ফয়েজ আহম্মদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফয়েজ আহম্মদ
সদস্য
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৭ জানুয়ারি ২০২০
নিয়োগদাতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতিআবদুল হামিদ
সিনিয়র সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
৩ জুলাই ২০১৮ – ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীড. মোজাম্মেল হক খান
উত্তরসূরীকে এম আলী আজম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1961-01-01) ১ জানুয়ারি ১৯৬১ (বয়স ৬৩)
পটুয়াখালী সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীডা. তাহমিনা সুলতানা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীশেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাসরকারি কর্মকর্তা

ফয়েজ আহম্মদ একজন বাংলাদেশী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

জনাব ফয়েজ আহম্মদ পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভুরিয়া ইউনিয়নের ভায়লা গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ফজলুল করিম মোল্লা একজন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। শিক্ষা প্রসারে তিনি তার নিজ সম্পত্তি দান করেন এবং ফজলুল করিম মোল্লা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। জনাব ফয়েজ আহম্মদ পটুয়াখালীতে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে শেরে বাংলা কৃষি কলেজ (বর্তমান নাম: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে কৃষি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ফয়েজ আহম্মদ ১৯৮৭ সালে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে এবং পূর্ববর্তী ক্যাডার ত্যাগ করে ১৯৮৮ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এবং একান্ত সচিব এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৯-২০১২ সাল পর্যন্ত রাজবাড়ীচট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে গত প্রায় ৩৩ বছর সচিবালয় এবং মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনাম ও ‍নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৩ জুলাই ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[২][৩] রাষ্ট্রপতি ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে ফয়েজ আহম্মদকে ৫ বছরের জন্য নিয়োগ দেন।[৪]

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

তার স্ত্রী ডা. তাহমিনা সুলতানা (এমবিবিএস; এমপিএইচ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।

পেশাগত ভ্রমণ[সম্পাদনা]

সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, তানজানিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফয়েজ আহম্মদ"বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২০ 
  2. "জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ফয়েজ আহম্মদ"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৭ 
  3. "নতুন জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৭ 
  4. "পিএসসির সদস্য হলেন ফয়েজ আহম্মদ"banglanews24.com। ২০২০-০১-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]