্যবসায়ীদের মতো সব ধরণের ভূমিকা দেওয়া হয়েছিল , সৈন্য, সেনাপতি, গভর্নর, কাঠবাদাম ইত্যাদি, এছাড়াও ইরানী সমাজে নতুন প্রতিষ্ঠিত স্তরের একটি অংশ[১৫০]
শাহ আব্বাস, যিনি এই প্রোগ্রামটি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত ও সম্পন্ন করেছেন এবং যার অধীনে সমাজে এই নতুন স্তরটি তৈরির বিষয়টি পুরোপুরি "চূড়ান্ত" হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, তিনিও গোলাম ব্যবস্থাটি সম্পন্ন করেছিলেন। এর সমাপ্তির অংশ হিসাবে, তিনি তাহলাম্পের যুগে গোলাম মিলিটারি কর্পসকে মাত্র কয়েক শ থেকে শুরু করে ১৫,০০০ উচ্চ প্রশিক্ষিত অশ্বারোহী,[১৫১] হিসাবে ৪০,০০০ ককেশীয় গোলামের পুরো সেনা বিভাগের অংশ হিসাবে প্রসারিত করেছিলেন। এরপরে তিনি পুরোপুরি কিজিলবাশের প্রাদেশিক গভর্নরশিপ সংখ্যা হ্রাস করতে এবং নিয়মিতভাবে অন্য জেলাতে কিজিলবাশ গভর্নরদের স্থানান্তরিত করেন, এইভাবে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে তাদের সম্পর্ক বিঘ্নিত করে এবং তাদের ক্ষমতা হ্রাস করেন। বেশিরভাগকে গোলাম দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল এবং অল্প সময়ের মধ্যেই জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং কিছুটা হলেও আর্মেনিয়ান রাষ্ট্রের অনেকগুলি উচ্চ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং সমাজের অন্য সমস্ত সম্ভাব্য অংশে নিযুক্ত হয়েছিলেন। 1595 সালের মধ্যে, জর্জিয়ান আল্লাওয়ারদী খান সাফাভিড রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন, যখন তিনি ইরানের অন্যতম ধনী প্রদেশের ফার্সের গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত হন। তিনি 1598 সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হয়ে উঠলে তাঁর শক্তি শীর্ষে পৌঁছেছিল।[১৫২] সুতরাং, প্রথম তাহমস্পের আমল থেকে শুরু করে তবে কেবল শাহ আব্বাসের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত ও সমাপ্ত হয়ে, পুরোপুরি জাতিগত ককেশীয়দের সমন্বয়ে গঠিত এই নতুন গোষ্ঠীটি শেষ পর্যন্ত পার্সিয়ানদের পাশাপাশি সমাজে একটি নতুন স্তর হিসাবে রাজ্যের মধ্যে একটি শক্তিশালী "তৃতীয় শক্তি" গঠন করে। এবং কিজিলবাশ তুর্কস, এবং এটি কেবল সাফাভিডের মেধাবী সমাজকে প্রমাণ করতে চলেছে।
অনুমান করা হয় যে কেবল আব্বাসের রাজত্বকালেই প্রায় ১ 130০,০০০-২০০,০০০ জর্জিয়ান,[১৫৩][১৫৪][১৫৫][১৫৬] কয়েক হাজার সার্কাসিয়ান এবং প্রায় ৩০০,০০০ আর্মেনীয়[১৫৭][১৫৮] এই দেশ থেকে নির্বাসন এবং আমদানি করা হয়েছিল ককেশাস মূল ভূখণ্ডের ইরানে, সমাজে সদ্য নির্মিত স্তরের অংশ হিসাবে যেমন রাজ্যের সর্বোচ্চ পদে বা কৃষক, সৈনিক, কারিগর, রয়েল হারেম, আদালত এবং কৃষক হিসাবে অংশ হিসাবে সমস্ত কাজ এবং ভূমিকা গ্রহণ করে , অন্যদের মধ্যে.
যাজকীয় অভিজাততন্ত্রের উদ্ভব
[সম্পাদনা]সাফাভিদ সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হ'ল উলামা (ধর্মীয় শ্রেণি) এবং বণিক সম্প্রদায়ের মধ্যে জোট গঠন হয়েছিল। পরেরটিগুলির মধ্যে বাজারগুলিতে বণিকদের বাণিজ্য, বাণিজ্য ও কারিগর গিল্ডস (আশ্নুফ) এবং দরবেশ (ফুতুভা) দ্বারা পরিচালিত অর্ধ-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইরানে সম্পত্তির মালিকানার আপেক্ষিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে, অনেক ব্যক্তিগত ভূমি মালিকরা তাদের জমিগুলিকে তথাকথিত ভাকফ হিসাবে পাদরীদের দান করে তাদের জমিগুলি সুরক্ষিত করেছিলেন। তারা এইভাবে সরকারী মালিকানা বজায় রাখত এবং রাজ্য কমিশনার বা স্থানীয় গভর্নররা তাদের জমি বাজেয়াপ্ত করা থেকে তাদের জমিটি সুরক্ষিত রাখত, যতক্ষণ না জমি থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের শতকরা শতাংশ উলামাদের হাতে চলে যায়। ক্রমবর্ধমানভাবে, ধর্মীয় শ্রেণীর সদস্যরা, বিশেষত মুজতাহিদগণ এবং সৈয়দগণ এই জমির পুরো মালিকানা অর্জন করেছিল এবং সমসাময়িক ইতিহাসবিদ ইস্কান্দার মুন্সির মতে ইরান এক নতুন এবং উল্লেখযোগ্য ভূমি মালিকদের উত্থানের সাক্ষী হতে শুরু করেছে।[১৫৯]
আখবারি বনাম উসুলি
[সম্পাদনা]আখবাড়ি আন্দোলন মুহাম্মদ আমিন আল-আস্তারাবাদীর (মৃত্যু: ১ 16২ AD খ্রিস্টাব্দ) রচনার সাথে একটি "পৃথক আন্দোলন" হিসাবে "স্ফটিক" হয়েছিল। এটি রায় গ্রহণের পক্ষে যুক্তি ব্যবহারকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং বিশ্বাস করেছিল যে কেবল কুরআন, হাদীস, (ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বক্তব্য এবং ইমামদের রেকর্ড করা মতামত) এবং .ক্যমতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উত্স হিসাবে ব্যবহার করা উচিত (ফতোয়া)। উসুলিসের বিপরীতে, আখবাড়ি ইজতিহাদ অনুশীলনকারী মার্জদের অনুসরণ করেছিলেন এবং অনুসরণ করেন না।[১৬০]
টোলেভার শিয়া ইসলামে আধিপত্য বিস্তার করা সত্তাভিদ-এর শেষার্ধে এবং সাফাভিড-পরবর্তী যুগে এটি এর সর্বাধিক প্রভাব অর্জন করেছিল।[১৬১] তবে এর অল্পকাল পরেই মুহাম্মদ বাকির বেহবাহানী (মারা যান 1792) এবং অন্যান্য উসুলি মুজতাহিদদের সাথে সাথে তারা আখবাড়ি আন্দোলনকে চুরমার করে দেয়।[১৬২] এটি শিয়া বিশ্বে কেবল একটি সংখ্যালঘু হিসাবে রয়ে গেছে। এই দ্বন্দ্বের সমাধানের একটি ফলশ্রুতি ছিল 18 তম এবং 19 শতকের গোড়ার দিকে ইজতিহাদের ধারণার গুরুত্ব এবং মুজতাহিদের অবস্থান (অন্যান্য উলামাদের বিরোধিতা)। এই সময় থেকেই শিয়া বিশ্বের মুজতাহিদ (যারা তাদের নিজস্ব স্বাধীন রায় অনুসরণ করতে পারে) এবং মুকাল্লিদ (যাদেরকে মুজতাহিদের বিধান অনুসরণ করতে হয়েছিল) বিভক্ত হয়েছিল। লেখক মুজন মোমেনের মতে, "উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যে কোনও সময় খুব কম মুজতাহিদ (তিন বা চার) কোথাও ছিল," তবে "19 শতকের শেষদিকে বেশ কয়েক'শ লোকের অস্তিত্ব ছিল।"[১৬৩]
আল্লামা মজলিসী
[সম্পাদনা]মুহম্মদ বাকির মজলিসী, সাধারণত আল্লামা উপাধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়, তিনি 17 তম শতাব্দীর (সাফাভিদ যুগ) সময়কালে একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী পণ্ডিত ছিলেন। মজলিসির রচনাগুলি গুপ্তচর এবং দর্শনের প্রভাবগুলি টোলেভার শিয়াবাদকে শুদ্ধ করার এবং ইসলামী আইন (শরিয়া) এর কঠোরভাবে অনুসরণের আদর্শ প্রচার করার জন্য তাঁর ইচ্ছাকে জোর দিয়েছিল।[১৬৪] মজলিসি বিশেষত শিয়া আচার-অনুষ্ঠান যেমন হুসেন ইবনে আলীর জন্য শোক প্রকাশ এবং ইমাম ও ইমামজাদের সমাধিতে যিয়ারত (যিয়রত) প্রচার করেছিলেন, "withশ্বরের সাথে মানুষের জন্য মধ্যস্থতা ও সুপারিশকারী হিসাবে ইমামদের ধারণাকে" জোর দিয়েছিলেন।[১৬৫]
রাষ্ট্র ও সরকার
[সম্পাদনা]সাফাভিড রাজ্যটি সরকার এবং স্থানীয় পর্যায়ে উভয়ই চেক ও ভারসাম্য রক্ষাকারী ছিল। এই ব্যবস্থার শীর্ষে শাহ ছিলেন, রাজ্যের উপর পুরোপুরি ক্ষমতা ছিল, তাঁর রক্তরেখাকে সাইয়েদ বা মুহাম্মদের বংশধর হিসাবে বৈধতা দিয়েছিলেন। তাঁর ক্ষমতা এতটাই নিখুঁত ছিল যে ফরাসী বণিক এবং পরবর্তীকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত জাঁ চারদিন ভেবেছিলেন যে সাফাভিদ শাহরা তাদের ভূমিতে লোহার মুষ্টি দিয়ে এবং প্রায়শই একটি স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে শাসন করেছিলেন।[১৬৬] স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং শাহকে ঘৃণিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এড়ানোর জন্য আমলাতন্ত্র এবং বিভাগীয় পদ্ধতিগুলির একটি জটিল ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছিল যা জালিয়াতি রোধ করেছিল। প্রতিটি অফিসে একজন ডেপুটি বা সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন, যার কাজ হ'ল রাজ্য কর্মকর্তাদের সমস্ত কর্মের রেকর্ড রাখা এবং সরাসরি শাহকে রিপোর্ট করা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রতিযোগিতামূলক নজরদারির পরিবেশকে বাড়িয়ে দিয়ে শাহ তার মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। এবং যেহেতু সাফাভিড সমাজ মেধাবী ছিল, এবং উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে উত্তরসূরিরা খুব কমই তৈরি হয়েছিল, এর অর্থ এই ছিল যে সরকারী দফতরগুলি নিয়মিত নজরদারির অধীনে চাপ অনুভব করে এবং তারা নিশ্চিত করে যে তারা তাদের নেতার সর্বোত্তম স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে, এবং কেবলমাত্র নয় তাদের নিজস্ব.
সরকার
[সম্পাদনা]আমরা আজকে জানি, সম্ভবত কোনও সংসদের অস্তিত্ব ছিল না। তবে সাফাভিডসে পর্তুগিজ রাষ্ট্রদূত ডি গওভা এখনও তাঁর রেকর্ডে কাউন্সিল অফ স্টেট[১৬৭] এর উল্লেখ করেছেন, যা সম্ভবত তখনকার সরকারী সমাবেশের জন্য একটি শব্দ ছিল।
সরকারের সর্বোচ্চ স্তরটি ছিল প্রধানমন্ত্রী বা গ্র্যান্ড ভাইজিয়ার (এতেমাদ-ই দৌলত), যিনি সর্বদা আইনবিদদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি শাহের তাত্ক্ষণিক ডেপুটি থাকায় তিনি জাতীয় বিষয়গুলির উপর প্রচুর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ উপভোগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাউন্টার সিল ছাড়া শাহের কোনও আইনই বৈধ ছিল না। তবে এমনকি তিনি একজন ডেপুটি (ভাকনেভিস) -এর কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন, যিনি তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণের রেকর্ড রেখেছিলেন এবং শাহকে অবহিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রাজস্বের জেনারেল (মোস্তোফি-ইয়ে মামালেক) বা অর্থমন্ত্রী[১৬৮] এবং বিচারমন্ত্রী ডিভানবেগি। দ্বিতীয়টি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার চূড়ান্ত আবেদন ছিল এবং তার অফিসটি আলী কাপু প্রাসাদের মূল প্রবেশপথের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পূর্ববর্তী সময়ে, শাহ বিচারিক কার্যক্রমে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন, তবে রাজকীয় দায়িত্বের এই অংশটি শাহ সাফি এবং পরবর্তী রাজারা অবহেলা করেছিলেন।[১৬৯]
কর্তৃত্বের পরের জেনারেল ছিলেন: রয়েল ট্রুপস জেনারেল (শাহসেভানস), মুসকিটিয়ার্সের জেনারেল, গোলামদের জেনারেল এবং আর্টিলারি দ্য মাস্টার। এই আধিকারিকদের প্রধান হওয়ার জন্য কমান্ডার-ইন-চিফ হিসাবে আলাদা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল।[১৬৯]
রাজকীয় আদালত
[সম্পাদনা]
রাজপরিবারের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ পদটি ছিলেন আদালতের মন্ত্রী নাজিরের। তিনি সম্ভবত শাহের নিকটতম উপদেষ্টা ছিলেন এবং আদালতের মধ্যে তাঁর চোখ ও কান হিসাবে তিনি কাজ করেছিলেন। তাঁর প্রাথমিক কাজটি ছিল বাড়ির সমস্ত কর্মকর্তাকে নিয়োগ এবং তদারকি করা এবং শাহের সাথে তাদের যোগাযোগ হওয়া। তবে তাঁর দায়িত্বের মধ্যে শাহের সম্পত্তিগুলির কোষাধ্যক্ষ হওয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর অর্থ হ'ল যে এমনকি রাজ্যের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীকেও শাহের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত যেসব লেনদেন পরিচালিত হয়েছিল, তা নাজিরের সাথে কাজ করতে হয়েছিল।[১৬৯]
দ্বিতীয় সিনিয়র অ্যাপয়েন্টমেন্ট হলেন গ্র্যান্ড স্টুয়ার্ড (ইচিক আগাসি বাশি), যিনি সর্বদা শাহের সাথে থাকতেন এবং তিনি তাঁর সাথে যে দুর্দান্ত লাঠি চালিয়েছিলেন তার কারণে সহজেই স্বীকৃতি পেলেন। তিনি সমস্ত অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য, শাহকে উপস্থাপন করা আবেদনের গ্রহণ এবং প্রয়োজনে পড়ার দায়িত্বে ছিলেন। পরের সারিতে ছিলেন রয়েল আস্তাবলের মাস্টার (মিরাকোর বাশি) এবং হান্টের (মিরশেকার বাশি) মাস্টার। শাহের সমস্ত প্রধান শহরগুলিতে আস্তাবল ছিল এবং শাহ আব্বাসকে প্রায় সারা দেশে প্রায় 30,000 ঘোড়া ছিল বলে জানা যায়।[১৭০] এগুলি ছাড়াও, রাজকীয় বনভোজনগুলির তত্ত্বাবধান এবং বিনোদনের জন্য আলাদা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল।
চারদিন বিশেষত ডাক্তার এবং জ্যোতিষীদের পদমর্যাদা এবং শাহরা তাদের প্রতি যে শ্রদ্ধা রেখেছিলেন তা লক্ষ্য করেছিলেন। শাহের সেবায় প্রত্যেকেরই এক ডজন ছিল এবং সাধারণত তাঁর সাথে তিনজন চিকিৎসক এবং তিনজন জ্যোতিষী থাকতেন, যিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর পাশে বসার জন্য অনুমোদিত ছিলেন।[১৬৯] প্রধান চিকিত্সক (হাকিম-বাশি) রয়েল কোর্টের একজন অত্যন্ত বিবেচিত সদস্য ছিলেন[১৭১] এবং আদালতের সর্বাধিক সম্মানিত জ্যোতিষীকে মুনাজিম-বাশি (প্রধান জ্যোতিষ) উপাধি দেওয়া হয়েছিল।[১৭২]
সাফাভিদ আদালতও এর প্রথম দিক থেকেই মানুষের সমৃদ্ধ মিশ্রণ ছিল।[১৭৩] প্রফেসর ডেভিড ব্লো যেমন বলেছেন, দরবারীদের মধ্যে সর্বাগ্রে ছিলেন তুরস্কোমান কিজিলবাশ প্রভু এবং তাদের পুত্রগণের পুরানো আভিজাত্য। যদিও ইতিমধ্যে রাজা আব্বাসের রাজত্বের প্রথম বছরগুলিতে (১৫৮ 15-১29২৯) তারা আর এই রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করছিল না, তুর্কিমান কিজিলবাশ বহু সেনাবাহিনী সেনা অফিসারকে প্রদান এবং রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও আনুষ্ঠানিক অফিসগুলি পূরণ করা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।[১৭৩] পার্সিয়ানরা ছিলেন যারা এখনও আমলাতন্ত্রের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন এবং আব্বাসের অধীনে গ্র্যান্ড ভিজার এবং রাজস্বের নিয়ন্ত্রক-জেনারেল (মোস্তুফি-ইয়াম মালেক) -এর সর্বোচ্চ দুটি সরকারী দফতর অধিষ্ঠিত ছিলেন, যা একজন অর্থমন্ত্রীর নিকটতম বিষয় ছিল।[১৭৩] এখানে প্রচুর সংখ্যক গোলাম বা "শাহের ক্রীতদাস" ছিল যারা মূলত জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ান ছিল।[১৭৩] আব্বাসের সংস্কারের ফলে তারা সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও রাজপরিবারে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। শেষ কিন্তু কোনও উপায়েই প্রাসাদের নপুংসকরা ছিলেন যারা গোলামও ছিলেন - মূলত ককেশাসের "সাদা" নপুংসক এবং ভারত ও আফ্রিকার "কালো" নপুংসকরা।[১৭৩] আব্বাসের অধীনে, নপুংসকরা আদালতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে ওঠেন।[১৭৩]
রাজবংশের প্রথম শতাব্দীতে প্রাথমিক আদালতের ভাষা আজেরি থেকে যায়,[১৬৮] যদিও রাজধানী এসফাহনে স্থানান্তরিত হওয়ার পরে এটি ক্রমবর্ধমান পরিবর্তিত হয়েছিল।[১০] ডেভিড ব্লো যোগ করেছেন; "সম্ভবত মনে হয় যে আদালতের তুর্কিমান গ্রামীণ লোকদের মধ্যে বেশিরভাগই ফার্সি ভাষাতে কথা বলেছিল, যা প্রশাসন ও সংস্কৃতির ভাষা ছিল, পাশাপাশি বেশিরভাগ জনগণের ভাষাও ছিল। তবে বিপরীতটি মনে হয় না সত্য। আব্বাস যখন তার পথচারীদের সামনে ইতালীয় ভ্রমণকারী পিয়েট্রো ডেলা ভ্যালির সাথে তুর্কি ভাষায় প্রাণবন্ত কথোপকথন করেছিলেন, তখন উপস্থিত উপস্থিত বেশিরভাগের সুবিধার্থে তাকে আলাপটি পরবর্তীতে ফার্সিতে অনুবাদ করতে হয়েছিল।"[১৭৩] অবশেষে, কারণ সাফাভিড কোর্টে (গোলোলস এবং হারেমে) জর্জি, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ানদের প্রচুর পরিমাণে, জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ান ভাষাও কথ্য ছিল, যেহেতু এগুলি তাদের মাতৃভাষা ছিল।[১৭৪] আব্বাস নিজেও জর্জিয়ান ভাষায় কথা বলতে পেরেছিলেন।[১৭৫]\
স্থানীয় সরকার
[সম্পাদনা]
স্থানীয় পর্যায়ে সরকার সরকারী জমি এবং রাজকীয় সম্পদে বিভক্ত ছিল। সরকারী জমি স্থানীয় গভর্নর বা খানদের শাসনের অধীনে ছিল। সাফাভিদ রাজবংশের প্রথম দিক থেকেই, কিজিলবাশ সেনাপতিদের এই বেশিরভাগ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তারা ক্ষুদ্র শাহের মতো তাদের প্রদেশগুলিতে শাসন করেছিল এবং তাদের সমস্ত রাজস্ব তাদের নিজস্ব প্রদেশে ব্যয় করেছিল, কেবলমাত্র ভারসাম্য সহ শাহকে উপস্থাপন করেছিল। বিনিময়ে, তাদের সর্বদা একটি স্থায়ী সেনাবাহিনী প্রস্তুত রাখতে হয়েছিল এবং শাহকে তাঁর অনুরোধে সামরিক সহায়তা প্রদান করতে হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে অনুরোধও করা হয়েছিল যে তারা আদালতে একজন আইনজীবী (ভকিল) নিয়োগ করুন যিনি তাদের প্রাদেশিক বিষয় সম্পর্কিত বিষয়ে অবহিত করবেন।[১৭৬] শাহ আব্বাস আমি এই প্রদেশগুলির কয়েকটিকে তার প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে কজিলবাশের শক্তি হ্রাস করার ইচ্ছা নিয়েছিলাম, তথাকথিত ক্রাউন প্রদেশগুলি (খাসা) তৈরি করেছিলাম। তবে এটিই ছিল শাহ সাফি, তার প্রধানমন্ত্রী সারু তাকি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, রাজ্যপালদের কাছ থেকে জমি কিনে এবং স্থানীয় কমিশনারদের বসিয়ে রাজস্ব আয় বাড়ানোর প্রয়াস শুরু করেছিলেন।[১৭৬] সময়ক্রমে, এটি শাহের প্রত্যক্ষ শাসনের অধীনে থাকা লোকদের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কারণ এই কমিশনাররা প্রাক্তন গভর্নরগণের বিপরীতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের বিষয়ে খুব কম জ্ঞান রাখেন যেগুলি তাদের নিয়ন্ত্রণ করেছিল এবং মূলত আয় বৃদ্ধি করতে আগ্রহী ছিল শাহ। তাদের প্রদেশগুলির উৎপাদনশীলতা এবং সমৃদ্ধি বাড়ানো গভর্নরদের নিজস্ব আগ্রহের মধ্যে ছিল, কমিশনাররা তাদের রাজকীয় কোষাগার থেকে সরাসরি উপার্জন গ্রহণ করেছিলেন এবং যেমন, কৃষিক্ষেত্র এবং স্থানীয় শিল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে তেমন যত্ন নেননি। সুতরাং, বেশিরভাগ লোক শাহের নামে চালানো ধর্ষণ ও দুর্নীতির শিকার হয়েছিল।[১৭৬]
স্বৈরাচারী সমাজে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]১ 16 ও ১th শ শতাব্দীতে ইরান এখানে প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান ছিল। এর উদাহরণগুলি ছিল বাণিজ্য ও কারিগর গিল্ডগুলি, যা 1500 এর দশক থেকে ইরানে প্রদর্শিত শুরু হয়েছিল। এছাড়াও, সেখানে ফুতুভা নামে কাজী-ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব ছিল যা স্থানীয় দার্ভিকরা দ্বারা পরিচালিত ছিল। স্থানীয় জনগণের sensক্যমত্যে নির্বাচিত অন্য একজন কর্মকর্তা ছিলেন কদখোদা, যিনি একজন সাধারণ আইন প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছিলেন।[১৭৭] স্থানীয় শেরিফ (কলান্তর) যিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন না বরং শাহ দ্বারা সরাসরি নিয়োগ করেছিলেন এবং স্থানীয় গভর্নরদের পক্ষ থেকে অন্যায়দের বিরুদ্ধে জনগণকে রক্ষা করার জন্য যার কাজ ছিল কদখোদার তদারকি।[১৭৮]
আইন ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]
সাফাভিদ ইরানে ধর্মতত্ত্ব ও আইনশাস্ত্রের মধ্যে বা divineশিক ন্যায়বিচার এবং মানবিক ন্যায়বিচারের মধ্যে সামান্য পার্থক্য ছিল এবং এগুলি সবই ইসলামী আইনশাস্ত্রের (ফিকহ) অধীনে চলে আসে। আইনী ব্যবস্থাটি দুটি শাখা দ্বারা গঠিত ছিল: দেওয়ানী আইন, যার শিকড় শরীয়াতে উদ্ভূত ছিল, প্রজ্ঞা এবং urf পেয়েছিল, যার অর্থ প্রচলিত অভিজ্ঞতা এবং প্রচলিত আইনের পশ্চিমা রুপের সাথে খুব মিল। আইনের ইমাম ও বিচারপতিরা তাদের অনুশীলনে নাগরিক আইন প্রয়োগ করার সময়, ইউআরফ প্রাথমিকভাবে স্থানীয় কমিশনারদের দ্বারা প্রয়োগ করা হয়েছিল, যারা শাহের পক্ষে এবং বিচারমন্ত্রী (দিবানবেগী) দ্বারা গ্রামগুলি পরিদর্শন করেছিলেন। পরবর্তীকালে শাহের পক্ষে কাজ করা সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ কর্মী ছিলেন।[১৭৯]
আইনী ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরটি ছিল বিচারমন্ত্রী, এবং আইন আধিকারিকরা হলেন প্রবীণ নিয়োগগুলিতে, যেমন ম্যাজিস্ট্রেট (দারুগাহ), পরিদর্শক (ভিসির), এবং রেকর্ডার (ভাকনেভিস) into কম আধিকারিকরা ছিলেন সিভিল লেফটেন্যান্টের সাথে সম্পর্কিত কাজী, যিনি স্থানীয় গভর্নরের অধীনে স্থান পেয়েছিলেন এবং প্রদেশে বিচারক হিসাবে কাজ করতেন।
চারদিনের মতে:[১৮০]
ন্যায়বিচার পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়নি। প্রতিটি ম্যাজিস্ট্রেট তার বাড়ীতে উঠোন বা উদ্যানের দিকে খোলা একটি বড় কক্ষে বিচার করেন যা মাটি দুই থেকে তিন ফুট উপরে উত্থিত হয়। বিচারক কক্ষের এক প্রান্তে বসে আছেন তাঁর পাশে একজন লেখক এবং আইনজীবী।
চারদিন আরও উল্লেখ করেছেন যে ইরানের আদালতে মামলা করা পশ্চিমাদের চেয়ে সহজ ছিল। বিচারককে (কাজী) জড়িত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেবে। এটি করতে সম্মত হওয়ার পরে, একজন সার্জেন্ট তদন্ত করে আসামীকে তলব করবে, যারপরে সার্জেন্টের ফি দিতে বাধ্য হয়েছিল। উভয় পক্ষই তাদের সাক্ষী নিয়ে স্ব স্ব মামলাগুলি সাধারণত কোন পরামর্শ ছাড়াই আবেদন করে এবং বিচারক তার রায় প্রথম বা দ্বিতীয় শুনানির পরে পাস করেন।[১৮০]
ফৌজদারি বিচার পুরোপুরি দেওয়ানি আইন থেকে পৃথক ছিল এবং বিচারমন্ত্রী, স্থানীয় গভর্নর এবং আদালতের মন্ত্রীর (নাজির) মাধ্যমে পরিচালিত সাধারণ আইন অনুসারে বিচার হয়। ইউআরএফ ভিত্তিক হওয়া সত্ত্বেও, এটি আইনী নীতিগুলির কয়েকটি সেটগুলির উপর নির্ভর করে। হত্যার মৃত্যদণ্ডে দণ্ডনীয় ছিল এবং শারীরিকভাবে আঘাতের শাস্তি সর্বদা বেস্টিনেডো ছিল। ডাকাতদের ডান হাতের কব্জি প্রথমবার কেটে ফেলা হয়েছিল, এবং পরবর্তী কোনও অনুষ্ঠানে মৃত্যুদন্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় অপরাধীদের করণে, ত্রিভুজাকার কাঠের কলার ঘাড়ে চাপানো হয়েছিল। অসাধারণ ঘটনাগুলিতে যখন শাহ নিজের হাতে বিচার গ্রহণ করতেন, প্রাচীন traditionতিহ্য অনুসারে তিনি এই ইভেন্টটির গুরুত্বের জন্য নিজেকে লাল রঙের পোশাক পরতেন।[১৭৯]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]
সাফাভিড অর্থনীতির বিকাশ স্থিতিশীলতার দ্বারা বৃদ্ধি পেয়েছিল, যার ফলে কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি বাণিজ্য হতে পারে, এর পশ্চিমে ইউরোপের বর্ধমান সভ্যতার মধ্যে ইরানের অবস্থান এবং এর পূর্ব ও উত্তরে ইসলামিক মধ্য এশিয়া ছিল। উত্তর ইরানের মধ্য দিয়ে যাওয়া সিল্ক রোডটি ষোড়শ শতাব্দীতে পুনরুদ্ধার হয়েছিল। আব্বাস আমি প্রথম ইউরোপ, বিশেষত ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের সাথে পার্সিয়ান গালিচা, সিল্ক এবং বস্ত্রের সন্ধানের ক্ষেত্রে সরাসরি বাণিজ্যকে সমর্থনও করেছিলাম। অন্যান্য রফতানিগুলি হ'ল ঘোড়া, ছাগলের চুল, মুক্তো এবং ভারতে মশলা হিসাবে ব্যবহৃত একটি অখণ্ড তেতো বাদামের হাদাম-তালকা। প্রধান আমদানিগুলি হ'ল মশলা, টেক্সটাইল (ইউরোপ থেকে উলের, গুজরাট থেকে কটন), ধাতু, কফি এবং চিনি।
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, সাফাভিদ ইরানের ইউরোপের তুলনায় উচ্চতর জীবনযাত্রার মান ছিল। ভ্রমণকারী জিন চারদিনের মতে, উদাহরণস্বরূপ, ইরানের কৃষকদের জীবনযাত্রার মান সবচেয়ে উর্বর ইউরোপীয় দেশগুলির তুলনায় উচ্চতর ছিল।[১৮১]
কৃষি
[সম্পাদনা]Ianতিহাসিক রজার স্যাভেরির মতে, দেশীয় অর্থনীতির দুটি ঘাঁটি ছিল যাজকবাদ এবং কৃষিকাজ। এবং, যেমন সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের উচ্চ স্তরের তুর্কি "তরোয়াল পুরুষ" এবং পার্সিয়ান "কলমের পুরুষ" মধ্যে বিভক্ত ছিল; তুরকোমান উপজাতিদের মধ্যে নিম্ন স্তরের বিভক্ত ছিল, যারা গবাদি পশুর প্রজনক ছিল এবং পার্শ্ববর্তী জনসংখ্যা এবং পার্সিয়ানরা, যারা বসতি স্থাপন করেছিল কৃষিবিদ ছিল।[১৮২]
সাফাভিড অর্থনীতি অনেকাংশে কৃষি এবং কৃষি পণ্যের করের উপর ভিত্তি করে ছিল। ফরাসী জুয়েলার জিন চারদিনের মতে, ইরানের কৃষিজাত পণ্য বিভিন্ন ধরণের ছিল ইউরোপের তুলনায় অপ্রতিরোধ্য এবং ফলমূল ও শাকসব্জির সমন্বয়ে এমনকি ইউরোপে কখনও শোনা যায়নি। চারদিন উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানের কয়েকটি পর্বে পঞ্চাশেরও বেশি বিভিন্ন ধরণের ফল ছিল। তিনি ভেবেছিলেন ফ্রান্স বা ইতালিতে এর মতো আর কিছুই নেই:[১৮৩]
| “ | তামাক সারা দেশে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং ব্রাজিলে জন্মানোর মতো শক্তিশালী ছিল। জাফরান বিশ্বের সেরা ছিল ... মেলোয়ানগুলি সেরা ফল হিসাবে বিবেচিত হত, এবং এখানে 50 টিরও বেশি বিভিন্ন ধরণের ছিল, যার মধ্যে সেরাটি খোরসান থেকে এসেছে। এবং ত্রিশ দিনেরও বেশি সময় ধরে পরিবহন করা সত্ত্বেও, তারা এসফাহনে পৌঁছে যখন তাজা ছিল ... তরমুজের পরে সেরা ফলগুলি আঙ্গুর এবং খেজুর ছিল, এবং সবচেয়ে ভাল খেজুর জহরোমে জন্মেছিল। | ” |
তা সত্ত্বেও, তিনি দেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে এবং প্রচুর জমিতে সেচ দেওয়া হয়নি, বা উর্বর সমভূমি যেগুলি চাষাবাদ করা হয়নি তা প্রত্যক্ষ করে হতাশ হয়েছিলেন, এমন কিছু যা তিনি মনে করেছিলেন ইউরোপের একেবারে বিপরীত। তিনি দোষারোপ করেছেন এই দুর্নীতি, দেশের বিচ্ছিন্ন জনসংখ্যা এবং পার্সিয়ানদের মধ্যে কৃষির প্রশংসা না করার জন্য।[১৮৪]
শাহ আব্বাস প্রথমের পূর্ববর্তী সময়ে, বেশিরভাগ জমি কর্মকর্তাদের (বেসামরিক, সামরিক ও ধর্মীয়) অর্পণ করা হয়েছিল। শাহ আব্বাসের সময় থেকে আরও জমি শাহের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। এবং যেহেতু কৃষিতে করের আয়ের সবচেয়ে বেশি অংশ ছিল, তাই তিনি এর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যা অপরিবর্তিত ছিল, তার মধ্যে জমিদার এবং কৃষক যার মধ্যে "শস্য ভাগাভাগির চুক্তি" ছিল। এই চুক্তিতে পাঁচটি উপাদান রয়েছে: জমি, জল, লাঙ্গল-প্রাণী, বীজ এবং শ্রম। প্রতিটি উপাদান শস্য উৎপাদনের 20 শতাংশ গঠন করে এবং উদাহরণস্বরূপ, যদি কৃষক শ্রমশক্তি এবং প্রাণী সরবরাহ করে তবে তিনি আয়ের 40 শতাংশের অধিকারী হবেন।[১৮৫][১৮৬] সমসাময়িক historতিহাসিকদের মতে, যদিও, ফসল ভাগাভাগির চুক্তিতে জমিদার সর্বদা কৃষকের সাথে দর কষাকষি করে। সাধারণভাবে, কৃষকরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতেন এবং তাদের ভাল বেতন দেওয়া হত এবং ভাল পোশাক পরা হত, যদিও এটিও উল্লেখ করা হয়েছিল যে তারা বাধ্য হয়ে শ্রমের শিকার হন এবং গুরুতর দাবিতে বাস করেছিলেন।[১৮৭]
ভ্রমণ ও পান্থশালা
[সম্পাদনা]
ঘোড়াগুলি সমস্ত বোঝার পশুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেরাগুলি আরব এবং মধ্য-এশিয়া থেকে আনা হয়েছিল। তুরস্ক ও ভারত সহ তাদের ব্যাপক বাণিজ্য হওয়ায় এগুলি ব্যয়বহুল ছিল। পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাউন্ট, যখন ইরান দিয়ে ভ্রমণ করছিল, তখন খচ্চর ছিল। এছাড়াও, উটটি বণিকদের জন্য একটি ভাল বিনিয়োগ ছিল, কারণ তাদের খাওয়ানোর জন্য প্রায় কোনও ব্যয়ই হত না, প্রচুর ওজন বহন করা হত এবং প্রায় কোথাও ভ্রমণ করতে পারত[১৮৮]
শক্তিশালী শাহদের শাসনামলে, বিশেষত ১ the শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, রাস্তাটি কৌশলগতভাবে স্থাপন করা ভাল রাস্তা এবং কারওয়ানসারীদের কারণে ইরানের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ সহজ ছিল। থেভেনোট এবং তাভারনিয়ার মন্তব্য করেছিলেন যে ইরানীয় কারভানসারীরা তাদের তুর্কি সহযোগীদের তুলনায় আরও ভাল নির্মিত এবং পরিষ্কার ছিল।[১৮৯] চারদিনের মতে মোঘল বা অটোমান সাম্রাজ্যের তুলনায় এগুলিও প্রচুর পরিমাণে ছিল, যেখানে তারা কম ঘন হলেও বড় ছিল।[১৯০] কারভানসারেসগুলি বিশেষত দরিদ্র ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে নকশাকৃত করা হয়েছিল, কারণ তারা যতক্ষণ ইচ্ছে মতো সেখানে থাকতে পারেন, থাকার জন্য কোনও অর্থ প্রদান ছাড়াই। আমি শাহ আব্বাসের শাসনামলে, যখন তিনি সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সিল্ক রোডকে উন্নত করার চেষ্টা করেছিলেন, প্রচুর পরিমাণে কারওয়ানসারাইস, ব্রিজ, বাজার এবং রাস্তা তৈরি হয়েছিল, এবং এই কৌশলটি ধনী ব্যবসায়ীদের দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল যারা লাভ করেছিলেন বাণিজ্য বৃদ্ধি। মান ধরে রাখার জন্য, আয়ের আরও উত্সের প্রয়োজন হয়েছিল এবং রাস্তার টোলগুলি, যা প্রহরীরা (রহ-দার্স) সংগ্রহ করেছিলেন, তারা ব্যবসায়ের পথে বরাবর অবস্থান করছিল। তারা পালাক্রমে যাত্রীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল এবং থেভেনোট এবং তাভারনিয়ার উভয়েই 17 শতাব্দীর ইরানে ভ্রমণের সুরক্ষা এবং পুলিশ বাহিনীর সৌজন্যতা ও পরিমার্জনকে জোর দিয়েছিল।[১৯১] ইতালিয়ান ভ্রমণকারী পিয়েট্রো ডেলা ভ্যালি এই একজন রোড গার্ডের সাথে মুখোমুখি হয়ে মুগ্ধ হয়েছিল:[১৯২]
| “ | তিনি আমাদের লাগেজ পরীক্ষা করেছেন, তবে অত্যন্ত বাধ্যবাধকতার সাথে আমাদের কাণ্ড বা প্যাকেজগুলি খোলেননি এবং একটি সামান্য ট্যাক্স নিয়ে সন্তুষ্ট হন, যা তার প্রাপ্য ... | ” |
বৈদেশিক বাণিজ্য ও রেশম পথ
[সম্পাদনা]
পর্তুগিজ সাম্রাজ্য এবং কেপ অফ গুড হোপের আশেপাশে ব্যবসায়ের পথ আবিষ্কার ১৪ 1487 সালে ভেনিসকে কেবল একটি ব্যবসায়ী হিসাবে নয়, বরং এটি সিল্ক রোড এবং বিশেষত পারস্য উপসাগর বরাবর যে বাণিজ্য চলছিল তা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। । তারা এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যকার সমস্ত সমুদ্রযাত্রা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি মূল পয়েন্ট সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছিল: উচ্চ ট্যাক্সের মাধ্যমে এই কৌশলগত অবস্থানগুলি কেটে ফেলে এবং নিয়ন্ত্রণ করে এডেন উপসাগর, পার্সিয়ান উপসাগর এবং মালাক্কা সমুদ্র উপকূলের।[১৯৩] 1602 সালে, শাহ আব্বাস প্রথম বাহরাইন থেকে পর্তুগিজদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তবে শেষ অবধি তাদেরকে হরমুজের জলস্রোত থেকে বহিষ্কার করার জন্য এবং এই বাণিজ্য পথটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে নতুন আগত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নৌ সহায়তার প্রয়োজন হয়েছিল।[১৯৪] তিনি ব্রিটিশদের শিরাজ, এসফাহন এবং জাস্কে কারখানা খোলার অনুমতি দিয়ে তাকে সহায়তা করার জন্য রাজি করেছিলেন।[১৯৫][১৯৬] পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের শেষ অবধি, ব্রিটিশ, ডাচ এবং ফরাসী বিশেষত পার্সিয়ান সমুদ্রযাত্রার বাণিজ্যে সহজতর প্রবেশাধিকার অর্জন করেছিল, যদিও তারা পর্তুগিজদের মতো নয়, colonপনিবেশকারী হিসাবে উপস্থিত হয় নি, তবে বণিক সাহসী হিসাবে ছিল। সাফাভিদ শাহগুলিতে ব্যবসায়ের শর্ত আরোপ করা হয়নি, বরং আলোচনা করা হয়েছিল।

দীর্ঘমেয়াদে, পার্সিয়ানদের কাছে সমুদ্র সৈকত বাণিজ্য রুট প্রচলিত সিল্ক রোডের চেয়ে কম তাত্পর্যপূর্ণ ছিল। জাহাজ নির্মাণে বিনিয়োগের অভাব এবং নৌবাহিনী ইউরোপীয়দের এই বাণিজ্য পথকে একচেটিয়াকরণের সুযোগ দিয়েছিল। এইভাবে স্থল-বহনযোগ্য বাণিজ্য ইরান রাজ্যকে ট্রানজিট ট্যাক্স থেকে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব সরবরাহ করতে থাকবে। রফতানি থেকে রাজস্ব এতটা আসেনি, যেমনটি কাস্টমস চার্জ থেকে এবং ট্রানজিট বকেয়া থেকে দেশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পণ্যগুলিতে আদায় করা হয়।[১৯৭] শাহ আব্বাস এই বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার জন্য দৃ was় সংকল্পবদ্ধ ছিলেন, তবে অটোমানদের সাথে মোকাবেলা করার সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন, যিনি দু'টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুটকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন: আরব পেরিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় বন্দরগুলি এবং আনাতোলিয়া এবং ইস্তাম্বুলের পথটি। সুতরাং তৃতীয় একটি রুট তৈরি করা হয়েছিল যা অটোমান অঞ্চলকে অবরুদ্ধ করেছিল। উত্তরে ক্যাস্পিয়ান সমুদ্র পেরিয়ে তারা রাশিয়ায় পৌঁছে যেত। এবং মুসকোভির সংস্থার সহায়তায় তারা মস্কো পেরিয়ে পোল্যান্ড হয়ে ইউরোপে পৌঁছতে পারত। বিশেষ করে অটোমানদের সাথে যুদ্ধের সময় এই বাণিজ্য পথটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।[১৯৮]
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, ডাচরা বেশিরভাগ বাণিজ্য চুক্তি অর্জন করে এবং পার্সিয়ান উপসাগরীয় অঞ্চলে যে বাণিজ্যে অগ্রসর হয়েছিল, ব্রিটিশ বা ফ্রেঞ্চরা সক্ষম হওয়ার আগেই চুক্তিগুলি পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল। তারা বিশেষত ইস্ট ইন্ডিজ এবং ইরানের মধ্যে মশলা ব্যবসায় একচেটিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিল।[১৯৯]
সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]শিল্পকলা
[সম্পাদনা]আব্বাস আমি কলা প্রচার করার বাণিজ্যিক সুবিধা স্বীকৃত — কারিগর পণ্য ইরানের বিদেশী বাণিজ্য বেশিরভাগ সরবরাহ করে। এই সময়কালে হস্তশিল্প যেমন টাইল তৈরি, মৃৎশিল্প এবং টেক্সটাইলগুলি বিকশিত হয়েছিল এবং ক্ষুদ্র চিত্রাঙ্কন, বুকবাইন্ডিং, সাজসজ্জা এবং ক্যালিগ্রাফিতে দুর্দান্ত অগ্রগতি হয়েছিল। ষোড়শ শতাব্দীতে, গালিচা বুনন একটি যাযাবর ও কৃষক নৈপুণ্য থেকে ডিজাইন এবং উৎপাদন বিশেষীকরণের সাথে একটি ভাল-সম্পাদিত শিল্পে বিবর্তিত হয়েছিল। তাবরিজ ছিল এই শিল্পের কেন্দ্র। সাফাভিড রাজবংশের স্মরণে আর্দবিলের কার্পেটগুলি কমিশন করা হয়েছিল। মার্জিত বারোকটি এখনও বিখ্যাতভাবে 'পোলোনাইজ' কার্পেটগুলি ইরানের 17 ম শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল।

Traditionalতিহ্যবাহী রূপ এবং উপকরণগুলি ব্যবহার করে রেজা আব্বাসি (1565–1635) ফার্সি চিত্রকলায় অর্ধ নগ্ন নারী, যুবক, প্রেমিকদের জন্য নতুন বিষয় প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর চিত্রকলা এবং ক্যালিগ্রাফিক স্টাইলটি সাফাভিড সময়ের বেশিরভাগ সময় ধরে ইরানি শিল্পীদের প্রভাবিত করেছিল, যা এসফাহন স্কুল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে, বিশেষত ইউরোপে দূরবর্তী সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগের বৃদ্ধি ইরান শিল্পীদের মডেলিং, ফোরস্টোরেন্টিং, স্থানিক মন্দা এবং তেল চিত্রের মাধ্যম গ্রহণ করে (দ্বিতীয় শাহ আব্বাস দ্বিতীয় মুহাম্মদ জামানকে রোমে পড়াশোনা করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন) অনুপ্রেরণা জোগিয়েছিল। পাণ্ডুলিপি আলোকসজ্জা এবং ক্যালিগ্রাফির এক দুর্দান্ত উদাহরণ মহাকাব্য শাহনাম ("বুক অফ কিংস") শাহ তাহমাস্পের রাজত্বকালে তৈরি হয়েছিল। (এই বইটি ফেরদৌসী 1000 খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ গজনভীর জন্য লিখেছিলেন) আরেকটি পাণ্ডুলিপিটি হ'ল খামসায় নিজামীর আকা মিরাক এবং এসফাহনে তাঁর বিদ্যালয় কর্তৃক 1539-15153 সম্পাদন করা হয়েছিল।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]

এসফাহন সাফাভিদ স্থাপত্যশৈলীর সর্বাধিক বিশিষ্ট নমুনা বহন করে, সবগুলিই শাহ আব্বাসের পরে 1598 সালে স্থায়ীভাবে রাজধানী স্থানান্তরিত করার কয়েক বছরের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল: ইমাম মসজিদ (মসজিদ-ই ইমামী) ১ 16৩০ সালে সমাপ্ত ইম্পেরিয়াল মসজিদ, মসজিদ-ই শাহ। লুৎফাল্লা মসজিদ এবং রয়েল প্রাসাদ।
উইলিয়াম ক্লেভল্যান্ড এবং মার্টিন বান্টনের মতে,[২০০] ইরানের মহান রাজধানী হিসাবে এসফাহন প্রতিষ্ঠা এবং নগরীর বৈষয়িক সৌন্দর্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বুদ্ধিজীবীরা আকৃষ্ট হয়েছিলেন, যা শহরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক জীবনে অবদান রেখেছিল। এর ৪,০০,০০০ বাসিন্দার চিত্তাকর্ষক কৃতিত্বের ফলে বাসিন্দারা তাদের বিখ্যাত গর্ব, "এসফাহন অর্ধেক বিশ্বের" মুদ্রা তৈরি করতে প্ররোচিত হয়েছিল।
সাফাভিদ রাজবংশের উত্থানের মধ্য দিয়ে ইরানি স্থাপত্যে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল। অর্থনৈতিকভাবে মজবুত এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল এই সময়কালে ধর্মতত্ত্ব বিজ্ঞানের এক বিকাশমান বৃদ্ধি পেয়েছিল। Patternsতিহ্যবাহী আর্কিটেকচারটি এর নিদর্শন এবং পদ্ধতিগুলিতে বিবর্তিত হয়েছিল যা পরবর্তী সময়ের আর্কিটেকচারে এর প্রভাব ফেলে।
প্রকৃতপক্ষে, সাফাভিডের বৃহত্তম লিগ্যাসিগুলির মধ্যে একটি হ'ল আর্কিটেকচার। 1598 সালে, যখন শাহ আব্বাস তাঁর ইরানী সাম্রাজ্যের রাজধানী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাজিভিন থেকে কেন্দ্রীয় শহর এসফাহনে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন যে ইরানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কর্মসূচি হয়ে উঠবে; শহরের সম্পূর্ণ রিমেকিং। জাফান্দ রাউড ("জীবন দানকারী নদী") দ্বারা নিষ্ক্রিয় কেন্দ্রীয় শহরকে বেছে নিয়ে শুকনো প্রাকৃতিক দৃশ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাঝে তীব্র চাষের মরুদ্যান হিসাবে শুইয়ে রেখে তিনি উভয়ই ভবিষ্যতের আক্রমণ থেকে তার রাজধানী দূরে রেখেছিলেন। অটোমান এবং উজবেকদের দ্বারা এবং একই সময়ে পার্সিয়ান উপসাগর উপর আরও নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছিল, যা সম্প্রতি ডাচ এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া সংস্থাগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ের পথে পরিণত হয়েছিল।[২০১]

নগর পরিকল্পনার এই বিশাল কাজের প্রধান স্থপতি ছিলেন শেখ বাহাই (বাহা আদ-দ্বীন আল-আমিলি), যিনি শাহ আব্বাসের প্রধান পরিকল্পনার দুটি মূল বৈশিষ্ট্য: চাহারবাগ অ্যাভিনিউয়ে সবার পাশে ফ্ল্যাঙ্ক করে প্রোগ্রামটি কেন্দ্র করেছিলেন। শহরের বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমন সমস্ত বিদেশী বিশিষ্টজনদের বাসস্থান। নকশ-ই জাহান স্কোয়ার ("বিশ্বের উদাহরণ")। শাহের ক্ষমতায় ওঠার আগে ইরানের একটি বিকেন্দ্রীভূত শক্তি কাঠামো ছিল, যেখানে সামরিক বাহিনী (কিজিলবাশ) এবং বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর উভয়ই সাম্রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত সহ বিভিন্ন সংস্থা ক্ষমতার জন্য লড়াই করেছিল। শাহ আব্বাস এই রাজনৈতিক কাঠামোকে ক্ষুন্ন করতে চেয়েছিলেন, এবং ইরানের একটি রাজধানী হিসাবে এসফাহনের বিনোদন শক্তিকে কেন্দ্রিয়করণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।[২০২] বর্গক্ষেত্র বা মাইদেনের চৌর্যতাটি ছিল যে, এটি নির্মাণ করে শাহ আব্বাস ইরানের ক্ষমতার তিনটি মূল উপাদানকে তার নিজের উঠোনে জড়ো করতেন; পাদ্রিদের শক্তি, মসজিদ-ই শাহের প্রতিনিধিত্বকারী, ইম্পেরিয়াল বাজারের প্রতিনিধিত্বকারী বণিকদের শক্তি এবং অবশ্যই আল কপু প্রাসাদে বসবাসকারী শাহের শক্তি ছিল।
শেখ লোটফাল্লাহ (১18১18), হাশ্ট বেহেশত (আট প্যারাডাইস প্যালেস) (১৪69৯) এবং চাহারবাগ স্কুল (১14১৪) এর মতো স্বতন্ত্র স্মৃতিচিহ্নগুলি এসফাহন এবং অন্যান্য শহরে প্রকাশিত হয়েছিল। আর্কিটেকচারের এই বিস্তৃত বিকাশটি মূলত ফারসি সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং স্কুল, স্নানাগার, ঘর, কাফেলাশ্রেই এবং বাজার ও স্কোয়ারের মতো অন্যান্য শহুরে জায়গাগুলির নকশায় রূপ নিয়েছিল। এটি কাজারের রাজত্বের শেষ অবধি অব্যাহত ছিল।[২০৩]
সাহিত্য
[সম্পাদনা]সাফাভিডসের অধীনে কবিতা স্থবির; মধ্যযুগীয় দুর্দান্ত গজল রূপটি ওভার-দ্য টপ টু লিরিকিজমে নিমজ্জিত। কবিতায় অন্যান্য চারুকলার রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ছিল এবং ধর্মীয় বিধি দ্বারা এটি মগ্ন ছিল।
তত্ক্ষণাত যুক্তিযুক্ত সর্বাধিক খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ছিলেন ইস্কান্দার বেগ মুন্সি। শাহ আব্বাসের তাঁর ইতিহাস তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর পরে রচিত, ইতিহাস ও চরিত্রের এক সংক্ষিপ্ত গভীরতা অর্জন করেছিল।
এসফাহন মক্তব—ইসলামি দর্শনের পুনর্জাগরণ
[সম্পাদনা]
সাফাভিদের যুগে ইসলামী দর্শন[২০৪] ফুলে ফেঁপে উঠেছে যেভাবে আলেমরা সাধারণত এসফাহন স্কুলকে উল্লেখ করেন। মীর দামাদকে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই দর্শনের বিদ্যালয়ের আলোকিতদের মধ্যে মীর দামাদ, মীর ফেন্ডেরেস্কি, শায়খ বাহাই এবং মহসেন ফয়েজ কাশানীর স্ট্যান্ডআউটের মতো ইরানি দার্শনিকদের নাম। বিদ্যালয়টি ইরানীয় দার্শনিক মোল্লা সাদ্রা, যিনি আভিসেনার পরে সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ তাত্ত্বিক দার্শনিক হিসাবে তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠলেন with মুল্লা সদ্রা ইসলামী প্রাচ্যের প্রভাবশালী দার্শনিক হয়ে উঠেছে এবং দর্শনের প্রকৃতির প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আজ অবধি ব্যতিক্রমীভাবে প্রভাবিত হয়েছে।[২০৫] তিনি আল-হিকমা আল-মুতা'আলিয়া ফাই-এল-আসফার আল-তাকলিইয়া আল-আরবা'আ ("বুদ্ধির চার জার্নির স্বতন্ত্র দর্শন") লিখেছিলেন,[২০৬] তিনি যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে একটি ধ্যান মেটা দর্শন 'যা সূফীবাদের দার্শনিক রহস্যবাদ, শিয়া ইসলামের ধর্মতত্ত্ব এবং আভিচেনা ও সোহরাওয়ার্দীর পেরিপেটিক এবং আলোকসজ্জাবাদী দর্শনকে সংশ্লেষণে নিয়ে আসে।
ইরানোলজিস্ট রিচার্ড নেলসন ফ্রাইয়ের মতে:[২০৭]
তারা ছিল ইসলামী চিন্তার ধ্রুপদী traditionতিহ্যের ধারাবাহিক, যা আরবের পশ্চিমে আভেরোয়সের মৃত্যুর পরে। পার্সিয়ানদের মতবাদগুলি ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগের মহান ইসলামিক চিন্তাবিদদের সত্যিকারের উত্তরাধিকারী, যেখানে অটোম্যান সাম্রাজ্যে ইসলামিক দর্শনের traditionsতিহ্যের যতটা উদারতা ছিল, সেখানে একটি বৌদ্ধিক স্থবিরতা ছিল।
চিকিৎসাবিদ্যা
[সম্পাদনা]সাফাভিডসের সময় চিকিত্সকদের স্ট্যাটাসটি আগের মতোই উচ্চতর দাঁড়িয়েছিল। প্রাচীন গ্রীক বা রোমান উভয়ই তাদের চিকিত্সকদের কাছে উচ্চ সামাজিক মর্যাদা দেয়নি, ইরানীয়রা প্রাচীনকাল থেকেই তাদের চিকিত্সকদের সম্মান জানিয়েছিলেন, যারা প্রায়শই শাহদের পরামর্শদাতা নিযুক্ত হন। এটি আরব ইরানের বিজয়ের সাথে পরিবর্তিত হবে না এবং মূলত পার্সিয়ানরাই তাদের উপর দর্শন, যুক্তি, চিকিৎসা, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিষ, সংগীত এবং আলকেমি রচনাগুলি গ্রহণ করেছিলেন।[২০৮]
ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে, ইসলামিক বিজ্ঞান, যা মূলত পারস্য বিজ্ঞানকে বোঝায়, এর গৌরব অর্জন করেছিল। আল-রাজি (865-92) এর কাজগুলি (পশ্চিমাদের কাছে রাজে হিসাবে পরিচিত) এখনও ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আলকেমি, ফার্মাকোলজি এবং শিশু বিশেষজ্ঞের স্ট্যান্ডার্ড পাঠ্যপুস্তক হিসাবে ব্যবহৃত হত। অ্যাভিসেনার ক্যানন অফ মেডিসিনকে (সি। 980-1037) এখনও সভ্য বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে চিকিৎসার প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।[২০৯] সেই হিসাবে, সাফাভিড সময়কালে medicineষধের অবস্থা খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, এবং এই কাজগুলির উপর আগের মতো নির্ভর করে। দেহবিজ্ঞানটি এখনও প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় চিকিৎসার চারটি হাস্যর উপর ভিত্তি করে ছিল, এবং রক্তপাত এবং শুদ্ধি এখনও সার্জনদের দ্বারা থেরাপির মূল ফর্ম ছিল, এমনকি থিওনোট তাঁর ইরান সফরকালেও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল।[১৭১]
মেডিসিনের মধ্যে একমাত্র ক্ষেত্র যেখানে ফার্মাকোলজি ছিল 1556 সালে "তিব্ব-ই শিফাই" র সংকলন। এই বইটি ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন 1681 সালে অ্যাঙ্গুলাস ডি সেন্ট, "ফার্মাকোপিয়ার পার্সিকা" নামে।[২১০]
আদালত, সামরিক বাহিনী, প্রশাসন ও সংস্কৃতির ভাষাসমূহ
[সম্পাদনা]তাদের উত্থানের সময় সাফাভিদরা আজারবাইজানীয় ভাষী ছিল যদিও তারা ফার্সিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ব্যবহার করেছিল। সাফাভিদ আদালত এবং সামরিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানত ব্যবহৃত ভাষাটি ছিল আজারবাইজানীয়।[১৩][১৯] তবে সাম্রাজ্যের সরকারী ভাষা[৬] এবং প্রশাসনিক ভাষা, চিঠিপত্রের ভাষা, সাহিত্য এবং iতিহাসিকতার ভাষা ছিল ফারসি।[১৩] সাফাভিড মুদ্রার শিলালিপিগুলি ফার্সিতেও ছিল।[২১১]

সাফাভিডস সাম্রাজ্যের সর্বত্র সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক ভাষা হিসাবে ফারসি ব্যবহার করত এবং ফারসি ভাষায় দ্বিভাষিক ছিল।[৫৬] আর্নল্ড জে. টয়নবির মতে,[২১২]
মুঘল, সাফাভি এবং অটোমান শাসনামলের উত্তরাধিকার সূত্রে নতুন পারস্যকে এই বিশাল রাজ্য জুড়ে শাসক উপাদান দ্বারা লিটারের হিউম্যানিওরদের ভাষা হিসাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছিল, যখন এই দু'টিতে প্রশাসনের সরকারী ভাষা হিসাবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল। - এর সাফল্যের মূল অংশগুলি যা সাফাভি এবং মোগল সীমান্তের মধ্যে রয়েছে
জন আর. পেরির মতে,[২১৩]
ষোড়শ শতাব্দীতে, আজারবাইজানের আরডাবিলের টার্কোফোন সাফাভিদ পরিবার সম্ভবত তুরস্কীয় ইরানীয়, বংশোদ্ভূত, ইরানকে জয় করে এবং তুর্কি প্রতিষ্ঠা করেছিল, একটি উচ্চ-মর্যাদার আঞ্চলিক ভাষা এবং একটি বিস্তৃত যোগাযোগের ভাষা হিসাবে, কথ্যাকে প্রভাবিত করে পার্সিয়ান, উচ্চতর সাহিত্যের ভাষা ও নাগরিক প্রশাসনের ভাষা পার্সিয়ান লিখিত থাকাকালীন স্থিতি এবং বিষয়বস্তুতে কার্যত প্রভাবিত ছিল না।
জাবিউল্লাহ সাফার মতে,[১৯]
প্রতিদিনের ক্ষেত্রে সাফাভিদ দরবারে এবং প্রধান সামরিক ও রাজনৈতিক আধিকারিকদের পাশাপাশি ধর্মীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যে ভাষাটি প্রধানত ব্যবহৃত হত তুর্কি ছিলেন, পারস্য নয়; এবং শেষ শ্রেণীর ব্যক্তি তাদের ধর্মীয় রচনাগুলি মূলত আরবীতে রচনা করেছিলেন। যারা ফারসি ভাষায় লেখেন তারা এই জিহ্বায় সঠিক শিক্ষার অভাব ছিল, বা ইরানের বাইরে লিখেছিলেন এবং সেই কেন্দ্রগুলি থেকে কিছুটা দূরে যেখানে ফারসিই গৃহীত ভাষাগত ছিল, সেই প্রাণবন্ততা এবং ব্যবহারের দক্ষতার প্রতি সংবেদনশীলতা অর্জন করেছিল যা কোনও ভাষাতেই থাকতে পারে এটি সত্যিকারের যেখানে।

É. Á. Csató et al. অনুসারে,[২১৪]
একটি নির্দিষ্ট তুর্কি ভাষা 16 এবং 17 শতকের সময় সাফাভিড পার্সিয়ায় প্রমাণিত হয়েছিল, এমন একটি ভাষা যা ইউরোপীয়রা প্রায়শই ফার্সি তুর্কি ("টার্ক এজিমি", "লিঙ্গুয়া টার্কিকা এজামিকা") নামে অভিহিত হত, যা আদালত এবং সেনাবাহিনীতে একটি প্রিয় ভাষা ছিল কারণ সাফাভিড রাজবংশের তুর্কি উত্সের। আসল নামটি কেবল তুরকি, এবং তাই একটি সুবিধাজনক নাম হতে পারে তুরকি-ইয়ে এসেমি। এই বিভিন্ন পার্সিয়ান তুর্কি অবশ্যই ককেশীয় এবং ট্রান্সকোসেশীয় অঞ্চলগুলিতে কথিত হতে হবে, যা ষোড়শ শতাব্দীতে অটোমান এবং সাফাভিদের উভয়েরই অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং 1606 সাল পর্যন্ত পুরোপুরি সাফাভিড সাম্রাজ্যের সাথে সংহত ছিল না। যদিও ভাষাটি সাধারণত চিহ্নিত হতে পারে মধ্য আজারবাইজানীয় হিসাবে, ভাষাগত এবং আঞ্চলিক দিক থেকে উভয়ই এই ভাষার সীমাবদ্ধতার সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া এখনও সম্ভব হয়নি। এটি অবশ্যই একজাতীয় ছিল না - সম্ভবত এটি আজারবাইজানীয়-অটোমান মিশ্র ভাষা ছিল, কারণ বেল্টাডজে (১৯6767: ১1১) আঠারো শতক থেকে জর্জিয়ান লিপিতে গসপেলগুলির অনুবাদ করার কথা বলেছেন।
রুলা জুরদী আবীসাব মতে,[২১৫]
যদিও এখনও আরবি ভাষা ধর্মীয় শিক্ষাগত প্রকাশের মাধ্যম ছিল, তবে এটি সাফাভিদের অধীনে ছিল যে হাদীসের জটিলতা এবং সকল প্রকারের মতবাদ সংক্রান্ত কাজগুলি ফার্সিতে অনুবাদ করা হয়েছিল। আদালত-ভিত্তিক ধর্মীয় পোস্টগুলির মাধ্যমে পরিচালিত 'আমিলি (যা দক্ষিণ লেবাননের চেনা শিয়া বিদ্বানগণ) ফার্সী ভাষায় দক্ষ হতে বাধ্য হয়েছিল; তাদের শিক্ষার্থীরা তাদের নির্দেশগুলি ফার্সিতে অনুবাদ করেছিল। 'মূলধারার' শিয়া বিশ্বাসকে জনপ্রিয় করার সাথে পার্সিয়াইজেশন এক সাথে কাজ করেছিল।
কর্নেলিস ভার্সটিঘের মতে,[২১৬]
শাহ ইসমাইলের অধীনে সাফাভিদ রাজবংশ (৯61১/১৫০১) পারস্য এবং ইসলামের শিয়া ধর্মকে জাতীয় ভাষা ও ধর্ম হিসাবে গ্রহণ করেছিল।
ডেভিড ব্লো অনুসারে,[১৭৩]
প্রাথমিক আদালতের ভাষা [আব্বাস প্রথমের শাসনামলে (র। 1588–1629)] তুর্কি থেকে যায়। তবে এটি ইস্তাম্বুলের তুর্কি ছিল না। এটি একটি তুর্কি উপভাষা ছিল, কিজিলবাশ তুর্কোম্যানদের উপভাষা, যা আজও উত্তর-পশ্চিম ইরানের আজারবাইজান প্রদেশে বলা হয়। তুর্কি এই রূপটিও শাহ আব্বাসের মাতৃভাষা ছিল যদিও তিনি পার্সিয়ান ভাষায় সমানভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন। সম্ভবত মনে হয় যে আদালতের তুর্কিমান গ্রামীণ লোকদের মধ্যে বেশিরভাগই ফার্সি ভাষাতে কথা বলেছিল যা প্রশাসন ও সংস্কৃতির ভাষা ছিল এবং সেই সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীরও ছিল। তবে বিপরীতটি সত্য বলে মনে হচ্ছে না। আব্বাস যখন তাঁর দরবারের সামনে ইতালীয় ভ্রমণকারী পিয়েট্রো ডেলা ভ্যালির সাথে তুর্কি ভাষায় এক প্রাণবন্ত কথোপকথন করেছিলেন, তখন উপস্থিত উপস্থিত বেশিরভাগের সুবিধার্থে তাকে আলাপটি পরবর্তীতে অনুবাদ করতে হয়েছিল।
রয়েল কোর্টে জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ানদের ব্যবহার সম্পর্কে ডেভিড ব্লো বলেছেন,[১৭৪]
জর্জিয়ান, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ান ভাষাও কথ্য ছিল, যেহেতু এগুলি অনেক গুল্মের মাতৃভাষা ছিল, পাশাপাশি হারেমের মহিলাদেরও একটি উচ্চ অনুপাত ছিল। ফিগুয়েরো আব্বাসকে জর্জিয়ান ভাষায় কথা বলতে শুনেছিলেন, যা তিনি তাঁর জর্জিয়ান গোলাম এবং উপপত্নীদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন সন্দেহ নেই।
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]
এই সাফাভিদরাই ইরানকে শিয়া ধর্মের আধ্যাত্মিক ঘাঁটি এবং পারস্যের সাংস্কৃতিক traditionsতিহ্যের ভাণ্ডার এবং ইরানহুডির স্ব-সচেতনতাকে আধুনিক ইরানের সেতু হিসাবে কাজ করেছিল। রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শাহ ইসমাইল "ইরানের রাজা" (পদিয়াহ-আরান) উপাধি গ্রহণ করেছিলেন এবং ইরানীয় রাজ্যের খোরাসান থেকে শুরু করে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত এবং অক্সাস থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত ধারণা ছিল পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলগুলি।[২১৭] অধ্যাপক রজার স্যাভেরির মতে:[২১৮][২১৯]
বিভিন্ন উপায়ে সাফাভিডগুলি আধুনিক ইরান রাষ্ট্রের বিকাশের উপর প্রভাব ফেলেছিল: প্রথমত, তারা বিভিন্ন প্রাচীন এবং traditionalতিহ্যবাহী পার্সিয়ান প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছিল এবং এগুলি একটি শক্তিশালী বা আরও 'জাতীয়' আকারে সঞ্চারিত করেছিল; দ্বিতীয়ত, সাফাভিদ রাজ্যের সরকারী ধর্ম হিসাবে ইরানের উপর ইথনা 'আশরিয়া শিয়া ইসলাম চাপিয়ে দিয়ে তারা মুজতাহিদের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। সাফাভিডস এইভাবে পাগড়ী এবং মুকুট যে সেক্যুলার সরকারের সমর্থক এবং theশিক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে বলার অপেক্ষা রাখে তার মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ দেয়; তৃতীয়ত, তারা ধর্মীয় শ্রেণী ('উলামা') এবং বাজারের মধ্যে জোটের ভিত্তি স্থাপন করেছিল যা ১৯০৫-১৯৯০-এর পারস্যের সাংবিধানিক বিপ্লব এবং ১৯ again৯ সালের ইসলামিক বিপ্লব উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল; চতুর্থটি শাহ আব্বাসের দ্বারা প্রবর্তিত নীতিমালা আরও কেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বাধ্য হয়েছিল।
ডোনাল্ড স্ট্রয়েস্যান্ডের মতে, "যদিও ইরান মালভূমির পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের সাফাভিড একীকরণ এবং এই অঞ্চলে টোলেভার শিয়া ইসলামকে আরোপিত করা আধুনিক ইরানের স্বীকৃতিস্বরূপ পূর্বসূরীর সৃষ্টি করেছিল, সাফাভিড রাষ্ট্রটি নিজেই স্বতন্ত্র ইরানী বা জাতীয় ছিল না।"[২২০] রুডল্ফ ম্যাথি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, "একটি রাষ্ট্র-রাষ্ট্র নয়, সাফাভিদ ইরানের মধ্যে এমন উপাদান রয়েছে যা পরবর্তীতে অনেকগুলি স্থায়ী আমলাতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন করে এবং ধর্মীয় এবং আঞ্চলিক সীমানাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার শৈশব শুরু করে।"[২২১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Matthee* Matthee, Rudi (১ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Was Safavid Iran an Empire?"। Journal of the Economic and Social History of the Orient। ৫৩ (1): ২৪১। ডিওআই:10.1163/002249910X12573963244449। এস২সিআইডি 55237025।
The term 'Iran', which after an absence of some six centuries had re-entered usage with the Ilkhanid branch of the Mongols, conveyed a shared self-awareness among the political and cultural elite of a geographical entity with distinct territorial and political implications. A core element of the Safavid achievement was the notion that the dynasty had united the eastern and western halves of Iran, Khurasan and Herat, the lands of the Timurids, in the East, and the territory of the Aq-Quyunlu in the West. The term mulk-i vasi' al-faza-yi Iran, 'the expansive realm of Iran', found in the seventeenth-century chronicle, Khuld-i barin, and again, in near identical terms, in the travelogue of Muhammad Rabi Shah Sulayman's envoy to Siam in the 1680s, similarly conveys the authors pride and self-consciousness with regard to the territory they inhabited or hailed from.
- ↑ Savory, Roger (২ জানুয়ারি ২০০৭)। "The Safavid state and polity"। Iranian Studies। ৭ (1–2): ২০৬। ডিওআই:10.1080/00210867408701463।
The somewhat vague phrase used during the early Safavid period, mamalik-i mahrusa, had assumed more concrete forms: mamālik-i īrān; mamālik-i 'ajam; mamlikat-i īrān; mulk-i īrān; or simply īrān. The royal throne was variously described as sarīr-i saltanat-i īrān; takht-i īrān; and takht-i sultān (sic)-i īrān. The inhabitants of the Safavid empire are referred to as ahl-i īrān, and Iskandar Beg describes himself as writing the history of the Iranians (sharh-i ahvāl-i īrān va īrāniān). Shah Abbas I is described as farmānravā-yi īrān and shahryār-i īrān; his seat is pāyitakht-i pādishāhān-i īrān, takhtgāh-i salātin-i īrān, or dār al-mulk-i īrān. His sovereign power is referred to as farmāndahi-yi mulk-i īrān, saltanat va pādishāhi-yi īrān, pādishāhi-yi īrān. The cities of Iran (bilād-i īrān) are thought of as belonging to a positive entity orstate: Herat is referred to as a'zam-i bilād-i īrān (the greatest of the cities of Iran) and Isfahan as khulāsa-yi mulk-i īrān (the choicest part of the realm of Iran). ... The sense of geographical continuity referred to earlier is preserved by a phrase like kull-i vilāyat-i īrānzamīn. ... Affairs of state are referred to as muhimmāt-i īrān. To my mind however, one of the clearest indications that the Safavid state had become a state in the full sense of the word is provided by the revival of the ancient title of sipahsālār-i īrān or "commander-in-chief of the armed forces of Iran".
- ↑ "... the Order of the Lion and the Sun, a device which, since the 17 century at least, appeared on the national flag of the Safavids the lion representing 'Ali and the sun the glory of the Shiʻi faith", Mikhail Borisovich Piotrovskiĭ, J. M. Rogers, Hermitage Rooms at Somerset House, Courtauld Institute of Art, Heaven on earth: Art from Islamic Lands: Works from the State Hermitage Museum and theKhalili Collection, Prestel, 2004, p. 178.
- Flaskerud, Ingvild (২০১০)। Visualizing Belief and Piety in Iranian Shiism। A&C Black। পৃ. ১৮২–৩। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৪১১-৪৯০৭-৭।
- ↑ Flaskerud, Ingvild (২০১০)। Visualizing Belief and Piety in Iranian Shiism। A&C Black। পৃ. ১৮২–৩। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৪১১-৪৯০৭-৭।
- 1 2 Roemer, H. R. (1986). "The Safavid Period". The Cambridge History of Iran, Vol. 6: The Timurid and Safavid Periods. Cambridge: Cambridge University Press, pp. 189–350. আইএসবিএন ০-৫২১-২০০৯৪-৬, p. 331: "Depressing though the condition in the country may have been at the time of the fall of Safavids, they cannot be allowed to overshadow the achievements of the dynasty, which was in many respects to prove essential factors in the development of Persia in modern times. These include the maintenance of Persian as the official language and of the present-day boundaries of the country, adherence to the Twelever Shiʻi, the monarchical system, the planning and architectural features of the urban centers, the centralised administration of the state, the alliance of the Shiʻi Ulama with the merchant bazaars, and the symbiosis of the Persian-speaking population with important non-Persian, especially Turkish speaking minorities".
- 1 2 3 Rudi Matthee, "Safavids" in Encyclopædia Iranica, accessed on April 4, 2010. "The Persian focus is also reflected in the fact that theological works also began to be composed in the Persian language and in that Persian verses replaced Arabic on the coins." "The political system that emerged under them had overlapping political and religious boundaries and a core language, Persian, which served as the literary tongue, and even began to replace Arabic as the vehicle for theological discourse".
- ↑ Ronald W Ferrier, The Arts of Persia. Yale University Press. 1989, p. 9.
- ↑ John R Perry, "Turkic-Iranian contacts", Encyclopædia Iranica, January 24, 2006: "... written Persian, the language of high literature and civil administration, remained virtually unaffected in status and content"
- 1 2 Cyril Glassé (ed.), The New Encyclopedia of Islam, Lanham, Maryland: Rowman & Littlefield Publishers, revised ed., 2003, আইএসবিএন ০-৭৫৯১-০১৯০-৬, p. 392: "Shah Abbas moved his capital from Qazvin to Isfahan. His reigned marked the peak of Safavid dynasty's achievement in art, diplomacy, and commerce. It was probably around this time that the court, which originally spoke a Turkic language, began to use Persian"
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Perryনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Arnold J. Toynbee, A Study of History, V, pp. 514–515. Excerpt: "in the heyday of the Mughal, Safawi, and Ottoman regimes New Persian was being patronized as the language of literae humaniores by the ruling element over the whole of this huge realm, while it was also being employed as the official language of administration in those two-thirds of its realm that lay within the Safawi and the Mughal frontiers"
- 1 2 3 4 5 6 Mazzaoui, Michel B; Canfield, Robert (২০০২)। "Islamic Culture and Literature in Iran and Central Asia in the early modern period"। Turko-Persia in Historical Perspective। Cambridge University Press। পৃ. ৮৬–৭। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৫২২৯১-৫।
Safavid power with its distinctive Persian-Shiʻi culture, however, remained a middle ground between its two mighty Turkish neighbors. The Safavid state, which lasted at least until 1722, was essentially a "Turkish" dynasty, with Azeri Turkish (Azerbaijan being the family's home base) as the language of the rulers and the court as well as the Qizilbash military establishment. Shah Ismail wrote poetry in Turkish. The administration nevertheless was Persian, and the Persian language was the vehicle of diplomatic correspondence (insha'), of belles-lettres (adab), and of history (tarikh).
- ↑ Ruda Jurdi Abisaab. "Iran andPre-Independence Lebanon" in Houchang Esfandiar Chehabi, Distant Relations: Iran and Lebanon in the Last 500 Years, IB Tauris 2006, p. 76: "Although the Ac language was still the medium for religious scholastic expression, it was precisely under the Safavids that hadith complications and doctrinal works of all sorts were being translated to Persian. The ʻAmili (Lebanese scholars of Shiʻi faith) operating through the Court-based religious posts, were forced to master the Persian language; their students translated their instructions into Persian. Persianization went hand in hand with the popularization of 'mainstream' Shiʻi belief."
- ↑ Floor, Willem; Javadi, Hasan (২০১৩)। "The Role of Azerbaijani Turkish in Safavid Iran"। Iranian Studies। ৪৬ (4): ৫৬৯–৫৮১। ডিওআই:10.1080/00210862.2013.784516। এস২সিআইডি 161700244।
- ↑ Hovannisian, Richard G.; Sabagh, Georges (১৯৯৮)। The Persian Presence in the Islamic World। Cambridge: Cambridge University Press। পৃ. ২৪০। আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২১৫৯১৮৫০।
- ↑ Axworthy, Michael (২০১০)। The Sword of Persia: Nader Shah, from Tribal Warrior to Conquering Tyrant। I.B.Tauris। পৃ. ৩৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৫৭৭২১৯৩৮।
- ↑ Savory, Roger (২০০৭)। Iran Under the Safavids। Cambridge University Press। পৃ. ২১৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-০৪২৫১-২।
qizilbash normally spoke Azari brand of Turkish at court, as did the Safavid shahs themselves; lack of familiarity with the Persian language may have contributed to the decline from the pure classical standards of former times
- 1 2 3 Zabiollah Safa (1986), "Persian Literature in the Safavid Period", The Cambridge History of Iran, vol. 6: The Timurid and Safavid Periods. Cambridge: Cambridge University Press, আইএসবিএন ০-৫২১-২০০৯৪-৬, pp. 948–65. P. 950: "In day-to-day affairs, the language chiefly used at the Safavid court and by the great military and political officers, as well as the religious dignitaries, was Turkish, not Persian; and the last class of persons wrote their religious works mainly in Arabic. Those who wrote in Persian were either lacking in proper tuition in this tongue, or wrote outside Iran and hence at a distance from centers where Persian was the accepted vernacular, endued with that vitality and susceptibility to skill in its use which a language can have only in places where it truly belongs."
- ↑ Price, Massoume (২০০৫)। Iran's Diverse Peoples: A Reference Sourcebook। ABC-CLIO। পৃ. ৬৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৬০৭-৯৯৩-৫।
The Shah was a native Turkic speaker and wrote poetry in the Azerbaijani language.
- ↑ Blow, David (২০০৯)। Shah Abbas: The Ruthless King Who Became an Iranian Legend। I.B.Tauris। পৃ. ১৬৫–১৬৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৫৭৭১৬৭৬৭।
Georgian, Circassian and Armenian were also spoken [at the court], since these were the mother-tongues of many of the ghulams, as well as of a high proportion of the women of the harem. Figueroa heard Abbas speak Georgian, which he had no doubt acquired from his Georgian ghulams and concubines.
}} - ↑ The New Encyclopedia of Islam, Ed. Cyril Glassé, (Rowman & Littlefield Publishers, 2008), 449.
- ↑ Ghereghlou, Kioumars (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০১৭)। "Chronicling a Dynasty on the Make: New Light on the Early Ṣafavids in Ḥayātī Tabrīzī's Tārīkh (961/1554)"। Journal of the American Oriental Society। ১৩৭ (4): ৮২৭। ডিওআই:10.7817/jameroriesoci.137.4.0805 – Columbia Academic Commons এর মাধ্যমে।
Shah Ismāʿīl's enthronement took place in Tabrīz immediately after the battle of Sharūr, on 1 Jumādā II 907/22 December 1501.
- ↑ Elton L. Daniel, The History of Iran (Greenwood Press, 2001) p. 95
- ↑ Ferrier, RW, A Journey to Persia: Jean Chardin's Portrait of a Seventeenth-century Empire, p. ix.
- ↑ Helen Chapin Metz, ed., Iran, a Country study. 1989. University of Michigan, p. 313.
- ↑ Emory C. Bogle. Islam: Origin and Belief. University of Texas Press. 1989, p. 145.
- ↑ Stanford Jay Shaw. History of the Ottoman Empire. Cambridge University Press. 1977, p. 77.
- ↑ Andrew J. Newman, Safavid Iran: Rebirth of a Persian Empire, IB Tauris (2006).[পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- 1 2 3 Matthee, Rudi (২০১৭) [2008]। "Safavid Dynasty"। Encyclopædia Iranica। New York: Columbia University। ডিওআই:10.1163/2330-4804_EIRO_COM_509। আইএসএসএন 2330-4804। ২৫ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২২।
- ↑ Streusand 2011, পৃ. 135।
- 1 2 3 4 5 6 7 Savory, Roger (২০১২) [1995]। "Ṣafawids"। Bosworth, C. E.; van Donzel, E. J.; Heinrichs, W. P.; Lewis, B.; Pellat, Ch.; Schacht, J. (সম্পাদকগণ)। Encyclopaedia of Islam, Second Edition। খণ্ড ৮। Leiden and Boston: Brill Publishers। ডিওআই:10.1163/1573-3912_islam_COM_0964। আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-০৪-১৬১২১-৪।
- ↑ Baltacıoğlu-Brammer, Ayşe (২০২১)। "The emergence of the Safavids as a mystical order and their subsequent rise to power in the fourteenth and fifteenth centuries"। Matthee, Rudi (সম্পাদক)। The Safavid World। Routledge Worlds (1st সংস্করণ)। New York and London: Routledge। পৃ. ১৫–৩৬। ডিওআই:10.4324/9781003170822। আইএসবিএন ৯৭৮-১-০০৩-১৭০৮২-২। এস২সিআইডি 236371308।
- ↑
- Matthee, Rudi. (2005). The Pursuit of Pleasure: Drugs and Stimulants in Iranian History, 1500–1900. Princeton University Press. p. 18; "(...)ethnic Turks generally held military and political power in Iran, whereas ethnic Iranians, called Tajiks, were dominant in the areas of administration and culture. The Safavids, as Iranians of Kurdish ancestry and of nontribal background, did not fit this pattern, although the state they set up with the aid of Turkmen tribal forces of Eastern Anatolia closely resembled this division in its makeup. (...)".
- Amoretti, Biancamaria Scarcia; Matthee, Rudi. (2009). "Ṣafavid Dynasty". In Esposito, John L. (ed.) The Oxford Encyclopedia of the Islamic World. Oxford University Press. "Of Kurdish ancestry, the Ṣafavids started as a Sunnī mystical order (...)"
- ↑
- Savory, Roger M.; Karamustafa, Ahmet T. (1998) ESMĀʿĪL I ṢAFAWĪ. Encyclopaedia Iranica Vol. VIII, Fasc. 6, pp. 628–636
- Ghereghlou, Kioumars (2016). ḤAYDAR ṢAFAVI. Encyclopaedia Iranica
- ↑ Aptin Khanbaghi (2006) The Fire, the Star and the Cross: Minority Religions in Medieval and Early. London & New York. IB Tauris. আইএসবিএন ১-৮৪৫১১-০৫৬-০, pp. 130–131
- ↑ Yarshater 2001, পৃ. 493।
- ↑ Khanbaghi 2006, পৃ. 130।
- 1 2 Anthony Bryer. "Greeks and Türkmens: The Pontic Exception", Dumbarton Oaks Papers, Vol. 29 (1975), Appendix II "Genealogy of the Muslim Marriages of the Princesses of Trebizond"
- ↑ টেমপ্লেট:Iranica, "The origins of the Safavids are clouded in obscurity. They may have been of Kurdish origin (see R. Savory, Iran Under the Safavids, 1980, p. 2; R. Matthee, "Safavid Dynasty" at iranica.com), but for all practical purposes they were Turkish-speaking and Turkified."
- ↑ Savory 2007, পৃ. 3, "Why is there such confusion about the origins of this important dynasty, which reasserted Iranian identity and established an independent Iranian state after eight and a half centuries of rule by foreign dynasties?"।
- ↑ Herzig, Edmund; Stewart, Sarah (২০১১)। Early Islamic Iran। I. B. Tauris.।
- ↑ Savory 2007, পৃ. 2-3, ...Turcoman, tribal forces (qizilbash) which had been largely responsible for bringing the Safavids to power...।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 213, 353, Chapter: "The Safavid Period"।
- ↑ Blow 2009, পৃ. 5।
- 1 2 Roemer 1986, পৃ. 229, 353, Chapter: "The Safavid Period"।
- ↑ "Iran under the Safavids"। www.archive.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। Containing text in Persian
- 1 2 টেমপ্লেট:Iranica
- ↑ Peter Charanis. "Review of Emile Janssens' Trébizonde en Colchide", Speculum, Vol. 45, No. 3 (July 1970), p. 476.
- ↑ Anthony Bryer, open citation, p. 136.
- ↑ Titley, Norah M. (১৯৮৪)। Persian miniature painting and its influence on the art of Turkey and India : the British Library collections। Austin : University of Texas Press। পৃ. ৮৬, plate ১২। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৯২-৭৬৪৮৪-২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: প্রকাশকের অবস্থান (লিঙ্ক) - ↑ Wood, Barry D. (২০০৪)। "The "Tarikh-I Jahanara" in the Chester Beatty Library: An Illustrated Manuscript of the "Anonymous Histories of Shah Isma'I""। Iranian Studies। ৩৭ (1): ১০১। ডিওআই:10.1080/0021086042000232956। আইএসএসএন 0021-0862। জেস্টোর 4311593।
- ↑ Virani, Shafique N. The Ismailis in the Middle Ages: A History of Survival, A Search for Salvation (New York: Oxford University Press), 2007, p. 113.
- ↑ The writer Ṛūmlu documented the most important of them in his history.
- 1 2 3 4 "Ismail Safavi" Encyclopædia Iranica
- 1 2 V. Minorsky, "The Poetry of Shāh Ismā‘īl I", Bulletin of the School of Orient and African Studies, University of London 10/4 (1942): 1006–1053.
- ↑
- Savory, Roger M.; Karamustafa, Ahmet T. (1998) ESMĀʿĪL I ṢAFAWĪ. Encyclopaedia Iranica Vol. VIII, Fasc. 6, pp. 628–636
- Ghereghlou, Kioumars (2016). ḤAYDAR ṢAFAVI. Encyclopaedia Iranica
- ↑ Savory 2007, পৃ. 2।
- ↑ Yıldırım, Rıza (২০২০)। Aleviliğin doğuşu: Kızılbaş sufiliğinin toplumsal ve siyasal temelleri 1300-1501 [The Emergence of Alevism: The Social and Political Foundations of Qizilbash Sufism, 1300-1501] (Turkish ভাষায়) (3rd সংস্করণ)। İstanbul: İletişim Yayınları। পৃ. ১৪৯। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৫-০৫-২২৩৮-৩।
The author cites from Zeki V. Togan, "Sur L'origine des Safavides", Melanges Massignon, III, 1957, p. 356.
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Savory 2007, পৃ. 22-23।
- ↑ Gündüz, Tufan (২০১৫)। Kızılbaşlar Osmanlılar Safevîler [Qizilbash, Ottomans, Safavids]। Yeditepe Yayınevi। Cağaloğlu, İstanbul: Yeditepe। পৃ. ১১৬–১১৯। আইএসবিএন ৯৭৮-৬০৫-৫২০০-৭১-৮।
- ↑ Richard Tapper. "Shahsevan in Safavid Persia", Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London, Vol. 37, No. 3, 1974, p. 324.
- ↑ Lawrence Davidson, Arthur Goldschmid, A Concise History of the Middle East, Westview Press, 2006, p. 153.
- ↑ Britannica Concise ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৮-০১-২০ তারিখে. "Safavid Dynasty", Online Edition 2007.
- ↑ George Lenczowski, "Iran under the Pahlavis", Hoover Institution Press, 1978, p. 79: "Ismail Safavi, descendant of the pious Shaykh Ishaq Safi al-Din (d. 1334), seized Tabriz assuming the title of Shahanshah-e-Iran".
- ↑ Stefan Sperl, C. Shackle, Nicholas Awde, "Qasida poetry in Islamic Asia and Africa", Brill Academic Pub; Set Only edition (February 1996), p. 193: "Like Shah Ni'mat Allah-i Vali he hosted distinguished visitors among them Ismail Safavi, who had proclaimed himself Shahanshah of Iran in 1501 after having taken Tabriz, the symbolic and political capital of Iran".
- ↑ Heinz Halm, Janet Watson, Marian Hill, Shiʻism, translated by Janet Watson, Marian Hill, Edition: 2, illustrated, published by Columbia University Press, 2004, p. 80: "...he was able to make his triumphal entry into Alvand's capital Tabriz. Here he assumed the ancient Iranian title of King of Kings (Shahanshah) and setup up Shiʻi as the ruling faith"
- ↑ Virani, Shafique N. The Ismailis in the Middle Ages: A History of Survival, A Search for Salvation (New York: Oxford University Press), 2007, 113.
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 339, "Further evidence of a desire to follow in the line of Turkmen rulers is Ismail's assumption of the title "Padishah-i-Iran"।
- ↑ "Iranian identity iii. Medieval Islamic period" in Encyclopædia Iranica ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-১০-২৫ তারিখে: "The Safavid kings called themselves, among other appellations, the "heart of the shrine of ʿAli" (kalb-e āstān-e ʿAli), while assuming the title of Šāhanšāh (the king of kings) of Persia/Iran". Quote 2: "Even Ottoman sultans, when addressing the Āq Quyunlu and Safavid kings, used such titles as the "king of Iranian lands" or the "sultan of the lands of Iran" or "the king of kings of Iran, the lord of the Persians" or the "holders of the glory of Jamšid and the vision of Faridun and the wisdom of Dārā." They addressed Shah Esmaʿil as: "the king of Persian lands and the heir to Jamšid and Kay-ḵosrow" (Navāʾi, pp. 578, 700–702, 707). During Shah ʿAbbās's reign the transformation is complete and Shiʿite Iran comes to face the two adjacent Sunni powers: the Ottoman Empire to the west and the Kingdom of Uzbeks to the east."
- ↑ Ward, Steven R. (২০১৪)। Immortal, Updated Edition: A Military History of Iran and Its Armed Forces। Georgetown University Press। পৃ. ৪৩। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৬২৬১৬-০৩২-৩।
- ↑ Sinclair, T.A. (১৯৮৯)। Eastern Turkey: An Architectural & Archaeological Survey, Volume II। Pindar Press। পৃ. ২৮৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯০৪৫৯৭-৭৫-৯।
- ↑ Rayfield, Donald (২০১৩)। Edge of Empires: A History of Georgia। Reaktion Books। পৃ. ১৬৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৭৮০২৩-০৭০-২।
- ↑ Christine Woodhead (২০১১)। The Ottoman World। Routledge। পৃ. ৯৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৩৬-৪৯৮৯৪-৭।
- ↑ Shah Ismail I ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-০৭-২৫ তারিখে Retrieved July 2015
- 1 2 3 4 Streusand 2011, পৃ. 146।
- ↑ Colin P. Mitchell, "Ṭahmāsp I" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৫-০৫-১৭ তারিখে Encyclopædia Iranica (July 15, 2009).
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 233-234।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 234।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 234-237।
- ↑ Savory 2007, পৃ. 60-64।
- ↑ Streusand 2011, পৃ. 146-147।
- ↑ Colin P. Mitchell, The Practice of Politics in Safavid Iran: Power, Religion and Rhetoric (London: I.B. Tauris, 2000), p. 59.
- 1 2 Streusand 2011, পৃ. 147।
- ↑ Mikheil Svanidze, "The Amasya Peace Treaty between the Ottoman Empire and Iran (June 1, 1555) and Georgia," Bulletin of the Georgian National Academy of Sciences, Vol. 3, pp. 191–97 (2009) ("Svanidze"), p. 191.
- ↑ Svanidze, p. 192
- ↑ Streusand 2011, পৃ. 50।
- ↑ Max Scherberger, "The Confrontation between Sunni and Shiʻi Empires: Ottoman-Safavid Relations between the Fourteenth and the Seventeenth Centuries" in The Sunna and Shi'a in History: Division and Ecumenism in the Muslim Middle East ed. by Ofra Bengio & Meir Litvak (New York: Palgrave Macmillan, 2011) ("Scherberger"), p. 60.
- ↑ Eraly, Abraham (২০০০)। Emperors of the Peacock Throne: The Saga of the Great Mughals। Penguin Books India। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৪-১০০১৪৩-২।
- 1 2 3 John F. Richards, The Mughal Empire (Cambridge, U.K.: Cambridge University Press, c. 1995), p. 11.
- ↑ Riazul Islam; Indo-Persian Relations: A Study of the Political and Diplomatic Relations between the Mughal Empire and Iran (Tehran: Iranian Cultural Foundation, 1970), pp. 22–47.
- ↑ Savory 2007, পৃ. 66।
- ↑ Nahavandi and Bomati pp. 284–286
- ↑ Savory, pp. 129–131.
- ↑ Safavid Courtiers Leading Georgian Captives।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 "Tahmāsp I"। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৫।
- ↑ Smithsonian 2025b।
- ↑ Atıl 1978, পৃ. 47, fig.15A।
- ↑ Anderson, Mary (১৯৮৭)। "Prisoner Imagery In Safavid Textiles"। The Textile Museum Journal। ২৩।
- ↑ Streusand 2011, পৃ. 148।
- 1 2 3 "BARDA and BARDA-DĀRI v. Military slavery in Islamic Iran"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৪।
- 1 2 Manz, Beatrice। "Čarkas"। Encyclopædia Iranica। ২ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- 1 2 Lapidus, Ira M. (২০১২)। Islamic Societies to the Nineteenth Century: A Global History। Cambridge University Press। পৃ. ৪৯৪। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৫১৪৪১-৫।
- ↑ রোজমেরি স্ট্যানফিল্ড জনসন, "সুন্নি সারভাইভাল ইন সাফাবিদ ইরান: অ্যান্টি-সুন্নি অ্যাক্টিভিটিজ ডিউরিং দ্য রেইন অব তহমাস্প ওয়ান," ইরানিয়ান স্টাডিজ, খণ্ড ২৭, পৃ. ১২৩–১৩৩ (১৯৯৪), পৃ. ১২৫–১২৬, ১২৮–১৩১
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 250-251।
- ↑ Farrokh, Kaveh (২০১১)। Iran at War: 1500–1988। Bloomsbury Publishing। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৭৮০৯৬-২৪০-৫।
- 1 2 Streusand 2011, পৃ. 149।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 251।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 252।
- ↑ সেভরি, পৃ. ৭০।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 253।
- 1 2 3 Roemer 1986, পৃ. 255।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 354।
- ↑ আবোলালা সোদাবার, "ভিজিয়ার মিরজা সালমানের অভিভাবকত্ব," মুকারমাস, খণ্ড ৩০, পৃ. ২১৩–২৩৪ (২০১৩), পৃ. ২১৬।
- ↑ Sicker 2001, পৃ. 2–3।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 256।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 257।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 257, 258।
- ↑ Roemer 1986, পৃ. 259।
- ↑ Streusand 2011, পৃ. 150।
- ↑ সেভরি, পৃ. ৭৪।
- ↑ সেভরি, পৃ. ৭৪–৭৬।
- ↑ Badruddīn, Amir al-Hussein bin (১৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।
- ↑ Akiner, Shirin (২০০৪)। The Caspian: Politics, Energy and Security। Taylor & Francis। পৃ. ১৫৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২০৩-৬৪১৬৭-৫।
- ↑ Blow, David; Shah Abbas: The ruthless king who became an Iranian legend, pp. 37–8.
- ↑ "Shahsavan Tribes" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৭-১০-০৮ তারিখে, Dr P. Shahsavand, Professor of Sociology at Islamic Azad University—Events Magazine, Cultural, Economical and General Events of Iran (retrieved 4 Sep 2007).
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;ALLĀHVERDĪ KHAN 1নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Savory 1980 79নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;BN142নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Roemer 1986, পৃ. 265
- 1 2 Blow, p. 38.
- ↑ Safavid, Mughal, and Ottoman Empires. Cambridge Core. See also Countries by population in 1700.
- ↑ Savory, Roger, Iran under the Safavids, p. 183.
- ↑ Sir E. Denison Ross, Sir Anthony Sherley and his Persian Adventure, pp. 219–20.
- 1 2 Savory, R, Iran under the Safavids, p. 77.
- ↑ Ferrier, RW, A journey to Persia: Jean Chardin's portrait of a seventeenth-century empire, p. 110.
- ↑ Ferrier; pp. 111-113.
- ↑ Ferrier; pp. 114-115.
- ↑ Ferrier; p. 116.
- ↑ Ferrier; pp. 117-118.
- ↑ Ferrier; pp. 120-124.
- ↑ Ferrier; p. 124.
- ↑ Axworthy, Michael; History of Iran (2010).
- ↑ Savory; pp. 184-5.
- ↑ Savory; Iran under the Safavids; p. 65
- ↑ Babayan, Associate Professor of Iranian History Culture Kathryn; Babaie, Sussan; Babayan, Kathryn; McCabe, Ina; Farhad, Massumeh (২০০৪)। Slaves of the Shah:New Elites of Safavid Iran। আইএসবিএন ৯৭৮১৮৬০৬৪৭২১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Streusand, p. 148নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Oberling, Pierre, Georgians and Circassians in Iran, The Hague, 1963; pp.127–143
- ↑ Blow, D; Shah Abbas: The ruthless king who became an Iranian legend, p. 9.
- ↑ Matthee, Rudolph P. (1999), The Politics of Trade in Safavid Iran: Silk for Silver, 1600–1730.
- ↑ Blow; p. 37.
- ↑ Savory; p. 82.
- ↑ Eskandar Beg, pp. 900–901, tr. Savory, II, p. 1116
- ↑ Blow 2009, পৃ. 174।
- ↑ Mikaberidze 2015, পৃ. 291, 536।
- ↑ Malekšāh Ḥosayn, p. 509
- ↑ Bournoutian, George A.; A Concise History of the Armenian People: (from Ancient Times to the Present) (original from the University of Michigan) Mazda Publishers, 2002 আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৬৮৫৯১৪১৪ p. 208
- ↑ Aslanian, Sebouh. From the Indian Ocean to the Mediterranean: The Global Trade Networks of Armenian Merchants from New Julfa University of California Press, 4 mei 2011 আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২০৯৪৭৫৭৩ p. 1
- ↑ Savory, pp. 185–6.
- ↑ Nasr, Vali (২০০৬)। The Shia revival : how conflicts within Islam will shape the future। New York: Norton। পৃ. ৬৯। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩৯৩-০৬২১১-৩।
- ↑ Momen, Moojan (১৯৮৫)। An introduction to Shiʻi Islam : the history and doctrines of Twelver Shiʻism। Oxford: G. Ronald। পৃ. ১২৭। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫৩৯৮-২০১-২।
- ↑ Momen, Moojan (১৯৮৫)। An introduction to Shiʻi Islam : the history and doctrines of Twelver Shiʻism। Oxford: G. Ronald। পৃ. ২২২। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫৩৯৮-২০১-২।
- ↑ Momen, Moojan (১৯৮৫)। An introduction to Shiʻi Islam : the history and doctrines of Twelver Shiʻism। Oxford: G. Ronald। পৃ. ২০৪। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫৩৯৮-২০১-২।
- ↑ Momen, Moojan (১৯৮৫)। An introduction to Shiʻi Islam : the history and doctrines of Twelver Shiʻism। Oxford: G. Ronald। পৃ. ১১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫৩৯৮-২০১-২।
- ↑ Momen, Moojan (১৯৮৫)। An introduction to Shiʻi Islam : the history and doctrines of Twelver Shiʻism। Oxford: G. Ronald। পৃ. ১১৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫৩৯৮-২০১-২।
- ↑ Ferrier, R. W.; A Journey to Persia: Jean Chardin's Portrait of a Seventeenth-century Empire; pp 71–71.
- ↑ Blow, p. 173.
- 1 2 Blow, David. Shah Abbas: the ruthless king who became an Iranian legend, p. 165.
- 1 2 3 4 Ferrier, pp. 80–2.
- ↑ Blow, p. 170.
- 1 2 Savory, Roger, Iran under the Safavids, p. 221.
- ↑ Blow, p. 175.
- 1 2 3 4 5 6 7 8 Blow 2009, পৃ. 165।
- 1 2 Blow 2009, পৃ. 165–166।
- ↑ Blow 2009, পৃ. 118–119, 166।
- 1 2 3 Ferrier; pp. 85–89.
- ↑ Malcolm; vol II, p. 456.
- ↑ Savory; p. 182.
- 1 2 Ferrier, RW, A journey to Persia: Jean Chardin's Portrait of a Seventeenth-century Empire, pp. 90–4.
- 1 2 Ferrier p. 91.
- ↑ Paul Bairoch (১৯৯৫)। Economics and World History: Myths and Paradoxes। University of Chicago Press। পৃ. ১০৭। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২১।
- ↑ Savory, R.; Iran under the Safavids; pp. 186–7.
- ↑ Ferrier, R. W.; A journey to Persia: Jean Chardin's portrait of a seventeenth-century Empire; p. 24.
- ↑ Ferrier; p. 23.
- ↑ Savory; p.187.
- ↑ Blow, D.; Shah Abbas: The ruthless king who became an Iranian legend; p. 211.
- ↑ Lambton, A. K. S.; Landlord and Peasant in Persia (Oxford 1953); p 127-8.
- ↑ Ferrier; pp. 25–6.
- ↑ Savory; p.190.
- ↑ Ferrier; p. 31.
- ↑ Savory; p. 191.
- ↑ Blow; p. 210.
- ↑ Savory, R; Iran under the Safavids; pp. 193–95.
- ↑ Blow, D; Shah Abbas: The ruthless king who became an Iranian legend; pp. 113–131.
- ↑ Blow; chapter: "English adventurers at the servise of Shah Abbas."
- ↑ Savory; p. 195.
- ↑ Blow; p. 212.
- ↑ Savory; p. 196.
- ↑ Savory; pp. 199–200.
- ↑ William L. Cleveland and Martin P. Bunton, A History of the Modern Middle East (Westview Press, 2000), 2nd ed., pp. 56–57.
- ↑ Savory, Roger; Iran under the Safavids, p. 155.
- ↑ Savory; chpt: The Safavid empire at the height of its power under Shāh Abbas the Great (1588–1629)
- ↑ Jodidio, Philip, Iran: Architecture For Changing Societies:Umberto Allemandi (August 2, 2006).
- ↑ Dabashi, H. (1996) 'Mir Damad and the Founding of the School of Isfahan', in SH Nasr and O. Leaman (eds) History of Islamic Philosophy, London: Routledge, ch. 34, 597–634.
- ↑ Rizvi, Sajjad (গ্রীষ্ম ২০০৯)। "Mulla Sadra"। Zalta, Edward N (সম্পাদক)। The Stanford Encyclopedia of Philosophy।
- ↑ Nasr, Seyyed Hossein, Sadr al-Din Shirazi and his Transcendent Theosophy, Background, Life and Works, 2nd ed., Tehran: Institute for Humanities and Cultural Studies.
- ↑ RN Frye, The Golden Age of Persia, Phoenix Press, 2000, p. 234
- ↑ Savory, Roger: Iran under the Safavids, pp. 220–5.
- ↑ Savory, p. 220.
- ↑ Savory, p. 222.
- ↑ Ronald W. Ferrier, The Arts of Persia, Yale University Press, 1989, p. 199.
- ↑ Arnold J. Toynbee, A Study of History, V, pp. 514–15.
- ↑ John R. Perry, "Turkic-Iranian contacts", Encyclopædia Iranica, January 24, 2006.
- ↑ É. Á. Csató, B. Isaksson, C Jahani. Linguistic Convergence and Areal Diffusion: Case Studies from Iranian, Semitic and Turkic, Routledge, 2004, p. 228, আইএসবিএন ০-৪১৫-৩০৮০৪-৬.
- ↑ Ruda Jurdi Abisaab. "Iran and Pre-Independence Lebanon" in Houchang Esfandiar Chehabi, Distant Relations: Iran and Lebanon in the Last 500 Years, I.B. Tauris (2006), p. 76.
- ↑ Cornelis Henricus Maria Versteegh, The Arabic Language, Columbia University Press, 1997, p. 71.
- ↑ Hillenbrand R., Islamic Art and Architecture, London (1999), আইএসবিএন ০-৫০০-২০৩০৫-৯, p. 228.
- ↑ Savory, RM। "18 Iran, Armenia and Georgia – Rise of a Shiʻi State in Iran and New Orientation in Islamic Thought and Culture"। UNESCO: History of Humanity। খণ্ড ৫: From the Sixteenth to the Eighteenth Century। London, New York: Routledge। পৃ. ২৬৩।
- ↑ Mujtahid: A mujtahid in Arabic means a person who qualified to engange in ijtihad, or interpretation of religious texts. Ithna 'ashari is the number twelve in Arabic, signifying Twelver Imami Shiʻi Islam. Ulama: Arabic for religious scholars.
- ↑ Streusand, p. 137.
- ↑ Rudolph P. Matthee, The Politics of Trade in Safavid Iran: Silk for Silver, 1600–1730 (Cambridge, U.K.: Cambridge University Press, 1999), p. 231.
গ্রন্থতালিকা
[সম্পাদনা]- Blow, David (২০০৯)। Shah Abbas: The Ruthless King Who Became an Iranian Legend। I.B.Tauris। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৫৭৭১৬৭৬৭।
- Jackson, Peter; Lockhart, Laurence, সম্পাদকগণ (১৯৮৬)। The Timurid and Safavid Periods। The Cambridge History of Iran। খণ্ড ৬। Cambridge: Cambridge University Press। আইএসবিএন ৯৭৮০৫২১২০০৯৪৩।
- Khanbaghi, Aptin (২০০৬)। The Fire, the Star and the Cross: Minority Religions in Medieval and Early Modern Iran। I.B. Tauris। আইএসবিএন ৯৭৮-১৮৪৫১১০৫৬৭।
- Mikaberidze, Alexander (২০১৫)। Historical Dictionary of Georgia (2 সংস্করণ)। Rowman & Littlefield। আইএসবিএন ৯৭৮-১৪৪২২৪১৪৬৬।
- Savory, Roger (২০০৭)। Iran under the Safavids। Cambridge University Press। আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২১০৪২৫১২।
- Sicker, Martin (২০০১)। The Islamic World in Decline: From the Treaty of Karlowitz to the Disintegration of the Ottoman Empire। Greenwood Publishing Group। আইএসবিএন ৯৭৮-০২৭৫৯৬৮৯১৫।
- Yarshater, Ehsan (২০০১)। Encyclopædia Iranica। Routledge & Kegan Paul। আইএসবিএন ৯৭৮-০৯৩৩২৭৩৫৬৬।
অধিকতর পাঠ
[সম্পাদনা]- Melville, Charles, সম্পাদক (২০২১)। Safavid Persia in the Age of Empires। The Idea of Iran Vol. 10। London: I.B. Tauris। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৫৫৬-৩৩৭৮-৪।
- Christoph Marcinkowski (tr.),Persian Historiography and Geography: Bertold Spuler on Major Works Produced in Iran, the Caucasus, Central Asia, India and Early Ottoman Turkey, Singapore: Pustaka Nasional, 2003, আইএসবিএন ৯৯৭১-৭৭-৪৮৮-৭.
- Christoph Marcinkowski (tr., ed.),Mirza Rafi‘a's Dastur al-Muluk: A Manual of Later Safavid Administration. Annotated English Translation, Comments on the Offices and Services, and Facsimile of the Unique Persian Manuscript, Kuala Lumpur, ISTAC, 2002, আইএসবিএন ৯৮৩-৯৩৭৯-২৬-৭.
- Christoph Marcinkowski,From Isfahan to Ayutthaya: Contacts between Iran and Siam in the 17th Century, Singapore, Pustaka Nasional, 2005, আইএসবিএন ৯৯৭১-৭৭-৪৯১-৭.
- "The Voyages and Travels of the Ambassadors" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে, Adam Olearius, translated by John Davies (1662),
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- History of the Safavids on Iran Chamber
- "Safavid dynasty", Encyclopædia Iranica by Rudi Matthee
- The History Files: Rulers of Persia
- BBC History of Religion
- Iranian culture and history site
- "Georgians in the Safavid administration", Encyclopædia Iranica
- Artistic and cultural history of the Safavids from the Metropolitan Museum of Art
- History of Safavid art ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে
- A Study of the Migration of Shiʻi Works from Arab Regions to Iran at the Early Safavid Era.
- Why is Safavid history important? (Iran Chamber Society)
- Historiography During the Safawid Era
- "IRAN ix. RELIGIONS IN IRAN (2) Islam in Iran (2.3) Shiʿism in Iran Since the Safavids: Safavid Period", Encyclopædia Iranica by Hamid Algar