শিব সহস্রনাম
শিব সহস্রনাম (সংস্কৃত: शिवसहस्रनामम्, আইএএসটি: Śivasahasranāmam) হল হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবতার শিবের "হাজার নামের তালিকা"।
হিন্দু ঐতিহ্যে সহস্রনাম হল এক ধরনের ভক্তিমূলক স্তোত্র যা দেবতার অনেক নাম তালিকাভুক্ত করে। নামগুলি গুণ, ক্রিয়াকলাপ ও চিত্রের প্রশংসিত হওয়ার সাথে সম্পর্কিত প্রধান পুরাণগুলির বিস্তৃত তালিকা সরবরাহ করে। শিব সহস্রনাম শিব মহাপুরাণ এবং অন্যান্য অনেক ধর্মগ্রন্থ যেমন লিঙ্গ পুরাণে পাওয়া যায়।
বৈচিত্র[সম্পাদনা]
শিব সহস্রনামের কমপক্ষে আটটি ভিন্নতা রয়েছে,[১] যখন মহাভারতের ১৩ (অনুশাসন পর্ব) বইশে প্রকাশিত একটিকে প্রধান সংস্করণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[২] একটি সংস্করণ লিঙ্গ পুরাণে রয়েছে এবং অন্য সংস্করণটি মহাভারতে রয়েছে।
বিষ্ণু সহস্রনামের সাথে নামের অধিক্রমণ আদি শঙ্করকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিয়েছে যে শিব ও বিষ্ণু অভিন্ন এবং উভয়ই একেশ্বরবাদী ঈশ্বরের সমান, উপসংহার যা এখন হিন্দুধর্মের অদ্বৈত বা স্মার্ত ঐতিহ্যের কেন্দ্রীয় নীতি।
শিবের অন্যান্য নামও কৃষ্ণ নিজেই মহাভারতে যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন। উপরন্তু, কৃষ্ণ নিজেও শিব সহস্রনাম, শিবের ১০০৮ টি নাম, মহাকাব্য মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ১৭ তম অধ্যায়ে তাকে পাঠ করেছিলেন,
- লিঙ্গপুরাণ (সংস্করণ ১, লি. পু. ১.৬৫.৫৪-১৬৮) মহাভারত অনুশাসন পর্ব সংস্করণের কাছাকাছি।
- লিঙ্গপুরাণ (সংস্করণ ২, লি. পু. ১.৯৮.২৭-১৫৯) এলপি সংস্করণ ১ এর সাথে কিছু অনুচ্ছেদ আছে, কিন্তু অন্যান্য উৎসের সাথেও
- শিবপুরাণ ৪.৩৫.১-১৩১।
- মহাভারত (শান্তিপর্ব সংস্করণ)।মহাভারতের সমালোচনামূলক সংস্করণে এই সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত নয়; এটি ১২ (শান্তিপর্ব) বইয়ের অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়, কিন্তু সমালোচনামূলক সংস্করণে পরিশিষ্ট ২৮ -এ স্থানান্তরিত হয়, যা পাঠ্যে দেরী সংযোজনের প্রতিনিধিত্ব করে। গীতা প্রেস সংস্করণ ১২.২৪৮.৬৮-১৮০ শ্লোক হিসাবে এটি মূল পাঠের অংশ হিসাবে পুনরুদ্ধার করে।
- বায়ুপুরাণ (১.৩০.১৭৯-২৮৪) প্রায় মহাভারত-শান্তিপর্ব সংস্করণের অনুরূপ।
- ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ (৩৮.১.১-১০০) প্রায় বায়ুপুরাণ সংস্করণের অনুরূপ।
মহাভাগবত উপপুরাণ (৬৭.১-১২৫) তুলনামূলকভাবে সাম্প্রতিক উৎপত্তি বলে মনে হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Sharma, pp. viii-ix.
- ↑ Mahabharata 13.17 translated by Kisari Mohan Ganguly (published between 1883 and 1896). This is the source for the version presented in Chidbhavananda, who refers to it being from the Mahabharata but does not explicitly clairify which of the two Mahabharata versions he is using. See Chidbhavananda, p.5.
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
| শৈবধর্ম |
|---|
| সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিকের অংশ |
 |