মোজাম্মেল হক খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোজাম্মেল হক খান
কমিশনার (অনুসন্ধান)
দুর্নীতি দমন কমিশন
কাজের মেয়াদ
৩ জুলাই ২০১৮ – ২ জুলাই ২০২৩
নিয়োগদাতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতিমোঃ সাহাবুদ্দিন
পূর্বসূরীড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ
উত্তরসূরীমোছাম্মৎ আছিয়া খাতুন
সিনিয়র সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
৬ ডিসেম্বর ২০১৬ – ৩০ জুন ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
উত্তরসূরীফয়েজ আহম্মদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1959-11-03) ৩ নভেম্বর ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)
মাদারীপুর, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসরকারি কর্মকর্তা, সিনিয়র সচিব

মোজাম্মেল হক খান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন।[১] বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর প্রধান জাতীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মোজাম্মেল হকের জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩ নভেম্বর মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, মিশরের কায়রো ডেমোগ্রাফিক সেন্টার থেকে জনসংখ্য ও উন্নয়ন বিষয়ে এসডি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এর একান্ত সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ছিলেন। এছাড়া তিনি জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২ জুলাই ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।[৪][৫]

২ জুলাই ২০২৩ সালে সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সচিব আছিয়া খাতুন মোজাম্মেল হক খানের স্থলাভিষিক্ত হোন।[৬]

স্কাউটিং[সম্পাদনা]

তিনি স্কাউটিং কার্যক্রমে ভৃমিকা পালন ও বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৪ সালে বাংলাদেশ স্কাউটসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ পদকে ভৃষিত হন। তিনি এছাড়াও ২০১৫ সালে ভারত স্কাউটস ও গাইডস এর সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘সিলভার এলিফ্যান্ট’ এবং ফিলিপাইন স্কাউটসের ‘ব্রোঞ্জ তামারু’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "দুদক কমিশনার হলেন ড. মোজাম্মেল হক খান"যুগান্তর। ২ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২ 
  2. "বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় কাউন্সিলের সাধারণ সভা"জাগোনিউজ২৪.কম। ২৭ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ 
  3. "জনপ্রশাসনে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করলেন ড. মোজাম্মেল হক"জাগোনিউজ২৪.কম। ১১ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২ 
  4. "ড. মোজাম্মেল হক খানের জীবনবৃত্তান্ত" (পিডিএফ)দুর্নীতি দমন কমিশন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২ 
  5. "ড. মোজাম্মেল দুদকের নতুন কমিশনার"একুশে টেলিভিশন। ২ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২ 
  6. "দুদকের কমিশনার হলেন আছিয়া খাতুন"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২৩-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০২ 
  7. timetouchnews.com। "আবুল কালাম আজাদ সভাপতি ও ড. মোজাম্মেল হক খান সিএনসি পুনর্নিবাচিত"www.timetouchnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১২ 
  8. "বাংলাদেশ স্কাউটস"www.scouts.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১২