বিষয়বস্তুতে চলুন

রেফিয়া সুলতান (দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের কন্যা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রেফিয়া সুলতান
জন্ম(১৮৯১-০৬-১৫)১৫ জুন ১৮৯১
ইলদিজ প্রাসাদ, কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
(বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক)
মৃত্যুআনু. ১৯৩৮ (বয়স ৪৬–৪৭)
বৈরুত, লেবানন
সমাধি
দাম্পত্য সঙ্গীআলী ফুয়াদ বে (বি. ১৯১০১৯৩৮)
বংশধর
  • রাবিয়া হানিম সুলতান
  • আয়েশে হামিদে হানিম সুলতান
সাম্রাজ্যউসমানীয়
পিতাদ্বিতীয় আবদুল হামিদ
মাতাসাজকার হানিম
ধর্মসুন্নি ইসলাম

রেফিয়া সুলতান (উসমানীয় তুর্কি: رفیعه سلطان; ১৫ জুন ১৮৯১ – আনু. ১৯৩৮) ছিলেন একজন উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহজাদী। তিনি সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ এবং সাজকার হানিমের কন্যা।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

রেফিয়া সুলতান ১৮৯১ সালের ১৫ জুন ইলদিজ প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন দ্বিতীয় আবদুল হামিদ এবং তার মা ছিলেন সাজকার হানিম[][][][] তিনি তার মায়ের একমাত্র সন্তান এবং বাবার কনিষ্ঠ কন্যা ছিলেন। শিক্ষক লম্বার্ডি বে এর কাছ থেকে তিনি শৈশবে ফরাসি সংগীত ও পিয়ান বাজানো শিখেছিলেন। শিক্ষক লম্বার্ডি বে সুলতানের অন্যান্য শিশুদেরও শিক্ষা দিয়েছিলেন।[]

বিবাহ

[সম্পাদনা]

আবদুল হামিদের শাসনামলের শেষের দিকে তিনি রেফিয়া সুলতানকে মুসির আহমেদ আইয়ুপ পাশার পুত্র আলী ফুয়াদ বে'র কাছে বিয়ে দেন। ১৯০৯ সালে তার বাবা ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনি তার পিতা-মাতার সাথে থেসালোনিকিতে নির্বাসনে চলে যান। পরের বছর তিনি ইস্তাম্বুলে ফিরে আসেন।[]

১৯১০ সালের ৩ জুন দোলমাবাহজে প্রাসাদে তার সৎ বোন আয়েশে সুলতানের বিয়ের একই দিনে তার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রেফিয়া সুলতানের দুই কন্যা ছিল। রাবিয়া হানিম সুলতান ও আয়েশে হামিদে হানিম সুলতান। রাবিয়া হানিম সুলতান ১৯১১ সালের ১৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আয়েশে হামিদে হানিম সুলতান ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[]

১৯২৪ সালের মার্চ মাসে রাজকীয় পরিবারের নির্বাসনে ফলে তিনি এবং তার কন্যারা প্রথমে ফ্রান্সের নিসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। যেখানে হামিদ ১৯৩৬ সালে একটি ঘটনার কারণে আঠারো বছর বয়সে মারা যান। পরে তিনি লেবাননের বৈরুতে বসতি স্থাপন করেন।[][]

নেসলিশাহ সুলতানের মতে, সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের কন্যাদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিলেন। তিনি একজন দয়ালু মহিলা ছিলেন এবং তার স্বামী ফুয়াদ বে একজন ভালো স্বামী ছিলেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]
রেফিয়া সুলতানের কবর

রেফিয়া সুলতান ১৯৩৮ সালে লেবাননের বৈরুতে সাতচল্লিশ বছর বয়সে মারা যান এবং সিরিয়ার দামেস্কের সুলায়মানি মসজিদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[][][][] ১৯৪৫ সালে তার বয়স যখন সাত বছর তখন তার মা মৃত্যুবরণ করেন।[]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

বংশধর

[সম্পাদনা]
নাম জন্ম মৃত্যু পরিচিতি
আলী ফুয়াদ বে এর কন্যা (বিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর ১৯১০; ১৮৮৭ – ১৯৫৩)[১০]
রাবিয়া হানিম সুলতান ১৩ জুলাই ১৯১১ ১৯ জুন ১৯৯৮ ইস্তাম্বুলের কিজিলটোপ্রাক প্রাসাদে জন্ম; অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান এবং দ্বিতীয় মাহমুদের সমাধিতে দাফন করা হয়
আয়েশে হামিদে হানিম সুলতান আনু. ১৯১৮ আনু. ১৯৩৬ ইস্তাম্বুলের কিজিলটোপ্রাক প্রাসাদে জন্ম; একটি ঘটনার কারণে ফ্রান্সের নিসে নির্বাসিত থাকাকালীন অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান এবং সিরিয়ার দামেস্কের সুলায়মানি মসজিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়

পূর্বপুরুষ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Uluçay 2011, পৃ. 258।
  2. Brookes 2010, পৃ. 288।
  3. Sakaoğlu 2008, পৃ. 697।
  4. Ekinci, Ekrem Buğra (জুন ২০১৭)। Sultan Abdülhamid'in Son Zevcesiআইএসবিএন 9786050825039। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২০ 
  5. Uluçay 2011, পৃ. 250, 258।
  6. Adra, Jamil (২০০৫)। Genealogy of the Imperial Ottoman Family 2005। পৃষ্ঠা 28 
  7. Bardakçı, Murat (২০১৭)। Neslishah: The Last Ottoman Princess। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন 978-9-774-16837-6 
  8. Sakaoğlu 2008, পৃ. 683-4।
  9. Yılmaz Öztuna (১৯৭৮)। Başlangıcından zamanımıza kadar büyük Türkiye tarihi: Türkiye'nin siyasî, medenî, kültür, teşkilât ve san'at tarihi। Ötüken Yayınevi। পৃষ্ঠা 165। 
  10. Ekinci, Ekrem Buğra (মার্চ ৩১, ২০১৭)। Sultan Abdülhamid'in Son Zevcesi। Timaş Tarih। পৃষ্ঠা 185। আইএসবিএন 978-6-050-82503-9